রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৭ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-৪৯

নেই দেশের নাগরিক

‘নবী!’ শব্দটা দুম করে আপনাআপনি আতিফের মুখ থেকে বেরিয়ে এলো। যেন কথাটা ঠোঁটের কোণে কোনোরকমে ঝুলছিল।

‘নাহ, সে ব্যাপারে কিছু জানা গেল না। কোনো নামই প্রকাশ করা হয়নি। আর জে এফ’এর তরফ থেকেও কোনো মুজাহিদের নাম বলা হয়নি। নামটাম জানতে গেলে আরও কিছুক্ষণ আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। হাত পা গুটিয়ে বসে থাকা ছাড়া কোনো উপায় নেই।’ মিনমিন করে কথাগুলো বেরিয়ে এল সাদ্দামের মুখ থেকে।

আতিফ টিপটিপ করে তাকিয়ে থাকল নদীর দিকে। মনের উঠোনে দুদ্দাড় করে জড়ো হতে লাগল, চিন্তা দুশ্চিন্তার বেড়াজাল। নবী কি শহিদ? না, যে পালিয়েছে সে নবী? যে ধরা পড়েছে সেও তো নবী হতে পারে! নবী যে ধাতের মুজাহিদ তাতে সে জান থাকতে ধরা দেবে না। তবে কি নবী আজরাইলের হাতে ধরা দিয়ে দিয়েছে? চিন্তার ছাল-পাতা-শেকড় আতিফকে পেঁচিয়ে ধরে। আষ্টেপৃষ্টে আঁকড়ায়। আতিফ মনে মনে দোয়া করে, আল্লাহ আল্লাহ করে যে পালিয়েছে সে যেন নবীই হয়। আতিফ জানে, ট্রেনিংএর সময় তাদের বারবার বলে দেওয়া হয়, তাদের নিজেদের মধ্যে একটাই পরিচয়, তারা পরস্পরের মুজাহিদভাই, প্রত্যেকে সমান সম্মানের অধিকারী। কেউ ছোট বড় নেই। কাজ হাসিল করার সময় প্রত্যেককে সমান মর্যাদা দিতে হবে। সমান গুরুত্ব দিতে হবে। রক্তের এবং বন্ধুত্বের সম্পর্ক এখানে নগণ্য। এ সব কাজে মায়া মমতা থাকতে নেই। ওসব মনকে দুর্বল করে দেয়। মনকে মোমের মতো গলিয়ে দেয়। এ লোহা-লক্কড় আর গুলি-বারুদ দিয়ে ঘষামাজা করা মন তো আর মোমের মতো গলে গেলে হবে না? এই মনকে শান দেওয়া অস্ত্রের মতো নিষ্ঠুর হতে হবে। হাজার হত্যাতেও যেন এতটুকু বিচলিত না হয়। চোখের জল এখানে হারাম। নিজেকে আল্লাহর হাতে বানানো একটা অস্ত্র ছাড়া অন্যকিছু ভাবাই যাবে না। এ দেহের, এ মনের, এ ভাবনার একজনই মালিক, আর তিনি হলেন মহান আল্লাহপাক। মনের মধ্যে ভালো করে পুষে নিতে হবে যে, আমাদের চোখই তার চোখ, আমাদের ভাবনাই তার ভাবনা, আমাদের জীবন তারই দান করা রুহু। আল্লাহর পথে আমরা উৎস্বর্গিত প্রাণ, এটাই আমাদের একমাত্র আত্মিকসম্পর্ক। এই আত্মিক টানের যেন কোনো ভেদাভেদ না থাকে। ভেদাভেদ দেখা দিলে, লক্ষ্যে পৌঁছনো যাবে না। মিশন বিফলে যাবে। কিন্তু আর জে এফ’এর ধার্মিক এবং তাত্ত্বিক নেতারা যতই এসব কথা বলুন, কোথাও একটু হলেও বন্ধুত্বের টান যেন উগলে ওঠে। উথলে পড়ে দরদ। হাজার নিষেধ সত্যেও সে টান কোনোভাবেই দমে না। আতিফ জানে নবীর সাথে যারা এই মিশনে গেছেন, তারাও তার নিকটজন, মুজাহিদভাই। জন্মভূমি উদ্ধারের কাজে তাদেরও সমান অবদান। আল্লাহর কাছে তারাও সমান কৃতিত্বের অধিকারী। সমান নেকির ভাগিদার। তবুও এই কটা বছর নবীর সাথে তার যে মাখামাখি সম্পর্ক, মিলমিশ, তাতে তারা দুজন হরিহর আত্মা হয়ে উঠেছে। এক পেট, দুই মানুষ। এক ভাবনা, দুই শরীর। সুতরাং কিছু একটা ঘটলে নবীর কথাই তো চট করে মাথায় খেলবে? নবী যে তার হৃদয়ে ছায়ার মতো মিশে থাকে।

‘অত মনমরা হলে হবে না, আতিফ। যদি সত্যি সত্যি কুখ্যাত বালুখালি চৌকি নবীরা নিশ্চিহ্ন করে দেয়, তাহলে এর চেয়ে আনন্দের আর কী হতে পারে? আমাদের আনন্দে নামাজ পড়া উচিত। আল্লাহর দরবারে দু’হাত তুলে বলা উচিত, হে আল্লাহ তোমাকে শতকোটিবার সিজদাহ। একবার ভাবত, ওই বালুখালি চৌকিতে কত রোহিঙ্গার জীবন গেছে! কত নিরীহ মানুষকে নিষ্ঠুর বার্মা সেনারা নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। আজ বদলা নেওয়ার দিন। প্রতিশোধের দিন। বার্মা সেনারা জানুক, আর জে এফ’এর ছোবল কত বিষাক্ত। আর জে এফ’এর মুজাহিদদের দাঁতে কত বিষ। নখের আঁচড়ে কত যন্ত্রণা।’ আগুনে ফোটার মতো টগবগ করে ফুটছে সাদ্দাম। প্রতিহিংসার আগুনের আঁচ আতিফের মনেও লাগল। আতিফ আচমকা বলে উঠল, ‘ইস! আজ আমি যদি ওখানে থাকতে পারতাম, আমার জাতিকে বুক ফুলিয়ে বলতে পারতাম, এই দেখো, তোমাদের শরীরের একটা দগদগে ক্ষত’কে সমূলে উপড়ে ফেলে দিলাম। দুনিয়ার একটা দোযখ’কে নিশ্চিহ্ন করে দিলাম। আজ আমার বুক গর্বে ভরে উঠছে, নবী আমার বন্ধু। আত্মার আপনজন। নবী, তুই যেখানেই থাক, তুই স্বয়ং আল্লাহর সঙ্গে আছিস।’ ফোটা ফোটা জল লেগে থাকা কড়াই যেমন আচমকা গনগনে আগুনে পুড়ে তপ্ত হয়ে ওঠে, আর তার ওপর পড়ে থাকা জল ফোটাগুলো চিড়বিড় করে বাষ্পিভূত হয়ে যায়, ঠিক তেমনই প্রতিহিংসার আগুনে ছ্যান ছ্যান করে জ্বলে তার চোখ থেকে কাঁদনের অশ্রু উবে গিয়ে চোখদুটো গোলা পাকিয়ে ওঠে আতিফের। সে কণ্ঠ বেলফাটার শব্দের মতো কড়া করে বলল, ‘আমাকে এখানে আর পড়ে থাকলে হবে না, সাদ্দাম। দ্রুত ফিরে যেতে হবে। মনে হয় না, এভাবে হুটপাট করে আর আব্বাদের খুঁজে পাব। তা ছাড়া সামনেই আমার বড় কাজ পড়ে। সে কাজে আমাকে সফল হতেই হবে। শয়তান মায়ানমার সরকারকে কোনোভাবেই আর খাড়া হয়ে দাঁড়াতে দেওয়া যাবে না। একটা ঘা খেয়ে উল্টে পড়ে যাওয়ার পর, আর সোজা হয়ে দাঁড়ানোর আগেই আরেকটা জুতসই ঘা দিতে হবে। যাকে বলে, চড়ের পর চড়, থাপ্পড়ের পর থাপ্পড়।’ দাঁত চিড়বিড় করল আতিফ। সঙ্গে সাদ্দামের দিকে একবার মায়াবি দৃষ্টিতে তাকাল। বলল, ‘তুই কী করবি?’

‘আমি কী করব মানে? যা করছি তাই করব। ওই মগজধোলাইয়ের কাজ। মুজাহিদ সাপ্লাইয়ের কাজ। আমি সাপ্লাই না দিলে তো আর জে এফ সংকটে পড়ে যাবে!’ বুকের ছাতি ফুলে উঠল সাদ্দামের। আতিফ ভ্রূ কুচকাল, ‘কিন্তু, তুই আজ যা কাণ্ড করলি, তাতে করে তুই কি আর নিরাপদে এই চত্বরে থাকতে পারবি? বি জি বি তো তোকে ফাঁসিতে ঝুলাবে।’
‘সে তো ঠিক কথাই, কিন্তু উপায় কী? আমার কাজটা তো অন্য কেউ করতে পারবে না।’
‘তোর ধারণা ভুল। পৃথিবীতে কোনো কাজ কারো জন্যে পড়ে থাকে না। কোনো জায়গা ফাঁকাও থাকে না। একজন গেলে আরেকজন ঠিক চলে আসে। তবে হ্যাঁ, তুই এতদিন ধরে এই এলাকায় থেকে যে পজিশন তৈরি করেছিস, যে প্রভাব তৈরি করেছিস, সোর্সের যে জাল বিছিয়েছিস তা হয়ত অন্যজন হুট করে এসে সে সব করতে পারবে না, কিন্তু কাজটা বন্ধ থাকবে না। একটু একটু করে বাড়তে বাড়তে আগের জায়গাটা ঠিক ফিরে আসবে। তোর তৈরি করা রাজত্বে অন্যজন এসে রাজত্ব করবে, এটাই তো সময়ের নিয়ম। ‘স্বাধীন রাখাইন’ তো আর একদিনে আসবে না। তিল তিল করে ভিত তৈরি করে তবেই তো একদিন চরম শীর্ষে পৌঁছাব। আর সে ভিত একটু একটু করে আমাদেরকেই তো তৈরি করে যেতে হবে। মনে রাখিস, আমরা হচ্ছি এক একটা গাঁথনি। তোকে সে কাজে আমাদের বড্ড দরকার। এত দ্রুত তোকে হারালে চলবে না। তুই এক কাজ কর।’
‘কী কাজ?’
‘তুই, আমার সঙ্গে বান্দরবান চল। আর জে এফ’এর ওপর তলার কর্তাদের বলে, তোকে অন্য কাজে পোস্টিং করে দেব। এই বি জি বি’র হ্যাপা তো থাকবে না।’
‘কিন্তু আমি এ জায়গা ছেড়ে কোত্থাও যাব না। বিপদ ছাড়া তো আমাদের জীবন হতে পারে না। আমাদের তো সবসময় মৃত্যুকে হাতে নিয়েই কাজ করতে হয়। মুজাহিদদের ওসব ভয় থাকতে নেই। আরে সাড়ে তিন হাত শরীরে ‘এই আছি এই নাই, ফুড়ুৎ করে উড়ে যাই’ গোছের তো জীবন। তাতে আর অত মৃত্যুভয় মেখে কী লাভ। বরং ওসব মাথার মধ্যে থাকলে, মাথাটাই একটা ভোঁতা লাউ হয়ে যাবে। কোনো করিৎকর্মে লাগবে না। এক কোপ খেতে না খেতেই ‘ভুষ’ করে ফেসে যাবে! ওসব ভূতিলাউএর মতো জীবন বানানো কী দরকার? ওসব চায়লে তো মুম্বাই শহরে গিয়ে অন্ধকার দুনিয়ার একজন কুখ্যাত খুনি হয়ে উঠতে পারতাম। অথবা, লক্ষ্যহীন উদ্দেশ্যহীন দুনিয়া কাঁপানো যেকোনো জঙ্গিসংগঠনের হয়ে কাজ করে কাড়ি কাড়ি ইনকাম করতে পারতাম। জীবনকে বাজি রেখে এই ঘিঞ্জি শরণার্থী শিবিরে পড়ে থাকতাম না। মনে রাখিস, এই তামাটে রঙের রক্ত-মাংসের দেহের ভেতরে যে রুহুটা আছে, সেটার মালিক আর এখন আমি নই, সেটার মালিক অসহায় শেকড়হীন রোহিঙ্গা জনজাতি। তাদের জন্যেই এ জীবন উৎসর্গীকৃত। তাদের জন্যেই এ জীবন অন্যসব পার্থিব সুখ আহ্লাদ ত্যাগ করে এই নির্বাসনের জীবন কাটাচ্ছে। আমার এই বাইরের খোলটা ঠোঙা মাত্র। এর কোনো জ্বালাপোড়া নেই। ভেতরের রুহুটাই আমার রাখাইন, আমার রোহিঙ্গা। তা ছাড়া সত্যি করে একটা জিনিস ভেবে দেখ, আমি এখানে যত অল্প সময়ে কাজ হাসিল করতে পারব, অন্যরা সেটা পারবে না। শহিদ তো একদিন হতে হবেই। তা না হয়, এখানেই হব।’ একনাগাড়ে বলল সাদ্দাম। তার চোখ ঘোলাটে হয়ে উঠছে। যেন দেহের ভেতরের সেই ‘রোহিঙ্গা রুহু’টা ছিটকে বেরিয়ে আসছে। অন্তরের সেই ‘রুহু’টাই যে বজ্রনির্ঘোষ হুঙ্কার গর্জে উঠছে, তার আঁচ পড়ছে দুইচোখে। ভেতরের সেই জোয়ারি-স্রোত সমস্ত গা-গতর ফুঁড়ে বাইরে হামলে পড়ছে। নাকে মুখে লাগছে হৃদয়ে বারুদ পোড়ার ঝাঁঝ। শান্ত মাথার সাদ্দাম যে আর জে এফ’এর হেলাফেলা মুজাহিদ নয়, সে যে আর জে এফ’এর একজন সাহসী মুজাহিদ, তা তার শরীরের ভেতরের হাড়ের সঙ্গে হাড়ের কটমট দেখে বোঝাই যাচ্ছে। আতিফ সাদ্দামের সেই গনগনে আগুনের মতো জ্বলে ওঠা হৃদয়ে ঘি’এর ছিটা দিল, ‘সবকটা শয়তান বার্মিজ সেনাদের ভিটে ছাড়া করে ছাড়ব, তখন শালোরা হাড়ে হাড়ে টের পাবে, পায়ের তলার মাটি আর মাথার ওপরের ছাদ না থাকার যন্ত্রণা কাকে বলে।’

