বৃহস্পতিবার, ৩ এপ্রিল ২০২৫ | ১৯ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-১৮

যারা যুদ্ধ করেছিল

রকিব মমিনের রুমে এসে দেখে মজনু মমিনের মাথা টিপে দিচ্ছে। মজনু হঠাৎ বলে, ‘ওস্তাদ, আপনার মন খারাপ ক্যা?’
মমিন বলে, ‘বার বার সাকিবের কথা মনে হচ্ছে। ছোটবেলার বন্ধু। তার জীবনটা এইভাবে চিড়ে চ্যাপ্টা হবে আমি তা চাইনিরে।’
মজনু বলে, ‘শাস্তি বেশি অইছে কইতে চান?’
‘না। তা কইতে চাই না। তবে শাস্তি অন্যদের মতো হলে ভালো হতো। শত্রুকে আধা মৃত্যু দেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ নয়। কথায় বলে, সাপ মেরে লেজ তাজা রাখা ঠিক না।’

মজনু বলে, ‘ওরতো আর কিছু করার ক্ষমতা নাই। ধুকে ধুকে মরতে হবে। ও যেমন বন্ধুর সঙ্গে বেঈমানি করছে এটাই ওর উপযুক্ত শাস্তি। বন্ধুর বোনের সঙ্গে নষ্টামি। জীবনের তরে নষ্টামি করার কম্ম শেষ। বিয়া-শাদীর মুখ জীবনে আর দেখা লাগবো না। সারাজীবন আন্ধা হয়া বাঁচতে হবে। মরলেতো ওস্তাদ শেষ হয়া গেল। শাস্তির কোনো নমুনা থাকলো না। বাঁইচা থাইকা হারে হারে বুঝুক বেঈমানির শাস্তি কি।’
মমিন এবার বিরক্ত মুখে বলে, ‘ওকে বাঁচায়া রাইখা আমার বোনের জীবনটাও অস্বস্তিতে ফেলা হইছে।’
‘কেমনে?’
‘ওই বদমাইশটাকে দেখলে আমার বোনের মনটা অস্থির হয়ে উঠবে। ওর মনেও পুরনো কষ্টের কথা ভেসে উঠবে।’
‘উল্টাটাও হইতে পারে ওস্তাদ। আপনার বোন যখন দেখবে আন্ধা হয়া ব্যাটা অন্যের হাত ধরে চলাফেরা করছে। জনমে আর বিয়া করার সাধ্য নাই তখন আপনার বোনের চরম প্রতিশোধের কথাটা মনে হয়ে শান্তিও লাগতে পারে। পারে না ওস্তাদ?’
মমিন আবার শুয়ে পড়ে। নিস্তেজ কণ্ঠে সায় দেয় মজনুর কথায়। বলে, ‘তাও হতে পারে। কথাটা মিছা কস নাই।’
মজনু ওস্তাদকে খুশি করতে পেরেছে। এই আনন্দে মাথা মালিশ আয়েশ করে করতে থাকে।
ঘরে রকিব আসে মমিনের সঙ্গে দেখা করতে। মজনু তার মাথা মালিশ করছে দেখে ছুটে এসে রকিব বলে, ‘ভাইজান কি শরীর খারাপ লাগছে?’
মমিন বিষন্ন মুখে তাকায়। দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে, ‘না। রাতে ঘুমোতে পারিনি। মাথাটা টাস টাস করছে। মজনু তাই শুনে মাথা মালিশ করতে শুরু করেছে। পাগল ছেলে।’
মমিন শোয়া থেকে উঠে বসে। মজনুকে বলে, ‘তুই একটু যা তো। রকিবের সঙ্গে আমার কিছু কথা আছে।’

মজনু বাইরের দিকে যায়। রকিবকে পাশে বসতে বলে মমিন। রকিব বসে। মমিন বলে, ‘মা বাবাকে কোথায় রেখে এলি?’
রকিব বলে, ‘আমার বোনের বাড়িতে। মাকে বলেছি সাথীকে দেখে রাখতে।’
মমিন দুঃখ ভরা কণ্ঠে বলে, ‘সাথীকে নিয়ে আমার ভীষণ ভয়।’
রকিব বলে, ‘আমার বোনের বাড়িতে ভয়ের কোনো কারণ নেই ভাইজান।
মমিন বলে, ‘আমি মিলিটারির ভয়ের কথা বলছি না। সাথীকে আমি খুব ভাল চিনি। ভীষণ অভিমানি মেয়ে। আত্মহত্যা করে না বসে।’
রকিব আমতা আমতা করে বলে, ‘আমি সাথীকে আশ্বস্ত করেছি। বারে বারে বলেছি ও যেন অতীতকে ভুলে যায়।’
‘চাইলেই কি সব ভোলা যায়রে রকিব।’
‘তা হয়তো যায় না। কিন্তু যুদ্ধে আরও অনেকে ভয়ংকর ত্যাগ স্বীকার করছে। তারা যদি ভুলে যেতে পারে ও কেন পারবে না?’
‘কথা অন্য জায়গায়। দেখা গেল ও ভুলে গেছে। কিন্তু প্রতিবেশীরা ওর কষ্টের জায়গায় লবণ ছিটিয়ে ওকে আরও কষ্ট দিচ্ছে।’
‘সে কথাও আমি সাথীকে বুঝিয়ে বলেছি ভাইজান। আমি আপনাকে সব কথা বলতে পারছি না। শুধু এইটুকু আপনাকে বলি, আপনি হয়তো জানেন না আমি সাথীকে ভালবাসি। সাথীও আমাকে ভালবাসে। আমরা ঠিক করেছি, যুদ্ধ শেষ হলেই আমরা বিয়ে করে গ্রাম ছেড়ে শহরে চলে যাব। সাথীও একমত পোষণ করেছে আমার সঙ্গে।’
রকিবের এই কথায় মমিন খুব স্বস্তি অনুভব করে। মমিন আনমনে বলে, ‘সাকিবকে জীবন মৃত করে রাখা ঠিক হয়নি। মেরে ফেললেই বরং ওর কষ্ট কম হতো।’
‘সেটা নিয়ে আপনাকে ভাবতে হবে না ভাইজান। আপনার তেমন মনে হলে আবার গিয়ে ফাইনাল অপারেশেন করে আসবো। আপনি এ সব না ভেবে যুদ্ধের প্লান করেন।’

কথাটা পরদিন সারা গাঁও রটে যায়, রাজাকার আলিম জহর এবং গেদুকে পাওয়া যাচ্ছে না। শান্তি কমিটির মেম্বর ফজলুর রহমান এবং তার ছেলে সাকিবকেও পাওয়া যাচ্ছে না। মুক্তিবাহিনী তাদের ধরে নিয়ে গেছে। এই খবর সদরে মিলিটারি ক্যাম্পে পৌঁছালে কমান্ডার ক্যাপটেন আব্বাস খান শতাধিক মিলিটারি এবং অর্ধশত রাজাকার নিয়ে শাজাহান পুর গ্রাম ঘেরাও করে। প্রথমে পায় একজন অতিশয় বৃদ্ধকে। সে লাঠি ভর দিয়ে হেঁটে আসছিল। তাকে সামনে পেয়ে ক্যাপটেন আব্বাস খান কোমর থেকে পিস্তল বের করে গুলি করে। বৃদ্ধ মাটিতে লুটিয়ে পড়ে হাত-পা খিঁচিয়ে তখনই মারা যায়। সামনে পাওয়া বাড়ি-ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয় মিলিটারিরা। খুঁজে খুঁজে মুক্তিবাহিনীতে যোগ দেওয়া ব্যক্তিদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া শুরু করে। মমিনের বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে নিশ্চিহ্ন করে দেয় সবকিছু। মিলিটারিরা উল্লাস নিয়ে মমিনদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। ভাবখানা যেন মমিনকেই ওরা হাতে নাতে ধরেছে। মিলিটারি কয়েকজন যুবককে ধরে লাইনে দাঁড় করিয়ে তাদের ব্রাশফায়ার করে হত্যা করে। অধিকাংশ মানুষ বাড়িঘর ফেলে পালিয়ে গেছে। মিলিটারি ইচ্ছেমতো তাণ্ডব চালিয়ে পাশের গ্রাম জগতগাঁতির দিকে এগিয়ে যায়। সেই গ্রামটা হিন্দু অধ্যুষিত। মিলিটারির সঙ্গে কয়েকজন রাজাকার এবং শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান আফাজ উদ্দিনসহ অন্য সদস্যরাও রয়েছে। তারাই হিন্দুর বাড়িঘর চিনিয়ে দিচ্ছে। আর মিলিটারি মনের আনন্দে গান পাউডার ছিটিয়ে টিনের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিচ্ছে।

