সোমবার, ২০ মে ২০২৪ | ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-৪৫

নেই দেশের নাগরিক  

“সে তো যাবই। একা একা এই ধূ ধূ সমুদ্রে পড়ে থেকে মরব নাকি। আব্বার অবস্থা খুবই খারাপ। জানটা জিভের ডগায় ধুকধুক করছে। এবার যেভাবেই হোক, বাংলাদেশের কোনো পাড়ে উঠতেই হবে।“
“হ্যাঁ হ্যাঁ, পাড় তো তোমার কেনা। বাপের জায়গির যে ইচ্ছে হলো আর ফট করে উঠে গেলে! বর্ডার সব সিল করে দিয়েছে, দেখছ না?” কথায় আগুনের ছ্যাকা দেয় নুহু।
“তুই ঘোড়ার ডিম জানিস। বর্ডার সিল থাকলেও, ফাঁকফোকর থেকেই যায়। সব জায়গায় তো আর কাঁটাতার নেই। অনেক জায়গা ফাঁকা আছে। ওগুলোকে চোরাবর্ডার বলে। ওইসব চোরাই বর্ডার দিয়ে কোনোমতে ঢুকে পড়ে আব্বার মরদেহটাকে কবর দিয়ে দিতে পারলেই তো হলো, তারপর আমরা না হয় নদীতেই পড়ে থাকব। আব্বা কবরের মাটি তো পাবে।“ প্রথম কথাটা বলার সময় চোখমুখ উলটালেও, শেষের কথাটা বলার সময় মতির চোখেমুখে যেন একটা ড্যাফোডিল ফুল ফুটে উঠল। মাটি পাওয়ার গন্ধ মনে লাগতেই, মনটা আচানক পাঁপড়ি মেলে উঠল। মতি এবার ঠোঁটে হাসির মোম লাগিয়ে বলল, “আব্বা পরহেজগার মানুষ, আল্লাহর এলেম জানা বান্দা, বুদ্ধি হয়ে থেকে আল্লাহর আমল করে আসছে, আর তার মরদেহ কবরের মাটি পাবে না, তাই হয়?”

“না পেতেও পারে। দেহের আর কী আছে। আল্লাহর তো রুহু নিয়ে কাজ। রুহুর উপরেই যত হিসাব-নিকাশ। আব্বা যেসব নেক কাজ করেছে, তাতে সে জান্নাতবাসী হতে পারে। মরা দেহ মাটি পেল কি না পেল, তাতে কী যায় আসে? হিসাব তো দেবে রুহু, নাকি?” নহুর কণ্ঠ যেন লঙ্কাপেষাইয়ের মেশিন থেকে বেরিয়ে আসে। মতিও ঝাল পেড়ে উঠল। তার কণ্ঠও ধানি লঙ্কা হয়ে উঠল, “তুই হাদিস কোরানের কী জানিস? আল্লাহর কাছে, দেহটা কি ফকেটিয়া ভাবছিস? ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে তিনি দেহের হিসাব নেবেন। আল্লাহ, দেহ ছেড়ে চলে যাওয়া রুহু আবার পুনরায় দেহে ফিরিয়ে আনবেন। মানুষকে আবার জ্যান্ত করবেন। অক্ষরে অক্ষরে বুঝে নেবেন দুনিয়াদারির হিসাব।“ পায়ের তালু গিঁটটায় চেপে ধরে, হাত দিয়ে টেনে, শরীরটাকে ধনুকের মতো বেঁকিয়ে, কুঁত পেড়ে বাঁধনটাকে পোক্ত করল মতি। একেবারে জাব্দা করে ছইটাকে বেঁধে দিল। ঝড়ে নৌকো পাল্টি খেলেও, ছইটা যাতে খুলে না যায়। জাব্দা বাঁধনের সাথে সাথে মুখ দিয়ে বেরিয়ে এল জাব্দা কথা, “আল্লাহ শুধু রুহুর চাষ করেন না, দেহেরও চাষ করেন। মাটির হিসাব কাঠিতে বুঝে নেবেন।“
“মাটি দেহ, দেহ মাটি।“ মুখটা নদীর দিক করে কথায় মিহি সুর লাগিয়ে বলল নুহু।

“মর, তখন বুঝবি।“ ঠ্যালা মেরে বলল মতি। তারপর চোখ কটমট করে বলল, “টাপাটাকে(ছই) একটু উপরের দিকে ঠেলে তুলে ধর। দেখছিস ন্যা, কাত হয়ে যাচ্ছে?”

মতি ছইটার যেদিক খাড়া করে বাঁধল, তার বিপরীত দিকও ঢেরখানি কাত হয়ে আছে। সেদিকটায়ও একটা শক্ত বাঁধন দিতে হবে। নুহুকে বেশি বকবক করতে দেখে, তাকেই হুকুমটা করল। নুহু তার ডান কাঁধটার উপরে কাত হয়ে থাকা ছইটা ভার নিয়ে উপরের দিকে তোলা দিয়ে ধরল। দুমড়ে যাওয়া ছইটা আগের মতো হয়ে গেল। মতি পাশের বাঁশের খুঁটির সাথে ছইটাকে দঢ় করে বাঁধল। নুহু একটু ঝুঁকে আলতো করে ভর খাওয়া কাঁধটাকে ছইয়ের ভেতর থেকে বাইরে বের করে নিয়ে এল। ছইটা কী সুন্দর অর্ধচোঙাকৃতি ঘরের চালা হয়ে গেল। মতি এবার বানরের মতো তিড়িং করে লাফ মেরে নিচে নামল। নৌকোটা আলুথালু করে নড়ে উঠল। একটা লম্বা কালো ছায়া হাত-পা বাড়িয়ে নৌকোর পাটাতনে ভাঁজ হয়ে পড়া শরীরটাকে ছুঁল। ছইয়ের এই সাতসকালের ছায়াটা তার গা-গতরের ছায়াকে খেয়ে ফেলল। দিগন্ত থেকে নিঙরে আসা হলুদ রঙে গলা ডুবিয়ে স্নান করছে নৌকোটা।

রোদ উঠতে দেখে মতি তাড়া দিল, “নুহু, তাড়াতাড়ি হাত চালা, সন্ধ্যের আগে নয়াপাড়া পৌঁছতে হবে।“ হালটা ধরে একটা জোর প্যাঁচ মারে মতি। নুহু আনমনে তিরতির করে ঢেউ ওঠা কালাপানি দেখে। জলের কত ঢং! এখন তিরতির করে প্রজাপতির ডানার মতো উতলাচ্ছে, অথচ ঝড়ের হুল ফুটলেই একেবারে বাঘের মতো হালুম করে ওঠে। গ গ করে আছড়ে পড়ে দুই পাড়ে। ভেঙে মুচড়ে সব লণ্ডভণ্ড করে দেয়। ঠোঙার মতো দুমড়ে মুচড়ে দেয় ভেসে থাকা নৌকোগুলোকে। আর এখন সেই নদীর রূপ দেখে মনে হচ্ছে, আহাঃ, এমনই নিরীহ যেন ভাজা মাছটা উল্টে খেতে জানে না! প্রকৃতি এভাবেই কখনো ফুল হয়ে ওঠে আবার কখনো কাঁটা হয়ে জীবনকে ক্ষতবিক্ষত করে দেয়! বুঝিয়ে দেয়, জীবনের মালা এভাবেই ফুল আর কাঁটা দিয়ে গড়া।
“সাঁই সাঁই করে হাত চালাও। গায়ে বল লাগিয়ে বৈঠা ঠ্যালো। সেরকম খাবার আর মজুত নেই। বিকেলের মধ্যে কিছু একটা জোগাড় না হলে না খেয়ে মরতে হবে!” ছইয়ের বাইরে বেরিয়ে এসে ঘোমটা টানল আরিফা। চোখে-মুখে দুশ্চিন্তার কালো মেঘ।
“কিছুই নেই!” মতির চোখ থির।
“থাকা বলতে গেলে, ক-গাল মুড়ি আছে। ওতে আর কী হবে! কোনোরকমে এক বেলার পেট চলবে।“ হাঁড়ির খবর দিল হাঁড়িমানুষ। আরিফা একখানা আস্ত হাঁড়িমানুষ। সেই যে বিয়ের পর থেকে হাঁড়ির সাথে লেগে গেছে, ছাড়ার আর কোন ফুরসত পায়নি। হাঁড়ি-হেঁসেল আর উঠোন-ঘর করেই তার তিন সিকি জন্ম কেটে গেল।
“কত করে বললাম, চালের বস্তাটা বুকে জাপটে ধরে থাকি, তা না করে আমাকে বৈঠা টেনে ধরে থাকতে বললে, এখন দ্যাখো, মজা। হাওয়া আর পানি খেয়ে থাকো।“ নদীর দিকে তাকিয়ে বিড়বিড় করল নুহু।
“কী করে জানব, অমন কুলক্ষণে ঝড় টাপার ভেতরেও শিং ঢুকিয়ে দেবে! বস্তাটা তো টাপার ভেতরেই ছিল। আমরা নৌকো সামলাব না চালের বস্তা সামলাব? আরিফা তো খেয়াল করতে পারত?” বৌ’এর ঘাড়ে দোষ চাপায় মতি। স্বামীর কথা শুনে ছ্যান করে ওঠে আরিফা, “ওহ, আমার দোষ? আমি একা হাতে তোমার বুড়ো বাপ-মা আর পেটের ছেলেকে সামলাব না ওই চালের বস্তা কুছায় ভরে নিয়ে বসে থাকব? মেয়ে মানুষের ঘাড়ে দোষ চাপাতে ভালই লাগে!”
“একবার তো মুখের কথা বলতে পারতে যে, দেখো গো চালের বস্তাটা পানিতে পড়ে যাচ্ছে।“
“হ্যাঁ হ্যাঁ, আমার তো চারটে চোখ যে, দুর্যোগের সময় সব দিক তাকিয়ে বসে থাকব? তিন তিনটে অসহায় মানুষ দেখব না চালের বস্তা দেখব? মানুষের থেকে কি চালের বস্তা বড়ো?” ধানি লঙ্কা হয়ে ওঠে আরিফা। আহারের টান পড়তেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঠুকমুক লেগে গেল। দুজনেরই মেজাজ তেতো হয়ে উঠতে লাগল। মানুষের থেকে চাল বড়ো নয়, এটা ঠিকই, তবে এই আপদে চাল না পেলে যে মানুষগুলোও মরে বস্তা হয়ে যাবে! ক্ষুধা মনে হয় এভাবেই ধীরে ধীরে ভালোবাসার মাঝে খুটুরমুটুর লাগিয়ে সম্পর্ককে তেতো করে তোলে।
“তোরা চুপ কর। এই আকালে একে তো আপদের শেষ নেই, তার ওপর নিজেদের মধ্যে ঝগড়াঝাটি লাগিয়ে এই হাঁটুগুঁজে বাঁচাটাকে জাহান্নাম বানিয়ে দিস ন্যা।“ ভেতর থেকে হালেমার কাতর স্বর।
“আমি কি আর একবার নদীতে লাফ মেরে দেখব, বস্তাটা কোথাও আটকে আছে কি না?“ অনুমতি চাইল নুহু।
“হ্যাঁ মার, লাফ মার, চালের বস্তা গেছে, এবার তুই যা।“ চোখ গরম করল মতি।
“না, বাপ, তুই অমন কাজ করতে যাস নে। এই জায়গাটা নদী নয়, সমুদ্র, ঢের পানি, একবার নামলে কোন তলে তলিয়ে যাবি, তার হদিসও পাবি ন্যা।“ হালেমার কন্ঠ হেলে উঠল। আরিফা কিচ্ছু বলল না। চোখ ছল ছল করে ছইয়ের ভেতরে ‘দ’ মেরে বসে থাকল। একটা কষ্টের দলা ভেতর থেকে ঠেলা মেরে উঠছে। মানুষটা বলে কি, আমার দোষেই নাকি চালের বস্তাটা জলে পড়ে গেছে! আমার কি এতটুকুও জ্ঞান-বোধ নেই, যে ছেলের মা হয়ে এই আপদের সময় চালের বস্তাকে চোখের সামনে জলে পড়তে দেখেও চুপ করে থাকব? আমি সারাক্ষণ ভাবছি, কী করে ছেলেটার মুখে দুটো দানাপানি তুলে দিতে পারব, কী করে বুড়ো শশুর-শ্বাশুড়ির পেটে একগাল সেদ্ধভাত তুলে দিতে পারব? আর মানুষটা আমাকে বলছে কি না, আমি চোখের সামনে চালের বস্তাটাকে নদীতে পড়ে যেতে দেখেও কিচ্ছু বলিনি! আমি কি জানি নে, ওই চালকটা শুধু শুধু ধানসেদ্ধ চাল নয়, ওই চালকটা এই নৌকোতে থাকা মানুষকটার পেটের একমাত্র রিজিক। পেটে একগাল সেদ্ধভাত পড়লেও জান’টা ধরে বেঁচে থাকবে। এই উপরে আকাশ আর নিচে জলের জীবনে একটা সেদ্ধভাত মানে আকাশের চাঁদ পাওয়া। মানুষটা আমাকে অমন কী করে ভাবতে পারল! অমন কথা বললই বা কোন মুখে! হালেমা তার থুত্থুরে হাত’টা বৌমার পিঠে দিয়ে বলেন, “চুপো মা, চুপো। ছেলেদের কাজই হল, মেয়েদের ঘাড়ে দোষ চাপানো। শোনো মা, সব কথা মনে পুষে রাখতে হয় না। আল্লাহ দুটো কান কেন দিয়েছে, জানো? একটা কান দিয়ে শোনা আর একটা কান দিয়ে বের করে দেওয়ার জন্যে।“
কাঁথায় জড়ানো মানুষটার মুখ থেকে ‘খক’ ‘খক’ করে নলি ছেঁড়া কাশি বেরিয়ে এল। হালেমা ওদিকে চোখ ঘোরাতেই,ছইয়ের চালার ফাঁক দিয়ে ভেসে এল একটা বিকট ‘ভু’ ‘ভু’ শব্দ! নুহু নৌকোর পাটাতন থেকে তিড়িং করে লাফ মেরে বলল, “হেলিকপ্টার! হেলিকপ্টার!” মতিও জিরাফের মতো গলা তুলে ফড়িঙের মতো দুই হাত বাড়িয়ে চিৎকার করে উঠল, “খাবার খাবার।“ নুহু এবার ওপরের দিকে হাত ছুড়ে ছুড়ে আরও জোরে চিৎকার করে উঠল, “খাবার খাবার, খাবার দিন, খাবার।“
হেলিকপ্টারটা ‘ভু’ ‘ভু’ করে ডেকে বনবন করে পাখা ঘুরিয়ে চক্কর কাটতে কাটতে নৌকোটা টপকাচ্ছে। হেলিকপ্টারটা তুলনামূলকভাবে কিছুটা উঁচুতেই। যে উচ্চতায় কপ্টারটা রয়েছে সেখান থেকে নৌকোটাকে একটা ছোট্ট ডিঙির মতো লাগবে। নুহু মতিরা আগে থেকেই জানে, আকাশে ওড়া হেলিকপ্টার থেকে ত্রাণের খাবার ছুড়ে ফেলে। রাষ্ট্রসংঘের হেলিকপ্টার এই নাফ নদীর ওপরের আকাশে উড়ে উড়ে নৌকোয় আটকে থাকা মানুষের উদ্দেশে শুকনো খাবার ছুড়ে ছুড়ে ফেলে। বাংলাদেশের বিভিন্ন শরণার্থীশিবিরেও হেলিকপ্টার থেকে খাবার ছুড়ে ফেলা হয়। ঘাড় কাত করে উপরের দিকে চেঁচিয়েই যাচ্ছে নুহু আর মতি। নিচ থেকে হেলিকপ্টারটাকে একবার একটা বড়ো ঘুড়ির মতো লাগছে। আরেকবার ছোট ঢেঁকির মতো লাগছে। পাখাগুলো এতটুকুও দেখা যাচ্ছে না। কিন্তু তার ব্লেড ঘোরার ‘সাঁ’ ‘সাঁ’ শব্দ কান ফুঁড়ে ঢুকছে। হেলিকপ্টারটার বুকের আঁকিবুঁকি দেখে মনে হচ্ছে, রাষ্ট্রসংঘেরই হেলিকপ্টার। অত চোখে না পড়লেও, আঁকিবুঁকির আন্দাজ সে কথায় বলছে।

আরও একটু মাথার উপরে আসতেই, হেলিকপ্টারটার লেজটার কাঠামো অনেকটাই দেখা গেল। নুহু এবার হাঙরের মতো ঝাঁপিয়ে পড়ল। এমন করে ওপরের দিকে হাত বাড়িয়ে ঝাঁপাতে লাগল, দেখে মনে হচ্ছে, হেলিকপ্টারটাকে হাত দিয়ে ধরে টেনে নামাবে। চিৎকার করে তার গলা ছিড়ে যাওয়ার উপক্রম হল। দুই ভাইয়ের চেঁচামেচি নদীর তলার পোকারা শুনতে পেলেও, হেলিকপ্টারটার কেউ শুনতে পেলেন না! স্বামী দেউরকে লাফানো ঝাপানো, চিল-চিৎকার করতে দেখে ছইয়ের ভেতর থেকে ধড়ফড় করে বেরিয়ে এল আরিফা। সে বুদ্ধি করে একটা লালরঙের কাপড়কে শূন্যে উড়িয়ে উড়িয়ে আগোলদারি হাঁক হাঁকতে লাগল। তার মিহি স্বর বাতাস ভেদ করে হেলিকপ্টারের ধাতব গায়ে ঠক্কর লাগলেও, হেলিকপ্টারের ভেতরের কোনো মানুষের কান ছুঁল না!

এবার হাঁটু ভাঁজ করে থড়বড় করে বেরিয়ে এলেন হালেমা। জড়ানো গলায় কাঁইকুঁই করে আকাশের দিকে গলা ছাড়লেন। চারজনের সমবেত হাঁক বাঘের গর্জনের মতো বাতাস ফুঁড়লেও হেলিকপ্টারের অন্দরের কোনো মানুষকে ছুঁতে পারল না! ‘ভু’ ‘ভু’ ‘গ’ ‘গ’ ‘সাঁ’ ‘সাঁ’ করতে করতে হেলিকপ্টারটা আকাশ ফুঁড়ে নয়াপাড়ার দিকে উড়ে গেল! নুহু মতিরা হাত নাড়িয়ে চেঁচাতে চেঁচাতে একসময় তাদের ডুকরানো কণ্ঠ মিহি করে থেমে এল। যেন পেটের ভেতরের সবটুকু চিৎকার বেরিয়ে খোল হয়ে গেল। গলার চিৎকার ফুরিয়ে এলে চোখ দিয়ে গলগল করে বেরোতে থাকল অশ্রু। ফুঁপিয়ে উঠল দু-ভাই। আরিফা তার গায়ে হাত দিতেই হাউমাউ করে উঠল মতি।

আরিফার চোখও ছলছল। পেটের ক্ষিদের টানে একপেট খাবার জোগাড় করার মরিয়া চেষ্টায় দুই মানুষের মধ্যে একটু আগে হওয়া খুটুরমুটুরটা এখন বাসি। বিপদ এভাবেই মানুষের সম্পর্কের মধ্যে যেমন চিড় ধরায়, ঠিক তেমনি চিড় ধরা সম্পর্ককে জোড়ও লাগায়। আসলে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে, তখন ছোটখাট ভুলত্রুটি, রাগ-অভিমান জল হয়ে একে অপরকে আঁকড়ে ধরে। ভালোবাসা আরও গাঢ় হয়। বন্ধন পোক্ত হয়ে ওঠে। সম্পর্কের সংজ্ঞা এখানেই জীবন্ত হয়ে ওঠে। প্রকৃত রূপ-রস পায়। দেহ নামক খোলের ভেতরে ভালোবাসার একতারা বাজায় বেঁচে থাকার টিকে থাকার নিখাদ প্রেম।

চলবে...
আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>
নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৪৪

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৪৩

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৪২

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৪১

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৪০

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৯

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৮

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৭

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৬

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৫

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৪

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৩

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩২

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩১

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩০

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৯

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৮

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৭

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৬

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৫

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৪

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৩

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২২

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২১

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২০

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-১৯

এসএন

 

Header Ad

টাঙ্গাইলে আনসার সদস্যদের নির্বাচনী ডিউটি দিতে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ

আনসার সদস্যদের ক্ষোভ। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

নির্বাচন আসলেই অনিয়ম ও ঘুষ বাণিজ্যে মেতে উঠেন কিছু আনসার লিডারসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। জনপ্রতি ঘুষের পরিমাণ তিন’শ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত। এই টাকা দিলেই মিলে ডিউটি, আর না দিলে পড়ছেন বাদ। আবার টাকা দিয়েও ডিউটি না পেয়ে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

আনসার অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যোগসাজশে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ওয়ার্ড লিডার, ইউনিয়ন লিডার ও পৌরসভার ওয়ার্ড লিডারদের বিরুদ্ধে। ঘুষ নেওয়ার এমন অভিযোগ করেছেন খোদ আনসার সদস্যরাই।

এদিকে, সকল অভিযোগ অস্বীকার করে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা। জানা গেছে, দ্বিতীয় ধাপে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ২১ মে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে ৯৬৮ জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক আনসার সদস্যরা জানান, ডিউটির জন্য তাদের চাহিদা মোতাবেক টাকা না দিতে পারলে বাদ দেওয়া হচ্ছে ডিউটির তালিকা থেকে। এছাড়াও তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হলেও অফিস খরচের নামে প্রতি সদস্যদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে আরও ২০০ থেকে ৩০০ টাকা।

এ ব্যাপারে উপজেলা আনসার ও ভিডিপি অফিসার মো. শরিফ হোসেন বলেন, বিভিন্ন যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে আনসার সদস্য নিয়োগ করা হয়। যদি অফিসের কোনো কর্মচারী, ওয়ার্ড বা ইউনিয়ন লিডারের বিরুদ্ধে অনৈতিক লেনদেন অভিযোগ ওঠে তাহলে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

‘বঙ্গবন্ধু শান্তি পদক’ চালু, পুরস্কার কোটি টাকা ও স্বর্ণ পদক

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও অন্যান্য ক্ষেত্রে অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শান্তি পদক দেবে বাংলাদেশ সরকার। প্রতি ২ বছর পর একজন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান কিংবা সংস্থাকে এ পুরস্কার দেওয়া হবে। এ লক্ষ্যে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তর্জাতিক শান্তি পদক নীতিমালা-২০২৪’ এর খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

সাধারণত প্রতি দুই বছরে দেশি বা বিদেশি একজন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে একটি ক্যাটাগরিতে এই পুরস্কার দেওয়া হবে। পুরস্কারের মূল্যমান এক লাখ মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি টাকায় ১ কোটি ১৭ লাখ টাকা) এবং ৫০ গ্রাম ওজনের (চার ভরির বেশি) ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণ পদক পাবেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার (২০ মে) মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, ১৯৭৩ সালের ২৩ মে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জুলিও কুরি শান্তি পদকে ভূষিত করা হয়েছিল। এটির ৫০ বছর পূর্তি আমরা গত বছর উদযাপন করেছি। সেখানে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন যে বঙ্গবন্ধুর নামে একটি শান্তি পুরস্কার তিনি প্রবর্তন করতে চান। সেই প্রেক্ষিতে আজকে একটি নীতিমালা আমরা উপস্থাপন করেছি। মন্ত্রিসভা সেটি আজকে অনুমোদন করেছে।

‘এই নীতিমালার আওতায় বাংলাদেশ ও বিশ্বের যে কোনো প্রান্ত বা বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাকে কয়েকটি ক্ষেত্রে অবদানের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শান্তি পুরস্কার দেওয়া যাবে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখা, যুদ্ধ নিরসনে কার্যকর উদ্যোগ ও অবদান রাখা, দ্বন্দ্ব-সংঘাতময় পরিস্থিতিতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বিশ্ব গঠনে কার্যকর ভূমিকা রাখা, টেকসই সামাজিক পরিবেশগত অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে রাষ্ট্র ও সমাজের সামগ্রিক কল্যাণ সাধন—পুরস্কার দেওয়ার ক্ষেত্রে বিবেচনায় নেওয়া হবে।

পুরস্কার হিসেবে ৫০ গ্রাম ওজনের ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণের একটি পদক এবং এক লাখ মার্কিন ডলার সমপরিমাণ মূল্যের পুরস্কার দেওয়া হবে। একই সঙ্গে একটি সনদপত্র দেওয়া হবে। পুরস্কারটি প্রতি দুই বছরে একবার দেওয়া হবে।

পুরস্কার দেওয়ার ক্ষেত্রে পৃথিবীর যেকোনো দেশ থেকে প্রস্তাব নেওয়া যাবে। কারা কারা প্রস্তাব করতে পারবে নীতিমালায় সেটারও একটা বর্ণনা দেওয়া আছে। একটি দেশের সরকার, রাষ্ট্রপ্রধান বা সেই দেশের সংসদ সদস্যরা প্রস্তাব পাঠাতে পারবেন। নোবেল বা অন্য কোনো আন্তর্জাতিক শান্তি পুরস্কারপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তিও কারও নাম প্রস্তাব করতে পারবেন।

বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশি যত দূতাবাস রয়েছে সেই দূতাবাসের প্রধানরা বা আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানরা পুরস্কারের জন্য নাম প্রস্তাব করতে পারবেন। বিদেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশন বা দূতাবাসের প্রধানরাও প্রস্তাব পাঠাতে পারবেন। জাতিসংঘের কোনো সংস্থা প্রধানও নাম প্রস্তাব করতে পারবেন। কোনো ব্যক্তি নিজে পুরস্কারের জন্য দাবি জানাতে পারবেন না।

নীতিমালা অনুযায়ী একটি জুরি বোর্ড গঠন করা হবে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, জুরিবোর্ডের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। নিরপেক্ষ ও খ্যাতিসম্পন্ন লোকদের দ্বারাই জুরিবোর্ড গঠিত হবে। ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবসে পুরস্কার প্রাপ্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নাম ঘোষণা করা হবে। ২৩ মে বা কাছাকাছি সময়ে এই পুরস্কার প্রদান করা হবে।

অর্থ বিভাগে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় বাজেট বরাদ্দ দেবে। আগামী বছর (২০২৫) প্রথমবারের মতোই পুরস্কার দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

মন্ত্রিসভা থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, নীতিমালা নিয়ে কাজটি যাতে শুরু করা হয়। এটিকে যাতে পরবর্তীতে আইনে রূপান্তর করা হয়। আইনের মধ্যে একটি তহবিল তৈরি করতে বলা হয়েছে যে তহবিলে, সরকার বা বাইরের লোক যে কেউ সেখানে অনুদান দিতে পারবেন। পরে আমরা তহবিল থেকেই সেই ব্যয়ভারটা নির্বাহ করতে পারব। সেই পর্যন্ত সরকারই এই ব্যয়ভারটা বহন করবে।

রাইসির মৃত্যু আর সৌদি বাদশাহর অসুস্থতার জেরে বেড়েছে তেলের দাম!

