বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-৯

যারা যুদ্ধ করেছিল

এর মধ্যে প্রচার হয়ে যায় ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু রেসকোর্স ময়দানে গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দেবেন। মমিন খবরটি শুনেছে। কিন্তু তার তেমন প্রতিক্রিয়া নেই। আর দশটা দিনের মতো সে দুপুরে হলের ডাইনিংয়ে খেয়ে রুমে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেয়। সাকিব রুমে নেই। কোথায় গেছে বলে যায়নি। মমিন কিছুক্ষণ পর টিউশুনি করতে বেরোয়। ফুলার রোডে একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলেকে সে ইংরেজি পড়ায়। হল থেকে ছাত্রের বাসা হেঁটে গেলে ৫ মিনিটের পথ। গিয়ে সে জানতে পারে ছাত্র বাবার সঙ্গে রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুনতে গেছে। এই কথাটা শোনার পর তার মধ্যে ভীষণ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। কী এমন ভাষণ দেবেন বঙ্গবন্ধু যার জন্য পিতাপুত্র একসঙ্গে সেই মিটিংয়ে গেছে। ভাবতে ভাবতে মমিন পথ হাঁটছে। ছাত্র গেছে বঙ্গবন্ধুর জনসভায় এই ব্যাপারটা তার ভাবনা থেকে সরছে না। ক্যাম্পাসে ফেরার পথে মমিন দেখল পিপঁড়ের লাইনের মতো মানুষ যাচ্ছে রেসকোর্স ময়দানে। তারও ভারী কৌতূহল হলো। সে রাস্তায় দাঁড়িয়ে লোকজনের মিছিল দেখছিল। লোকজনের চাপে মমিনকে পাবলিক ঠেলে নিয়ে গেল রেসকোর্স ময়দানের দিকে। ক্যাম্পাস লাগোয়া রেসকোর্স ময়দান। ময়দানে গিয়ে দেখে গিজগিজে ঠাসা মানুষ। দেখে মমিনের চোক্ষু চড়ক গাছ। এতো মানুষ কোত্থেকে এল। সবার হাতে লাঠি। সবার মুখে একটাই স্লোগান, ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধর, বাংলাদেশ স্বাধীন কর।’
মমিন কোনোরকমে দাঁড়াবার জায়গা পেয়েছে ময়দানের পশ্চিম পাশ ঘেঁষে। তার মাথা বরাবর মাইকের হর্ন বাঁধা। টাস টাস শব্দ এসে কানে বিঁধছে।

হঠাৎ স্লোগান পাল্টে গেল। মাইকে ভিন্ন স্লোগান শুরু হলো, ‘তোমার নেতা আমার নেতা, শেখ শেখ শেখ মুজিব।’ মমিন খেয়াল করল সাদা ধবধবে পায়জামা পাঞ্জাবি, তার উপর হাতাকাটা কালো কোট পরে একজন লম্বা মানুষ মঞ্চে এসে উপস্থিত হলেন। তার উপস্থিতিতে মঞ্চের আবহ বদলে গেল। তিনি সোজা মাইকের সামনে এসে দাঁড়ালেন। তারপর অগ্নিঝরা কণ্ঠে শুরু করলেন, ‘ভাইয়েরা আমার...
মমিন বুঝতে পারল ইনি বঙ্গবন্ধু। কণ্ঠে যেন বাঘের গর্জন। বক্তৃতায় যেন আগুন ঝরছে। তাঁর এক একটি কথায় মমিনের গায়ের লোম শিউরে উঠছে। রক্ত চঞ্চল হয়ে উঠছে। তিনি এসব কী বলছেন। বাঘের গর্জন শুনছে মমিন। যত শুনছে তত শরীরের রক্ত চঞ্চল হয়ে উঠছে। তাঁর প্রতিটি কথায় জনতা জয় বাংলা বলে চেঁচিয়ে উঠছে। তার বক্তৃতা শেষ হয়েছে। মনুষ উত্তপ্ত স্লোগান দিয়ে চলে যাচ্ছে। মমিন ঠায় দাঁড়িয়ে আছে। কোনো বোধশক্তি কাজ করছে না শরীরে। অবশ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে সে।
রুমে এসে সটান শুয়ে পড়ে। মাথা আওলিয়ে গেছে। সমস্ত চেতনা ওলটপালট হয়ে গেছে। মাথা ঘুরছে যেন। রাতে একফোটা ঘুমোতে পারল না। বার বার শুধু বঙ্গবন্ধুর অগ্নিঝরা ভাষণের কথা মনে পড়ছিল। তাঁর কথাগুলো এখনো সমানতালে কানে বাজছে। কী শুনেছে সে। এমন করে আর কেউ তো কখনো বলেনি। সেই থেকে মমিনের জীবনের ধারা পাল্টে যায়। সে এখন প্রতিদিন মিছিলে যায়। বক্তৃতা শোনে। একদিন মিছিলের সঙ্গে যেতে যেতে বঙ্গবন্ধুর ৩২ নম্বর বাড়িতে চলে গেছে। মিছিলের আওয়াজ পেয়ে বঙ্গবন্ধু বারান্দায় এসে দাঁড়ালে মমিন মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে তাঁকে দেখে। ইনি জাতির মহান নেতা বঙ্গবন্ধু। সেদিন রেসকোর্সে দূর থেকে ভালো করে দেখতে পারেনি। আজ সে কাছে গিয়ে পলকহীন দেখে।

সকালে নাস্তা করে মমিন পাবলিক লাইব্রেরিতে গিয়ে রাজনীতির বই পড়ে। বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চ ভাষণে বলেছে, ‘৫৪ সালে নির্বাচনে জিতেও আমরা গদিতে বসতে পারি নাই।’ সেই থেকে ৫৪ সালের ইতিহাস জানার আগ্রহ তৈরি হয় তার। সব সে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়ে। পড়ে ৬ দফা। আরও পড়ে ছাত্রদের ১১ দফা। মমিনের নেশা পেয়ে গেছে। এর মধ্যে দেশে ইয়াহিয়া খান এসেছে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আলোচনা করতে। খবরের কাগজে বড় হেডিং। সব পড়ে মমিন। নেতাদের আলোচনা ভেস্তে যায়। ইয়াহিয়া খান পাকিস্তান চলে যায়। সেদিন রাতেই অপারেশন সার্চলাইট নামে গণহত্যা শুরু করে পাকিস্তানি মিলিটারি। মধ্য রাত থেকে প্রচণ্ড গোলাগুলি। অনেকের সঙ্গে মমিন হলের ছাদে উঠে দেখে চারদিকে আগুন জ্বলছে। জগন্নাথ হলে গোলাগুলি হচ্ছে। ছাত্ররা ওয়ালের উপর কাঁটাতারের বেড়া টপকিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে। মমিনও অতি কষ্টে কাঁটাতারের বেড়া টপকাতে গিয়ে শরীরের কয়েক জায়গা ছুলে যায়। আর তখনই সে সিদ্ধান্ত নেয়, যেমন করেই হোক এই জানোয়ারদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।
‘ওস্তাদ কইলেন না আপনি কেন যুদ্ধে আইছেন?’
মমিন এতোক্ষণ মাথা নামিয়ে অতীত ভাবছিল। মজনুর প্রশ্নে মুখ তুলে তাকায়। হাসে। হেসে বলে, ‘দেশের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধে এসেছি। ১৯৪৭ সালে আমরা যে স্বাধীনতা পেয়েছি সেটা আসল স্বাধীনতা না। সত্যিকারের স্বাধীনতার জন্য আমরা হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছি। এইবার হবে আমাদের সত্যিকারের স্বাধীনতা।’
‘সত্যি দেশ স্বাধীন হবে?’
‘অবশ্যই দেশ স্বাধীন হবে। এতে কি তোমার কোনো সন্দেহ আছে?’
মজনু কথা বলে না। মাথা নামিয়ে থাকে। বলে, একটা কথা কমু ওস্তাদ?’
‘তার আগে বল, স্বাধীনতা নিয়ে তোমার কোনো সন্দেহ আছে?’
‘আগে ছিল। এখন নাই।’
‘এইাবার বল কী বলতে চাও?’
মজনু গুছিয়ে বলে, ‘পশ্চিমাদের সাথে আমাদের গোলমালটা আসলে কী নিয়া? আমি ক্লিয়ার জানি না। নানা জনে নানা কথা বলে। আপনি আমারে একটু বুঝায়া কন।’
মমিন হেসে বলে, ‘বলব।’ এখন না। অন্য সময়, ঠিক আছে?’

সাকিবের মা আয়েশা বেগম রাত থেকে কিছুই খাচ্ছেন না। এতে বাড়ির সবাই দারুণ চিন্তিত। সাকিব মায়ের পাশে বসে স্যুপ খেতে সাহায্য করছে। বাবা ফজলুর রহমান রাত-দিন দেশ নিয়ে ব্যস্ত। আজ তার থানায় মেজর সাহেবের সঙ্গে দেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে জরুরি মিটিং। এলাকায় নাকি মুক্তিবাহিনীর আনাগোনা বেড়ে গেছে। হঠাৎ হঠাৎ তারা ক্যাম্প আক্রমণ করে বসে। সাথী স্যুপ খাওয়াতে গেলে সে ঝাঁকুনি দিয়ে স্যুপের বাটি ফেলে দেয়। তারপর সাকিব এসেছে খাওয়াতে। তার হাতের স্যুপও খাচ্ছে না আয়েশা বেগম। বাড়ির সবাই দারুণ উদ্বেগের মধ্যে আছে। রাত থেকে সে কিছুই মুখে তুলছে না। এভাবে অসুস্থ শরীরে না খেয়ে থাকলে তাকে বাঁচানো কঠিন হবে। দেশে যুদ্ধ লাগার পর থেকে ভালো ডাক্তার পাওয়া যাচ্ছে না। থানা সদরে যারা ভালো ডাক্তার ছিল তারা মিলিটারির ভয়ে অন্য কোথাও পালিয়ে গেছে। ফজলুর রহমানের চেনা একজন নামকরা ডাক্তার সেই মাঝেমধ্যে এসে আয়েশা বেগমকে দেখে যান। তিনিও রোগ ধরতে পারছেন না। অথচ দিন দিন আয়েশা বেগম শুকিয়ে পাটখড়ি হয়ে যাচ্ছেন। ডাক্তার তাকে নিয়ম বেঁধে খেতে বলেছেন। কিন্তু কাল রাত থেকে তিনি কিছুই মুখে তুলছেন না।
দুপুর পর ফজলুর রহমান থানা সদর থেকে বাড়ি ফিরলেন। ফিরেই স্ত্রী আয়েশা বেগমের পাশে এসে দাঁড়ালেন। বললেন, ‘এখন কেমন লাগছে সাকিবের মা?’
‘আমার ভালো-মন্দের খবর নেওয়ার দরকার নাই।’ তার কণ্ঠ ভীষণ কর্কশ শোনাল। মনে হলো তিনি স্বামীর উপর ভীষণ রেগে আছেন।
ফজলুর রহমান আয়েশা বেগমের পাশে বসে একটা হাত টেনে নিলেন নিজের হাতের মধ্যে।
আয়েশা বেগম মুখ ঘুরিয়ে নিলেন।
‘কী হয়েছে? তুমি এমন করছ কেন?’ আয়েশা বেগম ইশারায় সবাইকে ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে ইশারা করলেন। সবাই বেরিয়ে গেলে স্বামীকে বললেন, ‘ছেলেকে বিয়ে দিয়ে দেন। ঘরে পাপ কাজ হচ্ছে।’
‘কী পাপ হচ্ছে?’ ফজলুর রহমান জিজ্ঞেস করলেন।
আয়েশা বেগম চিবিয়ে বললেন, ‘কী পাপ হচ্ছে আপনি জানেন না? ঘরে ছেলে অন্য মেয়ের সঙ্গে জ্বেনা করছে। আর আপনি দেখেও না দেখার ভান করছেন। আবার বলছেন কী পাপ হচ্ছে?’
ফজলুর রহমান আমতা আমতা করে বললেন, ‘শোন, ঘটনাটা আমিও প্রথম প্রথম খারাপ ভাবছিলাম। কিন্তু যখন সাকিবের মুখে আসল কথা শুনলাম তখন আর রাগ করতে পারি নাই।’
‘কী বলেছে সাকিব?’
‘আমি সাকিবের বন্ধু নজরুলের কাছে গিয়া এই ব্যাপারটা সাকিবকে বোঝানোর কথা বলেছিলাম। সাকিব যা বলেছে তাতে আর সাকিবকে দোষ দেওয়া ঠিক হবে না।’
‘সাকিব কী কইছে সেই কথা কন।’
‘সাকিব বলেছে, রাজাকাররা সাথীকে মিলিটারি ক্যাম্পে নিয়া যাইতে চাইছিল। মিলিটারি ক্যাম্পে নিয়া গেলে সাথীর কী অবস্থা হবে একবার ভেবে দেখেছ? তা ছাড়া সাকিব যা করছে তা মোটেও দোষের না। যুদ্ধের সময় এমন করার নিয়ম আছে।’
আয়েশা বেগম রেগে বললেন, ‘রাখেন আপনার নিয়ম। আপনি কি ওই নিয়ম ধুইয়া পানি খাইবেন? ছেলে কবুল ছাড়া একটি পর নারীকে নিয়ে একই ঘরে রাত কাটাচ্ছে সেটা দোষ না? আপনি ওই মেয়ের সাথে সাকিবের বিয়া দিয়া দেন। তারপর ওরা যা ইচ্ছা তাই করুক। না হলে এই বাড়ির কোনো কিছু আমি স্পর্শ করব না।’
‘এতে সমস্যা কোথায় আমি বুঝতে পারছি না। ওই মেয়েটা মালে গণিমত। শত্রু পক্ষের সম্পত্তি। ওকে আমরা যুদ্ধে গণিমতের মাল হিসাবে অধিকার করেছি। ওরা মুশরিকদের সঙ্গে হাত মিলাইছে। ওরা আমাদের যুদ্ধ বন্দিনি দাসী। ওদের দাসী হিসেবে সহবত করা জায়েজ। তোমার ছেলে মোটেও পাপ করছে না।’
‘এ কথা আপনি কই পাইলেন?’
‘এটা হাদীসের কথা। নবী মোহাম্মদ [স.] যুদ্ধ বন্দিনিদের তার সাহাবাদের মধ্যে বণ্টন করে দিতেন।’

চলবে...

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৮

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৭

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৬

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৫

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৪

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৩

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-২

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-১

এসএন

Header Ad

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা

ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এ নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সকল মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। কেউ কারো উপরে না, আবার কেউ কারো নিচেও না, এই ধারণা আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে সম্প্রতি আমরা অর্জন করেছি, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। যে সুযোগ তারা আমাদের দিয়েছে, তার মাধ্যমে আমাদের দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করে যারা দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে জাতি তাদের সারা জীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বক্তব্য শেষে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

Header Ad

নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁ শহরে যানযট নিরসন ও শৃঙ্খলা ফেরাতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক-শ্রমিকদের যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এতে শহরে শৃঙ্খলা ফিরবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অভিযানের উদ্বোধন করেন নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক টি.এম.এ মমিন। এ সময় নওগাঁ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিয়া উদ্দিন, নওগাঁ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন, নওগাঁ জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আফজাল হোসেন ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান শুরুর পর থেকেই শহরের বরুনকান্দি, মশরপুর, তাজের মোড় ও কালীতলাসহ মোট ৮ টি প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেক পোষ্টগুলোতে ২ জন পুলিশ সদস্য, ২ জন ছাত্র সমন্বয়ক, ৪ জন রোভার স্কাউট সদস্য ও ২ জন রিকশা মালিক শ্রমিক প্রতিনিধিসহ মোট ১২ জন করে কাজ করছেন।

পৌর প্রশাসক জানান, নওগাঁ শহরে বৈধ যানবাহনের সংখ্যা ৪ হাজার। কিন্তু প্রতিদিন পার্শবতী বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ১০ হাজার রিকশা, ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা ও ইজিবাইক শহরে প্রবেশ করে। এতে তীব্র যানযট ও জন মানুষের ভোগান্তি তৈরী হয়। এই দূর্ভোগ লাঘোবে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল ও পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিনের দিক নির্দেশনায় যানবাহন নিয়ন্ত্রনসহ বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। বৈধ চালকদের চিহ্নিত করতে তাদের মাঝে পরিধেয় বিশেষ ধরনের জ্যাকেট প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, নওগাঁ শহরের যানযট দীর্ঘদিনের সমস্যা। পরিকল্পিত ভাবে এই সমস্যা দূর করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের উদ্যোগে পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের সমন্বয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন ষ্টেক হোল্ডারদের পরামর্শ নিয়ে একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, অভিযান সফল ভাবে বাস্তবায়ন হলে শহরে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। জনগন এর সুফল পাবেন। সকলকে এই কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানান তিনি।

Header Ad

২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত

বক্তব্য রাখছেন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে ২০২৬ সালের মাঝামাঝি নির্বাচন হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকারের নৌ পরিবহন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ডক্টর এম সাখাওয়াত হোসেন।

সম্প্রতি ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাউস অব লর্ডসে মানবাধিকার সংগঠন ‘ভয়েস ফর বাংলাদেশ’ আয়োজিত সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

‘ডিসকাশন অন ডেমোক্রেটিক কলাপ্স অ্যান্ড রিবিল্ডিং অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই সম্মেলনে হাউস অব লর্ডসের সিনিয়র সদস্য আলেক্সান্ডার চার্লস কার্লাইল কিউসি সভাপতিত্ব করেন। ভয়েস ফর বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্রডকাস্টার আতাউল্লাহ ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এম সাখাওয়াত হোসেন।

সম্মেলেনে সাবেক ব্রিটিশ মন্ত্রী পল স্কালি বলেন, বাংলাদেশে যে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে, তার সঠিক তদন্ত শেষে যথাযথ বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে করে এ ধরনের ঘটনার পুররাবৃত্তি না হয়।

লর্ড হোসাইন বলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার সব সংস্কার এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে সব ধরনের সহায়তা পাবে।

সম্মেলনে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান লেবার দলীয় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি রুপা হক।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
ধামরাইয়ে শ্রমিকবাহী বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৪