এলাকা জুড়ে থমথমে পরিবেশ। যুবকরা কেউ ভয়ে বাড়ি থাকে না। অনেকে এই অবস্থায় মুক্তিবাহিনীতে যোগ দিতে ভারতের দিকে রওনা হয়। ‘তাদের যুক্তি এমনেও মরণ ওমনেও মরণ। তাইলে মাইরাই মরি।’

মাসখানেক পর হাসপাতাল থেকে ফিরলো সাকিব। তার অসুস্থ মা বিছানা থেকে যে উঠতে পারে না সেও ছেলের এই অবস্থা দেখে চিৎকার দিয়ে কাঁদতে শুরু করলো। সাকিবের চোখে ব্যান্ডেজ বাঁধা। ভাল করে হাঁটতেও পারে না। লিঙ্গের গোড়া কেটে দিয়েছে মুক্তিরা। এ জীবনে তার আর নারী সঙ্গ করা হবে না। বন্ধুর বোনকে কৌশলে ভোগ করার খেসারত হিসেবে তাকে চরম মূল্য দিতে হলো।
সাকিবের মা আয়েশা বেগম ছেলের মাথায় হাত বুলিয়ে জিজ্ঞেস করে, ‘খোড়াইয়া হাটোস ক্যা বাজান? কুচকিতে কি অইছে?’

সাকিব সে কথা মাকে বলতে পারে না। মুক্তিবাহিনী তাকে হত্যা না করে তাকে জ্যান্ত-মৃত করে রেখেছে। তার যৌবন ধ্বংস করেছে। এখন সে খোজা। সম্রাটদের হেরেমের পুরুষদের মতো তাকেও খোজা করে দিয়েছে। এই কষ্ট সে কীভাবে সইবে? কীভাবে মাকে এই কথা সে জানাবে?

সাকিব মাথা নামিয়ে থাকে। তার চোখ দিয়ে টপ টপ করে জল গড়াচ্ছে। মায়ের হাতে জলের ফোটা এসে পড়লে আয়েশা বেগম ছেলেকে বুকে টেনে নিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে। বলে, ‘তখনই না করছিলাম। এটা পাপ। তোরা বাপবেটা কেউ আমার কথায় কান দিলি না। এখন স্বামীকে হারালাম। তুইও না থাকার মতো। বংশ রক্ষা হলো না আমাদের।’

মায়ের কান্নার সঙ্গে সাকিবও কান্নায় ভেঙে পড়ে। আয়েশা বেগম বলে, ‘তোর বাপকে মাইরা কোথায় ফালায়া দিছে?’
সাকিব বলে, ‘আমি জানি না মা। ওরা সারাক্ষণ আমার চোখ বাইন্ধা রাখছে।’
‘তাকে কি গুলি কইরা মারছে?’
‘না। ওরা কাউকে গুলি করে না। ওরা বলাবলি করতে ছিল গুলি ওদের খুব মূল্যবান সম্পদ। সম্ভব নদীর পাড়ে নিয়া সবাইকে জবাই করছে।’
‘তোর আব্বাকে কি ওরা খুব মারধর করছে?’
‘সাকিব দম নিয়ে বলে, ‘না। মারধর করে নাই। তবে মুখে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করছে। আব্বা একবার শুধু বলেছে, আমি কারো ক্ষতি করি নাই। তখনই ফটাস করে চড়ের শব্দ হলো। একজন ক্রুদ্ধ কণ্ঠে বললো, ‘তাহলে তোর বাড়িতে মমিনের বোনকে জোর কইরা ধইরা রাখছোস ক্যা?’ তারপরই আব্বাকে নিয়ে যায় নদীর দিকে। বাকিদেরও একইভাবে নিয়ে যায়। শুধু আমাকে আলাদাভাবে বেঁধে রাখে। তারপর মুখে কাপড় গুজে দেয় যাতে আমি চিৎকার করতে না পারি।’ বলতে বলতে সাকিব কান্নায় ভেঙে পড়ে।

চলবে…

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-১৭

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব- ১৬

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব- ১৫

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-১৪

Header Ad
Header Ad

সাতক্ষীরায় মদপানে দুই যুবকের মৃত্যু, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৯

ছবি: সংগৃহীত

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলায় মদপানের ফলে দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। একই ঘটনায় আরও ৯ জন গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দুই যুবকের মৃত্যু হয়। এর আগে, ঈদের সন্ধ্যায় তারা মদপান করেন এবং রাতের মধ্যে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন।

মৃতদের মধ্যে রয়েছেন আশাশুনি উপজেলার তেতুলিয়া গ্রামের জাফর আলী খাঁর ছেলে জাকির হোসেন টিটু (৪০) ও সোহরাব গাজীর ছেলে নাজমুল গাজী (২৬)।

এ ঘটনায় অসুস্থদের মধ্যে রয়েছেন ব্রাহ্মণ তেতুলিয়া গ্রামের সাইদ সরদারের ছেলে ফারুক হোসেন, মোকামখালী গ্রামের কুদ্দুস সরদারের ছেলে ইমরান, মিত্র তেতুলিয়ার মর্জিনা খাতুনের ছেলে ইকবাল, কামরুলের ছেলে লিফটন, আজিবার সরদারের ছেলে রবিউল, শহীদ গাজীর ছেলে তুহিন, আনিসের ছেলে নাজমুলসহ আরও কয়েকজন।

গুরুতর অসুস্থদের মধ্যে ফারুক হোসেনকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং ইমরানকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ঈদের দিন সন্ধ্যায় আশাশুনির তেতুলিয়া শ্মশানঘাট মাঠে বসে জাকির হোসেন টিটু, নাজমুল গাজীসহ মোট ১১ জন একসঙ্গে মদপান করেন। মদপানের পর তারা বাড়ি ফিরে যান এবং ঘুমিয়ে পড়েন।

এরপর রাত ১২টার দিকে একে একে সবাই মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাকির হোসেন টিটু ও নাজমুল গাজী মারা যান। বাকি ৯ জনের চিকিৎসা চলছে।

আশাশুনি থানার ডিউটি অফিসার এসআই ফিরোজ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, "অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে মৃত্যু অন্য কোনো কারণে হয়েছে কিনা, তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।"

নিহতদের মধ্যে একজনের মরদেহ উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় বিস্তারিত তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Header Ad
Header Ad

ইরানের ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র নেটওয়ার্কের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরান, চীন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) একাধিক ব্যক্তি ও সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ইরানের অস্ত্র সংগ্রহ নেটওয়ার্কের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয়।

এই পদক্ষেপকে ইরানের ওপর আরও চাপ সৃষ্টির একটি অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এর আগে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে সতর্ক করে বলেছিলেন, নতুন পারমাণবিক চুক্তিতে রাজি না হলে দেশটির ওপর বোমা হামলা চালানো বা নতুন শুল্ক আরোপ করা হতে পারে।

মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ ও বিচার বিভাগ যৌথভাবে জানিয়েছে, ইরানের ড্রোন কর্মসূচির অন্যতম প্রধান নির্মাতার জন্য মানববিহীন এয়ার ভেহিকল (ইউএভি)–এর উপকরণ সংগ্রহের সঙ্গে যুক্ত ছয়টি সংস্থা ও দুই ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট এক বিবৃতিতে বলেন, "ইরান তাদের ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়াসহ তাদের প্রক্সিদের সরবরাহ করছে। রুশ বাহিনী এগুলো ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে, যা বেসামরিক নাগরিক, মার্কিন বাহিনী ও মিত্রদের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।"

তিনি আরও বলেন, "আমরা ইরানের সামরিক-শিল্প কমপ্লেক্স এবং তাদের ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও প্রচলিত অস্ত্রের বিস্তার ব্যাহত করতে কাজ চালিয়ে যাব।"

মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ জানিয়েছে, নতুন নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছে একটি ইরান-ভিত্তিক সংস্থা, দুইজন ইরানি নাগরিক, একটি চীন-ভিত্তিক সংস্থা এবং চারটি সংযুক্ত আরব আমিরাত-ভিত্তিক সংস্থা।

এ বিষয়ে জাতিসংঘে ইরানের মিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

Header Ad
Header Ad

বিশ্বব্যাপী অপপ্রচার ছড়াচ্ছে আওয়ামী লীগের দোসররা: রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, আওয়ামী লীগের দোসররা বিশ্বব্যাপী অপপ্রচার চালিয়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, "পরাজিত শক্তি নিউইয়র্ক টাইমসে মিথ্যা তথ্য দিয়ে রিপোর্ট করিয়েছে। ফ্যাসিবাদের দোসররা হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছে। তারা এই অবৈধ টাকা ব্যবহার করে বাংলাদেশকে কলঙ্কিত করতে চায়।"

বুধবার (২ এপ্রিল) সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

রিজভী আহমেদ অভিযোগ করেন, "শেখ হাসিনা জঙ্গি দমনের নামে একটি নাটক সাজিয়ে বিশ্ববাসীকে বিভ্রান্ত করেছেন। এটি মূলত ক্ষমতায় টিকে থাকার একটি রাজনৈতিক কৌশল ছিল। এমনকি একজন সাবেক আইজিপির বইয়েও এটি উঠে এসেছে।"

তিনি আরও বলেন, "বাংলাদেশে উগ্রবাদের কোনো উত্থান ঘটেনি। বরং বর্তমানে দেশে ফ্যাসিবাদের কোনো ছোবল নেই, মানুষ নির্বিঘ্নে ধর্মপালন করতে পারছে, কথা বলতে পারছে। এবার মানুষ নির্ভয়ে ঈদ উদযাপন করেছে, যা অতীতে সম্ভব হয়নি।"

আওয়ামী লীগ সরকারের কঠোর সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, "আওয়ামী লীগ বসে নেই, তারা কালো টাকা ব্যবহার করে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। তারা অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। বিদেশে পালিয়ে থাকা আওয়ামী লীগের নেতারাই দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।"

তিনি আরও বলেন, "শেখ হাসিনার নির্দেশে মুগ্ধ ফাইয়াজদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, কিন্তু এ নিয়ে তার কোনো অনুশোচনা নেই। প্রশাসনের চারপাশে আওয়ামী লীগের দোসররা বসে আছে, যার ফলে দেশে গণতন্ত্র ও সুশাসন ভূলুণ্ঠিত হয়েছে।"

রিজভী আহমেদ দ্রুত প্রয়োজনীয় সংস্কার করে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানান। তিনি বলেন, "নির্বাচনী সরকারই হচ্ছে বৈধ সরকার। নির্বাচন নিয়ে গড়িমসি সাধারণ জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হলে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হবে।"

তিনি নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দ্রুত নির্বাচনের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সাতক্ষীরায় মদপানে দুই যুবকের মৃত্যু, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৯
ইরানের ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র নেটওয়ার্কের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
বিশ্বব্যাপী অপপ্রচার ছড়াচ্ছে আওয়ামী লীগের দোসররা: রিজভী
দায়িত্ব নেওয়ার পর দেশে জঙ্গিবাদের উত্থানের ঘটনা ঘটেনি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আখাউড়ায় ট্রেনের ছাদে টিকটক বানাতে গিয়ে দুর্ঘটনা, নিহত ২
বাংলাদেশকে ভেঙে ফেলার আহ্বান ভারতের ত্রিপুরার রাজপরিবার প্রধানের
বিএনপি কখনোই নির্বাচনের পরে সংস্কারের কথা বলেনি: মির্জা ফখরুল
বিরামপুরে জমি নিয়ে বিরোধ, চাঁদা দাবি ও হামলার ঘটনায় আটক ৫
হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা ভ্যাল কিলমার আর নেই
ময়মনসিংহে সিনেমা হলে যান্ত্রিক ত্রুটির জেরে দর্শকদের ভাঙচুর
সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ড. ইউনূসের মন্তব্যে ভারতীয় রাজনীতিবিদদের তীব্র প্রতিক্রিয়া
মিয়ানমারের ভূমিকম্পে এক ইমামের ১৭০ স্বজনের মৃত্যু
ঈদের আনন্দে যমুনার দুর্গম চরে গ্রাম-বাংলার ঘুড়ি উৎসব, আনন্দে মেতে উঠে বিনোদনপ্রেমীরা!
ইমামকে ঘোড়ার গাড়িতে রাজকীয় বিদায়, দেওয়া হলো ৯ লাখ টাকার সংবর্ধনা
লন্ডনে একসঙ্গে দেখা গেলো সাবেক চার আওয়ামী মন্ত্রীকে
ঢাকায় ফিরছে ঈদযাত্রীরা, অনেকে ছুটছেন শহরের বাইরে
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় আবারও সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত ৭
বিটিভিতে আজ প্রচারিত হবে ঈদের বিশেষ ‘ইত্যাদি’
ঈদের ছুটিতে ফাঁকা ঢাকা, নেই যানজটের চিরচেনা দৃশ্য
মাদারীপুরে তিন মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ৪, আহত ২