বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-১৮

যারা যুদ্ধ করেছিল

রকিব মমিনের রুমে এসে দেখে মজনু মমিনের মাথা টিপে দিচ্ছে। মজনু হঠাৎ বলে, ‘ওস্তাদ, আপনার মন খারাপ ক্যা?’
মমিন বলে, ‘বার বার সাকিবের কথা মনে হচ্ছে। ছোটবেলার বন্ধু। তার জীবনটা এইভাবে চিড়ে চ্যাপ্টা হবে আমি তা চাইনিরে।’
মজনু বলে, ‘শাস্তি বেশি অইছে কইতে চান?’
‘না। তা কইতে চাই না। তবে শাস্তি অন্যদের মতো হলে ভালো হতো। শত্রুকে আধা মৃত্যু দেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ নয়। কথায় বলে, সাপ মেরে লেজ তাজা রাখা ঠিক না।’

মজনু বলে, ‘ওরতো আর কিছু করার ক্ষমতা নাই। ধুকে ধুকে মরতে হবে। ও যেমন বন্ধুর সঙ্গে বেঈমানি করছে এটাই ওর উপযুক্ত শাস্তি। বন্ধুর বোনের সঙ্গে নষ্টামি। জীবনের তরে নষ্টামি করার কম্ম শেষ। বিয়া-শাদীর মুখ জীবনে আর দেখা লাগবো না। সারাজীবন আন্ধা হয়া বাঁচতে হবে। মরলেতো ওস্তাদ শেষ হয়া গেল। শাস্তির কোনো নমুনা থাকলো না। বাঁইচা থাইকা হারে হারে বুঝুক বেঈমানির শাস্তি কি।’
মমিন এবার বিরক্ত মুখে বলে, ‘ওকে বাঁচায়া রাইখা আমার বোনের জীবনটাও অস্বস্তিতে ফেলা হইছে।’
‘কেমনে?’
‘ওই বদমাইশটাকে দেখলে আমার বোনের মনটা অস্থির হয়ে উঠবে। ওর মনেও পুরনো কষ্টের কথা ভেসে উঠবে।’
‘উল্টাটাও হইতে পারে ওস্তাদ। আপনার বোন যখন দেখবে আন্ধা হয়া ব্যাটা অন্যের হাত ধরে চলাফেরা করছে। জনমে আর বিয়া করার সাধ্য নাই তখন আপনার বোনের চরম প্রতিশোধের কথাটা মনে হয়ে শান্তিও লাগতে পারে। পারে না ওস্তাদ?’
মমিন আবার শুয়ে পড়ে। নিস্তেজ কণ্ঠে সায় দেয় মজনুর কথায়। বলে, ‘তাও হতে পারে। কথাটা মিছা কস নাই।’
মজনু ওস্তাদকে খুশি করতে পেরেছে। এই আনন্দে মাথা মালিশ আয়েশ করে করতে থাকে।
ঘরে রকিব আসে মমিনের সঙ্গে দেখা করতে। মজনু তার মাথা মালিশ করছে দেখে ছুটে এসে রকিব বলে, ‘ভাইজান কি শরীর খারাপ লাগছে?’
মমিন বিষন্ন মুখে তাকায়। দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে, ‘না। রাতে ঘুমোতে পারিনি। মাথাটা টাস টাস করছে। মজনু তাই শুনে মাথা মালিশ করতে শুরু করেছে। পাগল ছেলে।’
মমিন শোয়া থেকে উঠে বসে। মজনুকে বলে, ‘তুই একটু যা তো। রকিবের সঙ্গে আমার কিছু কথা আছে।’

মজনু বাইরের দিকে যায়। রকিবকে পাশে বসতে বলে মমিন। রকিব বসে। মমিন বলে, ‘মা বাবাকে কোথায় রেখে এলি?’
রকিব বলে, ‘আমার বোনের বাড়িতে। মাকে বলেছি সাথীকে দেখে রাখতে।’
মমিন দুঃখ ভরা কণ্ঠে বলে, ‘সাথীকে নিয়ে আমার ভীষণ ভয়।’
রকিব বলে, ‘আমার বোনের বাড়িতে ভয়ের কোনো কারণ নেই ভাইজান।
মমিন বলে, ‘আমি মিলিটারির ভয়ের কথা বলছি না। সাথীকে আমি খুব ভাল চিনি। ভীষণ অভিমানি মেয়ে। আত্মহত্যা করে না বসে।’
রকিব আমতা আমতা করে বলে, ‘আমি সাথীকে আশ্বস্ত করেছি। বারে বারে বলেছি ও যেন অতীতকে ভুলে যায়।’
‘চাইলেই কি সব ভোলা যায়রে রকিব।’
‘তা হয়তো যায় না। কিন্তু যুদ্ধে আরও অনেকে ভয়ংকর ত্যাগ স্বীকার করছে। তারা যদি ভুলে যেতে পারে ও কেন পারবে না?’
‘কথা অন্য জায়গায়। দেখা গেল ও ভুলে গেছে। কিন্তু প্রতিবেশীরা ওর কষ্টের জায়গায় লবণ ছিটিয়ে ওকে আরও কষ্ট দিচ্ছে।’
‘সে কথাও আমি সাথীকে বুঝিয়ে বলেছি ভাইজান। আমি আপনাকে সব কথা বলতে পারছি না। শুধু এইটুকু আপনাকে বলি, আপনি হয়তো জানেন না আমি সাথীকে ভালবাসি। সাথীও আমাকে ভালবাসে। আমরা ঠিক করেছি, যুদ্ধ শেষ হলেই আমরা বিয়ে করে গ্রাম ছেড়ে শহরে চলে যাব। সাথীও একমত পোষণ করেছে আমার সঙ্গে।’
রকিবের এই কথায় মমিন খুব স্বস্তি অনুভব করে। মমিন আনমনে বলে, ‘সাকিবকে জীবন মৃত করে রাখা ঠিক হয়নি। মেরে ফেললেই বরং ওর কষ্ট কম হতো।’
‘সেটা নিয়ে আপনাকে ভাবতে হবে না ভাইজান। আপনার তেমন মনে হলে আবার গিয়ে ফাইনাল অপারেশেন করে আসবো। আপনি এ সব না ভেবে যুদ্ধের প্লান করেন।’

কথাটা পরদিন সারা গাঁও রটে যায়, রাজাকার আলিম জহর এবং গেদুকে পাওয়া যাচ্ছে না। শান্তি কমিটির মেম্বর ফজলুর রহমান এবং তার ছেলে সাকিবকেও পাওয়া যাচ্ছে না। মুক্তিবাহিনী তাদের ধরে নিয়ে গেছে। এই খবর সদরে মিলিটারি ক্যাম্পে পৌঁছালে কমান্ডার ক্যাপটেন আব্বাস খান শতাধিক মিলিটারি এবং অর্ধশত রাজাকার নিয়ে শাজাহান পুর গ্রাম ঘেরাও করে। প্রথমে পায় একজন অতিশয় বৃদ্ধকে। সে লাঠি ভর দিয়ে হেঁটে আসছিল। তাকে সামনে পেয়ে ক্যাপটেন আব্বাস খান কোমর থেকে পিস্তল বের করে গুলি করে। বৃদ্ধ মাটিতে লুটিয়ে পড়ে হাত-পা খিঁচিয়ে তখনই মারা যায়। সামনে পাওয়া বাড়ি-ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয় মিলিটারিরা। খুঁজে খুঁজে মুক্তিবাহিনীতে যোগ দেওয়া ব্যক্তিদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া শুরু করে। মমিনের বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে নিশ্চিহ্ন করে দেয় সবকিছু। মিলিটারিরা উল্লাস নিয়ে মমিনদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। ভাবখানা যেন মমিনকেই ওরা হাতে নাতে ধরেছে। মিলিটারি কয়েকজন যুবককে ধরে লাইনে দাঁড় করিয়ে তাদের ব্রাশফায়ার করে হত্যা করে। অধিকাংশ মানুষ বাড়িঘর ফেলে পালিয়ে গেছে। মিলিটারি ইচ্ছেমতো তাণ্ডব চালিয়ে পাশের গ্রাম জগতগাঁতির দিকে এগিয়ে যায়। সেই গ্রামটা হিন্দু অধ্যুষিত। মিলিটারির সঙ্গে কয়েকজন রাজাকার এবং শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান আফাজ উদ্দিনসহ অন্য সদস্যরাও রয়েছে। তারাই হিন্দুর বাড়িঘর চিনিয়ে দিচ্ছে। আর মিলিটারি মনের আনন্দে গান পাউডার ছিটিয়ে টিনের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিচ্ছে।

এলাকা জুড়ে থমথমে পরিবেশ। যুবকরা কেউ ভয়ে বাড়ি থাকে না। অনেকে এই অবস্থায় মুক্তিবাহিনীতে যোগ দিতে ভারতের দিকে রওনা হয়। ‘তাদের যুক্তি এমনেও মরণ ওমনেও মরণ। তাইলে মাইরাই মরি।’

মাসখানেক পর হাসপাতাল থেকে ফিরলো সাকিব। তার অসুস্থ মা বিছানা থেকে যে উঠতে পারে না সেও ছেলের এই অবস্থা দেখে চিৎকার দিয়ে কাঁদতে শুরু করলো। সাকিবের চোখে ব্যান্ডেজ বাঁধা। ভাল করে হাঁটতেও পারে না। লিঙ্গের গোড়া কেটে দিয়েছে মুক্তিরা। এ জীবনে তার আর নারী সঙ্গ করা হবে না। বন্ধুর বোনকে কৌশলে ভোগ করার খেসারত হিসেবে তাকে চরম মূল্য দিতে হলো।
সাকিবের মা আয়েশা বেগম ছেলের মাথায় হাত বুলিয়ে জিজ্ঞেস করে, ‘খোড়াইয়া হাটোস ক্যা বাজান? কুচকিতে কি অইছে?’

সাকিব সে কথা মাকে বলতে পারে না। মুক্তিবাহিনী তাকে হত্যা না করে তাকে জ্যান্ত-মৃত করে রেখেছে। তার যৌবন ধ্বংস করেছে। এখন সে খোজা। সম্রাটদের হেরেমের পুরুষদের মতো তাকেও খোজা করে দিয়েছে। এই কষ্ট সে কীভাবে সইবে? কীভাবে মাকে এই কথা সে জানাবে?

সাকিব মাথা নামিয়ে থাকে। তার চোখ দিয়ে টপ টপ করে জল গড়াচ্ছে। মায়ের হাতে জলের ফোটা এসে পড়লে আয়েশা বেগম ছেলেকে বুকে টেনে নিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে। বলে, ‘তখনই না করছিলাম। এটা পাপ। তোরা বাপবেটা কেউ আমার কথায় কান দিলি না। এখন স্বামীকে হারালাম। তুইও না থাকার মতো। বংশ রক্ষা হলো না আমাদের।’

মায়ের কান্নার সঙ্গে সাকিবও কান্নায় ভেঙে পড়ে। আয়েশা বেগম বলে, ‘তোর বাপকে মাইরা কোথায় ফালায়া দিছে?’
সাকিব বলে, ‘আমি জানি না মা। ওরা সারাক্ষণ আমার চোখ বাইন্ধা রাখছে।’
‘তাকে কি গুলি কইরা মারছে?’
‘না। ওরা কাউকে গুলি করে না। ওরা বলাবলি করতে ছিল গুলি ওদের খুব মূল্যবান সম্পদ। সম্ভব নদীর পাড়ে নিয়া সবাইকে জবাই করছে।’
‘তোর আব্বাকে কি ওরা খুব মারধর করছে?’
‘সাকিব দম নিয়ে বলে, ‘না। মারধর করে নাই। তবে মুখে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করছে। আব্বা একবার শুধু বলেছে, আমি কারো ক্ষতি করি নাই। তখনই ফটাস করে চড়ের শব্দ হলো। একজন ক্রুদ্ধ কণ্ঠে বললো, ‘তাহলে তোর বাড়িতে মমিনের বোনকে জোর কইরা ধইরা রাখছোস ক্যা?’ তারপরই আব্বাকে নিয়ে যায় নদীর দিকে। বাকিদেরও একইভাবে নিয়ে যায়। শুধু আমাকে আলাদাভাবে বেঁধে রাখে। তারপর মুখে কাপড় গুজে দেয় যাতে আমি চিৎকার করতে না পারি।’ বলতে বলতে সাকিব কান্নায় ভেঙে পড়ে।

চলবে…

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-১৭

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব- ১৬

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব- ১৫

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-১৪

Header Ad

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা

ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এ নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সকল মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। কেউ কারো উপরে না, আবার কেউ কারো নিচেও না, এই ধারণা আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে সম্প্রতি আমরা অর্জন করেছি, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। যে সুযোগ তারা আমাদের দিয়েছে, তার মাধ্যমে আমাদের দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করে যারা দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে জাতি তাদের সারা জীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বক্তব্য শেষে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

Header Ad

নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁ শহরে যানযট নিরসন ও শৃঙ্খলা ফেরাতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক-শ্রমিকদের যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এতে শহরে শৃঙ্খলা ফিরবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অভিযানের উদ্বোধন করেন নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক টি.এম.এ মমিন। এ সময় নওগাঁ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিয়া উদ্দিন, নওগাঁ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন, নওগাঁ জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আফজাল হোসেন ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান শুরুর পর থেকেই শহরের বরুনকান্দি, মশরপুর, তাজের মোড় ও কালীতলাসহ মোট ৮ টি প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেক পোষ্টগুলোতে ২ জন পুলিশ সদস্য, ২ জন ছাত্র সমন্বয়ক, ৪ জন রোভার স্কাউট সদস্য ও ২ জন রিকশা মালিক শ্রমিক প্রতিনিধিসহ মোট ১২ জন করে কাজ করছেন।

পৌর প্রশাসক জানান, নওগাঁ শহরে বৈধ যানবাহনের সংখ্যা ৪ হাজার। কিন্তু প্রতিদিন পার্শবতী বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ১০ হাজার রিকশা, ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা ও ইজিবাইক শহরে প্রবেশ করে। এতে তীব্র যানযট ও জন মানুষের ভোগান্তি তৈরী হয়। এই দূর্ভোগ লাঘোবে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল ও পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিনের দিক নির্দেশনায় যানবাহন নিয়ন্ত্রনসহ বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। বৈধ চালকদের চিহ্নিত করতে তাদের মাঝে পরিধেয় বিশেষ ধরনের জ্যাকেট প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, নওগাঁ শহরের যানযট দীর্ঘদিনের সমস্যা। পরিকল্পিত ভাবে এই সমস্যা দূর করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের উদ্যোগে পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের সমন্বয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন ষ্টেক হোল্ডারদের পরামর্শ নিয়ে একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, অভিযান সফল ভাবে বাস্তবায়ন হলে শহরে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। জনগন এর সুফল পাবেন। সকলকে এই কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানান তিনি।

Header Ad

২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত

বক্তব্য রাখছেন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে ২০২৬ সালের মাঝামাঝি নির্বাচন হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকারের নৌ পরিবহন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ডক্টর এম সাখাওয়াত হোসেন।

সম্প্রতি ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাউস অব লর্ডসে মানবাধিকার সংগঠন ‘ভয়েস ফর বাংলাদেশ’ আয়োজিত সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

‘ডিসকাশন অন ডেমোক্রেটিক কলাপ্স অ্যান্ড রিবিল্ডিং অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই সম্মেলনে হাউস অব লর্ডসের সিনিয়র সদস্য আলেক্সান্ডার চার্লস কার্লাইল কিউসি সভাপতিত্ব করেন। ভয়েস ফর বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্রডকাস্টার আতাউল্লাহ ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এম সাখাওয়াত হোসেন।

সম্মেলেনে সাবেক ব্রিটিশ মন্ত্রী পল স্কালি বলেন, বাংলাদেশে যে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে, তার সঠিক তদন্ত শেষে যথাযথ বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে করে এ ধরনের ঘটনার পুররাবৃত্তি না হয়।

লর্ড হোসাইন বলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার সব সংস্কার এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে সব ধরনের সহায়তা পাবে।

সম্মেলনে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান লেবার দলীয় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি রুপা হক।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
ধামরাইয়ে শ্রমিকবাহী বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৪