রাইসির মৃত্যু আর সৌদি বাদশাহর অসুস্থতার জেরে বেড়েছে তেলের দাম। ছবি: সংগৃহীত

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। এ খবর এখন সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। সেই সাথে সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স বাদশাহ’র স্বাস্থ্যের সমস্যা উল্লেখ করে জাপান সফর বাতিল করেছেন।

এদিকে প্রধান তেল উৎপাদনকারী দুটি দেশের রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার জেরেই সোমবার (২০ মে) তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এক প্রতিবেদনে যুক্তরাজ্যের বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আজ বিশ্ববাজারে ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম ৪১ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে ব্যারেল প্রতি ৮৪ দশমিক ৩৯ ডলারে উঠেছে। মে মাসের ১০ তারিখের পর এটাই ব্রেন্ট ক্রুডের সর্বোচ্চ দাম।

এছাড়া ইউএস ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) ক্রুডের দাম ২৩ সেন্ট বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৮০ দশমিক ২৯ ডলারে উঠেছে। এর আগে, ১ মে এই তেলের দাম ছিল ব্যারেলপ্রতি ৮০ দশমিক ২৩ ডলার।

গতকাল আজারবাইজানের সীমান্তবর্তী এলাকায় দুই দেশের যৌথভাবে নির্মিত একটি বাঁধ উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। আর সেখানে যাওয়ার পথে বৈরি আবহাওয়ায় হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হন তিনি।

অন্যদিকে, আজ সোমবার জাপান সফরে যাওয়ার কথা ছিল সৌদি আরবের সিংহাসনের উত্তরাধিকারী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের। কিন্তু বাদশাহ সালমানের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ থাকায় যুবরাজ তার সফর বাতিল করেছেন। জাপানের মন্ত্রিপরিষদ সচিব ইয়োশিমাসা হায়াসি এক বিবৃতিতে এ কথা জানান।

বিশ্লেষকরা বলছেন, মূলত এই দুই কারণেই বিশ্ববাজারে হঠাৎ করেই বেড়ে গিয়েছে তেলের দাম।

গবেষণাপ্রতিষ্ঠান আইজি মার্কেটসের বিশ্লেষক টনি সিকামোর রয়টার্সকে বলেন, ডব্লিউটিআই ক্রুডের দাম বেড়ে যাওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে। শুধু ইরানি প্রেসিডেন্টের মৃত্যু ও সৌদি বাদশাহর স্বাস্থ্যগত কারণে নয়, চীন আবাসন খাতকে টেনে তুলতে গত সপ্তাহে যে প্রণোদনা ঘোষণা করেছে, তার প্রভাবে তেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে। চীন বিশ্বের বৃহত্তম তেল আমদানিকারক। এই দেশের চাহিদার ওপর বিশ্ববাজারে তেলের দাম অনেকাংশে নির্ভর করে।

সর্বশেষ সংবাদ

টাঙ্গাইলে আনসার সদস্যদের নির্বাচনী ডিউটি দিতে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ
‘বঙ্গবন্ধু শান্তি পদক’ চালু, পুরস্কার কোটি টাকা ও স্বর্ণ পদক
রাইসির মৃত্যু আর সৌদি বাদশাহর অসুস্থতার জেরে বেড়েছে তেলের দাম!
অস্ট্রেলিয়ায় কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত জাহিন
ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক
ভারতের নাগরিকত্ব পেয়ে প্রথমবারের মতো ভোট দিলেন অক্ষয়
রাইসির মৃত্যুতে ইরানে পাঁচ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা
৩০ ফ্রিল্যান্সিং দেশের র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান তলানিতে!
বজ্রপাতে সৈয়দপুর বিমানবন্দরের রানওয়েতে ফাটল, ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ
আইপিএলের প্লে-অফের ম্যাচগুলো কবে-কখন-কার বিপক্ষে?
ভোটারের উপস্থিতি নিয়ে ইসি উদ্বিগ্ন নয়, বললেন ইসি আলমগীর
ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসির মৃত্যুতে বিশ্বনেতাদের শোক
সুনামগঞ্জে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই ২ জনসহ নিহত ৩
ইশরাক হোসেনের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি মির্জা ফখরুলের
ইব্রাহিম রাইসি ছিলেন আমার প্রিয় একটি ভাই : এরদোগান
ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ: ওবায়দুল কাদের
ইরানের অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবার
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং তার সঙ্গীদের মরদেহ উদ্ধার
নিপুণের রিটে ডিপজলকে শিল্পী সমিতির পদে না বসতে নির্দেশ
বিল বকেয়া থাকায় রেল কার্যালয়ের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন