রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব- ৬

যারা যুদ্ধ করেছিল

 

প্রায় চার মাইল রাস্তা হেঁটে নদীর পাড়ে এসে বসে পড়ে সবাই। ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। রাস্তা বলতে চরার আইল পথ। সেই পথে অন্ধকারে হাঁটা খুবই ঝক্কি। হোঁচট খেয়ে পথ চলতে হয়। মমিন বার দুই হোঁচট খেয়ে পড়তে পড়তে কোনোমতে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে। পাশ থেকে ঝপাত করে ধরে ফেলে মজনু। মজনু নিজেই দুবার পড়ে গেছে। তাকে ধরার সুযোগ কেউ পায়নি। হোঁচট খেয়ে ছিটকে দূরে গিয়ে পড়ে। ব্যথা পেয়েছিল বেশ। মমিনের প্রশ্নে ঝাড়া অস্বীকার করে মজনু। বলে, ‘না ওস্তাদ, ব্যথা পাই নাই। এর চেয়ে কত শক্ত আঘাত পাইলাম তাতেই ব্যথা পাইলাম না। আর এতো সামান্য মাটির ইটা।’
‘এই নদীর নাম কী ওস্তাদ?’ মজনু জিজ্ঞেস করে।
মমিন বলে, ‘করতোয়া।’
‘এ কেমন কথা। যেখানে যাই সেখানেই করতোয়া নদী। আমগো অংপুরেও করতোয়া নদী আছে।’ মজনুর কথায় বুক ফেটে হাসি চাগিয়ে উঠছিল মমিনের। কিন্তু অপারেশনের যাত্রায় অনেক কিছু চেপে রাখতে হয়। কথা বলা বারণ। হাসাহাসিও নিষেধ। মজনু কথা বলছিল নিচু স্বরে। যুদ্ধ যাত্রায় কত কিছু মেনে চলতে হয়। রাতের অপারেশনে বিড়ি খাওয়া বারণ। বিড়ির আগুন বহুদূর থেকে দেখা যায়। যারা বিড়িখোর, বিড়ি না খেলে যাদের হাঁস-ফাঁস ঠেকে তারা হাতের মুঠোয় আগুন লুকিয়ে চুরি করে চোষা টান মারে। পাড়ে বসেই দেখা যাচ্ছে মাইল তিনেক দূরে উজ্জ্বল আলোয় ঝলমল করছে একটি উঁচু মিনার। ওটা ছিল একটি বিশাল মন্দির। এখন আর ওটা মন্দির নয়। পাকিস্তানিদের ক্যাম্প। মন্দির গুঁড়িয়ে দিয়ে ক্যাম্প বানিয়েছে মিলিটারিরা। চারদিকে টেন্স ও বাংকার। ওখানেই আক্রমণ করতে যাচ্ছে মমিনরা। তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আরও একটি বাহিনী। তাদের সদস্য সংখ্যা অনেক। সঙ্গে ভারী অস্ত্রও আছে। সেই সাহসেই তারা যৌথভাবে আক্রমণের পরিকল্পনা করেছে। বগুড়া জেলার শেরপুর থানার পূর্বে ভবানী মাতার মন্দির। প্রাচীন এই মন্দিরে এখন আর পূজা হয় না। মন্দিরের চারপাশ বাংকার খুঁড়ে পাকিস্তানি মিলিটারিরা নিরাপদ বাংকার বানিয়ে নিয়েছে। মন্দির ঘিরে যে সমস্ত বাড়িঘর ছিল সেই বাড়িঘরের মানুষকে হত্যা করে সব দখলে নিয়েছে মিলিটারিরা। আজই সেই ক্যাম্প মুক্তিযোদ্ধারা উড়িয়ে দেবে।

নদীতে এখন ভরা বর্ষা। জোৎস্নার মৃদু আলোতে ঝকমক করছে ঢেউ ভাঙা পানি। বড় বড় দুটি নৌকায় করে সবাই নদী পার হয়ে লাইন ধরে এগোতে থাকে। মোজাফ্ফরের বাহিনী মন্দিরের উত্তর ও পূর্ব দিক থেকে আক্রমণ করবে। মমিন আক্রমণ করবে পশ্চিম দিক থেকে। তিন দিক থেকে সাঁড়াশি আক্রমণে পাকিস্তানি মিলিটারিদের নাস্তানাবুদ করে ছাড়বে।
ওদের একটি গ্রুপ বিদ্যুতের তার কেটে দেবে। অন্ধকার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার শুরু হবে। হলো তাই। মজনু লাইন পজিশন নিয়ে ফায়ার করছে। তখন পর্যন্ত পাকিস্তানি মিলিটারি ফায়ার শুরু করেনি। আকস্মিক বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় পাকিস্তানি মিলিটারিরা হতচকিত হয়ে পড়ে। আর এই ফাঁকে মুক্তিযোদ্ধারা আকাশ-বাতাস কাঁপিয়ে ফায়ার করে যাচ্ছে। মমিন মৃদু ধমকিয়ে মজনুকে বলে, ‘তুমি আন্দা-কুন্দা ফায়ার করছ কেন? টার্গেট করে ফায়ার কর।’
‘অন্ধকারে কীভাবে টার্গেট করব? মজনু প্রশ্ন করে।
‘ওরা যখন ফায়ার করে তখন দেখবে আগুন উসকে উঠছে। সেই আগুন লক্ষ্য করে ফায়ার করবে।’
অনেক পরে পাকিস্তানি আর্মি ফায়ার শুরু করে। এলএমজির গুলি বৃষ্টির মতো ঝরছে যেন। মাঝে-মধ্যে সেলিং করছে। সেটা কোনো লক্ষ্য স্থির না করেই সেলিং করে যাচ্ছে। ওরা ভয় দেখাতে চাইছে। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধারা জানে ওই সেলিং তাদের কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। কিন্তু নিরীহ মানুষজনের ঘরবাড়ি ধ্বংস হবে।

যুদ্ধের পরিকল্পনার সময় ঠিক করা হয়েছিল ওদের বাংকারে দুর্ধর্ষ কয়েকজন গেরিলা যোদ্ধা ক্রোলিং করে গিয়ে গ্রেনেড চার্জ করবে। সেটা করবে যখন কমান্ডার মোজাফ্ফর বাহিনী ‘জয়বাংলা’ বলে ধ্বনি দিয়ে উঠবে। তাই করা হলো। মোজাফ্ফর বাহিনী জয়বাংলা বলে ধ্বনির দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মমিনের বাহিনী আকাশ-বাতাস কাঁপিয়ে জয়বাংলা বলে চেঁচিয়ে ওঠে। তার কিছুক্ষণ পরই দ্রাম দ্রাম শব্দে পর পর কয়েকটি গ্রেনেড বিস্ফোরিত হয়।
যুদ্ধের পরিকল্পনার সময় মজনু চুপি চুপি বলেছিল, ‘ওস্তাদ, জয়বাংলা স্লোগানের সময় গ্রেনেড ছুড়বে কেন?’
মমিন উত্তরে বলেছিল, ‘আমরা যখন জয়বাংলা ধ্বনি দেব তখন ওরা বিভ্রান্ত হয়ে তারাও ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান দিতে থাকবে। আর এই ফাঁকে ওরা কিছু বুঝে ওঠার আগে আমাদের গেরিলা যোদ্ধারা গ্রনেড ছুঁড়বে বাংকারে।’
যুদ্ধের কত রকমের কৌশল। মজনু অবাক হয়ে শুধু ভাবে। যুদ্ধের কাজটা কত কঠিন। আগের দিনের মতো তলোয়ার দিয়ে যুদ্ধের মতো সহজ না। সেইসময় যার শরীরে শক্তি বেশি সে তত বড় যোদ্ধা। এখন তার এক আনাও মূল্য নেই। এখন যুদ্ধ হয় আধুনিক অস্ত্রের এবং কৌশলের।
একটু পর যুদ্ধের মোড় ঘুরে গেল। পাকিস্তানি আর্মির সাহায্যের জন্য বগুড়া শহর থেকে ট্রাকে করে শত শত পাকআর্মি করতোয়া নদীর ওপার থেকে মেশিনগানের বৃষ্টি ঝরাতে থাকে। সামনে পেছনে অস্ত্রের তুমুল আক্রমণে মুক্তিযোদ্ধারা বেকায়দায় পড়ে যায়। যেটা তাদের পরিকল্পনার মধ্যে ছিল না। মমিন তার বাহিনী নিয়ে উত্তরপাশে সরে গিয়ে বাঁধের আড়ালে পজিশন নেয়। মোজাফ্ফরের বাহিনী এসে মমিনের বাহিনীর সঙ্গে যোগ দিয়ে করতোয়ার দিকে আক্রমণ ঘুরিয়ে দেয়। কোনো যুদ্ধই পরিকল্পনা মাফিক হয় না। এখন দুদিক থেকে আক্রমণ আসবে সেটা কী তারা ভেবেছিল। অথচ এখন দুদিকেই যুদ্ধ চালাতে হচ্ছে। নদীর ওপারে আগত মিলিটারিরা ভারী মেশিন গান এবং হেকলার জি-৩ রাইফেল দিয়ে গ্রেনেড ছুঁড়ছে। সেই গ্রেনেড আমাদের অবস্থানের আশে পাশে দ্রাম দ্রাম শব্দে বিস্ফোরিত হচ্ছে। এইটাই আমাদের ভয়ের বড় কারণ। আমাদের এই ভারী অস্ত্র চেক দেওয়ার মতো কোনো অস্ত্র নেই। ক্রমাগত হেকলার রাইফেলের গ্রেনেড এসে ব্লাস্ট হচ্ছে। আজ আমাদের নির্ঘাত মৃত্যুর মুখে পড়তে হবে। মমিন ভাবতে ভাবতে তার বাহিনীকে আরও উত্তরে নিরাপদ জায়গায় সরে যাওয়ার নির্দেশ দিল।

ততক্ষণে বিশাল আর্তনাদের শব্দ তাদের হতচকিত করে তুলল। খবর নিয়ে জানলো তাদের আরেক বাহিনীর একটি ছোট দলের উপর সেই গ্রেনেড এসে পড়েছে। কয়েকজন ঘটনাস্থলেই শহীদ হয়েছে। বাকিদল ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েছে। খেলায় যেমন জয়-পরাজয় আছে, যুদ্ধেও তেমন জয়-পরাজয় আছে। আজ কোনোভাবে যুদ্ধে জয়ী হওয়া সম্ভব না। অতএব নিরাপদে এই স্থান ত্যাগ করতে হবে। মমিন যখন এই সব ভাবছিল তখন যুদ্ধের কমান্ডার মোজাফ্ফরের নির্দেশ এল, বাহিনীকে উত্তরে সরিয়ে নিয়ে ওদের উপর সাঁড়াশি আক্রমণ করতে হবে। আদেশ পাওয়া মাত্র মমিন তার বাহিনী নিয়ে উত্তরে সরে গিয়ে পাকিস্তানি বাহিনীর পেছন থেকে আক্রমণ শুরু করে। মোজাফ্ফরের বাহিনী মূল ক্যাম্পের দিকে আক্রমণ করে যাচ্ছে। দুদিক থেকে আক্রমণ করেও পাকিস্তানি বাহিনীকে কিছুতেই কাবু করা যাচ্ছে না। ওদের মূল শক্তি ভারী অস্ত্র। ভারী অস্ত্রের সামনে টিকে থাকা দায় হয়ে পড়ছে। তবু সমানে সমান লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে মুক্তিযোদ্ধারা। অনেক পড়ে দুই কামান্ডার বুঝতে পারলেন আজকের যুদ্ধে জয় করা অসম্ভব। বাঁচতে হলে বাহিনী উইথড্র করতে হবে। দুই বাহিনী কৌশলে যুদ্ধের ময়দান ত্যাগ করল। যুদ্ধের ময়দান ত্যাগ করার জন্য কৌশলগত ট্রেনিং নিতে হয়। যুদ্ধ জীবনটা সত্যি অদ্ভূত। ইচ্ছে করলেই যুদ্ধের ময়দান থেকে পলায়ন করা যায় না। সেটা করতে গেলে নির্ঘাত মৃত্যু। একদল মিলিটারির দিকে ফায়ার করতে থাকবে। সেইফাঁকে আরেকদল ভাগতে থাকবে। শেষের দলের বিপদে পড়ার সম্ভাবনা বেশি। খণ্ড খণ্ড দলে বিভক্ত হয়ে সবাই নিরাপদে পৌঁছে যাবে। আহতদের কাঁধে তুলে নিল। কিন্তু যারা শহীদ হয়েছে তাদের নিয়ে যাওয়া সম্ভব হলো না। নিজেদেরই যেখানে বেঁচে থাকার আশা নেই। সেখানে নিহতদের কথা ভাববে কখন? তাদের নদীতে ভাসিয়ে দিয়ে তারা নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটল। ভোর হওয়ার তখন সামান্য বাকি। টানা দশ/বারো মাইল হেঁটে দুটো বাহিনী নিরাপদ স্থানে গিয়ে আশ্রয় নিল।

চলবে...

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৫

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৪

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৩

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-২

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-১

এসএন 

 

 

Header Ad
Header Ad

স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম নির্বাসিত কবি দাউদ হায়দার মারা গেছেন

কবি দাউদ হায়দার। ছবি: সংগৃহীত

বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রতিবাদী ও স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম নির্বাসিত কবি দাউদ হায়দার আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। জার্মানির বার্লিনে স্থানীয় সময় শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে একটি রিহ্যাবিলিটেশন হোমে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর।

কবির মৃত্যু সংবাদ নিশ্চিত করেছেন লন্ডনপ্রবাসী নাট্যশিল্পী ও সংগঠক স্বাধীন খসরু এবং বার্লিনে অবস্থানরত কবির ঘনিষ্ঠজন সংস্কৃতিকর্মী মাইন চৌধুরী পিটু।

জানা যায়, গেল বছরের ডিসেম্বর থেকে কবি দাউদ হায়দার বার্ধক্যজনিত নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। কয়েক মাস ধরে বার্লিনের বিভিন্ন হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছিল। ১২ ডিসেম্বর নিজ বাসার সিঁড়িতে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হলে তিনি জ্ঞান হারান এবং তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেসময় তাকে ‘কৃত্রিম কোমা’-তে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকায় শেষ পর্যন্ত শনিবার রাতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার মরদেহ বার্লিনেই দাফন করা হবে বলে জানিয়েছেন পিটু। তবে কবির শেষ বিদায়ের সময় ও স্থান নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তার পরিবার ও ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে আলোচনার পর।

দাউদ হায়দার বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম নির্বাসিত কবি হিসেবে পরিচিত। ১৯৭৩ সালে প্রকাশিত তার একটি কবিতা—‘কালো সূর্য্যের কালো জ্যোৎস্নায় কালো বন্যায়’—এর কারণে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১৯৭৪ সালের ২০ মে তাকে মুক্তি দিয়ে পরদিন কলকাতাগামী একটি বিশেষ ফ্লাইটে তুলে দেওয়া হয়। ওই ফ্লাইটে অন্য কোনো যাত্রী ছিল না।

ভারত সরকারও পরবর্তীতে তাকে বহিষ্কার করে। পরে নোবেলজয়ী জার্মান সাহিত্যিক গুন্টার গ্রাসের প্রচেষ্টায় ১৯৮৭ সালে তিনি জার্মানিতে রাজনৈতিক আশ্রয় লাভ করেন এবং সেখানেই বাকিজীবন কাটান।

দাউদ হায়দার বাংলা সাহিত্যে সত্তরের দশকের অন্যতম প্রধান কবি হিসেবে বিবেচিত। তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘জন্মই আমার আজন্ম পাপ’। সাহসী ও প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর হিসেবে তিনি বাংলা কবিতায় আলাদা একটি ধারা সৃষ্টি করেন।

১৯৭৩ সালে লন্ডন সোসাইটি ফর পোয়েট্রি তার একটি কবিতাকে ‘দ্য বেস্ট পোয়েম অব এশিয়া’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। সে সময় তিনি ‘দৈনিক সংবাদ’-এর সাহিত্য পাতার সম্পাদক হিসেবেও কাজ করেছেন। সর্বশেষ তিনি বাংলা ট্রিবিউনে নিয়মিত কলাম লিখতেন।

দাউদ হায়দার ছিলেন চিরকুমার। জীবনের শেষভাগে একাকিত্ব ও বয়সজনিত জটিলতায় ভুগেছেন। তিনি ছিলেন একজন ব্রডকাস্ট সাংবাদিকও।

কবি দাউদ হায়দারের জন্ম ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি, পাবনা জেলায়। নিজের লেখনী ও বিশ্বাসের কারণে স্বদেশ থেকে বহু দূরে দীর্ঘদিন কাটালেও বাংলা ভাষা ও সাহিত্যই ছিলেন তার চেতনাজগতের কেন্দ্রবিন্দু।

Header Ad
Header Ad

পাকিস্তানে সেনাবাহিনী-সন্ত্রাসী গোলাগুলি, দুই সেনাসদস্যসহ নিহত ১৭

ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার তিনটি ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর তুমুল গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই সেনাসদস্যসহ মোট ১৭ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনী।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জনসংযোগ পরিদপ্তর আইএসপিআর এক বিবৃতিতে জানায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে খাইবার পাখতুনখোয়ার কারাক জেলায় অভিযান চালানো হয়। সেখানে আটজন সন্ত্রাসীকে হত্যা করা হয়। একই দিনে উত্তর ওয়াজিরিস্তান ও দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের দুটি স্থানে আরও দুটি অভিযান চালানো হয়।

উত্তর ওয়াজিরিস্তানে চারজন এবং দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের গোমাল জ্যাম এলাকায় তিনজন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে সেনাবাহিনী। এই সংঘর্ষগুলোর একটিতে পাক বাহিনীর দুই সেনা সদস্য প্রাণ হারান।

আইএসপিআরের বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, অভিযানের সময় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করা হয়েছে।

এদিকে, পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ জানিয়েছে, এসব অভিযান ছিল পরিকল্পিত ও গোয়েন্দা তথ্যভিত্তিক। সাম্প্রতিক সময়ে দেশটিতে সন্ত্রাসী হামলার সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে, বিশেষ করে নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে।

‘পাকিস্তান ইন্সটিটিউট ফর কনফ্লিক্ট অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ’ (PICS) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে সন্ত্রাসী হামলার সংখ্যা ডিসেম্বরের তুলনায় প্রায় ৪২ শতাংশ বেড়েছে। এতে করে পুরো অঞ্চলে নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ছে।

Header Ad
Header Ad

টাঙ্গাইলে ট্রাক-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ নিহত ২

ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইলের মধুপুরে ট্রাক-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই জন নিহত হয়েছেন। শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে টাঙ্গাইল-জামালপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের মধুপুর পৌর এলাকার কাইতকাই রূপালী ফিলিং স্টেশনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- ধনবাড়ী উপজেলা পৌর এলাকার চরভাতকুড়া গ্রামের মৃত হাতেম আলীর ছেলে সিএনজি চালা হেলাল উদ্দিন (৫৫)। অপরজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে তিনি সিএনজি যাত্রী ছিলেন।

রবিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে মধুপুর থানার ডিউটি অফিসার মো. মনজুরুল হক এ বিষয়টি নিশ্চিত করছেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শনিবার রাতে দুর্ঘটনা কবলিত সিএনজি ধনবাড়ীর দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগতির ট্রাকের সাথে সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজির চালক ঘটনা স্থলে মারা যান। এ সময় গুরুতর আহত হয় এক যাত্রী।

এরপর তাকে উদ্ধার করে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। পরে রাতেই হাসপাতালে তিনি মারা যায়।

এ ব্যাপারে মধুপুর থানার ডিউটি অফিসার মো. মনজুরুল হক জানান, নিহত সিএনজি চালকের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

অপরদিকে, অজ্ঞাত ওই যাত্রীর পরিচয় পাওয়া যায়নি, শনাক্তের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় আইনগত বিষয় প্রক্রিয়াধীন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম নির্বাসিত কবি দাউদ হায়দার মারা গেছেন
পাকিস্তানে সেনাবাহিনী-সন্ত্রাসী গোলাগুলি, দুই সেনাসদস্যসহ নিহত ১৭
টাঙ্গাইলে ট্রাক-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ নিহত ২
হজের ফ্লাইট শুরু মঙ্গলবার, উদ্বোধন করবেন ধর্ম উপদেষ্টা
ইরানের বন্দরে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ১৪, আহত সাড়ে ৭ শতাধিক
ধর্ষণের শিকার জুলাই আন্দোলনে শহীদের মেয়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
সিন্ধুর পানি ছাড়ল ভারত, হঠাৎ বন্যায় ডুবলো পাকিস্তানের কাশ্মীর
রিয়ালের হৃদয়ভাঙা রাত, কোপা দেল রে চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা
উত্তরায় সেলফি তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় তরুণ-তরুণীর মৃত্যু
জাতীয় গ্রিডে যান্ত্রিক ত্রুটিতে ১০ জেলায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট
আবারও দুই ধাপে ৬ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা
পাকিস্তানি হামলার আশঙ্কায় বাঙ্কারে আশ্রয় নিচ্ছেন ভারতীয়রা
চীনা প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করলো বিএনপি
আওয়ামী লীগ ভারতের গোলামী করা দল : নুরুল হক নুর
ইরানের রাজাই বন্দরে শক্তিশালী বিস্ফোরণ, আহত ৫১৬ জন
প্রায় দুই ঘণ্টা পর মেট্রোরেল চলাচল স্বাভাবিক
গোবিন্দগঞ্জে মৃত আওয়ামী লীগ নেতার নামে জামাতের মামলা
গুজরাটে ১ হাজারের বেশি বাংলাদেশি গ্রেফতারের দাবি পুলিশের
নওগাঁর রাণীনগর ও আত্রাই বাসীর গলার কাঁটা ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ অবশেষে সংস্কার
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মেট্রোরেল চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