বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-৪

যারা যুদ্ধ করেছিল

ভাবনাটা এমনভাবে মাথায় জট পাকাচ্ছে যে রাতে তার ঘুম উবে গেল। একটানা একই ভাবনা। হঠাৎ তার মনে হলো মমিন ব্যাপারটা জানলে কী ভাববে? মমিন তার বন্ধু। পরক্ষণে তার মনে হলো, কোথায় মমিন? তার কি আর সশরীরে ফিরে আসার সুযোগ আছে? সাকিব নিজে নিজেই বলে, অসম্ভব। দেশ কোনো দিন স্বাধীন হবে না। মমিনও কোনো দিন ফিরে আসতে পারবে না। আসলে নির্ঘাত তার মৃত্যু।

সাকিবের এখনকার ভাবনা কীভাবে সাথীকে সে কাছে পাবে। নানাভাবে কাছে পাওয়ার কৌশল নিয়ে সে ভাবতে থাকে।
সকালে ঘুম ভাঙল বেলা করে। রাত কেটেছে নির্ঘুম। উঠে সাকিব হাঁটতে হাঁটতে সাথীদের বাড়ির দিকে যায়। দেখা হয় সাথীর বাবা করিম মিয়ার সঙ্গে। করিম মিয়া চরায় যাচ্ছিল কাস্তে হাতে। হ্যাংলা পাতলা করিম মিয়ার থুতনিতে একগোছা দাড়ি। পাক ধরেছে। মাথায়ও কাঁচা-পাকা চুল। বেশিরভাগ অংশ ফাঁকা। মাথায় গামছা পেঁচিয়ে সে যাচ্ছিল চরার দিকে। সাকিব দেখে সালাম দিলে করিম মিয়া দাঁড়িয়ে তাজিমের সঙ্গে সালামের জবাব দেয়। সাকিব তার ছেলের বন্ধু। সময় এখন তাদেরই। তার বাবা পাকিস্তানি মিলিটারিদের সঙ্গে চলা-ফেরা করে। বিরাট ক্ষমতা। তার ছেলেকে সমীহ না করে উপায় আছে?
‘বাবা কেমন আছ তুমি? করিম মিয়া মিষ্টি করে শুধায়।
‘আছি চাচা মোটামুটি। আপনারা কেমন আছেন?’
‘কেমন আর থাকব বাবা। সারাক্ষণ নানান দুশ্চিন্তায় থাকি। তোমার চাচিতো সারাক্ষণ কান্নাকাটি করে।’
‘করারই কথা। মমিন এমন একটা কাম করবে আমি স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি। মমিনের জন্য এখন আপনাদেরও নানান বিপদ। আমার বেশি ভাবনা সাথীকে নিয়ে। যুবতী মেয়ে। কে কখন বলে দেয় মমিন ইন্ডিয়া গেছে, দুস্কৃতিকারির খাতায় নাম লেখাইছে। তাহলে তো মহা বিপদ। কী বলেন চাচা?’ সাকিবের প্রশ্নে করিম মিয়া ঘাড় নেড়ে মাথা নামিয়ে থাকে। আর কী বলবে। বলার মতো কথা খুঁজে পায় না।
সাকিব বলে, ‘চাচা, একটা কথা বলব। কথাটা না বলেও পারছি না। বলতেও খারাপ লাগছে। কীভাবে যে বলব, তাই ভাবছি।’
‘তুমি বাবা সোজা-সুজি বল। তুমি তো আমাদের পর না।’
‘ঠিকই বলেছেন। আমি আপনাদের আপনার মানুষ। আপনার মানুষ হিসেবেই কথাটা বলছি। ব্যাটাদের নজর পড়েছে আপনার মেয়ে সাথীর উপর। ওরা সাথীকে তুলে ক্যাম্পে নিয়ে যেতে চায়। আব্বা তাদের ধমক দিয়ে থামিয়ে দিয়েছে। তাদের কথা, ওর ভাই আমাদের বিপক্ষে, মুসলমানের দেশ পাকিস্তানের বিপক্ষে অস্ত্র ধরেছে। আমরা তার বাড়িঘর লুট করব। সাথীকে তুলে নিয়ে আগে ধর্ষণ করব তারপর ক্যাম্পে জমা দেব। কথাগুলো আমি নিজের কানে শুনেছি চাচা। শুনে স্থির থাকতে পারিনি। আমার মাথা চক্কর দিচ্ছিল। সাথী আমার বন্ধুর ছোট বোন। তার মানে সে আমারও ছোট বোন। তার এই অবস্থা আমি কীভাবে মেনে নেব চাচা, আপনি বলুন?’

করিম মিয়া কান্না গলায় বলে, ‘তুমি আমার মেয়েকে রক্ষা কর বাবা। আমি ঘুনাক্ষরেও টের পাইনি মমিন যুদ্ধে যাবে। টের পাইলে কি ওরে আমি এই অবস্থায় যুদ্ধে যাইতে দিতাম? ওর মা তো সারাক্ষণ এই ভাইবা কান্দে। তুমি আমার মেয়েটাকে বাঁচাও বাবা।’
‘মা বলতেছিল সাথীকে আমাদের বাড়িতে নিয়ে আসতে। মায়ের শরীরটা খারাপ। মাকে একটু দেখাশোনা করল। সেই সঙ্গে সাথী আমাদের বাড়িতে থাকলে কেউ আর ওকে তুলে নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবতে পারবে না। আপনি কী বলেন চাচা?’
কথাটা ঝড়ের গতিতে সাকিব বলে, করিম মিয়ার প্রতিক্রিয়া বোঝার চেষ্টা করে।
করিম মিয়া বলে, ‘এটাতো খুবই ভালো কথা। সাথীকে নিয়াইতো আমাদের বেশি চিন্তা। তোমাদের বাড়ি থাকলে আমাদের আর ভাবনার কিছু থাকবে না। সাথী তোমাদের বাড়ি থাকা আর আমাদের বাড়ি থাকা একই কথা।’
সাকিব কায়দা করে বলে, ‘চাচা এক কাম করেন। আপনি বাড়ি গিয়া চাচির সাথে পরামর্শ করে যেটা ভালো হয় সেইটা করেন।’
‘ঠিকই বলেছ বাবা। আমি অহনই যাইতাছি সাথীর মায়ের সাথে পরামর্শ করতে।’
করিম মিয়া দ্রুত বাড়ির পথ ধরে। সাকিব মুচকি হেসে সকালের মেঘমুক্ত আকাশ দেখে। আষাঢ় মাস শুরু হয়েছে। প্রতিদিন বৃষ্টি ঝরছে। আজ আকাশ নির্মল। এমন নির্মল আকাশ সচরাচর দেখা যায় না। সাকিব মনে মনে সাথীকে নিয়ে ভেবে নিজে নিজে ব্যাকুল হচ্ছে।

করিম মিয়াকে ফিরে আসতে দেখে সাথীর মা রমিছা বিবি অবাক বিস্ময়ে তাকায়। ‘কী অইলো ফিরা আইলেন ক্যা?’
‘তোমার সঙ্গে একটা পরামর্শ করতে আইলাম।’ করিম মিয়া কাঁচি বেড়ার বাতায় গুঁজে রেখে বারান্দায় এসে মাটিতে ঠেস দিয়ে বসে।
‘কী পরামর্শ?’ ভয়ার্ত কণ্ঠে জিজ্ঞেস করে রমিছা বিবি।
করিম মিয়া সব ঘটনা খুলে বলে। সাকিবের সঙ্গে কী কী কথা হয়েছে, সাকিব কী পরামর্শ দিয়েছে একে একে সব বিস্তারিত বলে করিম মিয়া। রমিছা বিবি সব শুনে লম্বা করে শ্বাস ফেলে। কান্না গলায় বলে, ‘শেষ পর্যন্ত মেয়েটার কপালে এই আছিল।’ বলতে বলতে শব্দ করে শ্বাস ফেলে। কাপড়ের আঁচল দিয়ে চোখ মোছে। করিম মিয়া ধমকে বলে, ‘কান্নাকাটির কী অইলো, আমিতো কিছুই বুঝতাছি না।’
‘আপনি বুঝবেন কী? আপনি কী মাইয়া মাইনষের সব কিছু বোঝেন?’
‘মাইয়া মাইনষের সব কিছু আবার কী?’ করিম মিয়া বোকার মতো প্রশ্ন করে উদাসভাবে তাকিয়ে থাকে। রমিছা বিবি বলে, ‘আপনি আপনার কামে যান। আপনার এত কিছু বোঝা লাগবে না।’
‘বোঝা লাগবে। আমাকে একটুপর সাকিবকে রেজাল্ট জানাতে হবে। মাথার খাড়া বিপদ নিয়ে কামে যাই কেমনে?’
এই সময় সেখানে আসে সাথী। সে পাশের বাড়িতে গিয়েছিল ধান শুকাতে। সামান্য আউস ধান পেয়েছে করিম মিয়া। নিজেদের উঠোন না থাকায় পাশের বাড়ির উঠোনে সেদ্ধ ধান শুকাতে নিয়ে গেছে সাথী। তাকে সাকিবের বলা কথা সব খুলে বলে করিম মিয়া। সব শুনে সাথী বলে, ‘বাজান চলো আজই আমরা নানার বাড়ি গিয়া আশ্রয় নেই।’
‘সেখানে রাজাকার নেই?’ কঠিন গলায় প্রশ্ন করে করিম মিয়া।
‘শুনছি ওখানে নিরাপদ। ভাইয়াও তাই বলে গেছে।’
মমিনের কথা শুনে করিম মিয়া তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠে। ‘ওই হারামখোরের কথা আর কইস না। তার জন্যে আজ আমাদের এই দুর্দশা।’
‘দুর্দশা বলছো কেন বাজান, আমার তো গর্ব হচ্ছে।’
‘গর্ব না ছাই। ওর নামই নিস না।’
‘ঠিক আছে নিমু না। নানার বাড়ি যাইতে তো অসুবিধা নাই।’
‘আছে। পরিষ্কার করে কইতাছি, আমাকে অন্য কোথাও যাইতে কইস না।’
‘গেলে অসুবিধা কী?’
‘সেখানে গিয়া খাবি কী? তোর নানারা নিজেরাই ভাত পায় না। একবেলা খায় তো দুই বেলা উপাস থাকে। আমরা গিয়া তাদের বিপদ আরও বাড়াইতে চাস?’
‘তাইলে সাকিবের কথা মতো ওগো বাড়ি সাথীরে পাঠাইতে চান?’ রমিছা বিবি জিজ্ঞেস করে।
করিম মিয়া আমতা আমতা করে বলে, ‘গিয়া থাক না কয়দিন। পরে অবস্থা বুইঝা ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।’

চলবে...

আগের পর্বটি পড়ুন>>>

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৩

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-২

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-১

 

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত