শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব- ৬

যারা যুদ্ধ করেছিল

 

প্রায় চার মাইল রাস্তা হেঁটে নদীর পাড়ে এসে বসে পড়ে সবাই। ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। রাস্তা বলতে চরার আইল পথ। সেই পথে অন্ধকারে হাঁটা খুবই ঝক্কি। হোঁচট খেয়ে পথ চলতে হয়। মমিন বার দুই হোঁচট খেয়ে পড়তে পড়তে কোনোমতে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে। পাশ থেকে ঝপাত করে ধরে ফেলে মজনু। মজনু নিজেই দুবার পড়ে গেছে। তাকে ধরার সুযোগ কেউ পায়নি। হোঁচট খেয়ে ছিটকে দূরে গিয়ে পড়ে। ব্যথা পেয়েছিল বেশ। মমিনের প্রশ্নে ঝাড়া অস্বীকার করে মজনু। বলে, ‘না ওস্তাদ, ব্যথা পাই নাই। এর চেয়ে কত শক্ত আঘাত পাইলাম তাতেই ব্যথা পাইলাম না। আর এতো সামান্য মাটির ইটা।’
‘এই নদীর নাম কী ওস্তাদ?’ মজনু জিজ্ঞেস করে।
মমিন বলে, ‘করতোয়া।’
‘এ কেমন কথা। যেখানে যাই সেখানেই করতোয়া নদী। আমগো অংপুরেও করতোয়া নদী আছে।’ মজনুর কথায় বুক ফেটে হাসি চাগিয়ে উঠছিল মমিনের। কিন্তু অপারেশনের যাত্রায় অনেক কিছু চেপে রাখতে হয়। কথা বলা বারণ। হাসাহাসিও নিষেধ। মজনু কথা বলছিল নিচু স্বরে। যুদ্ধ যাত্রায় কত কিছু মেনে চলতে হয়। রাতের অপারেশনে বিড়ি খাওয়া বারণ। বিড়ির আগুন বহুদূর থেকে দেখা যায়। যারা বিড়িখোর, বিড়ি না খেলে যাদের হাঁস-ফাঁস ঠেকে তারা হাতের মুঠোয় আগুন লুকিয়ে চুরি করে চোষা টান মারে। পাড়ে বসেই দেখা যাচ্ছে মাইল তিনেক দূরে উজ্জ্বল আলোয় ঝলমল করছে একটি উঁচু মিনার। ওটা ছিল একটি বিশাল মন্দির। এখন আর ওটা মন্দির নয়। পাকিস্তানিদের ক্যাম্প। মন্দির গুঁড়িয়ে দিয়ে ক্যাম্প বানিয়েছে মিলিটারিরা। চারদিকে টেন্স ও বাংকার। ওখানেই আক্রমণ করতে যাচ্ছে মমিনরা। তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আরও একটি বাহিনী। তাদের সদস্য সংখ্যা অনেক। সঙ্গে ভারী অস্ত্রও আছে। সেই সাহসেই তারা যৌথভাবে আক্রমণের পরিকল্পনা করেছে। বগুড়া জেলার শেরপুর থানার পূর্বে ভবানী মাতার মন্দির। প্রাচীন এই মন্দিরে এখন আর পূজা হয় না। মন্দিরের চারপাশ বাংকার খুঁড়ে পাকিস্তানি মিলিটারিরা নিরাপদ বাংকার বানিয়ে নিয়েছে। মন্দির ঘিরে যে সমস্ত বাড়িঘর ছিল সেই বাড়িঘরের মানুষকে হত্যা করে সব দখলে নিয়েছে মিলিটারিরা। আজই সেই ক্যাম্প মুক্তিযোদ্ধারা উড়িয়ে দেবে।

নদীতে এখন ভরা বর্ষা। জোৎস্নার মৃদু আলোতে ঝকমক করছে ঢেউ ভাঙা পানি। বড় বড় দুটি নৌকায় করে সবাই নদী পার হয়ে লাইন ধরে এগোতে থাকে। মোজাফ্ফরের বাহিনী মন্দিরের উত্তর ও পূর্ব দিক থেকে আক্রমণ করবে। মমিন আক্রমণ করবে পশ্চিম দিক থেকে। তিন দিক থেকে সাঁড়াশি আক্রমণে পাকিস্তানি মিলিটারিদের নাস্তানাবুদ করে ছাড়বে।
ওদের একটি গ্রুপ বিদ্যুতের তার কেটে দেবে। অন্ধকার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার শুরু হবে। হলো তাই। মজনু লাইন পজিশন নিয়ে ফায়ার করছে। তখন পর্যন্ত পাকিস্তানি মিলিটারি ফায়ার শুরু করেনি। আকস্মিক বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় পাকিস্তানি মিলিটারিরা হতচকিত হয়ে পড়ে। আর এই ফাঁকে মুক্তিযোদ্ধারা আকাশ-বাতাস কাঁপিয়ে ফায়ার করে যাচ্ছে। মমিন মৃদু ধমকিয়ে মজনুকে বলে, ‘তুমি আন্দা-কুন্দা ফায়ার করছ কেন? টার্গেট করে ফায়ার কর।’
‘অন্ধকারে কীভাবে টার্গেট করব? মজনু প্রশ্ন করে।
‘ওরা যখন ফায়ার করে তখন দেখবে আগুন উসকে উঠছে। সেই আগুন লক্ষ্য করে ফায়ার করবে।’
অনেক পরে পাকিস্তানি আর্মি ফায়ার শুরু করে। এলএমজির গুলি বৃষ্টির মতো ঝরছে যেন। মাঝে-মধ্যে সেলিং করছে। সেটা কোনো লক্ষ্য স্থির না করেই সেলিং করে যাচ্ছে। ওরা ভয় দেখাতে চাইছে। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধারা জানে ওই সেলিং তাদের কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। কিন্তু নিরীহ মানুষজনের ঘরবাড়ি ধ্বংস হবে।

যুদ্ধের পরিকল্পনার সময় ঠিক করা হয়েছিল ওদের বাংকারে দুর্ধর্ষ কয়েকজন গেরিলা যোদ্ধা ক্রোলিং করে গিয়ে গ্রেনেড চার্জ করবে। সেটা করবে যখন কমান্ডার মোজাফ্ফর বাহিনী ‘জয়বাংলা’ বলে ধ্বনি দিয়ে উঠবে। তাই করা হলো। মোজাফ্ফর বাহিনী জয়বাংলা বলে ধ্বনির দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মমিনের বাহিনী আকাশ-বাতাস কাঁপিয়ে জয়বাংলা বলে চেঁচিয়ে ওঠে। তার কিছুক্ষণ পরই দ্রাম দ্রাম শব্দে পর পর কয়েকটি গ্রেনেড বিস্ফোরিত হয়।
যুদ্ধের পরিকল্পনার সময় মজনু চুপি চুপি বলেছিল, ‘ওস্তাদ, জয়বাংলা স্লোগানের সময় গ্রেনেড ছুড়বে কেন?’
মমিন উত্তরে বলেছিল, ‘আমরা যখন জয়বাংলা ধ্বনি দেব তখন ওরা বিভ্রান্ত হয়ে তারাও ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান দিতে থাকবে। আর এই ফাঁকে ওরা কিছু বুঝে ওঠার আগে আমাদের গেরিলা যোদ্ধারা গ্রনেড ছুঁড়বে বাংকারে।’
যুদ্ধের কত রকমের কৌশল। মজনু অবাক হয়ে শুধু ভাবে। যুদ্ধের কাজটা কত কঠিন। আগের দিনের মতো তলোয়ার দিয়ে যুদ্ধের মতো সহজ না। সেইসময় যার শরীরে শক্তি বেশি সে তত বড় যোদ্ধা। এখন তার এক আনাও মূল্য নেই। এখন যুদ্ধ হয় আধুনিক অস্ত্রের এবং কৌশলের।
একটু পর যুদ্ধের মোড় ঘুরে গেল। পাকিস্তানি আর্মির সাহায্যের জন্য বগুড়া শহর থেকে ট্রাকে করে শত শত পাকআর্মি করতোয়া নদীর ওপার থেকে মেশিনগানের বৃষ্টি ঝরাতে থাকে। সামনে পেছনে অস্ত্রের তুমুল আক্রমণে মুক্তিযোদ্ধারা বেকায়দায় পড়ে যায়। যেটা তাদের পরিকল্পনার মধ্যে ছিল না। মমিন তার বাহিনী নিয়ে উত্তরপাশে সরে গিয়ে বাঁধের আড়ালে পজিশন নেয়। মোজাফ্ফরের বাহিনী এসে মমিনের বাহিনীর সঙ্গে যোগ দিয়ে করতোয়ার দিকে আক্রমণ ঘুরিয়ে দেয়। কোনো যুদ্ধই পরিকল্পনা মাফিক হয় না। এখন দুদিক থেকে আক্রমণ আসবে সেটা কী তারা ভেবেছিল। অথচ এখন দুদিকেই যুদ্ধ চালাতে হচ্ছে। নদীর ওপারে আগত মিলিটারিরা ভারী মেশিন গান এবং হেকলার জি-৩ রাইফেল দিয়ে গ্রেনেড ছুঁড়ছে। সেই গ্রেনেড আমাদের অবস্থানের আশে পাশে দ্রাম দ্রাম শব্দে বিস্ফোরিত হচ্ছে। এইটাই আমাদের ভয়ের বড় কারণ। আমাদের এই ভারী অস্ত্র চেক দেওয়ার মতো কোনো অস্ত্র নেই। ক্রমাগত হেকলার রাইফেলের গ্রেনেড এসে ব্লাস্ট হচ্ছে। আজ আমাদের নির্ঘাত মৃত্যুর মুখে পড়তে হবে। মমিন ভাবতে ভাবতে তার বাহিনীকে আরও উত্তরে নিরাপদ জায়গায় সরে যাওয়ার নির্দেশ দিল।

ততক্ষণে বিশাল আর্তনাদের শব্দ তাদের হতচকিত করে তুলল। খবর নিয়ে জানলো তাদের আরেক বাহিনীর একটি ছোট দলের উপর সেই গ্রেনেড এসে পড়েছে। কয়েকজন ঘটনাস্থলেই শহীদ হয়েছে। বাকিদল ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েছে। খেলায় যেমন জয়-পরাজয় আছে, যুদ্ধেও তেমন জয়-পরাজয় আছে। আজ কোনোভাবে যুদ্ধে জয়ী হওয়া সম্ভব না। অতএব নিরাপদে এই স্থান ত্যাগ করতে হবে। মমিন যখন এই সব ভাবছিল তখন যুদ্ধের কমান্ডার মোজাফ্ফরের নির্দেশ এল, বাহিনীকে উত্তরে সরিয়ে নিয়ে ওদের উপর সাঁড়াশি আক্রমণ করতে হবে। আদেশ পাওয়া মাত্র মমিন তার বাহিনী নিয়ে উত্তরে সরে গিয়ে পাকিস্তানি বাহিনীর পেছন থেকে আক্রমণ শুরু করে। মোজাফ্ফরের বাহিনী মূল ক্যাম্পের দিকে আক্রমণ করে যাচ্ছে। দুদিক থেকে আক্রমণ করেও পাকিস্তানি বাহিনীকে কিছুতেই কাবু করা যাচ্ছে না। ওদের মূল শক্তি ভারী অস্ত্র। ভারী অস্ত্রের সামনে টিকে থাকা দায় হয়ে পড়ছে। তবু সমানে সমান লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে মুক্তিযোদ্ধারা। অনেক পড়ে দুই কামান্ডার বুঝতে পারলেন আজকের যুদ্ধে জয় করা অসম্ভব। বাঁচতে হলে বাহিনী উইথড্র করতে হবে। দুই বাহিনী কৌশলে যুদ্ধের ময়দান ত্যাগ করল। যুদ্ধের ময়দান ত্যাগ করার জন্য কৌশলগত ট্রেনিং নিতে হয়। যুদ্ধ জীবনটা সত্যি অদ্ভূত। ইচ্ছে করলেই যুদ্ধের ময়দান থেকে পলায়ন করা যায় না। সেটা করতে গেলে নির্ঘাত মৃত্যু। একদল মিলিটারির দিকে ফায়ার করতে থাকবে। সেইফাঁকে আরেকদল ভাগতে থাকবে। শেষের দলের বিপদে পড়ার সম্ভাবনা বেশি। খণ্ড খণ্ড দলে বিভক্ত হয়ে সবাই নিরাপদে পৌঁছে যাবে। আহতদের কাঁধে তুলে নিল। কিন্তু যারা শহীদ হয়েছে তাদের নিয়ে যাওয়া সম্ভব হলো না। নিজেদেরই যেখানে বেঁচে থাকার আশা নেই। সেখানে নিহতদের কথা ভাববে কখন? তাদের নদীতে ভাসিয়ে দিয়ে তারা নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটল। ভোর হওয়ার তখন সামান্য বাকি। টানা দশ/বারো মাইল হেঁটে দুটো বাহিনী নিরাপদ স্থানে গিয়ে আশ্রয় নিল।

চলবে...

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৫

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৪

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৩

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-২

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-১

এসএন 

 

 

Header Ad
Header Ad

খিলগাঁওয়ের আগুনে পুড়ে ছাই ২০টি দোকান ও দুটি স’মিল

ছবিঃ সংগৃহীত

রাজধানীর খিলগাঁওয়ের তালতলা মার্কেটের পাশের একটি স’মিলে শুক্রবার রাত ৭টা ৩০ মিনিটে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট ৯টা ৩৫ মিনিটে এই আগুন নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়। আগুনে প্রায় ২০টি দোকান ও দুটি স’মিল পুড়ে গেছে।

আগুন নিয়ন্ত্রণের পর ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশনস) লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, কেমিক্যাল ড্রাম বিস্ফোরণে স’মিলে লাগা আগুন চারদিক ছড়িয়ে পড়ে।

তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘খিলগাঁওয়ের আগুনে আনুমানিক ২০টি দোকান এবং দুটি স মিল পুড়েছে। আগুনে হয়তো কেমিক্যাল ড্রাম বিস্ফোরিত হয়েছে; যার ফলে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। আমাদের নয়টি ইউনিট কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থলে আরো চারটি ইউনিট ছিল, তবে সেগুলোকে কাজ করতে হয়নি।

লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘আগুনে কেউ নিখোঁজ রয়েছে এমন কোনো সংবাদ আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত আসেনি। এ ছাড়া আমরা এখন পর্যন্ত আহত ও নিহতের কোনো সংবাদ পাইনি।’

আগুনের উৎসটি কি ছিল প্রাথমিকভাবে জানা গেছে কিনা প্রশ্ন করা হলে ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘এই মুহূর্তে এ বিষয়ে বলা যাবে না তদন্ত ছাড়া। সিগারেটের মাধ্যমে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে নাকি স্যাবোটেজ হয়েছে— এই প্রত্যেকটা বিষয়ে আমাদের তদন্ত করে দেখতে হবে।

অনেকগুলো সোর্স থেকে আগুনের সৃষ্টি হতে পারে। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকেও আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। তাই তদন্ত ছাড়া এ বিষয়ে কিছু বলা যাবে না।’
এদিকে, দুই ঘণ্টা ধরে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাশেদ বিন খালিদ জানান, ‘শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সেখানে আগুন লাগার খবর পাই।

প্রথমে আমাদের দুটি ইউনিট কাজ শুরু করে। পরে আরো সাতটি ইউনিট যোগ দেয়। এরপর রাত ৯টা ৩৫ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন লাগার পরে ফায়ার সার্ভিসকে সহযোগিতা করতে ছুটে আসেন সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র‍্যাবের সদস্যরা।’

তবে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স মিল থেকে আগুন গাড়ির গ্যারেজে ছড়িয়ে পড়ে। পরে গ্যারেজে থাকা বিভিন্ন গাড়িতে আগুন লেগে সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়। এ সময় আশপাশের মানুষ ছোটাছুটি করতে থাকে। উৎসুক জনতার ভিড়ে ফায়ার সার্ভিসকে আগুন নিয়ন্ত্রণে বেশ বেগ পেতে হয়।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানান, ওই এলাকায় একটি গাড়ির গ্যারেজ ও রাবারের কাঁচামালের গোডাউন রয়েছে। কিছু গাড়ি বের করা সম্ভব হলেও অনেক গাড়ি পুড়ে গেছে।

খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দাউদ হোসেন বলেন, ‘ওই স মিল খিলগাঁও থানার কাছেই। পাশের একটি গাড়ির গ্যারেজেও আগুন ছড়িয়েছে। ক্রাউডের কারণে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের কাজ করতে সমস্যা হচ্ছিল।

 

Header Ad
Header Ad

পদ্মাপাড়ে মুখে স্কচটেপ প্যাঁচানো ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার  

ব্যবসায়ী আবুল বাসার ওরফে মিন্টু। ছবিঃ সংগৃহীত

রাজশাহী নগরীর পদ্মাপাড়ে মুখে স্কচটেপ প্যাঁচানো একটি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার বিকালে নগরীর লালন শাহ মুক্তমঞ্চ সংলগ্ন এলাকার কাশবন থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণা, হত্যা করে কাশবনে ফেলে দেওয়া হয়েছে লাশটি।

নিহত ব্যক্তির নাম আবুল বাসার ওরফে মিন্টু (৩৫)। পেশায় ব্যবসায়ী মিন্টু নগরীর মির্জাপুর পূর্বপাড়া মহল্লার বাসিন্দা। বিনোদপুর বাজারে তার ইলেকট্রিক ব্যবসার দোকান আছে।

নগরীর রাজপাড়া থানার ওসি আশরাফুল ইসলাম জানান, কাশবনে ঘুরতে আসা কয়েকজন লাশটি দেখে পুলিশে খবর দেয়। ঘুরতে আসা অনেকে লাশের ছবিটি সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মগুলোতে শেয়ার করে। জানাজানির পর নিহতের পরিবার ঘটনাস্থলে এসে লাশটি শনাক্ত করে।

আশরাফুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে মিন্টুর খোঁজ পাচ্ছিল না পরিবার। কাশবনে তার মুখ পলিথিন দিয়ে ঢাকা ছিল। পলিথিনের ওপর স্কচটেপ প্যাঁচানো ছিল।

ওসি আরও বলেন, ‘আলামত দেখে মনে হয়েছে এটি হত্যাকাণ্ড। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে হত্যা মামলা হবে।’

Header Ad
Header Ad

সার্ক পুনরুজ্জীবনের প্রশ্নে বাংলাদেশকে যে বার্তা দিলো ভারত

ওমানের মাসকটে অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের বৈঠক। ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি ওমানের রাজধানী মাস্কাটে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার ( ২১ ফেব্রুয়ারি) নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ভারত- বাংলাদেশের মধ্যকার উক্ত বৈঠকের আলোচ্য বিষয়ে কিছু তথ্য তুলে ধরেছেন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল।

তিনি বলেন, মাস্কাটে ওই বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সার্ক পুনরুজ্জীবনের প্রসঙ্গটি তুলেছিলেন। দক্ষিণ এশিয়ার সবাই জানে কোন দেশ ও তার কী ধরনের কর্মকাণ্ড সার্ককে কোণঠাসা করে রেখেছে। তৌহিদ হোসেনকে জয়শঙ্কর এ কথাও বলেছেন, সন্ত্রাসবাদের স্বাভাবিকীকরণ করাটা বাংলাদেশের উচিত নয়।

ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের কোনো কোনো উপদেষ্টার কিছু কিছু মন্তব্য নিয়েও প্রশ্ন করা হয়। জবাবে রণধীর জয়সোয়াল বলেন, ভারত এসব মন্তব্য নজরে রেখেছে। ওই ধরনের মন্তব্য ও বাংলাদেশের সঙ্গে কাজকর্মে তার প্রভাব–প্রতিক্রিয়ার বিষয়ও ভারতের গোচরে রয়েছে।

তিনি বলেন, এ ধরনের মন্তব্য অবশ্যই সহায়ক নয়। এর প্রতিক্রিয়া কী, তা তাদেরই ভেবে দেখা দরকার।

নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফের মহাপরিচালকদের বৈঠক সদ্য শেষ হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক এক প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, বাংলাদেশে ৫ আগস্টের পালাবদলের পর সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগগুলো অতিরঞ্জিত, মিডিয়ার সৃষ্টি।

এ প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে জয়সোয়াল বলেন, গত কয়েক মাসে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর কী হয়েছে, সে বিষয়ে সবাই অবগত। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে ভারতের উদ্বেগ বারবার প্রকাশ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সম্প্রতি ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকেও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ওই প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। যুক্তরাষ্ট্রকেও এ বিষয়ে ভারতের উদ্বেগের কথা জানানো হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খিলগাঁওয়ের আগুনে পুড়ে ছাই ২০টি দোকান ও দুটি স’মিল
পদ্মাপাড়ে মুখে স্কচটেপ প্যাঁচানো ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার  
সার্ক পুনরুজ্জীবনের প্রশ্নে বাংলাদেশকে যে বার্তা দিলো ভারত
জামায়াতের আমিরকে যানজট মুক্ত করতে গিয়ে প্রাণ দিলেন কর্মী
সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা  
একুশে টিভির জিডি, কর্মচারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে জামায়াত  
আফ্রিকার রানের চাপে বড় ব্যবধানে হারলো আফগানিস্তান
আগামীকাল দুই বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে
অপারেশন ডেভিল হান্ট: ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার ৪৬১
খিলগাঁওয়ে স-মিলে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১০ ইউনিট
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
পশ্চিম তীরে নতুন করে হামলার নির্দেশ দিলেন নেতানিয়াহু
মেসির অটোগ্রাফ চেয়ে শাস্তি পেলেন রেফারি
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বেনাপোলে হয়নি দুই বাংলার মিলন মেলা
মাতৃভাষার গুরুত্ব ও ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে যা বললেন ড. ইউনূস
চলন্ত বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি: তিন দিন পর মামলা, আতঙ্কে যাত্রীরা
বিপ্লবের আত্মত্যাগ উন্নত বাংলাদেশের পথে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে : পররাষ্ট্রসচিব
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে ২০২৪ সালে আওয়ামী সরকারের পতনের কারণ উদঘাটন
চ্যাম্পিয়নশিপের দল শেফিল্ডে মাসে ৪০ কোটি টাকা বেতন পাবেন হামজা চৌধুরী
পবিপ্রবিতে আবাসিক হলগুলোর নাম পরিবর্তন, মুছে ফেলা হলো শেখ পরিবারের নাম