সাদ্দাম ‘দপ’ করে জ্বলে উঠল, ‘ভিটে ছাড়া কী বলছিস রে! বল, দুনিয়া ছাড়া। সব শালোদেরকে আগুনের গোলায় ছুঁড়ে ফেলে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারব। বুঝবে, জাহান্নামের আযাব কাকে বলে।’
‘দুম’ করে একটা বিকট আওয়াজ নদীর দিক থেকে ভেসে এল! সাদ্দাম থতমত করে বলল, ‘এখানে আর দেরি করা একদম ঠিক হবে না, আতিফ। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর পাহারাদাররা মনে হয় টের পেয়ে গেছে যে আমরা এই চোরা বর্ডার দিয়ে পাড়ে উঠে এসেছি।’
‘ওই জন্যেই কি ফায়ারিং করছে!’ চোখদুটো ড্যাবড্যাব করে নদীর দিকে তাকাল আতিফ।
‘সেটাই মনে হচ্ছে। চল, এখান থেকে দ্রুত কেটে পড়ি।’ পা চালাল সাদ্দাম। পলিমাটির আলপথ। চারপাশে ইতস্তত কাশফুলের বুনো ঝাড়। হাওয়াতে ফিনফিন করে দুলছে। নদীর পাড় ছুঁয়ে চিৎ হয়ে শুয়ে থাকা সাদাবালির ওপরে সূর্যের আলো পড়ে চিকচিক করেছে। বালির স্তর যেখানে শেষ হয়েছে, সেখান থেকেই নরম পলিমাটির ওপরে ঝোপ ঝোপ দুব্রো ঘাসের ঝোপ। দূর থেকে মনে হচ্ছে, একটা সবুজ সিঁথি চুল খাড়া করে শুয়ে আছে। আর সেই সিঁথিতে হাওয়ার দোলা লেগে, ধিনধিন করে নেচে উঠছে ঘাসগুলো। দুব্রো ঘাসের আড়ালে মুখ লুকিয়ে আছে হলুদ চাপাটি ঘাস। ডানার মতো থোড় পাতা ছড়িয়ে দিয়েছে মোথা ঘাস। মাঝে মাঝে দঙ্গল বেঁধে ফুটে আছে জংলি ঝুমকা লতা ফুল। কাঁধে কাঁধ মিলে আছে বককন গাছ। দুপুরের ছায়া এদের গোড়ায় ঝুপ মেরে গেছে। পাশের বালির আস্তরণ থেকে একটা মিহি গরম ভাপও গায়ে লাগছে। দূরে নদীর জলও সূর্যের আলো পেয়ে ঝিলমিল করছে।

বি.দ্র. সৌরভ হোসেনের ‘নেই দেশের নাগরিক’ উপন্যাসটি এবারের একুশে বইমেলায় মাওলা ব্রাদার্স থেকে প্রকাশিত হয়েছে। উপন্যাসটি ‘মাওলা ব্রাদার্স’ এর স্টল থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন পাঠকরা।

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৪৮

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৪৭

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৪৬

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৪৫
নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৪৪

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৪৩

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৪২

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৪১

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৪০

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৯

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৮

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৭

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৬

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৫

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৪

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৩

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩২

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩১

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩০

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৯

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৮

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৭

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৬

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৫

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৪

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৩

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২২

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২১

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২০

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-১৯

Header Ad
Header Ad

অনূর্ধ্ব-১৯ নারী এশিয়া কাপ:

ভারতের বিপক্ষে ১১৮ রান করলেই এশিয়া কাপ ঘরে উঠবে বাংলাদেশ

ছবি: সংগৃহীত

চলতি মাসেই ছেলেদের অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশের যুবারা। এবার অনূর্ধ্ব-১৯ নারী এশিয়া কাপের ফাইনালে মুখোমুখি বাংলাদেশ-ভারত। যেখানে আগে ব্যাট করা ভারত গোঙ্গাদি তৃষার ফিফটিতে টাইগ্রেসদের ১১৮ রানের লক্ষ্য দিয়েছে ভারত। বাংলাদেশি পেসার ফারজানা ইয়াসমিন সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নিয়েছেন।

অনূর্ধ্ব-১৯ নারী এশিয়া কাপের পুরো আয়োজন হয়েছে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে। একই ভেন্যু বায়েওমাস স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চলছে শিরোপানির্ধারণী ম্যাচ। টস জিতে এদিন ভারতকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠান বাংলাদেশ অধিনায়ক সুমাইয়া আক্তার। শুরু থেকেই ভারতীয়দের চেপে ধরেন বাংলাদেশি বোলাররা। একের পর এক উইকেট তুলে নিলেও একপ্রান্ত আগলে রেখে ভারতকে লড়াকু পুঁজি এনে দেন তৃষা।

বিস্তারিত আসছে.......

