রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৭ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-১২

যারা যুদ্ধ করেছিল

সবাইকে লাইনে দাঁড় করায়। তাদের পিঠমোড়া করে বেঁধে ফেলার নির্দেশ দেওয়া মাত্র সঙ্গে সঙ্গে তাদের বেঁধে ফেলা হয়। তাদের অস্ত্রগুলো সংগ্রহ করার নির্দেশ দেন তিনি। অনেকগুলো ভারী অস্ত্র পেয়ে মুক্তিযোদ্ধারা ভীষণ খুশি। যাদের বন্দি করা হলো তাদের তাৎক্ষণিক কী করা হবে তাই নিয়ে গ্রুপ কমান্ডারদের মধ্যে শলাপরামর্শ শুরু হলো। সিদ্ধান্ত হলো তাদের হত্যা করে মাটি চাপা দেবে। তাই করা হলো। ওদের কিছু বুঝতে না দিয়ে সবার পেছনে বেয়োনেট হাতে একজন করে দাঁড় করিয়ে একসঙ্গে তাদের হত্যা করে সঙ্গে সঙ্গে মাটি চাপা দেওয়া হলো।

এ ব্যাপারে পাশের গ্রামের লোকজন এসে সাহায্য করতে লাগল। তারা ভীষণ আনন্দিত। একসঙ্গে এতগুলো পাকিস্তানি মিলিটারি ধরা পড়েছে তাদের কাছে বিরাট গর্বের ব্যাপার। যুদ্ধ শেষ না হতেই কোত্থেকে এই লোকগুলো হুড়মুড় করে ছুটে এসেছে সেটাই ভাবনার ব্যাপার। মুহূর্তে গাঁয়ের লোকজন রাজাকারসহ মিলিটারিদের মাটি চাপা দিয়ে দেয়। কেউ কেউ বলছিল তাদের বন্দি করে নিয়ে যেতে। শুনে ধমকে ওঠেন কমান্ডার মোজাফ্ফর। বলেন, ‘বন্দি করে কোথায় নিয়ে যাবে? আমাদের নিজেদেরই নিরাপত্তা নেই। খাওয়া দাওয়ার ঠিক নেই। তার উপর এই বন্দিদের নিয়ে আমরা কোথায় যাব? আমাদের কি জেলখানা আছে? তাদের খেতে দেবে কে? আমাদের নিজেদেরই খাওয়ার নিশ্চয়তা নেই। অতএব যা বলছি তাই কর।’

ওদের মাটিচাপা দেওয়ার পর-পরই মজনু দৌড়ে এসে মমিনকে বলে, ‘ওস্তাদ সর্বনাশ হয়ে গেছে। আমিনের হাতে গুলি লেগেছে।’
মমিন ছুটে যায় আমিনের কাছে। আমিন গেরিলা দলে ছিল। দুর্দান্ত সাহসী যুবক। তার হাতে গুলে লেগে গুলি ভেদ করে বেরিয়ে গেছে। রক্তে ভেসে যাচ্ছে। তাকে কাঁধে তুলে নিয়ে পাশের গ্রামের দিকে ছুটতে থাকে মমিন। সঙ্গে আরও কয়েকজন। শুনেছে ওই গ্রামে একজন ভালো ডাক্তার আছে। সবাই সেইদিকে ছুটতে থাকে।

১০.
সাথী মেয়েটাকে দেখে ফজলুর রহমানের মাথার মধ্যে কুনি পোকা কুর কুর করে কামড়াতে থাকে। কচি শষার মতো লকলকে শরীর। বুকজোড়া বেশ ডাসা। এমন কচি জিনিস বছরে এক দুবার খেলে জীবন ধন্য। আহা! হুরের স্বাদ পাওয়া যাবে। আর না হোক সুযোগ পেলে মেয়েটাকে দিয়ে হাত পা টিপে নিলেও পরানটা ঠান্ডা হবে।
আয়েশা বেগম সারারাত কোমরের ব্যথায় ছটফট করে, গোংড়ায়। একদম ঘুমোতে পারে না। ঘুমটা তার আসে দিনের বেলা। সকালে এক গ্লাস লেবুর শরবত খেয়ে সেই যে কাত হয়ে পড়ে থাকে না জাগালে আর জাগে না। ফজলুর রহমান থানা সদর থেকে বাড়িতে এসে সাথীকে ঘরে দেখে তার ভেতর যৌন অনুভূতি তীব্র হয়ে ওঠে। ইশারায় কাছে ডাকে। খেয়াল করে বউ আয়েশা বেগমের অবস্থা কী। জেগে আছে না ঘুমিয়ে গেছে।
কায়দা করে কথা শুরু করে ফজলুর রহমান। বলে, ‘তোমার চাচির কী অবস্থা? আজ কেমন আছে?’
সাথী মৃদু স্বরে বলে, ‘আজ চাচিআম্মা বেশ ভালো। সকালে ভাত খেয়েছে। এখন ঘুমোচ্ছে।’
‘আলহামদুলিল্লাহ।’ ফজলুর রহমান শব্দ করে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে। তারপর তার অভিনয় শুরু হয়। বলে, ‘তোমার চাচির খবর তো ভালোই দিলা। কিন্তু আমার খবর তো ভালো না।’
‘কেন, কী হয়েছে আপনার?’
‘মিলিটারিদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ মিটিং করেছি কয়েক ঘণ্টা। মাথাটা ঝিম ঝিম করছে।’ কথাটা বলে ফজলুর রহমান সাথীর মনোভাব বোঝার চেষ্টা করে। সে আশা করছে সাথী এখনই বলুক, ‘আসুন চাচা আমি আপনার মাথা টিপে দেই।’

কিন্তু এমন কোনো কথা সাথী বলে না। সে মাথা নামিয়ে থাকে। ফজলুর রহমানের মেজাজ খারাপ হতে থাকে। ইচ্ছা করছে জাপটে ধরে সাথীকে। ধরে বিছানায় নিয়ে যায়। ফজলুর রহমান অনেক কষ্টে নিজেকে সংযত করে। হাসি মুখে বলে, ‘তুমি কি একটু আমার মাথাটা টিপে দিতে পারবে?’ বলেই ফজলুর রহমান পাশের বিছানায় শুয়ে পড়ে। মাথা ধরে গড়াগড়ি দিতে থাকে। সাথী ধীর পায়ে এগিয়ে যায়। বাড়িতে এইসময় সাকিব থাকে না। ফজলুর রহমান সুযোগটা সেই হিসেবে নিয়েছে। সাথীর গা ঘিন ঘিন করছিল। তবু সে ফজলুর রহমানের মাথা টিপে দিতে থাকে। ভেতরে ভেতরে তার কান্নার ঠমক উথলে উঠছিল। কিন্তু সে নিরূপায়। ফজলুর রহমান চোখ বুজে আবেশে মজা নিচ্ছে। এইসময় আয়েশা বেগমের ঘুম ছুটে যায়। পাশের খাটে ফজলুর রহমান আর সাথীকে দেখে সে ধমকে ওঠে। ‘কী করেন আপনি?’
ফজলুর রহমান থতো-মতো করে বলে, না কিছু না। যন্ত্রণায় মাথাটা ছিঁড়ে যাচ্ছিল। ওকে দিয়া মাথাটা টিপে নিচ্ছিলাম।’
‘বাপ বেটা ভালো ব্যবসা শুরু করেছেন। মিলিটারির বাহানা দিয়ে যা শুরু করছেন এই পাপ আল্লাহ মাফ করবে না।’
‘কী যা-তা কও। তোমার কী মাথা খারাপ হলো?’ রাগত বলে ফজলুর রহমান।
আয়েশা বেগমও রাগত বলে, ‘আপনাকে আমারে নতুন করে চেনাতে আইছেন? আমি আপনাকে চিনি না?’
‘তুমি কিন্তু বাড়াবাড়ি করতাছ। জানো এর পরিণাম?’
‘আমার এক পা কব্বরে। আমারে পরিণামের ভয় দেখাইয়েন না। পরিণামের ভয় আপনি করেন। পাপ কইলাম বাপকেও ক্ষমা করে না।’
ধপাস করে দরোজায় আঘাত করে ফজলুর রহমান বেরিয়ে যায়। তার আগেই বেরিয়ে গেছে সাথী। সে ঠিক করেছে এই বাড়িতে সে আসবে না। কপালে যা থাকে তাই হবে। বাড়িতে এসে ঘরের দরোজা বন্ধ করে কাগজ কলম নিয়ে সে লিখতে বসে। দ্রুত সে লিখতে থাকে। লেখা শেষ করে কাগজটি ভাঁজ করে ঘরের বাতায় লুকিয়ে রাখে। তারপর সে ভেবে চিন্তে ফজলুর রহমানের বাড়ির দিকে হাঁটা দেয়।

করিম মিয়া রাতে খেতে বসে। ভাতের অবস্থা দেখে লম্বা করে শ্বাস ফেলে। ভাবে মেয়েটা ওই বাড়িতে গিয়া ভালোই করেছে। অন্তত ভাতের কষ্ট করতে হচ্ছে না।
করিম মিয়া ভাতের থালার দিকে তাকিয়ে বলে, ‘আর কিছু নাই?’
রমিছা বিবি হতাশ কণ্ঠে বলে, ‘আর কী থাকব? আমি কি চুরি কইরা আনমু?’
‘চুরির কথা কইতাছি না সাথীর মা। কাম কাজ নাই। ঘরে খাওয়াও নাই। কী যে গজব শুরু অইছে। আল্লাহ কপালে যে কী লেইখা রাখছে সেই জানে।’
এইসময় উঠোনে মৃদু কণ্ঠে সাথীর নাম ধরে কে যেন ডাকে। করিম মিয়া জিজ্ঞেস করে, ‘কে?’
কণ্ঠস্বরটি বলে, ‘খালুজান আমি রকিব।’
রমিছা বিবি কুপি বাতি হাতে বেরিয়ে আসে। মুখে খোঁচা খোঁচা দাড়ি। একজন মাঝারি গোছের যুবক গায়ে কালো চাদর জড়িয়ে দাঁড়িয়ে আছে। রমিছা বিবি কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করে, ‘কে বাবা তুমি?’
যুবক অবাক কণ্ঠে বলে, ‘খালা আমাকে চিনতে পারতাছেন না? আমি রকিব।’
‘তোমার এ অবস্থা ক্যা? এত গরমের মধ্যে চাদর গায়ে দিয়া আছ ক্যা?’
রকিবের চাদরের আড়ালে স্টেনগান লুকানো। সেটা সে বলতে চাচ্ছিল না।
শুধু বলে, ‘সে কথা পরে হুইনেন। আগে কন আপনারা কেমন আছেন?’
রমিছা বিবি জবাব না দিয়ে কেঁদে ফেলে। কাপড়ের আঁচল দিয়ে চোখের পানি মুছে রকিবকে ঘরে নিয়ে আসে। রকিব জিজ্ঞেস করে, ‘খালুজান, কেমন আছেন?’
‘ভালো নাই বাবা। কোনোমতে বাঁইচা আছি। আমার মমিনের কোনো খবর জানো তুমি? কোথায় কেমন আছে?’
‘ভালো আছে।’
তুমি কেমনে জানলা?’ করিম মিয়া আশ্চর্য হয়ে তাকায়।
রকিব মাথা নামিয়ে থাকে। নিচু স্বরে বলে। আমি ও মমিনভাই একই দলে আছি। সে আমাদের দলের কমান্ডার। সেই আমাকে আপনাদের খবর নিতে পাঠাইছে।

চলবে...

আগের পর্বগুলো পড়ুন-

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-১১

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-১০ 

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৯

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৮

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৭

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৬

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৫

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৪

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৩

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-২

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-১

এসএন 

Header Ad
Header Ad

কাবাঘরে ‌‘জয় বাংলা’ স্লোগান, পরিচয় জানা গেল সেই যুবকের

কাবাঘরে ‌‘জয় বাংলা’ স্লোগান’, পরিচয় জানা গেল সেই যুবকের। ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি আওয়ামী লীগের সাবেক ধর্মবিষয়ক উপকমিটির সদস্য সুশান্ত দাস গুপ্তের ব্যক্তিগত পেজ থেকে একটি আট সেকেন্ডের ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, এক যুবক পবিত্র কাবাঘরে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিচ্ছেন। যা নিয়ে সকল মহলে তোলপাড় শুরু হয়। প্রশ্ন উঠে কে এই যুবক।

পরবর্তীতে জানা যায়, ওই যুবকের নাম হারুনুর রশিদ। তার বাড়ি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ঠাকুরদিঘী এলাকায়। হারুনুর রশিদ টোকাই হারুন নামেও পরিচিত। স্থানীয়রা ধারণা করছেন, হাইকোর্ট কর্তৃক ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান ঘোষণা সংক্রান্ত রায় স্থগিত হওয়ার পর এ ঘটনা ঘটেছে।

হারুনের বয়স প্রায় ৩৫ বছর। জানা যায়, ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তিনি নিজেকে ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে পরিচয় দিতেন, যদিও তার কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার প্রমাণ নেই। ঠাকুরদিঘী বাজার এলাকায় তিনি কিশোর গ্যাং গঠন করেন এবং বাগান দখল, অবৈধ বালি ও মাটি ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন। তার বাহিনী নিয়ে হামলা, সংঘর্ষ এবং এলাকায় দোকান ও প্রতিষ্ঠান থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগও রয়েছে।

আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে হারুনের সক্রিয় ভূমিকা ছিল। এসব কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ হয়ে এলাকাবাসী তাকে নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতেন। একপর্যায়ে তিনি সৌদি আরবে চলে যান এবং সেখানেও আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন।

হারুনের ফেসবুক প্রোফাইলে সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসনের সাবেক এমপি আবু রেজা মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন নদভীসহ আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার সাথে তার ছবিও দেখা গেছে।

এদিকে সম্প্রতি হারুনের ‘জয় বাংলা’ স্লোগানের ভিডিও প্রকাশিত হওয়ার পর সাতকানিয়া-লোহাগাড়ায় এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। স্থানীয়রা তার পাসপোর্ট বাতিল করে দেশে ফিরিয়ে এনে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। তারা মনে করেন, চাঁদাবাজি ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য হারুনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া উচিত।

Header Ad
Header Ad

গাইবান্ধায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেফতার

শহীদুল্যাহেল কবীর ফারুক। ছবি: সংগৃহীত

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক শহীদুল্যাহেল কবীর ফারুককে (৫০) গ্রেফতার করেছে সদর থানা পুলিশ। রবিবার (২২ ডিসেম্বর) ভোররাতে জেলা শহরের পলাশপাড়া এলাকার ভাড়া বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার শহীদুল্যাহেল কবীর ফারুক সাদুল্লাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ঢোলভাঙ্গা স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী অধ্যাপক। তিনি সাদুল্লাপুর উপজেলার খোর্দ্দকোমরপুর ইউনিয়নের তালুক হরিদাস গ্রামের মোশাররফ হোসেন নওশার ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর ইসলাম তালুকদার জানান, গত ২৬ আগস্ট জেলা বিএনপি ও যুবদলের অফিসে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত শহীদুল্যাহেল কবীর ফারুক। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে শহরের ভাড়া বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

ওসি আরও জানান, গ্রেফতারের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সদর থানায় দায়ের হওয়া বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে ফারুককে আদালতে হাজির করা হবে।

Header Ad
Header Ad

ডিসেম্বরেই বিশ্বব্যাংক ও এডিবির ১১০০ মিলিয়ন ডলার পাবে বাংলাদেশ

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বব্যাংক এবং এডিবি’র কাছ থেকে বাজেট সহায়তার ১.১ বিলিয়ন (১,১০০ মিলিয়ন) মার্কিন ডলার চলতি ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

রোববার (২২ ডিসেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার ও উন্নয়ন কার্যক্রমকে বেগবান করতে বিশ্বব্যাংক ৫০০ মিলিয়ন ডলার এবং এডিবি ৬০০ মিলিয়ন ডলারের দুটি বাজেট সাপোর্ট সহায়তা অনুমোদন করেছে। এই বাজেট সহায়তা চলতি মাসেই পাওয়া যাবে।

এতে বলা হয়, বাজেট সহায়তার পাশাপাশি বিশ্বব্যাংক স্বাস্থ্য ও পুষ্টি খাতে ৩৭৯ মিলিয়ন এবং চট্টগ্রামে পানি সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়নে ২৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রকল্প সহায়তাও অনুমোদন করেছে।

গত ১৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সরকার ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) মধ্যে শক্তিশালীকরণ অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা এবং শাসন কার্যক্রম, উপপ্রোগ্রাম শীর্ষক কর্মসূচির জন্য ৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। অর্থ বিভাগের উদ্যোগে এ কর্মসূচিটি প্রণয়ন করা হয়।

বিশ্বব্যাংক গত ১৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশের অনুকূলে ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেট সহায়তা প্রদানের অনুমোদন দিয়েছে। সবুজ ও জলবায়ু-সহনশীল উন্নয়নে সংস্কার কার্যক্রমগুলো সফলভাবে অর্জন করায় দ্বিতীয় বাংলাদেশ গ্রিন অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট ডেভেলপমেন্ট ক্রেডিটের আওতায় বিশ্বব্যাংক এ বাজেট সহায়তা প্রদান করে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কাবাঘরে ‌‘জয় বাংলা’ স্লোগান, পরিচয় জানা গেল সেই যুবকের
গাইবান্ধায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেফতার
ডিসেম্বরেই বিশ্বব্যাংক ও এডিবির ১১০০ মিলিয়ন ডলার পাবে বাংলাদেশ
বঙ্গোপসাগর বড় বড় শক্তির নজরে পড়েছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর নাম পরিবর্তন হয়ে যা হলো
ইজতেমা ময়দানে সাদপন্থীদের হামলার প্রতিবাদে নওগাঁয় মানববন্ধন
আমনের ভরা মৌসুমেও বাড়তি চালের দাম, কারসাজিতে কারা?
গোবিন্দগঞ্জে ট্রাকচাপায় নারীসহ ২ জন নিহত
বুয়েট শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় তিন আসামি ২ দিনের রিমান্ডে
আবারও বৃষ্টির আভাস, তাপমাত্রা কমে বাড়তে পারে শীত
উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে সোমবার রাষ্ট্রীয় শোক
সুরের জাদুতে ঢাকার মঞ্চ মাতালেন রাহাত ফতেহ আলী খান
আনিসুল হকের তিন ব্যাংকে ২১ কোটি টাকার সন্ধান পেয়েছে দুদক
নরসিংদীতে ছাত্রদল কর্মীকে গুলি করে হত্যা
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশের বিষয়ে নিশ্চিত নয় ট্রাইব্যুনাল
ভারতের কাছে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ
এক দশক পর ফিরলো ‘আমার দেশ’ পত্রিকা
৩০০ মিলিয়ন ডলার পাচার: হাসিনা ও জয়ের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু দুদকের
ইয়েমেনে হুথিদের লক্ষ্যবস্তুতে মার্কিন বিমান হামলা
লোকসানের মিথ্যা গল্প শোনাচ্ছে ব্রিডার ফার্মগুলো