ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-৪১
নেই দেশের নাগরিক
“চল, এবার একটু পা চালা।“ তাড়া দিল আতিফ। সাদ্দামের খেয়াল ফেরে। একটা আধশুকনো ঢোক গিলে বলে, “হ্যাঁ, চল, এবার আর কাদা নেই। মোড়াম রাস্তা।“ দুজনে গডগড করে হেঁটে চলে। মেঘমুক্ত আকাশের চাঁদ-মেঘ আলোতে লাল মোড়াম রাস্তার উপর গুছিয়ে পড়ে দুটো ছায়া। বধির ছায়াদুটো রাস্তা ছুঁয়ে ছুঁয়ে চলে। শরীর থেকে নেমে আসা চিকন আলো রাস্তার শুইয়ে থাকা দেহে মিহি করে মেশে। রাস্তার খানাখন্দে চুপ মেরে থাকা ঘোলপানি থির হয়ে আছে। দুপাশের ধানক্ষেত পাতা ছড়িয়ে ছুঁয়ে আছে রাস্তার ধারি। ফালি নয়ানজলি নাক উপচে থৈ থৈ করছে। ছোঁক ছোঁক ছেঁড়া পচা শুকনো ধানপাতা ভেসে আছে। সেই ভাসান ধানপাতার নৌকো চিকন করে ঠিকরে পড়া চাঁদ-মেঘের আলোতে বড় মায়াবি হয়ে উঠছে। যেন রাতের মায়াবি চোখ। মায়াবি ভাষায় ফিসফিস করে কথা বলছে। এক শব্দহীন অথচ অর্থময় শীষ ছাড়ছে। চোখ টিপে ইশারায় যেন কীসব বলতে চায়ছে। জনমানবহীন রাস্তা যেন নিস্তব্ধের ফিসফিস কথাবলা এক জীবন্ত শরীর হয়ে ওঠে। এক অন্ধকারের সঙ্গে আর এক অন্ধকার কথা বলে। সে কথা ছায়ার। নৈশব্দের। এই নৈশব্দে কান পাতলে শোনা যায়, অন্ধকারের সেই ফিসফিসানি। জীবনে রাত নেমে এলে মানুষও প্রকৃতির মতো এভাবে ফিসফিস করে নিজের সঙ্গে নিজে কথা বলে। পরবর্তী দিনের জন্যে সুতোতে ফুল চড়ায়।
মাইল পাঁচেক মোড়াম রাস্তা হেঁটে একটা ধানিজমির আলে নেমে পড়ে সাদ্দাম। সাদ্দামকে এভাবে হুটপাট করে আবারও আলপথে নেমে পড়তে দেখে আতিফ জজ্ঞেস করে, “মাঠ দিয়ে আবার কোথায় যাচ্ছিস?”
“আয় তো ঠিক বুঝতে পারবি।“ ধানের শীষ ঠেলে আইলের উপর দিয়ে জোরে পা চালায় সাদ্দাম। আতিফ নিজেকে ছেচড়ে ছেচড়ে আইলপথে নিয়ে চলে। কোমর ভেঙে বলে, “একটু থাম, প্যান্টটা গুটিয়ে নিই।“
“তুই গুটা, আমি আর গুটোব না।“ কোনোরকমে আলুথালু করে প্যান্টের ফোল্ড গুটিয়ে ঘুঁত ঘুঁত করে দম ফেলে পাই পাই করে হাঁটতে হাঁটতে আতিফ শুধাল, “শেষ পর্যন্ত কাদাপানিতেই রাত যাবে নাকি রে!”
“এই কাদাপানিটুকু আছে বলেই তো এখনো জানে বেঁচে আছি। এখনো ধড়ে রুহু আছে।“ কথাটা হাওয়াতে শিমুল তুলোর মতো উড়িয়ে দেয় সাদ্দাম।
“সে তো ঠিকই। কিন্তু এত মাঠ মাঠ কেন করে বেড়াচ্ছিস? আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি ন্যা!”
“এখনো বোঝার সময় আসেনি। সময় এলে ঠিক বুঝতে পারবি। শুধু আমার পেছন পেছন আয়।“
“তাই তো যাচ্ছি।“ ধারালো পাশনি দিয়ে কলার থোড় কাটার মতো সহজ করে বলল আতিফ। তারপর মনে মনে বলল, তা ছাড়া কী আর করার আছে। আমি তো এই এলাকায় একেবারেই আনপড় লোক। কিছুই চিনি না। তুই যেদিকে নিয়ে যাবি, সেদিকেই যাব। তুইই তো এখন আমার চোখ। আমার সহিস।
চার-পাঁচটা আল পাল্টে একটা চৌকো ধানিজমির উঁচু আলে উঠেই চোখ আস্তে আস্তে পুকুরের ঘোলাজলের মতো থির হয়ে এল আতিফের। ঝাপসা আলোয় চোখের সামনে ফিনফিন করছে, ত্রিপলের চালা ছাউনির একটা বড় বস্তি! আগের শিবিরটার থেকে এটা কিছুটা বহরে বড়। থির ঠোঁট নড়ে উঠল আতিফের, “এ তো রিফিউজি ক্যাম্প!”
“হু। নয়াপাড়া আদি ক্যাম্প।“ বলল সাদ্দাম।
“এ তো বেশ বড়সড় ক্যাম্প!”
“হু, এখানেই রোহিঙ্গারা পালিয়ে এসে প্রথম নাড়া বাঁধে। এখানকার অনেকেই বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে গেছে। অনেকেরই রেশনকার্ড হয়ে গেছে।“
“রেশনকার্ড!” চোখে বিস্ময় আতিফের।
“রেশনকার্ড আর কী, অনেকের ভোটের কার্ডও হয়ে গেছে। অনেকে ভোটও দিয়েছেন। এই ক্যাম্পের গা লাগা যে গ্রামটা দেখতে পাচ্ছিস।“ ক্যাম্পটার পশ্চিমদিকের একটা গ্রাম দেখিয়ে সাদ্দাম বলল, “ওই গ্রামটা বাংলাদেশের গ্রাম। ওই গ্রামের মানুষের সঙ্গে অনেক রোহিঙ্গা কৌশলে মিশে বাংলাদেশি হয়ে গেছে।“
“কৌশল!” চোখ আরও একটু বড় করল আতিফ।
“হ্যাঁ, কৌশলই তো। কায়দা কৌশল না করলে, ওসব হবে?”
“তা সে কৌশল কীরকম?”
“বন্ধন।“
“বন্ধন!”
“হ্যাঁ, বন্ধন, সম্পর্কের বন্ধন। আত্মীয়তার বন্ধন।“
“মানে, সম্পর্ক পাতানো? কুটুমতালি?”
“ইয়েস, ফ্রেন্ড। বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া। অনেক রোহিঙ্গা ছেলে বাংলাদেশি মেয়েকে বিয়ে করছে অথবা রোহিঙ্গা মেয়ের সাথে বিয়ে হচ্ছে বাংলাদেশি ছেলের। এমনি করে অনেক রোহিঙ্গাই এখন বাংলাদেশি নাগরিক।“
“পুলিশ ধরপাকড় করছে না?”
“ভোট, ভোট, বুঝলি, ভোট বড় বালায়। সরকারই তো তলে তলে একাজে উস্কানি দিচ্ছে তো পুলিশ আর কী করবে? সরকার দেখছে, তাদের পক্ষে ভোট বাড়ছে, ফলে বাকিসব ভেত্তু। কোন দেশের, কোন জাতি দেখে লাভ নেই, তাদের ভোটার হলেই হলো।“
“একদিক দিয়ে ব্যাপারটা রোহিঙ্গাদের ক্ষেত্রে ভালোই। তারা যেনতেন প্রকারে একটা দেশ তো পাচ্ছে। কিন্তু এসবই যখন তলে তলে হচ্ছে, তখন বাংলাদেশ সরকার নাফ নদীতে ভেসে থাকা রোহিঙ্গাদের কেন এদেশে ঢুকতে দিচ্ছে না?”
“সেটা অন্য অঙ্ক।“
“অন্য অঙ্ক মানে?”
“অন্য অঙ্ক মানে, মায়ানমারের উপর আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করা।“
“সে তো এমনিতেই বিভিন্নমহল থেকে চাপ আসছে।“ কথাটা বলেই একবার ছাপড়ে পা চুলকে নিল আতিফ। প্যান্টগুটানো উদেম জায়গায় মশা কামড় বসাচ্ছে। সাদ্দাম ঘুরপ্যাচ কথাটার পাক খুলে এবার সোজা করল, “দেখ, একটা মানুষকে মাথা গোঁজার ঠাঁই দিয়ে, তার দূরাবস্থা জানানো আর কোনো ঠাঁই না দিয়ে দিনের পর দিন নদীতে আটকে রেখে, তার দূরাবস্থা জানানো এক ব্যাপার নয়। নদীর ব্যাপারটা বেশি স্পর্শকাতর ও মর্মস্পর্শী। খুব সহজেই আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি পড়বে। ফলে, মায়ানমারের উপর আন্তর্জাতিক চাপ অনেক বেশি বাড়বে। তারা একসময় বাধ্য হবে, রোহিঙ্গাদের দেশে ফিরিয়ে নিতে। দেখ, মানুষের বোঝা টানা তো কম ব্যাপার নয়। হুড়হুড় করে বাইরের দেশ থেকে লোক ঢুকলে তো একটা দেশের উপর বাড়তি বোঝা হবেই। জনসংখ্যার চাপ তো কমসম ব্যাপার নয়?”
আতিফ উঁচু আল থেকে নিচে নামল। কোমল ঘাসের উপর দাঁড়িয়ে বলল, “এবার চল, সাদ্দাম, দেরি হয়ে যাচ্ছে। ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই আমাদের নদীর তীরে পৌঁছতে হবে। এসব আলোচনা পরেও করা যাবে।“
“হু, চল।“ ঘাড় নড়াল সাদ্দাম।
কলোনিপাড়াটা ঘুমে কাদা। সেরকম রাস্তার কুত্তাও নেই যে, রাতবিরেতে অচেনা লোক দেখলে ‘ঘ্যাউ’ ‘ঘ্যাউ’ করবে। দুটো ঘিঞ্জি গলি পেরিয়ে একটা কালো ত্রিপল ঢাকা ঝুপড়ি ঘরের সামনে এসে দাঁড়াল সাদ্দাম। পড়ন্ত রাতের হিমেল হাওয়াই ফিনফিন করে উতলাচ্ছে কুচকুচে কালো রঙের ত্রিপলটা। বাড়িটা পাড়ার একেবারে একওরে। আড়াই হাতের উঠোনটা বুক পেড়ে পাশের ধানের খেতিটার সঙ্গে মিশে গেছে। গোটা মাঠটা যেন উঠোনে এসে ধান মাথায় দাঁড়িয়েছে। বাঁশের চাটায় দিয়ে ঘেরা ঘরের দেয়াল। চাটায়ের বাতায় বাতায় শিং ঢুকিয়ে ঘুমোচ্ছে আশ্বিনের রাত। চোখে অন্ধকারের বোরখা। সাদ্দাম হাঁসের মতো পা চেপে চেপে বাঁশের বাতার দরজাটার সামনে দাঁড়াল। ঘরের ভেতরের কুপির হলুদ আলো টান করা দড়ির মতো এসে পড়ল তার মুখে। কুপিটা মিটমিট করে জ্বলছে। মিহি আলোর ছাঁচ পড়ছে ঘরময়। বাঁশের বাতার দরজাটায় বাইরের অন্ধকার দাঁতকামড়ে লেগে আছে।
অন্ধকারের এই ঘোমটা সরিয়ে মিহি করে ডাকল সাদ্দাম, “সুমি।” ভেতর থেকে কোনো উত্তর এল না। সাদ্দাম আবারও গলা চাপা দিয়ে ডাকল, “সুমি।” এবারও কোন উত্তর ভেসে এল না। সাদ্দামের কীর্তিকলাপ দেখে আতিফ মনে মনে ভয় করছে। সে ভাবছে, সাদ্দাম এসব কী করছে! ঘোর রাতে একটা ঘুমন্ত বাড়িতে এসে একটা মেয়েকে ডাকছে! কলোনির লোক চেতন পেয়ে গেলে, চোর সন্দেহে গণধোলাই দেবে না তো? কুকুর লেলিয়ে তাড়া করবে না তো? সাদ্দাম এবার গলাটা একটু চড়াল, “সুমি।“
“কে?” ভেতর থেকে একটা ঘুম জড়ানো মেয়েলি কণ্ঠ ভেসে এল। আতিফ ভাবল, এই মেয়েটাই মনে হয় ‘সুমি’, যাকে সাদ্দাম এতক্ষণ ধরে ডাকছে। কিন্তু কণ্ঠস্বর শুনে তো মনে হচ্ছে মেয়েটি যথেষ্ট বয়স্কা। এত বুড়ি মেয়ে সাদ্দাম কী করবে? সাদ্দাম ঝাঁপির দরজাটা থেকে দুধাপ পেছনে সরে এসে বলল, “সুমি নেই?”
“নাহ, নেই।“ ভেতরের মেয়েলি কণ্ঠটা এবার কিছুটা ঝাঁঝিয়ে উঠল।
‘সুমি নেই’ মানে ভেতরের বৃদ্ধা মেয়েটি ‘সুমি’ নয়। ‘সুমি’ নামক মেয়েটির কেউ হবে টবে। ভাবল আতিফ।
“কোথায় গেছে?” জানতে চায়ল সাদ্দাম।
“কোথায় গেছে, কী করতে গেছে, অত জেনে আপনার লাভ কী? আপনি কে লাটের বেটা যে আপনাকে অত প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে?” খ্যাঁক করে উঠলেন বৃদ্ধা। তারপর গলা নামিয়ে বিড়বিড় করে বললেন, “মেয়েটা যেই বাইরে গেছে, অমনি খদ্দেরে উঠোন ভরে গেল! এতদিন কোথায় ছিল সব! এখন পাঁঠার মতো খুই খুই করে বেড়াচ্ছে!”
কথাগুলো ফিসফিস করে সাদ্দামের কানে এল। আতিফের কানেও মিহি করে বাজল। বৃদ্ধার কথার ধরন দেখে, আতিফ এতক্ষণে বুঝতে পারল, সাদ্দাম কেন তাকে এই ঝুপড়ি বাড়িতে এনেছে। সুমি নামক মেয়েটি একজন দেহখাটানো মেয়ে। তার কাজের প্রয়োজনেই সাদ্দাম এই মেয়েটিকে নিতে এসেছে। সাদ্দাম ছঞ্চেয় দাঁড়িয়ে মনে মনে কী একটা ভাবল, তারপর একটু গলা উঁচিয়ে বলল, “ফুপু, আমি সাদ্দাম।“
“সাদ্দাম! তা আগে বলবে তো? বুড়ি হয়েছি, কানে আর অত কথা নিতে পারছে না। তা বসো বেটা, বসো।“ বুড়ি মেয়েটি ধড়ফড় করে ঘরের ভেতর থেকে বেরিয়ে এলেন। পরনে আলুথালু সাদা শাড়ি। গায়ে ব্লাউজ নেই। নেতিয়ে পড়া ঝুলা বুক, শাড়ির ফাঁক গলে উঁকি মারছে। দুমড়ানো মুচড়ানো চামড়া জড়সড় হয়ে আছে গা-গতরে। মাথায় পেঁয়াজের শেকড়ের মতো একঝোপ সাদাপাকা চুল। বুড়ি মাথার ঘোমটাটা কপাল পর্যন্ত টেনে ভাঁজ পড়া ঠোঁট নড়িয়ে বললেন, “তা বাপ, এত রাতে কেন?”
“খুউব দরকারে পড়ে রাতেই আসতে হলো, ফুপু।“ বলল সাদ্দাম।
কিন্তু, সুমি...... সুমি তো ......।“ ঢোক গিলতে গিলতে ফুঁপিয়ে উঠলেন বৃদ্ধা। একসময় কান্নার বাঁধ ভেঙে হাউমাউ করে উঠলেন। সাদ্দাম বেচক্করে পড়ে গেল! এত রাতে বুড়ির কাঁদনে তো গোটা কলোনি জেগে উঠবে! তখন এক ফ্যাংড়া থেকে আরেক ফ্যাসাদ বেঁধে যাবে! সাদ্দাম আঁকুপাঁকু করে উঠল, “চুপেন ফুপু, চুপেন, কী হয়েছে আমাকে বলেন।“
বুড়ি মেয়েটি সাদ্দামের কথা কান করেন না। সাদ্দামকে কাছে পেয়ে একেবারে বুক খুলে কাঁদেন। সাদ্দাম যেন তার খুব কাছের মানুষ। নিকটজন। দায়েদি। মনের কষ্ট, দুঃখ, যন্ত্রণা একেবারে উগরে দিচ্ছেন। সাদ্দাম বেগতিক দেখে, বুড়ির মাথায় হাত বুলিয়ে বড় আপনজনের মতো বলল, “কী হয়েছে ফুপু? আমাকে বলেন। আমি সব ঠিক করে নিচ্ছি।“
“তুমি আর কী ঠিক করে নিবে। যা সর্বনাশ হওয়ার তা তো হয়েই গেছে।“
“সর্বনাশ! কী সর্বনাশ?”
“সুমি।“
“সুমির কী?”
“সুমিকে ওরা কাজ পাইয়ে দেব বলে, সেই যে নিয়ে গেল, ব্যাচারি মেয়েটার আর কোনো খোঁজ পেলাম না!” ডুকরে উঠলেন বৃদ্ধা।
“কারা নিয়ে গেছে?” তদন্তকারীর মতো জেরা করতে থাকে সাদ্দাম।
“কোথাকার লোক কে চেনে। বলল, কোন এন জি ও থেকে নাকি এসেছে।“ মুখ থেকে আঁচল সরালেন বৃদ্ধা।
“এন জি ও! এন জি ও’র কোনো নামটাম বলেছে?”
“কী সব ইংরাজি নামটাম বলছিল, আমি মুখ্যুসুখ্যু মানুষ, আমার কী ওসব মনে আছে, বাপ।“
“কবে গেছে?”
“গত পরশু। সন্ধ্যাবেলা।“
“তাহলে, পগারপার। আর কিচ্ছু করার নেই।“ শেষের কথাটা জিভ চেপে বলল সাদ্দাম। মনে মনে বলল, ও এখন হাতের নাগালের বাইরে। আর কোনো কিছু করেই কোনো কিছু করা যাবে না। একটা শুকনো ঢোক গিলে বলল, “ফুপু, আপনি বেশি চিন্তা করেন না। আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি, সুমিকে ওরা কোথায় নিয়ে গেছে। আমি বিভিন্ন দিকে লোক লাগাচ্ছি। আপনি তো জানেন, আমার হাত কত বড় লম্বা।“
চলবে...
আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>
নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৪০
এসএন