রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৭ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-১১

যারা যুদ্ধ করেছিল

সন্ধ্যা থেকে সবাই প্রস্তুত। আজ বড় অপারেশন করতে যাচ্ছে তারা। একটি হাইস্কুলে তারা আক্রমণ করবে। সেখানে শ’খানেক মিলিটারি, জনা পঞ্চাশেক রাজাকার আর পাঞ্জাবি পুলিশ আছে বিশ-পঁচিশ জন। তারা সুযোগ পেলেই গ্রামে এসে গরু-ছাগল এবং যুবতী মেয়েদের ধরে নিয়ে যায়।

মোজাফফরের দল আর মমিনের দল আবার একসঙ্গে অপারেশন করতে একত্রিত হয়েছে। আজ তারা বজ্রকঠিন শপথ নিয়েছে। পরিকল্পনা করেছে পুঙ্খানুপুঙ্খ। স্কুলের পাশ দিয়ে উঁচু রাস্তা চলে গেছে। লোকজন বলে ওয়াপদার বাঁধ। ওই বাঁধের আড়ালে পজিশন নেবে মূল দল। দক্ষিণ পাশে থাকবে আরেকটি দল। স্কুলের উত্তরে আখের ক্ষেত। ওখানে কয়েকজন দুর্ধর্ষ গেরিলা থাকবে। তাদের হাতে থাকবে গ্রেনেড। তারা নির্দেশ পাওয়া মাত্র ক্রোলিং করে গিয়ে পাকিস্তানিদের বাংকারে গ্রেনেড ছুড়বে।

রাত তিনটে। চারদিকে নিঝুম নিস্তব্ধতা। দূরে একটি রাতজাগা পাখি ডেকে উঠলে সে আওয়াজ স্পষ্ট শোনা যায়। নির্দেশ মতো সবাই নিঃশব্দে যার যার মতো পজিশন নেয়। তারপর বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় ফায়ার। আকস্মিক আক্রমণে পাকিস্তানি বাহিনী হকচকিয়ে গেলেও একটু পর তারা বাংকার থেকে ফায়ার শুরু করে। রাতের নিস্তব্ধতা খান খান করে মেশিনগানের বিকট শব্দে আকাশ বাতাস প্রকম্পিত হতে থাকে। মুক্তিবাহিনীর চেয়ে পাকিস্তানি বাহিনী গুলি ছুড়ছে বৃষ্টির মতো। টানা ফায়ার চলে আধা ঘণ্টা। তারপর দু’পক্ষই চুপ। এটাও যুদ্ধের কৌশল। শত্রুপক্ষের অবস্থান বোঝার জন্য ফায়ার বন্ধ করে অবস্থা বুঝতে হয়। টানা গোলাগুলির পর এতটাই নীরবতা নেমে আসল যে দূরের ফিসফাস কথাও স্পষ্ট শোনা যায়। এই সময় পাকিস্তানি মিলিটারিরা ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ বলে ধ্বনি দিয়ে ওঠে। সঙ্গে সঙ্গে গর্জে ওঠে ‘জয়বাংলা’ ধ্বনি।

জয়বাংলা ধ্বনির পর পরই পাকিস্তানি মিলিটারি গালাগালি করতে থাকে। পাল্টা মুক্তিবাহিনীও গালাগাল করতে থাকে। যুদ্ধের এই ব্যাপারটা মজনুর ভীষণ মজা লাগে। সে সিনেমায় দেখেছে তলোয়ার দিয়ে যখন যুদ্ধ হতো তখন দুজন সৈন্য থাকত কাছাকাছি। তারা নানা রকম গরম গরম কথা বলে একে অন্যকে আক্রমণ করত। আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে যুদ্ধেও পরস্পরের কথা বিনিময় হয়- এটাই মজনুর বিস্ময়ের কারণ।

পাকিস্তানিরা মা-বাপ তুলে বেশি গালাগাল দেয়। ‘মাদারচোদ’, ‘বার্স্টাড’, ‘মালাউন কা বাচ্চা’। এই শব্দগুলোর মানে আগে জানত না মজনু। মমিনের কাছ থেকে জেনেছে এসব খুব খারাপ-খারাপ গাল। মুক্তিবাহিনী গাল দেয় বাংলায়। সেটাও খুব খারাপ। ‘কুত্তার বাচ্চা’, ‘তোর মারেরে......’ যুদ্ধে যে কত কী হয় যুদ্ধ যারা করেনি তারা বুঝবে না।

মজনু ফিস ফিস করে বলে, ‘মালাউন কা বাচ্চার’ জবাবে কী কমু ওস্তাদ?’ মমিন খানিক ভাবে। তারপর বলে, ‘বলো, জাহেল কা বাচ্চা’। ‘মানে কী?’ মজনু জিজ্ঞেস করে। মমিন বলে, ‘জাহেল একজন খারাপ মানুষের নাম।’ নবীজী তার নাম দিয়েছিল ‘আবু জেহেল’।

পাকিস্তানি মিলিটারি যখন ‘মালাউন কা বাচ্চা’ বলছিল মজনু তখন গলা ফাটিয়ে ‘জাহেল কা বাচ্চা’ বলতে থাকে। এরই মধ্যে কমান্ডারের নির্দেষ এলো মমিনের কাছে। কমান্ডার মোজাফফর খবর পাঠিয়েছেন, আর কালবিলম্ব না করে গেরিলা বাহিনী পাঠাতে বলেছেন।

কিছুক্ষণ দুই পক্ষের মধ্যে গালাগাল বিনিময় হয়। তারপর আবার শুরু হয় গোলাগুলি। এইবার গোলাগুলির মধ্যে মুক্তিবাহিনীর কয়েকজন দুর্ধর্ষ গেরিলা যোদ্ধা ক্রোলিং করে পাকিস্তানি সেনাদের বাংকারের কাছে গিয়ে গ্রেনেড ছুড়বে। ভয়ংকর বিপজ্জনক কাজ। প্রাণ হাতে নিয়ে যেতে হবে। যেকোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। বিশেষ করে ক্রোলিং করার সময় পাকিস্তারিা যদি টের পায় তাহলে হাতে নাতে ধরা পড়ার ভয় আছে। এবার আর গুলি থামানো যাবে না। গোলাগুলির আওয়াজের মধ্যে গেরিলারা ক্রোলিং করে যাবে। তাতে বাইরে থেকে শব্দ বুঝতে পারবে না পাকিস্তানি মিলিটারিরা।

স্কুলের পেছনে আখক্ষেত। সেই আখক্ষেতের ভেতর দিয়ে সাপের মতো এঁকে-বেঁকে গেরিলারা এগিয়ে যাচ্ছে। বাঁধের আড়ালে যারা পজিশন নিয়েছে তারা ক্রমাগত ফায়ার করে যাবে। তবে এলোমেলোভাবে গুলি ছোড়া যাবে না। মুক্তিবাহিনীর হিসেব করা গুলি। তারা পাকিস্তানি মিলিটারির ন্যায় বৃষ্টির মতো গুলি ছুড়তে পারে না। এতো গুলি তাদের নেই।

অনেকক্ষণ হয়ে গেল। গ্রেনেড ফাটার আওয়াজ আসছে না। মমিন চিন্তিত হয়ে পড়ে। এতক্ষণ তো লাগার কথা না। তাহলে কি কোনো বিপদ হলো? মমিন ফায়ার না দিয়ে ভাবতে থাকে। গোলাগুলি বেড়ে চলেছে। মমিন খেয়াল করে মজনু কাত হয়ে পড়ে আছে। মমিনের আত্মা ধক করে ওঠে। তবে কি গুলি খেয়ে মজনু শহীদ হয়ে গেল? মমিন
ক্রোলিং করে মজনুর কাছে যায়। গায়ে হাত দিয়ে মৃদু স্বরে ডাকে, মজনু। মজনু ধুচমুচ করে পাশ ফিরে তাকায়। বলে, ‘কী অইছে ওস্তাদ?’
‘কিছু হয় নাই। তুমি ঠিক আছো তো?’
‘জ্বি ঠিক আছি।’
‘তুমি কাত হয়ে পড়ে আছো তাই ভাবলাম গুলি টুলি লাগল কি না?’
মজনু বলে, ‘হয়রান হয়ে গেছি ওস্তাদ। রাইফেল কোনো ভালো অস্ত্র না। এটা দিয়ে দুই মিনিট যুদ্ধ করলে শরীলে আর বল পাওয়া যায় না। শরীল আইপসা আসে।’
‘ঠিকই বলেছ। রাইফেল কোনো আধুনিক অস্ত্র না। কী আর করা। আমাদের তো এর চেয়ে ভালো অস্ত্র নাই।’

মমিন কথা বলতে বলতে এসএলআর এ আরও একটি ম্যাগাজিন লোড করে। তারপর খেয়াল করে টার্গেট করে। খুব বেশি দূরে নেই পাকিস্তানি মিলিটারিরা। তাদের অস্ত্রের নল থেকে যে আগুনের ফুলকি বেরুচ্ছে তাতে বোঝা যায় শত্রুপক্ষ নিকটেই আছে। মমিন টার্গেট ঠিক করছে। এই সময় পরপর কয়েকটি গ্রেনেড ব্রাস্ট হওয়ার শব্দ চারপাশ কাঁপিয়ে তুলল। সঙ্গে সঙ্গে মমিনরা জয়বাংলা ধ্বনি দিয়ে গেরিলাদের স্বাগত জানাল।

পরেরবার গ্রেনেড ব্রাস্ট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সম্মিলিতভাবে পাকিস্তানি মিলিটারিদের আর্তনাদ ভেসে আসতে লাগল। তারা ভীষণ শব্দ করে ‘হে আল্লাহ রহম করেগা’, ‘হে আল্লাহ রহম করেগা’ বলে চিৎকার করছে। আর জোরে জোরে দোয়া দরুদ পড়ছে। একজনের কণ্ঠে কোরআনের আয়াত শোনা গেল। সে শব্দ করে সুরা ইয়াসিন পাঠ করছে। আবার গ্রেনেড ফাটার শব্দ। পাকিস্তানি মিলিটারিদের আর্তনাদের পাল্লা আরও ভারী হয়ে ওঠে। আর মমিনদের আনন্দ উল্লাস এবং জয়বাংলা ধ্বনি আকাশ বাতাস কাঁপাতে থাকে।

পাকিস্তানিদের গোলাগুলি থেমে গেছে। তারা আত্মরক্ষার জন্য পালাবার পথ খুঁজছে। কিন্তু সে পথ আপাতত বন্ধ। চারদিক থেকে ছুটছে গুলি। আর বাংকারে পড়ছে গ্রেনেড। উপায় নেই। আজ তাদের খতম তারাবি পড়ানো হবে। এটা তারা বুঝে গেছে। আকাশ ক্রমশ ফর্সা হচ্ছে। দূরের গ্রামের মসজিদে হয়তো আজান হয়েছে। গোলাগুলির শব্দে আজানের ধ্বনি শোনা যায়নি। ভয়ে মোয়াজ্জিন সাহেব পালিয়ে গেছে কি না তাই বা কে জানে। ভোরের সূর্য উঠছে ডগমগ হয়ে। মমিন দেখতে পেল কমান্ডার মোজাফফর তার দলবল নিয়ে ঘিরে ফেলেছে পাকিস্তানিদের ক্যাম্প এবং সে চিৎকার করে বলছে ‘সারেন্ডার কর। নইলে সবাইকে খতম করা হবে।’

এই দৃশ্য দেখে মমিন তার বাহিনী নিয়ে ক্যাম্পের দিকে এগুতে থাকে। পাকিস্তানি মিলিটারি অস্ত্র ফেলে হাত উপরে তুলে সামনে এসে দাঁড়াতে থাকে। অধিকাংশ পাকসেনা আহত এবং রক্তাক্ত। একই লাইনে এসে রাজাকাররা এসে দাঁড়ালে তাদের আলাদাভাবে দাঁড় করায় কমান্ডার মোজাফফর। রাজাকারদের কাঁপাকাঁপি দেখে মুক্তিযোদ্ধারা হাসতে থাকে। ভয়ে দু’একজন কাপড় নষ্ট করে ফেলে।

চলবে...

আগের পর্বগুলো পড়ুন-

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-১০ 

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৯

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৮

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৭

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৬

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৫

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৪

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৩

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-২

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-১

Header Ad
Header Ad

নওগাঁয় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান

নওগাঁয় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটের পরে নওগাঁয় পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে ধরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। রোববার (২২ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা থেকে তারা অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন।

পরে পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন সেখানে উপস্থিত হলে শিক্ষার্থীরা তাদের ৯ দফা দাবি পেশ করেন। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দিলে সেখান থেকে সরে দাঁড়ায় শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ৫ আগস্টের পরে পুলিশ বিশেষ একটি রাজনৈতিক দলের মদদে কাজ করছে। রাজনৈতিক দল যা চাচ্ছে পুলিশ সেটিই করছে। সাধারণ মানুষের হয়ে কাজ করছেনা। আগামী ৭ দিনের মধ্যে ৯ দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে নওগাঁ জেলার সকল থানা ঘেরাওসহ কঠোর কর্মসূচি পালনের হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নওগাঁর নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থী ফজলে রাব্বী, জুলাই বিপ্লবের আগে পুলিশের প্রতি মানুষের যে ক্ষোভ ছিল সে জায়গা থেকে আমরা মনে করেছিলাম পুলিশ কাজ করে মানুষের মন জয় করে নিবে। কিন্তু সে কাজে তার সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। এখনো আগের মতোই রয়ে গেছে। এখনো নওগাঁতে চাঁদাবাজি হচ্ছে। থানাতে গেলে কারো রেফারেন্স ছাড়া মামলা নেয়া হয় না। এগুলো আমরা চাইনি। আমরা চাই একজন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষ যেন সুবিধা পায়।

নেতৃত্ব দেওয়া আরেক শিক্ষার্থী আরমান হোসেন বলেন, জুলাই বিপ্লবের সময় ছাত্রলীগ যুবলীগ আওয়ামী লীগের গুন্ডাবাহিনীরা আমাদের উপর নৃশংসভাবে হামলা করে। হামলাকারীরা এখনও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

তিনি আরো বলেন, পুলিশের সাথে ঘুষ ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এটা তাদের একটি সংস্কৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা নিজের চোখে দেখেছি তারা এখনও ঘুষ নিচ্ছে। এ বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করা হলেও তারা ব্যবস্থা না নেওয়ায় আজকে আমরা এই কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দাবি আদায় না করা হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

নওগাঁ পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, তাদের দাবি-দাওয়া গুলো শুনেছি। তাদের দাবিগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে সবাই মিলে একসাথে কাজ করবো। দেশ স্বাধীনতার যে সুফল সেটি সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেবে পুলিশ।

Header Ad
Header Ad

আব্রাম না থাকলে তাকে আমার যোগ্য বলেই মনে করতাম না: অপু বিশ্বাস

ছেলে আব্রামের সঙ্গে অপু বিশ্বাস, শাকিব খান এবং বুবলী। ছবি কোলাজ: ঢাকাপ্রকাশ

চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বুবলীর নাম উল্লেখ না করেই মন্তব্য করেছেন, যা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, আমার সন্তান (আব্রাম খান জয়) না থাকলে যাদের নিয়ে প্রসঙ্গ তৈরি হয়, তাদের আমি যোগ্য বলেই মনে করতাম না। কারণ যোগ্যতা একদিনে সৃষ্টি হয় না। আমি অপু বিশ্বাস, আমি একজন সুপারস্টার। এই ইন্ডাস্ট্রিতে আমার ১৭ বছর চলছে। তাই তাকে আমার যোগ্য বলেই মনে করতাম না।

২০১৭ সালে হঠাৎ একটি বেসরকারি টেলিভিশনের অনুষ্ঠানে পুত্র জয়কে সঙ্গে নিয়ে হাজির হন অপু। সেদিন তিনি প্রকাশ করেন, জয়ের বাবা চিত্রনায়ক শাকিব খান। অপু জানান, ২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল গোপনে তাদের বিয়ে হয়েছিল। তবে ২০১৮ সালের ১২ মার্চ বিবাহবিচ্ছেদের মাধ্যমে তাদের দাম্পত্য জীবনের সমাপ্তি ঘটে।

এ ঘটনার পর থেকে শাকিব ও অপু দু’জনেই আলাদা পথে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। তবে এখনও প্রায়ই অপুকে টেলিভিশন অনুষ্ঠানে সেই সম্পর্ক ও সন্তান নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়।

সম্প্রতি তেমনই এক অনুষ্ঠানে অপু জানালেন, আমার সেই ঘটনার পর অনেকেই মনে করেছেন, এভাবে সন্তান নিয়ে টেলিভিশনে না আসলেও পারতাম বা এটা আমার ভুল ছিল। পুরো বিষয়টি পারিবারিকভাবে সমাধান করতে পারতাম।

এরপর এই নায়িকা বললেন, পারিবারিকভাবে আমরা সমাধানের চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু প্রতিবার মনে হচ্ছিল, কেউ পেছন থেকে টেনে ধরছে। যে কারণে বাধনটা ছিঁড়ে গেছে।

অপু বিশ্বাসের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর নায়িকা শবনম বুবলীকে বিয়ে করেন শাকিব খান। সেই সংসারেও নায়কের একটি পুত্র সন্তান জন্ম নেয়।

শাকিবকে ঘিরে অপু-বুবলী একাধিকবার বিবাদে জড়িয়েছেন। দু’জন দু’জনকে ইঙ্গিত করে প্রকাশ্যে কিংবা পরোক্ষভাবেই নানা মন্তব্য করেছেন। যে কারণে দুই নায়িকাকে নিয়েও একাধিকবার বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল গোপনে বিয়ে করেন শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস। ২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল এই দম্পতির বিয়ের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। ওই দিন পুত্র জয়কে নিয়ে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে লাইভে আসেন অপু। ২০১৮ সালের ১২ মার্চ বিবাহবিচ্ছেদের মাধ্যমে দাম্পত্য জীবনের ইতি টানেন এই তারকা জুটি।

এরপর ২০১৮ সালের ২০ জুলাই শবনম বুবলীকে গোপনে বিয়ে করেন শাকিব খান। ২০২০ সালের ২১ মার্চ জন্ম হয় তাদের সন্তান শেহজাদ খান বীরের। এরপর শাকিবের এ সংসারও ভেঙে যায়।

Header Ad
Header Ad

কাবাঘরে ‌‘জয় বাংলা’ স্লোগান, পরিচয় জানা গেল সেই যুবকের

কাবাঘরে ‌‘জয় বাংলা’ স্লোগান’, পরিচয় জানা গেল সেই যুবকের। ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি আওয়ামী লীগের সাবেক ধর্মবিষয়ক উপকমিটির সদস্য সুশান্ত দাস গুপ্তের ব্যক্তিগত পেজ থেকে একটি আট সেকেন্ডের ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, এক যুবক পবিত্র কাবাঘরে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিচ্ছেন। যা নিয়ে সকল মহলে তোলপাড় শুরু হয়। প্রশ্ন উঠে কে এই যুবক।

পরবর্তীতে জানা যায়, ওই যুবকের নাম হারুনুর রশিদ। তার বাড়ি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ঠাকুরদিঘী এলাকায়। হারুনুর রশিদ টোকাই হারুন নামেও পরিচিত। স্থানীয়রা ধারণা করছেন, হাইকোর্ট কর্তৃক ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান ঘোষণা সংক্রান্ত রায় স্থগিত হওয়ার পর এ ঘটনা ঘটেছে।

হারুনের বয়স প্রায় ৩৫ বছর। জানা যায়, ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তিনি নিজেকে ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে পরিচয় দিতেন, যদিও তার কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার প্রমাণ নেই। ঠাকুরদিঘী বাজার এলাকায় তিনি কিশোর গ্যাং গঠন করেন এবং বাগান দখল, অবৈধ বালি ও মাটি ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন। তার বাহিনী নিয়ে হামলা, সংঘর্ষ এবং এলাকায় দোকান ও প্রতিষ্ঠান থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগও রয়েছে।

আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে হারুনের সক্রিয় ভূমিকা ছিল। এসব কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ হয়ে এলাকাবাসী তাকে নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতেন। একপর্যায়ে তিনি সৌদি আরবে চলে যান এবং সেখানেও আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন।

হারুনের ফেসবুক প্রোফাইলে সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসনের সাবেক এমপি আবু রেজা মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন নদভীসহ আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার সাথে তার ছবিও দেখা গেছে।

এদিকে সম্প্রতি হারুনের ‘জয় বাংলা’ স্লোগানের ভিডিও প্রকাশিত হওয়ার পর সাতকানিয়া-লোহাগাড়ায় এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। স্থানীয়রা তার পাসপোর্ট বাতিল করে দেশে ফিরিয়ে এনে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। তারা মনে করেন, চাঁদাবাজি ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য হারুনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া উচিত।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নওগাঁয় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান
আব্রাম না থাকলে তাকে আমার যোগ্য বলেই মনে করতাম না: অপু বিশ্বাস
কাবাঘরে ‌‘জয় বাংলা’ স্লোগান, পরিচয় জানা গেল সেই যুবকের
গাইবান্ধায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেফতার
ডিসেম্বরেই বিশ্বব্যাংক ও এডিবির ১১০০ মিলিয়ন ডলার পাবে বাংলাদেশ
বঙ্গোপসাগর বড় বড় শক্তির নজরে পড়েছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর নাম পরিবর্তন হয়ে যা হলো
ইজতেমা ময়দানে সাদপন্থীদের হামলার প্রতিবাদে নওগাঁয় মানববন্ধন
আমনের ভরা মৌসুমেও বাড়তি চালের দাম, কারসাজিতে কারা?
গোবিন্দগঞ্জে ট্রাকচাপায় নারীসহ ২ জন নিহত
বুয়েট শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় তিন আসামি ২ দিনের রিমান্ডে
আবারও বৃষ্টির আভাস, তাপমাত্রা কমে বাড়তে পারে শীত
উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে সোমবার রাষ্ট্রীয় শোক
সুরের জাদুতে ঢাকার মঞ্চ মাতালেন রাহাত ফতেহ আলী খান
আনিসুল হকের তিন ব্যাংকে ২১ কোটি টাকার সন্ধান পেয়েছে দুদক
নরসিংদীতে ছাত্রদল কর্মীকে গুলি করে হত্যা
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশের বিষয়ে নিশ্চিত নয় ট্রাইব্যুনাল
ভারতের কাছে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ
এক দশক পর ফিরলো ‘আমার দেশ’ পত্রিকা
৩০০ মিলিয়ন ডলার পাচার: হাসিনা ও জয়ের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু দুদকের