Header Ad
Header Ad

বিরামপুরে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ

শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ। ছবি: সংগৃহীত

দিনাজপুর জেলার বিরামপুরে উপজেলা বিএনপি, পৌর বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে বিরামপুর পাইলট হাইস্কুল মাঠে দুস্থ শীর্তাতদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন প্রধান অতিথি বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকালে বিরামপুর পাইলট হাইস্কুল মাঠে এই শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

পৌর বিএনপি’র সভাপতি হুমায়ূন কবিরের সভাপতিত্বে ও পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজু'র সঞ্চালনায় দুস্থ শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। এসময় বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, দিনাজপুর জেলা বিএনপির সদস্য ও নবাবগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মকবুলার রহমান গোর্কি, দিনাজপুর জেলা বিএনপির অন্যতম সদস্য তোছাদ্দেক হোসেন তোছা,উপজেলা বিএনপি সভাপতি মিজ্ঞা শফিকুল ইসলাম মামুন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বিরামপুর উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও মুকুন্দপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জোবয়াদুর রহমান জুয়েল,উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব এ‍্যাড. মিঞা শিরন আলম, বিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মমতাজুল হক, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক জীবন চৌধুরী শাহীন, পৌর যুবদলের সদস্য সচিব পলাশ বিন আশরাফী পলাশ সহ বিরামপুর উপজেলা বিএনপি,পৌর, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড বিএনপি এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের অনেক নেতা-কর্মীবৃন্দ'র পাশাপাশি স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অপরদিকে বিরামপুর উপজেলা পলিপ্রায়গ ইউনিয়নের টাটকপুর মাদ্রাসা মাঠে উপজেলা বিএনপি সভাপতি মিজ্ঞা শফিকুল ইসলাম মামুনের সভাপতিত্বে ও বিরামপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর এলাহী চৌধুরী রুবেল'র সঞ্চালনায় ছিন্নমূল, অসহায়, হতদরিদ্র ও দুস্থদের মাঝে প্রধান অতিথি বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ করেন।

Header Ad
Header Ad

টাঙ্গাইলে আ.লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম আটক

টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার সল্লা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সল্লা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম। ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা ও মারধরের মামলায় টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে আব্দুল আলীম (৫২) নামে এক ইউপি চেয়ারম্যানকে আটক করা হয়েছে।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে উপজেলার ইউনিয়নের সল্লা বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

আটককৃত আব্দুল আলীম উপজেলার সল্লা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।

এ ব্যাপারে কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম ভুঁইয়া করে জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা এবং মারধর করাসহ বিভিন্ন মামলায় তাকে আটক করা হয়। তিনি থানা হেফাজতে রয়েছে। রবিবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে তাকে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ভারতের বিপক্ষে ১১৮ রান করলেই এশিয়া কাপ ঘরে উঠবে বাংলাদেশ
বিরামপুরে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ
টাঙ্গাইলে আ.লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম আটক
শেখ হাসিনা নিজ হাতে তার বাবাকে দ্বিতীয়বার হত্যা করেছে: গয়েশ্বর
চুয়াডাঙ্গায় অবৈধ যানবাহন বন্ধ না হলে গণপরিবহন বন্ধের ঘোষণা
জুমার দিনে ফিলিস্তিনের মসজিদে আগুন দিল ইসরায়েলিরা
গাইবান্ধায় বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ, আহত অন্তত ১০
আশ্বস্ত করছি বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দেবে না: প্রধান উপদেষ্টা
সত্যি কি থাপ্পড় মেরেছিলেন শাহরুখ, ৯ বছর পর মুখ খুললেন হানি সিং
মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তর, বগুড়ার শ্রাবণী এখন শ্রাবণ
বাড়ি ফেরার পথে সড়কে ঝরে গেল বাবা-ছেলের প্রাণ
ছাত্রলীগ নেতা মুক্তাদির শিক্ষার্থীদের হাতে আটক, থানায় সোপর্দ
এ দেশে মেজরিটি–মাইনরিটি বলে কিছু নেই: জামায়াতের আমির
আজ বছরের দীর্ঘতম রাত, সবচেয়ে ছোট দিন আগামীকাল
রাজনীতিবিদকে বিয়ে করতে চান ফারজানা সিঁথি
গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা পেয়েছে কমিশন
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ
পাকিস্তানে জঙ্গি হামলায় ১৬ সেনা নিহত
বাধ্যতামূলক অবসরপ্রাপ্ত সচিব ইসমাইল বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার
হামজাকে নিয়ে যা বললেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল