বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-২০

স্নানের শব্দ

শবনমকে যদি এই মুহূর্তে কেউ জিজ্ঞেস করে, পদোন্নতি হওয়ার পর সে সুখী কিনা। তাহলে হয়তো সরাসরি এর উত্তর ‘হ্যাঁ’ কিংবা ‘না’ বলে এক কথায় সে দিতে পারবে না। তবে যদি কেউ জানতে চায় সে খুশি কি না, তখন হয়তো সে নিজেকে একজন খুশি মানুষ বা সন্তুষ্ট মানুষ বলে দাবি করতে পারবে।

ক্যারিয়ারে পদ-পদবি অবশ্যই একটা প্রাপ্তি কিন্তু শবনম আসলে আনন্দ খুঁজে পায় তার কাজে। সেজন্যই দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে শুধু রুটিন কাজ না করে কীভাবে প্রতিষ্ঠানটিকে আরও গতিশীল ও শৃঙ্খলাপূর্ণ করা যায় সেসব নিয়ে ভাবছিল সে। বোর্ড মেম্বারদের অনুমোদনের জন্য কিছু পেপার ওয়ার্কও গুছিয়ে রাখছিল। এক ধরনের সূক্ষ্ম আত্মতুষ্টি, হয়তো অবচেতন মনের খুব নিচের স্তরের তলানিতে ছাই চাপা আগুনের মতো হাল্কা আত্মঅহংকারও জন্ম নিয়েছিল শবনমের মনে।
এর মধ্যেই ওসমান গণির দুর্নীতি তদন্তে গঠিত কমিটি ও অফিশিয়াল তথ্য ফাঁসকারীদের চিহ্নিতকরণ কমিটি তাদের তদন্তের ফলাফল প্রকাশ করল। অফিসে বেশ কিছুদিন ধরেই অনেক রকম কানাঘুসা শোনা যাচ্ছিল। তাতে মনিরুজ্জামান ও তার সঙ্গী ছেলেটা মানে ইন্টারনাল অডিটের কিবরিয়া খুব ঘাবড়ে গিয়েছিল।

পর পর দুইদিন ফোনে মনিরুজ্জামানের আকুতি ঝরে পড়লো। ‘ম্যাডাম, একটু কথা বলতে চাই আপনার সাথে, প্লিজ ম্যাডাম একটু সময় দেন! আমরা কি আপনার রুমে এসে দেখা করবো?’

প্রথমে শবনম পাত্তা দিতে চায়নি, পরে বাধ্য হয়েই বললো, ‘অফিসে না। শুক্রবার সকালে আমার বাসায় আসো।’
শবনম দেখলো দুজনেই ভীষণ মুষড়ে পড়েছে। চেহারায় চিন্তার ছাপ। চোখের নিচে নিদ্রাহীনতার কালি। শবনম ওদের ড্রইংরুমে বসিয়ে রাহেলার মাকে বললো চা দিতে। তারপর দুজনের মুখোমুখি বসে ধমকের সুরে বললো,
‘কি ব্যাপার? চেহারা এমন হয়েছে কেনো? যেন কত বছর ধরে খাও না, ঘুমাও না!’
‘ম্যাডাম, খুব দুশ্চিন্তা হচ্ছে। মনে হচ্ছে খুব খারাপ কিছু ঘটবে। আমার ডিপার্টমেন্টের প্রায় সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। আমাকেও।’
কিবরিয়া বললো কাঁপা কণ্ঠে।
‘আচ্ছা, সে তো করবেই। তুমি কি সব বলে দিয়েছো?’
‘না ম্যাডাম, বলিনি তবে উনারা খুব চেপে ধরেছিল। জেরার পর জেরা। আমার খুব ভয় লাগছে ম্যাডাম। উনারা বলছেন প্রয়োজনে নাকি আবারো ডাকবেন।’
‘শোনো কিবরিয়া, আগে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করো। নিজে শক্ত থাকলে অন্যরা কিছু করতে পারবে না। ওই কথাটা তো জানো, নৌকা এমনি এমনি ডুবে না। পানি যখন বাইরে থেকে নৌকার ভেতরে ঢোকে তখনই নৌকা ডোবে। আর নৌকাতে ফুটা থাকলেই পানি ঢোকার সুযোগ পায়।’
‘আপনি কিন্তু বিষয়টা সিরিয়াসলি দেখবেন ম্যাডাম! আপনার জন্যই কাজটা করেছি।’ মনিরুজ্জামান কাতর স্বরে অনুনয় করে।
‘নিশ্চয়ই দেখব।’ শবনম আশ্বাস দেয়। তারপর একটু থেমে বলে, ‘কাজটা কি শুধু আমার জন্যই করেছো নাকি ওসমান গণিকে অপছন্দ করতে বলে করেছো, ঠিক করে বলো তো!’
‘দুটো কারণই সত্যি ম্যাডাম।’ মনিরুজ্জামান কাঁচুমাচু হয়ে বলে।
‘আমি কি তোমাদের কখনো বলেছিলাম ওসমান গণির দুর্নীতির তথ্য প্রমাণ খুঁজে বের করো! তোমরা নিজ দায়িত্বে সেটা করেছ, হ্যাঁ, এর ফল আমার পক্ষে গেছে বলে আমার কাজে লেগেছে। সেই জন্যই তোমাদের পাশে আছি আমি। চিন্তা করো না।’

ওরা দুজন চলে যাওয়ার পর তারেক জানতে চেয়েছিল, অফিসে কোনো সমস্যা কিনা। শবনম মৃদু হেসে বিয়য়টা এড়িয়ে গেছে।

এই মুহূর্তে শবনমের টেবিলের ওপর দুই কমিটির রিপোর্ট পাশাপাশি পড়ে আছে। কিছুক্ষণ আগে এসেছে এইগুলো। ছাদে ঘুরতে থাকা ফ্যানের বাতাসে স্ট্যাপল করা রিপোর্টের পাতাগুলো একটু একটু উড়ছে। তদন্তে অফিসের স্টাফ বাস কেনায় ওসমান গণির দুর্নীতি প্রমাণিত হয়েছে। অবশ্য নিয়মিত বাৎসরিক এডিটের সময় সেটা ঠিকই ধরা পড়তো। ওসমান গণির বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। যেহেতু সে আগেই চাকরি থেকে অব্যাহতি নিয়েছে সেক্ষেত্রে হয়তো তার প্রাপ্য সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে সে। কিংবা প্রতিষ্ঠান ইচ্ছা করলে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলাও করতে পারে।

দ্বিতীয় রিপোর্টটি অফিশিয়াল গোপনীয়তা লঙ্ঘন বা জরুরি তথ্য ফাঁসকারীদের শনাক্তকরণ ও দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রসঙ্গে। সেখানে স্পষ্ট ভাষায় লেখা আছে— তদন্তকারীদের কাছে নিশ্চিতভাবে প্রতীয়মান হয়েছে, এই তথ্য ফাঁস করার সাথে অফিসের অভ্যন্তরীণ কর্মচারি কর্মকর্তাদের যোগসাজস রয়েছে। সন্দেহভাজন হিসেবে যে চার জনের নাম এসেছে তার মধ্যে কিবরিয়া আর মনিরুজ্জামানের নামও আছে। কমিটি এই চারজনকেই শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে চাকরিচ্যুত করার জন্য সুপারিশ করেছে।

দুটি রিপোর্টই সরাসরি শবনমের কাছে এসেছে। বোর্ড মেম্বারদের সামনেও এটা তাকেই উপস্থাপন করতে হবে। পারসোনাল সেক্রেটারিকে ফোন করে কড়া এক কাপ কফি পাঠাতে বললো শবনম। প্রচণ্ড মাথা ধরেছে তার। এ কি এক পরীক্ষার মধ্যে ফেললো তাকে বিধাতা! অভিযুক্তদের বরখাস্ত করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নাকি নিতে হবে তাকেই।

ওসমান গণি চাকরি ছেড়ে দিলেও তার অনুসারীরা এখনো অফিসে তৎপর আছে। শবনম যদি মনিরুজ্জামানদের বরখাস্ত না করে তবে স্বাভাবিকভাবেই সেই অনুসারীরা শবনমকে তাদের মদতদাতা হিসেবে চিহ্নিত করবে। এমনিতেই তারা একট রব তুলেছে যে ওসমান গণির পতনে যেহেতু শবনম সবচে বেশি লাভবান হয়েছে, তখন স্বভাবতই কোনো না কোনোভাবে এই ঘটনার সঙ্গে শবনমের যোগসূত্র আছে। একবার যদি এটা তারা প্রমাণ করতে পারে তবে শবনমের পক্ষে এই পদে টিকে থাকা কঠিন হবে।

আবার নিজ হাতে এই ছেলেগুলোর চাকরিই বা কীভাবে খাবে সে? একধরনের কৃতঘ্নতা হবে সেটা। এমন বিব্রতকর, অস্বস্তিদায়ক পরিস্থিতিতে তার চাকরি জীবনে আর কখনো সে পড়েছে কিনা সন্দেহ। মনিরুজ্জামানদের প্রতি এটা অনেকটা লঘু পাপে গুরুদণ্ড হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বুক ফুলিয়ে ওদের পাশে দাঁড়ানোর নৈতিক জোরটাও পাচ্ছে না শবনম। সেটা কি এই জন্য যে ওদের পক্ষে শক্তভাবে দাঁড়াতে গেলে তার নিজের অবস্থানটা নড়বড়ে হয়ে যাবে!

মনিরুজ্জামানরা নিশ্চয়ই শবনমের ভেতরকার টানাপোড়েনের ব্যাপারটা বুঝতে চাইবে না। তারা ওর উপরেই সমস্ত দোষ চাপাবে। ভাববে ওদের ঘাড়ে পা রেখে উপরে উঠে ম্যাডাম ওদের কথা ভুলে গেছে। শুধু ভুলে যাওয়াই নয়, কর্মস্থল থেকে এখন ওদের বিতাড়নও করতে চাইছেন তিনি। তারা হয়তো একবারো ভাববে না এখানে শবনমের কোনো হাত নেই। পরিস্থিতিটা এমন উত্তপ্ত হয়ে আছে যে সেখানে শবনমের কিছুই করার ছিল না।

গরম কফির কাপে চুমুক দিয়ে হঠাৎ নিজের উপরই রাগ হয় শবনমের। কি দরকার ছিল মনিরুজ্জামানদের সমর্থন দেওয়ার বা নেওয়ার? এইসব বাছুরদের সাহায্য না নিলেও তো পারতো সে! না হয় সিইও হতে পারতো না, না হয় যেখানে ছিল সেখানেই থাকতো অন্তত এরকম যন্ত্রণার মধ্যে তো আর পড়তে হতো না। যাকগে যা হবার তাতো হয়েছেই, এখন আর আফসোস করে কি হবে? চিন্তা করতে হবে কীভাবে দুকূলই রক্ষা করা যায়! যাতে সাপও মরে আবার লাঠিও না ভাঙে!

শবনম না চাইলেও বিকাল নাগাদ অফিসের পিয়ন দারোয়ান থেকে শুরু করে প্রতিটি আসবাব, চেয়ার টেবিল, ইট কাঠ পর্যন্ত জেনে গেল তদন্ত কমিটির রিপোর্টের কথা। সন্ধ্যায় বাসায় ফেরার জন্য বেরুতে যাবে, অমনি শবনমের কক্ষের দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকলো মনিরুজ্জামান। মাথার চুল উসকোখুশকো। চেহারা মলিন।

‘ম্যাডাম, এইটা কি হলো? আপনি থাকতে এই রকম একটা অবস্থায় পড়লাম আমরা ..’
মনিরুজ্জামানের কণ্ঠে হতাশা। শবনম হঠাৎ কি উত্তর দেবে ভেবে পেল না, পি এসকে বলে রেখেছিল কেউ যেন ঘরে না ঢোকে। কোন ফাঁকে কীভাবে মনিরুজ্জামান ঢুকে পড়লো কে জানে! পিএস কি ওয়াশ রুমে গেছে!
‘আমাদের এভাবে বিপদের মধ্যে ফেলে দিয়ে আপনিও কিন্তু ছাড় পাবেন না ম্যাডাম।’
মনিরুজ্জামানের গলার স্বর পাল্টে গেল। চোখ দুটোতে হিংস্র দৃষ্টি। শবনমের চোখে চোখ রেখে সে বললো,
‘আমরা সবাইকে বলবো এই সব আপনি নিজের স্বার্থে আমাদের দিয়ে করিয়েছেন। আপনার প্ররোচনায় আমরা তথ্য ফাঁস করেছি। আপনি হুকুমদাতা।’
‘তুমি কি ব্ল্যাক মেইলিং করতে চাও নাকি? হুমকি দিচ্ছো? এত বাড় বেড়েছে তোমাদের?’
শবনম দাঁতে দাঁত চেপে চাপা গলায় হিসহিস করলো।
‘সেটা আপনি যা মনে করেন ম্যাডাম। কথা পরিষ্কার। আমরা না থাকলে আপনিও থাকবেন না, ব্যাস। যেমনে পারেন এই সিদ্ধান্ত বদলান। নয়তো পরিণতির জন্য আমরা দায়ী থাকব না।’

শবনমকে স্তব্ধ নির্বাক করে দিয়ে যেমন এসেছিল তেমনি আবার ঝড়ের গতিতে বেরিয়ে গেল মনিরুজ্জামান

চলবে…

আরও পড়ুন>>>

স্নানের শব্দ: পর্ব-১৯

স্নানের শব্দ: পর্ব-১৮

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা

ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এ নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সকল মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। কেউ কারো উপরে না, আবার কেউ কারো নিচেও না, এই ধারণা আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে সম্প্রতি আমরা অর্জন করেছি, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। যে সুযোগ তারা আমাদের দিয়েছে, তার মাধ্যমে আমাদের দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করে যারা দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে জাতি তাদের সারা জীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বক্তব্য শেষে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

Header Ad

নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁ শহরে যানযট নিরসন ও শৃঙ্খলা ফেরাতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক-শ্রমিকদের যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এতে শহরে শৃঙ্খলা ফিরবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অভিযানের উদ্বোধন করেন নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক টি.এম.এ মমিন। এ সময় নওগাঁ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিয়া উদ্দিন, নওগাঁ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন, নওগাঁ জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আফজাল হোসেন ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান শুরুর পর থেকেই শহরের বরুনকান্দি, মশরপুর, তাজের মোড় ও কালীতলাসহ মোট ৮ টি প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেক পোষ্টগুলোতে ২ জন পুলিশ সদস্য, ২ জন ছাত্র সমন্বয়ক, ৪ জন রোভার স্কাউট সদস্য ও ২ জন রিকশা মালিক শ্রমিক প্রতিনিধিসহ মোট ১২ জন করে কাজ করছেন।

পৌর প্রশাসক জানান, নওগাঁ শহরে বৈধ যানবাহনের সংখ্যা ৪ হাজার। কিন্তু প্রতিদিন পার্শবতী বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ১০ হাজার রিকশা, ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা ও ইজিবাইক শহরে প্রবেশ করে। এতে তীব্র যানযট ও জন মানুষের ভোগান্তি তৈরী হয়। এই দূর্ভোগ লাঘোবে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল ও পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিনের দিক নির্দেশনায় যানবাহন নিয়ন্ত্রনসহ বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। বৈধ চালকদের চিহ্নিত করতে তাদের মাঝে পরিধেয় বিশেষ ধরনের জ্যাকেট প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, নওগাঁ শহরের যানযট দীর্ঘদিনের সমস্যা। পরিকল্পিত ভাবে এই সমস্যা দূর করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের উদ্যোগে পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের সমন্বয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন ষ্টেক হোল্ডারদের পরামর্শ নিয়ে একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, অভিযান সফল ভাবে বাস্তবায়ন হলে শহরে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। জনগন এর সুফল পাবেন। সকলকে এই কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানান তিনি।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া