শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-১৩

যারা যুদ্ধ করেছিল

রমিছা বিবি হাত ধরে রকিবকে ঘরে নিয়ে এসে বসায়। গলা নামিয়ে জিজ্ঞেস করে, ‘মুখ শুকনা দেখতাছি। কিছু মনে হয় খাও নাই?’
রকিব সহজে বলে, ‘না খালা। সকালে চারটা মুড়ি খাইছিলাম। তারপর মুখে আর কিছু দেওয়ার সুযোগ হয় নাই। ভীষণ খিধা লাগছে।’
রমিছা বিবি অসহায়ভাবে স্বামী করিম মিয়ার দিকে তাকায়। করিম মিয়া লুকোছাপা না করে সোজাসুজি বলে, ‘আমরাও না খায়া আছি বাবা। ঘরে এক চিমটি দানা নাই।’
রকিব হতভম্ব মুখে তাকিয়ে থাকে। তারপর পকেট থেকে টাকা বের করে করিম মিয়াকে দেয়। বলে, ‘এখন কি দোকান-টোকান খোলা পাবেন? পাইলে কিছু চাল ডাল কিনা আনেন।’
রমিছা বিবি বলে, ‘এক সের চাইল আনেন। ডাইল আনেন আর আলু আনেন ভর্তা খাওয়ার জন্য। ছোয়ালডারে শুধু ডাইল দিয়া ভাত দিবেন?’
করিম মিয়া থলি নিয়ে বেরিয়ে যায়।

রকিব শব্দ করে দীর্ঘশ্বাস ফেলে। রমিছা বিবি বলে, মমিন আসবে না?
‘রকিব সে কথার জবাব না দিয়ে আচমকা জিজ্ঞেস করে, ‘সাথীর খবর কি? ওকে দেখতাছি না যে?’
এই প্রশ্নে রমিছা বিবি বোবা হয়ে যায়। একই প্রশ্ন দ্বিতীয়বার করায় রমিছা বিবি আঁচলে মুখ ঢেকে কান্না শুরু করে। রকিব ভয়ংকর খারাপ খবরের আশঙ্কা করে। সে তাগাদা দিতে থাকে। বলে, ‘খালা কান্না বন্ধ করেন। কি হইছে তাই কন। মমিন ভাই সাথীর খবর নিতেই আমাকে পাঠাইছে।’
বেশ কিছুক্ষণ পর রমিছা বিবি ধাতস্থ হয়ে চোখ মোছে। তারপর কান্না কন্ঠে ঘটনা খুলে বলে রকিবকে। রকিব শুনে হতভম্ব হয়ে বসে থাকে।

করিম মিয়া চাল ডাল আর আলু পেঁয়াজ নিয়ে এলে রমিছা বিবি দেরি করে না। দ্রুত রান্না চড়িয়ে দেয়। ঘরে ফিস ফিস করে কথা বলছিল করিম মিয়া ও রকিব। করিম মিয়া বলে, ‘তোমাদের বাড়ির কী খবর? সবাই আছে কেমন?’
‘ভালো না খালুজান। আমাদের বাড়ি-ঘর মিলিটারি পোড়াইয়া দিছে। নানাকে ধইরা নিয়া গেছিল। মাইরা হাড়হাড্ডি ভাইঙ্গা গুঁড়া কইরা দিছে। তবে ভাগ্যিস জানে মারে নাই। এখন জ্যান্তমরা হয়ে বিছানায় পইড়া আছে।’
‘কও কী! এখন তাইলে সবাই আছে কোথায়?’
‘বন্যাকান্দি বোনের বাড়ি। ওখানে শুনছি তেমন ভয়-টয় নাই।’
‘কী যে দিন আইলো বাবা। কবে যে এর আবসান হবে আল্লাই জানে।’
সকালে সাথীর সঙ্গে রকিবের দেখা হয়ে যায়। সাথী বাড়ি এসেছে প্রতিদিন যেমন আসে। এসেই রকিবকে দেখে চমকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। রকিব দেখতে পেয়ে ডাক দেয় সাথীকে। সাথী ফিরে এসে মাথা নামিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। রকিব বলে, ‘আমি এতক্ষণ চলে যেতাম। শুধু তোমার অপেক্ষায় দেরি করছি।’
কান্না গলায় সাথী বলে, ‘আর কীসের অপেক্ষা? আমাকে তুমি ভুলে যাও।’
‘ভুলে যেতে চাইলে কি ভোলা যায়?’
‘জোর করে আমাকে ভুলতে হবে। আমি কী আর আমি আছি। আমি নষ্ট হয়ে গেছি।’
‘না। তুমি নষ্ট হও নাই। আমার কাছে তুমি পবিত্র। দেশের জন্য যেমন আমরা যুদ্ধ করছি। তুমি যেটা করছ সেটাও যুদ্ধ। তুমি চিন্তা কর না। এর জবাব সে পাবে। ভালো থাকার চেষ্টা কর।’
এ কথা বলে রকিব বলার মতো আর কোনো কথা খুঁজে পায় না। একটু পর সে উঠে দাঁড়ায়। বলে, ‘বিদায় দাও সাথী। আর কোনোদিন দেখা হবে কি না জানি না।’
সাথী কাঁদতে থাকে। রকিব বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাথী পেছন থেকে ডাক দেয়। ঘর থেকে সাথী একটি ভাঁজ করা কাগজ এনে রকিবের হাতে দেয়।’
‘কী এটা?’ রকিব প্রশ্ন করে।
সাথী বলে, ‘ভাইয়াকে দেবে। পথে তুমিও পড়ে নিতে পার। তাহলে আমার কলঙ্কময় জীবনের নির্মম ইতিহাস তুমিও পরিষ্কার জানতে পারবে।’
করিম মিয়া আর রমিছা বিবিকে সালাম করে রকিব বেরিয়ে যায়। চাদর দিয়ে মাথা মুখ ঢেকে সে পথ চলতে থাকে। সড়ক পথে না গিয়ে রকিব আইল পথে নেমে পড়ে।

দুপুর নাগাদ নয়নগাঁতি এসে উপস্থিত হয় রকিব। পাশের গ্রামেই তাদের বাড়ি। বাড়িতে এখন আর কেউ থাকে না। তাই সেখানে যাওয়ার কথা ভাবছে না। নয়নগাঁতির প্রথমেই সুবলদের বাড়ি। বাড়ির পোড়া জিনিস এখনো আগের মতো যত্রতত্র পড়ে আছে। সুবলের বাবাকে মেরে ফেলেছে মিলিটারিরা। সুবল ও ওদের ভাইবোন, মা, কাকি, পিসি সবাই ইন্ডিয়া চলে গেছে। বাড়িটার দিকে তাকিয়ে রকিবের বুকটা হাহাকার করে ওঠে। এই বাড়িতে কত আড্ডা দিয়েছে। সুবলের ছোটবোন স্মৃতির কণ্ঠে কতদিন গান শুনেছে। আহা কী সুন্দর দিন ছিল তখন। আর কি সেদিন ফিরে আসবে?
নয়নগাঁতির অর্ধেক পরিবার ছিল হিন্দু। বারো মাস পূজা-পার্বণ লেগেই থাকত। প্রতি রাতে কোনো না কোনো বাড়িতে বসতো গানের আসর। না হলে যাত্রাপালা। সেই উৎসবমুখর দিন কোথায় হারিয়ে গেল। রকিবের মন খারাপ হয়ে গেল এইসব ভাবতে ভাবতে।
ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল। একটি গাছের তলায় খানিক বিশ্রাম নিয়ে রকিব আবার হাঁটতে শুরু করে। বার বার শুধু সাথীর কথা মনে হতে থাকে। সাথীকে সে মনে মনে ভীষণ পছন্দ করত। খালার বাড়ি আসত রকিব ঘন-ঘন। সেটা সাথীর টানে। সে যখন গান গাইত জানালা দিয়ে মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে থাকত সাথী। তার মায়াভরা চোখ রকিবকে উদাস করে দিত।
একদিন কথায় কথায় সাথী বলেই ফেলে আপনার গান আমার খুব ভালো লাগে।
‘সত্যি?’
‘তবে কি মিথ্যে বলছি?’
বিদায় বেলায় জিজ্ঞেস করেছিল, ‘আবার কবে আসবেন?’
রকিব তাৎক্ষণিক কোনো জবাব দিতে পারেনি। বুকটা তির তির করে কাঁপছিল। এই প্রথম হৃদয়ে তুমুল ঝড় ওঠে রকিবের। অনেকখানি পথ হেঁটে আসার পরও ফিরে দেখে সাথী পথ চেয়ে আছে। সেই থেকে সাথীর প্রতি রকিবের দুর্বলতা।
রকিব চলে যাবার পর থেকে সাথীর বেদনা ভারি হয়ে ওঠে। ঘরে একাকি শুয়ে থাকে। রকিবের কণ্ঠে একটি গান তার ভীষণ প্রিয়। ‘এতোদিন পরে এলে একটু বসো। তোমায় অনেক কথা বলার ছিল যদি শোন।’ এই গানটি সাথী বার বার শুনেছে। এই মুহূর্তে বার বার মনে হতে থাকে। কিন্তু সে গাইতে পারে না। মনে মনে গুণ গুণ করে। কী ভেবে তার চোখ ভিজে আসে। রকিবকে নিয়ে মনে মনে কত স্বপ্ন দেখেছিল। যুদ্ধ এসে সব স্বপ্ন ভেঙে চুরমার করে দিল। কখনো কখনো মমিন ভাইকে দায়ী করে। সে যদি মুক্তিযুদ্ধে যোগ না দিত তাহলে তাকে আজ ঘানি টানা গরুর মতো এমন করে ফেঁসে যেতে হতো না। জীবনটা এমনভাবে ত্যানা ছেঁড়া কাঁথার মতো জুবু থুবু হয়ে যাবে সাথী কোনোভাবেই ব্যাপারটা মেনে নিতে পারছে না। ভাবতে ভাবতে সাথী নিঃশব্দে চোখের জল ফেলতে থাকে।
এই এলোমেলো ভাবনার মধ্যে চিৎকার চেঁচামেচি হৈচৈ হট্টগোল চারদিকে ভয়ার্ত আর্তনাদ সাথীকে সজাগ করে তুলল। ঘরের বাইরে এসে দেখতে পায় দক্ষিণ পাড়ায় আগুনের কুণ্ডলি পাঁক খেয়ে আকাশের দিকে উঠে যাচ্ছে। ত্রস্ত্র ছুটছে মানুষজন। যে যেদিকে পারে পালাচ্ছে।

খবর নিয়ে জানতে পারে দক্ষিণ পাড়ার সোলেমান মিয়ার বাড়িতে আগুন দিয়েছে মিলিটারি। সোলেমানের বাড়িতে নাকি রাতে রাতে মুক্তিফৌজ এসে থাকে। সোলেমান মিয়া তাদের থাকতে দেয়। খেতে দেয়। এই খবর শান্তি কমিটির সদস্যরা মিলিটারিদের জানালে তারা এসে সোলেমান মিয়াকে খোঁজে। তাকে না পেয়ে তার বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়। গোলাগুলির শব্দ হলে মানুষ দিকবিদিক ছুটতে থাকে। মুহূর্তে প্রচার হয়ে যায় সোলেমান মিয়ার বৃদ্ধ মাকে পাকিস্তানি মিলিটারি গুলি করে মেরে ফেলেছে। গোয়াল থেকে গরু খুলে নিয়ে গেছে। গুলির শব্দে রমিছা বিবি দৌড়ে পালাতে গিয়ে সাথীকে দেখতে পেয়ে সে জোর করে সাথীকে ফজলুর রহমানের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।

চলবে...

আগের পর্বগুলো পড়ুন-

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-১২

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-১১

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-১০ 

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৯

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৮

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৭

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৬

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৫

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৪

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৩

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-২

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-১

এসএন 

Header Ad
Header Ad

খিলগাঁওয়ের আগুনে পুড়ে ছাই ২০টি দোকান ও দুটি স’মিল

ছবিঃ সংগৃহীত

রাজধানীর খিলগাঁওয়ের তালতলা মার্কেটের পাশের একটি স’মিলে শুক্রবার রাত ৭টা ৩০ মিনিটে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট ৯টা ৩৫ মিনিটে এই আগুন নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়। আগুনে প্রায় ২০টি দোকান ও দুটি স’মিল পুড়ে গেছে।

আগুন নিয়ন্ত্রণের পর ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশনস) লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, কেমিক্যাল ড্রাম বিস্ফোরণে স’মিলে লাগা আগুন চারদিক ছড়িয়ে পড়ে।

তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘খিলগাঁওয়ের আগুনে আনুমানিক ২০টি দোকান এবং দুটি স মিল পুড়েছে। আগুনে হয়তো কেমিক্যাল ড্রাম বিস্ফোরিত হয়েছে; যার ফলে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। আমাদের নয়টি ইউনিট কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থলে আরো চারটি ইউনিট ছিল, তবে সেগুলোকে কাজ করতে হয়নি।

লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘আগুনে কেউ নিখোঁজ রয়েছে এমন কোনো সংবাদ আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত আসেনি। এ ছাড়া আমরা এখন পর্যন্ত আহত ও নিহতের কোনো সংবাদ পাইনি।’

আগুনের উৎসটি কি ছিল প্রাথমিকভাবে জানা গেছে কিনা প্রশ্ন করা হলে ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘এই মুহূর্তে এ বিষয়ে বলা যাবে না তদন্ত ছাড়া। সিগারেটের মাধ্যমে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে নাকি স্যাবোটেজ হয়েছে— এই প্রত্যেকটা বিষয়ে আমাদের তদন্ত করে দেখতে হবে।

অনেকগুলো সোর্স থেকে আগুনের সৃষ্টি হতে পারে। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকেও আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। তাই তদন্ত ছাড়া এ বিষয়ে কিছু বলা যাবে না।’
এদিকে, দুই ঘণ্টা ধরে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাশেদ বিন খালিদ জানান, ‘শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সেখানে আগুন লাগার খবর পাই।

প্রথমে আমাদের দুটি ইউনিট কাজ শুরু করে। পরে আরো সাতটি ইউনিট যোগ দেয়। এরপর রাত ৯টা ৩৫ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন লাগার পরে ফায়ার সার্ভিসকে সহযোগিতা করতে ছুটে আসেন সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র‍্যাবের সদস্যরা।’

তবে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স মিল থেকে আগুন গাড়ির গ্যারেজে ছড়িয়ে পড়ে। পরে গ্যারেজে থাকা বিভিন্ন গাড়িতে আগুন লেগে সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়। এ সময় আশপাশের মানুষ ছোটাছুটি করতে থাকে। উৎসুক জনতার ভিড়ে ফায়ার সার্ভিসকে আগুন নিয়ন্ত্রণে বেশ বেগ পেতে হয়।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানান, ওই এলাকায় একটি গাড়ির গ্যারেজ ও রাবারের কাঁচামালের গোডাউন রয়েছে। কিছু গাড়ি বের করা সম্ভব হলেও অনেক গাড়ি পুড়ে গেছে।

খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দাউদ হোসেন বলেন, ‘ওই স মিল খিলগাঁও থানার কাছেই। পাশের একটি গাড়ির গ্যারেজেও আগুন ছড়িয়েছে। ক্রাউডের কারণে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের কাজ করতে সমস্যা হচ্ছিল।

 

Header Ad
Header Ad

পদ্মাপাড়ে মুখে স্কচটেপ প্যাঁচানো ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার  

ব্যবসায়ী আবুল বাসার ওরফে মিন্টু। ছবিঃ সংগৃহীত

রাজশাহী নগরীর পদ্মাপাড়ে মুখে স্কচটেপ প্যাঁচানো একটি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার বিকালে নগরীর লালন শাহ মুক্তমঞ্চ সংলগ্ন এলাকার কাশবন থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণা, হত্যা করে কাশবনে ফেলে দেওয়া হয়েছে লাশটি।

নিহত ব্যক্তির নাম আবুল বাসার ওরফে মিন্টু (৩৫)। পেশায় ব্যবসায়ী মিন্টু নগরীর মির্জাপুর পূর্বপাড়া মহল্লার বাসিন্দা। বিনোদপুর বাজারে তার ইলেকট্রিক ব্যবসার দোকান আছে।

নগরীর রাজপাড়া থানার ওসি আশরাফুল ইসলাম জানান, কাশবনে ঘুরতে আসা কয়েকজন লাশটি দেখে পুলিশে খবর দেয়। ঘুরতে আসা অনেকে লাশের ছবিটি সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মগুলোতে শেয়ার করে। জানাজানির পর নিহতের পরিবার ঘটনাস্থলে এসে লাশটি শনাক্ত করে।

আশরাফুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে মিন্টুর খোঁজ পাচ্ছিল না পরিবার। কাশবনে তার মুখ পলিথিন দিয়ে ঢাকা ছিল। পলিথিনের ওপর স্কচটেপ প্যাঁচানো ছিল।

ওসি আরও বলেন, ‘আলামত দেখে মনে হয়েছে এটি হত্যাকাণ্ড। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে হত্যা মামলা হবে।’

Header Ad
Header Ad

সার্ক পুনরুজ্জীবনের প্রশ্নে বাংলাদেশকে যে বার্তা দিলো ভারত

ওমানের মাসকটে অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের বৈঠক। ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি ওমানের রাজধানী মাস্কাটে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার ( ২১ ফেব্রুয়ারি) নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ভারত- বাংলাদেশের মধ্যকার উক্ত বৈঠকের আলোচ্য বিষয়ে কিছু তথ্য তুলে ধরেছেন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল।

তিনি বলেন, মাস্কাটে ওই বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সার্ক পুনরুজ্জীবনের প্রসঙ্গটি তুলেছিলেন। দক্ষিণ এশিয়ার সবাই জানে কোন দেশ ও তার কী ধরনের কর্মকাণ্ড সার্ককে কোণঠাসা করে রেখেছে। তৌহিদ হোসেনকে জয়শঙ্কর এ কথাও বলেছেন, সন্ত্রাসবাদের স্বাভাবিকীকরণ করাটা বাংলাদেশের উচিত নয়।

ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের কোনো কোনো উপদেষ্টার কিছু কিছু মন্তব্য নিয়েও প্রশ্ন করা হয়। জবাবে রণধীর জয়সোয়াল বলেন, ভারত এসব মন্তব্য নজরে রেখেছে। ওই ধরনের মন্তব্য ও বাংলাদেশের সঙ্গে কাজকর্মে তার প্রভাব–প্রতিক্রিয়ার বিষয়ও ভারতের গোচরে রয়েছে।

তিনি বলেন, এ ধরনের মন্তব্য অবশ্যই সহায়ক নয়। এর প্রতিক্রিয়া কী, তা তাদেরই ভেবে দেখা দরকার।

নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফের মহাপরিচালকদের বৈঠক সদ্য শেষ হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক এক প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, বাংলাদেশে ৫ আগস্টের পালাবদলের পর সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগগুলো অতিরঞ্জিত, মিডিয়ার সৃষ্টি।

এ প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে জয়সোয়াল বলেন, গত কয়েক মাসে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর কী হয়েছে, সে বিষয়ে সবাই অবগত। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে ভারতের উদ্বেগ বারবার প্রকাশ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সম্প্রতি ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকেও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ওই প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। যুক্তরাষ্ট্রকেও এ বিষয়ে ভারতের উদ্বেগের কথা জানানো হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খিলগাঁওয়ের আগুনে পুড়ে ছাই ২০টি দোকান ও দুটি স’মিল
পদ্মাপাড়ে মুখে স্কচটেপ প্যাঁচানো ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার  
সার্ক পুনরুজ্জীবনের প্রশ্নে বাংলাদেশকে যে বার্তা দিলো ভারত
জামায়াতের আমিরকে যানজট মুক্ত করতে গিয়ে প্রাণ দিলেন কর্মী
সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা  
একুশে টিভির জিডি, কর্মচারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে জামায়াত  
আফ্রিকার রানের চাপে বড় ব্যবধানে হারলো আফগানিস্তান
আগামীকাল দুই বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে
অপারেশন ডেভিল হান্ট: ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার ৪৬১
খিলগাঁওয়ে স-মিলে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১০ ইউনিট
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
পশ্চিম তীরে নতুন করে হামলার নির্দেশ দিলেন নেতানিয়াহু
মেসির অটোগ্রাফ চেয়ে শাস্তি পেলেন রেফারি
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বেনাপোলে হয়নি দুই বাংলার মিলন মেলা
মাতৃভাষার গুরুত্ব ও ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে যা বললেন ড. ইউনূস
চলন্ত বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি: তিন দিন পর মামলা, আতঙ্কে যাত্রীরা
বিপ্লবের আত্মত্যাগ উন্নত বাংলাদেশের পথে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে : পররাষ্ট্রসচিব
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে ২০২৪ সালে আওয়ামী সরকারের পতনের কারণ উদঘাটন
চ্যাম্পিয়নশিপের দল শেফিল্ডে মাসে ৪০ কোটি টাকা বেতন পাবেন হামজা চৌধুরী
পবিপ্রবিতে আবাসিক হলগুলোর নাম পরিবর্তন, মুছে ফেলা হলো শেখ পরিবারের নাম