রবিবার, ৫ জানুয়ারি ২০২৫ | ২১ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-২২

স্নানের শব্দ

‘শো কজ নোটিশ পেলাম ম্যাডাম। শেষ মেশ চাকরিটা খেয়েই দিলেন! উপকারের প্রতিদান ভালোই পেলাম। সত্যি সেধে পড়ে কারও জন্য কিছু করতে হয় না! সারা জীবন মনে রাখার মতো একটা শিক্ষা হলো, যাই বলেন, ফোনের অপর প্রান্ত থেকে কন্ঠে তীব্র বিষ মিশিয়ে হিস হিস করে বললো মনিরুজ্জামান। এইচ আর অবশ্য আগেই এই খবরটা জানিয়েছিল শবনমকে, ফলে তথ্যটা তার কাছে নতুন নয়।

‘মনিরুজ্জামান শোনো, আমার আসলে এখানে কিছু করার ছিল না, আমি অনেক চেষ্টা করেছি, আমার দিক থেকে যতখানি সম্ভব...’
‘থাক, থাক, মিথ্যা কথা বলে আর ভাল মানুষ সাজার চেষ্টা না করলেও চলবে ম্যাডাম। আপনি কী করেছেন সেটা খুব বোঝা হয়ে গেছে আমার, আপনার মতো বিড়াল তপস্বী আগে কখনো দেখিনি.. ’
ভয়ংকর শ্লেষ আর বিদ্রুপ ঝরে পড়ে মনিরুজ্জামানের গলায়।
‘বিশ্বাস করো...আমি চাইনি এরকম কিছু হোক...কিন্তু আমার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছিল বিষয়টা...’
শবনম যেন আর্তনাদ করে।
‘চুপ থাক হারামজাদি, খানকি মাগি...’
চাপা কন্ঠে বাজে গালি দুটো ছুড়ে দিয়েই খট করে ফোন কেটে দেয় মনিরুজ্জামান। শবনমের কানে যেন উত্তপ্ত গলিত লোহার মতো আছড়ে পড়ে গালিগুলো। বিস্ময়ে বিমূঢ় ও হতবাক হয়ে যায় সে। নিজের কানকেও যেন বিশ্বাস হয় না তার, এও সম্ভব? সজ্ঞানে স্বেচ্ছায় এমন করে ঊর্ধ্বতন পদধারী একজন বয়স্ক সম্মানিত নারীকে গালি দিতে পারল মনিরুজ্জামান? তার রুচিতে একটুও বাঁধল না? কোনো ভদ্র ঘরের শিক্ষিত ছেলে পারবে এমন করে অনায়াসে নোংরা শব্দগুলো উচ্চারণ করতে? সে ছাড়া যদিও কেউ শোনেনি তবু মরমে মরে যেতে ইচ্ছা করল শবনমের। অসদাচরণের অভিযোগে এক্ষুনি সাসপেন্ড করা যায় মনিরুজ্জামানকে। এই ক্ষমতা তার আছে। কিন্তু এই ঘটনা জানাজানি হলে শবনমের মর্যাদা কী বাড়বে? বরং মানুষজন একটা মুখরোচক বিষয় খুঁজে পাবে সিইও ম্যাডামকে নিয়ে দাঁত বের করে হাসাহাসি করার। এই বয়সে, এরকম অবস্থানে এসে মানুষের কাছে হাসির পাত্র হওয়ার কোনো ইচ্ছা নাই শবনমের। তবে মনিরুজ্জামানের প্রতি মনের কোণায় তার যে সফট কর্নারটা তৈরি হয়েছিল এই ঘটনায় সেটা পুরোপুরিই দূর হয়ে গেল। সেখানে জন্ম নিলো অপরিসীম রাগ, ক্রোধ, ঘৃণা সবশেষে হতাশা। আর এইসব নেতিবাচক অনুভূতি এক সঙ্গে মিলে একটা অসহ্য দমবন্ধ অস্থিরতা তৈরি করল তার মধ্যে। নাক কান দিয়ে যেন আগুন বেরুচ্ছে। কেমন একটা চাপ অনুভূত হচ্ছে বুকের মধ্যে। শবনমের ইচ্ছা করল অফিস টফিস সব কিছু ফেলে ছুটে বেরিয়ে যেতে।

শরীর খারাপ লাগার অজুহাত দেখিয়ে একটা মিটিং ক্যান্সেল করল শবনম। বেশ কয়েকটা ফোন কলও ধরল না সে। বাথরুমে গিয়ে আয়নায় নিজের আহত অপমানিত চেহারার দিকে তাকিয়ে থাকল অনেকক্ষণ। যেন নিজের দুঃখিত, ক্ষতবিক্ষত আত্মাকে দেখল কিছুক্ষণ। তারপর পিঠ চাপড়ে দেওয়ার ভঙ্গীতে বলল, ‘অনেক চড়াই উৎরাই বাধা বিপত্তি পেরিয়ে আসা মানুষ তুমি, ভেঙে পড়ো না, এবারও পারবে সামাল দিতে। এটাকেও এক ধরনের শিক্ষা হিসেবে নাও। পাত্তা দিও না। ইটস ওকে!’ চোখে মুখে ঘাড়ে ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিয়ে এসে একটু সুস্থির হয়ে নিজের চেয়ারে গা এলিয়ে বসল শবনম। লম্বা করে কয়েকটা শ্বাস নিল। তারপর নিজের পিঠে হাত বুলিয়ে নিজেকেই বোঝাল সে, ‘না হে, এক অর্বাচীনের সামান্য দুটো গালি শুনে এত বিচলিত বোধ করলে চলবে না, এত অস্থির হওয়ার কিছু নেই। এত ভেঙে পড়ারও কিছু নেই।’

এই পর্যন্ত আসতে আসতে পথে পথে কম তো আর দেখেনি বা শোনেনি সে। কত তাচ্ছিল্য, কত ঈর্ষা, কত উপেক্ষার কঠিন পথ ধৈর্য্য ধরে পারি দিয়ে এসেছে। চোখে, মুখে, আচার আচরণে নারী বসকে মানতে না পারার বিরক্তি আর নাক সিটকানো অভিব্যক্তি দেখে দেখে সয়ে সয়ে তবেই না আজকের অবস্থানে এসে দাঁড়িয়েছে শবনম। সমুদ্রে শয্যা পেতে এখন শিশিরের ভয়ে মূর্ছা গেলে চলবে? এত কাতর হওয়ারই বা কী আছে? বোঝাই যাচ্ছে অকস্মাৎ চাকরি হারানোর চিন্তায় মনিরুজ্জামানের মাথা ঠিক নেই। আসন্ন বিপদের কথা ভেবে হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে ছেলেটা। নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। মাথা গরম করে কি বলতে, কি বলে ফেলেছে। হয়তো মাথা ঠান্ডা হলে অনুতপ্ত হবে, কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চাইবে।

ধুলায় গড়াতে থাকা মুরগী যেমন গড়ানো শেষে গা ঝাড়া দেয় সেভাবেই মন থেকে সমস্ত অপ্রসন্নতা ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করে শবনম। সচেতনভাবে সামলে নেয় নিজেকে। ব্যাগ থেকে ছোট আয়না আর লিপষ্টিক বের করে, শুকনো ঠোট দুটোতে হাল্কা রঙ বুলিয়ে অবিন্যস্ত চুলগুলো পরিপাটি করে একাউন্ট সেকশনের নির্ধারিত মিটিং-এ ঢুকে পড়ে সে।

মিটিং শেষে একাউন্টিং সেকশনের সবাই বেরিয়ে যাওয়ার পরও চীফ একাউন্টেন্ট আতিয়ার রহমান সাহেব বসেই থাকেন। শবনম বুঝলো, আলাদা করে কিছু বলতে চান তিনি। ফলে অপেক্ষা করছিল সে।
‘একটা কথা ছিল ম্যাডাম’ বলে শুরু করল আতিয়ার সাহেব। তারপর কাঁচুমাঁচু মুখে হাত কচলে ইনিয়ে বিনিয়ে অনেকক্ষণ ধরে যা বললেন তার সারমর্ম হচ্ছে, শো কজ নোটিশ পাওয়া চারজন অপরাধির মধ্যে একজন তার ভাগিনা শাজাহান আকন্দ। কম্পিউটর সেকশনে কাজ করে। ছেলেটা সহজ সরল, বোকা সোকা। বউ আছে, ছোট ছোট দুটো বাচ্চাও আছে তার। এই চাকরিটা ছাড়া অন্য কোনো আয়ের উৎসও নেই। না বুঝে অন্যদের পাল্লায় পড়ে একটা অন্যায় করে ফেলেছে সে। এখন নিজের দোষ অকপটে স্বীকার করতে চায় শাজাহান এবং কর্তৃপক্ষের কাছে ভবিষ্যতে আর এরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে না সেই প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা ভিক্ষা করতে চায়। এখন শবনম যদি চেয়ারম্যান সাহেবকে বলে একটু সুপারিশ করে ওর চাকরিটা বাঁচায়, তাহলে চিরকৃতজ্ঞ থাকবেন তিনি। নইলে বউ বাচ্চা নিয়ে ছেলেটা রাস্তায় বসবে। এই আক্রার দিনে রাতারাতি আরেকটা চাকরিও তো পাবে না।

শবনম চুপ করে শুনলো কিন্তু বেশি আশা দিলো না আবার নিরাশও করলো না। নিরাসক্ত গলায় বললো,
‘আচ্ছা, দরখাস্ত দিতে বলেন, দেখি কি করা যায়!’
‘ঠিকাছে ম্যাডাম। একটু দেখবেন ম্যাডাম।’ বলে বেরিয়ে যায় আতিয়ার সাহেব। হঠাৎ করে রাজ্যের ক্লান্তি আর অবসাদ জড়িয়ে ধরে শবনমকে। সে পিএসকে ফোন করে দ্রুত গাড়ি রেডি করতে বলে। বাড়ি গিয়ে বিশ্রাম নিতে হবে। তখনি মোবাইল ফোনটা বাজে। আশ্চর্য, ওসমান গনি ফোন করেছে! কেনো, হঠাৎ! প্রাক্তন সহকর্মী, প্রাক্তন প্রতিপক্ষও বটে, আরও বড় কথা পরাজিত প্রতিপক্ষ! শবনম ফোনটা ধরবে কী ধরবে না ভাবতে ভাবতেই দ্বিধা নিয়ে ফোনটা ধরলো। ওপাশে ওসমান গণির উল্লসিত কন্ঠ শোনা গেল, ‘হ্যালো ম্যাডাম, আপনার প্রিয় মনিরুজ্জামান এখন নতুন তথ্য দিচ্ছে, হা হা হা, আপনি তাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে আমার বিরুদ্ধে ডকুমেন্টস বের করতে উদ্বুদ্ধ করেছেন, হা হা হা, আপনি দেখিয়ে দিলেন ম্যাডাম, এই বয়সে এসেও নিজের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য প্রেমের খেলা...হে হে হে খ্যা খ্যা খ্যা ..’
আরেক দফা গরম গলিত সীসা যেন কেউ ঢেলে দিল শবনমের কানে। ফোন বেয়ে যে হাসি ভেসে আসছে তা কি মানুষের নাকি শয়তানের? মানুষের হাসি এত কুৎসিত হতে পারে!

‘এসব কী বলছেন ওসমান গণি ! ছি ছি ! অসভ্যতার সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছেন আপনি!’
কোনো রকমে বলতে পারল শবনম।
‘সীমা তো ছাড়িয়েছেন আপনি ম্যাডাম, এমন পড়ন্ত বয়সেও অল্পবয়সী ছেলেদের মাথা ঘুরিয়ে দিয়েছেন, নিজেকে টোপ হিসেবে ব্যবহার করে এই পর্যায়ে উঠে এসেছেন!
‘মুখ সামলে কথা বলেন ওসমান গণি !’
ততক্ষণে রাগে ক্ষোভে শবনমের সারা শরীর কাঁপতে শুরু করেছে।
‘সব ফাঁস করে দেব, সবার সামনে ভালমানুষির মুখোশ খুলে দেব, কেমন করে সিইও থাকেন দেখব...
ওইপাশ থেকে ওসমান গণির হুমকি শোনা গেল। এবার আর সহ্য করতে পারল না শবনম, বোতাম টিপে ফোনটা কেটে দিল সে। উত্তেজনায় কখন যেন দাঁড়িয়ে পড়েছিল, এখন ফোন কেটে ধপ করে নিজের রিভলভিং চেয়ারে বসে পড়ল সে। তার মাথাটা ফাঁকা আর শূন্য শূন্য লাগছে। হাতে পায়ে শরীরের কোথাও যেন এক ফোটা শক্তি অবশিষ্ট নেই। শবনমের মন আর্তনাদ করে ওঠে! হায়, এ কোনো কাঁটার সিংহাসনে বসলাম আমি! যেন নোংরা কাদায় আপাদমস্তক ডুবে যাচ্ছি ! যেন কেউ ঝুড়ি ভর্তি দুর্গন্ধ আবর্জনা ছুড়ে মারছে আমার দিকে! এ্ইসব কদর্য অপপ্রচার থেকে কেমন করে নিজেকে বাঁচানো যাবে জানি না! উফ! এই জঘন্য ষড়যন্ত্রের শেষ কোথায়?

চলবে...

আরও পড়ুন>>>

স্নানের শব্দ: পর্ব-২১

স্নানের শব্দ: পর্ব-২০

স্নানের শব্দ: পর্ব-১৯

স্নানের শব্দ: পর্ব-১৮

 

Header Ad
Header Ad

নওগাঁর বিএনপির দুই নেতাকে সাময়িক বহিষ্কার

সাময়িক বহিষ্কার বিএনপির দুই নেতা। ছবিঃ সংগৃহীত

নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলা বিএনপির দুই নেতাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। তাঁরা হলেন পত্নীতলা উপজেলা বিএন পি'র সাবেক আহবায়ক আনোয়ার হোসেন ও উপজেলা বিএনপি'র আহবায়ক কমিটির সদস্য মো. আবু তাহের চৌধুরী।

শনিবার (৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০ টায় নওগাঁ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো: বায়েজিদ হোসেন পলাশ এর স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সাংগঠনিক কর্মকান্ড বাঁধাগ্রস্থ করা এবং কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অবমাননা করে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে নওগাঁ জেলার পত্নীতলা উপজেলা বি এন পি'র সাবেক আহবায়ক আনোয়ার হোসেন এবং উপজেলা বি এন পি'র আহবায়ক কমিটির সদস্য মোঃ আবু তাহের চৌধুরীকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হলো।

এ ছাড়া দলের স্থানীয় সকল নেতাকর্মীদেরকে তাদের সঙ্গে কোন প্রকার যোগাযোগ না করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়।

Header Ad
Header Ad

লন্ডনে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া, ৭ বছর পর দেখা হচ্ছে মা-ছেলের

ছবিঃ সংগৃহীত

আগামী মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাত ১০টায় লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। লন্ডন যাওয়ার আগে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা তার সঙ্গে বৈঠক করবেন। আজ রোববার (৫ জানুয়ারি) রাত ৮টায় রাজধানীর গুলশানে বেগম খালেদা জিয়ার বাসভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।

বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, খালেদা জিয়া আগামী মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাত ১০টায় লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন। আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন থেকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন।

বিএনপির একজন নেতার ভাষ্য অনুযায়ী, ‘যদি তার স্বাস্থ্যগত কোনো বড় জটিলতা না দেখা দেয়, তবে মঙ্গলবার রাত ১০টায় কাতার এয়ারওয়েজের একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তিনি লন্ডনের উদ্দেশে রওনা হবেন।’

লন্ডন থেকে দেশে ফেরার পথে খালেদা জিয়া সৌদি আরবে ওমরাহ পালন করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এর আগে ২০১৭ সালে চিকিৎসার জন্য লন্ডন গিয়েছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। তবে এবারের সফরে লন্ডনে তিনি তার ছেলে তারেক রহমানের সঙ্গে সাত বছর পর দেখা করবেন।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছরের ৫ আগস্ট খালেদা জিয়াকে নির্বাহী আদেশে মুক্তি দেওয়া হয়, যা তার বিদেশে চিকিৎসার পথ সুগম করে।

খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিসসহ একাধিক স্বাস্থ্য জটিলতায় ভুগছেন। বেগম খালেদা জিয়া লন্ডনে দুই মাস অবস্থান করবেন বলে জানা গেছে। এরপর তিনি যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে অবস্থিত জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে চিকিৎসা নেবেন।

খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘ম্যাডাম (খালেদা) যদি উড়োজাহাজ ভ্রমণের উপযোগী থাকেন, তবে তিনি ৭ জানুয়ারি লন্ডনে যেতে পারেন।’

তার চিকিৎসক দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে চিকিৎসার সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।

গত বছর ২৬ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তার লিভার এবং পেটের ফ্লুইড জমা ও রক্তক্ষরণ রোধে একটি বিশেষ পদ্ধতি (টিআইপিএস) সম্পন্ন করেছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সপ্তাহের প্রথম দিন ২৬ মিনিট বন্ধ ছিল মেট্রোরেল চলাচল

ছবিঃ সংগৃহীত

বর্তমানে দেশের দ্রুতগতির গণপরিবহন মেট্রোরেল সপ্তাহের প্রথম দিন সকালে ২৬ মিনিট বন্ধ ছিল। ফলে অফিসগামী যাত্রীসহ অন্যান্য যাত্রীরা এই সময় স্বল্পতাজনিত ভোগান্তিতে পড়েন।

রোববার (৫ জানুয়ারি) সকাল পৌনে ১০টার দিকে মেট্রো ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়।

এমআরটি লাইন-৬ এর দায়িত্বশীল একাধিক কর্মকর্তা গনমাধ্যমকে জানান, দরজা বন্ধ না হওয়াতে শেওড়াপাড়া স্টেশনে ৯ নম্বর ট্রেনটি আটকে গিয়েছিল। এজন্য বাকি সবকটি ট্রেন আটকে গিয়ে বিলম্ব হয়েছে। মোট ২৬ মিনিট ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। সকাল ১০টা ১৩ মিনিটে ট্রেন সার্ভিস চালু হয়েছে। এখন সব ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

এদিকে মেট্রো ট্রেনে আটকে থাকা ভোক্তভোগীদের মধ্যে এনামুল হক মেহেদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ছবি পোস্ট করে ১০টা ৬ মিনিটে লিখেছেন, ‘সামনের স্টেশনে কি কোনো সমস্যা হয়েছে? উত্তরা উত্তরে প্রায় ১৫ মিনিট যাবত দাঁড়িয়ে।’

আদিব আহনাফ ১০টা ৫ মিনিটে লিখেছেন, ‘কোনো সমস্যা হয়েছে কি? ১৫ মিনিটেরও বেশি সময় মিরপুর-১১ তে দাঁড়িয়ে আছি। কোনো ট্রেন আসছে না।’

তাজিমুল ইসলাম তানজিম নামে একজন লিখেছেন, আজকে শেওড়াপাড়া স্টেশনে সকাল ৯.৩১ মিনিটে মহিলা বগিতে দুইজন মহিলা গেট ও ট্রেইনের দরজার মধ্যে আটকা পড়ে। এতে গেটের অটোমেটিক সিস্টেম অচল হয়ে পড়ে। এখন ৯.৫৬ মিনিট। এখনও অব্দি ট্রেন চলাচল বন্ধ আছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নওগাঁর বিএনপির দুই নেতাকে সাময়িক বহিষ্কার
লন্ডনে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া, ৭ বছর পর দেখা হচ্ছে মা-ছেলের
সপ্তাহের প্রথম দিন ২৬ মিনিট বন্ধ ছিল মেট্রোরেল চলাচল
হাসিনার ঘনিষ্টদের কাছ থেকে ফ্ল্যাট পাওয়ার অভিযোগে যা বললেন টিউলিপ  
তারেক রহমানের ৪ মামলা বাতিলের রায় বহাল, আপিল খারিজ
তাহসানের বিয়ের খবরে, মিথিলার ভাঙ্গনের সুর  
নতুন ইউনিকর্ন বাইক আনছে হোন্ডা  
রূপপুরে রুশ নারীর অস্বাভাবিক মৃত্যু
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে ভারতের বিদায়, ফাইনালে প্রোটিয়াদের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া  
বাইডেনের স্ত্রীকে হীরা উপহার দিয়েছেন মোদি  
দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপে বাংলাদেশ
সহজ জয়ে বছর শুরু বার্সেলোনার  
১০ বছর পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সিরিজ হারল ভারত
সেই পানামা ফারুকের মেয়ে রোজাকেই বিয়ে করলেন তাহসান
যুক্তরাষ্টের সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক পাচ্ছেন মেসি  
গাজার ইসরায়েলের হামলা, একদিনেই শিশুসহ নিহত ৭০
৭৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ৭ জনকে নিয়ে মুখ ঢেকে কেক কাটলেন ছাত্রলীগের সাবেক সা. সম্পাদক  
গুচ্ছ পদ্ধতি ও পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে কুবি প্রশাসনকে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম 
বাংলাদেশি হামজাকে দলে চায় শেফিল্ড ইউনাইটেড
  যশোরে আজহারীর মাহফিল শেষে থানায় ৩ শতাধিক জিডি