রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

আমিনুল ইসলাম: শিকড় বৈভবের কবি

আমিনুল ইসলাম আমাদের কাব্যসাহিত্যে মননে ও প্রকরণে, চিত্রকল্প ও রূপকে, উপমা ও উৎপ্রেক্ষায় এবং বাণীবিন্যাস ও নান্দনিক অভিব্যক্তিতে অনেক সূর্যের বৈভবে একজন স্বতন্ত্র মেজাজের কবি। তাকে এক অর্থে মৌলিক কবিও বলা যায়। তিনি বক্তব্য ও বাণীবিন্যাসে নিজের ভুবনে একটি বলয় তৈরী করে আপনার আলোতে আপনিই দ্যুতিমান। এবং লিখতে গিয়ে অন্য কারও মডেল বা আদর্শকে সামনে না রেখে নিজের পথে বহমান।

আমরা সব সময়ই পাশ্চাত্যের কন্ঠস্বর ও প্রতিধ্বনির আনুগত্যের প্রাতিস্বিকতায় বশীভূত। এ ছাড়া, হাজার বছর ধরে আমাদের সাহিত্য রামায়ণ-মহাভারত-বেদ-উপনিষদ-কোরান-পুরাণ, বৌদ্ধজাতক, সুফী মরমীর বৃত্ত অতিক্রম করে মৌলিক কিছু বলেছে-- এ কথা পুরোপুরি সত্যি নয়। তবে রূপ ও রীতির পরিবর্তন হয়েছে। আমাদের উপর্যুক্ত কবি আমিনুল ইসলাম মিথ ও লোকজ উপাদান কাব্যে ব্যবহার করেছেন। তবে তা এসেছে আধুনিকতার অনুষঙ্গ হয়ে। তিনি মিথ নিয়েছেন ঐতিহ্যকে স্বকালের পাঠকদের কাছে উপস্থাপনের জন্য, দেশ-জাতি ও মানুষের জীবনকে নবতর চেতনায় উপলব্ধির জন্য।

সমগ্র রবীন্দ্রসাহিত্যে যা ঋদ্ধ তা এসেছে রামায়ণ মহাভারত, বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, বৌদ্ধজাতক, সুফী মরমী ও লোক সাহিত্যের উদার উর্বর ভূমি হতে। তা ছাড়া, রবীন্দ্রনাথ এযুগেও যেভাবে স্বর্গ নরক ও পরলোক নিয়ে সাহিত্যের পশরা সাজিয়েছেন তা মোটেই আধুনিকতার অভিযোজনার অনুষঙ্গ হতে পারে না। নজরুলের উচ্চকন্ঠ শেষ পর্যন্ত প্রমাণিত হয়েছে অনংড়ষঁঃব-কে ছোঁয়ার জন্য আঙুল দিয়ে স্পর্শ করার জন্য। কিন্তু তা যেনো অধরাই রয়ে গেছে। তবে আমিনুল ইসলামের কবিতায় অধরা তৃষ্ণা থাকলেও সেখানে শারীরিক গন্ধ আর রক্তমাংসের দেহাবয়বই বেশি। তিনি যেমন সুদূরের পিয়াসী, তেমনি তার পিপাসা রক্তমাংসের মানবিক আবেদনে ভাস্বর।

ত্রিশের দশকের কবিরা রবীন্দ্র বলয় হতে বিমুক্তির প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে শেষ পর্যন্ত টিকে থাকলো পৌরাণিক আবরণ ও অনুবাদের অনুষঙ্গে। সুধীনদত্ত সবচেয়ে প্রতিভাবান ও পন্ডিত কবি। নতুন শব্দসৃষ্টি আর পৌরাণিক গন্ধ এবং অনুবাদের অনুশাসনের আনুগত্যেই বর্তমান তার অস্তিত্ব ঘোষণা করে। বিষ্ণুদের কাব্যে সবসময়ই পুরাণের গন্ধ উম উম করে। এমন যে বুদ্ধদেব বসু তিনিও এখন বেঁচে আছেন মৌলিক কাব্যসত্তার জন্য নয়। বরং অনুবাদের অস্তিত্বেই তিনি অস্তিত্ববান। মহাভারতের কথা তার মহৎ ও অমর গ্রন্থ। মনে হয় কালিদাস মেঘদূত লিখেছিলেন বুদ্ধদেব বসু অনুবাদ করবেন বলেই। তা ছাড়া, বোদলেয়ার ভর্লেন, মালার্মে ও র‌্যাঁবো অনুবাদেই আজ অস্তিত্বের পরীক্ষায় তিনি উত্তীর্ণ।

রুশ বিপ্লবের আবহ ও চেতনায় আমাদের সাহিত্যে একটি নতুন ধারা সৃষ্টি হয়েছিল। ঘুম ভেঙে গিয়েছিল কালিঝুলি মাখা মেহনতি মানুষগুলোর; ইতিহাসের পদচারণায় জেগে উঠল একটি নতুন যুগ। আমাদের সাহিত্যে একটি উজ্জ্বল আলোক ও মৌলিক ধারার অভিযোজন হলো। কিন্তু দুভার্গ্য সুকান্ত, সমর সেন, প্রেমেন্দ্র মিত্র, অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত--তাদের দেখাতে হলে ক্রেন দিয়ে স্তুপে চাপা পড়া থেকে উদ্ধার করতে হয়। মাঝে মাঝে মনে হয় আমিনুল ইসলামকে উদ্ধার করতে হয় না। সমস্ত রিক্ততা, শূন্যতা আর হতাশার আবর্জনা থেকে তিনি নিজেই উঠে আসেন স্বরূপে।

মহান ভাষা আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধ যেন আমাদের চিত্তজাগরণ ও আত্মজাগরণের রেনেসাঁ। এবং এই দুই ঘটনা যেন আমাদের জাত মহাকাব্য কিন্তু আমরা আমাদের কবি সাহিত্যিক ও শিল্পীদের কাছে চেয়েছিলাম, ভিক্টর হুগোর উপন্যাসে ফরাসি বিপ্লব, টলস্টয়ের উপন্যাসে রুশ বিপ্লব, এরিনবুর্গের উপন্যাসে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে মহাদেশব্যাপী বিশাল সমরাভিযান আর মহান শিল্পী গোর্কির মধ্যে জীবনসংগ্রাম ও মানব মহিমার যে বিজয় লক্ষ করি, তেমন ধরনের সৃষ্টি আমাদের কবি সাহিত্যিক শিল্পীদের মধ্যে তা পাইনি।

আমিনুল ইসলাম একজন মহৎ কবি বা যুগোত্তীর্ণ ও মানোত্তীর্ণ এবং কালোত্তীর্ণ কবি কি না এ কথা চূড়ান্তভাবে বলার সময় হয়তো এখনো আসেনি। তবে তিনি শব্দ সচেতন, সমাজসচেতন এবং পরিমিতিবোধের কবি। তার কবিতা কখনো উচ্চস্বরে আবার কখনো বিনম্র প্রপাতে আলোছায়ায় ভরা মেঘে-রোদের খেলায় আমাদের মুগ্ধতায় ভরে দেয়। মাঝে মাঝে তার কবিতার আকর্ষণ, ভাবের গভীরতা ও নান্দনিক অভিব্যক্তির দ্যুতনায় যেনো কোনো এক দূরায়ণ বাসনায় অধরাকে ধরতে এবং রহস্যের নেকাব উন্মোচন করতে উদ্বাহ। প্রেম প্রকৃতি ও নারী এবং দেশ সমাজ ও জনজীবন-ধারা তার কবিতার সহৃদয় সত্তায় একাত্ম হয়ে ঘনীভূত শিল্পরূপ লাভ করেছে।

আমিনুল ইসলামের কবিতা বিচিত্র অভিজ্ঞতার মনন-প্রসূন। তার কবিতার বিষয়বস্তু ও পরিমণ্ডল আকাশ থেকে বা কেবল স্বপন করিছে বপন পবনে এ আবহ থেকে আসেনি। এসেছে বাস্তবজীবন আর এই বাংলার মাঠ ঘাট প্রান্তর ও জীবনচর্যা থেকে। আমি এখানে একটু উদ্ধৃতি উপস্থাপন করছি।

তালপাতায় মুখরিত বেজেছে শৈশব
রাখালের বাঁশিতে লাউয়ের ডগার মতো নেচেছে কৈশোর।
আর মাঝির গানে স্বপ্নের তরঙ্গচূড়োয়
পালের নৌকার মতো যৌবনের নাচানাচি
কতদিন তীরে বসে দেখেছে জেলেরা!
কখনো বা বাউলের একতারার সুরে
ভোঁ-কাটা ঘুড্ডির মতো উড়ে গেছে মন।
(শৃঙ্খলিত কোকিলের গান/ মহানন্দা এক সোনালি নদীর নাম)

বিশ্বের বিস্ময় কবি জাঁ আর্তুর র‌্যাঁবো তার দু আঙুলের পরশে Absolute-কে অর্থাৎ অনন্তকে অধরা অনন্ত অসীমকে চিরায়ত চিরন্তনকে ধরতে চেয়েছেন, স্পর্শ করতে চেয়েছেন। আমিনুল ইসলাম ব্যাঁবো নন, কিন্তু তার কবিতায় রয়েছে মহাকাব্যিক বিস্তার, বিশাল ব্যাপক ক্যানভাস। তিনি বাংলার মাঠ-ঘাট, প্রান্তর, পাহাড়-পর্বত, নদীনালা এবং আমাদের সভ্যতা ও সংস্কৃতি ইতিহাস ও ঐতিহ্য এবং আমাদের মহান ভাষা আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধকে তুলে ধরেছেন। বিশেষ করে তার বিশেষ একটি আকর্ষণ আমাদের মহিমান্বিত অতীত, গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্য। এই তিনি চলে যান চর্যাপদে, নাথ সাহিত্যে, পাহাড়পুর, মহাস্থানগড়, ময়নামতি শালবন বিহার ও ওয়ারি বটেশ্বেরে। আমাকে বিস্ময় ও মুগ্ধতায় ভরে দিয়েছে-- আবেগাপ্লুত করেছে কবি আমিনুল ইসলামের মহানন্দা এক সোনালি নদীর নাম কবিতাটি। এই কবিতা থেকে সামান্য উদ্ধৃতি উপস্থাপন করছি।

এই যে মহানন্দা--দেবরাজের বর ছিল কি না কে জানে!
এই জলের আরশীতে বিম্বিত মহাজীবনের জলছবি
ওই যে বারঘারিয়ার ঘাট--আজ মাঝিশূন্য, একদিন ওই ঘাটে
এসে থেমেছিল তুর্কীদের ঘোড়া সাম্যের সওয়ারী বয়ে কাঁধে.
নক্ষত্রের মতো হেসে উঠেছিল প্রাকৃত নারীর চোখ!
এই জলের মুখ দেখে আপন, তলোয়ার রেখে জমিনে
মাটি চুমেছিলেন সুলতানের সেনাপতি।
(মহানন্দা এক সোনালি নদীর নাম/ মহানন্দা এক সোনালি নদীর নাম)

আমিনুল ইসলামের কবিতায় আমাদের মহিমান্বিত অতীত ও গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্য শাণিত ও প্রাণিত হয়ে ফিনিক্স আর ইকারোসের মতো জেগে ওঠে। তিনি যেন স্পন্দিত বুকে, গর্বে গর্বিত হয়ে বলতে চান যে আমরা পাশ্চাত্য বা অন্য কোন জাতির প্রতিধ্বনি বা কণ্ঠস্বর নই-- আমাদের পায়ের নিচে হিমালয়ের মতো শক্ত একটি ভিত্তি আছে--এ ভিত্তিতে একবার স্বকীয়তার স্পর্ধাভরে দাঁড়ালেই আমরা সমগ্র বিশ্বে গর্বিত জাতি হিসেবে পরিচিত হবো। আমরা চিনতে পারবো আমাদের সভ্যতা ও সংস্কৃতিকে, আমাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে। আমরা হিমালয়ের শীর্ষচূড়া দেখবো, আকাশভরা সূর্যতারা দেখবো, সাগরপ্রান্তর সবই দেখবো--বিশ্বের সাথে বিশ্বাত্ববোধে উদ্বুদ্ধ হবো-- তবে দেশের মাটিতে পা রেখে। এজন্যই দেখা যায় আমিনুল ইসলামের কবিতায় যেমন আছে ঐতিহ্যের টান, তেমনি আছে বর্তমানের অবস্থান ও ভবিষ্যতের সোনালি ফসলের আহ্বান। আমিনুল ইসলামের ‘পথবেঁধে দিল বন্ধনহীন গ্রন্থি’ নামক কাব্যগ্রন্থের নয় পর্বে রচিত নাম কবিতাটিতে প্রেম, ভ্রমণ এবং দেশপ্রেমের এক আশ্চর্য কাব্যিক সম্মিলন ঘটেছে। বর্তমানের প্রতি আমিনুল ইসলাম উদাসীন নন, বর্তমানের ভিত্তিতে দাঁড়িয়ে তিনি বিস্ময়-বিমুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকেন অতীতের মহিমায় এবং তিনি অতীতচারী হলেও অতীতকেই মূল আকর্ষণ মনে করেন না, অতীতের গর্ব, গৌরব ও মহিমার আলোকচ্ছটায় বর্তমানকে বিচার বিশ্লেষণ করেন তন্ন তন্ন করে। মহাকাব্যিক বিস্তারে অবসিত এই কবিতাটি আমিনুল ইসলামের একটি মহৎ কবিতা। জীবনানন্দ দাশের স্থিতি ভারত হলেও আমিনুল ইসলাম আমাদের বিশ্ব পর্যটনে নিয়ে যান।

আমিনুল ইসলাম রচিত নিখাদ প্রেমের কবিতাতেও শেকড়মুখিনতা এবং ঐতিহ্যলগ্নতার চমৎকার সন্নিবেশ ঘটেছে। তাতে করে তার প্রেমের কবিতা গভীর ব্যঞ্জনাধর্মী এবং প্রাতিস্বিকতায় অনন্য হয়ে উঠতে চেয়েছে। তার প্রেমের কবিতায় মানুষের শরীরই কেবল বিষয় থাকে না, আন্তর্জাতিক রাজনীতি, অর্থনীতি, সন্ত্রাসবাদ, বিশ্বপ্রেম--সবই একই সূত্রে স্পষ্ট হয়ে উঠতে চায়। অবশ্য এ চেষ্টায় তার আগে শামসুর রাহমানই প্রথম সাফল্য দেখিয়েছেন। প্রকৃত কবিমাত্রই কমবেশি ঐতিহ্যের উত্তরাধিকার। আমিনুল ইসলামের ‘তুমি হলে সন্ধ্যাবতী সকলি কবুল’ কবিতাটি বিষয়বৈভব ও শব্দচয়নে তার পূর্বসূরী শামসুর রাহমান-আল মাহমুদ-দের যোগ্য উত্তরসূরী হিসাবে তাকে তার স্বকীয় ঊজ্জ্বলতায় উপস্থাপন করে।

কবিতার যে কতো চিত্রময়তা ও দৃশ্যময়তা থাকতে পারে এবং কবিতা যে আমাদের কী এক মোহনীয় মুগ্ধতায় দৈনন্দিন জীবনের তুচ্ছতাকে অতিক্রম করে সমস্ত গ্লানি ও বিবমিষাকে অতিক্রান্ত করে অলৌকিক আনন্দভারে আমাদের একটি প্রশান্তির স্নিগ্ধতায় মানসিক মুক্তি দিতে পারে এবং রূপক প্রতীক ও উপমায় কবিতা যে কতো নান্দনিক বিভা ও ঐশ্বর্যে মানোত্তীর্ণ ও শিল্পোত্তীর্ণ কবিতা হতে পারে এরই দৃষ্টান্ত কবিতা আমিনুল ইসলামের ‘মহানন্দা’ কবিতাটি। যেমন

দেবরাজের বরে নাকি পুন্ড্র বরেন্দ্র
তুমি কি সেই আর্শীবাদ গাঢ় প্রাণরসে?
সর্পিলী যদিও শরীর, অমৃত আনন্দ
বাতাসে বাজালে বাঁশি তরঙ্গ নুপুর হয়ে অন্তর প্রকাশে!
(মহানন্দা/তন্ত্র থেকে দূরে)

জীবনানন্দ দাশের পর বাংলা কবিতায় এতো নদী, পাখি, হাট-ঘাট, মাঠ-প্রান্তর,পাখি, ফসলের মাঠ আর কারো কবিতায় আমি পাইনি। আমিনুল ইসলাম তার কবিতায় যে সমস্ত ছবি এঁকেছেন অতীতের ধূসর গোধূলির আবছা ছায়ায়--ম্রিয়মাণ নয়, এগুলো জীবন্ত ও প্রাণময়। এ সব জীবনের মহিমায় চলমান। তার নদীও গতিমান শীর্ণকায় বা শুকনো নয়।

আমিনুল ইসলাম এক কথায় জীবনের বহমান কবি। এর সঙ্গে রয়েছে গভীর জীবনবোধ--আত্মপ্রত্যয়ী ও ঐতিহ্যে অনুসন্ধিৎসু। তবে যুগ মানসের চেতনায় তিনি অতীত অভিধাকে নতুন করে উপস্থাপন করেন। এ জন্যই তার কবিতা বারবারই ফিনিক্স আর ইকারোসের মতো অতীতের জীর্ণজরা ও মালিন্যকে পরিহার করে নতুনের অভিধায় আলোকোজ্জ্বল হয়ে ওঠে। মাঝে মাঝে তার কবিতায় বিষণ্নতার অভিপাত ঘটলেও, উজিয়ে চলার অভিপ্রায়ের জন্য আর্তিটাই আমাদের আকর্ষণ করে। যেমন--

ও আমার পালকদিনের সাথি
তুমিও ভুলে গেছো
আমের ঘ্রাণে মাতোয়ারা ছায়া
জোছনায় ভাসা মহানন্দার আকাশ;

তোমার মুখখানি আর নতুন চরের উপমা নয়
তোমার নামটি এখন ঘুমহীন রাতের হাতে নিরাশার তসবিহদানা।
(স্বপ্নের হালখাতা/স্বপ্নের হালখাতা)

একজন বড়ো কবির কাব্যকর্মের উৎকর্ষ হচ্ছে ভাব বিষয় ও নান্দনিকতার উত্তরণ। এ না হলে কবি পাঠকের মনের অনুসন্ধিৎসাকে যেমন ধরে রাখতে পারে না, তেমনি কালোত্তীর্ণ হতে পারে না। এইতো মাত্র আমার হাতে এসেছে তার সদ্য প্রকাশিত কাব্য ‘স্বপ্নের হালখাতা।’ এই কাব্যটিতে কবি আমিনুল ইসলামের বিস্ময়কর উত্তরণে আমরা বিমুগ্ধ হই। বাণীবিন্যাস ও উপমা আর প্রতীকে কবির যেনো নতুন করে আবির্ভাব। যেমন-

প্রত্নহৃদয় নিয়ে
বিভ্রান্তির চৌরাস্তায়
উজ্জ্বল সূর্যের নিচে
আমরা দাঁড়িয়ে
হুররে বলে ধুলো উড়োয় হাওয়ায় উজানে থাকা হাত;
হে সময়! হে মহাকালের জীব্রাইল!
ধূসর দৃষ্টান্ত যোগে তুমি কেন দেখাও না সবুজ সিগন্যাল?
(সবুজ সিগন্যাল/স্বপ্নের হালখাতা)

আমিনুল ইসলাম মাঝে মাঝে প্রতীকিয়তার মধ্যে বক্তব্যকে তীক্ষ্ম ও ক্ষুরধার করে তুলেন এবং আমাদের জিজ্ঞাসা ও অনুসন্ধিৎসাকে সমাজ মানসের পটভূমিতে উপস্থাপন করে একটা প্রচন্ড নাড়া দেন এবং সাড়া জাগিয়ে তুলেন। এখানে আমি তার ‘বেদখল হয়ে যায় পরানের পার্ক’ কবিতাটির উদ্ধৃতি তুলে ধরছি:
হায়, আমাদের
হাছন রাজা কই? তিনি কি ঘুমিয়ে গেছেন ঝাড়েবংশে?
এদিকে কদমতলায় কৃষ্ণের
আসনে বসে জগতশেঠের নাতি; তাকে পীর মেনে
খোলাবুকে সারিবদ্ধ নীলক্ষেতের একঝাঁক রঙিন যুবতী।
ও ভাই যুবতী! তোমরা বুকভরে কি নেবে গো? এই বুঝি
যক্ষযুগ ভক্তিতে ভরে না প্রাণ আর; গণেশের মূর্তি গিলে
গোগ্রাসে শিশুর আহার।
(বেদখল হয়ে যায় পরানের পার্ক/স্বপ্নের হালখাতা)

আমিনুল ইসলাম আমাদের ইতিহাস ঐতিহ্যের কবি--আমাদের কাব্য সাহিত্যে চিত্রময়তা ও প্রতীকিয়তার কবি এবং একজন সমাজসচেতন কবি। এরপরও বলতে হয় তিনি শিকড় বৈভবের কবি। বাইরের বিষয়কে অন্তরের এবং অন্তরের বিষয়কে নান্দনিক প্রকর্ষণায় প্রকাশ করাই যদি শিল্পকর্ম হয়, তবে আমিনুল ইসলাম এমনই এক কবি যিনি বিষয়বস্তুকে আত্মস্থ ও কলামন্ডিত করে নিজের করে প্রকাশ করেন। এখানে আমিনুল ইসলাম মৌলিক কবি এবং এজন্যই তিনি আধুনিক বাংলা কাব্যে একটি স্বতন্ত্র ধারার কবি হিসেবে কালোত্তীর্ণ বৈভবে উজ্জ্বল ও সমুজ্জ্বল হয়ে থাকবেন।

লেখক: গবেষক-প্রাবন্ধিক, প্রাক্তন অধ্যাপক, সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

 

Header Ad
Header Ad

ইরানের বন্দরে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ১৪, আহত সাড়ে ৭ শতাধিক

ছবি: সংগৃহীত

ইরানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বন্দর শহিদ রাজিতে ভয়াবহ রাসায়নিক বিস্ফোরণে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৪ জন। আহতের সংখ্যা ইতোমধ্যেই ৭৫০ ছাড়িয়ে গেছে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে হরমুজগান প্রদেশের রাজধানী বন্দর আব্বাসের কাছে অবস্থিত এই বন্দরে ঘটে বিপর্যয়টি।

ইরানের জরুরি সেবাবিভাগের মুখপাত্র বাবাক ইয়াকতেপেরেস্ট বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আহতদের স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে এখনও উদ্ধার তৎপরতা চলছে, তবে বিষাক্ত ধোঁয়ার কারণে তা ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার মুখপাত্র হোসেন জাফারি জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে নাশকতার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তিনি বার্তাসংস্থা আইএলএনএ-কে জানান, একটি কনটেইনারে থাকা রাসায়নিক পদার্থ থেকেই এই বিস্ফোরণের সূত্রপাত হয়। তিনি বলেন, “বিভিন্ন মাধ্যমে অনেক গুজব ছড়ানো হচ্ছে, তবে সেগুলোতে কান না দিয়ে সরকারি তথ্যের জন্য অপেক্ষা করা উচিত।”

সরকারি বার্তাসংস্থা ফার্স নিউজ জানিয়েছে, ছোট পরিসরে আগুন লাগার পর তা দ্রুত আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে এবং একাধিক বিস্ফোরণ ঘটে। স্থানীয় আবহাওয়া ছিল অত্যন্ত গরম এবং পরিবেশে দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুনের তীব্রতা দ্রুত বেড়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকে জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের শক্তি এতটাই প্রবল ছিল যে ৫০ কিলোমিটার দূর থেকেও কম্পন অনুভূত হয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানায়, দুর্ঘটনাকবলিত কনটেইনারগুলোর মধ্যে সালফারজাতীয় রাসায়নিক থাকার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। যদিও কনটেইনারগুলোর সুনির্দিষ্ট উপাদান এখনো প্রকাশ করা হয়নি।

সরকারি বার্তাসংস্থা ইরনার প্রতিবেদনে বলা হয়, শহিদ রাজি বন্দরটি ইরানের সবচেয়ে আধুনিক সামুদ্রিক বন্দরগুলোর একটি। এটি হরমুজ প্রণালির উত্তরে, বন্দর আব্বাস থেকে প্রায় ২৩ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত। এই প্রণালি দিয়েই বিশ্বের মোট উৎপাদিত তেলের পাঁচ ভাগের এক ভাগ পরিবহন করা হয়, ফলে এ বন্দরের নিরাপত্তা আন্তর্জাতিক দৃষ্টিকোণ থেকেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Header Ad
Header Ad

ধর্ষণের শিকার জুলাই আন্দোলনে শহীদের মেয়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

প্রতীকী ছবি

জুলাই আন্দোলনে ঢাকায় পুলিশের গুলিতে শহীদ পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার জসিম উদ্দিনের মেয়ে লামিয়ার (১৭) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে রাজধানীর শেখেরটেকের ৬নং রোডের ভাড়া বাসা থেকে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এই কলেজছাত্রীর গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর দুমকিতে। তিনি গত ১৮ মার্চ দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন।

‎প্রতিবেশী ও স্থানীয়রা জানান, রোববার বিকেলে মায়ের সঙ্গে গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল তার। শনিবার মার্কেট থেকে কিছু কাপড়ও কিনেছেন। রাত আটটায় নিহতের মা ছোট মেয়েকে বাসার পাশেই মাদরাসায় দিয়ে আসতে যান। সেই সুযোগে রাত নয়টার দিকে রুমের ভেতর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন লামিয়া।

এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা মিলে মরদেহ উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে যান।

‎নিহতের মামা সাইফুল ইসলাম জানান, আমি দোকানে বসা ছিলাম। হঠাৎ ফোনে জানতে পারি, আমার ভাগনি মারা গেছে। আমি দৌঁড়ে হাসপাতালে এসে দেখি আমার ভাগনির মরদেহ হাসপাতালে পড়ে আছে। জুলাই আন্দোলনে আমার বোন স্বামীহারা হলো। এখন মেয়েকে হারিয়েছে। এখন আমার ভাগনি চলে গেছে। আমরা কার কাছে বিচার চাইব। কে বিচার করবে আমাদের।

নিহত কলেজছাত্রীর চাচা বলেন, শনিবার রাত ১১টার দিকে তার ভাতিজির আত্মহত্যার খবর পান তিনি। এরপর তিনি শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটে যান।

আদাবর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কমল চন্দ্র ধর বলেন, শেখেরটেকের একটি বাসা থেকে ওই কলেজছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, তার মৃত্যুর ঘটনাটি আত্মহত্যাজনিত। তবে ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা সম্ভব হবে। পুলিশ পুরো ঘটনাটি নিবিড়ভাবে তদন্ত করছে।

ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা জানিয়েছিলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই ঢাকার মোহাম্মদপুরে তার স্বামী গুলিবিদ্ধ হন। ১০ দিন পর ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। তার শহীদ স্বামীকে দুমকি উপজেলার গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়।

ভুক্তভোগীর মা বলেন, ১৮ মার্চ সন্ধ্যায় বাবার কবর জিয়ারত করে নানাবাড়িতে ফেরার পথে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন তার কলেজ শিক্ষার্থী মেয়ে। ধর্ষণের সময় এজাহারভুক্ত আসামিরা তার নগ্ন ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মুখ বন্ধ রাখতে বলেন। এরপর ভুক্তভোগী তার মা ও পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে ২০ মার্চ থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন। সন্ধ্যায় অভিযোগটি মামলা হিসেবে রুজু হয়।

মামলার এজাহারে উপজেলার একটি ইউনিয়নের দুজনের নাম উল্লেখ করা হয়। মামলা হওয়ার দিন রাতে এজাহারভুক্ত ১৭ বছর বয়সী কিশোরকে গ্রেফতার করা হয়। পরে ২১ মার্চ অন্য আসামিকে পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আদালতের মাধ্যমে তাদের যশোর শিশু সংশোধনাগারে পাঠানো হয়।

জানা যায়, গত ১৮ মার্চ সন্ধ্যায় পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার পাঙ্গাসিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে শহিদ জসীম উদ্দিনের মেয়ে তার বাবার কবর জিয়ারত শেষে নানাবাড়ি পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে যাচ্ছিলেন। পথে নলদোয়ানী থেকে অভিযুক্তরা পিছু নেয়। হঠাৎ পেছন থেকে মুখ চেপে ধরে পার্শ্ববর্তী জলিল মুন্সির বাগানে নিয়ে যায় সাকিব ও সিফাত। একপর্যায়ে কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। এমনকি তার নগ্ন ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় তারা।

Header Ad
Header Ad

সিন্ধুর পানি ছাড়ল ভারত, হঠাৎ বন্যায় ডুবলো পাকিস্তানের কাশ্মীর

ছবি: সংগৃহীত

পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই সিন্ধুর উপনদী ঝিলামে অতিরিক্ত পানি ছেড়েছে ভারত। এর ফলেই হঠাৎ করেই মাঝারি মাত্রার বন্যার কবলে পড়েছে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের একাংশ। আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে নদীতীরবর্তী হাজারো মানুষ।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের রাজধানী মুজাফফরবাদের বিভাগীয় প্রশাসন বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

সংক্ষিপ্ত এক বিবৃতিতে তারা জানায়, ঝিলাম নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি পানি ছাড়ছে ভারত। ফলে নদীর পানি হু হু করে বেড়ে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে আকস্মিক বন্যা।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ‘দুনিয়া নিউজ’ জানায়, ভারত কোনো ধরনের আগাম বার্তা না দিয়েই শনিবার সকাল থেকে বাড়িয়ে দেয় পানির প্রবাহ। এতে করে অনন্তনাগ অঞ্চল থেকে প্রবাহিত পানি চাকোঠি সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত এলাকায় প্রবেশ করতে থাকে। মসজিদের মাইকে সতর্কতা প্রচার করা হয়, স্থানীয়দের দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলা হয়।

প্রসঙ্গত, সিন্ধু নদ এবং তার উপনদীগুলোর পানি ব্যবস্থাপনা নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ১৯৬০ সালে স্বাক্ষরিত হয় ঐতিহাসিক ‘সিন্ধু পানি চুক্তি’। তবে সম্প্রতি ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনার পর সম্পর্ক আরও খারাপ হয়। ভারত এ হামলার জন্য পরোক্ষভাবে পাকিস্তানকে দায়ী করে এবং প্রতিক্রিয়ায় একতরফাভাবে চুক্তি স্থগিত করে নয়াদিল্লি।

এ প্রসঙ্গে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানায়, ভারত যদি সিন্ধু নদী থেকে পানির প্রবাহ বন্ধ করার চেষ্টা করে, তবে তারা একে যুদ্ধ ঘোষণার শামিল বলে বিবেচনা করবে। এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দেশটির নেতারাও। পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতা বিলাওয়াল ভুট্টো বলেন, “সিন্ধু দিয়ে হয় পানি বইবে, না হয় ভারতীয়দের রক্ত বইবে।”

এদিকে ভারতের জলসম্পদ মন্ত্রী জানালেন, পানির প্রবাহ ঠেকাতে ইতোমধ্যেই একটি রোডম্যাপ প্রস্তুত করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে স্বল্প, মধ্য এবং দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। ড্রেজিং করে পানির গতি অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার কাজও চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ইরানের বন্দরে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ১৪, আহত সাড়ে ৭ শতাধিক
ধর্ষণের শিকার জুলাই আন্দোলনে শহীদের মেয়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
সিন্ধুর পানি ছাড়ল ভারত, হঠাৎ বন্যায় ডুবলো পাকিস্তানের কাশ্মীর
রিয়ালের হৃদয়ভাঙা রাত, কোপা দেল রে চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা
উত্তরায় সেলফি তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় তরুণ-তরুণীর মৃত্যু
জাতীয় গ্রিডে যান্ত্রিক ত্রুটিতে ১০ জেলায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট
আবারও দুই ধাপে ৬ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা
পাকিস্তানি হামলার আশঙ্কায় বাঙ্কারে আশ্রয় নিচ্ছেন ভারতীয়রা
চীনা প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করলো বিএনপি
আওয়ামী লীগ ভারতের গোলামী করা দল : নুরুল হক নুর
ইরানের রাজাই বন্দরে শক্তিশালী বিস্ফোরণ, আহত ৫১৬ জন
প্রায় দুই ঘণ্টা পর মেট্রোরেল চলাচল স্বাভাবিক
গোবিন্দগঞ্জে মৃত আওয়ামী লীগ নেতার নামে জামাতের মামলা
গুজরাটে ১ হাজারের বেশি বাংলাদেশি গ্রেফতারের দাবি পুলিশের
নওগাঁর রাণীনগর ও আত্রাই বাসীর গলার কাঁটা ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ অবশেষে সংস্কার
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মেট্রোরেল চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ
গোবিন্দগঞ্জে গাঁজাসহ ট্রাকের চালক-হেলপার গ্রেপ্তার
আদমদীঘিতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা তোহা গ্রেপ্তার
নাটকীয়তা শেষে রাতে ফাইনালে মুখোমুখি রিয়াল-বার্সা
মাদকাসক্ত ছেলেকে ত্যাজ্য ঘোষণা করলেন বাবা