রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৭ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব- ১৫

যারা যুদ্ধ করেছিল

শান্তি কমিটির মেম্বর ফজলুর রহমান ভয়ঙ্কর বিরক্ত মুখে বাড়িতে আসে। তারপর রাজাকার আলিম, জহর ও গেদুকে জরুরি ভিত্তিতে ডেকে পাঠায়। রাজাকার তিনজন আসতে দেরি করছিল। ফজলুর রহমানের অস্থিরতা বেড়ে যায়। ওরা আসামাত্র ফজলুর রহমান ধমকে ওঠে, ‘কীসের ডিউটি করস? মুক্তিফৌজ কীভাবে মিলিটারি ক্যাম্প আক্রমণ করে?’

রাজাকার আলিম ঢোক গিলে বলে, ‘শালারা মনে হয় যাদু জানে। কেমনে আসে কেমনে যায় আমরা বুঝতেও পারি না মেম্বর সাব।’
ফজলুর রহমান দাঁত খিঁচিয়ে বলে, ‘মিলিটারি তোগো ডাইকা পাঠাইছে। এই কথা তাগো সামনে কইতে পারবি?’
বেটে মতো রাজাকার জহর তুতলিয়ে বলে, ‘আম-গো ডাকছে ক্যা?’
ফজলুর রহমান বলে, ‘পর পর দুই রাত মুক্তিফৌজ মিলিটারি ক্যাম্প আক্রমণ করছে। তোরা কি বইসা বইসা বাল ছেঁড়স। তাড়াতাড়ি খবর নে। দুস্কৃতিকারীরা কোন বাড়িতে আশ্রয় নেয়।’ ফজলুর রহমান গালাগালি করে ধমকে ওঠে। বোকা স্বভাবের গেদু রাজাকার বলে, ‘আমার মনে হয়, ওরা জ্বিনের মন্ত্র পইড়া আসে। তাই আমরা দেখতে পাই না।’
‘হারামজাদা কয় কী? মিলিটারি তোগো হোগার মধ্যে বন্ধুকের নল ঢুকায়া নাড়িভুড়ি বাইর কইরা দিব। খামাখা তোগো রাজাকার বানাইছে?’ ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলে ফজলুর রহমান। দম নিয়ে বিড় বিড় করে বলে, ‘আজ অল্পের জন্য জানে বাঁইচা আছি। নলসোন্দা গ্রামের বাচ্চু হাজিকে ক্যাপটেন আব্বাস খান লাত্থি দিয়া চেয়ার থাইকা ফালায়া দিছে। আমার তখন হাত পা কাঁপতে ছিল।’
‘তারে লাত্থি দিছে ক্যা?’
ফজলুর রহমান উদাস কণ্ঠে বলে, ‘ক্যাপটেনের মেজাজ ছিল চড়া। এইসময় হাজি সাহেব রসিকতা করে বলেছে, ‘স্যার, বাচ্চা পোলাপান ক্যাম্প অ্যাটাক করছে তাতে আপনারা এতো কেয়া ডরকে যাতা হায়।’
হাজি সাহেব এই কথা কওয়ার লগে লগে ক্যাপটেন সাহেবের চোখ ফাইটা যেন আগুন বাইর হচ্ছিল। উইঠা গিয়া এমন লাত্থি ঝাড়ে হাজি সাহেব কয়েক গড়ান খায়া ছিটকে বাইরে গিয়া পড়ে। ক্যাপটেন সাহেব পিস্তল বাইর করে হাজি সাহেবের বুকে ধরে। তাই দেইখা সবারই হাত-পার কাঁপুনি শুরু হয়। তার এই ব্যাঘ্র গর্জন আমরা আগে কোনোদিন দেখি নাই।’

