রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-১২

যারা যুদ্ধ করেছিল

সবাইকে লাইনে দাঁড় করায়। তাদের পিঠমোড়া করে বেঁধে ফেলার নির্দেশ দেওয়া মাত্র সঙ্গে সঙ্গে তাদের বেঁধে ফেলা হয়। তাদের অস্ত্রগুলো সংগ্রহ করার নির্দেশ দেন তিনি। অনেকগুলো ভারী অস্ত্র পেয়ে মুক্তিযোদ্ধারা ভীষণ খুশি। যাদের বন্দি করা হলো তাদের তাৎক্ষণিক কী করা হবে তাই নিয়ে গ্রুপ কমান্ডারদের মধ্যে শলাপরামর্শ শুরু হলো। সিদ্ধান্ত হলো তাদের হত্যা করে মাটি চাপা দেবে। তাই করা হলো। ওদের কিছু বুঝতে না দিয়ে সবার পেছনে বেয়োনেট হাতে একজন করে দাঁড় করিয়ে একসঙ্গে তাদের হত্যা করে সঙ্গে সঙ্গে মাটি চাপা দেওয়া হলো।

এ ব্যাপারে পাশের গ্রামের লোকজন এসে সাহায্য করতে লাগল। তারা ভীষণ আনন্দিত। একসঙ্গে এতগুলো পাকিস্তানি মিলিটারি ধরা পড়েছে তাদের কাছে বিরাট গর্বের ব্যাপার। যুদ্ধ শেষ না হতেই কোত্থেকে এই লোকগুলো হুড়মুড় করে ছুটে এসেছে সেটাই ভাবনার ব্যাপার। মুহূর্তে গাঁয়ের লোকজন রাজাকারসহ মিলিটারিদের মাটি চাপা দিয়ে দেয়। কেউ কেউ বলছিল তাদের বন্দি করে নিয়ে যেতে। শুনে ধমকে ওঠেন কমান্ডার মোজাফ্ফর। বলেন, ‘বন্দি করে কোথায় নিয়ে যাবে? আমাদের নিজেদেরই নিরাপত্তা নেই। খাওয়া দাওয়ার ঠিক নেই। তার উপর এই বন্দিদের নিয়ে আমরা কোথায় যাব? আমাদের কি জেলখানা আছে? তাদের খেতে দেবে কে? আমাদের নিজেদেরই খাওয়ার নিশ্চয়তা নেই। অতএব যা বলছি তাই কর।’

ওদের মাটিচাপা দেওয়ার পর-পরই মজনু দৌড়ে এসে মমিনকে বলে, ‘ওস্তাদ সর্বনাশ হয়ে গেছে। আমিনের হাতে গুলি লেগেছে।’
মমিন ছুটে যায় আমিনের কাছে। আমিন গেরিলা দলে ছিল। দুর্দান্ত সাহসী যুবক। তার হাতে গুলে লেগে গুলি ভেদ করে বেরিয়ে গেছে। রক্তে ভেসে যাচ্ছে। তাকে কাঁধে তুলে নিয়ে পাশের গ্রামের দিকে ছুটতে থাকে মমিন। সঙ্গে আরও কয়েকজন। শুনেছে ওই গ্রামে একজন ভালো ডাক্তার আছে। সবাই সেইদিকে ছুটতে থাকে।

১০.
সাথী মেয়েটাকে দেখে ফজলুর রহমানের মাথার মধ্যে কুনি পোকা কুর কুর করে কামড়াতে থাকে। কচি শষার মতো লকলকে শরীর। বুকজোড়া বেশ ডাসা। এমন কচি জিনিস বছরে এক দুবার খেলে জীবন ধন্য। আহা! হুরের স্বাদ পাওয়া যাবে। আর না হোক সুযোগ পেলে মেয়েটাকে দিয়ে হাত পা টিপে নিলেও পরানটা ঠান্ডা হবে।
আয়েশা বেগম সারারাত কোমরের ব্যথায় ছটফট করে, গোংড়ায়। একদম ঘুমোতে পারে না। ঘুমটা তার আসে দিনের বেলা। সকালে এক গ্লাস লেবুর শরবত খেয়ে সেই যে কাত হয়ে পড়ে থাকে না জাগালে আর জাগে না। ফজলুর রহমান থানা সদর থেকে বাড়িতে এসে সাথীকে ঘরে দেখে তার ভেতর যৌন অনুভূতি তীব্র হয়ে ওঠে। ইশারায় কাছে ডাকে। খেয়াল করে বউ আয়েশা বেগমের অবস্থা কী। জেগে আছে না ঘুমিয়ে গেছে।
কায়দা করে কথা শুরু করে ফজলুর রহমান। বলে, ‘তোমার চাচির কী অবস্থা? আজ কেমন আছে?’
সাথী মৃদু স্বরে বলে, ‘আজ চাচিআম্মা বেশ ভালো। সকালে ভাত খেয়েছে। এখন ঘুমোচ্ছে।’
‘আলহামদুলিল্লাহ।’ ফজলুর রহমান শব্দ করে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে। তারপর তার অভিনয় শুরু হয়। বলে, ‘তোমার চাচির খবর তো ভালোই দিলা। কিন্তু আমার খবর তো ভালো না।’
‘কেন, কী হয়েছে আপনার?’
‘মিলিটারিদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ মিটিং করেছি কয়েক ঘণ্টা। মাথাটা ঝিম ঝিম করছে।’ কথাটা বলে ফজলুর রহমান সাথীর মনোভাব বোঝার চেষ্টা করে। সে আশা করছে সাথী এখনই বলুক, ‘আসুন চাচা আমি আপনার মাথা টিপে দেই।’

কিন্তু এমন কোনো কথা সাথী বলে না। সে মাথা নামিয়ে থাকে। ফজলুর রহমানের মেজাজ খারাপ হতে থাকে। ইচ্ছা করছে জাপটে ধরে সাথীকে। ধরে বিছানায় নিয়ে যায়। ফজলুর রহমান অনেক কষ্টে নিজেকে সংযত করে। হাসি মুখে বলে, ‘তুমি কি একটু আমার মাথাটা টিপে দিতে পারবে?’ বলেই ফজলুর রহমান পাশের বিছানায় শুয়ে পড়ে। মাথা ধরে গড়াগড়ি দিতে থাকে। সাথী ধীর পায়ে এগিয়ে যায়। বাড়িতে এইসময় সাকিব থাকে না। ফজলুর রহমান সুযোগটা সেই হিসেবে নিয়েছে। সাথীর গা ঘিন ঘিন করছিল। তবু সে ফজলুর রহমানের মাথা টিপে দিতে থাকে। ভেতরে ভেতরে তার কান্নার ঠমক উথলে উঠছিল। কিন্তু সে নিরূপায়। ফজলুর রহমান চোখ বুজে আবেশে মজা নিচ্ছে। এইসময় আয়েশা বেগমের ঘুম ছুটে যায়। পাশের খাটে ফজলুর রহমান আর সাথীকে দেখে সে ধমকে ওঠে। ‘কী করেন আপনি?’
ফজলুর রহমান থতো-মতো করে বলে, না কিছু না। যন্ত্রণায় মাথাটা ছিঁড়ে যাচ্ছিল। ওকে দিয়া মাথাটা টিপে নিচ্ছিলাম।’
‘বাপ বেটা ভালো ব্যবসা শুরু করেছেন। মিলিটারির বাহানা দিয়ে যা শুরু করছেন এই পাপ আল্লাহ মাফ করবে না।’
‘কী যা-তা কও। তোমার কী মাথা খারাপ হলো?’ রাগত বলে ফজলুর রহমান।
আয়েশা বেগমও রাগত বলে, ‘আপনাকে আমারে নতুন করে চেনাতে আইছেন? আমি আপনাকে চিনি না?’
‘তুমি কিন্তু বাড়াবাড়ি করতাছ। জানো এর পরিণাম?’
‘আমার এক পা কব্বরে। আমারে পরিণামের ভয় দেখাইয়েন না। পরিণামের ভয় আপনি করেন। পাপ কইলাম বাপকেও ক্ষমা করে না।’
ধপাস করে দরোজায় আঘাত করে ফজলুর রহমান বেরিয়ে যায়। তার আগেই বেরিয়ে গেছে সাথী। সে ঠিক করেছে এই বাড়িতে সে আসবে না। কপালে যা থাকে তাই হবে। বাড়িতে এসে ঘরের দরোজা বন্ধ করে কাগজ কলম নিয়ে সে লিখতে বসে। দ্রুত সে লিখতে থাকে। লেখা শেষ করে কাগজটি ভাঁজ করে ঘরের বাতায় লুকিয়ে রাখে। তারপর সে ভেবে চিন্তে ফজলুর রহমানের বাড়ির দিকে হাঁটা দেয়।

করিম মিয়া রাতে খেতে বসে। ভাতের অবস্থা দেখে লম্বা করে শ্বাস ফেলে। ভাবে মেয়েটা ওই বাড়িতে গিয়া ভালোই করেছে। অন্তত ভাতের কষ্ট করতে হচ্ছে না।
করিম মিয়া ভাতের থালার দিকে তাকিয়ে বলে, ‘আর কিছু নাই?’
রমিছা বিবি হতাশ কণ্ঠে বলে, ‘আর কী থাকব? আমি কি চুরি কইরা আনমু?’
‘চুরির কথা কইতাছি না সাথীর মা। কাম কাজ নাই। ঘরে খাওয়াও নাই। কী যে গজব শুরু অইছে। আল্লাহ কপালে যে কী লেইখা রাখছে সেই জানে।’
এইসময় উঠোনে মৃদু কণ্ঠে সাথীর নাম ধরে কে যেন ডাকে। করিম মিয়া জিজ্ঞেস করে, ‘কে?’
কণ্ঠস্বরটি বলে, ‘খালুজান আমি রকিব।’
রমিছা বিবি কুপি বাতি হাতে বেরিয়ে আসে। মুখে খোঁচা খোঁচা দাড়ি। একজন মাঝারি গোছের যুবক গায়ে কালো চাদর জড়িয়ে দাঁড়িয়ে আছে। রমিছা বিবি কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করে, ‘কে বাবা তুমি?’
যুবক অবাক কণ্ঠে বলে, ‘খালা আমাকে চিনতে পারতাছেন না? আমি রকিব।’
‘তোমার এ অবস্থা ক্যা? এত গরমের মধ্যে চাদর গায়ে দিয়া আছ ক্যা?’
রকিবের চাদরের আড়ালে স্টেনগান লুকানো। সেটা সে বলতে চাচ্ছিল না।
শুধু বলে, ‘সে কথা পরে হুইনেন। আগে কন আপনারা কেমন আছেন?’
রমিছা বিবি জবাব না দিয়ে কেঁদে ফেলে। কাপড়ের আঁচল দিয়ে চোখের পানি মুছে রকিবকে ঘরে নিয়ে আসে। রকিব জিজ্ঞেস করে, ‘খালুজান, কেমন আছেন?’
‘ভালো নাই বাবা। কোনোমতে বাঁইচা আছি। আমার মমিনের কোনো খবর জানো তুমি? কোথায় কেমন আছে?’
‘ভালো আছে।’
তুমি কেমনে জানলা?’ করিম মিয়া আশ্চর্য হয়ে তাকায়।
রকিব মাথা নামিয়ে থাকে। নিচু স্বরে বলে। আমি ও মমিনভাই একই দলে আছি। সে আমাদের দলের কমান্ডার। সেই আমাকে আপনাদের খবর নিতে পাঠাইছে।

চলবে...

আগের পর্বগুলো পড়ুন-

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-১১

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-১০ 

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৯

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৮

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৭

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৬

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৫

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৪

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৩

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-২

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-১

এসএন 

Header Ad
Header Ad

স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম নির্বাসিত কবি দাউদ হায়দার মারা গেছেন

কবি দাউদ হায়দার। ছবি: সংগৃহীত

বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রতিবাদী ও স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম নির্বাসিত কবি দাউদ হায়দার আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। জার্মানির বার্লিনে স্থানীয় সময় শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে একটি রিহ্যাবিলিটেশন হোমে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর।

কবির মৃত্যু সংবাদ নিশ্চিত করেছেন লন্ডনপ্রবাসী নাট্যশিল্পী ও সংগঠক স্বাধীন খসরু এবং বার্লিনে অবস্থানরত কবির ঘনিষ্ঠজন সংস্কৃতিকর্মী মাইন চৌধুরী পিটু।

জানা যায়, গেল বছরের ডিসেম্বর থেকে কবি দাউদ হায়দার বার্ধক্যজনিত নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। কয়েক মাস ধরে বার্লিনের বিভিন্ন হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছিল। ১২ ডিসেম্বর নিজ বাসার সিঁড়িতে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হলে তিনি জ্ঞান হারান এবং তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেসময় তাকে ‘কৃত্রিম কোমা’-তে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকায় শেষ পর্যন্ত শনিবার রাতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার মরদেহ বার্লিনেই দাফন করা হবে বলে জানিয়েছেন পিটু। তবে কবির শেষ বিদায়ের সময় ও স্থান নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তার পরিবার ও ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে আলোচনার পর।

দাউদ হায়দার বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম নির্বাসিত কবি হিসেবে পরিচিত। ১৯৭৩ সালে প্রকাশিত তার একটি কবিতা—‘কালো সূর্য্যের কালো জ্যোৎস্নায় কালো বন্যায়’—এর কারণে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১৯৭৪ সালের ২০ মে তাকে মুক্তি দিয়ে পরদিন কলকাতাগামী একটি বিশেষ ফ্লাইটে তুলে দেওয়া হয়। ওই ফ্লাইটে অন্য কোনো যাত্রী ছিল না।

ভারত সরকারও পরবর্তীতে তাকে বহিষ্কার করে। পরে নোবেলজয়ী জার্মান সাহিত্যিক গুন্টার গ্রাসের প্রচেষ্টায় ১৯৮৭ সালে তিনি জার্মানিতে রাজনৈতিক আশ্রয় লাভ করেন এবং সেখানেই বাকিজীবন কাটান।

দাউদ হায়দার বাংলা সাহিত্যে সত্তরের দশকের অন্যতম প্রধান কবি হিসেবে বিবেচিত। তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘জন্মই আমার আজন্ম পাপ’। সাহসী ও প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর হিসেবে তিনি বাংলা কবিতায় আলাদা একটি ধারা সৃষ্টি করেন।

১৯৭৩ সালে লন্ডন সোসাইটি ফর পোয়েট্রি তার একটি কবিতাকে ‘দ্য বেস্ট পোয়েম অব এশিয়া’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। সে সময় তিনি ‘দৈনিক সংবাদ’-এর সাহিত্য পাতার সম্পাদক হিসেবেও কাজ করেছেন। সর্বশেষ তিনি বাংলা ট্রিবিউনে নিয়মিত কলাম লিখতেন।

দাউদ হায়দার ছিলেন চিরকুমার। জীবনের শেষভাগে একাকিত্ব ও বয়সজনিত জটিলতায় ভুগেছেন। তিনি ছিলেন একজন ব্রডকাস্ট সাংবাদিকও।

কবি দাউদ হায়দারের জন্ম ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি, পাবনা জেলায়। নিজের লেখনী ও বিশ্বাসের কারণে স্বদেশ থেকে বহু দূরে দীর্ঘদিন কাটালেও বাংলা ভাষা ও সাহিত্যই ছিলেন তার চেতনাজগতের কেন্দ্রবিন্দু।

Header Ad
Header Ad

পাকিস্তানে সেনাবাহিনী-সন্ত্রাসী গোলাগুলি, দুই সেনাসদস্যসহ নিহত ১৭

ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার তিনটি ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর তুমুল গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই সেনাসদস্যসহ মোট ১৭ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনী।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জনসংযোগ পরিদপ্তর আইএসপিআর এক বিবৃতিতে জানায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে খাইবার পাখতুনখোয়ার কারাক জেলায় অভিযান চালানো হয়। সেখানে আটজন সন্ত্রাসীকে হত্যা করা হয়। একই দিনে উত্তর ওয়াজিরিস্তান ও দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের দুটি স্থানে আরও দুটি অভিযান চালানো হয়।

উত্তর ওয়াজিরিস্তানে চারজন এবং দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের গোমাল জ্যাম এলাকায় তিনজন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে সেনাবাহিনী। এই সংঘর্ষগুলোর একটিতে পাক বাহিনীর দুই সেনা সদস্য প্রাণ হারান।

আইএসপিআরের বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, অভিযানের সময় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করা হয়েছে।

এদিকে, পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ জানিয়েছে, এসব অভিযান ছিল পরিকল্পিত ও গোয়েন্দা তথ্যভিত্তিক। সাম্প্রতিক সময়ে দেশটিতে সন্ত্রাসী হামলার সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে, বিশেষ করে নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে।

‘পাকিস্তান ইন্সটিটিউট ফর কনফ্লিক্ট অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ’ (PICS) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে সন্ত্রাসী হামলার সংখ্যা ডিসেম্বরের তুলনায় প্রায় ৪২ শতাংশ বেড়েছে। এতে করে পুরো অঞ্চলে নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ছে।

Header Ad
Header Ad

টাঙ্গাইলে ট্রাক-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ নিহত ২

ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইলের মধুপুরে ট্রাক-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই জন নিহত হয়েছেন। শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে টাঙ্গাইল-জামালপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের মধুপুর পৌর এলাকার কাইতকাই রূপালী ফিলিং স্টেশনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- ধনবাড়ী উপজেলা পৌর এলাকার চরভাতকুড়া গ্রামের মৃত হাতেম আলীর ছেলে সিএনজি চালা হেলাল উদ্দিন (৫৫)। অপরজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে তিনি সিএনজি যাত্রী ছিলেন।

রবিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে মধুপুর থানার ডিউটি অফিসার মো. মনজুরুল হক এ বিষয়টি নিশ্চিত করছেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শনিবার রাতে দুর্ঘটনা কবলিত সিএনজি ধনবাড়ীর দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগতির ট্রাকের সাথে সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজির চালক ঘটনা স্থলে মারা যান। এ সময় গুরুতর আহত হয় এক যাত্রী।

এরপর তাকে উদ্ধার করে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। পরে রাতেই হাসপাতালে তিনি মারা যায়।

এ ব্যাপারে মধুপুর থানার ডিউটি অফিসার মো. মনজুরুল হক জানান, নিহত সিএনজি চালকের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

অপরদিকে, অজ্ঞাত ওই যাত্রীর পরিচয় পাওয়া যায়নি, শনাক্তের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় আইনগত বিষয় প্রক্রিয়াধীন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম নির্বাসিত কবি দাউদ হায়দার মারা গেছেন
পাকিস্তানে সেনাবাহিনী-সন্ত্রাসী গোলাগুলি, দুই সেনাসদস্যসহ নিহত ১৭
টাঙ্গাইলে ট্রাক-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ নিহত ২
হজের ফ্লাইট শুরু মঙ্গলবার, উদ্বোধন করবেন ধর্ম উপদেষ্টা
ইরানের বন্দরে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ১৪, আহত সাড়ে ৭ শতাধিক
ধর্ষণের শিকার জুলাই আন্দোলনে শহীদের মেয়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
সিন্ধুর পানি ছাড়ল ভারত, হঠাৎ বন্যায় ডুবলো পাকিস্তানের কাশ্মীর
রিয়ালের হৃদয়ভাঙা রাত, কোপা দেল রে চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা
উত্তরায় সেলফি তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় তরুণ-তরুণীর মৃত্যু
জাতীয় গ্রিডে যান্ত্রিক ত্রুটিতে ১০ জেলায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট
আবারও দুই ধাপে ৬ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা
পাকিস্তানি হামলার আশঙ্কায় বাঙ্কারে আশ্রয় নিচ্ছেন ভারতীয়রা
চীনা প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করলো বিএনপি
আওয়ামী লীগ ভারতের গোলামী করা দল : নুরুল হক নুর
ইরানের রাজাই বন্দরে শক্তিশালী বিস্ফোরণ, আহত ৫১৬ জন
প্রায় দুই ঘণ্টা পর মেট্রোরেল চলাচল স্বাভাবিক
গোবিন্দগঞ্জে মৃত আওয়ামী লীগ নেতার নামে জামাতের মামলা
গুজরাটে ১ হাজারের বেশি বাংলাদেশি গ্রেফতারের দাবি পুলিশের
নওগাঁর রাণীনগর ও আত্রাই বাসীর গলার কাঁটা ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ অবশেষে সংস্কার
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মেট্রোরেল চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