রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব -২

যারা যুদ্ধ করেছিল

সাকিব যেদিন শুনল মমিন যুদ্ধে যাবে সেদিনই মমিনের কাছে এসে বলল, ‘এই পাগলামির কোনো মানে হয়? তুই কি করে ভাবলি পাকিস্তানি মিলিটারি পুঁচকে মুক্তিবাহিনীর কাছে হেরে যাবে এবং তারপর দেশ স্বাধীন হবে? তুই কি পাগল হয়েছিস?’

‘দেখ সাকিব, এই যুদ্ধ দীর্ঘদিন চলবে। আমার ধারণা, পাকিস্তানিরা একসময় মনোবল হারিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়বে।’ ‘তুই উল্টোটা বুঝেছিস। পাকিস্তানিরা মনোবল হারাবে না। মনোবল হারাবে ভাইতা বাঙালি। বাঙালির কাছে কি এমন অস্ত্র আছে যে সেই অস্ত্র দিয়ে তারা শক্তিশালী পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে? ইন্ডিয়া তোদের নাচাচ্ছে আর তোরা বেকুবের মতো নাচছিস। তুই আর যাই করিস তোর পরিবারকে ধ্বংস করিস না।’ সাকিব জোর দিয়ে বলল।

মমিন বলল, ‘শুধু অস্ত্র দিয়ে যুদ্ধ হয় না। যুদ্ধের প্রধান শক্তি মনোবল। পাকিস্তানিরা আমাদের দেশ ধ্বংস করতে এসেছে আর আমরা আমাদের মাতৃভূমির স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করব। দুয়ের মধ্যে বিস্তর ব্যবধান। তুই সেই ব্যবধান ধরতে পারছিস না।’
‘তুই যুদ্ধে গেলে ব্যাপারটা কি চাপা থাকবে? সবাই জেনে যাবে তুই যুদ্ধে গেছিস। তখন রাজাকাররা এসে তোর বাবা-মাকে ধরে নিয়ে যাবে। এই ব্যাপারটি তুই একবারের জন্যেও ভাবছিস না।’
‘ভাববো না কেন? অবশ্যই ভাবছি।’
‘তারপরও তুই যুদ্ধে যেতে চাইছিস? তোর কলেজ পড়ুয়া বোন সাথীর কথা একটু হলেও ভাবা দরকার। যদি তোর কারণে রাজাকাররা ওকে তুলে নিয়ে যায়?’

মমিনকে ভাবনা কাতর দেখায়। নিঃশব্দে মাথা নামিয়ে থাকে। তারপর দৃঢ় কণ্ঠে বলে, ‘তুলে নিয়ে গেলে আমি থাকলেই কি ঠেকাতে পারব?’
‘তারমানে তুই যুদ্ধে যাবি?’
‘হ্যা। যুদ্ধে আমাকে যেতেই হবে। দেশটা শত্রুমুক্ত করতে হবে। পাকিস্তানিরা এই দেশটাকে জাহান্নাম বানিয়ে ফেলেছে। আর বাবা-মায়ের কথা বলছিস? অন্য যারা যুদ্ধে গেছে তাদের বাবা মায়ের যা হবে আমার বাবা-মায়েরও তাই হবে। আমার প্রশ্ন, তুই আমাকে যুদ্ধে যেতে বারণ করছিস, এ দেশটা কি তোর না? তুই যুদ্ধে যাচ্ছিস না কেন?’
‘তোর মতো আমাকে পাগলা কুত্তা কামড়ায়নি। আমি বেকুবের মতো নিজের জানটা নিজে নিজেই খোয়াতে চাই না।’ সাকিব রাগত কণ্ঠে বলে চলে যাচ্ছিল। মমিন তাকে ডেকে থামায়। বলে, ‘একটা অনুরোধ করবো। রাখবি?’
‘বল কি অনুরোধ?’
‘তুই আমার বন্ধু। আমার বোন সাথীকে তোর হাতে রেখে গেলাম। তুই ওকে দেখে রাখবি? কথা দে।’

সাকিব থমকে তাকালো মমিনের দিকে। বললো, ‘আমি বুঝতে পারছি না, যুদ্ধে যাওয়ার ব্যাপারে তুই এতো এডামেন্ড কেন? তোকেতো আমি কোনোদিন রাজনীতি করতে দেখিনি। হলে যখন ছিলাম, নেতাদের চাপে পড়ে আমি তবু দু’একদিন মিছিলে গেছি, তোকেতো একদিনও মিছিলে যেতে দেখিনি। সেই তুই যুদ্ধে যাওয়ার জন্য পাগল হয়ে গেছিস। এই ব্যাপারটা আমার মাথায় কিছুতেই ঢুকছে না।’
‘মিছিলে যাওয়া আর যুদ্ধে যাওয়া এক কথা নয়রে সাকিব। যুদ্ধে যাওয়ার নাম দেশপ্রেম। আমি আমার দেশকে ভালবাসি। দেশপ্রেমের টানে আমি যুদ্ধে যেতে চাই।’
‘কোন দেশ?’ সাকিব কঠিন গলায় প্রশ্ন করল।
মমিন বলল, ‘দেশতো একটাই। বাংলাদেশ।’
সাকিব জোর দিয়ে বলল, ‘দিবা স্বপ দেখা বাদ দে। এই দেশ কোনোদিন বাংলাদেশ হবে না। চ্যালেঞ্জ করলাম তোর সঙ্গে। পাকিস্তান ভাঙা অতো সহজ না। ইন্ডিয়া যত ফালাফালি করুক পাকিস্তানের সামনে দাঁড়াতে পারবে না। তুলার মতো উড়ে যাবে।’
‘সে যা ইচ্ছে হোক। তুই আমাকে কথা দে। আমার কথাটা গোপন রাখবি। আর আমার বোন সাথীকে তুই দেখে রাখবি। তোর ভরসায় সাথীকে রেখে গেলাম। রাখবি না আমার কথা?’
‘এতো করে যখন বলছিস। তখন কি আর করা। কথা দিলাম।’ মমিন উঠে সাকিবকে বুকে জড়িয়ে ধরে। আবেগে দুজনই কেঁদে ফেলে।

মমিন আরও দুই বন্ধুর সঙ্গে একদিন ভোর রাতে কাউকে কিছু না জানিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। তাদের লক্ষ্য ভারতের ট্রেনিং ক্যাম্প। যেখানে মুক্তিযোদ্ধাদের ট্রেনিং হচ্ছে। প্রবাসি মুজিবনগর সরকার তরুণ যুবকদের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়ার জন্য ‘স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রের’ মাধ্যমে বার বার আহ্বান জানাচ্ছে।

গ্রাম পেরিয়ে যেতে মমিন একবার ঘুরে দাঁড়িয়ে দেখে নিল প্রিয় গ্রামকে। দেশ স্বাধীন না হলে এই গ্রামে তার আর ফেরা হবে না। শেষবারের মতো দেখে নিল গ্রাম। বুকের মথ্যে হু হু করে ওঠে। চোখ ভিজে আসে। পেছনে ফেলে গেল বৃদ্ধ পিতা-মাতা আর কলেজ পড়ুয়া ছোট বোন সাথীকে। সাথীর দায়িত্ব বন্ধু সাকিবকে দিয়ে মমিন অনেকটা নিশ্চিন্ত। সাকিব তার ছোটবেলার বন্ধু। সেই স্কুল জীবন থেকে তারা একসঙ্গে বেড়ে উঠছে।

সাকিব অবস্থাপন্ন ঘরের ছেলে। তার বাবা বিডি মেম্বর। মুসলিম লীগের সমর্থক। জেনারেল টিক্কা খান পাকিস্তান রক্ষায় সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে ‘শান্তি কমিটি’ করার নির্দেশ দেওয়ায় সেই ডাকে সাড়া দিয়ে সাকিবের বাবা ফজলুর রহমান ইউনিয়ন ‘শান্তি কমিটি’র মেম্বর হয়েছে। পাঞ্জাবির বুক পকেটে পাকিস্তানের ছোট পতাকা লাগিয়ে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়ায়। সাকিব যে এই কারণে যুদ্ধে যাচ্ছে না এই ব্যাপারটা মমিন ঠিকই বুঝতে পেরেছে। সেও তার বাবার মতো পাকিস্তান পন্থি।

গ্রামে কয়েকজন রাজাকারও হয়েছে। তারা রাইফেলের ট্রেনিং নিয়ে কাধে রাইফেল নিয়ে বীর দর্পে ঘুরে বেড়ায়। এলাকায় রাজাকার বাহিনী গঠিত হয়েছে ফজলুর রহমানের নিজস্ব তত্ত্বাবধানে। রাজাকাররা পাকিস্তান বাহিনীকে সাহায্য করবে। তারা মাস গেলে বেতন পাবে। তারা পাকিস্তান রক্ষা করবে। এটা তাদের ঈমানি দায়িত্ব। তারা জানে না পাকিস্তানের রাজনীতির আসল চরিত্র।

১৯৪৭ সালে দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে হিন্দুস্তান এবং পাকিস্তান রাষ্ট্র গঠিত হয়। মুসলমান সংখ্যা গরিষ্ঠ অঞ্চল নিয়ে পাকিস্তান এবং হিন্দু সংখ্যা গরিষ্ঠ অঞ্চল নিয়ে হিন্দুস্তান। বাংলা ভাগ হলো। কত কত মানুষ নিঃস্ব হয়ে গেল। দেশ ছেড়ে উদ্বাস্তুর মতো রিফুজি হয়ে গেল। সাধের ভিটে মাটি ছেড়ে পালিয়ে অন্যদেশে গেল। পূর্ব বাংলার নাম হলো পূর্ব পাকিস্তান। এই পূর্বপাকিস্তান নাম নিয়ে প্রতিবাদ করেন তরুণ নেতা শেখ মজিবুর রহমান। ১৯৫৭ সালে করাচিতে গণপরিষদের তরুণ সদস্য শেখ মজিবুর রহমান বক্তৃতা দেওয়ার সময় ‘পূর্ব পাকিস্তান’ নামটির প্রতিবাদ করে বলেন, ‘পূর্ব বাংলা নামের একটা ইতিহাস ঐতিহ্য আছে। আর যদি পূর্ব পাকিস্তান নাম রাখতেই হয় তাহলে বাংলার মানুষের জনমত যাচাই করতে হবে। তারা এই নামের পরিবর্তন মেনে নেবে কিনা সেজন্য গণভোট দিতে হবে।’

তার আগেই পূর্ববাংলার জনগণের আশা ভঙ্গ হয়েছে ১৯৪৮ সালে পাকিস্তানের গর্ভনর জেনারেল মোহাম্মদ আলী জিন্নার এক ঘোষণায়। পাকিস্তান জন্মের মাস সাতেক পরে জিন্না ১৯৪৮ সালের ১৯ মার্চ ঢাকায় আসে। ২১ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে সে ঘোষণা দেয়, ‘উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্র ভাষা।’ এরপর ২৪ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একই ঘোষণা দিলে ছাত্ররা তার উক্তির চরম প্রতিবাদ জানায়। শুরু হয় ভাষা আন্দোলন। সারা দেশ প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে। জিন্না হয়ত বুঝতে পারেনি তার উচ্চারিত কিছু কথায় তারই প্রতিষ্ঠিত নতুন দেশটির ভাঙন ডেকে আনতে ভূমিকা রাখবে।

চলবে…

আগের পর্বটি পড়ুন>>>

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-১

আরএ/

Header Ad
Header Ad

স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম নির্বাসিত কবি দাউদ হায়দার মারা গেছেন

কবি দাউদ হায়দার। ছবি: সংগৃহীত

বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রতিবাদী ও স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম নির্বাসিত কবি দাউদ হায়দার আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। জার্মানির বার্লিনে স্থানীয় সময় শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে একটি রিহ্যাবিলিটেশন হোমে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর।

কবির মৃত্যু সংবাদ নিশ্চিত করেছেন লন্ডনপ্রবাসী নাট্যশিল্পী ও সংগঠক স্বাধীন খসরু এবং বার্লিনে অবস্থানরত কবির ঘনিষ্ঠজন সংস্কৃতিকর্মী মাইন চৌধুরী পিটু।

জানা যায়, গেল বছরের ডিসেম্বর থেকে কবি দাউদ হায়দার বার্ধক্যজনিত নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। কয়েক মাস ধরে বার্লিনের বিভিন্ন হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছিল। ১২ ডিসেম্বর নিজ বাসার সিঁড়িতে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হলে তিনি জ্ঞান হারান এবং তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেসময় তাকে ‘কৃত্রিম কোমা’-তে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকায় শেষ পর্যন্ত শনিবার রাতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার মরদেহ বার্লিনেই দাফন করা হবে বলে জানিয়েছেন পিটু। তবে কবির শেষ বিদায়ের সময় ও স্থান নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তার পরিবার ও ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে আলোচনার পর।

দাউদ হায়দার বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম নির্বাসিত কবি হিসেবে পরিচিত। ১৯৭৩ সালে প্রকাশিত তার একটি কবিতা—‘কালো সূর্য্যের কালো জ্যোৎস্নায় কালো বন্যায়’—এর কারণে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১৯৭৪ সালের ২০ মে তাকে মুক্তি দিয়ে পরদিন কলকাতাগামী একটি বিশেষ ফ্লাইটে তুলে দেওয়া হয়। ওই ফ্লাইটে অন্য কোনো যাত্রী ছিল না।

ভারত সরকারও পরবর্তীতে তাকে বহিষ্কার করে। পরে নোবেলজয়ী জার্মান সাহিত্যিক গুন্টার গ্রাসের প্রচেষ্টায় ১৯৮৭ সালে তিনি জার্মানিতে রাজনৈতিক আশ্রয় লাভ করেন এবং সেখানেই বাকিজীবন কাটান।

দাউদ হায়দার বাংলা সাহিত্যে সত্তরের দশকের অন্যতম প্রধান কবি হিসেবে বিবেচিত। তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘জন্মই আমার আজন্ম পাপ’। সাহসী ও প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর হিসেবে তিনি বাংলা কবিতায় আলাদা একটি ধারা সৃষ্টি করেন।

১৯৭৩ সালে লন্ডন সোসাইটি ফর পোয়েট্রি তার একটি কবিতাকে ‘দ্য বেস্ট পোয়েম অব এশিয়া’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। সে সময় তিনি ‘দৈনিক সংবাদ’-এর সাহিত্য পাতার সম্পাদক হিসেবেও কাজ করেছেন। সর্বশেষ তিনি বাংলা ট্রিবিউনে নিয়মিত কলাম লিখতেন।

দাউদ হায়দার ছিলেন চিরকুমার। জীবনের শেষভাগে একাকিত্ব ও বয়সজনিত জটিলতায় ভুগেছেন। তিনি ছিলেন একজন ব্রডকাস্ট সাংবাদিকও।

কবি দাউদ হায়দারের জন্ম ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি, পাবনা জেলায়। নিজের লেখনী ও বিশ্বাসের কারণে স্বদেশ থেকে বহু দূরে দীর্ঘদিন কাটালেও বাংলা ভাষা ও সাহিত্যই ছিলেন তার চেতনাজগতের কেন্দ্রবিন্দু।

Header Ad
Header Ad

পাকিস্তানে সেনাবাহিনী-সন্ত্রাসী গোলাগুলি, দুই সেনাসদস্যসহ নিহত ১৭

ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার তিনটি ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর তুমুল গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই সেনাসদস্যসহ মোট ১৭ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনী।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জনসংযোগ পরিদপ্তর আইএসপিআর এক বিবৃতিতে জানায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে খাইবার পাখতুনখোয়ার কারাক জেলায় অভিযান চালানো হয়। সেখানে আটজন সন্ত্রাসীকে হত্যা করা হয়। একই দিনে উত্তর ওয়াজিরিস্তান ও দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের দুটি স্থানে আরও দুটি অভিযান চালানো হয়।

উত্তর ওয়াজিরিস্তানে চারজন এবং দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের গোমাল জ্যাম এলাকায় তিনজন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে সেনাবাহিনী। এই সংঘর্ষগুলোর একটিতে পাক বাহিনীর দুই সেনা সদস্য প্রাণ হারান।

আইএসপিআরের বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, অভিযানের সময় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করা হয়েছে।

এদিকে, পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ জানিয়েছে, এসব অভিযান ছিল পরিকল্পিত ও গোয়েন্দা তথ্যভিত্তিক। সাম্প্রতিক সময়ে দেশটিতে সন্ত্রাসী হামলার সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে, বিশেষ করে নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে।

‘পাকিস্তান ইন্সটিটিউট ফর কনফ্লিক্ট অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ’ (PICS) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে সন্ত্রাসী হামলার সংখ্যা ডিসেম্বরের তুলনায় প্রায় ৪২ শতাংশ বেড়েছে। এতে করে পুরো অঞ্চলে নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ছে।

Header Ad
Header Ad

টাঙ্গাইলে ট্রাক-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ নিহত ২

ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইলের মধুপুরে ট্রাক-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই জন নিহত হয়েছেন। শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে টাঙ্গাইল-জামালপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের মধুপুর পৌর এলাকার কাইতকাই রূপালী ফিলিং স্টেশনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- ধনবাড়ী উপজেলা পৌর এলাকার চরভাতকুড়া গ্রামের মৃত হাতেম আলীর ছেলে সিএনজি চালা হেলাল উদ্দিন (৫৫)। অপরজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে তিনি সিএনজি যাত্রী ছিলেন।

রবিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে মধুপুর থানার ডিউটি অফিসার মো. মনজুরুল হক এ বিষয়টি নিশ্চিত করছেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শনিবার রাতে দুর্ঘটনা কবলিত সিএনজি ধনবাড়ীর দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগতির ট্রাকের সাথে সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজির চালক ঘটনা স্থলে মারা যান। এ সময় গুরুতর আহত হয় এক যাত্রী।

এরপর তাকে উদ্ধার করে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। পরে রাতেই হাসপাতালে তিনি মারা যায়।

এ ব্যাপারে মধুপুর থানার ডিউটি অফিসার মো. মনজুরুল হক জানান, নিহত সিএনজি চালকের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

অপরদিকে, অজ্ঞাত ওই যাত্রীর পরিচয় পাওয়া যায়নি, শনাক্তের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় আইনগত বিষয় প্রক্রিয়াধীন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম নির্বাসিত কবি দাউদ হায়দার মারা গেছেন
পাকিস্তানে সেনাবাহিনী-সন্ত্রাসী গোলাগুলি, দুই সেনাসদস্যসহ নিহত ১৭
টাঙ্গাইলে ট্রাক-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ নিহত ২
হজের ফ্লাইট শুরু মঙ্গলবার, উদ্বোধন করবেন ধর্ম উপদেষ্টা
ইরানের বন্দরে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ১৪, আহত সাড়ে ৭ শতাধিক
ধর্ষণের শিকার জুলাই আন্দোলনে শহীদের মেয়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
সিন্ধুর পানি ছাড়ল ভারত, হঠাৎ বন্যায় ডুবলো পাকিস্তানের কাশ্মীর
রিয়ালের হৃদয়ভাঙা রাত, কোপা দেল রে চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা
উত্তরায় সেলফি তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় তরুণ-তরুণীর মৃত্যু
জাতীয় গ্রিডে যান্ত্রিক ত্রুটিতে ১০ জেলায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট
আবারও দুই ধাপে ৬ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা
পাকিস্তানি হামলার আশঙ্কায় বাঙ্কারে আশ্রয় নিচ্ছেন ভারতীয়রা
চীনা প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করলো বিএনপি
আওয়ামী লীগ ভারতের গোলামী করা দল : নুরুল হক নুর
ইরানের রাজাই বন্দরে শক্তিশালী বিস্ফোরণ, আহত ৫১৬ জন
প্রায় দুই ঘণ্টা পর মেট্রোরেল চলাচল স্বাভাবিক
গোবিন্দগঞ্জে মৃত আওয়ামী লীগ নেতার নামে জামাতের মামলা
গুজরাটে ১ হাজারের বেশি বাংলাদেশি গ্রেফতারের দাবি পুলিশের
নওগাঁর রাণীনগর ও আত্রাই বাসীর গলার কাঁটা ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ অবশেষে সংস্কার
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মেট্রোরেল চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