শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-২১

স্নানের শব্দ

ঋতু বদলের মতোই মানুষ বদলায়, সময় বিশেষে পরিবর্তিত হয়, এটা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু মনিরুজ্জামানের এই হঠাৎ বদলে যাওয়া আচরণ, কেনো যেন শবনম মন থেকে মানতেই পারছে না। সেই ভীরু লাজুক বিনয়ী ছেলেটার জায়গায় এই রাগী হিংস্র উদ্ধত যুবককে সে যেন ঠিক চিনতে পারছে না। মানুষকে হয়তো কখনোই পুরোপুরি চেনা যায় না। শুধুমাত্র চাকরি হারানোর ভয়ে আতংকগ্রস্ত হয়ে মনিরুজ্জামান এই রূপ ধারণ করেছে কি না বুঝতে পারছে না শবনম। হতে পারে শবনমের চোখে এটা মাত্র চল্লিশ হাজার টাকা বেতনের একটা চাকরি কিন্তু মনিরুজ্জামানের কাছে তো এটাই সব। তারপরও এমন একটা ব্ল্যাকমেইলিং পর্যায়ে বিষয়টা নিয়ে গেছে সে, শবনম যার জন্য একটুও প্রস্তুত ছিল না। আবার অবস্থাটা এমন যে তার বিরুদ্ধে অফিশিয়াল একশনও সে নিতে পারছে না। এ যেন বাধ্য হয়ে নিজের আর্তনাদ নিজের গিলে ফেলার মত অবস্থা। কাউকে নালিশও করা যায় না আবার সহ্য করাও সম্ভব হচ্ছে না।

মন বিক্ষিপ্ত থাকলেও পরের দিনের বোর্ড মিটিং-এ আটঘাট বেঁধেই যোগ দিল শবনম। মিটিংএর শুরুতেই ফাইজুল চৌধুরী তার ভারী গম্ভীর গলায় শবনমের দিকে তাকিয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়ার সুরে বলল, ‘কালই বিদায় করে দেন এই চার জনকে। দুষ্ট গরুর চেয়ে শুন্য গোয়াল ভালো।’ ‘কিন্তু সরাসরি বিদায়, একটাতো কারণ দর্শানো নোটিস বা ওয়ার্ণিং দেয়া লাগে ..’
শবনম অফিশিয়াল সিস্টেমের মধ্যে ফেলে ব্যাপারটা একটু ধীর করতে চায়।
‘না, না, ওসব শুধু সময় নষ্ট, যা করার তাড়াতাড়ি করেন। টেক একশন প্লিজ ..’ ফাইজুল চৌধুরী বলে।
শবনম এবার অন্য পথ ধরে।’
‘সে তো অবশ্যই, একশন তো নেওয়াই যায়। কিন্তু যে তথ্যটা ওরা ফাঁস করেছে, মানে, যদি করেই থাকে, তবে সেটাতো মিথ্যা নয়। ওসমান গণির দোষ প্রমাণিত হয়েছে। সেক্ষেত্রে এই ছেলেগুলো তো হুইসেল ব্লোয়ারের কাজ করেছে। প্রতিষ্ঠানের ভেতরের দুর্নীতির খবর আগে ভাগে জানিয়েছে। এখন হুট করে চাকরি খেয়ে দেওয়া অনেকটা লঘু পাপে গুরুদন্ড হয়ে যাচ্ছে না !’
‘না, না, দেখেন এসব অফিস শৃঙ্খলার পরিপন্থী কাজ, আপনিতো সব বোঝেনই, এসব কিছুতেই প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না। পরে দেখবেন, আপনার পেছনে লোক লেগে গেছে। অথবা আপনার প্রতিপক্ষ কাউকে টাকা পয়সা দিয়ে আপনার পেছনে গোয়েন্দা হিসেবে লাগিয়ে দিয়েছে। ভারি একটা বিশৃঙ্খল অবস্থা তৈরি হবে।’ ফাইজুল চৌধুরীর গলায় বিরক্তি।

শবনম তবু প্রায় মরিয়া হয়ে ওদের চাকরি যাওয়া ঠেকানোর চেষ্টা করে। বলে, ‘স্যার, বিষয়টা আরেকটু বিবেচনা করার সুযোগ আছে বলে আমার মনে হয়। ওদের মেমো দিয়ে সতর্ক করা যেতে পারে। তা ছাড়া, অফিশিযাল প্রসেস না মেনে ওদের সাসপেন্ড করলে আবার বাইরে কথা উঠবে। স্যার ওরা কিন্তু আদালতেও যেতে পারে, তখন প্রতিষ্ঠানের ইমেজ সংকট হতে পারে। সব দিকগুলোই আমাদের ভেবে দেখা দরকার।’ এবার কনফারেন্স টেবিলের কোণার দিক থেকে সাত্তার জাহেদি সাহেবের চিকণ গলা শোনা যায়।
‘শোনেন ম্যাডাম, ওদের বাঁচাতে আপনার এই তৎপরতা কিন্তু অন্য মেসেজ দিচ্ছে !’

জাহেদি যে ওসমান গণি ব্লকের মানুষ সবাই জানে সেটা। তার বলা প্রতিটি শব্দ যে ওসমান গণির পক্ষেই যাবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। শবনম পিঠ সোজা করে সতর্ক হয়ে বসে। বিশাল বোর্ড রুমে হঠাৎ তার নিজেকে খুব একা আর অসহায় মনে হয়। এতগুলো বয়স্ক কোট টাই পরা, গোঁফ দাড়িঅলা পুরুষের মধ্যে মিটিং-এর টেবিলে সেই একমাত্র নারী। যদিও এই দৃশ্য এবারই প্রথম নয়, তবু চারিদিকে তাকিয়ে আজ তার মনটা হঠাৎ কেমন শুন্য লাগল। মনে হলো, আহা এই অকূল পাথারে কেউ যদি অজান্তে অদৃশ্যভাবে আজ তার হাতটা ধরে রাখতো! যদি তাকে সমর্থন করার মতো কেউ একজন থাকত!
সাত্তার জাহেদি নাঁকি সুরে বলে চলেন, ‘দেখেন, গণি সাহেব দুর্নীতি করেছেন কি করেন নাই, তা নিয়ে আমার কোনো কথা নাই। কিন্তু গণি সাহেবের চলে যাওয়ায় খালি চোখেই বোঝা যায় সবচে বেশি বেনিফিশিয়ারি হয়েছেন আমাদের বর্তমান সিইও ম্যাডাম। সে কারণেই কারা, কী উদ্দেশে, কার ইঙ্গিতে, ঠিক প্রমোশনের আগের মুহূর্ত এইসব তথ্য ফাঁস করল তা খতিয়ে দেখা দরকার। ঠিক কি না? তবে হে হে হে, লোকে কিন্তু আপনার দিকেই আঙুল তুলছে ম্যাডাম। হে হে হে মানে দুইয়ে দুইয়ে চার মিলাচ্ছে আর কি!’

শবনমের দুই কান গরম হয়ে ওঠে, ভেতরে ভেতরে খুবই বিক্ষুব্ধ বোধ করে সে। বুঝতে পারে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে এইসব অপমানসূচক কথাবার্তা বলা হচ্ছে তাকে রাগিয়ে দেওয়ার জন্য। কিন্তু এই ফাঁদে পা দিয়ে ওদের জিতিয়ে দিতে রাজি নয় সে। তাই রাগে মুখ চোখ লাল হয়ে উঠলেও জোর করে মুখে একটা হাসি হাসি ভাব ধরে রাখে শবনম। তারপর কাঁধ ঝাকিয়ে বলে, ‘দেখেন, লোকে বললে তো আমার কিছু করার নাই। কান নিয়েছে চিলে, শুনেই তো আমি চিলের পেছনে দৌড়াব না। কিন্তু আপনারা যদি সেরকম করে অঙ্ক মেলাতে চান, তাহলে সেটারও তদন্ত হতে পারে, আমি তো বার বার বলেছি যে সেটা হোক।’

