বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব- ৮

যারা যুদ্ধ করেছিল

 

সাকিব বলে, ‘আমি তোমার নিরাপত্তার কথাটা বেশি ভেবেছি। যে সমস্ত মেয়েদের পাকিস্তানিরা তুলে নিয়ে যায় তাদের উপর সবাই মিলে পাশবিক অত্যাচার করে। এর চেয়ে নরকখানা অনেক ভালো। সে দৃশ্য দেখলে সহ্য হয় না। শুনেছি ক্যাম্পে মেয়েদের উলঙ্গ করে রাখে। কেন রাখে জান?’ সাথী জবাব দিতে পারে না। রমিছা ও করিম মিয়া হা মুখে তাকিয়ে থাকে। সাকিব বলে, ‘মেয়েরা নিরুপায় হয়ে নিজের পরনের শাড়ি গলায় পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। তাই পাকিস্তানি সৈন্যরা মেয়েদের উলঙ্গ করে রাখে। যাতে মেয়েরা আত্মহত্যা করতে না পারে। ব্যাপারটা ভাব, কী জঘন্য কারবার।’
সাথী বুঝতে পারে তাকে ভয় দেখাতেই কথাগুলো বলছে সাকিব। তবে সে মিথ্যে বলেনি। এ কথা সে আরও অনেকের মুখে শুনেছে।
সাকিব বলে, ‘আমার মায়ের শরীরটা ভালো না। তুমি আমার মায়ের পাশে থাকলে সে একজন কথা বলার লোক পাবে। পাশাপাশি তোমার নিরাপত্তাও বজায় থাকবে। তুমি আমাদের বাড়িতে থাকলে কোনো রাজাকার এমন কী মিলিটারিও তোমাকে স্পর্শ করার সাহস পাবে না। এখন তুমি ভেবে দেখ। যদি মন চায় কাল কাপড় চোপড় নিয়ে তুমি আমাদের বাড়ি যেও। আর যদি মন না চায় তাহলে বড় বিপদের জন্য তৈরি থেক।’
রমিছা বলে, ‘কাল কেন, আজই যাক না।’
সাকিব বলে, ‘না। রাত করে যাওয়ার দরকার নেই। মানুষ নানা কথা বলবে। দিনের বেলা সবার সামনে সাথী আমাদের বাড়ি যাবে। আমার অসুস্থ মা সাথীকে বরণ করে নেবে।’
রমিছা বলে, ‘না। সাথী আজকেই যাক।’
সাকিব কায়দা করে হাসি মুখে বলে, ‘আপনি বললে তো হবে না চাচি। ব্যাপারটা সাথীর একান্ত নিজস্ব। সাথীকে বলতে হবে।’
সাথী পড়ে উভয় সংকটে। কোন পথে যাবে। মনে মনে ঠিক করে পাকিস্তান আর্মির কাছে ধরা পড়ার চেয়ে সাকিবের কাছে ধরা পড়া অনেক ভালো। সে মিন-মিন করে বলে, ‘আমি দিনের বেলা যেতে চাই না। রাতেই যেতে চাই।’
‘সে তো আরও ভালো কথা।’ সাকিব উঠে দাঁড়ায়। বলে, ‘আমি মাকে সব বলে রেখেছি। তোমার কোনো অমর্যাদা হবে না।’
সাথী জানে সবই কথার কথা। কিন্তু সে নিরুপায়। না গেলে আবার রাজাকাররা আসবে। এবার শুধু বাবাকে ধরতে আসবে না। তাকেও তুলে নিয়ে যাবে। তার চেয়ে সাকিবের কাছে স্বেচ্ছায় যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
সাকিবের সঙ্গে সাকিবদের বাড়িতে এল সাথী। সাকিবের মায়ের সঙ্গে তার দেখা হলো না। সাকিবের রুমে তার থাকার ব্যবস্থা হলো। শুরু হলো সাথীর নতুন জীবন। যাকে যুদ্ধ জীবনও বলা যায়।

৬.
হেমন্তের হিম হিম বাতাস চারদিকে। রাতে কুয়াশায় সাদা চাদর বিছিয়ে দেয় প্রকৃতি। রাস্তাঘাটে চলাচল কঠিন হয়। দিনের বেলা পরিবেশ থাকে ভারি সুন্দর। মমিন রুমে বসে ফুলতুরু দিয়ে অস্ত্র পরিষ্কার করছিল। এখানে অস্ত্র পরিষ্কার করার জন্য গানওয়েল পাওয়া যায় না। নারকেলের তেল ও কেরোসিন মিশিয়ে নিজেরা গানওয়েল বানিয়ে অস্ত্র পরিষ্কার করে।
কাছেই বসে মজনু তার রাইফেল পরিষ্কার করছিল। মজনুর স্বভাব হলো সে কথা না বলে থাকতে পারে না। অস্ত্র পরিষ্কার করতে করতে মজনু হঠাৎ প্রশ্ন করে, ‘ওস্তাদ, একটা কথা কমু?’
‘ক কী কবি।’ মমিন বলে। মমিন এই সরল প্রকৃতির ছেলেটিকে ভীষণ স্নেহ করে।
মজনু বলে, ‘যুদ্ধতো নাগাড় কইরা যাইতাছি। কবে দেশ স্বাধীন হবে, আপনি জানেন কিছু?’
‘যুদ্ধ কোনোদিন শেষ হবে না। সারা জীবন যুদ্ধ করে যেতে হবে।’
মজনু চমকে ওঠে। বিস্মিত কণ্ঠে বলে, ‘কন কী ওস্তাদ, সারা জীবন যুদ্ধ করতে হবে? সারা জীবন কি যুদ্ধ করা সম্ভব?’
মমিন আরও মজার ঢংয়ে বলে, ‘কেন সম্ভব না? জঙ্গলে যে প্রাণীরা বাস করে তারা তো সারা জীবন যুদ্ধ করে।’
‘কঠিন কথা বলছেন ওস্তাদ। জঙ্গলের প্রাণীরা কাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে?’
মমিন হাসি দমিয়ে সিরিয়াস ভঙ্গিতে বলে, ‘কেন, হরিণ বাঘের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। ছোট সাপ বড় সাপের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। মহিষ সিংহের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।’
‘আমি সে যুদ্ধের কথা বলছি না। আমি আমাদের যুদ্ধের কথা বলছি। আমরা আর কতদিন যুদ্ধ করব?’
মমিন বলে, ‘আজীবন।’
‘ওস্তাদ ঠাট্টা করতাছেন?’
‘তোমার সঙ্গে ঠাট্টা করব কেন? যা সত্য তাই বলছি।’
‘সারা জীবন যুদ্ধ কীভাবে সম্ভব?’
‘তাহলে কি তুমি যুদ্ধ থেকে বাড়ি ফিরে যেতে চাও?’
‘সেটাও সম্ভব না ওস্তাদ।’
‘কেন?’
‘রাজাকাররা জানে আমি মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিছি। আমি বাড়ি গেলে ব্যাটারা আমাকে ধরে বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মারবে।’
‘আচ্ছা মজনু, তুমি তো লেখাপড়া জান না। রাজনীতি কর না। তুমি যুদ্ধে এলে কেন?’
মজনু কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলে, ‘ক্যান যে যুদ্ধে আইলাম সেইটা তো ভালো মতো কইতে পারমু না ওস্তাদ। খবর পাইলাম, মিলিটারিরা যুবক পোলাপানদের ধইরা ধইরা গুলি কইরা মারে। আমি ভাবলাম এমনি-এমনি মরার চেয়ে যুদ্ধ কইরা মরি। কামডা ঠিক করছি না ওস্তাদ?’
‘অবশ্যই ঠিক করেছ। দেশের প্রতিটি যুবকের দায়িত্ব স্বাধীনতার জন্য লড়াই করা। প্রয়োজনে জীবন উৎসর্গ করা।’ এসএলআরের ব্যারেল পরিষ্কার করতে করতে মমিন কথাগুলো বলে। মজনু সুযোগ পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে বলে ওঠে, ‘ওস্তাদ আপনি যুদ্ধে আইলেন ক্যা?’
মমিন বলে, ‘সে মেলা কথা। আরেকদিন শুইনো।’
‘আজকাই কন না।’
মমিন কিছু না বলে লম্বা করে শ্বাস ফেলে। মমিন কোনো রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল না। কোনোদিন মিছিল মিটিংয়েও যায়নি। দুই বেলা টিউশুনি আর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস নিয়ে সে ব্যস্ত ছিল। লেখাপড়া শেষ করে একটা ভালো চাকরি পেলে বাবা-মায়ের কষ্ট দূর হবে। এই সামান্য চাওয়া মমিনের। কিন্তু সময়টা তখন ভীষণ উত্তাল।

১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পূর্ব পাকিস্তানে একচেটিয়া ও পাকিস্তানে নিরঙ্কুশ জয় পায়। এই নির্বাচন ছিল শেখ মুজিবের নেতৃত্বে এবং ছয় দফা কর্মসূচির প্রতি জনগণের ম্যান্ডেট। পাকিস্তান সামরিক জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তরে কালক্ষেপণ ও গড়িমসি করায় পূর্ব পাকিস্তান ফুঁসে ওঠে। ১৯৭১ সালের ১ মার্চ দুপুর থেকে পূর্ব পাকিস্তান শব্দটি আর এ দেশে উচ্চারিত হয়নি। তখন থেকেই এটি বাংলাদেশ। ভাষার দাবিতে যে আন্দোলন ২৩ বছর আগে শুরু হয়েছিল, তা স্বাধীনতার দাবিতে চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছে। তখন সব ছাপিয়ে একটি স্লোগানই সবার মুখে মুখে উচ্চারিত হতে থাকে। ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধর, বাংলাদেশ স্বাধীন কর।’

এদিকে জাতীয় অধিবেশন বসার তারিখ ৩ মার্চ। ১ মার্চ আওয়ামী লীগের জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের মিটিং বসে হোটেল পূর্বাণীতে। পূর্বাণী হোটেলে বৈঠক চলাকালে খবর আসে, সামরিক শাসক ইয়াহিয়া খান এক বেতার ভাষণে ৩ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য সংসদ অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করেছে। মূলত এটা ছিল পাকিস্তানে গণতন্ত্রের মাথায় কঠিন বজ্রাঘাত। মুহূর্তে ঢাকা শহর মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়। সবার মুখে একই স্লোগান, ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধর, বাংলাদেশ স্বাধীন কর।’ এর আগে দেশের নাম বাংলাদেশ হবে সে কথা ঘোষণা করেছিলেন শেখ মুজিব। ১৯৬৯ সালের ৫ ডিসেম্বর হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষণা করেন, ’আমাদের স্বাধীন দেশটির নাম হবে বাংলাদেশ।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস বন্ধ। রুমে শুয়ে ছিল মমিন। বাইরে থেকে সাকিব ঢুকে খেদোক্তি করে বলল, ‘অবস্থা খুব খারাপ। দেশে গোলমাল লাগবে।’
মমিন প্রশ্ন করে, ‘গোলমাল লাগবে কেন?’
‘বাঙালির মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তারা পূর্বপাকিস্তানের স্বাধীনতা চাচ্ছে।’
‘পাকিস্তানিরা আওয়ামী লীগের হাতে ক্ষমতা দিচ্ছে না কেন?’ মমিন বেশ জোরালো ভাবেই প্রশ্নটা ছুঁড়ল।
সাকিব কথা ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে বলল, ‘পাকিস্তানি নেতারা ঘাস খায় না। তারাও কম ঘাগু না। তারা ইন্ডিয়ার চালাকি ধইরা ফালাইছে। তাই আওয়ামী লীগের হাতে ক্ষমতা দিচ্ছে না।’
‘এটা তো অন্যায়। ক্ষমতা দিলে সমস্যা কী?’ মমিন এবারও জোর দিয়ে বলে উঠল।
সাকিব বলল, ‘তুই রাজনীতি বুঝিস না। তোর মাথায় এসব ঢুকবে না।’
‘কেন ঢুকবে না?’
‘আরে ব্যাটা, আওয়ামী লীগের হাতে ক্ষমতা দিলে তারা ইন্ডিয়ার সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে পাকিস্তান থেকে বেরিয়ে ইন্ডিয়ার সঙ্গে যোগ দেবে।’
‘এসব ফালতু কথা। আমি রাজনীতি বুঝি না এটা ঠিক। তাই বলে তোর এই কথা আমি মেনে নিতে পারছি না। আওয়ামী লীগ ইন্ডিয়ার সঙ্গে যোগ দিলে দেশের মানুষ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীকে পিষে মেরে ফেলবে। কী আবোল তাবোল বলছিস তুই?’
‘আবোল তাবোল নারে মমিন। রাজনীতির ঘোর প্যাঁচ বোঝা বড় কঠিন। তুই ইয়াহিয়া খানের বক্তৃতা শুনেছিস?’
‘না।’
ইয়াহিয়া খানও বক্তৃতায় এাই কথাগুলোই বলেছে। তারাতো ঘাস খায় না। তাদের মগজ আমাদের চেয়ে আরও উন্নত।’
মমিন বলে, ‘আমি বুঝেছি। পাকিস্তানিরাই দেশে গোলমালের সূত্রপাত করল।’
‘কীভাবে?’
‘তারা আওয়ামী লীগের হাতে ক্ষমতা দিলেই ল্যাঠা চুকে যেত। তাহলে আর এই ঝামেলা হতো না।’
‘তোর এই ভাইতা বুদ্ধি নিয়া ওরা দেশ চালায় না। লাটাইয়ের সুতা ছাইড়া দিয়া পরে কি মাথা থাপড়াবে?’
মমিন আর কথা বাড়ায় না। সে বিষয়টি ভাবতে থাকে।

চলবে...

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৭

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৬

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৫

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৪

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৩

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-২

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-১

এসএন

Header Ad

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা

ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এ নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সকল মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। কেউ কারো উপরে না, আবার কেউ কারো নিচেও না, এই ধারণা আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে সম্প্রতি আমরা অর্জন করেছি, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। যে সুযোগ তারা আমাদের দিয়েছে, তার মাধ্যমে আমাদের দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করে যারা দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে জাতি তাদের সারা জীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বক্তব্য শেষে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

Header Ad

নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁ শহরে যানযট নিরসন ও শৃঙ্খলা ফেরাতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক-শ্রমিকদের যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এতে শহরে শৃঙ্খলা ফিরবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অভিযানের উদ্বোধন করেন নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক টি.এম.এ মমিন। এ সময় নওগাঁ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিয়া উদ্দিন, নওগাঁ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন, নওগাঁ জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আফজাল হোসেন ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান শুরুর পর থেকেই শহরের বরুনকান্দি, মশরপুর, তাজের মোড় ও কালীতলাসহ মোট ৮ টি প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেক পোষ্টগুলোতে ২ জন পুলিশ সদস্য, ২ জন ছাত্র সমন্বয়ক, ৪ জন রোভার স্কাউট সদস্য ও ২ জন রিকশা মালিক শ্রমিক প্রতিনিধিসহ মোট ১২ জন করে কাজ করছেন।

পৌর প্রশাসক জানান, নওগাঁ শহরে বৈধ যানবাহনের সংখ্যা ৪ হাজার। কিন্তু প্রতিদিন পার্শবতী বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ১০ হাজার রিকশা, ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা ও ইজিবাইক শহরে প্রবেশ করে। এতে তীব্র যানযট ও জন মানুষের ভোগান্তি তৈরী হয়। এই দূর্ভোগ লাঘোবে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল ও পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিনের দিক নির্দেশনায় যানবাহন নিয়ন্ত্রনসহ বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। বৈধ চালকদের চিহ্নিত করতে তাদের মাঝে পরিধেয় বিশেষ ধরনের জ্যাকেট প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, নওগাঁ শহরের যানযট দীর্ঘদিনের সমস্যা। পরিকল্পিত ভাবে এই সমস্যা দূর করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের উদ্যোগে পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের সমন্বয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন ষ্টেক হোল্ডারদের পরামর্শ নিয়ে একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, অভিযান সফল ভাবে বাস্তবায়ন হলে শহরে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। জনগন এর সুফল পাবেন। সকলকে এই কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানান তিনি।

Header Ad

২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত

বক্তব্য রাখছেন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে ২০২৬ সালের মাঝামাঝি নির্বাচন হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকারের নৌ পরিবহন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ডক্টর এম সাখাওয়াত হোসেন।

সম্প্রতি ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাউস অব লর্ডসে মানবাধিকার সংগঠন ‘ভয়েস ফর বাংলাদেশ’ আয়োজিত সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

‘ডিসকাশন অন ডেমোক্রেটিক কলাপ্স অ্যান্ড রিবিল্ডিং অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই সম্মেলনে হাউস অব লর্ডসের সিনিয়র সদস্য আলেক্সান্ডার চার্লস কার্লাইল কিউসি সভাপতিত্ব করেন। ভয়েস ফর বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্রডকাস্টার আতাউল্লাহ ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এম সাখাওয়াত হোসেন।

সম্মেলেনে সাবেক ব্রিটিশ মন্ত্রী পল স্কালি বলেন, বাংলাদেশে যে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে, তার সঠিক তদন্ত শেষে যথাযথ বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে করে এ ধরনের ঘটনার পুররাবৃত্তি না হয়।

লর্ড হোসাইন বলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার সব সংস্কার এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে সব ধরনের সহায়তা পাবে।

সম্মেলনে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান লেবার দলীয় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি রুপা হক।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
ধামরাইয়ে শ্রমিকবাহী বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৪