বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-২১

স্নানের শব্দ

ঋতু বদলের মতোই মানুষ বদলায়, সময় বিশেষে পরিবর্তিত হয়, এটা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু মনিরুজ্জামানের এই হঠাৎ বদলে যাওয়া আচরণ, কেনো যেন শবনম মন থেকে মানতেই পারছে না। সেই ভীরু লাজুক বিনয়ী ছেলেটার জায়গায় এই রাগী হিংস্র উদ্ধত যুবককে সে যেন ঠিক চিনতে পারছে না। মানুষকে হয়তো কখনোই পুরোপুরি চেনা যায় না। শুধুমাত্র চাকরি হারানোর ভয়ে আতংকগ্রস্ত হয়ে মনিরুজ্জামান এই রূপ ধারণ করেছে কি না বুঝতে পারছে না শবনম। হতে পারে শবনমের চোখে এটা মাত্র চল্লিশ হাজার টাকা বেতনের একটা চাকরি কিন্তু মনিরুজ্জামানের কাছে তো এটাই সব। তারপরও এমন একটা ব্ল্যাকমেইলিং পর্যায়ে বিষয়টা নিয়ে গেছে সে, শবনম যার জন্য একটুও প্রস্তুত ছিল না। আবার অবস্থাটা এমন যে তার বিরুদ্ধে অফিশিয়াল একশনও সে নিতে পারছে না। এ যেন বাধ্য হয়ে নিজের আর্তনাদ নিজের গিলে ফেলার মত অবস্থা। কাউকে নালিশও করা যায় না আবার সহ্য করাও সম্ভব হচ্ছে না।

মন বিক্ষিপ্ত থাকলেও পরের দিনের বোর্ড মিটিং-এ আটঘাট বেঁধেই যোগ দিল শবনম। মিটিংএর শুরুতেই ফাইজুল চৌধুরী তার ভারী গম্ভীর গলায় শবনমের দিকে তাকিয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়ার সুরে বলল, ‘কালই বিদায় করে দেন এই চার জনকে। দুষ্ট গরুর চেয়ে শুন্য গোয়াল ভালো।’ ‘কিন্তু সরাসরি বিদায়, একটাতো কারণ দর্শানো নোটিস বা ওয়ার্ণিং দেয়া লাগে ..’
শবনম অফিশিয়াল সিস্টেমের মধ্যে ফেলে ব্যাপারটা একটু ধীর করতে চায়।
‘না, না, ওসব শুধু সময় নষ্ট, যা করার তাড়াতাড়ি করেন। টেক একশন প্লিজ ..’ ফাইজুল চৌধুরী বলে।
শবনম এবার অন্য পথ ধরে।’
‘সে তো অবশ্যই, একশন তো নেওয়াই যায়। কিন্তু যে তথ্যটা ওরা ফাঁস করেছে, মানে, যদি করেই থাকে, তবে সেটাতো মিথ্যা নয়। ওসমান গণির দোষ প্রমাণিত হয়েছে। সেক্ষেত্রে এই ছেলেগুলো তো হুইসেল ব্লোয়ারের কাজ করেছে। প্রতিষ্ঠানের ভেতরের দুর্নীতির খবর আগে ভাগে জানিয়েছে। এখন হুট করে চাকরি খেয়ে দেওয়া অনেকটা লঘু পাপে গুরুদন্ড হয়ে যাচ্ছে না !’
‘না, না, দেখেন এসব অফিস শৃঙ্খলার পরিপন্থী কাজ, আপনিতো সব বোঝেনই, এসব কিছুতেই প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না। পরে দেখবেন, আপনার পেছনে লোক লেগে গেছে। অথবা আপনার প্রতিপক্ষ কাউকে টাকা পয়সা দিয়ে আপনার পেছনে গোয়েন্দা হিসেবে লাগিয়ে দিয়েছে। ভারি একটা বিশৃঙ্খল অবস্থা তৈরি হবে।’ ফাইজুল চৌধুরীর গলায় বিরক্তি।

শবনম তবু প্রায় মরিয়া হয়ে ওদের চাকরি যাওয়া ঠেকানোর চেষ্টা করে। বলে, ‘স্যার, বিষয়টা আরেকটু বিবেচনা করার সুযোগ আছে বলে আমার মনে হয়। ওদের মেমো দিয়ে সতর্ক করা যেতে পারে। তা ছাড়া, অফিশিযাল প্রসেস না মেনে ওদের সাসপেন্ড করলে আবার বাইরে কথা উঠবে। স্যার ওরা কিন্তু আদালতেও যেতে পারে, তখন প্রতিষ্ঠানের ইমেজ সংকট হতে পারে। সব দিকগুলোই আমাদের ভেবে দেখা দরকার।’ এবার কনফারেন্স টেবিলের কোণার দিক থেকে সাত্তার জাহেদি সাহেবের চিকণ গলা শোনা যায়।
‘শোনেন ম্যাডাম, ওদের বাঁচাতে আপনার এই তৎপরতা কিন্তু অন্য মেসেজ দিচ্ছে !’

জাহেদি যে ওসমান গণি ব্লকের মানুষ সবাই জানে সেটা। তার বলা প্রতিটি শব্দ যে ওসমান গণির পক্ষেই যাবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। শবনম পিঠ সোজা করে সতর্ক হয়ে বসে। বিশাল বোর্ড রুমে হঠাৎ তার নিজেকে খুব একা আর অসহায় মনে হয়। এতগুলো বয়স্ক কোট টাই পরা, গোঁফ দাড়িঅলা পুরুষের মধ্যে মিটিং-এর টেবিলে সেই একমাত্র নারী। যদিও এই দৃশ্য এবারই প্রথম নয়, তবু চারিদিকে তাকিয়ে আজ তার মনটা হঠাৎ কেমন শুন্য লাগল। মনে হলো, আহা এই অকূল পাথারে কেউ যদি অজান্তে অদৃশ্যভাবে আজ তার হাতটা ধরে রাখতো! যদি তাকে সমর্থন করার মতো কেউ একজন থাকত!
সাত্তার জাহেদি নাঁকি সুরে বলে চলেন, ‘দেখেন, গণি সাহেব দুর্নীতি করেছেন কি করেন নাই, তা নিয়ে আমার কোনো কথা নাই। কিন্তু গণি সাহেবের চলে যাওয়ায় খালি চোখেই বোঝা যায় সবচে বেশি বেনিফিশিয়ারি হয়েছেন আমাদের বর্তমান সিইও ম্যাডাম। সে কারণেই কারা, কী উদ্দেশে, কার ইঙ্গিতে, ঠিক প্রমোশনের আগের মুহূর্ত এইসব তথ্য ফাঁস করল তা খতিয়ে দেখা দরকার। ঠিক কি না? তবে হে হে হে, লোকে কিন্তু আপনার দিকেই আঙুল তুলছে ম্যাডাম। হে হে হে মানে দুইয়ে দুইয়ে চার মিলাচ্ছে আর কি!’

শবনমের দুই কান গরম হয়ে ওঠে, ভেতরে ভেতরে খুবই বিক্ষুব্ধ বোধ করে সে। বুঝতে পারে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে এইসব অপমানসূচক কথাবার্তা বলা হচ্ছে তাকে রাগিয়ে দেওয়ার জন্য। কিন্তু এই ফাঁদে পা দিয়ে ওদের জিতিয়ে দিতে রাজি নয় সে। তাই রাগে মুখ চোখ লাল হয়ে উঠলেও জোর করে মুখে একটা হাসি হাসি ভাব ধরে রাখে শবনম। তারপর কাঁধ ঝাকিয়ে বলে, ‘দেখেন, লোকে বললে তো আমার কিছু করার নাই। কান নিয়েছে চিলে, শুনেই তো আমি চিলের পেছনে দৌড়াব না। কিন্তু আপনারা যদি সেরকম করে অঙ্ক মেলাতে চান, তাহলে সেটারও তদন্ত হতে পারে, আমি তো বার বার বলেছি যে সেটা হোক।’

মিটিং তারপর আর বেশিদূর আগায় না। সিদ্ধান্ত হয় প্রাতিষ্ঠানিক পদ্ধতি অনুসরণ করেই মনিরুজ্জামানসহ চারজনের অব্যাহতির প্রক্রিয়া শুরু হবে। প্রথমে কারণ দর্শানোর নোটিশ, পরে সাসপেন্ড আর সবশেষে বিদায়। এই সিদ্ধান্ত শবনমের কাঙ্ক্ষিত ছিল না। সে মনে প্রাণে চেয়েছিল ওই চারজনের চাকরি বহাল রাখার সিদ্ধান্ত হোক। কিন্তু পরিস্থিতি তার অনুকূলে ছিল না, নিয়ন্ত্রণাধীনও ছিল না। সবাই যখন বিপক্ষে মত দিচ্ছে তখন হাওয়ার বিপরীতে একলা উড়তে গেলে ডানা ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল। এই পৃথিবীর অনেক কিছুর উপরই আমাদের নিয়ন্ত্রণ থাকে না সেটা মেনে নিতে হবে। শবনম নিজেকে বোঝায়। যদিও একটা তীব্র ব্যর্থতা বোধ একটা পরাজিত মনোভাব একটা হতাশার চাদর তাকে আলতোভাবে জড়িয়ে ধরে। মনের কোণায় কোথায় যেন একটা বিষণ্ন সুর অনবরত বাজতে থাকে।

মনের উপর সিন্দাবাদের বুড়োর মতো চেপে বসা সেই হতাশা অবসাদ আর বিষণ্নতা সঙ্গী করেই অফিস ছেড়ে তার নিজের ফ্ল্যাটের দরজায় পা রাখে শবনম। ঘরে বেশ একটা উৎসবের ভাব। শ্রাবণ দৌড়ে এসে মাকে জড়িয়ে ধরে। আমেরিকার একটা ভাল বিশ্ববিবদ্যালয় থেকে ইমেইল এসেছে। ওরা শ্রাবণকে ওর পছন্দের বিষয়ে পড়ার জন্য ভর্তি হবার উপযোগী মনে করে আমন্ত্রণ পাঠিয়েছে। টিউশন ফী একটু বেশি কিন্তু ভাল সাবজেক্ট পাচ্ছে। তা ছাড়া ওয়ার্ল্ড র‌্যাঙ্কিংয়েও বিশ্ববিদ্যালয়টার অবস্থান বেশ উপরের দিকে।

‘তুমি খুশি হয়েছ মা?’ শ্রাবণ আহ্লাদের সুরে জানতে চায়।
লিভিং রুমের নরম সোফায় গা ছেড়ে দিয়ে শবনম ম্লান হাসে, ‘খুব খুশি হয়েছি। আর আমি তো সবসময় তুই খুশি হলেই খুশি হয়ে যাই।’
শ্রাবণ মায়ের পাশে এসে দুই পা তুলে বসে, ‘ওহ মা, তুমি নিজের খুশি অন্যের খুশির সঙ্গে মিলায়ো না তো। এই যে বলো না, তুই খুশি তো আমি খুশি, সেটা না। তুমি সেলফ খুশি হও। একদম নিজের জন্য নিজে খুশি। অন্যের সঙ্গে মিলানো খুশি না!’

শবনম এবার আরও হাসে, ‘ অন্যের সঙ্গে মিলালাম কই? তোর মতো একটা দারুণ মেয়ের মা আমি, সেটাই তো খুশির কারণ। ভাল জায়গায় চান্স পেলি, খুশি হব না! আর জানিস তো মানুষের প্রায় সব আবেগের সঙ্গেই অন্যের সম্পর্ক থাকে, কেউ দুঃখ দেয়, কেউ ভালবাসা দেয়, কেউ আনন্দ দেয় ..’
শ্রাবণ এবার একটু সিরিয়াস ভঙ্গিতে বলে, ‘হ্যাঁ, ঠিক আছে সেটা, বাট ইউ হ্যাভ মেনি মোর রিজনস টু বি হ্যাপী, মা। প্লিজ, ফাইন্ড দেম! ক্যারিয়ারে তোমার কত সাক্সেস, সেটা একদমই তোমার একার অর্জন! সেটা সেলিব্রেট করো, সেই জন্য আনন্দিত হও। আনন্দের বাকি জায়গাগুলো খুঁজে বের করো! মেইক ইওরসেলফ হ্যাপি! অন্তত নিজের সুখ আর আনন্দের জন্য অন্যের উপর ডিপেন্ড করো না!‘

শবনম মুখে মৃদু হাসি ঝুলিয়ে মেয়ের সরল নিস্পাপ আনন্দিত মুখের দিকে অপলক তাকিয়ে থাকে। সব মায়ের মতোই তার মনে হতে থাকে, এই মেয়ে তার পেটে ছিল, বিশ্বাস হয় না! বাউলরা কি যে গান লিখেছেন, ‘ঝিয়ের পেটে মায়ের জন্ম’ ! হয়তো এর অন্য কোনো গুঢ় অর্থ আছে, কিন্তু শবনমের মনে হয় শ্রাবণের মধ্য দিয়ে তার পুনর্জন্ম হচ্ছে। নতুন করে যেন ওর চোখ দিয়ে দুনিয়া দেখছে সে।

চলবে...

