সোমবার, ২০ মে ২০২৪ | ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-১৬

যারা যুদ্ধ করেছিল

যমুনা নদীর বুকে গড়ে ওঠা ধইনার চরে মোখদম আলী নামের একজন শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান, যার অত্যাচারে অতিষ্ঠ চরবাসি। মাঝে-মধ্যেই পাকিস্তানি মিলিটারিদের ডেকে এনে খাওয়ার মজমা তৈরি করে। চরের কোনো বাসিন্দার বাছুর ধরে এনে জবাই করে খানাপিনার আয়োজন করে। সেখানে রাজাকারদের একটি বাহিনী গঠন করেছে মোখদম আলী। তাদের দিয়ে চরে তার ফ্যাসিবাদি শাসন চালিয়ে যাচ্ছে। রাজাকারদের দিয়ে চরের কয়েকজন নারীকে তুলে দিয়েছে পাকিস্তানি ক্যাম্পে। রাজাকারদের দিয়ে কাউকে ধরে এনে বেঁধে মারপিট করে। তাদের কাছ থেকে জমি দখল নিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়।

খবরটি শোনার পর মমিনের বাহিনী ক্রোধে ফেটে পড়ে। তারা ধইনার চর আক্রমণ করে মোখদম আলীকে উচিৎ শিক্ষা দিতে চায়। গভীর রাতে নৌকা করে ধইনার চর পৌঁছে তারা একজন গ্রামবাসীর সাহায্য নিয়ে মোখদম আলীর বাড়ি ঘেরাও করে। মোখদমের বাড়িতে থাকা রাজাকার ক্যম্পের রাজাকাররা কিছু বুঝে ওঠার আগে তাদের ক্যাম্প গ্রেনেড মেরে উড়িয়ে দেয়। ২০ জনের রাজাকার দলটির জনা দশেক রাজাকার ঘটনাস্থলেই মারা যায়। বাকিরা আহত হয়ে গোঙরাতে থাকে। বাকিদের ধরে লাশ বানিয়ে যমুনায় ভাসিয়ে দেয়। তারপর মুক্তিযোদ্ধারা মোখদম আলীকে খুঁজতে থাকে। গ্রেনেডের শব্দে চতুর মোখদম আলী পরিস্থিতি প্রতিকূল বুঝতে পেরে আত্মগোপন করে। মোখদম আলীর বাড়ি তছনছ করে মুক্তিযোদ্ধারা তাকে খুঁজে না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়ে। মমিন মোখদম আলীর স্ত্রীকে ভয় দেখিয়ে বলে, ‘বলেন আপনার স্বামী কোথায়? না বললে আপনার ছেলেমেয়েসহ সবাইকে মেরে ফেলবো।’ মোখদমের স্ত্রী এবং তার তিন মেয়ে এসে মমিনের পা জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকে। বাবার প্রাণভিক্ষা চায় মেয়েরা। মমিন বলে, ‘যখন তোমাদের বাবা অন্য মেয়েদের ধরে মিলিটারি ক্যম্পে নিয়ে যায় তখন তোমরা বাঁধা দাওনি কেন? তোমরা জান, বর্তমানে সেই মেয়েদের অবস্থা কি?’

মোখদমের স্ত্রী ছুটে গিয়ে সিন্দুক থেকে পোটলায় বাঁধা প্রায় পঞ্চাশ ভরি সোনা এনে মমিনের হাতে দেয়। মমিন পোটলা দেখে জিজ্ঞেস করে, ‘কী এটা?’
মোখদমের স্ত্রী বলে, ‘কিছু না বাবা। তোমরা যুদ্ধ করতাছো। তোমাদের খাওয়া খরচের জন্য সামান্য কিছু সোনা-দানা।’
‘মমিন গর্জে ওঠে। ‘আপনি আমাদের ঘুষ দিচ্ছেন! আপনার সাহসতো কম না। জানেন এর পরিণাম কি?’
‘বাবা, আপনার দুটি পায়ে পড়ি। আমার মেয়েদের আপনি এতিম করবেন না।’ বলেই মোখদমের স্ত্রী মমিনের পা জড়িয়ে ধরে কান্নাকাটি করতে থাকে।

মমিন ধমকিয়ে ওঠে। ‘পা ছাড়ুন। ছাড়ুন বলছি। নইলে গুলি করবো।’ মোখদমের বড় মেয়েকে মমিন বলে, ‘তোমার মাকে সরাও। নইলে তোমাকে আমরা ধরে নিয়ে যাব।’ বড়মেয়ে মাকে ধরে তোলে। মমিন বলে, ‘আপনার স্বামী যে সমস্ত মেয়েদের মিলিটারি ক্যাম্পে দিয়ে এসেছে তাদের অবস্থা এখন কেমন সেটা কি আপনি জানেন? তাদের সারারাত ওই পশুরা দলবেঁধে ধর্ষণ করে। এই যন্ত্রণা সইতে না পেরে অনেক মেয়ে পরনের শাড়ি গলায় পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। মিলিটারি সেই থেকে মেয়েদের উলঙ্গ করে রাখে। আপনি ভাবতে পারেন এই ঘটনা আপনার মেয়ের সঙ্গে হলে আপনি সহ্য করতে পারতেন? আজ আমরা আপনার তিন মেয়েকে নিয়ে যাব। সারারাত ওদের ধর্ষণ করবো। তখন বুঝবেন কেমন লাগে।’
মমিন আবার জিজ্ঞেস করে, ‘এতো সোনা আপনি কোথায় পেয়েছেন?’
মোখদমের স্ত্রী কথা বলে না। মমিন বলে, ‘সত্যি কথা বললে আপনাদের ছেড়ে দেব। বলেন, এতো সোনা কোথায় পেয়েছেন? নিশ্চয় গ্রামের বিভিন্ন বাড়ি থেকে এ সব আপনার স্বামী লুট করে এনেছে, তাই না?’

ততোক্ষণে চরের বাসিন্দারা জেনে গেছে মুক্তিযোদ্ধারা মোখদম আলীকে ধরতে এসে তার বাড়ি ঘেরাও করেছে। কথাটা মুহূর্তে গোটা চরে চাউর হয়ে যায়। চরবাসী আনন্দ উল্লাস এবং জয়ধ্বনি দিয়ে মোখদম আলীর বাড়ির দিকে ছুটে আসে। তারা মুক্তিফৌজ দেখে জয়বাংলা বলে উল্লাস করে ওঠে। মমিনের প্রশ্নের জবাবে মোখদমের স্ত্রী খামোশ হয়ে মমিনের পা জড়িয়ে ধরে। তখন একজন বয়স্ক লোক দূর থেকে চেঁচিয়ে বলে, ‘এইসব গয়না সব লুটের মাল। মোখদম রাজাকার আমাদের জীবনটা নরক বানাইয়া রাখছে। আপনারা এই শয়তানকে ছাইড়া দিয়েন না।’
‘ওই হারামজাদাতো পালিয়েছে। আপনারা তাকে আমাদের কাছে ধরিয়ে দিন। আমরা ওই রাজাকারকে না নিয়ে যাব না। আমরা তার সম্পর্কে সবধরনের খবর নিয়ে এসেছি।’

এইসময় একজন মহিলা মজনুকে ইশারায় কাছে ডেকে নিয়ে ফিস ফিস করে বলে, চরের দক্ষিণে ভাসমান কচুড়িপানার স্তুপের মধ্যে লুকায়া আছে। মজনু ছুটে এসে মমিনকে বিষয়টি জানালে মমিন কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধাকে সেই কচুরিপানার স্তুপের কাছে পাঠিয়ে দেয়। মোখদমের স্ত্রী বুঝতে পারে এবার আর তার স্বামীর রক্ষা নাই। সে চিৎকার করে কেঁদে ওঠে। মোখদমের স্ত্রী জানে ওই মহিলা প্রতিশোধ না নিয়ে ছাড়বে না। হবি নামের তার যুবক ছেলেকে রাজাকাররা চোখ বেঁধে ধরে নিয়ে এলে হবির মা মোখদমের পা জড়িয়ে ধরে ছেলের প্রাণভিক্ষা চেয়ে মাটি চাপড়ে কেঁদেছিল। মোখদমের এতটকু দয়া হয়নি। তাকে মেরে যমুনার জলে ভাসিয়ে দিয়েছে রাজাকাররা। হবির অপরাধ সে ভোটের সময় নৌকার মার্কার মিছিলে অংশ নিয়েছে।

ওই মহিলা দেখিয়ে দেয় যমুনার স্রোতে ভেসে আসা কচুরিপানার ভেতর নাক জাগো করে ডুব মেরে আছে মোখদম।

মুক্তিযোদ্ধারা কয়েকজন গ্রামবাসিকে মোখদমকে খুঁজতে পানিতে নামতে বললে কয়েকজন ঝাঁপ দিয়ে যমুনায় নেমে পড়ে। তারা কচুরিপানার ভেতর খুঁজে মোখদমকে পায় না। গ্রামবাসীরা তারপর নানা জায়গায় মোখদম আলীকে খুঁজতে থাকে।

চরের মাঝখানে অনেকখানি জায়গা নিয়ে একটি গরুর খামার। একজন জোতদার অনেক পরিশ্রম করে এই খামারটি গড়ে তুলেছে। একটি মাত্র শংকর জাতের গরু দিয়ে শুরু করা খামারে এখন গরুর সংখ্যা প্রায় ৬০টি। বাছুর আছে গোটা ত্রিশেক। খামারির নাম আবুল হাশেম। হাশেমের খামারে গরু আরও ছিল। চরে মিলিটারি এলে রাজাকাররা এসে খামার থেকে বাছুর গরু ধরে নিয়ে জবাই করে মিলিটারিদের রান্না করে খাওয়ায়। প্রথম দিন বাঁধা দিয়ে বিপদে পড়ে গিয়েছিল হাশেম। বাঁধা দেওয়ায় রাজাকাররা চোখ বেঁধে ধরে নিয়ে গিয়েছিল হাশেমকে। হাশেম মাফ চেয়ে কোনো মতে রক্ষা পায়। সেই থেকে আর কোনোদিন বাঁধা দেয়নি। চরে হৈচৈ হচ্ছে। হাশেম বিষয়টি বুঝতে না পেরে খামারে এসে খামার পাহারা দিতে থাকে। হঠাৎ একটি দৃশ্য দেখে ভয়ে চমকে ওঠে সে। ছায়া মতো কি যেন সুরুত করে তার খামারে ঢুকে পড়ে। ভয়ে হাশেম মিয়া বাড়ির দিকে যায়। বড় রাস্তায় উঠে দেখে মশাল জ্বালিয়ে অনেক মানুষ এই দিকে আসছে। হাশেম দাঁড়িয়ে এতো লোকের মশাল মিছিলের কারণ জানতে উন্মুখ হয়ে অপেক্ষা করে। মিছিল কাছে এলে হাশেম জানতে চায় মিছিলের কারণ কী? একজন অতি উৎসাহে বলে, ‘আমরা মোখদম রাজাকারকে খুঁজতাছি।’
‘কেন?’
‘মুক্তিবাহিনী আইছে মোখদম রাজাকারকে ধরতে।’

এতক্ষণে ব্যাপারটা পরিষ্কার হয় হাশেমের কাছে। ওই ছায়া মানব আর কেউ নয়। সে মোখদম রাজাকার। কথাটা কানে কানে হাশেম তাদের বলে দেয়। তাদের নিঃশব্দে যেতে বলে। সেই মতো তারা মশাল নিভিয়ে খামারে ঢুকে ধরে ফেলে মোখদমকে। সে একটি শোয়া জাবর কাটা বড় গরুর পাশে শুয়ে ছিল। পাশের একটি গরু মোখদমের মুখ বরাবর পেশাব করে দেয়। গরুর পেশাবের তীব্র ঝাঁঝালো উৎকট গন্ধ প্রাণ বাঁচাতে মোখদম সবই নিরবে হজম করে।

পরণের জামা খুলে মুখ মোছে। তারপর দীর্ঘশ্বাস ফেলে জামা পাশে রেখে আবার শুয়ে পড়ে। আর তখনই টর্চ লাইটের তীব্র আলো এসে পড়ে মুখে। মুহূর্তে ঝাপসা হয়ে আসে সব। চোখে অন্ধকার দেখে মোখদম। রাইফেলের একটি নল বুকে তাক করে আছে একজন। আজ আর কোনোভাবেই বাঁচার আশার নেই। মনে মনে দোয়া পড়তে পড়তে সারা শরীর ঘেমে নেয়ে ওঠে। মুক্তিযোদ্ধারা তাকে চোখ বেঁধে নিয়ে আসে মমিনের কাছে। তারপর মোখদম আলীকে নৌকায় তুলে তারা রওনা হয় যমুনার পশ্চিম পাড়।

মমিনরা এসে যে বাড়িতে আশ্রয় নেয় সেই বাড়ির কিশোর ছেলে মিন্টু আড়াল থেকে মুক্তিবাহিনীকে দেখছিল। এতোদিন শুধু মুক্তিবাহিনীর নাম শুনেছে। চোখে দেখেনি। মিন্টু ক্লাস এইটে পড়ে। খুবই সাধারণ মানের মেধাবী। তবে তার চেহারায় তীব্র আকর্ষণ। মাথায় ঝাকড়া চুল। টানা টানা চোখ। হাসলে মনে হয় চাঁদ হেসে উঠলো।
মজনু জানালার ফাঁক দিয়ে মিন্টুকে দেখছিল। মনে মনে খুব আফসোস হচ্ছিল মজনুর। ওই ছেলেটা কত সুন্দর। আর সে? ভ্যাবলা মার্কা চেহারা। আজ পর্যন্ত কেউ তার চেহারার তারিফ করেনি।

হঠাৎ দুজন দুজনকে দেখে ফেলে। মিন্টু চলে যাচ্ছিল। মজনু তাকে ডাকে। এইভাবে লুকিয়ে কি দেখছিল ওই ছেলে? ব্যাপারটা জানা দরকার। সে কোনো গোপন গুপ্তচর কি না কে জানে।

মিন্টু ভয়ে ভয়ে কাছে আসে। মজনু জিজ্ঞেস করে, ‘তুমি লুকিয়ে লুকিয়ে কি দেখছিলে?’
‘না। কিছু না।’
‘বাড়ি কোথায় তোমার?’
‘এই বাড়ি।’ অর্থাৎ যে বাড়িতে তারা আশ্রয় নিয়েছে। বাড়ির কথা জিজ্ঞেস করায় মিন্টুর ততক্ষণে সাহস বেড়ে গেছে।
মিন্টু বলে, ‘ধইনার চরে মোখদম নামে একজন শান্তি কমিটির চেয়ারম্যানকে মুক্তিযোদ্ধারা মেরে ফেলেছে। যারা এই কাজটি করেছে তারা একটা কামের কাম করেছে। তাদের আমি সাবাসি দেই।’
‘কেন?’
‘লোকটা ছিল ভীষণ বদ। সে অনেক মানুষ মেরেছে। অনেক যুবককে মিলিটারির হাতে ধরিয়ে দিয়েছে। চরের অনেক মেয়েকে জোর করে পাকিস্তানিদের ক্যাম্পে নিয়ে গেছে।’
‘তুমি এত কথা জানলে কীভাবে?’
‘আমাদের বাড়ির কামলা কুদ্দুস বলেছে। সে সব খবর রাখে। সেও যুদ্ধে যেতে চায়। দুএকবার চেষ্টাও করেছে। যাওয়ার রাস্তা খুঁজে পায়নি। আব্বা ধমক দিয়েছে। বলেছে, ‘তুই লেখাপড়া জানিস না। কোথায় গিয়ে কি উল্টোপাল্টা বলে শেষে নিজের জানটা হারাবি।’
‘ধইনার চরটা কোথায়?’ মজনু হেয়ালি ঢংয়ে জিজ্ঞেস করে।
মিন্টু বলে, ‘যমুনার মধ্যিখানে চর পড়েছে। আমাদের বাড়ি থেকে ধইনার চর দেখা যায়। দেখা গেলেও চর কিন্তু দূর আছে।’
মিন্টু এবার মাথা নামিয়ে জিজ্ঞেস করে, ‘একটা কথা কই?’
‘কও।’
‘আপনি এ যাবত কয়টা যুদ্ধ করছেন?’
‘প্রায় আট/দশটা।’
মিন্টু এবার চারপাশ তাকিয়ে দৃঢ়ভাবে বলে, ‘মিলিটারি রাজাকারদের অত্যাচার দেখে আমারও যুদ্ধে যাইতে ইচ্ছে করে। ইচ্ছে হয় দেশের জন্য কিছু করি। কিন্তু সাহস পাই না।’
‘কেন, ভয় কিসের?’
‘গুলির শব্দ শুনলে আমার হাত-পা কাঁপে। আপনার ভয় করে না?’
‘প্রথম প্রথম একটু আধটু ভয় করতো। তারপর যুদ্ধ করতে করতে ভয়-ডর সব পালিয়ে গেছে। এখন যুদ্ধের সময় শুধু সামনে এগিয়ে যেতে ইচ্ছা করে। মনে হয় ওদের সবাইকে হত্যা করি।’
‘ইস, আমি যদি যুদ্ধ করার সুযোগ পাইতাম। আমি শুধু ওদের মারতাম।’ মিন্টু দীর্ঘশ্বাস ফেলে। ‘আমার সে সুযোগ হলো না। প্রমাণ করতে পারলাম না দেশকে আমিও ভালবাসি। দেশটা আমারও।’ বিষন্ন মুখে মিন্টু চলে যায়। মজনু আবেগ ভরা দৃষ্টিতে সেইদিকে তাকিয়ে থাকে।

চলবে…

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব- ১৫

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-১৪

Header Ad

‘বঙ্গবন্ধু শান্তি পদক’ চালু, পুরস্কার কোটি টাকা ও স্বর্ণ পদক

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও অন্যান্য ক্ষেত্রে অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শান্তি পদক দেবে বাংলাদেশ সরকার। প্রতি ২ বছর পর একজন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান কিংবা সংস্থাকে এ পুরস্কার দেওয়া হবে। এ লক্ষ্যে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তর্জাতিক শান্তি পদক নীতিমালা-২০২৪’ এর খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

সাধারণত প্রতি দুই বছরে দেশি বা বিদেশি একজন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে একটি ক্যাটাগরিতে এই পুরস্কার দেওয়া হবে। পুরস্কারের মূল্যমান এক লাখ মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি টাকায় ১ কোটি ১৭ লাখ টাকা) এবং ৫০ গ্রাম ওজনের (চার ভরির বেশি) ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণ পদক পাবেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার (২০ মে) মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, ১৯৭৩ সালের ২৩ মে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জুলিও কুরি শান্তি পদকে ভূষিত করা হয়েছিল। এটির ৫০ বছর পূর্তি আমরা গত বছর উদযাপন করেছি। সেখানে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন যে বঙ্গবন্ধুর নামে একটি শান্তি পুরস্কার তিনি প্রবর্তন করতে চান। সেই প্রেক্ষিতে আজকে একটি নীতিমালা আমরা উপস্থাপন করেছি। মন্ত্রিসভা সেটি আজকে অনুমোদন করেছে।

‘এই নীতিমালার আওতায় বাংলাদেশ ও বিশ্বের যে কোনো প্রান্ত বা বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাকে কয়েকটি ক্ষেত্রে অবদানের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শান্তি পুরস্কার দেওয়া যাবে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখা, যুদ্ধ নিরসনে কার্যকর উদ্যোগ ও অবদান রাখা, দ্বন্দ্ব-সংঘাতময় পরিস্থিতিতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বিশ্ব গঠনে কার্যকর ভূমিকা রাখা, টেকসই সামাজিক পরিবেশগত অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে রাষ্ট্র ও সমাজের সামগ্রিক কল্যাণ সাধন—পুরস্কার দেওয়ার ক্ষেত্রে বিবেচনায় নেওয়া হবে।

পুরস্কার হিসেবে ৫০ গ্রাম ওজনের ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণের একটি পদক এবং এক লাখ মার্কিন ডলার সমপরিমাণ মূল্যের পুরস্কার দেওয়া হবে। একই সঙ্গে একটি সনদপত্র দেওয়া হবে। পুরস্কারটি প্রতি দুই বছরে একবার দেওয়া হবে।

পুরস্কার দেওয়ার ক্ষেত্রে পৃথিবীর যেকোনো দেশ থেকে প্রস্তাব নেওয়া যাবে। কারা কারা প্রস্তাব করতে পারবে নীতিমালায় সেটারও একটা বর্ণনা দেওয়া আছে। একটি দেশের সরকার, রাষ্ট্রপ্রধান বা সেই দেশের সংসদ সদস্যরা প্রস্তাব পাঠাতে পারবেন। নোবেল বা অন্য কোনো আন্তর্জাতিক শান্তি পুরস্কারপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তিও কারও নাম প্রস্তাব করতে পারবেন।

বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশি যত দূতাবাস রয়েছে সেই দূতাবাসের প্রধানরা বা আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানরা পুরস্কারের জন্য নাম প্রস্তাব করতে পারবেন। বিদেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশন বা দূতাবাসের প্রধানরাও প্রস্তাব পাঠাতে পারবেন। জাতিসংঘের কোনো সংস্থা প্রধানও নাম প্রস্তাব করতে পারবেন। কোনো ব্যক্তি নিজে পুরস্কারের জন্য দাবি জানাতে পারবেন না।

নীতিমালা অনুযায়ী একটি জুরি বোর্ড গঠন করা হবে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, জুরিবোর্ডের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। নিরপেক্ষ ও খ্যাতিসম্পন্ন লোকদের দ্বারাই জুরিবোর্ড গঠিত হবে। ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবসে পুরস্কার প্রাপ্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নাম ঘোষণা করা হবে। ২৩ মে বা কাছাকাছি সময়ে এই পুরস্কার প্রদান করা হবে।

অর্থ বিভাগে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় বাজেট বরাদ্দ দেবে। আগামী বছর (২০২৫) প্রথমবারের মতোই পুরস্কার দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

মন্ত্রিসভা থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, নীতিমালা নিয়ে কাজটি যাতে শুরু করা হয়। এটিকে যাতে পরবর্তীতে আইনে রূপান্তর করা হয়। আইনের মধ্যে একটি তহবিল তৈরি করতে বলা হয়েছে যে তহবিলে, সরকার বা বাইরের লোক যে কেউ সেখানে অনুদান দিতে পারবেন। পরে আমরা তহবিল থেকেই সেই ব্যয়ভারটা নির্বাহ করতে পারব। সেই পর্যন্ত সরকারই এই ব্যয়ভারটা বহন করবে।

রাইসির মৃত্যু আর সৌদি বাদশাহর অসুস্থতার জেরে বেড়েছে তেলের দাম!

রাইসির মৃত্যু আর সৌদি বাদশাহর অসুস্থতার জেরে বেড়েছে তেলের দাম। ছবি: সংগৃহীত

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। এ খবর এখন সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। সেই সাথে সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স বাদশাহ’র স্বাস্থ্যের সমস্যা উল্লেখ করে জাপান সফর বাতিল করেছেন।

এদিকে প্রধান তেল উৎপাদনকারী দুটি দেশের রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার জেরেই সোমবার (২০ মে) তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এক প্রতিবেদনে যুক্তরাজ্যের বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আজ বিশ্ববাজারে ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম ৪১ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে ব্যারেল প্রতি ৮৪ দশমিক ৩৯ ডলারে উঠেছে। মে মাসের ১০ তারিখের পর এটাই ব্রেন্ট ক্রুডের সর্বোচ্চ দাম।

এছাড়া ইউএস ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) ক্রুডের দাম ২৩ সেন্ট বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৮০ দশমিক ২৯ ডলারে উঠেছে। এর আগে, ১ মে এই তেলের দাম ছিল ব্যারেলপ্রতি ৮০ দশমিক ২৩ ডলার।

গতকাল আজারবাইজানের সীমান্তবর্তী এলাকায় দুই দেশের যৌথভাবে নির্মিত একটি বাঁধ উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। আর সেখানে যাওয়ার পথে বৈরি আবহাওয়ায় হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হন তিনি।

অন্যদিকে, আজ সোমবার জাপান সফরে যাওয়ার কথা ছিল সৌদি আরবের সিংহাসনের উত্তরাধিকারী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের। কিন্তু বাদশাহ সালমানের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ থাকায় যুবরাজ তার সফর বাতিল করেছেন। জাপানের মন্ত্রিপরিষদ সচিব ইয়োশিমাসা হায়াসি এক বিবৃতিতে এ কথা জানান।

বিশ্লেষকরা বলছেন, মূলত এই দুই কারণেই বিশ্ববাজারে হঠাৎ করেই বেড়ে গিয়েছে তেলের দাম।

গবেষণাপ্রতিষ্ঠান আইজি মার্কেটসের বিশ্লেষক টনি সিকামোর রয়টার্সকে বলেন, ডব্লিউটিআই ক্রুডের দাম বেড়ে যাওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে। শুধু ইরানি প্রেসিডেন্টের মৃত্যু ও সৌদি বাদশাহর স্বাস্থ্যগত কারণে নয়, চীন আবাসন খাতকে টেনে তুলতে গত সপ্তাহে যে প্রণোদনা ঘোষণা করেছে, তার প্রভাবে তেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে। চীন বিশ্বের বৃহত্তম তেল আমদানিকারক। এই দেশের চাহিদার ওপর বিশ্ববাজারে তেলের দাম অনেকাংশে নির্ভর করে।

অস্ট্রেলিয়ায় কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত জাহিন

অস্ট্রেলিয়ায় কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফারহান জাহিন। ছবি: সংগৃহীত

অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে আয়োজিত দ্বিতীয় বার্ষিক জাতীয় কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার কিশোর ফারহান জাহিন।

গত শনিবার (১৮ মে) সিডনির ব্যাংকসটাউনের ব্রায়ান ব্রাউন থিয়েটারে আল তাজকিরাহ ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে দিনব্যাপী এ কোরআন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়ে তিন হাজার ডলারসহ ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ড জিতে নিয়েছে ফারহান জাহিন। প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় হয়েছেন ভিক্টোরিয়া স্টেটের হাফসা বতুল ও তৃতীয় হয়েছেন সালমান মোহাম্মদ।

সেদিন অস্ট্রেলিয়ার ছয়টি রাজ্য থেকে আগত বিপুল সংখ্যক স্কুলশিক্ষার্থী প্রতিযোগীদের মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতার পর বিকেলে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানও হয়েছে।

প্রবাসী মুসলিমদের সামাজিক সংগঠন ইসলামিক প্র্যাকটিস অ্যান্ড দাওয়াহ সার্কেল (আইপিডিসি) এর অধীনস্থ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আল তাজকিরাহ ইনস্টিটিউট চলতি বছরের পবিত্র রমজান মাসে দ্বিতীয়বারের মতো পুরো অস্ট্রেলিয়া জুড়ে শিশু-কিশোরদের জন্য কোরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।

২০২৪ সালে দ্বিতীয় কোরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতায় বয়সভিত্তিক বিভিন্ন গ্রুপে প্রায় দুই হাজার প্রতিযোগী অংশ নেয়। একই প্রতিযোগিতায় দুই পারা কোরআন মুখস্ত করায় অংশ নেয় ৩৫০ জনেরও বেশি প্রতিযোগী।

রমজান মাসে সারা অস্ট্রেলিয়ায় প্রায় ৫০টি ইসলামিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ৩০টি মসজিদ এ প্রতিযোগিতায় যুক্ত ছিল। পুরো প্রতিযোগিতা কর্মসূচিতে বিচারক ও আয়োজক হিসেবে ছিলেন ৭০ জনেরও বেশি ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব এবং ইমাম।

প্রতিটি রাজ্য থেকে তাজবীদসহ পবিত্র কোরআন শরীফের দুই পারা মুখস্ত তেলাওয়াতের প্রতিযোগিতায় বিজয়ী তিনজনকে জাতীয় কোরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়।

আল তাজকিরাহ ইনস্টিটিউটের অ্যাসিস্ট্যান্ট কোঅর্ডিনেটর শায়খ আবদুল রহমানের উপস্থাপনায় শনিবার সকাল ৯টায় শুরু হওয়া এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানের শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন আইপিডিসির সেন্ট্রাল প্রেসিডেন্ট ড. রফিকুল ইসলাম।

সেন্ট মেরিস মসজিদের ইমাম শায়খ আবু হোরায়রা শুরুতে প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী ও বিচারকদেরকে পরিচয় করিয়ে দেন। পরে প্রতিযোগিতার মূল পর্ব শুরু হয়।

দুপুরে মধ্যাহ্ন বিরতির পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার গ্র্যান্ড মুফতি ড. ইবরাহিম আবু মোহাম্মদ, ন্যাশনাল ইমাম কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট শায়খ শাদী আল সুলাইমান, আইপিডিসির সেন্ট্রাল প্রেসিডেন্ট ড. রফিকুল ইসলাম, প্রধান বিচারক শায়খ তারিক আল বিক্বায়ী, স্পন্সর প্রতিষ্ঠান রহিম-আজিজ ফাউন্ডেশনের কর্ণধার আরিফুর রহমান এবং ক্যাম্পবেলটাউন সিটি কাউন্সিলের ডেপুটি মেয়র ইব্রাহিম খলিল মাসুদ।

এ বছরের জাতীয় কোরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী সব প্রতিযোগীকে শুভেচ্ছা পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ

‘বঙ্গবন্ধু শান্তি পদক’ চালু, পুরস্কার কোটি টাকা ও স্বর্ণ পদক
রাইসির মৃত্যু আর সৌদি বাদশাহর অসুস্থতার জেরে বেড়েছে তেলের দাম!
অস্ট্রেলিয়ায় কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত জাহিন
ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক
ভারতের নাগরিকত্ব পেয়ে প্রথমবারের মতো ভোট দিলেন অক্ষয়
রাইসির মৃত্যুতে ইরানে পাঁচ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা
৩০ ফ্রিল্যান্সিং দেশের র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান তলানিতে!
বজ্রপাতে সৈয়দপুর বিমানবন্দরের রানওয়েতে ফাটল, ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ
আইপিএলের প্লে-অফের ম্যাচগুলো কবে-কখন-কার বিপক্ষে?
ভোটারের উপস্থিতি নিয়ে ইসি উদ্বিগ্ন নয়, বললেন ইসি আলমগীর
ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসির মৃত্যুতে বিশ্বনেতাদের শোক
সুনামগঞ্জে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই ২ জনসহ নিহত ৩
ইশরাক হোসেনের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি মির্জা ফখরুলের
ইব্রাহিম রাইসি ছিলেন আমার প্রিয় একটি ভাই : এরদোগান
ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ: ওবায়দুল কাদের
ইরানের অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবার
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং তার সঙ্গীদের মরদেহ উদ্ধার
নিপুণের রিটে ডিপজলকে শিল্পী সমিতির পদে না বসতে নির্দেশ
বিল বকেয়া থাকায় রেল কার্যালয়ের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন
রামপুরায় অটোরিকশাচালকদের সড়ক অবরোধ