মিটিং তারপর আর বেশিদূর আগায় না। সিদ্ধান্ত হয় প্রাতিষ্ঠানিক পদ্ধতি অনুসরণ করেই মনিরুজ্জামানসহ চারজনের অব্যাহতির প্রক্রিয়া শুরু হবে। প্রথমে কারণ দর্শানোর নোটিশ, পরে সাসপেন্ড আর সবশেষে বিদায়। এই সিদ্ধান্ত শবনমের কাঙ্ক্ষিত ছিল না। সে মনে প্রাণে চেয়েছিল ওই চারজনের চাকরি বহাল রাখার সিদ্ধান্ত হোক। কিন্তু পরিস্থিতি তার অনুকূলে ছিল না, নিয়ন্ত্রণাধীনও ছিল না। সবাই যখন বিপক্ষে মত দিচ্ছে তখন হাওয়ার বিপরীতে একলা উড়তে গেলে ডানা ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল। এই পৃথিবীর অনেক কিছুর উপরই আমাদের নিয়ন্ত্রণ থাকে না সেটা মেনে নিতে হবে। শবনম নিজেকে বোঝায়। যদিও একটা তীব্র ব্যর্থতা বোধ একটা পরাজিত মনোভাব একটা হতাশার চাদর তাকে আলতোভাবে জড়িয়ে ধরে। মনের কোণায় কোথায় যেন একটা বিষণ্ন সুর অনবরত বাজতে থাকে।

মনের উপর সিন্দাবাদের বুড়োর মতো চেপে বসা সেই হতাশা অবসাদ আর বিষণ্নতা সঙ্গী করেই অফিস ছেড়ে তার নিজের ফ্ল্যাটের দরজায় পা রাখে শবনম। ঘরে বেশ একটা উৎসবের ভাব। শ্রাবণ দৌড়ে এসে মাকে জড়িয়ে ধরে। আমেরিকার একটা ভাল বিশ্ববিবদ্যালয় থেকে ইমেইল এসেছে। ওরা শ্রাবণকে ওর পছন্দের বিষয়ে পড়ার জন্য ভর্তি হবার উপযোগী মনে করে আমন্ত্রণ পাঠিয়েছে। টিউশন ফী একটু বেশি কিন্তু ভাল সাবজেক্ট পাচ্ছে। তা ছাড়া ওয়ার্ল্ড র‌্যাঙ্কিংয়েও বিশ্ববিদ্যালয়টার অবস্থান বেশ উপরের দিকে।

‘তুমি খুশি হয়েছ মা?’ শ্রাবণ আহ্লাদের সুরে জানতে চায়।
লিভিং রুমের নরম সোফায় গা ছেড়ে দিয়ে শবনম ম্লান হাসে, ‘খুব খুশি হয়েছি। আর আমি তো সবসময় তুই খুশি হলেই খুশি হয়ে যাই।’
শ্রাবণ মায়ের পাশে এসে দুই পা তুলে বসে, ‘ওহ মা, তুমি নিজের খুশি অন্যের খুশির সঙ্গে মিলায়ো না তো। এই যে বলো না, তুই খুশি তো আমি খুশি, সেটা না। তুমি সেলফ খুশি হও। একদম নিজের জন্য নিজে খুশি। অন্যের সঙ্গে মিলানো খুশি না!’

শবনম এবার আরও হাসে, ‘ অন্যের সঙ্গে মিলালাম কই? তোর মতো একটা দারুণ মেয়ের মা আমি, সেটাই তো খুশির কারণ। ভাল জায়গায় চান্স পেলি, খুশি হব না! আর জানিস তো মানুষের প্রায় সব আবেগের সঙ্গেই অন্যের সম্পর্ক থাকে, কেউ দুঃখ দেয়, কেউ ভালবাসা দেয়, কেউ আনন্দ দেয় ..’
শ্রাবণ এবার একটু সিরিয়াস ভঙ্গিতে বলে, ‘হ্যাঁ, ঠিক আছে সেটা, বাট ইউ হ্যাভ মেনি মোর রিজনস টু বি হ্যাপী, মা। প্লিজ, ফাইন্ড দেম! ক্যারিয়ারে তোমার কত সাক্সেস, সেটা একদমই তোমার একার অর্জন! সেটা সেলিব্রেট করো, সেই জন্য আনন্দিত হও। আনন্দের বাকি জায়গাগুলো খুঁজে বের করো! মেইক ইওরসেলফ হ্যাপি! অন্তত নিজের সুখ আর আনন্দের জন্য অন্যের উপর ডিপেন্ড করো না!‘

শবনম মুখে মৃদু হাসি ঝুলিয়ে মেয়ের সরল নিস্পাপ আনন্দিত মুখের দিকে অপলক তাকিয়ে থাকে। সব মায়ের মতোই তার মনে হতে থাকে, এই মেয়ে তার পেটে ছিল, বিশ্বাস হয় না! বাউলরা কি যে গান লিখেছেন, ‘ঝিয়ের পেটে মায়ের জন্ম’ ! হয়তো এর অন্য কোনো গুঢ় অর্থ আছে, কিন্তু শবনমের মনে হয় শ্রাবণের মধ্য দিয়ে তার পুনর্জন্ম হচ্ছে। নতুন করে যেন ওর চোখ দিয়ে দুনিয়া দেখছে সে।

চলবে...

আরও পড়ুন>>>

স্নানের শব্দ: পর্ব-২০

স্নানের শব্দ: পর্ব-১৯

স্নানের শব্দ: পর্ব-১৮

 

Header Ad
Header Ad

খিলগাঁওয়ের আগুনে পুড়ে ছাই ২০টি দোকান ও দুটি স’মিল

ছবিঃ সংগৃহীত

রাজধানীর খিলগাঁওয়ের তালতলা মার্কেটের পাশের একটি স’মিলে শুক্রবার রাত ৭টা ৩০ মিনিটে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট ৯টা ৩৫ মিনিটে এই আগুন নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়। আগুনে প্রায় ২০টি দোকান ও দুটি স’মিল পুড়ে গেছে।

আগুন নিয়ন্ত্রণের পর ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশনস) লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, কেমিক্যাল ড্রাম বিস্ফোরণে স’মিলে লাগা আগুন চারদিক ছড়িয়ে পড়ে।

তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘খিলগাঁওয়ের আগুনে আনুমানিক ২০টি দোকান এবং দুটি স মিল পুড়েছে। আগুনে হয়তো কেমিক্যাল ড্রাম বিস্ফোরিত হয়েছে; যার ফলে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। আমাদের নয়টি ইউনিট কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থলে আরো চারটি ইউনিট ছিল, তবে সেগুলোকে কাজ করতে হয়নি।

লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘আগুনে কেউ নিখোঁজ রয়েছে এমন কোনো সংবাদ আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত আসেনি। এ ছাড়া আমরা এখন পর্যন্ত আহত ও নিহতের কোনো সংবাদ পাইনি।’

আগুনের উৎসটি কি ছিল প্রাথমিকভাবে জানা গেছে কিনা প্রশ্ন করা হলে ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘এই মুহূর্তে এ বিষয়ে বলা যাবে না তদন্ত ছাড়া। সিগারেটের মাধ্যমে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে নাকি স্যাবোটেজ হয়েছে— এই প্রত্যেকটা বিষয়ে আমাদের তদন্ত করে দেখতে হবে।

অনেকগুলো সোর্স থেকে আগুনের সৃষ্টি হতে পারে। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকেও আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। তাই তদন্ত ছাড়া এ বিষয়ে কিছু বলা যাবে না।’
এদিকে, দুই ঘণ্টা ধরে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাশেদ বিন খালিদ জানান, ‘শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সেখানে আগুন লাগার খবর পাই।

প্রথমে আমাদের দুটি ইউনিট কাজ শুরু করে। পরে আরো সাতটি ইউনিট যোগ দেয়। এরপর রাত ৯টা ৩৫ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন লাগার পরে ফায়ার সার্ভিসকে সহযোগিতা করতে ছুটে আসেন সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র‍্যাবের সদস্যরা।’

তবে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স মিল থেকে আগুন গাড়ির গ্যারেজে ছড়িয়ে পড়ে। পরে গ্যারেজে থাকা বিভিন্ন গাড়িতে আগুন লেগে সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়। এ সময় আশপাশের মানুষ ছোটাছুটি করতে থাকে। উৎসুক জনতার ভিড়ে ফায়ার সার্ভিসকে আগুন নিয়ন্ত্রণে বেশ বেগ পেতে হয়।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানান, ওই এলাকায় একটি গাড়ির গ্যারেজ ও রাবারের কাঁচামালের গোডাউন রয়েছে। কিছু গাড়ি বের করা সম্ভব হলেও অনেক গাড়ি পুড়ে গেছে।

খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দাউদ হোসেন বলেন, ‘ওই স মিল খিলগাঁও থানার কাছেই। পাশের একটি গাড়ির গ্যারেজেও আগুন ছড়িয়েছে। ক্রাউডের কারণে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের কাজ করতে সমস্যা হচ্ছিল।

 

Header Ad
Header Ad

পদ্মাপাড়ে মুখে স্কচটেপ প্যাঁচানো ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার  

ব্যবসায়ী আবুল বাসার ওরফে মিন্টু। ছবিঃ সংগৃহীত

রাজশাহী নগরীর পদ্মাপাড়ে মুখে স্কচটেপ প্যাঁচানো একটি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার বিকালে নগরীর লালন শাহ মুক্তমঞ্চ সংলগ্ন এলাকার কাশবন থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণা, হত্যা করে কাশবনে ফেলে দেওয়া হয়েছে লাশটি।

নিহত ব্যক্তির নাম আবুল বাসার ওরফে মিন্টু (৩৫)। পেশায় ব্যবসায়ী মিন্টু নগরীর মির্জাপুর পূর্বপাড়া মহল্লার বাসিন্দা। বিনোদপুর বাজারে তার ইলেকট্রিক ব্যবসার দোকান আছে।

নগরীর রাজপাড়া থানার ওসি আশরাফুল ইসলাম জানান, কাশবনে ঘুরতে আসা কয়েকজন লাশটি দেখে পুলিশে খবর দেয়। ঘুরতে আসা অনেকে লাশের ছবিটি সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মগুলোতে শেয়ার করে। জানাজানির পর নিহতের পরিবার ঘটনাস্থলে এসে লাশটি শনাক্ত করে।

আশরাফুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে মিন্টুর খোঁজ পাচ্ছিল না পরিবার। কাশবনে তার মুখ পলিথিন দিয়ে ঢাকা ছিল। পলিথিনের ওপর স্কচটেপ প্যাঁচানো ছিল।

ওসি আরও বলেন, ‘আলামত দেখে মনে হয়েছে এটি হত্যাকাণ্ড। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে হত্যা মামলা হবে।’

Header Ad
Header Ad

সার্ক পুনরুজ্জীবনের প্রশ্নে বাংলাদেশকে যে বার্তা দিলো ভারত

ওমানের মাসকটে অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের বৈঠক। ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি ওমানের রাজধানী মাস্কাটে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার ( ২১ ফেব্রুয়ারি) নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ভারত- বাংলাদেশের মধ্যকার উক্ত বৈঠকের আলোচ্য বিষয়ে কিছু তথ্য তুলে ধরেছেন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল।

তিনি বলেন, মাস্কাটে ওই বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সার্ক পুনরুজ্জীবনের প্রসঙ্গটি তুলেছিলেন। দক্ষিণ এশিয়ার সবাই জানে কোন দেশ ও তার কী ধরনের কর্মকাণ্ড সার্ককে কোণঠাসা করে রেখেছে। তৌহিদ হোসেনকে জয়শঙ্কর এ কথাও বলেছেন, সন্ত্রাসবাদের স্বাভাবিকীকরণ করাটা বাংলাদেশের উচিত নয়।

ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের কোনো কোনো উপদেষ্টার কিছু কিছু মন্তব্য নিয়েও প্রশ্ন করা হয়। জবাবে রণধীর জয়সোয়াল বলেন, ভারত এসব মন্তব্য নজরে রেখেছে। ওই ধরনের মন্তব্য ও বাংলাদেশের সঙ্গে কাজকর্মে তার প্রভাব–প্রতিক্রিয়ার বিষয়ও ভারতের গোচরে রয়েছে।

তিনি বলেন, এ ধরনের মন্তব্য অবশ্যই সহায়ক নয়। এর প্রতিক্রিয়া কী, তা তাদেরই ভেবে দেখা দরকার।

নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফের মহাপরিচালকদের বৈঠক সদ্য শেষ হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক এক প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, বাংলাদেশে ৫ আগস্টের পালাবদলের পর সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগগুলো অতিরঞ্জিত, মিডিয়ার সৃষ্টি।

এ প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে জয়সোয়াল বলেন, গত কয়েক মাসে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর কী হয়েছে, সে বিষয়ে সবাই অবগত। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে ভারতের উদ্বেগ বারবার প্রকাশ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সম্প্রতি ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকেও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ওই প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। যুক্তরাষ্ট্রকেও এ বিষয়ে ভারতের উদ্বেগের কথা জানানো হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খিলগাঁওয়ের আগুনে পুড়ে ছাই ২০টি দোকান ও দুটি স’মিল
পদ্মাপাড়ে মুখে স্কচটেপ প্যাঁচানো ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার  
সার্ক পুনরুজ্জীবনের প্রশ্নে বাংলাদেশকে যে বার্তা দিলো ভারত
জামায়াতের আমিরকে যানজট মুক্ত করতে গিয়ে প্রাণ দিলেন কর্মী
সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা  
একুশে টিভির জিডি, কর্মচারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে জামায়াত  
আফ্রিকার রানের চাপে বড় ব্যবধানে হারলো আফগানিস্তান
আগামীকাল দুই বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে
অপারেশন ডেভিল হান্ট: ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার ৪৬১
খিলগাঁওয়ে স-মিলে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১০ ইউনিট
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
পশ্চিম তীরে নতুন করে হামলার নির্দেশ দিলেন নেতানিয়াহু
মেসির অটোগ্রাফ চেয়ে শাস্তি পেলেন রেফারি
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বেনাপোলে হয়নি দুই বাংলার মিলন মেলা
মাতৃভাষার গুরুত্ব ও ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে যা বললেন ড. ইউনূস
চলন্ত বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি: তিন দিন পর মামলা, আতঙ্কে যাত্রীরা
বিপ্লবের আত্মত্যাগ উন্নত বাংলাদেশের পথে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে : পররাষ্ট্রসচিব
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে ২০২৪ সালে আওয়ামী সরকারের পতনের কারণ উদঘাটন
চ্যাম্পিয়নশিপের দল শেফিল্ডে মাসে ৪০ কোটি টাকা বেতন পাবেন হামজা চৌধুরী
পবিপ্রবিতে আবাসিক হলগুলোর নাম পরিবর্তন, মুছে ফেলা হলো শেখ পরিবারের নাম