আরও পড়ুন>>>

স্নানের শব্দ: পর্ব-২০

স্নানের শব্দ: পর্ব-১৯

স্নানের শব্দ: পর্ব-১৮

 

Header Ad

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা

ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এ নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সকল মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। কেউ কারো উপরে না, আবার কেউ কারো নিচেও না, এই ধারণা আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে সম্প্রতি আমরা অর্জন করেছি, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। যে সুযোগ তারা আমাদের দিয়েছে, তার মাধ্যমে আমাদের দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করে যারা দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে জাতি তাদের সারা জীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বক্তব্য শেষে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

Header Ad

নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁ শহরে যানযট নিরসন ও শৃঙ্খলা ফেরাতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক-শ্রমিকদের যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এতে শহরে শৃঙ্খলা ফিরবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অভিযানের উদ্বোধন করেন নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক টি.এম.এ মমিন। এ সময় নওগাঁ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিয়া উদ্দিন, নওগাঁ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন, নওগাঁ জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আফজাল হোসেন ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান শুরুর পর থেকেই শহরের বরুনকান্দি, মশরপুর, তাজের মোড় ও কালীতলাসহ মোট ৮ টি প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেক পোষ্টগুলোতে ২ জন পুলিশ সদস্য, ২ জন ছাত্র সমন্বয়ক, ৪ জন রোভার স্কাউট সদস্য ও ২ জন রিকশা মালিক শ্রমিক প্রতিনিধিসহ মোট ১২ জন করে কাজ করছেন।

পৌর প্রশাসক জানান, নওগাঁ শহরে বৈধ যানবাহনের সংখ্যা ৪ হাজার। কিন্তু প্রতিদিন পার্শবতী বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ১০ হাজার রিকশা, ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা ও ইজিবাইক শহরে প্রবেশ করে। এতে তীব্র যানযট ও জন মানুষের ভোগান্তি তৈরী হয়। এই দূর্ভোগ লাঘোবে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল ও পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিনের দিক নির্দেশনায় যানবাহন নিয়ন্ত্রনসহ বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। বৈধ চালকদের চিহ্নিত করতে তাদের মাঝে পরিধেয় বিশেষ ধরনের জ্যাকেট প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, নওগাঁ শহরের যানযট দীর্ঘদিনের সমস্যা। পরিকল্পিত ভাবে এই সমস্যা দূর করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের উদ্যোগে পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের সমন্বয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন ষ্টেক হোল্ডারদের পরামর্শ নিয়ে একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, অভিযান সফল ভাবে বাস্তবায়ন হলে শহরে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। জনগন এর সুফল পাবেন। সকলকে এই কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানান তিনি।

Header Ad

২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত

বক্তব্য রাখছেন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে ২০২৬ সালের মাঝামাঝি নির্বাচন হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকারের নৌ পরিবহন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ডক্টর এম সাখাওয়াত হোসেন।

সম্প্রতি ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাউস অব লর্ডসে মানবাধিকার সংগঠন ‘ভয়েস ফর বাংলাদেশ’ আয়োজিত সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

‘ডিসকাশন অন ডেমোক্রেটিক কলাপ্স অ্যান্ড রিবিল্ডিং অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই সম্মেলনে হাউস অব লর্ডসের সিনিয়র সদস্য আলেক্সান্ডার চার্লস কার্লাইল কিউসি সভাপতিত্ব করেন। ভয়েস ফর বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্রডকাস্টার আতাউল্লাহ ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এম সাখাওয়াত হোসেন।

সম্মেলেনে সাবেক ব্রিটিশ মন্ত্রী পল স্কালি বলেন, বাংলাদেশে যে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে, তার সঠিক তদন্ত শেষে যথাযথ বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে করে এ ধরনের ঘটনার পুররাবৃত্তি না হয়।

লর্ড হোসাইন বলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার সব সংস্কার এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে সব ধরনের সহায়তা পাবে।

সম্মেলনে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান লেবার দলীয় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি রুপা হক।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
ধামরাইয়ে শ্রমিকবাহী বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৪