সোমবার, ২০ মে ২০২৪ | ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-৪৭

নেই দেশের নাগরিক

“কিন্তু.....।“ থতমত করতে লাগল আতিফ। সাদ্দাম ঝেড়ে বলল, “কোনো কিন্তু নয়, এখন যেটা করা উচিৎ আমি সেটাই করছি। তুই চুপ করে বসে থাক। চাচাদের বাঁচানোর ইচ্ছে আছে, না বাংলাদেশ নৌবাহিনীর গুলিতে মরার ইচ্ছে আছে? যদি বাঁচতে চাস তো এখনই কোথাও গা ঢাকা দিতে হবে।“ রূঢ় সত্যটা বলল সাদ্দাম।

স্পিডবোটটাকে নিক্ষিপ্ত তীরের মতো ‘সাঁ’ করে নাফ নদীর পশ্চিম ঢাল বেয়ে ছুটাতে লাগল সাদ্দাম। নদীর এই দিকটা তার অনেকটাই চেনা। আর জে এফ এবং অন্যান্য কাজেও তাকে এসব দিকে মাঝেমধ্যেই টহল মারতে হয়। নয়াপাড়া ঘাটসংলগ্ন দিন ও রাতের জীবন তার কাছে জলভাত। সে কখনো রাতচোরা পাখির মতো ঘুরঘুর করে আবার বাংলাদেশ নৌবাহিনীর হয়ে দালালির কাজও করে। আসলে বিজিবি ও বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে হাতে রাখতে তাকে অনেক অবৈধ কাজও করতে হয়। শরীরের কাজ, নেশার কাজ আর সঙ্গে সেনা অফিসারদের মন জোগানোর জন্যে অনেক কু-কাজ মন্দ-কাজও করতে হয়। আর এসবই আর জে এফ’এর লক্ষ্যপূরণের জন্যে সে করতে বাধ্য হয়। নদীর এই চত্বরটা বলতে গেলে তার বেটে খাওয়া। কোথায় কতটুকু পাড়ের মাটি লেজ বাড়িয়ে বসে আছে, কোথায় ধরেছে ধসের ফাটল সবই তার নখদর্পণে। নদীপাড়ের মানুষের জীবনের সাথে সাথে জীবজন্তু ও গাছপালার জীবনও তার চোখস্ত। দিন চট গুটোলে কীভাবে রাতের বর্ডার শরীর খুলে উঠে দাঁড়ায়, কীভাবে নদীর নীল-কালো জল পাচারের নীরব করিডর হয়ে ওঠে, সেসব তার গা ডুবিয়ে পরখ করা।

“নদীর রূপ বদল দেখেছিস?” আনমনা হয়ে ওঠে সাদ্দাম।
“কেন দেখব না? নদীর পাড়েই তো আমার জন্ম, নদীর রূপ রস আর খেয়াল সে তো আমার রক্তেই। এই যে সাড়ে তিন হাত দেহ, এটা তো একটা নদীই।“ একটা সুখ নিয়ে কথাটা বলতে চাইল আতিফ। কিন্তু পরিস্থিতি তাকে সে সুখ নিতে দিল না। সে ঘাড়টা নাটবোল্টের স্ক্রুর প্যাঁচের মতো পেছন দিকে ঘোরাল। সে পেছনে লঞ্চটার গতিবিধি পরখ করছে।
“এক জীবনের তলায় আর এক জীবন থাকে, ঠিক তেমনই রূপের তলায় থাকে আর একটা রূপ। সে রূপ কখনো ভয়ঙ্কর কখনো সৌন্দর্যে ভরা। সেই ভেতরের লুকোনো ভয়ঙ্কর রূপটা মনে হয় তোর জানা নেই। পৃথিবীর সব বর্ডার-নদীর সেরকম একটা রূপ থাকে, যে রূপ রাতকে জাগিয়ে তুলে সে রাতের গায়ে পরিয়ে দেয় এক অচেনা পোশাক। আর বাকি পৃথিবীর চোখে পরিয়ে দেয় চির ঘুমের ঘোমটা। আর সে ঘোমটার আড়ালে চলে অন্ধকারের বিকিকিনি। অবৈধ বিক্রিবাটা। লেনদেন। এই বর্ডারের ঘাটও রাতের অন্ধকারে সেই রূপ ধারণ করে। চলে লেনদেন।“ খেয়ালি মনে বকে গেল সাদ্দাম।

“নদী তো মানুষের জীবন থেকে আলাদা কিছু নয়। নদীর যেমন ভাঙা গড়া থাকে, মানুষের জীবনেও থাকে ভাঙা গড়া। নদী যেমন শুকিয়ে চটান পড়ে যায়, মজে যায় তার জলভরা দেহ, আবার বর্ষার প্রেমে টগবগ করতে করতে ভরাপেটের পোয়াতি হয়ে ওঠে, মানুষও তো তাই। নদীর জীবনে যেমন থাকে রাতের বিকিকিনি, তেমনই মানুষের জীবনেও থাকে একটা অন্ধকার হাট। অবৈধ কেনাবেচার বাজার। সেখানে মানুষই মহাজন আবার মানুষই পণ্য।“
“আচ্ছা নদী কি মানুষের কাঁটাতার মানে? বর্ডার দেখে থমকে দাঁড়ায়?”
“নাহ। সে ক্ষমতা নেই। কেউ যদি গায়ের জোরে সেসব করতেও চায়, তা করাই হয়, টেকে না। প্রকৃতিকে জয় করা এতই কি সোজা? নদীই মানুষকে জীবন পাততে শিখিয়েছে। শিখিয়েছে, কীভাবে জীবন গড়তে হয়। সভ্যতার প্রথম পাঠ তো মানুষের নদীর কাছ থেকেই শেখা। যারা নদীকে আপন করতে শিখেছে, শিখেছে ভালোবাসতে তারাই তো বানিয়েছে উন্নত সভ্যতা।“
“আমরা তবুও নদীর কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে পারি না। নদী থেকে দূরে সরে গিয়ে জীবনটাকে মরুভূমি বানিয়ে ফেলছি। বানিয়ে ফেলছি, একটা রসকষহীন ছালচামড়ার জীবন! রাতের নদীকে করে নিচ্ছি আপন আর দিনের রোদ্ররোজ্জ্বল ঝলমলে জীবনটাকে করে দিচ্ছি পর!”
“আর তার ফলেই কাঁটাতার, সীমান্ত, বর্ডার ইত্যাদি ইত্যাদি হয়ে উঠছে আমাদের জীবনের একমাত্র পরিচয়। এসবই যেন আমাদের বাপ-ঠাকুরদা, আমাদের ঈশ্বর! আমাদের পায়ের তলার মাটি আর মাথার ওপরের আকাশ। আমাদের পোশাক, আমাদের রুটিরুজি, আমাদের ঘুম-অঘুম, আমাদের হাঁটা-দৌড়া, আমাদের কথা অ-কথা, সবকিছুতেই শ্বাস-প্রশ্বাসের মতো লেগে আছে এই কাঁটাতার, ভিলেন বর্ডার।“ আতিফ ফদফদ করে উঠল।
তার চোখের মণিগুলো তেঁতুল বিচির মতো বাদামি উঠছে। সাদ্দাম বোটটাকে আস্তে আস্তে একটা ডিহি হয়ে থাকা কাশের ঝাড় বাঁধা পাড়ে ভিড়াতে ভিড়াতে বলল, “মাটির দেহে কাঁটাতার তাও মেনে নেওয়া যায়, কিন্তু মানুষের মনের কাঁটাতারকে তো আর মেনে নেওয়া যায় না? অথচ আল্লাহর শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি মানুষের মন এখন কাঁটাতারে ছয়লাপ। ফলে সীমান্তের মতো মানুষগুলোও পর হয়ে যাচ্ছে। একটা মানুষের থেকে আরেকটা মানুষের শরীরের দূরত্ব কয়েক ইঞ্চি হলেও মনের দূরত্ব কয়েক হাজার মাইল! সে মন কি আর খোলা মাঠের মতো বড় হবে? সে মন তিসির দানার মতো নগণ্য। খুদকুঁড়োর মতো ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র। একটা মনে শত শত দেশ থাকবে, একটা মনেই থাকবে নানান জাতি, নানান ধর্ম, আর সেসব থাকবে রক্তের বাঁধনে বাঁধা। তবেই তো সে মন হবে মানুষের। মনুষত্বের। তাকেই বলে আল্লাহর বান্দা।“
“এই আল্লাহর বান্দা তুই আমাকে এ কোথায় নিয়ে এলি!” আশপাশ জরিপ করে চোখ কপালে তুলল আতিফ। হরিণের শিংয়ের মতো পাড়টা স্থলভাগ থেকে বেরিয়ে এসে নদীর পেটে ঢুকে গেছে। সেই ঢিবির মতো খাড়া পাড়ের মাথায় ঝোপ ঝোপ কাশের জঙ্গল। শুঁড় খাড়া করে দাঁড়িয়ে আছে কটা রঙের বেনেঘাসের ঝোড়। আতিফ চোখ ঢেলা করে দেখছে, বেনে আর কাশের শিকড়গুলো মাটি ফুঁড়ে জলের অনেকটা তলে নেমে, পিঠ চাপড়ে লেগে থাকা মাটিকে আঁকড়ে ধরে আছে। কারও বাপের ক্ষমতা নেই যে ঘাসগুলোকে শিকড়সহ উপড়ে ফেলবে। না কোনো কাঁটাতার, না কোনো বন্দুকের গুলি, না কোনো রাষ্ট্রের ফতোয়া। এ মাটির পরতে পরতে শিকড়ের গন্ধ। রন্ধ্রে রন্ধ্রে শিকড়ের বাস। মাটি আর শিকড় যেন আলাদা কোন অস্তিত্ব নয়, একই অস্তিত্বের আলাদা দুটো নামমাত্র। এ মাটিই এই ঘাস-শিকড়দের দেশ। ধর্ম, জাত। এখন কেউ এসে যদি হুট করে এই ঘাসগুলোকে বলে, এ মাটি তোদের নয়, তোরা এখান থেকে ছেড়ে চলে যা। তাহলে, ঘাসগুলো কি মাগনা মাগনা ছেড়ে চলে যাবে? তারা হুট করে হয়ে যাবে ভিনদেশি? না, কক্ষনো না।

আতিফের মাথায় এসব কথা অর্বুদের মতো বেড় পাকে। ঢিবি মাটিগুলোকে আঁকড়ে ধরে থাকা শিকড়গুলোকে দেখে তার বাপ-ঠাকুরদাদের কথা, পূর্বপুরুষদের কথা, পরম্পরাগতভাবে চলে আসা তাদের বংশের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। তারাও তো এই শিকড়ের মতো মাটি আঁকড়ে মংডুতে যুগযুগ ধরে বাস করছিল। রাখাইন তাদের জন্মজন্মান্তরের জন্মভূমি। মিয়ানমার হলো তাদের শরীর ও আত্মা দুইয়েরই দেশ। বোটটা ধীরে ধীরে ছায়া ছোট করতে করতে পাড়ের গা ঘেঁষে লাগতে শুরু করলে, ঢিবিটা হাতের নাগালের মধ্যে চলে এল। আতিফ তার ডান হাতটা বাড়িয়ে ঘাসের শিকড়ে আটকে থাকা মাটি ছুঁল। মাটি ঝুরঝুর করে ঝরে পড়ল না, কিন্তু ফাটলের দরুণ একটা চাপমাটি শিকড়ের বাঁধন ছেড়ে ধসে পড়ল। ঢিবিটার বুকে অজস্র ফাটল। দিনরাত স্রোতের বাড়ি খেয়ে খেয়ে দেহ ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। ফাটলের দাগ আর শিকড়ের শাখা-প্রশাখায় ঢিবিটার বুকে যেন খড়ির আঁকিবুঁকি। কোথাও কোথাও শিকড় হিলহিল করে শূন্যে ভাসছে।
আতিফ ভাবল, ঢিবিটার সঙ্গে তাদের ফারাক একটাই, এখানে শিকড় থেকে যাচ্ছে আর মাটি যাচ্ছে খসে। আর তাদের ক্ষেত্রে ঘটেছে উল্টো, তাদের ভিটেমাটি রয়ে গেছে, উপড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে বংশের শিকড়। আবার মিলটাও একজায়গায়, এই ঘাসগুলো যেমন একদিন নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে, ঠিক তেমনি তারাও বিলীন হয়ে যাবে এই নাফ নদীর গর্ভে। ‘খট’ করে তার আব্বা-মা-ভাইদের কথা আরও তাজা হয়ে উঠল আতিফের মাথায়। তারা কি এখনো নদীতে ভাসছে, নাকি নদীর গর্ভে......! নাহ, শেষ কথাটা তার মাথা আর নিতে পারল না। তার মগজ কুঁকড়ে উঠল।
“সিঁদকাটা পাড়। চোরা বর্ডারও বলতে পারিস। এখন দিনের বেলায় সুনসান, রাত নামলে বুঝতে পারতিস, এই সিঁদকাটা পাড়ের কত কদর! কতকিছু হাতবদল হয়ে লুকিয়ে ছাপিয়ে চলে যেত। রাত ঘন হলে, এই ঘাস, এই শিকড়, এই ঢিবি ফিসফিস করে কথা বলে। ঘুলঘুল করে দেখে, কোথা থেকে লোক এসে এই সুনসান নিরিবিলি ভাঙা পাড়ে গিজগিজ করছে! জমে ওঠে রাতের কারবার।“ বোটটাকে ধসে পড়া অর্ধনিমজ্জিত একটা মাটির ঢিবির উপরে খচমচ করে তুলতে তুলতে জায়গাটার বর্ণনা দিল সাদ্দাম। বোটটার সামনের সূচালো মুখের কানা ফুঁড়ে কিছু খিচখিচে কাদা বোটের উপরে উঠে পড়ল। ঢিবির গা থেকে ধনুকের মতো বেঁকে নুইয়ে থাকা একটা বেনেঘাসের ঝাড় সাদ্দামের ঘাড় ছুঁল। ঘাড় থেকে নেমে আসা ছায়া একটু একটু করে ছোট হয়ে পায়ের পাতার তলে মিশে যাচ্ছে। বেলা দুপুরসংলগ্ন। সূর্য তার মধ্যযৌবনের সবটুকু তেজ দিয়ে একেবারে মাথার খাড়াই। টিকি তেতে খট্টা। নির্মেঘ আকাশের খোলা বুক থেকে ঝেরে নেমে আসছে রোদ। নদীর জল এমনভাবে ঝিলমিল করছে যেন মনে হচ্ছে, রূপোলি রঙের স্রোতের কানে চিকনাই মারছে খাঁটি রূপোর দুল। যেন হাত পাতলেই নদী থেকে উঠে আসবে মুঠো মুঠো রূপো। আতিফ ছাপড়ে হাত দিয়ে জল তুলতে গেলে সাদ্দাম তেড়ে উঠল, “কী করছিস?”
“এই নদীর পানি একটুখানি হাত দিয়ে নেড়ে দেখছি, কতদিন ছুঁইনি তো.........।“
“তাই ছুঁয়ে পরখ করছিস, নদীর পানি তোকে চিনতে পারছে কি না, তাই তো?” ঠেস মেরে উঠল সাদ্দাম।
“হ্যাঁ, নাহ, ওই আর কি...।“ কাঁচুমাচু করল আতিফ।
“হ্যাঁ, পরখ কর, জান ভরে পরখ কর। গুলি যখন ধেয়ে এসে বুক ফুঁড়ে চলে যাবে, তখন বুঝবি, পরখ করা কাকে বলে। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর লঞ্চটা এখানে এল বলে! তিলমাত্র আন্দাজ পেলেই, দুম করে গুলি চালিয়ে দেবে। লঞ্চ থেকে কামানও দাগতে পারে। ওসব কবিত্বগিরি বাদ দিয়ে এখন বাপের নাম নিয়ে চটপট পাড়ে উঠে পড়।“ এদিক ওদিক চোখের ঘুলুঘুলি ঘুরিয়ে সাদ্দাম আরও বলল, “এখন পাড়ে কেউ নেই। টহলদারিও দেখতে পাচ্ছি না। স্থানীয় লোকজনও কেউ নেই। বাপের ভাগ্য ভালো, যেনতেন প্রকারে পাড়ে আসতে পেরেছি।“
“তো চল, তুই উঠবি তারপরে তো আমি উঠব?“ হাত থেকে থড়বড় করে নদীর জলটুকু ফেলে দিয়ে বলল আতিফ। সাদ্দাম দাঁত কেলিয়ে বলল, “আরে গাধা, আমি আগে উঠলে কী করে হবে? তুই কি বোট চালাতে পারবি?”
“আবার বোট চালানোর কী আছে? পাড়ে তো চলেই এসেছি।“
“শুধু পাড়ে চলে এলেই হলো? বোট’টাকে লুকোতে হবে না? নাহলে ওদের চোখে পড়ে গেলে, এমন ঠ্যালায় পড়বি যে বাপের নাম ভুলে যাবি। নেড়ি কুত্তার মতো তেড়ে গুলি করে মারবে। অতসব বকার এখন সময় নেই। তাড়াতাড়ি বোট থেকে পাড়ে উঠে পড় তো।“ একেবারে ‘হেই হেই’ করে তাড়া দিয়ে উঠল সাদ্দাম। পারলে ঠেলা দিয়ে পাড়ে উঠিয়ে দেয় আতিফকে। আতিফ বোটে দাঁড়িয়ে বারবার পেছনে তাকাতে লাগল। মোহনার দিকে লম্বা দৃষ্টি ফেলা তার চোখদুটো ছলছল করে করছে। মনের ভেতরে আউড়িবাউড়ি খাচ্ছে যন্ত্রণার হাহাকার। হৃদয় কুরে কুরে খাচ্ছে প্রিয়জনকে ছেড়ে আসার কষ্ট। কত কষ্ট করে বোটটা জোগাড় করা হল, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হলো না! উল্টে সাদ্দাম এমন কাজ করে বসল, বাংলাদেশ সেনা তাদের দেখলেই গ্রেপ্তার করবে অথবা গুলি মেরে ঝাঁঝরা করে দেবে। তারা এই বোট জোগাড়ের ফেরে পড়ে বাংলাদেশ সেনার ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ আসামি বনে গেল! আবার অন্যদিকে নয়াপাড়ার এত নৌকো ঘেঁটে তার আব্বা-মায়েদের হদিস পাওয়া তো দূরের কথা, তাদের নৌকোটার টিকিই খুঁজে পাওয়া গেল না! একেই বলে, কাঙালের গলায় দড়ি পড়া।

চলবে...
আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>


নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৪৬

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৪৫
নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৪৪

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৪৩

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৪২

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৪১

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৪০

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৯

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৮

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৭

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৬

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৫

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৪

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৩

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩২

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩১

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩০

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৯

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৮

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৭

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৬

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৫

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৪

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৩

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২২

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২১

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২০

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-১৯

Header Ad

ম্যানচেস্টার সিটিকে বিদায়ের ইঙ্গিত পেপ গার্দিওলার

পেপ গার্দিওলা। ছবি: সংগৃহীত

টানা চার মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগ শিরোপার জয়ের ঐতিহাসিক রেকর্ডের পর ম্যানচেস্টার সিটি কোচ পেপ গার্দিওলা স্বীকার করেছেন এখন তিনি ক্লান্ত। এই ধরনের সাফল্যের পর নতুন কোন উদ্দীপনাও খুঁজে পাওয়া অত্যন্ত কঠিন।

গতকাল রোববার প্রিমিয়ার লিগে মৌসুমের শেষ ম্যাচে ওয়েস্টহ্যাম ইউনাইটেডকে হারিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো শিরোপা জিতেছে সিটি। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে এর আগে কোনো দল টানা চার শিরোপা জিততে পারেনি।

প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলে রেকর্ড গড়ে অনেকটাই অপ্রত্যাশিত এক মন্তব্য করেন গার্দিওলা। সমর্থকদের চমকে দিয়ে ম্যানসিটি ছাড়ার ইঙ্গিত দেন তিনি। তবে এখনই নয়, ইতিহাদে আরও এক মৌসুম থাকবেন বলে জানিয়েছেন গার্দিওলা। ২০২৪-২৫ মৌসুম শেষ করে সিটিকে বিদায় জানাতে পারেন তিনি।

গার্দিওলার বক্তব্য শুনে মনে হয়েছে, সিটির সঙ্গে নতুন করে চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে চান না তিনি। চলমান চুক্তির মেয়াদ শেষ হলেই সিটিকে বিদায় বলবেন গার্দিওলা। ২০২৫ সালে চলমান চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ৫৩ বছর বয়সী এই কোচের।

গার্দিওলা বলেন, ‘বাস্তবতা হলো- আমি থাকার চেয়ে চলে যাওয়ার বেশি কাছে। আমি ক্লাবের সঙ্গে কথা বলেছি এবং আমার অনুভূতি হলো, আমি এখন থাকতে চাই। পরের মৌসুমেও থাকবো এবং সে মৌসুম চলাকালীন আমরা (ক্লাবের সঙ্গে) কথা বলবো। সেটা ৮ বছর শেষে নাকি ৯ বছর পরে, সেটা আমরা দেখবো।’

কেন সিটি ছাড়তে চান, সে ইঙ্গিতও দিয়েছেন গার্দিওলা। জানান, গেল ৮ বছর ধরে কাজ করতে করতে এখন তিনি ক্লান্ত। তার বিশ্রাম দরকার। আর বিশ্রাম নিতেই সিটি ছাড়তে চান তিনি।

গার্দিওলা বলেন, ‘আমার একটি চুক্তি আছে। আমি এখনও এখানে আছি। কিছু মুহূর্তে আমি ক্লান্ত। কিন্তু এমন কিছু মুহূর্ত আছে, যা আমি ভালোবাসি এবং আমরা এখানে খেলা জিতেছি। নতুন খেলোয়াড়দের সঙ্গে থাকতেও ভালো লাগছে।’

সিটি কোচ বলেন, ‘আমি ভাবতেছি, কেউ টানা চারটি শিরোপা জিততে পারেনি। এটা এ কারণে যে, আমরা চেষ্টা করি না। আমি মনে করি, এখন এটি সম্পন্ন হয়েছে। পরবর্তীতে কী করা যায়, সেটিই আমাদের ভাবতে হবে।’

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে সিটিতে যুক্ত হওয়ার পর ১৫টি বড় শিরোপা জিতেছেন গার্দিওলা। আগামী সপ্তাহে এই সংখ্যাকে ১৬-তে পরিণত করতে পারেন তিনি। সামনের ম্যাচে এফএ কাপের ফাইনালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে হারাতে পারলেই সেটি সম্ভব হবে।

বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক হোসেনউদ্দীন আর নেই

লেখক হোসেনউদ্দীন হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্ত বরেণ্য প্রাবন্ধিক, ঔপন্যাসিক ও গবেষক হোসেনউদ্দীন হোসেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার (২০ মে) বিকেলে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

হোসেনউদ্দীন হোসেনের ছোট মেয়ে শাহানাজ রাহানা রত্না তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ২০১৯ সালে বাবার ওপেন হার্ট সার্জারি করা হয়। পরবর্তীসময়ে গল ব্লাডারে পাথর ধরা পড়ে। এছাড়া তিনি কিডনি সমস্যায় ভুগছিলেন। এরমধ্যে গত ১৪ মে বাবা খুব অসুস্থ হয়ে পড়েন। ওইদিনই তাকে যশোর শহরের কুইন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সিএমইচে স্থানান্তর করা হয়। সিটিস্ক্যান রিপোর্টে ব্রেন হ্যামারেজ ধরা পড়ে। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) তার অবস্থার আরও অবনতি হয়। বেশিরভাগ সময় তিনি সেন্সলেস (চেতনাহীন) ছিলেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার বিকেলে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

হোসেনউদ্দীন হোসেন ১৯৪১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। নিজ গ্রামে প্রাথমিক শিক্ষা অর্জনের পর ঝিকরগাছা ইংরেজি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৫৭ সালে ম্যাট্রিক পাস করেন। ১৯৫৯ সালে সম্পন্ন করেন উচ্চ মাধ্যমিক। ১৯৫৫ সালে তার প্রথম কবিতা কলকাতার দৈনিক পত্রিকা লোকসেবকে প্রকাশিত হয়।

পরবর্তীসময়ে তার বিভিন্ন প্রবন্ধ, গল্প, কবিতা ঢাকা ও কলকাতার বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশ হওয়া শুরু হয়। তিনি ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।

তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘নষ্ট মানুষ’, ‘অমৃত বৈদেশিক’, ‘সাধুহাটির লোকজন’, ‘ইঁদুর ও মানুষেরা’, ‘প্লাবন এবং একজন নুহ’, ‘ভলতেয়ার ফ্লবেয়ার কলসত্ব ত্রয়ী উপন্যাস ও যুগমানস’, ‘ঐতিহ্য আধুনিকতা ও আহসান হাবীব’, ‘বাংলার বিদ্রোহ’, ‘সমাজ সাহিত্য দর্শন প্রবন্ধ’, ‘রণক্ষেত্রে সারাবেলা মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি’, ‘লোকলোকোত্তর গাঁথা কিংবদন্তি’, ‘বনভূমি ও অন্যান্য গল্প’, ‘অনন্য রবীন্দ্রনাথ’ প্রমুখ।

সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরু ৫ জুন

ছবি: সংগৃহীত

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় অধিবেশন তথা বাজেট অধিবেশন শুরু হবে আগামী ৫ জুন থেকে। ওই দিন বিকাল ৫টা থেকে জাতীয় সংসদের অধিবেশন আহ্বান করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

সোমবার (২০ মে) জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কেএম আবদুস সালাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৬ জুন জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। বাজেট অধিবেশনে হওয়া এবারের অধিবেশন দীর্ঘ হবে বলে জানা গেছে। ৫ জুন অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে সংসদের কার্য উপদেষ্টা বৈঠকে সংসদ কত দিন চলবে—তা নির্ধারণ করা হবে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন চলতি মাসের ২ তারিখ হতে শুরু হয়ে ৯ মে শেষ হয়। ওই অধিবেশনে একটি বিল পাশ হয়।

সর্বশেষ সংবাদ

ম্যানচেস্টার সিটিকে বিদায়ের ইঙ্গিত পেপ গার্দিওলার
বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক হোসেনউদ্দীন আর নেই
সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরু ৫ জুন
টাঙ্গাইলে আনসার সদস্যদের নির্বাচনী ডিউটি দিতে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ
‘বঙ্গবন্ধু শান্তি পদক’ চালু, পুরস্কার কোটি টাকা ও স্বর্ণ পদক
রাইসির মৃত্যু আর সৌদি বাদশাহর অসুস্থতার জেরে বেড়েছে তেলের দাম!
অস্ট্রেলিয়ায় কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত জাহিন
ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক
ভারতের নাগরিকত্ব পেয়ে প্রথমবারের মতো ভোট দিলেন অক্ষয়
রাইসির মৃত্যুতে ইরানে পাঁচ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা
৩০ ফ্রিল্যান্সিং দেশের র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান তলানিতে!
বজ্রপাতে সৈয়দপুর বিমানবন্দরের রানওয়েতে ফাটল, ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ
আইপিএলের প্লে-অফের ম্যাচগুলো কবে-কখন-কার বিপক্ষে?
ভোটারের উপস্থিতি নিয়ে ইসি উদ্বিগ্ন নয়, বললেন ইসি আলমগীর
ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসির মৃত্যুতে বিশ্বনেতাদের শোক
সুনামগঞ্জে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই ২ জনসহ নিহত ৩
ইশরাক হোসেনের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি মির্জা ফখরুলের
ইব্রাহিম রাইসি ছিলেন আমার প্রিয় একটি ভাই : এরদোগান
ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ: ওবায়দুল কাদের
ইরানের অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবার