রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৭ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-১৪

যারা যুদ্ধ করেছিল

আমিনের হাতে গুলি লেগেছে গত যুদ্ধে। সেই থেকে মমিনের ভীষণ মন খারাপ। আমিন অত্যন্ত সাহসী যোদ্ধা। তার আহত হওয়াকে দলের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি বলে মমিন মনে করছে। কষ্টের খবর হলো এখনো আমিনের হাতে ব্যান্ডেজ বাঁধা সম্ভব হয়নি। আশেপাশে ভালো ডাক্তার পাওয়া যাচ্ছে না। গুলি লাগা স্থানে গামছা দিয়ে চেপে বেঁধে রেখেছে। তাতে রক্তপড়া বন্ধ হচ্ছে না। কিছুক্ষণ পর পর গামছা ভিজে উঠছে।

মমিনের দুশ্চিন্তা বাড়ছে। শেষ পর্যন্ত ব্যাপারটা খারাপের দিকে না যায়। মমিন আমিনের মাথায় হাত বুলিয়ে জিজ্ঞেস করে, ‘এখন কেমন লাগছে?’
‘মমিন ভাই। আমাকে নিয়ে আপনাকে বেশি ভাবতে হবে না। আমি ভালো আছি।’
‘না। তুমি ভালো নেই।’ মমিন জোর দিয়ে বলে।
‘রক্ত পড়া বন্ধ করতে না পারলে যে কোনো মুহূর্তে বিপদ হতে পারে।’
‘আপনি চিন্তা করবেন না মমিন ভাই। কিছুক্ষণ পর দেখবেন আপনা আপনি রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে গেছে।’

আমিনের কথা গুরুত্ব না দিয়ে বাড়ির কর্তাকে ডেকে পাঠালো মমিন। মাঝারি বয়সের বাড়ির কর্তা আবুল সরকার এসে সালাম দিয়ে দাঁড়ায়। তার চোখে মুখে ভয়ের ছাপ। মমিন তাকে জিজ্ঞেস করে, ‘আশেপাশের গ্রামে কোনো ডাক্তার আছে চাচা মিয়া?’
আবুল হোসেন প্রশ্ন শুনে ভাবতে থাকে। এইসময় সেখানে উপস্থিত মন্টু নামের এক কিশোর নিজের থেকেই বলে ওঠে, ‘দুই গ্রাম পরে একজন ভালো ডাক্তার আছে।’
‘তুমি চেন সেই গ্রাম?’ মমিন জিজ্ঞেস করে।
মন্টু বলে, ‘হ্যা চিনি। গ্রাম চিনি, সেই ডাক্তারকেও চিনি। সে আমাদের আত্মীয়। সে ঢাকায় ডাক্তারি পড়ে।’

এই খবরে মমিনের মুখ দীপ্তময় হয়ে ওঠে। বলে, ‘তুমি যেতে পারবে তাকে খবর দিতে?’
‘হ্যা পারবো।’
‘কিভাবে যাবে?’
‘সাইকেল নিয়ে যাব।’
মমিন এবার ছেলেটির বৃত্তান্ত জানতে বাড়ির মালিক আবুল হোসেনকে ডেকে আড়ালে নিয়ে যায়। জিজ্ঞেস করে, ওই ছেলেকে সে চেনে কি না?

বাড়ির মালিক আবুল হোসেন বলে, ‘হ্যা। ওকে চিনি। আমার ভাস্তির ছেলে। শহরে থাকে। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে শহর থেকে পালিয়ে এসে এখন এখানেই থাকে। ওর মা থাকে শশুর বাড়ি। আর মন্টু থাকে নানার বাড়ি।’

পরে মন্টুকে সাইকেলসহ পাঠিয়ে দেওয়া হলো। তাকে আরও বলা হলো ডাক্তারকে সে গোপনে বলবে, একজন মুক্তিযোদ্ধার হাতে গুলি লেগেছে। রক্ত বন্ধ হচ্ছে না। তার জন্য যা যা করতে হবে তিনি যেন সব প্রস্তুতি নিয়ে আসেন। মন্টু অতি উৎসাহে রওনা দেয়। এই ধরনের কাজে যেতে পেরে সেও ভীষণ উৎফুল্ল। যেন সে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে পেরেছে। এটা তার জীবনের একটা রেকর্ড। বিশেষ স্মৃতি।

