বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব -২

যারা যুদ্ধ করেছিল

সাকিব যেদিন শুনল মমিন যুদ্ধে যাবে সেদিনই মমিনের কাছে এসে বলল, ‘এই পাগলামির কোনো মানে হয়? তুই কি করে ভাবলি পাকিস্তানি মিলিটারি পুঁচকে মুক্তিবাহিনীর কাছে হেরে যাবে এবং তারপর দেশ স্বাধীন হবে? তুই কি পাগল হয়েছিস?’

‘দেখ সাকিব, এই যুদ্ধ দীর্ঘদিন চলবে। আমার ধারণা, পাকিস্তানিরা একসময় মনোবল হারিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়বে।’ ‘তুই উল্টোটা বুঝেছিস। পাকিস্তানিরা মনোবল হারাবে না। মনোবল হারাবে ভাইতা বাঙালি। বাঙালির কাছে কি এমন অস্ত্র আছে যে সেই অস্ত্র দিয়ে তারা শক্তিশালী পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে? ইন্ডিয়া তোদের নাচাচ্ছে আর তোরা বেকুবের মতো নাচছিস। তুই আর যাই করিস তোর পরিবারকে ধ্বংস করিস না।’ সাকিব জোর দিয়ে বলল।

মমিন বলল, ‘শুধু অস্ত্র দিয়ে যুদ্ধ হয় না। যুদ্ধের প্রধান শক্তি মনোবল। পাকিস্তানিরা আমাদের দেশ ধ্বংস করতে এসেছে আর আমরা আমাদের মাতৃভূমির স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করব। দুয়ের মধ্যে বিস্তর ব্যবধান। তুই সেই ব্যবধান ধরতে পারছিস না।’
‘তুই যুদ্ধে গেলে ব্যাপারটা কি চাপা থাকবে? সবাই জেনে যাবে তুই যুদ্ধে গেছিস। তখন রাজাকাররা এসে তোর বাবা-মাকে ধরে নিয়ে যাবে। এই ব্যাপারটি তুই একবারের জন্যেও ভাবছিস না।’
‘ভাববো না কেন? অবশ্যই ভাবছি।’
‘তারপরও তুই যুদ্ধে যেতে চাইছিস? তোর কলেজ পড়ুয়া বোন সাথীর কথা একটু হলেও ভাবা দরকার। যদি তোর কারণে রাজাকাররা ওকে তুলে নিয়ে যায়?’

মমিনকে ভাবনা কাতর দেখায়। নিঃশব্দে মাথা নামিয়ে থাকে। তারপর দৃঢ় কণ্ঠে বলে, ‘তুলে নিয়ে গেলে আমি থাকলেই কি ঠেকাতে পারব?’
‘তারমানে তুই যুদ্ধে যাবি?’
‘হ্যা। যুদ্ধে আমাকে যেতেই হবে। দেশটা শত্রুমুক্ত করতে হবে। পাকিস্তানিরা এই দেশটাকে জাহান্নাম বানিয়ে ফেলেছে। আর বাবা-মায়ের কথা বলছিস? অন্য যারা যুদ্ধে গেছে তাদের বাবা মায়ের যা হবে আমার বাবা-মায়েরও তাই হবে। আমার প্রশ্ন, তুই আমাকে যুদ্ধে যেতে বারণ করছিস, এ দেশটা কি তোর না? তুই যুদ্ধে যাচ্ছিস না কেন?’
‘তোর মতো আমাকে পাগলা কুত্তা কামড়ায়নি। আমি বেকুবের মতো নিজের জানটা নিজে নিজেই খোয়াতে চাই না।’ সাকিব রাগত কণ্ঠে বলে চলে যাচ্ছিল। মমিন তাকে ডেকে থামায়। বলে, ‘একটা অনুরোধ করবো। রাখবি?’
‘বল কি অনুরোধ?’
‘তুই আমার বন্ধু। আমার বোন সাথীকে তোর হাতে রেখে গেলাম। তুই ওকে দেখে রাখবি? কথা দে।’

সাকিব থমকে তাকালো মমিনের দিকে। বললো, ‘আমি বুঝতে পারছি না, যুদ্ধে যাওয়ার ব্যাপারে তুই এতো এডামেন্ড কেন? তোকেতো আমি কোনোদিন রাজনীতি করতে দেখিনি। হলে যখন ছিলাম, নেতাদের চাপে পড়ে আমি তবু দু’একদিন মিছিলে গেছি, তোকেতো একদিনও মিছিলে যেতে দেখিনি। সেই তুই যুদ্ধে যাওয়ার জন্য পাগল হয়ে গেছিস। এই ব্যাপারটা আমার মাথায় কিছুতেই ঢুকছে না।’
‘মিছিলে যাওয়া আর যুদ্ধে যাওয়া এক কথা নয়রে সাকিব। যুদ্ধে যাওয়ার নাম দেশপ্রেম। আমি আমার দেশকে ভালবাসি। দেশপ্রেমের টানে আমি যুদ্ধে যেতে চাই।’
‘কোন দেশ?’ সাকিব কঠিন গলায় প্রশ্ন করল।
মমিন বলল, ‘দেশতো একটাই। বাংলাদেশ।’
সাকিব জোর দিয়ে বলল, ‘দিবা স্বপ দেখা বাদ দে। এই দেশ কোনোদিন বাংলাদেশ হবে না। চ্যালেঞ্জ করলাম তোর সঙ্গে। পাকিস্তান ভাঙা অতো সহজ না। ইন্ডিয়া যত ফালাফালি করুক পাকিস্তানের সামনে দাঁড়াতে পারবে না। তুলার মতো উড়ে যাবে।’
‘সে যা ইচ্ছে হোক। তুই আমাকে কথা দে। আমার কথাটা গোপন রাখবি। আর আমার বোন সাথীকে তুই দেখে রাখবি। তোর ভরসায় সাথীকে রেখে গেলাম। রাখবি না আমার কথা?’
‘এতো করে যখন বলছিস। তখন কি আর করা। কথা দিলাম।’ মমিন উঠে সাকিবকে বুকে জড়িয়ে ধরে। আবেগে দুজনই কেঁদে ফেলে।

মমিন আরও দুই বন্ধুর সঙ্গে একদিন ভোর রাতে কাউকে কিছু না জানিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। তাদের লক্ষ্য ভারতের ট্রেনিং ক্যাম্প। যেখানে মুক্তিযোদ্ধাদের ট্রেনিং হচ্ছে। প্রবাসি মুজিবনগর সরকার তরুণ যুবকদের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়ার জন্য ‘স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রের’ মাধ্যমে বার বার আহ্বান জানাচ্ছে।

গ্রাম পেরিয়ে যেতে মমিন একবার ঘুরে দাঁড়িয়ে দেখে নিল প্রিয় গ্রামকে। দেশ স্বাধীন না হলে এই গ্রামে তার আর ফেরা হবে না। শেষবারের মতো দেখে নিল গ্রাম। বুকের মথ্যে হু হু করে ওঠে। চোখ ভিজে আসে। পেছনে ফেলে গেল বৃদ্ধ পিতা-মাতা আর কলেজ পড়ুয়া ছোট বোন সাথীকে। সাথীর দায়িত্ব বন্ধু সাকিবকে দিয়ে মমিন অনেকটা নিশ্চিন্ত। সাকিব তার ছোটবেলার বন্ধু। সেই স্কুল জীবন থেকে তারা একসঙ্গে বেড়ে উঠছে।

সাকিব অবস্থাপন্ন ঘরের ছেলে। তার বাবা বিডি মেম্বর। মুসলিম লীগের সমর্থক। জেনারেল টিক্কা খান পাকিস্তান রক্ষায় সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে ‘শান্তি কমিটি’ করার নির্দেশ দেওয়ায় সেই ডাকে সাড়া দিয়ে সাকিবের বাবা ফজলুর রহমান ইউনিয়ন ‘শান্তি কমিটি’র মেম্বর হয়েছে। পাঞ্জাবির বুক পকেটে পাকিস্তানের ছোট পতাকা লাগিয়ে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়ায়। সাকিব যে এই কারণে যুদ্ধে যাচ্ছে না এই ব্যাপারটা মমিন ঠিকই বুঝতে পেরেছে। সেও তার বাবার মতো পাকিস্তান পন্থি।

গ্রামে কয়েকজন রাজাকারও হয়েছে। তারা রাইফেলের ট্রেনিং নিয়ে কাধে রাইফেল নিয়ে বীর দর্পে ঘুরে বেড়ায়। এলাকায় রাজাকার বাহিনী গঠিত হয়েছে ফজলুর রহমানের নিজস্ব তত্ত্বাবধানে। রাজাকাররা পাকিস্তান বাহিনীকে সাহায্য করবে। তারা মাস গেলে বেতন পাবে। তারা পাকিস্তান রক্ষা করবে। এটা তাদের ঈমানি দায়িত্ব। তারা জানে না পাকিস্তানের রাজনীতির আসল চরিত্র।

১৯৪৭ সালে দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে হিন্দুস্তান এবং পাকিস্তান রাষ্ট্র গঠিত হয়। মুসলমান সংখ্যা গরিষ্ঠ অঞ্চল নিয়ে পাকিস্তান এবং হিন্দু সংখ্যা গরিষ্ঠ অঞ্চল নিয়ে হিন্দুস্তান। বাংলা ভাগ হলো। কত কত মানুষ নিঃস্ব হয়ে গেল। দেশ ছেড়ে উদ্বাস্তুর মতো রিফুজি হয়ে গেল। সাধের ভিটে মাটি ছেড়ে পালিয়ে অন্যদেশে গেল। পূর্ব বাংলার নাম হলো পূর্ব পাকিস্তান। এই পূর্বপাকিস্তান নাম নিয়ে প্রতিবাদ করেন তরুণ নেতা শেখ মজিবুর রহমান। ১৯৫৭ সালে করাচিতে গণপরিষদের তরুণ সদস্য শেখ মজিবুর রহমান বক্তৃতা দেওয়ার সময় ‘পূর্ব পাকিস্তান’ নামটির প্রতিবাদ করে বলেন, ‘পূর্ব বাংলা নামের একটা ইতিহাস ঐতিহ্য আছে। আর যদি পূর্ব পাকিস্তান নাম রাখতেই হয় তাহলে বাংলার মানুষের জনমত যাচাই করতে হবে। তারা এই নামের পরিবর্তন মেনে নেবে কিনা সেজন্য গণভোট দিতে হবে।’

তার আগেই পূর্ববাংলার জনগণের আশা ভঙ্গ হয়েছে ১৯৪৮ সালে পাকিস্তানের গর্ভনর জেনারেল মোহাম্মদ আলী জিন্নার এক ঘোষণায়। পাকিস্তান জন্মের মাস সাতেক পরে জিন্না ১৯৪৮ সালের ১৯ মার্চ ঢাকায় আসে। ২১ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে সে ঘোষণা দেয়, ‘উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্র ভাষা।’ এরপর ২৪ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একই ঘোষণা দিলে ছাত্ররা তার উক্তির চরম প্রতিবাদ জানায়। শুরু হয় ভাষা আন্দোলন। সারা দেশ প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে। জিন্না হয়ত বুঝতে পারেনি তার উচ্চারিত কিছু কথায় তারই প্রতিষ্ঠিত নতুন দেশটির ভাঙন ডেকে আনতে ভূমিকা রাখবে।

চলবে…

আগের পর্বটি পড়ুন>>>

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-১

আরএ/

Header Ad

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা

ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এ নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সকল মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। কেউ কারো উপরে না, আবার কেউ কারো নিচেও না, এই ধারণা আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে সম্প্রতি আমরা অর্জন করেছি, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। যে সুযোগ তারা আমাদের দিয়েছে, তার মাধ্যমে আমাদের দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করে যারা দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে জাতি তাদের সারা জীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বক্তব্য শেষে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

Header Ad

নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁ শহরে যানযট নিরসন ও শৃঙ্খলা ফেরাতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক-শ্রমিকদের যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এতে শহরে শৃঙ্খলা ফিরবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অভিযানের উদ্বোধন করেন নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক টি.এম.এ মমিন। এ সময় নওগাঁ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিয়া উদ্দিন, নওগাঁ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন, নওগাঁ জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আফজাল হোসেন ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান শুরুর পর থেকেই শহরের বরুনকান্দি, মশরপুর, তাজের মোড় ও কালীতলাসহ মোট ৮ টি প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেক পোষ্টগুলোতে ২ জন পুলিশ সদস্য, ২ জন ছাত্র সমন্বয়ক, ৪ জন রোভার স্কাউট সদস্য ও ২ জন রিকশা মালিক শ্রমিক প্রতিনিধিসহ মোট ১২ জন করে কাজ করছেন।

পৌর প্রশাসক জানান, নওগাঁ শহরে বৈধ যানবাহনের সংখ্যা ৪ হাজার। কিন্তু প্রতিদিন পার্শবতী বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ১০ হাজার রিকশা, ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা ও ইজিবাইক শহরে প্রবেশ করে। এতে তীব্র যানযট ও জন মানুষের ভোগান্তি তৈরী হয়। এই দূর্ভোগ লাঘোবে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল ও পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিনের দিক নির্দেশনায় যানবাহন নিয়ন্ত্রনসহ বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। বৈধ চালকদের চিহ্নিত করতে তাদের মাঝে পরিধেয় বিশেষ ধরনের জ্যাকেট প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, নওগাঁ শহরের যানযট দীর্ঘদিনের সমস্যা। পরিকল্পিত ভাবে এই সমস্যা দূর করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের উদ্যোগে পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের সমন্বয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন ষ্টেক হোল্ডারদের পরামর্শ নিয়ে একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, অভিযান সফল ভাবে বাস্তবায়ন হলে শহরে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। জনগন এর সুফল পাবেন। সকলকে এই কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানান তিনি।

Header Ad

২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত

বক্তব্য রাখছেন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে ২০২৬ সালের মাঝামাঝি নির্বাচন হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকারের নৌ পরিবহন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ডক্টর এম সাখাওয়াত হোসেন।

সম্প্রতি ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাউস অব লর্ডসে মানবাধিকার সংগঠন ‘ভয়েস ফর বাংলাদেশ’ আয়োজিত সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

‘ডিসকাশন অন ডেমোক্রেটিক কলাপ্স অ্যান্ড রিবিল্ডিং অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই সম্মেলনে হাউস অব লর্ডসের সিনিয়র সদস্য আলেক্সান্ডার চার্লস কার্লাইল কিউসি সভাপতিত্ব করেন। ভয়েস ফর বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্রডকাস্টার আতাউল্লাহ ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এম সাখাওয়াত হোসেন।

সম্মেলেনে সাবেক ব্রিটিশ মন্ত্রী পল স্কালি বলেন, বাংলাদেশে যে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে, তার সঠিক তদন্ত শেষে যথাযথ বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে করে এ ধরনের ঘটনার পুররাবৃত্তি না হয়।

লর্ড হোসাইন বলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার সব সংস্কার এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে সব ধরনের সহায়তা পাবে।

সম্মেলনে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান লেবার দলীয় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি রুপা হক।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
ধামরাইয়ে শ্রমিকবাহী বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৪