বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-১২

যারা যুদ্ধ করেছিল

সবাইকে লাইনে দাঁড় করায়। তাদের পিঠমোড়া করে বেঁধে ফেলার নির্দেশ দেওয়া মাত্র সঙ্গে সঙ্গে তাদের বেঁধে ফেলা হয়। তাদের অস্ত্রগুলো সংগ্রহ করার নির্দেশ দেন তিনি। অনেকগুলো ভারী অস্ত্র পেয়ে মুক্তিযোদ্ধারা ভীষণ খুশি। যাদের বন্দি করা হলো তাদের তাৎক্ষণিক কী করা হবে তাই নিয়ে গ্রুপ কমান্ডারদের মধ্যে শলাপরামর্শ শুরু হলো। সিদ্ধান্ত হলো তাদের হত্যা করে মাটি চাপা দেবে। তাই করা হলো। ওদের কিছু বুঝতে না দিয়ে সবার পেছনে বেয়োনেট হাতে একজন করে দাঁড় করিয়ে একসঙ্গে তাদের হত্যা করে সঙ্গে সঙ্গে মাটি চাপা দেওয়া হলো।

এ ব্যাপারে পাশের গ্রামের লোকজন এসে সাহায্য করতে লাগল। তারা ভীষণ আনন্দিত। একসঙ্গে এতগুলো পাকিস্তানি মিলিটারি ধরা পড়েছে তাদের কাছে বিরাট গর্বের ব্যাপার। যুদ্ধ শেষ না হতেই কোত্থেকে এই লোকগুলো হুড়মুড় করে ছুটে এসেছে সেটাই ভাবনার ব্যাপার। মুহূর্তে গাঁয়ের লোকজন রাজাকারসহ মিলিটারিদের মাটি চাপা দিয়ে দেয়। কেউ কেউ বলছিল তাদের বন্দি করে নিয়ে যেতে। শুনে ধমকে ওঠেন কমান্ডার মোজাফ্ফর। বলেন, ‘বন্দি করে কোথায় নিয়ে যাবে? আমাদের নিজেদেরই নিরাপত্তা নেই। খাওয়া দাওয়ার ঠিক নেই। তার উপর এই বন্দিদের নিয়ে আমরা কোথায় যাব? আমাদের কি জেলখানা আছে? তাদের খেতে দেবে কে? আমাদের নিজেদেরই খাওয়ার নিশ্চয়তা নেই। অতএব যা বলছি তাই কর।’

ওদের মাটিচাপা দেওয়ার পর-পরই মজনু দৌড়ে এসে মমিনকে বলে, ‘ওস্তাদ সর্বনাশ হয়ে গেছে। আমিনের হাতে গুলি লেগেছে।’
মমিন ছুটে যায় আমিনের কাছে। আমিন গেরিলা দলে ছিল। দুর্দান্ত সাহসী যুবক। তার হাতে গুলে লেগে গুলি ভেদ করে বেরিয়ে গেছে। রক্তে ভেসে যাচ্ছে। তাকে কাঁধে তুলে নিয়ে পাশের গ্রামের দিকে ছুটতে থাকে মমিন। সঙ্গে আরও কয়েকজন। শুনেছে ওই গ্রামে একজন ভালো ডাক্তার আছে। সবাই সেইদিকে ছুটতে থাকে।

১০.
সাথী মেয়েটাকে দেখে ফজলুর রহমানের মাথার মধ্যে কুনি পোকা কুর কুর করে কামড়াতে থাকে। কচি শষার মতো লকলকে শরীর। বুকজোড়া বেশ ডাসা। এমন কচি জিনিস বছরে এক দুবার খেলে জীবন ধন্য। আহা! হুরের স্বাদ পাওয়া যাবে। আর না হোক সুযোগ পেলে মেয়েটাকে দিয়ে হাত পা টিপে নিলেও পরানটা ঠান্ডা হবে।
আয়েশা বেগম সারারাত কোমরের ব্যথায় ছটফট করে, গোংড়ায়। একদম ঘুমোতে পারে না। ঘুমটা তার আসে দিনের বেলা। সকালে এক গ্লাস লেবুর শরবত খেয়ে সেই যে কাত হয়ে পড়ে থাকে না জাগালে আর জাগে না। ফজলুর রহমান থানা সদর থেকে বাড়িতে এসে সাথীকে ঘরে দেখে তার ভেতর যৌন অনুভূতি তীব্র হয়ে ওঠে। ইশারায় কাছে ডাকে। খেয়াল করে বউ আয়েশা বেগমের অবস্থা কী। জেগে আছে না ঘুমিয়ে গেছে।
কায়দা করে কথা শুরু করে ফজলুর রহমান। বলে, ‘তোমার চাচির কী অবস্থা? আজ কেমন আছে?’
সাথী মৃদু স্বরে বলে, ‘আজ চাচিআম্মা বেশ ভালো। সকালে ভাত খেয়েছে। এখন ঘুমোচ্ছে।’
‘আলহামদুলিল্লাহ।’ ফজলুর রহমান শব্দ করে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে। তারপর তার অভিনয় শুরু হয়। বলে, ‘তোমার চাচির খবর তো ভালোই দিলা। কিন্তু আমার খবর তো ভালো না।’
‘কেন, কী হয়েছে আপনার?’
‘মিলিটারিদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ মিটিং করেছি কয়েক ঘণ্টা। মাথাটা ঝিম ঝিম করছে।’ কথাটা বলে ফজলুর রহমান সাথীর মনোভাব বোঝার চেষ্টা করে। সে আশা করছে সাথী এখনই বলুক, ‘আসুন চাচা আমি আপনার মাথা টিপে দেই।’

কিন্তু এমন কোনো কথা সাথী বলে না। সে মাথা নামিয়ে থাকে। ফজলুর রহমানের মেজাজ খারাপ হতে থাকে। ইচ্ছা করছে জাপটে ধরে সাথীকে। ধরে বিছানায় নিয়ে যায়। ফজলুর রহমান অনেক কষ্টে নিজেকে সংযত করে। হাসি মুখে বলে, ‘তুমি কি একটু আমার মাথাটা টিপে দিতে পারবে?’ বলেই ফজলুর রহমান পাশের বিছানায় শুয়ে পড়ে। মাথা ধরে গড়াগড়ি দিতে থাকে। সাথী ধীর পায়ে এগিয়ে যায়। বাড়িতে এইসময় সাকিব থাকে না। ফজলুর রহমান সুযোগটা সেই হিসেবে নিয়েছে। সাথীর গা ঘিন ঘিন করছিল। তবু সে ফজলুর রহমানের মাথা টিপে দিতে থাকে। ভেতরে ভেতরে তার কান্নার ঠমক উথলে উঠছিল। কিন্তু সে নিরূপায়। ফজলুর রহমান চোখ বুজে আবেশে মজা নিচ্ছে। এইসময় আয়েশা বেগমের ঘুম ছুটে যায়। পাশের খাটে ফজলুর রহমান আর সাথীকে দেখে সে ধমকে ওঠে। ‘কী করেন আপনি?’
ফজলুর রহমান থতো-মতো করে বলে, না কিছু না। যন্ত্রণায় মাথাটা ছিঁড়ে যাচ্ছিল। ওকে দিয়া মাথাটা টিপে নিচ্ছিলাম।’
‘বাপ বেটা ভালো ব্যবসা শুরু করেছেন। মিলিটারির বাহানা দিয়ে যা শুরু করছেন এই পাপ আল্লাহ মাফ করবে না।’
‘কী যা-তা কও। তোমার কী মাথা খারাপ হলো?’ রাগত বলে ফজলুর রহমান।
আয়েশা বেগমও রাগত বলে, ‘আপনাকে আমারে নতুন করে চেনাতে আইছেন? আমি আপনাকে চিনি না?’
‘তুমি কিন্তু বাড়াবাড়ি করতাছ। জানো এর পরিণাম?’
‘আমার এক পা কব্বরে। আমারে পরিণামের ভয় দেখাইয়েন না। পরিণামের ভয় আপনি করেন। পাপ কইলাম বাপকেও ক্ষমা করে না।’
ধপাস করে দরোজায় আঘাত করে ফজলুর রহমান বেরিয়ে যায়। তার আগেই বেরিয়ে গেছে সাথী। সে ঠিক করেছে এই বাড়িতে সে আসবে না। কপালে যা থাকে তাই হবে। বাড়িতে এসে ঘরের দরোজা বন্ধ করে কাগজ কলম নিয়ে সে লিখতে বসে। দ্রুত সে লিখতে থাকে। লেখা শেষ করে কাগজটি ভাঁজ করে ঘরের বাতায় লুকিয়ে রাখে। তারপর সে ভেবে চিন্তে ফজলুর রহমানের বাড়ির দিকে হাঁটা দেয়।

করিম মিয়া রাতে খেতে বসে। ভাতের অবস্থা দেখে লম্বা করে শ্বাস ফেলে। ভাবে মেয়েটা ওই বাড়িতে গিয়া ভালোই করেছে। অন্তত ভাতের কষ্ট করতে হচ্ছে না।
করিম মিয়া ভাতের থালার দিকে তাকিয়ে বলে, ‘আর কিছু নাই?’
রমিছা বিবি হতাশ কণ্ঠে বলে, ‘আর কী থাকব? আমি কি চুরি কইরা আনমু?’
‘চুরির কথা কইতাছি না সাথীর মা। কাম কাজ নাই। ঘরে খাওয়াও নাই। কী যে গজব শুরু অইছে। আল্লাহ কপালে যে কী লেইখা রাখছে সেই জানে।’
এইসময় উঠোনে মৃদু কণ্ঠে সাথীর নাম ধরে কে যেন ডাকে। করিম মিয়া জিজ্ঞেস করে, ‘কে?’
কণ্ঠস্বরটি বলে, ‘খালুজান আমি রকিব।’
রমিছা বিবি কুপি বাতি হাতে বেরিয়ে আসে। মুখে খোঁচা খোঁচা দাড়ি। একজন মাঝারি গোছের যুবক গায়ে কালো চাদর জড়িয়ে দাঁড়িয়ে আছে। রমিছা বিবি কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করে, ‘কে বাবা তুমি?’
যুবক অবাক কণ্ঠে বলে, ‘খালা আমাকে চিনতে পারতাছেন না? আমি রকিব।’
‘তোমার এ অবস্থা ক্যা? এত গরমের মধ্যে চাদর গায়ে দিয়া আছ ক্যা?’
রকিবের চাদরের আড়ালে স্টেনগান লুকানো। সেটা সে বলতে চাচ্ছিল না।
শুধু বলে, ‘সে কথা পরে হুইনেন। আগে কন আপনারা কেমন আছেন?’
রমিছা বিবি জবাব না দিয়ে কেঁদে ফেলে। কাপড়ের আঁচল দিয়ে চোখের পানি মুছে রকিবকে ঘরে নিয়ে আসে। রকিব জিজ্ঞেস করে, ‘খালুজান, কেমন আছেন?’
‘ভালো নাই বাবা। কোনোমতে বাঁইচা আছি। আমার মমিনের কোনো খবর জানো তুমি? কোথায় কেমন আছে?’
‘ভালো আছে।’
তুমি কেমনে জানলা?’ করিম মিয়া আশ্চর্য হয়ে তাকায়।
রকিব মাথা নামিয়ে থাকে। নিচু স্বরে বলে। আমি ও মমিনভাই একই দলে আছি। সে আমাদের দলের কমান্ডার। সেই আমাকে আপনাদের খবর নিতে পাঠাইছে।

চলবে...

আগের পর্বগুলো পড়ুন-

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-১১

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-১০ 

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৯

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৮

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৭

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৬

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৫

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৪

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৩

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-২

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-১

এসএন 

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা

ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এ নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সকল মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। কেউ কারো উপরে না, আবার কেউ কারো নিচেও না, এই ধারণা আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে সম্প্রতি আমরা অর্জন করেছি, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। যে সুযোগ তারা আমাদের দিয়েছে, তার মাধ্যমে আমাদের দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করে যারা দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে জাতি তাদের সারা জীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বক্তব্য শেষে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

Header Ad

নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁ শহরে যানযট নিরসন ও শৃঙ্খলা ফেরাতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক-শ্রমিকদের যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এতে শহরে শৃঙ্খলা ফিরবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অভিযানের উদ্বোধন করেন নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক টি.এম.এ মমিন। এ সময় নওগাঁ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিয়া উদ্দিন, নওগাঁ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন, নওগাঁ জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আফজাল হোসেন ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান শুরুর পর থেকেই শহরের বরুনকান্দি, মশরপুর, তাজের মোড় ও কালীতলাসহ মোট ৮ টি প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেক পোষ্টগুলোতে ২ জন পুলিশ সদস্য, ২ জন ছাত্র সমন্বয়ক, ৪ জন রোভার স্কাউট সদস্য ও ২ জন রিকশা মালিক শ্রমিক প্রতিনিধিসহ মোট ১২ জন করে কাজ করছেন।

পৌর প্রশাসক জানান, নওগাঁ শহরে বৈধ যানবাহনের সংখ্যা ৪ হাজার। কিন্তু প্রতিদিন পার্শবতী বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ১০ হাজার রিকশা, ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা ও ইজিবাইক শহরে প্রবেশ করে। এতে তীব্র যানযট ও জন মানুষের ভোগান্তি তৈরী হয়। এই দূর্ভোগ লাঘোবে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল ও পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিনের দিক নির্দেশনায় যানবাহন নিয়ন্ত্রনসহ বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। বৈধ চালকদের চিহ্নিত করতে তাদের মাঝে পরিধেয় বিশেষ ধরনের জ্যাকেট প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, নওগাঁ শহরের যানযট দীর্ঘদিনের সমস্যা। পরিকল্পিত ভাবে এই সমস্যা দূর করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের উদ্যোগে পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের সমন্বয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন ষ্টেক হোল্ডারদের পরামর্শ নিয়ে একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, অভিযান সফল ভাবে বাস্তবায়ন হলে শহরে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। জনগন এর সুফল পাবেন। সকলকে এই কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানান তিনি।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া