মঙ্গলবার, ১ এপ্রিল ২০২৫ | ১৮ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-৪০

নেই দেশের নাগরিক

 

“চল, এবার বেরোনো যাক।“ খাড়া হয়ে দাঁড়াল আতিফ।
“থাম, কটা গয়নাগাটি পরে নিই।“ সাদ্দামের ঠোঁটে চিলতে হাসি।
“গয়নাগাটি!” ঘাড় ঘোরায় আতিফ। চোখ থেকে বেরিয়ে আসছে বিস্ময়ের চাহনি।
“হ্যাঁ, গয়না। গয়না ছাড়া তো আমরা এক কদমও চলতে পারি না। ওগুলোই যে আমাদের রক্ষাকবজ।“
“ওহ, এবার ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছি।“ কিছু একটা আন্দাজ করে বিস্ময়ের ঠোঁট ঢাকা পড়ল রসিকতার হাসিতে।
“তুই বুঝতে পারবি না তাই কখনো হয়? তুই হচ্ছিস বুদ্ধিপাকা মাল। এই বয়সেই তো সব কিছুর তল ঘেঁটে রেখেছিস। তোর মতো জিনিয়াসের কাছে আধখানা ইঙ্গিতই যথেষ্ট।“ দেড় বিগ লম্বা দামাস্ক ভুজালিটা কোমরের গোপন খোলে পুরতে পুরতে বলল সাদ্দাম।
ডানদিকের কোমরে ঢিলে প্যান্টটার ভেতরে সেটে নিল এস আই জি প্রো সেমি অটোমেটিক পিস্তল। কোমরে বেঁধে নিল কার্তুজের বেল্ট। তাতে কয়েক ম্যাগাজিন গুলি বিছের মতো সার বেঁধে আটকানো আছে। বেল্টটাকে বেঁধে নিয়ে সাদ্দাম আতিফকে বলল, “তোর গয়নাপাতি আছে তো?”
“হু।“ থুতনি নিচে করল আতিফ। তার ব্যাগে যে অত্যাধুনিক হেকলার অ্যান্ড স্কচ ভিপি ৭০ পিস্তল আছে, সেটা আর হাট করে সাদ্দামকে দেখাল না।
“সে তো থাকতেই হবে। আমরা তো আর এখন রক্ত-মাংসের মাটির মানুষ নই, আমরা এখন অস্ত্রমানুষ।“ মশকরা করল সাদ্দাম।
“সেভাবে আর অস্ত্রমানুষ কই হতে পারলাম! এখনো তো একটা পাখি মরলে মনটা ধক করে ওঠে। বাড়ির লোকের জন্যে ভেতর হুহু করে কাঁদে। আমরা মনে হয় মানুষ কখনোই পুরোপুরি পাষাণ হতে পারে না। সে হৃদয় যতই আগুনে পোড়ানো হোক, লোহা ঠুকে চিপটানো হোক, দোয়া-মন্ত্র পড়ানো হোক, ভেঙে দুমড়ে মুচড়ে নতুন করে গড়া হোক, কারও বাপ, কারও ব্যাটা, কারও ভাই, কারও স্বামী একটু হলেও ভেতরে থেকে যায়।“
“সে হৃদয়কে তো কবেই কবর দিয়ে দিয়েছি। এখন যেটা আছে সেটা হল একটা খোল। অস্ত্রের যেমন খোল হয়, ঠিক তেমনই আমাদের এই শরীরটা এখন একটা ‘ধারণা’ পুরে রাখা খোল। সে ‘ধারণা’ হলো জেহাদ। সেখানে কোনো বাপ, কোনো ব্যাটা, কোনো স্বামী নেই। যেটা আছে সেটা হলো, একজন মুজাহিদ। খোলের ভেতর পুরে নিয়ে বেড়ানো একজন শহীদ। মাযহাবের জন্যে উৎসর্গ করা একটা জীবন। এ জীবনের বাহ্যিক রঙ সাদা। ফ্যাকাসে। বে-রঙিন। আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতো ঢালও নেই ঢোলও নেই। না আছে কোনো সুর না আছে কোনো বাজনা।“
“মানুষের মনের সবুজ রঙ মরে পুরোপুরি কখনো হলুদ হয় কি? একটু ফ্যাকাসে হতে পারে কিন্তু কখনই পুরোপুরি হলুদ হয় না। প্রতিটি জীবনেরই একটা সুর আছে। কারো ক্ষেত্রে সে সুর বেসুরো হয়, কারো ক্ষেত্রে সে সুর সুরেলা হয়। সুর কিন্তু সবারই বাজে। সে বাজনা কারো ইহলোকের জন্যে বাজে, কারো পরলোকের জন্যে বাজে।“

“চল, আর অত সুর ভেজে লাভ নেই। বেরিয়ে পড়ি।“ লম্বা টর্চটা হাতে নিয়ে বেরোনোর জন্যে উদ্যত হয় সাদ্দাম। ব্যাগ কাঁধে তোলে আতিফ। দুজন বন্ধু ছাউনি ঘরের বাইরে বেরিয়ে এসে আলের উপরে দাঁড়ায়। রাত, ভোর ছোঁব ছোঁব করছে। ঝড়ের তাণ্ডবে মাটিতে শুইয়ে পড়া ধানের শীষ থেকে উঠে আসছে থোক থোক অন্ধকার। ছেঁড়া পাতার ফাঁক দিয়ে উঁকি মারছে কোনো রকমে হাঁটু গুঁজে টিকে থাকা জীবন। সে জীবনের ভয়ার্ত চোখ কুঁকড়ে আছে ধানের উপড়ানো শিকড়ে। তবুও থোড়ের ডগায় ডগায় জীবন জয়ের উচ্ছ্বাস। নুইয়ে পড়া শীষে নতুনকে আহ্বানের ডাক। মাথার উপরের আকাশ ঝাঁট দিয়ে পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। কে বলবে, কিছুক্ষণ আগে এই আকাশেই অসুরের মতো ধেয়ে এসেছিল হাঁড়িকালো মেঘ! শিকড় উপড়ানো ঝড়! বাতাস তখন নিরাকার থেকে সকার হয়ে উঠেছিল! ভেজা আলে পা রাখল দুজন। চুলের সিঁথির মতো সরু আলপথ। দুদিকে ধানি জমি। পা রাখতেই ভুষভুষ করে পা ঢুকে গেল আতিফের, “এইযযা!” জিভ বের করল আতিফ।
“সাবধানে! মাটি কাদা হয়ে গেছে!” পেছনে ঘাড় ঘুরিয়ে বলল সাদ্দাম। টর্চটা ছোট করে মারল। আতিফের ডান পায়ের কালো শু কাদায় ঢুকে গেছে। ভ্যাড়ভেড়ে কাদা। কাদা-জল-ঘাস আর ধান গাছের ঝরা পাতা ঘেঁটে খিচুড়ি পেকে গেছে। টর্চের সাদা আলোয় চিকচিক করছে।
‘এ তো যাচ্ছে তাই কাদা রে! হেঁটে যাওয়াই তো মুশকিল!” মাজা কুঁকড়ে শু কাদা থেকে টেনে তুলতে তুলতে বলল আতিফ।
“যাকে বলে ভ্যাড়ভেড়ে কাদা। ওই জন্যেই তো এদিকে এত ধান চাষ হয়। দেখছিস ন্যা, নদীর কূল জুড়ে শুধুই ধান আর ধান। যত কাদা তত ফসল ভালো।“
“ওই জন্যেই তো বলে, মনকে কাদা কর, হৃদয় অনেক বড় হবে।“
“আমাদের ওসব কথা শুনে আর কী হবে! আমাদের তো কাদা হলে চলবে না। আমাদের পাষাণ হতে হয়েছে। রুঢ় হতে হয়েছে। এই হৃদয়ে কোনো গাছ জন্মাবে না। এই হৃদয়ে জন্ম নেবে আগুন। সবকিছু পুড়িয়ে ছারখার করে দেওয়া আগুন।“ কাদায় পুঁতে যাওয়া পা-টা তুলে টিপে টিপে হাঁটতে লাগল আতিফ। সামনে চেপে চেপে হাঁটছে সাদ্দাম। ধান গাছের ভেজা শীষ আর পাতা ডালপালা গায়ে ঠেকছে। ভিজে যাচ্ছে পরনের স্যুট। আতিফ বলল, “থাম, প্যান্টটা একটুখানি গুটিয়ে নিই।“
“হ্যাঁ, ঠিকই বলেছিস। আমিও গুটিয়ে নিই। তাহলে ভিজবে না।“ সাদ্দামও কুঁজো হয়ে ঝুঁকে প্যান্টের পায়ের ফোল্ড গুটোতে লাগল। আতিফের কান সবুজ ধান হাওয়াতে ঝুঁকে এসে ছুঁল। যেন কানে কানে বলল, এই দেখো, ঝড়ের পরেও আমি দাঁড়িয়ে আছি। এভাবেই ঝড়ঝঞ্ঝা সহ্য করে টিকে থাকতে হয়। আমার শিকড়ের আটআনা উপড়ে গেছে। ভেঙেছে শাখাপ্রশাখা। কান অবধি ঝরে গেছে রেণু। খড়কুটোর মতো উড়ে গেছে পাতা। তবু আমি থোড় মুখে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি পরবর্তী প্রজন্মের জন্যে। আমার পরবর্তী প্রজন্মরা যে এই মাটিতেই ফসল হয়ে উঠবে।
“ধানের পানিতে গায়ের জামা ভিজে গেল যে!” জামার কলার ঝাড়া দিল আতিফ।
“ধানগাছগুলো যে ভিজে জুবুথুবু। দেখছিস না, পাতার ডগা দিয়ে এখনো টসটস করে পানি ঝরছে?”

প্যান্টের ফোল্ট গুটিয়ে পাদুটো একবার করে ঝাড়া দিল সাদ্দাম। তুলোর মতো নরম তুলতুলে আলপথ। ভুষ ভুষ করে পা বসে যাচ্ছে। ডালপালা ছড়ানো দুর্বা ঘাসগুলো বৃষ্টিতে ভিজে ফুরফুর করছে। কিছু কিছু ঘাস কাদায় লেপ্টে জুবুথুবু। একটা লম্বাফালি ধানি জমির তিন আলের মাথায় ‘ক’ ‘ক’ শব্দ ভেসে এল। ঘ্যাঁচ করে দাঁড়িয়ে গেল সাদ্দাম। পেছন থেকে ঠ্যালা মারা কণ্ঠে আতিফ বলল, “কী হলো? অমন করে থামলি কেন?”
“সাপ!”
“সাপ! ওরে বাপ রে!” তিড়িং করে আলের নিচে ধানের জমিতে লাফ মারল আতিফ।
“অত ভয় পাওয়ার কিছু নাই। মনে হয় সাপে ব্যাঙ ধরেছে।“
“ওসব কথা পরে শুনছি। তুই আগে টর্চটা ঝেরে মার।“ আতিফের চোখে আতঙ্কের ছাপ। সাপে তার দারুণ ভয়। সাপাতঙ্ক তার ছোট বেলা থেকেই। ‘সাপ’ বললেই সে এক লাফে পগারপার। এত কিছুর ঘষামাজা করলেও, এত্ত জেহাদি কালচার করলেও, কিছু জিনিসের প্রতি ভয় তার কাটেনি। তার মধ্যে একটি এই ‘সাপ’। সাদ্দাম তার হাতের আরব থেকে আনা আধহাত লম্বা কালো রঙের টর্চটা ঝেরে জ্বালিয়ে হেস মারল, “আত্মঘাতী মুজাহিদ হয়েও তোর সাপে এত ভয়!”
“যখন গায়ে সেটে থাকা বোতামে আঙুল টিপে নিজেকে উড়িয়ে দেব, তখন তো আর আমি একা একা মরব না? আমার সাথে সাথে আরও শ-খানেক দুশমন মরবে। শত্রুপক্ষের লোক মরবে। আমার মৃত্যুটা তখন স্বার্থক হবে। আমি মরেও শান্তি পাব। আল্লাহকে বলতে পারব, আমি শ-খানেক বিধর্মীকে মেরে মরেছি। আমার শাহাদাত বরণ বিফলে যাবে না। আল্লাহর খাতায় আমি হব একজন ইমানদার শহীদ। আর সাপের কামড়ে মারা গেলে তো, এসবের কিছুই হবে না! বনবাদাড়ে ইঁদুর ব্যাঙের মতো মরে পড়ে থাকব। ও মরার কোনো মূল্য নেই। অ ঘাসপাতার মতো মরা। আরে আমাদের রুহুটা তো আর হাটের পুকড়ে বেগুন নয়, যে ‘ঘ্যাঁচ’ করে কাটলাম ‘ফ্যাচ’ করে ফেলে দিলাম? আমাদের রুহুর উপর একটা রাষ্ট্রের জন্ম নির্ভর করছে, একটা জাতির দুনিয়ায় টিকে থাকাটা নির্ভর করছে। এমন একটা রুহুকে তো আর হেলাফেলাই সাপের মুখে তুলে দিতে পারি না?”

“আরে থাম থাম, আর অত ‘রুহু রচনা’ ফলাতে হবে না। আমার ভুল হয়ে গেছে, তোকে অমন কথা বলা। বাপ রে বাপ! তুই শালা পারিসও বটে।“ নাক কান ধরে মাথা ঝুঁকায় সাদ্দাম। টর্চটা ফেড়ে মারে। টর্চের আলোতে আলের ভেজা ঘাস ফোকলা হেসে ওঠে। সাপে ধরা ব্যাঙটার ‘ক’ ‘ক’ গোঙানি শব্দটা ধীরে ধীরে মরে আসে। আতিফ সাদ্দামের কায়দা দেখে, ফিক করে হাসে। অন্ধকার নরম আলে পা টিপে টিপে রাস্তার দিকে এগোতে থাকে। বেশ কিছুক্ষণ দুজনে আর কথা বলে না। ধানের শীষ ডিঙিয়ে ‘থপ’ ‘থপ’ করে হাঁটতে থাকে। সামনে সাদ্দাম। পেছনে পেছনে অন্ধকার হুটরানো আতিফ। বিঘে দশেক ধানি জমির পর তারা রাস্তায় উঠল। লালমাটির সরু রাস্তা। এবড়োথেবড়ো। খানাখন্দে ভর্তি। মোড়াম রাস্তাটায় উঠেই আতিফ হাফ ছেড়ে বলল, “বাঁচলাম!”
“হ্যাঁ, আলগুলো যাচ্ছেতাই ভুষভুষে হয়ে গেছে! বৃষ্টির ছাট সহ্য করতে পারেনি। এক হড়কা মেঘেই ভেতরের জমাট ছেড়ে গেছে!” পরনের শার্টটা হাত দিয়ে ঝাড়তে ঝাড়তে বলল সাদ্দাম। গায়ের জামাটায় ধানের শীষের সাদা রেণু তুলোর মতো লেগে গেছে।
“এই রেণুই একদিন ধান হত। সে ধান সেদ্ধ করে হত চাল। আর সে চাল ফুটিয়ে কত মানুষে খেত ভাত। আহাঃ, সেদ্ধ ভাতের টাটকা গন্ধ! হাঁড়ির ঢাকনা উপচে যখন সে গন্ধ নাকে এসে লাগত, আমি ফুলের মতো চড়বড় করে ফুটে উঠতাম। ছুটে যেতাম আখারপাড়ে। মা বলত, কী রে, আখারপাড়ে কেন? আমি বলতাম, সেদ্ধভাতের গন্ধ শুঁকতে। মা, মিচকি হেসে বলত, ব্যাটার আমার মজা দেখ, বলে কি না, সেদ্ধভাতের গন্ধ শুঁকবে! একটুখানি দাঁড়া, এক্ষুনি ভাত পাসিয়ে ফ্যানে ভাতে মাখিয়ে দিচ্ছি। গন্ধ শুধু নাকে নিবি ক্যানে, পেটেও নিবি।“
“তুই কবি হলি না কেন? তোর মধ্যে কিন্তু কবিত্বভাব আছে।“
“অত ঠাট্টা করিস ন্যা, সাদ্দাম। কথাটা মনে পড়ে গেল, তাই বললাম।“
“ঠাট্টা করব কেন? একদম মনের কথায় বলছি। তোকে দেখার পর থেকেই এরকম মনে হয়েছে।“
“ধুর, ছাড়! কবি! কবিতা! ওসব করে কি আর রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান হবে?”
“সে হোক না হোক, তোর কবিতা ‘স্বাধীন রোহিঙ্গা দেশ’এর জাতীয় সংগীত তো হতে পারত।“
“তোকে না, আচ্ছা ক্যালা ক্যালাব।“ বলেই আতিফ সাদ্দামকে মশকরার ঠেলা মারতে উদ্যত হলে, সাদ্দাম ‘ফুচ’ করে গা কাত করে ছুটে দূরে পালাল। আতিফও দুধাপ দৌড়ে তাড়া দিল। সাদ্দাম ‘হিহি’ করে হাসতে হাসতে দৌড়ে গিয়ে একটু দূরে থামল। খিকখিক করে মুখে হাসির ফোয়ারা মাখিয়ে বলতে লাগল, “তোকে রাগাতে না আমার হেব্বি লাগে।“
“এখন ঠাট্টা-মশকরা করার সময় নয়, সাদ্দাম। সামনে আমার বড় বিপদ!” মুখ গম্ভীর হয়ে যায় আতিফের। সাদ্দামের হাসি হাসি মুখটাও মুহূর্তে দুশ্চিন্তার কালো ছায়ায় ঢেকে যায়। হাস্যোজ্জ্বল চোখে আচমকা নেমে আসে কালো মেঘের অন্ধকার। আর কিচ্ছু বলে না। মনমরা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। মনের জানালায় ফিরিক করে বসা প্রজাপতিটা ফুড়ুৎ করে উড়ে যায়। খোলা জানালাটা মিনমিন করে বলে, আনন্দ-আহ্লাদ কত ঠুনকো! একটা দমকা বাতাসের মতোও স্থায়ী হয় না! শুধু দরজা ঠেলেই পালিয়ে যায়! এক বেলাও আসন পেতে বসে না! কঞ্চির গিঁটের মতোও তো একবার গেঁড়ে বসতে পারত? কঞ্চি না হোক, বাঁশের একটা মাচানও তো হতে পারত? দুদণ্ড পিঠ পেড়ে শুয়ে থাকতাম। দুদণ্ড পা ঝুলিয়ে বসে, একটা বিড়ির সুখটান দিতে পারতাম। একবার গড়াগড়ি দিয়ে মাচানে ঠিকরে পড়া চাঁদের আলো মেখে নিতে পারতাম। জীবনকে বলতাম, আর কী চাস? এইই তো ঢের সুখ। মাটির দেহে আর কতটুকুই বা সুখ লাগে! মানুষের যে অত সুখ সহ্য হয় না। মানুষ তো পরের সুখেই সুখী।

চলবে...

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৯

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৮

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৭

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৬

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৫

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৪

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৩

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩২

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩১

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩০

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৯

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৮

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৭

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৬

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৫

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৪

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৩

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২২

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২১

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২০

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-১৯

 

Header Ad
Header Ad

টঙ্গিবাড়ীতে ঈদের দিনে ১০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি, উপকৃত ৪২০ পরিবার

ছবি: সংগৃহীত

ঈদের আনন্দ সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিক্রমপুর মানবসেবা ফাউন্ডেশন মাত্র ১০ টাকায় ৪২০টি পরিবারের মাঝে গরুর মাংস বিতরণ করেছে।

সোমবার (৩১ মার্চ) সকালে কামারখাড়া হাই স্কুল মাঠে এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগের মাধ্যমে অসহায় ও দুস্থ পরিবারগুলোকে ১০ টাকায় ১ কেজি গরুর মাংস দেওয়া হয়।

বিক্রমপুর মানবসেবা ফাউন্ডেশন শুধু ঈদের দিনেই নয়,প্রতিবছর রমজানে বিনামূল্যে ইফতার বিতরণ, মেধাবৃত্তি পরীক্ষা আয়োজন এবং অসহায়দের জন্য নানা সহযোগিতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।

১০ টাকায় গরুর মাংস কিনতে আসা খালেদা বেগম বলেন, "১০ টাকা আজকাল বাচ্চারাও নিতে চায় না, অথচ আমরা এখানে ১০ টাকায় ১ কেজি গরুর মাংস পাচ্ছি। যারা এই আয়োজন করেছেন, আল্লাহ তাদের ভালো রাখুক।"

একইভাবে বৃদ্ধ মো. ফজল বলেন, "বাজারে গরুর মাংসের যে দাম, ভাবছিলাম ঈদের দিন মাংস খেতে পারব না। কিন্তু বিক্রমপুর মানবসেবা ফাউন্ডেশনের জন্য ঈদের দিনেও মাংস খেতে পারছি, এ জন্য আমি খুব খুশি।"

বিক্রমপুর মানবসেবা ফাউন্ডেশনের সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক (হিরা) বলেন, "এটি আমাদের চতুর্থবারের মতো আয়োজন। আমরা চাই, সমাজের নিম্নবিত্ত মানুষও যেন ঈদের দিনে মনে করে তারা নিজের টাকায় গরুর মাংস কিনে খেতে পারছে। এই চিন্তা থেকেই আমাদের এই উদ্যোগ।"

এই মানবিক উদ্যোগ স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে।

Header Ad
Header Ad

ঈদের দিনেও তাপপ্রবাহ অব্যাহত, এক বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা

ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী, পাবনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, ঢাকা, ফরিদপুর, পটুয়াখালী ও রাঙামাটি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

সোমবার (৩১ মার্চ) প্রকাশিত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, সিলেট বিভাগের দু-একটি স্থানে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

আগামীকাল মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।

এছাড়া, দেশের বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্নভাবে তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, চলমান তাপপ্রবাহের কারণে গরমজনিত অসুস্থতা বাড়তে পারে। বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থদের পর্যাপ্ত পানি পান এবং সরাসরি রোদ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

যশোরের শার্শা সীমান্তে যুবকের লাশ উদ্ধার, আটক ১

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

যশোরের শার্শা উপজেলার সীমান্ত এলাকা থেকে জামাল হোসেন (২৫) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত যুবক সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া থানার কাদপুর গ্রামের আইয়ুব হোসেনের ছেলে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ একজনকে আটক করেছে।

রোববার (৩০ মার্চ) রাতে উপজেলার গোগা ইউনিয়নের ইছাপুর গ্রামের শফি ইটভাটা সংলগ্ন সেতাই-বালুন্ডা সড়কের পাশে লাশটি পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পরে শার্শা থানার ওসি কে এম রবিউল ইসলাম নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে।

ওসি কেএম রবিউল ইসলাম জানান, "লাশের পাশে একটি অ্যাপাচি ৪ভি কালো রঙের মোটরসাইকেল এবং হত্যার কাজে ব্যবহৃত কিছু মেহগনি গাছের চলাকাঠ পাওয়া গেছে। নিহতের মুখ ও মাথায় একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।"

প্রাথমিকভাবে নিহতের মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়।

স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, নিহত জামাল হোসেন মাদক চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া সীমান্ত এলাকা থেকে ফেনসিডিল বহন করে শার্শা ও বেনাপোল পোর্ট থানার বিভিন্ন মাদক কারবারিদের কাছে সরবরাহ করতেন।

পুলিশের সন্দেহভাজন তালিকায় থাকা কাদপুর গ্রামের আলী হোসেন খাঁর ছেলে জাহিদ হাসানকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

এদিকে, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের কারণ ও এর সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করতে তদন্ত চলছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

টঙ্গিবাড়ীতে ঈদের দিনে ১০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি, উপকৃত ৪২০ পরিবার
ঈদের দিনেও তাপপ্রবাহ অব্যাহত, এক বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা
যশোরের শার্শা সীমান্তে যুবকের লাশ উদ্ধার, আটক ১
চীনে বিশাল তেলক্ষেত্র আবিষ্কার, মজুদ ১০ কোটি টনের বেশি
রাজধানীতে সুলতানি আমলের আদলে ঈদ আনন্দ মিছিল
গাজীপুরে বাসচাপায় শিশুসহ দুই যাত্রী নিহত, আহত ৪
টাঙ্গাইলে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে পবিত্র ঈদুল জামাত অনুষ্ঠিত
ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি: পরমাণু চুক্তি না হলে ইরানে বোমা হামলা ও নিষেধাজ্ঞা
লোহাগাড়ায় দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত
বাধা সত্ত্বেও নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যাশা প্রধান উপদেষ্টার
ঈদের সকালেও নাড়ির টানে ছুটছে মানুষ
ঈদের দিন ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৬৪ ফিলিস্তিনি
দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস
টাঙ্গাইলে ঈদের মাঠে সংঘর্ষের শঙ্কায় ১৪৪ ধারা জারি
বছর ঘুরে এলো খুশির ঈদ, আজ দেশজুড়ে উদযাপন
যুক্তরাষ্ট্রে ৩ হাজারের বেশি ঈদ জামাত, প্রবাসীদের মাঝে উৎসবের আমেজ
মায়ের সঙ্গে ঈদ উদযাপনের ছবি শেয়ার করে যা বললেন তারেক রহমান
ময়মনসিংহে বাসের ধাক্কায় অটোরিকশার নারী-শিশুসহ নিহত ৪
ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান
ঈদের আগের দিন গাজীপুরে বন বিভাগের উচ্ছেদ অভিযান