আলিম বলে, ‘বাঁচার বুদ্ধি কন মেম্বর সাব। কী করলে তার মেজাজ ঠান্ডা হবে?’
ভাবনা মুখে ফজলুর রহমান বলে, ‘তারা যে ক্ষ্যাপা ক্ষেপছে, আমি তো বাঁচার কোনো কূল কিনারা দেখতাছি না। পারলে আমাগোরেই গুলি করে। আমিতো ভীষণ ভয় পাইছিলাম এই বুঝি বাপের দেওয়া জানটা আজ যায়।’ ফজলুর রহমান দম নিয়ে বলে, ‘একটা পথ আছে।’
‘কী পথ?’ রাজাকাররা দম ফেলে উন্মুখ হয়ে তাকায়।
‘খোঁজ নিয়া দেখ, আশে পাশের কোনো গ্রামে আওয়ামী লীগ কিংবা কোনো হিন্দুর সুন্দরী মেয়ে আছে কিনা? থাকলে তাকে ক্যাম্পে দিয়া আয়। শুনছি ক্যাপটেন সাহেবের মাইয়া নেশা আছে। সুন্দরী মেয়ে দেখলে ক্যাপ্টেনের মেজাজ ঠান্ডা হতে পারে।’
গেদু রাজাকার বলে, ‘নদীর ওপার রাধানগর গ্রামে এক হিন্দুর সুন্দরী মেয়ে আছে।’
‘ওই হিন্দুর নাম কী?
‘কালিপদ রায়।’
‘কালিপদ মাস্টার?’ ফজলুর রহমান জিজ্ঞেস করে।
গেদু বলে, ‘হ কালিপদ মাস্টার।’
‘তাইলে আর দেরি করিস না। আজই ওই মালাউনের মেয়েকে ধইরা ক্যাম্পে দিয়া আয়।’

ফজলুর রহমানের এই আদেশ পেয়ে রাজাকাররা আর দেরি করে না। তারা তৎক্ষণাৎ বেরিয়ে যায়। ফজলুর রহমান আয়েশ করে চেয়ারে হেলান দিয়ে চোখ বন্ধ করে থাকে। এইসময় সাকিব ঢুকে রুমে। সে এতক্ষণ আড়াল থেকে সবই শুনেছে। সাকিব ফজলুর রহমানের কাছে গিয়ে বলে, ‘আব্বা, আপনি কালিপদ স্যারের মেয়েকে ক্যাম্পে দিতে বললেন?’
‘হ্যা। অসুবিধে কী?’
‘উনি আমার শিক্ষক। খুবই ভালো মানুষ।’
‘সে মালাউন। মালাউনরা কোনোদিন ভালো হয় না। ওরা মুশরিক কাফের। ওরা ইসলামের শত্রু। যতক্ষণ ওরা ইসলাম গ্রহণ না করবে ততক্ষণ ওরা মুসলমানদের শত্রু। ওদের হত্যা করার বিধান দিয়েছেন আল্লাহপাক।’ ফজলুর রহমান এই কথা বলে রুম থেকে বেরিয়ে যায়। সাকিবের মনটা ভীষণ খারাপ হয়। স্যারের মতো সজ্জন অমায়িক মানুষের মেয়েকে মিলিটারি ক্যাম্পে দেওয়াটা সাকিব মেনে নিতে পারছে না। বাধা দিতে গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে। রাজাকাররা সাথীর কথা মিলিটারিকে জানিয়ে দিতে পারে। তার এই স্বপ্নময় দিনের অবসান হয়ে যাবে। দুস্কৃতিকারির বোনকে আশ্রয় দেওয়ার অপরাধে জীবনটাও চলে যেতে পারে। সাকিব ভেবে পাচ্ছে না এখন সে কী করবে।
ঘণ্টা খানেকের মধ্যে এলাকায় প্রচার হয়ে যায় রাধানগর গ্রামের কালিপদ মাস্টার এবং তার স্ত্রীকে গুলি করে মেরে তার কলেজ পড়ুয়া ছোটমেয়ে হৈমন্তিকে তুলে নিয়ে গেছে রাজাকাররা। বড় মেয়ে শুক্লা ও একমাত্র ছেলে জীবন কুমার অনেক আগেই কোলকাতা চলে গেছে। বাবা কালিপদ ও মাকেও নিতে চেয়েছিল তারা। কালিপদ রায় রাজী হননি। বলেছেন, ‘জন্মভূমি ছেড়ে তিনি কোথাও যাবেন না।’
যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে চিঠি লিখে বড় মেয়ে শুক্লা বার বার অনুরোধ করেছে বাংলাদেশের পরিস্থিতি ভীষণ ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে। তুমি সবাইকে নিয়ে আমাদের এখানে চলে এসো। কালিপদ রায় জবাবে বলেছেন, ‘মরলে তিনি জন্মভূমিতেই মরবেন। তবু জন্মভূমি ছেড়ে কোথাও যাবেন না।’

ঘটনাটা যেই শুনছে সেই আফসোস করছে। অত্যন্ত সজ্জন অমায়িক ব্যক্তি বাবু কালিপদ। দীর্ঘদিন রতনকান্দি হাইস্কুলে প্রধান শিক্ষক ছিলেন। অবসরে সকাল বিকেল ছাত্র পড়িয়ে এখন সময় কাটান।
কেউ কেউ রাজাকারদের অভিসম্পাত করছেন। জোহা তালুকদার বার বার আফসোস করছেন। তিনি আদমজি জুট মিলের ম্যানেজার। ২৫ মার্চ পাকিস্তানিরা গণহত্যা শুরু করলে জোহা তালুকদার পরিবার নিয়ে পালিয়ে বাড়ি চলে আসেন। তিনি কান্না গলায় বার বার বলছিলেন, ‘উনি আমার শিক্ষক ছিলেন। এমন মহাজ্ঞানী শিক্ষক, এমন ভালো মানুষ আমার জীবনে আর পাইনি। অংকের জাহাজ বলা হতো তাকে।’
স্ত্রী সাহারাকে বললেন, ‘তাঁর সম্পর্কে একটা মিথ চালু আছে, জানো? আমরা শুনেছি, একবার স্কুলে ইন্সপেক্টর এসেছে। তখন তিনি ক্লাস নাইনে অ্যালজেব্রা করাচ্ছেন। ব্ল্যাকবোর্ডে তিনি অংকটি লিখছিলেন, সেইসময় ইন্সপেক্টর তাঁর ক্লাসে ঢুকে পড়েন।
ইন্সপেক্টর জিজ্ঞেস করেন, ‘কী করাচ্ছেন আপনি?’
কালিপদ স্যার বলেন, ‘স্যার অ্যালজেব্রা করাচ্ছি।’
ইন্সপেক্টর ব্ল্যাকবোর্ডের দিকে তাকিয়ে কালিপদ স্যারের করা অংকটি দেখে বিরক্ত মুখে বললেন, ‘আপনিতো ভুল অংক করাচ্ছেন।’
ইন্সপেক্টরের এই কথায় কালিপদ স্যারের ইগোতে লাগে। তিনি মনে মনে ভীষণ রেগে যান। তারপর তিনি ইন্সপেক্টরকে বিনীত ভাবে তার আসনে বসতে বলেন। অংকটি এক নম্বর দুই নম্বর দিয়ে মোট নয় নম্বর পর্যন্ত লিখলেন ব্ল্যাকবোর্ডে।
ইন্সপেক্টর অবাক হয়ে বললেন, ‘এ কী করছেন আপনি? কালিপদ বাবু বললেন, ‘স্যার, এই অংকটি আমি নয় ধরনের ফর্মুলায় করেছি।’
‘কেন?’
‘এক নম্বর ফর্মুলা হলো ক্লাস সেভেনের ছাত্রদের জন্য। দুই নম্বর হলো ক্লাস এইটের ছাত্রদের জন্য। তিন নম্বর হলো ক্লাস নাইনের ছাত্রদের জন্য। চার নম্বর হলো ক্লাস টেনের ছাত্রদের জন্য। পাঁচ নম্বর হলো কলেজের ফার্স্ট ইয়ারের জন্য। ছয় নম্বর হলো সেকেন্ড ইয়ারের জন্য। সাত নম্বর হলো বিএসসি ছাত্রদের জন্য। আট নম্বর হলো এমএসসি ছাত্রদের জন্য আর নয় নম্বর হলো আপনার মতো ইনসপেক্টরের জন্য।’

কালিপদ স্যারের এই কথায় ইন্সপেক্টর সাহেব রেগে-মেগে চলে যান। গিয়ে তিনি স্কুলের ডেভলপমেন্ট ফান্ড বন্ধ করে দেন।
তাতে কালিপদ বাবু দমে যাননি। তার অংক ভুল এই কথা তিনি মেনে নিতে পারেননি। কোলকাতা শিক্ষা বোর্ডে তিনি অংকে একশোতে একশো পেয়েছিলেন। কোলকাতা শিক্ষা বোর্ড তাঁকে স্বর্ণপদক দিয়ে সম্মানিত করেছিল। অবসর নেওয়ার পর ছাত্রদের অনুরোধে সকাল বিকেল কয়েক ব্যাজ ছাত্রকে অংক শিখাতেন। সেই দেবতুল্য মানুষটিকে রাজাকাররা গুলি করে মেরেছে। এই কষ্টে জোহা তালুকদার অস্থির হয়ে পড়েছেন।
রাজাকাররা তার মেয়ে হৈমন্তিকে ধরে নিয়ে যাবার সময় তার স্ত্রীসহ ওদের সামনে এসে দাঁড়ালে আলিম রাজাকার দুইজনকে গুলি করে মেরে ফেলে। গুলি শব্দে কেউ তাদের সামনে এগিয়ে আসতে সাহস পায়নি। কালিপদ বাবুর মাথায় গুলি করে আলিম। সঙ্গে সঙ্গে মগজ ছিটকে বেরিয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়। কালিপদ বাবুর স্ত্রীর বুকে গুলি করে। সে অনেকক্ষণ জল জল বলে গোঙরাতে থাকে। গুলির শব্দে ভয়ে প্রতিবেশিরা পালিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর সেও মারা যায় জল না পেয়ে।
প্রতিবেশিরা লাশ ঘিরে নিঃশব্দে চোখের জল ফেলতে থাকে। কেউ বলে, ‘রিস্ক নিয়ে তার এইসময় বাংলাদেশে থাকা ঠিক হয়নি।’
কেউ বলে, ‘তার ছাত্ররা যারা মুক্তিযুদ্ধে গেছে তারা এই ব্যাপারটা মেনে নেবে না। তারা চরম প্রতিশোধ নেবে।’
হৈমন্তিকে চোখ বেঁধে মুখে কাপড় গুজে টেনে-হিচড়ে নিয়ে আসে রাজাকার আলিমের বাড়িতে। আলিমের বউ বাপের বাড়ি গেছে। স্বামী রাজাকারের দলে ভর্তি হয়েছে এটা সে মেনে নিতে পারেনি।
ফাঁকা বাড়িতে দুইজন হৈমন্তিকে চেপে ধরে রাখে। হৈমন্তি প্রাণপণ চেষ্টা করে ওদের হাত থেকে ছুটতে। না পেরে সে ওদের পা জড়িয়ে ধরে ছেড়ে দেওয়ার জন্য। প্রথমে আলিম তাকে ধর্ষণ করে। তারপর বাকি দুজন পালাক্রমে ধর্ষণ করে। তারপর রাতে তাকে নিয়ে যায় ক্যাম্পে। তখনো বার বার হৈমন্তি তাদের পা জড়িয়ে ধরছিল।

ক্যাপ্টেন আব্বাস খান হৈমন্তিকে দেখে মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে থাকে। বোঝা যায় হৈমন্তিকে তার ভীষণ পছন্দ হয়েছে। হৈমন্তি পছন্দ হওয়ার মতো মেয়ে। তার দুধে আলতা গায়ের রং। টানা চোখ জোড়ায় মায়াবি আকর্ষণ। দৃষ্টি কাড়া শরীর। ক্যাপ্টেন আব্বাস খান আর দেরি করে না। হাসি মুখে হৈমন্তির হাত ধরে নিজের রুমে নিয়ে যায়। আলিমরা সালাম দিয়ে খুশি মনে চলে আসে।
রাতে গ্রামে ফিরে সোজা চলে যায় শান্তি কমিটির মেম্বর ফজলুর রহমানের বাড়িতে। সব শুনে ফজলুর রহমান তৃপ্তির নিঃশ্বাস ফেলে। ধন্যবাদ দেয় রাজাকারদের। বলে, ‘তোদের চাকরি আজ থেকে স্থায়ী হলো। এখন বাড়ি গিয়া আরাম কইরা ঘুমা।’
তারপর তিন রাজাকার ফিরে আসে আলিমের বাড়িতে। রাতে তারা একসঙ্গে আনন্দ ফূর্তি করে কাটাবে। এই ভাবনায় তারা আলিমের বাড়িতে ভালো খানাপিনার আয়োজন করে। পাশের বাড়ির এক বুড়ি চাচিকে ডেকে নিয়ে আসে। তাকে রান্নার দায়িত্ব দেয়। তাদের মন ভীষণ ফুরফুরে। ক্যাপ্টেন সাহেবকে তারা খুশি করতে পেরেছে। তার উপর হিন্দু নারী ভোগ করে অসীম ছোয়াবের ভাগীও হয়েছে। সেই আনন্দে তারা আত্মহারা।
মুরগির মাংস আর ভূনা খিচুড়ি খেয়ে অনেক মজা করে গভীর রাতে তারা শুয়ে পড়ে।

চলবে...
আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>
যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-১৪

 

 

Header Ad
Header Ad

  সংকট কাটছে, মেট্রোর যাত্রীদের সুখবর দিল ডিএমটিসিএল

ছবি: সংগৃহীত

সিঙ্গেল জার্নির টিকিট নিয়ে সমস্যা চলছিল রাজধানীর মেট্রোরেলে। এবার মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) জানিয়েছে, এই সংকট কেটে যাচ্ছে। মেট্রোরেলের সিঙ্গেল জার্নির টিকিট সংকট আর থাকছে না।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) প্রতিষ্ঠানটি তাদের ফেসবুক পেজে করা এক স্ট্যাটাসে এ সুখবরের কথা জানায়।

স্ট্যাটাসে বলা হয়, মেট্রোরেলের সম্মানিত যাত্রীদের জন্য সুসংবাদ। মেট্রোলের সম্মানিত যাত্রীদের জানানো যাচ্ছে যে, ২১ ডিসেম্বর থেকে মেট্রোরেল স্টেশনগুলো থেকে চাহিদামতো সিঙ্গেল জার্নি টিকিট বিক্রয় করা হচ্ছে।

এতে আরও বলা হয়, পাশাপাশি র‍্যাপিড পাসও বিক্রয় এবং রিচার্জ করা হচ্ছে। এমআরটি পাসও রিচার্জ করা হচ্ছে। আপনারা সানন্দে মেট্রোরেল ভ্রমণ করুন। এছাড়া ডিএমটিসিএল পরিবারের পক্ষ থেকে সবার সার্বিক সহযোগিতার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানো হয়।

প্রসঙ্গত, এর আগে মেট্রোরেলের ভাড়া পরিশোধের কার্ডের সংকটে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে যাত্রীদের। একক যাত্রার কার্ড না থাকায় অনেক স্টেশন থেকে যাত্রীদের ফিরে যেতে হয়েছে। আবার সরবরাহ না থাকায় স্থায়ী কার্ড বা এমআরটি পাস বিক্রিও একেবারে বন্ধ ছিল।

Header Ad
Header Ad

অনূর্ধ্ব-১৯ নারী এশিয়া কাপ:

ভারতের বিপক্ষে ১১৮ রান করলেই এশিয়া কাপ ঘরে উঠবে বাংলাদেশ

ছবি: সংগৃহীত

চলতি মাসেই ছেলেদের অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশের যুবারা। এবার অনূর্ধ্ব-১৯ নারী এশিয়া কাপের ফাইনালে মুখোমুখি বাংলাদেশ-ভারত। যেখানে আগে ব্যাট করা ভারত গোঙ্গাদি তৃষার ফিফটিতে টাইগ্রেসদের ১১৮ রানের লক্ষ্য দিয়েছে ভারত। বাংলাদেশি পেসার ফারজানা ইয়াসমিন সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নিয়েছেন।

অনূর্ধ্ব-১৯ নারী এশিয়া কাপের পুরো আয়োজন হয়েছে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে। একই ভেন্যু বায়েওমাস স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চলছে শিরোপানির্ধারণী ম্যাচ। টস জিতে এদিন ভারতকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠান বাংলাদেশ অধিনায়ক সুমাইয়া আক্তার। শুরু থেকেই ভারতীয়দের চেপে ধরেন বাংলাদেশি বোলাররা। একের পর এক উইকেট তুলে নিলেও একপ্রান্ত আগলে রেখে ভারতকে লড়াকু পুঁজি এনে দেন তৃষা।

বিস্তারিত আসছে.......

Header Ad
Header Ad

বিরামপুরে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ

শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ। ছবি: সংগৃহীত

দিনাজপুর জেলার বিরামপুরে উপজেলা বিএনপি, পৌর বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে বিরামপুর পাইলট হাইস্কুল মাঠে দুস্থ শীর্তাতদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন প্রধান অতিথি বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকালে বিরামপুর পাইলট হাইস্কুল মাঠে এই শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

পৌর বিএনপি’র সভাপতি হুমায়ূন কবিরের সভাপতিত্বে ও পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজু'র সঞ্চালনায় দুস্থ শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। এসময় বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, দিনাজপুর জেলা বিএনপির সদস্য ও নবাবগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মকবুলার রহমান গোর্কি, দিনাজপুর জেলা বিএনপির অন্যতম সদস্য তোছাদ্দেক হোসেন তোছা,উপজেলা বিএনপি সভাপতি মিজ্ঞা শফিকুল ইসলাম মামুন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বিরামপুর উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও মুকুন্দপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জোবয়াদুর রহমান জুয়েল,উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব এ‍্যাড. মিঞা শিরন আলম, বিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মমতাজুল হক, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক জীবন চৌধুরী শাহীন, পৌর যুবদলের সদস্য সচিব পলাশ বিন আশরাফী পলাশ সহ বিরামপুর উপজেলা বিএনপি,পৌর, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড বিএনপি এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের অনেক নেতা-কর্মীবৃন্দ'র পাশাপাশি স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অপরদিকে বিরামপুর উপজেলা পলিপ্রায়গ ইউনিয়নের টাটকপুর মাদ্রাসা মাঠে উপজেলা বিএনপি সভাপতি মিজ্ঞা শফিকুল ইসলাম মামুনের সভাপতিত্বে ও বিরামপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর এলাহী চৌধুরী রুবেল'র সঞ্চালনায় ছিন্নমূল, অসহায়, হতদরিদ্র ও দুস্থদের মাঝে প্রধান অতিথি বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ করেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

  সংকট কাটছে, মেট্রোর যাত্রীদের সুখবর দিল ডিএমটিসিএল
ভারতের বিপক্ষে ১১৮ রান করলেই এশিয়া কাপ ঘরে উঠবে বাংলাদেশ
বিরামপুরে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ
টাঙ্গাইলে আ.লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম আটক
শেখ হাসিনা নিজ হাতে তার বাবাকে দ্বিতীয়বার হত্যা করেছে: গয়েশ্বর
চুয়াডাঙ্গায় অবৈধ যানবাহন বন্ধ না হলে গণপরিবহন বন্ধের ঘোষণা
জুমার দিনে ফিলিস্তিনের মসজিদে আগুন দিল ইসরায়েলিরা
গাইবান্ধায় বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ, আহত অন্তত ১০
আশ্বস্ত করছি বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দেবে না: প্রধান উপদেষ্টা
সত্যি কি থাপ্পড় মেরেছিলেন শাহরুখ, ৯ বছর পর মুখ খুললেন হানি সিং
মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তর, বগুড়ার শ্রাবণী এখন শ্রাবণ
বাড়ি ফেরার পথে সড়কে ঝরে গেল বাবা-ছেলের প্রাণ
ছাত্রলীগ নেতা মুক্তাদির শিক্ষার্থীদের হাতে আটক, থানায় সোপর্দ
এ দেশে মেজরিটি–মাইনরিটি বলে কিছু নেই: জামায়াতের আমির
আজ বছরের দীর্ঘতম রাত, সবচেয়ে ছোট দিন আগামীকাল
রাজনীতিবিদকে বিয়ে করতে চান ফারজানা সিঁথি
গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা পেয়েছে কমিশন
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ
পাকিস্তানে জঙ্গি হামলায় ১৬ সেনা নিহত
বাধ্যতামূলক অবসরপ্রাপ্ত সচিব ইসমাইল বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার