শুক্রবার, ৩ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৮ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব- ৮

যারা যুদ্ধ করেছিল

 

সাকিব বলে, ‘আমি তোমার নিরাপত্তার কথাটা বেশি ভেবেছি। যে সমস্ত মেয়েদের পাকিস্তানিরা তুলে নিয়ে যায় তাদের উপর সবাই মিলে পাশবিক অত্যাচার করে। এর চেয়ে নরকখানা অনেক ভালো। সে দৃশ্য দেখলে সহ্য হয় না। শুনেছি ক্যাম্পে মেয়েদের উলঙ্গ করে রাখে। কেন রাখে জান?’ সাথী জবাব দিতে পারে না। রমিছা ও করিম মিয়া হা মুখে তাকিয়ে থাকে। সাকিব বলে, ‘মেয়েরা নিরুপায় হয়ে নিজের পরনের শাড়ি গলায় পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। তাই পাকিস্তানি সৈন্যরা মেয়েদের উলঙ্গ করে রাখে। যাতে মেয়েরা আত্মহত্যা করতে না পারে। ব্যাপারটা ভাব, কী জঘন্য কারবার।’
সাথী বুঝতে পারে তাকে ভয় দেখাতেই কথাগুলো বলছে সাকিব। তবে সে মিথ্যে বলেনি। এ কথা সে আরও অনেকের মুখে শুনেছে।
সাকিব বলে, ‘আমার মায়ের শরীরটা ভালো না। তুমি আমার মায়ের পাশে থাকলে সে একজন কথা বলার লোক পাবে। পাশাপাশি তোমার নিরাপত্তাও বজায় থাকবে। তুমি আমাদের বাড়িতে থাকলে কোনো রাজাকার এমন কী মিলিটারিও তোমাকে স্পর্শ করার সাহস পাবে না। এখন তুমি ভেবে দেখ। যদি মন চায় কাল কাপড় চোপড় নিয়ে তুমি আমাদের বাড়ি যেও। আর যদি মন না চায় তাহলে বড় বিপদের জন্য তৈরি থেক।’
রমিছা বলে, ‘কাল কেন, আজই যাক না।’
সাকিব বলে, ‘না। রাত করে যাওয়ার দরকার নেই। মানুষ নানা কথা বলবে। দিনের বেলা সবার সামনে সাথী আমাদের বাড়ি যাবে। আমার অসুস্থ মা সাথীকে বরণ করে নেবে।’
রমিছা বলে, ‘না। সাথী আজকেই যাক।’
সাকিব কায়দা করে হাসি মুখে বলে, ‘আপনি বললে তো হবে না চাচি। ব্যাপারটা সাথীর একান্ত নিজস্ব। সাথীকে বলতে হবে।’
সাথী পড়ে উভয় সংকটে। কোন পথে যাবে। মনে মনে ঠিক করে পাকিস্তান আর্মির কাছে ধরা পড়ার চেয়ে সাকিবের কাছে ধরা পড়া অনেক ভালো। সে মিন-মিন করে বলে, ‘আমি দিনের বেলা যেতে চাই না। রাতেই যেতে চাই।’
‘সে তো আরও ভালো কথা।’ সাকিব উঠে দাঁড়ায়। বলে, ‘আমি মাকে সব বলে রেখেছি। তোমার কোনো অমর্যাদা হবে না।’
সাথী জানে সবই কথার কথা। কিন্তু সে নিরুপায়। না গেলে আবার রাজাকাররা আসবে। এবার শুধু বাবাকে ধরতে আসবে না। তাকেও তুলে নিয়ে যাবে। তার চেয়ে সাকিবের কাছে স্বেচ্ছায় যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
সাকিবের সঙ্গে সাকিবদের বাড়িতে এল সাথী। সাকিবের মায়ের সঙ্গে তার দেখা হলো না। সাকিবের রুমে তার থাকার ব্যবস্থা হলো। শুরু হলো সাথীর নতুন জীবন। যাকে যুদ্ধ জীবনও বলা যায়।

৬.
হেমন্তের হিম হিম বাতাস চারদিকে। রাতে কুয়াশায় সাদা চাদর বিছিয়ে দেয় প্রকৃতি। রাস্তাঘাটে চলাচল কঠিন হয়। দিনের বেলা পরিবেশ থাকে ভারি সুন্দর। মমিন রুমে বসে ফুলতুরু দিয়ে অস্ত্র পরিষ্কার করছিল। এখানে অস্ত্র পরিষ্কার করার জন্য গানওয়েল পাওয়া যায় না। নারকেলের তেল ও কেরোসিন মিশিয়ে নিজেরা গানওয়েল বানিয়ে অস্ত্র পরিষ্কার করে।
কাছেই বসে মজনু তার রাইফেল পরিষ্কার করছিল। মজনুর স্বভাব হলো সে কথা না বলে থাকতে পারে না। অস্ত্র পরিষ্কার করতে করতে মজনু হঠাৎ প্রশ্ন করে, ‘ওস্তাদ, একটা কথা কমু?’
‘ক কী কবি।’ মমিন বলে। মমিন এই সরল প্রকৃতির ছেলেটিকে ভীষণ স্নেহ করে।
মজনু বলে, ‘যুদ্ধতো নাগাড় কইরা যাইতাছি। কবে দেশ স্বাধীন হবে, আপনি জানেন কিছু?’
‘যুদ্ধ কোনোদিন শেষ হবে না। সারা জীবন যুদ্ধ করে যেতে হবে।’
মজনু চমকে ওঠে। বিস্মিত কণ্ঠে বলে, ‘কন কী ওস্তাদ, সারা জীবন যুদ্ধ করতে হবে? সারা জীবন কি যুদ্ধ করা সম্ভব?’
মমিন আরও মজার ঢংয়ে বলে, ‘কেন সম্ভব না? জঙ্গলে যে প্রাণীরা বাস করে তারা তো সারা জীবন যুদ্ধ করে।’
‘কঠিন কথা বলছেন ওস্তাদ। জঙ্গলের প্রাণীরা কাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে?’
মমিন হাসি দমিয়ে সিরিয়াস ভঙ্গিতে বলে, ‘কেন, হরিণ বাঘের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। ছোট সাপ বড় সাপের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। মহিষ সিংহের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।’
‘আমি সে যুদ্ধের কথা বলছি না। আমি আমাদের যুদ্ধের কথা বলছি। আমরা আর কতদিন যুদ্ধ করব?’
মমিন বলে, ‘আজীবন।’
‘ওস্তাদ ঠাট্টা করতাছেন?’
‘তোমার সঙ্গে ঠাট্টা করব কেন? যা সত্য তাই বলছি।’
‘সারা জীবন যুদ্ধ কীভাবে সম্ভব?’
‘তাহলে কি তুমি যুদ্ধ থেকে বাড়ি ফিরে যেতে চাও?’
‘সেটাও সম্ভব না ওস্তাদ।’
‘কেন?’
‘রাজাকাররা জানে আমি মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিছি। আমি বাড়ি গেলে ব্যাটারা আমাকে ধরে বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মারবে।’
‘আচ্ছা মজনু, তুমি তো লেখাপড়া জান না। রাজনীতি কর না। তুমি যুদ্ধে এলে কেন?’
মজনু কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলে, ‘ক্যান যে যুদ্ধে আইলাম সেইটা তো ভালো মতো কইতে পারমু না ওস্তাদ। খবর পাইলাম, মিলিটারিরা যুবক পোলাপানদের ধইরা ধইরা গুলি কইরা মারে। আমি ভাবলাম এমনি-এমনি মরার চেয়ে যুদ্ধ কইরা মরি। কামডা ঠিক করছি না ওস্তাদ?’
‘অবশ্যই ঠিক করেছ। দেশের প্রতিটি যুবকের দায়িত্ব স্বাধীনতার জন্য লড়াই করা। প্রয়োজনে জীবন উৎসর্গ করা।’ এসএলআরের ব্যারেল পরিষ্কার করতে করতে মমিন কথাগুলো বলে। মজনু সুযোগ পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে বলে ওঠে, ‘ওস্তাদ আপনি যুদ্ধে আইলেন ক্যা?’
মমিন বলে, ‘সে মেলা কথা। আরেকদিন শুইনো।’
‘আজকাই কন না।’
মমিন কিছু না বলে লম্বা করে শ্বাস ফেলে। মমিন কোনো রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল না। কোনোদিন মিছিল মিটিংয়েও যায়নি। দুই বেলা টিউশুনি আর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস নিয়ে সে ব্যস্ত ছিল। লেখাপড়া শেষ করে একটা ভালো চাকরি পেলে বাবা-মায়ের কষ্ট দূর হবে। এই সামান্য চাওয়া মমিনের। কিন্তু সময়টা তখন ভীষণ উত্তাল।

১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পূর্ব পাকিস্তানে একচেটিয়া ও পাকিস্তানে নিরঙ্কুশ জয় পায়। এই নির্বাচন ছিল শেখ মুজিবের নেতৃত্বে এবং ছয় দফা কর্মসূচির প্রতি জনগণের ম্যান্ডেট। পাকিস্তান সামরিক জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তরে কালক্ষেপণ ও গড়িমসি করায় পূর্ব পাকিস্তান ফুঁসে ওঠে। ১৯৭১ সালের ১ মার্চ দুপুর থেকে পূর্ব পাকিস্তান শব্দটি আর এ দেশে উচ্চারিত হয়নি। তখন থেকেই এটি বাংলাদেশ। ভাষার দাবিতে যে আন্দোলন ২৩ বছর আগে শুরু হয়েছিল, তা স্বাধীনতার দাবিতে চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছে। তখন সব ছাপিয়ে একটি স্লোগানই সবার মুখে মুখে উচ্চারিত হতে থাকে। ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধর, বাংলাদেশ স্বাধীন কর।’

এদিকে জাতীয় অধিবেশন বসার তারিখ ৩ মার্চ। ১ মার্চ আওয়ামী লীগের জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের মিটিং বসে হোটেল পূর্বাণীতে। পূর্বাণী হোটেলে বৈঠক চলাকালে খবর আসে, সামরিক শাসক ইয়াহিয়া খান এক বেতার ভাষণে ৩ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য সংসদ অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করেছে। মূলত এটা ছিল পাকিস্তানে গণতন্ত্রের মাথায় কঠিন বজ্রাঘাত। মুহূর্তে ঢাকা শহর মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়। সবার মুখে একই স্লোগান, ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধর, বাংলাদেশ স্বাধীন কর।’ এর আগে দেশের নাম বাংলাদেশ হবে সে কথা ঘোষণা করেছিলেন শেখ মুজিব। ১৯৬৯ সালের ৫ ডিসেম্বর হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষণা করেন, ’আমাদের স্বাধীন দেশটির নাম হবে বাংলাদেশ।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস বন্ধ। রুমে শুয়ে ছিল মমিন। বাইরে থেকে সাকিব ঢুকে খেদোক্তি করে বলল, ‘অবস্থা খুব খারাপ। দেশে গোলমাল লাগবে।’
মমিন প্রশ্ন করে, ‘গোলমাল লাগবে কেন?’
‘বাঙালির মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তারা পূর্বপাকিস্তানের স্বাধীনতা চাচ্ছে।’
‘পাকিস্তানিরা আওয়ামী লীগের হাতে ক্ষমতা দিচ্ছে না কেন?’ মমিন বেশ জোরালো ভাবেই প্রশ্নটা ছুঁড়ল।
সাকিব কথা ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে বলল, ‘পাকিস্তানি নেতারা ঘাস খায় না। তারাও কম ঘাগু না। তারা ইন্ডিয়ার চালাকি ধইরা ফালাইছে। তাই আওয়ামী লীগের হাতে ক্ষমতা দিচ্ছে না।’
‘এটা তো অন্যায়। ক্ষমতা দিলে সমস্যা কী?’ মমিন এবারও জোর দিয়ে বলে উঠল।
সাকিব বলল, ‘তুই রাজনীতি বুঝিস না। তোর মাথায় এসব ঢুকবে না।’
‘কেন ঢুকবে না?’
‘আরে ব্যাটা, আওয়ামী লীগের হাতে ক্ষমতা দিলে তারা ইন্ডিয়ার সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে পাকিস্তান থেকে বেরিয়ে ইন্ডিয়ার সঙ্গে যোগ দেবে।’
‘এসব ফালতু কথা। আমি রাজনীতি বুঝি না এটা ঠিক। তাই বলে তোর এই কথা আমি মেনে নিতে পারছি না। আওয়ামী লীগ ইন্ডিয়ার সঙ্গে যোগ দিলে দেশের মানুষ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীকে পিষে মেরে ফেলবে। কী আবোল তাবোল বলছিস তুই?’
‘আবোল তাবোল নারে মমিন। রাজনীতির ঘোর প্যাঁচ বোঝা বড় কঠিন। তুই ইয়াহিয়া খানের বক্তৃতা শুনেছিস?’
‘না।’
ইয়াহিয়া খানও বক্তৃতায় এাই কথাগুলোই বলেছে। তারাতো ঘাস খায় না। তাদের মগজ আমাদের চেয়ে আরও উন্নত।’
মমিন বলে, ‘আমি বুঝেছি। পাকিস্তানিরাই দেশে গোলমালের সূত্রপাত করল।’
‘কীভাবে?’
‘তারা আওয়ামী লীগের হাতে ক্ষমতা দিলেই ল্যাঠা চুকে যেত। তাহলে আর এই ঝামেলা হতো না।’
‘তোর এই ভাইতা বুদ্ধি নিয়া ওরা দেশ চালায় না। লাটাইয়ের সুতা ছাইড়া দিয়া পরে কি মাথা থাপড়াবে?’
মমিন আর কথা বাড়ায় না। সে বিষয়টি ভাবতে থাকে।

চলবে...

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৭

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৬

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৫

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৪

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৩

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-২

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-১

এসএন

Header Ad
Header Ad

বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব

ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চাপে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার ৬৫টি পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট বাড়ানোর প্রস্তাব করছে। এর ফলে বাজেটের আগেই এসব পণ্যের মূল্য বাড়তে পারে।

এ তালিকায় রয়েছে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, গুঁড়া দুধ, বিস্কুট, জুস, ফলমূল, সাবান, সিগারেট, টিস্যু পেপার, মিষ্টি, এলপি গ্যাস, বিমান টিকিট এবং হোটেল-রেস্তোরাঁর খাবারের খরচসহ আরও অনেক পণ্য। বিশ্লেষকরা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এ উদ্যোগ সাধারণ জনগণের ওপর আর্থিক চাপ বাড়াবে এবং মূল্যস্ফীতির বর্তমান পরিস্থিতিকে আরও সংকটময় করবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক কর্মকর্তা জানান, বাজেটের সময় ভ্যাট পরিবর্তন করা হয়, তবে এবারের পরিস্থিতি আলাদা। অর্থ মন্ত্রণালয় আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ পেতে কর-জিডিপি অনুপাত ০.২ শতাংশ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সেই লক্ষ্যে অতিরিক্ত অর্থ সংগ্রহ করতে ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তবে এ পদক্ষেপ মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। চলমান পরিস্থিতিতে চাল, চিনি, ভোজ্য তেলসহ সাতটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে শুল্কছাড় দিলেও মাঝপথে ভ্যাট বৃদ্ধির এই উদ্যোগ সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন ব্যয়কে আরও কঠিন করে তুলতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সরকারের এ সিদ্ধান্ত মূল্যস্ফীতির চাপে থাকা সাধারণ মানুষের জন্য আর্থিক দুশ্চিন্তা বাড়াবে এবং জীবনযাত্রার মানে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

Header Ad
Header Ad

জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্টে অনুষ্ঠিত ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কিত স্থিরচিত্র, ভিডিও ফুটেজ, ডকুমেন্টারি ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষণে একটি বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেল। এসব তথ্য আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সংরক্ষণের আহ্বান জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) তথ্য অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জনসাধারণের কাছে থাকা এসব তথ্য গুগল ড্রাইভে (muspecialcell36@gmail.com) আপলোড করার অনুরোধ করা হয়েছে।

এছাড়া, একই সময়ের মধ্যে এসব তথ্য পেনড্রাইভে ধারণ করে সরাসরি গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেলের কার্যালয়ে (২য় তলা, ভবন নং-২, বিএসএল অফিস কমপ্লেক্স, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, ১ মিন্টু রোড, ঢাকা-১০০০) হস্তান্তর করারও সুযোগ রয়েছে।

গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত এই উদ্যোগের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের গুরুত্বপূর্ণ দলিলপত্র সংরক্ষণ করা হবে, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ঐতিহাসিকভাবে মূল্যবান হবে।

Header Ad
Header Ad

স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান

স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তার বাসভবনে গিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাত ৮টা ৩০ মিনিটে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের বাসভবনে প্রবেশ করেন তিনি।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেন সেই দোয়া করেছেন সেনাপ্রধান। এ সময় সেনাপ্রধানের সাথে ছিলেন তার স্ত্রী। খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান ও তার স্ত্রী প্রায় ৪০ মিনিটের মতো ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব
জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান
স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান
রংপুরের টানা তৃতীয় জয়, বরিশালের বিপক্ষে সহজ জয়
ভারতে সিগারেট খাওয়া নিষিদ্ধ চান বলিউড কিং
ইসরায়েলি হামলায় গাজার পুলিশ প্রধানসহ নিহত ১১
নওগাঁয় একবছরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬৫
অবশেষে কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি
বাংলাদেশ আমাদের হারানো ভাই: পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৪৩তম বিসিএস: বাদ পড়া ২২৭ প্রার্থীদের পুনর্বিবেচনার সুযোগ
জানুয়ারিতে বোতলজাত এলপিজি’র দাম অপরিবর্তিত, অটো গ্যাসের দাম সামান্য কম
বছরের শুরুতেই বিয়ে করলেন গায়ক আরমান মালিক
টানা দুই ম্যাচে পরাজয়ের স্বাদ পেল ঢাকা, রাজশাহীর প্রথম জয়
গোয়েন্দা সংস্থার সুপারিশে ৪৩তম বিসিএসে ২২৭ জন বাদ
ভারতে তুলনামূলক হারে কমেছে বাংলাদেশী পর্যটক
ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্তে নিত্যপণ্যে প্রভাব পড়বে না: অর্থ উপদেষ্টা
কেন খাবেন সারা রাত ভেজানো কিশমিশ-পানি
বছরের শুরুতেই উত্তাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নারীসহ আহত ১৫!
বিপিএলে এক ম্যাচেই ৭ উইকেট নিয়ে তাসকিনের রেকর্ড
সাংবাদিক মুন্নী সাহা ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করবে দুদক