শুক্রবার, ৩ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৮ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-৯

যারা যুদ্ধ করেছিল

এর মধ্যে প্রচার হয়ে যায় ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু রেসকোর্স ময়দানে গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দেবেন। মমিন খবরটি শুনেছে। কিন্তু তার তেমন প্রতিক্রিয়া নেই। আর দশটা দিনের মতো সে দুপুরে হলের ডাইনিংয়ে খেয়ে রুমে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেয়। সাকিব রুমে নেই। কোথায় গেছে বলে যায়নি। মমিন কিছুক্ষণ পর টিউশুনি করতে বেরোয়। ফুলার রোডে একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলেকে সে ইংরেজি পড়ায়। হল থেকে ছাত্রের বাসা হেঁটে গেলে ৫ মিনিটের পথ। গিয়ে সে জানতে পারে ছাত্র বাবার সঙ্গে রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুনতে গেছে। এই কথাটা শোনার পর তার মধ্যে ভীষণ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। কী এমন ভাষণ দেবেন বঙ্গবন্ধু যার জন্য পিতাপুত্র একসঙ্গে সেই মিটিংয়ে গেছে। ভাবতে ভাবতে মমিন পথ হাঁটছে। ছাত্র গেছে বঙ্গবন্ধুর জনসভায় এই ব্যাপারটা তার ভাবনা থেকে সরছে না। ক্যাম্পাসে ফেরার পথে মমিন দেখল পিপঁড়ের লাইনের মতো মানুষ যাচ্ছে রেসকোর্স ময়দানে। তারও ভারী কৌতূহল হলো। সে রাস্তায় দাঁড়িয়ে লোকজনের মিছিল দেখছিল। লোকজনের চাপে মমিনকে পাবলিক ঠেলে নিয়ে গেল রেসকোর্স ময়দানের দিকে। ক্যাম্পাস লাগোয়া রেসকোর্স ময়দান। ময়দানে গিয়ে দেখে গিজগিজে ঠাসা মানুষ। দেখে মমিনের চোক্ষু চড়ক গাছ। এতো মানুষ কোত্থেকে এল। সবার হাতে লাঠি। সবার মুখে একটাই স্লোগান, ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধর, বাংলাদেশ স্বাধীন কর।’
মমিন কোনোরকমে দাঁড়াবার জায়গা পেয়েছে ময়দানের পশ্চিম পাশ ঘেঁষে। তার মাথা বরাবর মাইকের হর্ন বাঁধা। টাস টাস শব্দ এসে কানে বিঁধছে।

হঠাৎ স্লোগান পাল্টে গেল। মাইকে ভিন্ন স্লোগান শুরু হলো, ‘তোমার নেতা আমার নেতা, শেখ শেখ শেখ মুজিব।’ মমিন খেয়াল করল সাদা ধবধবে পায়জামা পাঞ্জাবি, তার উপর হাতাকাটা কালো কোট পরে একজন লম্বা মানুষ মঞ্চে এসে উপস্থিত হলেন। তার উপস্থিতিতে মঞ্চের আবহ বদলে গেল। তিনি সোজা মাইকের সামনে এসে দাঁড়ালেন। তারপর অগ্নিঝরা কণ্ঠে শুরু করলেন, ‘ভাইয়েরা আমার...
মমিন বুঝতে পারল ইনি বঙ্গবন্ধু। কণ্ঠে যেন বাঘের গর্জন। বক্তৃতায় যেন আগুন ঝরছে। তাঁর এক একটি কথায় মমিনের গায়ের লোম শিউরে উঠছে। রক্ত চঞ্চল হয়ে উঠছে। তিনি এসব কী বলছেন। বাঘের গর্জন শুনছে মমিন। যত শুনছে তত শরীরের রক্ত চঞ্চল হয়ে উঠছে। তাঁর প্রতিটি কথায় জনতা জয় বাংলা বলে চেঁচিয়ে উঠছে। তার বক্তৃতা শেষ হয়েছে। মনুষ উত্তপ্ত স্লোগান দিয়ে চলে যাচ্ছে। মমিন ঠায় দাঁড়িয়ে আছে। কোনো বোধশক্তি কাজ করছে না শরীরে। অবশ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে সে।
রুমে এসে সটান শুয়ে পড়ে। মাথা আওলিয়ে গেছে। সমস্ত চেতনা ওলটপালট হয়ে গেছে। মাথা ঘুরছে যেন। রাতে একফোটা ঘুমোতে পারল না। বার বার শুধু বঙ্গবন্ধুর অগ্নিঝরা ভাষণের কথা মনে পড়ছিল। তাঁর কথাগুলো এখনো সমানতালে কানে বাজছে। কী শুনেছে সে। এমন করে আর কেউ তো কখনো বলেনি। সেই থেকে মমিনের জীবনের ধারা পাল্টে যায়। সে এখন প্রতিদিন মিছিলে যায়। বক্তৃতা শোনে। একদিন মিছিলের সঙ্গে যেতে যেতে বঙ্গবন্ধুর ৩২ নম্বর বাড়িতে চলে গেছে। মিছিলের আওয়াজ পেয়ে বঙ্গবন্ধু বারান্দায় এসে দাঁড়ালে মমিন মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে তাঁকে দেখে। ইনি জাতির মহান নেতা বঙ্গবন্ধু। সেদিন রেসকোর্সে দূর থেকে ভালো করে দেখতে পারেনি। আজ সে কাছে গিয়ে পলকহীন দেখে।

সকালে নাস্তা করে মমিন পাবলিক লাইব্রেরিতে গিয়ে রাজনীতির বই পড়ে। বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চ ভাষণে বলেছে, ‘৫৪ সালে নির্বাচনে জিতেও আমরা গদিতে বসতে পারি নাই।’ সেই থেকে ৫৪ সালের ইতিহাস জানার আগ্রহ তৈরি হয় তার। সব সে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়ে। পড়ে ৬ দফা। আরও পড়ে ছাত্রদের ১১ দফা। মমিনের নেশা পেয়ে গেছে। এর মধ্যে দেশে ইয়াহিয়া খান এসেছে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আলোচনা করতে। খবরের কাগজে বড় হেডিং। সব পড়ে মমিন। নেতাদের আলোচনা ভেস্তে যায়। ইয়াহিয়া খান পাকিস্তান চলে যায়। সেদিন রাতেই অপারেশন সার্চলাইট নামে গণহত্যা শুরু করে পাকিস্তানি মিলিটারি। মধ্য রাত থেকে প্রচণ্ড গোলাগুলি। অনেকের সঙ্গে মমিন হলের ছাদে উঠে দেখে চারদিকে আগুন জ্বলছে। জগন্নাথ হলে গোলাগুলি হচ্ছে। ছাত্ররা ওয়ালের উপর কাঁটাতারের বেড়া টপকিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে। মমিনও অতি কষ্টে কাঁটাতারের বেড়া টপকাতে গিয়ে শরীরের কয়েক জায়গা ছুলে যায়। আর তখনই সে সিদ্ধান্ত নেয়, যেমন করেই হোক এই জানোয়ারদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।
‘ওস্তাদ কইলেন না আপনি কেন যুদ্ধে আইছেন?’
মমিন এতোক্ষণ মাথা নামিয়ে অতীত ভাবছিল। মজনুর প্রশ্নে মুখ তুলে তাকায়। হাসে। হেসে বলে, ‘দেশের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধে এসেছি। ১৯৪৭ সালে আমরা যে স্বাধীনতা পেয়েছি সেটা আসল স্বাধীনতা না। সত্যিকারের স্বাধীনতার জন্য আমরা হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছি। এইবার হবে আমাদের সত্যিকারের স্বাধীনতা।’
‘সত্যি দেশ স্বাধীন হবে?’
‘অবশ্যই দেশ স্বাধীন হবে। এতে কি তোমার কোনো সন্দেহ আছে?’
মজনু কথা বলে না। মাথা নামিয়ে থাকে। বলে, একটা কথা কমু ওস্তাদ?’
‘তার আগে বল, স্বাধীনতা নিয়ে তোমার কোনো সন্দেহ আছে?’
‘আগে ছিল। এখন নাই।’
‘এইাবার বল কী বলতে চাও?’
মজনু গুছিয়ে বলে, ‘পশ্চিমাদের সাথে আমাদের গোলমালটা আসলে কী নিয়া? আমি ক্লিয়ার জানি না। নানা জনে নানা কথা বলে। আপনি আমারে একটু বুঝায়া কন।’
মমিন হেসে বলে, ‘বলব।’ এখন না। অন্য সময়, ঠিক আছে?’

সাকিবের মা আয়েশা বেগম রাত থেকে কিছুই খাচ্ছেন না। এতে বাড়ির সবাই দারুণ চিন্তিত। সাকিব মায়ের পাশে বসে স্যুপ খেতে সাহায্য করছে। বাবা ফজলুর রহমান রাত-দিন দেশ নিয়ে ব্যস্ত। আজ তার থানায় মেজর সাহেবের সঙ্গে দেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে জরুরি মিটিং। এলাকায় নাকি মুক্তিবাহিনীর আনাগোনা বেড়ে গেছে। হঠাৎ হঠাৎ তারা ক্যাম্প আক্রমণ করে বসে। সাথী স্যুপ খাওয়াতে গেলে সে ঝাঁকুনি দিয়ে স্যুপের বাটি ফেলে দেয়। তারপর সাকিব এসেছে খাওয়াতে। তার হাতের স্যুপও খাচ্ছে না আয়েশা বেগম। বাড়ির সবাই দারুণ উদ্বেগের মধ্যে আছে। রাত থেকে সে কিছুই মুখে তুলছে না। এভাবে অসুস্থ শরীরে না খেয়ে থাকলে তাকে বাঁচানো কঠিন হবে। দেশে যুদ্ধ লাগার পর থেকে ভালো ডাক্তার পাওয়া যাচ্ছে না। থানা সদরে যারা ভালো ডাক্তার ছিল তারা মিলিটারির ভয়ে অন্য কোথাও পালিয়ে গেছে। ফজলুর রহমানের চেনা একজন নামকরা ডাক্তার সেই মাঝেমধ্যে এসে আয়েশা বেগমকে দেখে যান। তিনিও রোগ ধরতে পারছেন না। অথচ দিন দিন আয়েশা বেগম শুকিয়ে পাটখড়ি হয়ে যাচ্ছেন। ডাক্তার তাকে নিয়ম বেঁধে খেতে বলেছেন। কিন্তু কাল রাত থেকে তিনি কিছুই মুখে তুলছেন না।
দুপুর পর ফজলুর রহমান থানা সদর থেকে বাড়ি ফিরলেন। ফিরেই স্ত্রী আয়েশা বেগমের পাশে এসে দাঁড়ালেন। বললেন, ‘এখন কেমন লাগছে সাকিবের মা?’
‘আমার ভালো-মন্দের খবর নেওয়ার দরকার নাই।’ তার কণ্ঠ ভীষণ কর্কশ শোনাল। মনে হলো তিনি স্বামীর উপর ভীষণ রেগে আছেন।
ফজলুর রহমান আয়েশা বেগমের পাশে বসে একটা হাত টেনে নিলেন নিজের হাতের মধ্যে।
আয়েশা বেগম মুখ ঘুরিয়ে নিলেন।
‘কী হয়েছে? তুমি এমন করছ কেন?’ আয়েশা বেগম ইশারায় সবাইকে ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে ইশারা করলেন। সবাই বেরিয়ে গেলে স্বামীকে বললেন, ‘ছেলেকে বিয়ে দিয়ে দেন। ঘরে পাপ কাজ হচ্ছে।’
‘কী পাপ হচ্ছে?’ ফজলুর রহমান জিজ্ঞেস করলেন।
আয়েশা বেগম চিবিয়ে বললেন, ‘কী পাপ হচ্ছে আপনি জানেন না? ঘরে ছেলে অন্য মেয়ের সঙ্গে জ্বেনা করছে। আর আপনি দেখেও না দেখার ভান করছেন। আবার বলছেন কী পাপ হচ্ছে?’
ফজলুর রহমান আমতা আমতা করে বললেন, ‘শোন, ঘটনাটা আমিও প্রথম প্রথম খারাপ ভাবছিলাম। কিন্তু যখন সাকিবের মুখে আসল কথা শুনলাম তখন আর রাগ করতে পারি নাই।’
‘কী বলেছে সাকিব?’
‘আমি সাকিবের বন্ধু নজরুলের কাছে গিয়া এই ব্যাপারটা সাকিবকে বোঝানোর কথা বলেছিলাম। সাকিব যা বলেছে তাতে আর সাকিবকে দোষ দেওয়া ঠিক হবে না।’
‘সাকিব কী কইছে সেই কথা কন।’
‘সাকিব বলেছে, রাজাকাররা সাথীকে মিলিটারি ক্যাম্পে নিয়া যাইতে চাইছিল। মিলিটারি ক্যাম্পে নিয়া গেলে সাথীর কী অবস্থা হবে একবার ভেবে দেখেছ? তা ছাড়া সাকিব যা করছে তা মোটেও দোষের না। যুদ্ধের সময় এমন করার নিয়ম আছে।’
আয়েশা বেগম রেগে বললেন, ‘রাখেন আপনার নিয়ম। আপনি কি ওই নিয়ম ধুইয়া পানি খাইবেন? ছেলে কবুল ছাড়া একটি পর নারীকে নিয়ে একই ঘরে রাত কাটাচ্ছে সেটা দোষ না? আপনি ওই মেয়ের সাথে সাকিবের বিয়া দিয়া দেন। তারপর ওরা যা ইচ্ছা তাই করুক। না হলে এই বাড়ির কোনো কিছু আমি স্পর্শ করব না।’
‘এতে সমস্যা কোথায় আমি বুঝতে পারছি না। ওই মেয়েটা মালে গণিমত। শত্রু পক্ষের সম্পত্তি। ওকে আমরা যুদ্ধে গণিমতের মাল হিসাবে অধিকার করেছি। ওরা মুশরিকদের সঙ্গে হাত মিলাইছে। ওরা আমাদের যুদ্ধ বন্দিনি দাসী। ওদের দাসী হিসেবে সহবত করা জায়েজ। তোমার ছেলে মোটেও পাপ করছে না।’
‘এ কথা আপনি কই পাইলেন?’
‘এটা হাদীসের কথা। নবী মোহাম্মদ [স.] যুদ্ধ বন্দিনিদের তার সাহাবাদের মধ্যে বণ্টন করে দিতেন।’

চলবে...

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৮

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৭

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৬

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৫

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৪

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৩

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-২

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-১

এসএন

Header Ad
Header Ad

বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব

ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চাপে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার ৬৫টি পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট বাড়ানোর প্রস্তাব করছে। এর ফলে বাজেটের আগেই এসব পণ্যের মূল্য বাড়তে পারে।

এ তালিকায় রয়েছে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, গুঁড়া দুধ, বিস্কুট, জুস, ফলমূল, সাবান, সিগারেট, টিস্যু পেপার, মিষ্টি, এলপি গ্যাস, বিমান টিকিট এবং হোটেল-রেস্তোরাঁর খাবারের খরচসহ আরও অনেক পণ্য। বিশ্লেষকরা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এ উদ্যোগ সাধারণ জনগণের ওপর আর্থিক চাপ বাড়াবে এবং মূল্যস্ফীতির বর্তমান পরিস্থিতিকে আরও সংকটময় করবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক কর্মকর্তা জানান, বাজেটের সময় ভ্যাট পরিবর্তন করা হয়, তবে এবারের পরিস্থিতি আলাদা। অর্থ মন্ত্রণালয় আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ পেতে কর-জিডিপি অনুপাত ০.২ শতাংশ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সেই লক্ষ্যে অতিরিক্ত অর্থ সংগ্রহ করতে ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তবে এ পদক্ষেপ মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। চলমান পরিস্থিতিতে চাল, চিনি, ভোজ্য তেলসহ সাতটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে শুল্কছাড় দিলেও মাঝপথে ভ্যাট বৃদ্ধির এই উদ্যোগ সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন ব্যয়কে আরও কঠিন করে তুলতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সরকারের এ সিদ্ধান্ত মূল্যস্ফীতির চাপে থাকা সাধারণ মানুষের জন্য আর্থিক দুশ্চিন্তা বাড়াবে এবং জীবনযাত্রার মানে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

Header Ad
Header Ad

জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্টে অনুষ্ঠিত ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কিত স্থিরচিত্র, ভিডিও ফুটেজ, ডকুমেন্টারি ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষণে একটি বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেল। এসব তথ্য আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সংরক্ষণের আহ্বান জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) তথ্য অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জনসাধারণের কাছে থাকা এসব তথ্য গুগল ড্রাইভে (muspecialcell36@gmail.com) আপলোড করার অনুরোধ করা হয়েছে।

এছাড়া, একই সময়ের মধ্যে এসব তথ্য পেনড্রাইভে ধারণ করে সরাসরি গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেলের কার্যালয়ে (২য় তলা, ভবন নং-২, বিএসএল অফিস কমপ্লেক্স, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, ১ মিন্টু রোড, ঢাকা-১০০০) হস্তান্তর করারও সুযোগ রয়েছে।

গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত এই উদ্যোগের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের গুরুত্বপূর্ণ দলিলপত্র সংরক্ষণ করা হবে, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ঐতিহাসিকভাবে মূল্যবান হবে।

Header Ad
Header Ad

স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান

স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তার বাসভবনে গিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাত ৮টা ৩০ মিনিটে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের বাসভবনে প্রবেশ করেন তিনি।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেন সেই দোয়া করেছেন সেনাপ্রধান। এ সময় সেনাপ্রধানের সাথে ছিলেন তার স্ত্রী। খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান ও তার স্ত্রী প্রায় ৪০ মিনিটের মতো ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব
জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান
স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান
রংপুরের টানা তৃতীয় জয়, বরিশালের বিপক্ষে সহজ জয়
ভারতে সিগারেট খাওয়া নিষিদ্ধ চান বলিউড কিং
ইসরায়েলি হামলায় গাজার পুলিশ প্রধানসহ নিহত ১১
নওগাঁয় একবছরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬৫
অবশেষে কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি
বাংলাদেশ আমাদের হারানো ভাই: পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৪৩তম বিসিএস: বাদ পড়া ২২৭ প্রার্থীদের পুনর্বিবেচনার সুযোগ
জানুয়ারিতে বোতলজাত এলপিজি’র দাম অপরিবর্তিত, অটো গ্যাসের দাম সামান্য কম
বছরের শুরুতেই বিয়ে করলেন গায়ক আরমান মালিক
টানা দুই ম্যাচে পরাজয়ের স্বাদ পেল ঢাকা, রাজশাহীর প্রথম জয়
গোয়েন্দা সংস্থার সুপারিশে ৪৩তম বিসিএসে ২২৭ জন বাদ
ভারতে তুলনামূলক হারে কমেছে বাংলাদেশী পর্যটক
ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্তে নিত্যপণ্যে প্রভাব পড়বে না: অর্থ উপদেষ্টা
কেন খাবেন সারা রাত ভেজানো কিশমিশ-পানি
বছরের শুরুতেই উত্তাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নারীসহ আহত ১৫!
বিপিএলে এক ম্যাচেই ৭ উইকেট নিয়ে তাসকিনের রেকর্ড
সাংবাদিক মুন্নী সাহা ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করবে দুদক