ঘণ্টা খানেকের মধ্যে একজন তরুণকে নিয়ে মন্টু হাজির। মমিন তরুণকে গভীরভাবে খেয়াল করে। ইশারায় কাছে ডাকে। জিজ্ঞেস করে, ‘আপনি কি ডাক্তার?’
‘আমি এখনো ডাক্তার হইনি। এমবিবিএস ফাইনাল ইয়ারে আছি।’ তরুণ ডাক্তার সমীহ ভঙ্গিতে বললো।
মমিন বললো, ‘চলবে। আপনি দেখেনতো আমাদের একজন যোদ্ধার হাতে গুলি লেগেছে। রক্ত পড়া বন্ধ হচ্ছে না। দেখুনতো কি করা যায়।’
তরুণ ডাক্তারকে আমিনের কাছে আনা হলো। সে গামছা পেঁচানো জায়গা আলগা করে সেখানে ভালো করে পরীক্ষা করে বললো, ‘দুটো ইনজেকশন দিতে হবে।’
‘ইনজেকশন আপনার কাছে নেই?’ মমিন জিজ্ঞেস করলো।
‘জ্বি না।’
‘কোথায় পাওয়া যাবে?’
ছোটখাটো ফার্মেসিতে পাবেন না। আমি লিখে দিচ্ছি। কাউকে রায়গঞ্জ বাজারে পাঠিয়ে ওটা নিয়ে আসতে হবে। ইনজেকশন দিতে না পরলে ঘা শুকাতে সময় লাগবে। এমন কি অসুখ অন্যদিকে মোড় নিতে পারে।’ কথা বলতে বলতে গুলি লাগা জায়গায় এন্টি সেফটিক দিয়ে ওয়াশ করেন তরুণ ডাক্তার। তারপর আমিনকে জিজ্ঞেস করে, ‘ব্যথা করে?’
‘ভীষণ।’ আমিন বলেই হেসে ফেলে। ডাক্তার অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে। ব্যথা করে এটাতে হাসির কি হলো? ব্যথাকেও এই মানুষগুলো অতি তুচ্ছ মনে করে। এরাই প্রকৃত যোদ্ধা। এমন নির্বিকার না হলে তারা যুদ্ধ করার সাহস পেত না।
মমিন বললো, ‘ইয়ং ডাক্তার, আপনি আমাদের একটু হেল্প করুন।’
‘বলুন। কি করতে হবে?’
‘এই ইনজেকশন কীভাবে, কোথা থেকে পাব আমরা?’
‘ওইতো বললাম, রায়গঞ্জ বাজার থেকে সংগ্রহ করতে হবে।
তরুণ ডাক্তার আরও বলে, ‘কাছেই রায়গঞ্জ বাজার। সেখানে হেলাল ফার্মেসি আছে। ফার্মেসিতে গিয়ে আমার নাম বললেই তারা আর কিছু বলবে না।’
‘আপনার নাম বলতে হবে কেন? তারা কি এই ওষুধটা সবার কাছে বিক্রি করে না?’
‘না।’
‘কেন?’
‘এই ওষুধটা দুস্প্রাপ্য। ইমার্জেন্সি না হলে ওরা ওষুধটা বিক্রি করে না। বিশেষ করে আহত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য তারা এটা সরবরাহ করে থাকে। কোনো রাজাকার গিয়ে মাথা কুটলেও ওরা রাজী হবে না। বলবে ওষুধ নাই।’

মমিন তাকে থামিয়ে দিয়ে বলে, ‘অতো কথার দরকার নেই। আপনি দুলাইন চিঠি লিখে দেন।’ তরুণ ডাক্তার চিঠি লিখে মমিনের হাতে দেয়। মমিন নিয়ে পড়ে। তারপর সে চিন্তিত মুখে নিজে নিজে বলে, কাকে পাঠানো যায়?
মন্টু আগের মতো উৎসাহ নিয়ে বলে, ‘আমাকে দেন। আমি নিয়ে আসবো।’
‘তুই পাারবি?’ তরুণ ডাক্তার সংশয় নিয়ে প্রশ্ন করে।
মন্টু জোর দিয়ে বলে, ‘অবশ্যই পারবো। কতদিন আমি একাই বাজারে গেছি।’

বাজারে রাজাকারদের ক্যাম্প আছে। প্রাপ্ত বয়স্ক কাউকে পাঠালে রাজাকাররা নানা জেরা করতে পারে। সন্দেহ হলে ধরে বেঁধে রাখতে পারে। মন্টু বয়সে ছোট। ওকে সন্দেহ করবে না।
তরুণ ডাক্তার পকেট থেকে টাকা বের করে মন্টুর হাতে দেয়। মমিন বাধা দিলে তরুণ ডাক্তার বলে, ‘আমাকে এইটুকু সহযোগিতা করার সুযোগ দিন প্লিজ। আপনারা জীবন দিতে প্রস্তুত আমরাতো কিছুই করতে পারছি না। একজন আহত যোদ্ধাকে সামান্য সেবা করার সুযোগ থেকে আমাকে বঞ্চিত করবেন না।’

আবেগে ডাক্তারের চোখ জোড়া টলমল করছে দেখে মমিন আর কথা বাড়ায় না। টাকা নিয়ে মন্টু চিলের মতো উড়ে চলে যায়।
তরুণ ডাক্তার এবং মমিন নিঃশব্দে বসে আছে। ঘরের এক কোণে আমিন একটি চৌকিতে একা শুয়ে আছে। পাশে মজনু বসে আস্তে আস্তে কথা বলছে।
হঠাৎ তরুণ ডাক্তার মমিনকে বলে, ‘একটা কথা জিজ্ঞেস করবো? রাগ করবেন নাতো?’
‘কি কথা?’
‘যুদ্ধের গতি প্রকৃতি কেমন বুঝছেন? কতদিন এই যুদ্ধ চলবে?’

মমিন হাসি মুখে বলে, ‘সেটাতো আপনারাই ভালো বলতে পারবেন। আমরাতো অন্ধকারে আছি। যুদ্ধের কোনো খবরই আমরা জানি না। আপনারা নিশ্চয়ই বিবিসি আকাশবাণী স্বাধীনবাংলা বেতারকেন্দ্র শোনেন। আমাদের কিছুই শোনার সুযোগ নেই। যুদ্ধের গতি প্রকৃতি আপনাদেরই ভালো জানার কথা।’
‘সে কথা আপনি ভুল বলেননি। আমি নিয়মিত বিবিসি এবং স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র শুনি।’
‘তাহলে এবার আপনি বলুন যুদ্ধের মোড় কোনদিকে যাচ্ছে? আমরা কি শুধু শুধু বন বাদাড়ে ছুটছি নাকি এর কোনো ফ্রুটফুল রেজাল্ট আছে?’
তরুণ ডাক্তার জবাব দিতে থমকে যায়। যুদ্ধ নিয়ে তার কোনো অভিজ্ঞতা নেই। তবে বিভিন্ন রণাঙ্গনে মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণ তীব্র হচ্ছে। অনেক স্থানে পাকবাহিনী পর্যুদুস্ত হচ্ছে। পাকিস্তানি মিলিটারি বেঘোরে মারা যাচ্ছে মুক্তিবাহিনীর হাতে। খবরে শোনা কথাগুলো গুছিয়ে বলে তরুণ ডাক্তার। তার বলার ধরন দেখে মমিন মুগ্ধ হয়ে শোনে। বলে, ‘ডাক্তার সাহেব, তাহলে আমরা কি আশাবাদী হতে পারি দেশ স্বাধীন হবে?’ শেখ হাবিব নামের এই সুদর্শন তরুণ ডাক্তার উচ্ছ্বসিত ভঙ্গিতে বলে, ‘অবশ্যই আমি আশাবাদী।’
মমিন বলে, তাহলে আপনি যুদ্ধের গতি প্রকৃতি নিয়ে আমাকে প্রশ্ন করেছিলেন কেন?’
ডাক্তার হাবিব বলে, ‘আপনাদের মুখে শুনলে মনে বড় জোর পাই।’
‘কেন?’
‘আপনারা জাতির সাহসী সন্তান।’
‘আপনার সাহস নেই?’
‘আপনাদের মতো আমার অতো সাহস নেই। থাকলে অবশ্যই যুদ্ধে যেতাম।’

মমিন হেসে ডাক্তার হাবিবের দিকে তাকালে হাবিব লাজুক ভঙ্গিতে মাথা নামিয়ে নেয়। তাদের কথার মাঝেই মন্টু এসে হাজির। খুব দ্রুত গতিতে এসে পড়েছে মন্টু। হাঁপাচ্ছে। ডাক্তার হাবিব জিজ্ঞেস করে, ‘সব ওষুধ আনতে পেরেছ?’
‘জ্বি। সব ওষুধ আনতে পেরেছি।
ডাক্তার হাবিব আর দেরি করে না। এমনিতে অনেক দেরি হয়ে গেছে। ওষুধ আরও আগে দিতে পারলে ভালো হতো। মন্টুর কাছ থেকে ওষুধ নিয়ে হাবিব আমিনের কাছে যায়। হাবিব যখন ইনজেকশনে ওষুধ ভরছিল আমিন বলে ওঠে, ‘ব্যথা পাবো নাতো? ইনজেকশন দেখে আমার কিন্তু ভীষণ ভয় করে।’

এই কথায় হাবিব হাসতে থাকে। বলে, ‘আপনি মিলিটারির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে ভয় পান না। সামান্য ইনজেকশন নিতে ভয় পাচ্ছে? অবাক কাণ্ড!’

মমিন পাশে দাঁড়িয়ে বললো, ‘পাগলামি করো না আমিন। লক্ষ্মী ছেলের মতো চুপচাপ শুয়ে থাকো। ইনজেকশনটা তোমার জন্য বিশেষ প্রয়োজন। দুজনের কথার মধ্যে হাবিবের ইনজেকশন দেওয়া শেষ।

মমিন অবাক হয়ে বলে, ‘হয়ে গেছে!’
হাবিব বলে, জ্বি
‘কিরে আমিন, তুই কি কিছু বুঝতে পেরেছিস?’ মমিন জিজ্ঞেস করে।
আমিন বলে, ‘না।’
‘তবে যে বললি ইনজেকশন দেখে ভয় করে?’
‘মজা করেছি।’ সবাই এবার হেসে ওঠে।
হাবিব যাওয়ার অনুমতি চায়। মমিন বলে, ‘আপনি কি আজ রাতে আর একবার আসতে পারবেন? লাস্ট অবস্থাটা দেখে গেলেন।’
‘অবশ্যই আসতে পারবো। সামান্য এইটুকু সেবা করতে পারাও আমার জন্য অনেক কিছু।’
‘রাত দশটার মধ্যে আসবেন।’
‘আপনারা কি রাতে এখান থেকে চলে যাবেন?’
‘প্রশ্ন না করে যা বলছি তাই করবেন।’
হাবিব আর কথা না বাড়িয়ে ঘরের বাইরে চলে যায়। সঙ্গে মন্টুও যেতে থাকে।

দুপুরে খাওয়ার পর মমিন বিছানায় গড়িয়ে নিচ্ছিল। এইসময় তার চোখের পাতা এক হয়ে এসেছে মাত্র সেইসময় রকিব এসে ঘরে ঢোকে। মমিনকে ডাকে। মমিন লাফিয়ে ওঠে। রকিবকে দেখে ইশারায় কাছে আসতে বলে। পাশে বসিয়ে জিজ্ঞেস করে, ‘বাড়ির খবর কী? মা কেমন আছে? বাবা?’
রকিব বিমর্ষ মুখে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকে। মমিন আবার জিজ্ঞেস করে। রকিব তবু কিছু বলে না। মমিন এবার ধমকে ওঠে, ‘কি হয়েছে? কথা বলছিস না কেন?’
রকিব সাথীর চিঠিটা মমিনের হাতে দিয়ে ঘরের বাইরে চলে যায়। মমিন চিঠি পড়ে থ হয়ে বসে থাকে। তার কপাল বেয়ে ঘাম ঝরতে থাকে। রাগে ঘরময় পায়চারী করে। রুমের বাকি যোদ্ধারা আতঙ্কিত মুখে তাকিয়ে থাকে।

চলবে…

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-১৩

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-১২

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-১১

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-১০ 

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৯

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৮

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৭

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৬

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৫

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৪

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৩

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-২

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-১

আরএ/

Header Ad
Header Ad

  সংকট কাটছে, মেট্রোর যাত্রীদের সুখবর দিল ডিএমটিসিএল

ছবি: সংগৃহীত

সিঙ্গেল জার্নির টিকিট নিয়ে সমস্যা চলছিল রাজধানীর মেট্রোরেলে। এবার মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) জানিয়েছে, এই সংকট কেটে যাচ্ছে। মেট্রোরেলের সিঙ্গেল জার্নির টিকিট সংকট আর থাকছে না।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) প্রতিষ্ঠানটি তাদের ফেসবুক পেজে করা এক স্ট্যাটাসে এ সুখবরের কথা জানায়।

স্ট্যাটাসে বলা হয়, মেট্রোরেলের সম্মানিত যাত্রীদের জন্য সুসংবাদ। মেট্রোলের সম্মানিত যাত্রীদের জানানো যাচ্ছে যে, ২১ ডিসেম্বর থেকে মেট্রোরেল স্টেশনগুলো থেকে চাহিদামতো সিঙ্গেল জার্নি টিকিট বিক্রয় করা হচ্ছে।

এতে আরও বলা হয়, পাশাপাশি র‍্যাপিড পাসও বিক্রয় এবং রিচার্জ করা হচ্ছে। এমআরটি পাসও রিচার্জ করা হচ্ছে। আপনারা সানন্দে মেট্রোরেল ভ্রমণ করুন। এছাড়া ডিএমটিসিএল পরিবারের পক্ষ থেকে সবার সার্বিক সহযোগিতার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানো হয়।

প্রসঙ্গত, এর আগে মেট্রোরেলের ভাড়া পরিশোধের কার্ডের সংকটে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে যাত্রীদের। একক যাত্রার কার্ড না থাকায় অনেক স্টেশন থেকে যাত্রীদের ফিরে যেতে হয়েছে। আবার সরবরাহ না থাকায় স্থায়ী কার্ড বা এমআরটি পাস বিক্রিও একেবারে বন্ধ ছিল।

Header Ad
Header Ad

অনূর্ধ্ব-১৯ নারী এশিয়া কাপ:

ভারতের বিপক্ষে ১১৮ রান করলেই এশিয়া কাপ ঘরে উঠবে বাংলাদেশ

ছবি: সংগৃহীত

চলতি মাসেই ছেলেদের অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশের যুবারা। এবার অনূর্ধ্ব-১৯ নারী এশিয়া কাপের ফাইনালে মুখোমুখি বাংলাদেশ-ভারত। যেখানে আগে ব্যাট করা ভারত গোঙ্গাদি তৃষার ফিফটিতে টাইগ্রেসদের ১১৮ রানের লক্ষ্য দিয়েছে ভারত। বাংলাদেশি পেসার ফারজানা ইয়াসমিন সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নিয়েছেন।

অনূর্ধ্ব-১৯ নারী এশিয়া কাপের পুরো আয়োজন হয়েছে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে। একই ভেন্যু বায়েওমাস স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চলছে শিরোপানির্ধারণী ম্যাচ। টস জিতে এদিন ভারতকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠান বাংলাদেশ অধিনায়ক সুমাইয়া আক্তার। শুরু থেকেই ভারতীয়দের চেপে ধরেন বাংলাদেশি বোলাররা। একের পর এক উইকেট তুলে নিলেও একপ্রান্ত আগলে রেখে ভারতকে লড়াকু পুঁজি এনে দেন তৃষা।

বিস্তারিত আসছে.......

Header Ad
Header Ad

বিরামপুরে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ

শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ। ছবি: সংগৃহীত

দিনাজপুর জেলার বিরামপুরে উপজেলা বিএনপি, পৌর বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে বিরামপুর পাইলট হাইস্কুল মাঠে দুস্থ শীর্তাতদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন প্রধান অতিথি বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকালে বিরামপুর পাইলট হাইস্কুল মাঠে এই শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

পৌর বিএনপি’র সভাপতি হুমায়ূন কবিরের সভাপতিত্বে ও পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজু'র সঞ্চালনায় দুস্থ শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। এসময় বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, দিনাজপুর জেলা বিএনপির সদস্য ও নবাবগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মকবুলার রহমান গোর্কি, দিনাজপুর জেলা বিএনপির অন্যতম সদস্য তোছাদ্দেক হোসেন তোছা,উপজেলা বিএনপি সভাপতি মিজ্ঞা শফিকুল ইসলাম মামুন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বিরামপুর উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও মুকুন্দপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জোবয়াদুর রহমান জুয়েল,উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব এ‍্যাড. মিঞা শিরন আলম, বিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মমতাজুল হক, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক জীবন চৌধুরী শাহীন, পৌর যুবদলের সদস্য সচিব পলাশ বিন আশরাফী পলাশ সহ বিরামপুর উপজেলা বিএনপি,পৌর, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড বিএনপি এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের অনেক নেতা-কর্মীবৃন্দ'র পাশাপাশি স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অপরদিকে বিরামপুর উপজেলা পলিপ্রায়গ ইউনিয়নের টাটকপুর মাদ্রাসা মাঠে উপজেলা বিএনপি সভাপতি মিজ্ঞা শফিকুল ইসলাম মামুনের সভাপতিত্বে ও বিরামপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর এলাহী চৌধুরী রুবেল'র সঞ্চালনায় ছিন্নমূল, অসহায়, হতদরিদ্র ও দুস্থদের মাঝে প্রধান অতিথি বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ করেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

  সংকট কাটছে, মেট্রোর যাত্রীদের সুখবর দিল ডিএমটিসিএল
ভারতের বিপক্ষে ১১৮ রান করলেই এশিয়া কাপ ঘরে উঠবে বাংলাদেশ
বিরামপুরে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ
টাঙ্গাইলে আ.লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম আটক
শেখ হাসিনা নিজ হাতে তার বাবাকে দ্বিতীয়বার হত্যা করেছে: গয়েশ্বর
চুয়াডাঙ্গায় অবৈধ যানবাহন বন্ধ না হলে গণপরিবহন বন্ধের ঘোষণা
জুমার দিনে ফিলিস্তিনের মসজিদে আগুন দিল ইসরায়েলিরা
গাইবান্ধায় বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ, আহত অন্তত ১০
আশ্বস্ত করছি বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দেবে না: প্রধান উপদেষ্টা
সত্যি কি থাপ্পড় মেরেছিলেন শাহরুখ, ৯ বছর পর মুখ খুললেন হানি সিং
মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তর, বগুড়ার শ্রাবণী এখন শ্রাবণ
বাড়ি ফেরার পথে সড়কে ঝরে গেল বাবা-ছেলের প্রাণ
ছাত্রলীগ নেতা মুক্তাদির শিক্ষার্থীদের হাতে আটক, থানায় সোপর্দ
এ দেশে মেজরিটি–মাইনরিটি বলে কিছু নেই: জামায়াতের আমির
আজ বছরের দীর্ঘতম রাত, সবচেয়ে ছোট দিন আগামীকাল
রাজনীতিবিদকে বিয়ে করতে চান ফারজানা সিঁথি
গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা পেয়েছে কমিশন
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ
পাকিস্তানে জঙ্গি হামলায় ১৬ সেনা নিহত
বাধ্যতামূলক অবসরপ্রাপ্ত সচিব ইসমাইল বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার