শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-১৯

স্নানের শব্দ

অফিস আগেরটাই শুধু শবনমের বসার কক্ষটি পাল্টে গেছে। এই কক্ষে আগেও এসেছে সে, অধস্তন কর্মী হিসেবে মিটিং করতে। এখন এই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বিশালায়তনের সুসজ্জিত কক্ষের অধিকর্তা সে-ই। একপাশে একটা স্মার্ট সুন্দর সেক্রেটারিয়েট টেবিল আর বসার জন্য আরামদায়ক রিভলভিং চেয়ার, সামনে দর্শনার্থীদের বসার উপযোগী হাল্কা নীল রঙের নরম সোফা সেট, দেয়াল জোড়া নান্দনিক বুকশেলফ, ফাইল ক্যাবিনেট, কক্ষের শেষ প্রান্তে কনফারেন্স টেবিল চেয়ার।

এখানে সেখানে চোখের শান্তি দিতে লাল রঙের মাটির টবে ভর করে দাঁড়িয়ে আছে সবুজ সজীব ইনডোর প্ল্যান্ট।

জানালার কাছে গিয়ে দাঁড়ায় শবনম, পর্দা সরিয়ে নিচে তাকায়। এই জানালাটি রাস্তার দিকে মুখ করা, পিলপিল করে চলা সারি সারি গাড়ি ছাড়া এখান থেকে আর অন্য কিছু চোখে পড়ে না। সেই যে দুই দালানের মাঝখানে বেড়ে ওঠা কষ্টসহিষ্ণু নিমগাছটি, সে এখন হারিয়ে গেছে দৃশ্যপট থেকে। অবশ্য অভিনন্দন বার্তা আর কাজের চাপে তার প্রিয় রুগ্ন নিমগাছের জন্য শোক করার অবসর পায় না শবনম।

সারাদিন মিটিংয়ে পর মিটিং চলতেই থাকে। এই ইউনিট শেষ হয় তো আরেক ইউনিটের মিটিং শুরু হয়। ঘণ্টাব্যাপী লম্বা লম্বা ক্লান্তিকর মিটিং চলে। শবনমের প্রায়ই মনে হয়, এ সব মিটিং আধাঘণ্টা এমনকি ১৫ মিনিটেও শেষ করে ফেলা সম্ভব যদি কিনা সবাই টু দ্য পয়েন্টে কথা বলে। সংক্ষেপে মতামত দেয়। কিন্তু শবনম দেখেছে, বেশির ভাগ মানুষই অপ্রাসঙ্গিক আর অপ্রয়োজনীয় কথা বলে টেনে টেনে মিটিং লম্বা করে ফেলে। বয়স্করা শুরু করেন নাইনটিন সিক্সটি সেভেন থেকে, বর্তমান কালে আসতে তাদের ঘণ্টা পার হওয়ার উপক্রম হয়। শবনম অবশ্য কঠোরভাবে বলে দিয়েছে, মিটিংয়ের এজেন্ডার বাইরে বাড়তি কথা বলা যাবে না। তবুও মাঝে মাঝে তাদের ঠেকানো কঠিন হয়ে পড়ে।

সারাদিনে শবনমের কিছু সময় যায় জনসংযোগ করতে, বড় বড় ক্লায়েন্টদের সঙ্গে সম্পর্ক আপডেট রাখতে হয় সবসময়। অফিসের ভেতরকার সমস্যাগুলোও মিটাতে হয়। খেয়াল রাখতে হয় বেচাকেনার। চোখে দেখা যায় না কিন্তু তার কাজের চাপ মোটেও কম না। দিনটা যে কীভাবে ফুড়ুৎ করে কেটে যায়, টের পায় না শবনম। অবশ্য ব্যস্ততা তার ভালই লাগে। হয়ত এরই মধ্যে নেতৃত্বের আনন্দ ও আধিপত্য উপভোগ করতে শুরু করেছে সে। তা ছাড়া কাজের মধ্যে ডুবে থেকে নিজেকে চারপাশের ক্ষুদ্রতা, হীনতা, দীনতা থেকে মুক্ত রাখাও একটা অর্জন। তবে একেক সময় এটাও মনে হয় যে, বেশি ব্যস্ত থাকতে গিয়ে নিজেকে আবার একা করে ফেলছে কিনা?

সেই অর্থে শবনম তো আসলে একাই। প্রতিটি মানুষই একা। দাদী বলতো, একা এসেছ ভবে, একা পুনঃ যেতে হবে। তা ছাড়া, প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ চূড়ায় শুধু একজনই দাঁড়াতে পারে, দুজন নয়। এই একাকীত্ব সে প্রশান্ত চিত্তে মেনে নিয়েছে। একাকীত্বকে সে বরং উপভোগই করে। একা থাকার মুহূর্তগুলোতে কাজে লাগায় আত্মবিশ্লেষণ করে, নিজের সারাদিনের কাজকর্ম, কাজের ভাল দিক মন্দ দিকগুলিকে উল্টেপাল্টে দেখে। বড় ধরনের সিদ্ধান্তগুলি ভুল না শুদ্ধ হলো সেসব নিয়ে ভাবে।
তারেক আর শ্রাবণও তাদের নিজস্ব স্বতন্ত্র পদ্ধতিতে একাকীত্বকে গ্রহণ করে নিয়েছে। তারেক ধর্ম কর্মে মন দিয়েছে। মসজিদে অনেকটা সময় কাটে তার। পাশাপাশি প্রবল উৎসাহে টিভিতে ক্রিকেট ম্যাচ বা ফুটবল খেলা দেখে সে। খেলা না থাকলে বিদেশি মুভি বিশেষ করে বিচিত্র বিষয়ের উপর নির্মিত ডকুমেন্টারিগুলো দেখে তার সময় কেটে যায়।

শ্রাবণ আছে তার পড়া লেখা আর বন্ধুবান্ধব নিয়ে। ইদানিং মাথায় ঢুকেছে বিদেশের কোনো ভাল ইউনিভার্সিটিতে পড়তে যেতে হবে। তাই মেতে আছে স্যাট, টোফেল, আইএলটিএস নিয়ে। পরীক্ষা দেয়, কোচিং করে, বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে আড্ডা মারে। সব মিলিয়ে মন্দ কাটে না তার সময়। শবনমের মনে হয়, তারা তিনজন যেন পাশাপাশি তিনটা আলাদা দ্বীপ, যে যার মতো নিজস্ব জগত নির্মাণ করে সেই জগতের ভেতর ডুবে আছে। অবশ্য মাঝে মাঝে তারা একে অন্যের সান্নিধ্য যে কামনা করে না তা নয়, তবে সেটাও খুবই সীমিত পর্যায়ে। তখন হয়ত তিনজন মিলে দামী কোনো রেস্টুরেন্টে খেতে যায়। নয়তো এক দুদিনের জন্য কোনো বিলাসবহুল রিসোর্টে গিয়ে ওঠে। শ্রাবণের সঙ্গে তারেকের হরদম কথা চলতেই থাকে, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাপ বেটি তুমুল তর্ক করে, কোনো বিষয়ের পক্ষে বিপক্ষে জোরালো মতামত দেয়, শবনম দেখে, শোনে, মুদু হাসে, কখনো মাথা নাড়ে কিন্তু ওই আলোচনায় অংশ নেয় না। তার চুপ করে থাকতেই ভাল লাগে। যেন মনের মধ্যে ডুব দিয়ে লুকানো মণি মুক্তা খুঁজতেই তার আনন্দ।

শ্রাবণ কখনো কখনো বলে— ‘মা তুমি যে একজন মহা প্রতাপশালী সিইও, অফিসের বাইরে সেটা একদম বোঝাই যায় না। কেমন সাধারণ হয়ে থাকো।’

‘নিজের লোকের সামনে তো আমি সাধারণই থাকতে চাই। কেনো তোর খারাপ লাগে?’
‘নাহ্, ভালই লাগে তো..’
শ্রাবণ মাকে জড়িয়ে ধরে বলে। তারপর চোখ বড় করে প্রশ্ন করে,
‘আচ্ছা,মা, অফিসে কী তুমি অনেক কড়া বস? তোমার অফিসের লোকেরা তোমাকে ভয় পায়? মানুষজনকে ধমকের উপর রাখো?’

শবনম হাসে, ‘যারা ঠিকঠাকমতো কাজ করে না, তাদের একটু আধটু ধমক তো দিতেই হয়! সবাই যেন ঠিকমত কাজ করে সেটা খেয়াল করাও তো আমার দায়িত্ব।’
‘আমার বন্ধুরা বলে তোর মা তো অনেক জোস, কত বড় পোস্টে চাকরি করে .. শুনে কিন্তু আমার ভালই লাগে।’
শ্রাবণ লাজুক গলায় বলে। ওর চুল এখন দ্রুত লম্বা হচ্ছে, ফলে উপরের দিকে কালো চুল গজিয়েছে আর রঙীন চুলগুলো নেমে এসেছে নিচের দিকে। ঘাড় কাৎ করে শবনমকে সেই চুল দেখায় শ্রাবণ। ‘দেখছো মা, আস্তে আস্তে চুলের কালার আবার আগের মত হয়ে যাচ্ছে। আর রং করব না। তুমি খুশি?’
‘তুই খুশি থাকলেই আমি খুশি।’
মুখ দিয়ে এই বাক্যটা বের হবার পর শবনম ভাবলো, কবে থেকে এমন হলো যে তার খুশি, মেয়ের খুশি আর আনন্দের সঙ্গে জড়িয়ে গেল!
বিড়াল লীলাবতীকে কোলে নিয়ে আদর করতে করতে শবনমের মতো ভঙ্গী করে শ্রাবণ বললো, ‘লীলা খুশি থাকলে আমিও খুশি।’

দুদিন আগে বনানীর একটা দোকানে নিয়ে মেশিন দিয়ে লীলাবতীর লম্বা ঘন লোম কাটিয়ে আনা হয়েছে। লোম হারিয়ে তার ছোট গোল মুখে বিষণ্নতার ছাপ। বিড়ালও যে বিষণ্ন হয়, আগে জানা ছিল না শবনমের। শ্রাবণ অবশ্য তাকে জাপ্টে ধরে আদর করে তার প্রিয় ক্যাট ফুড খাইয়ে চিয়ার আপ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তারেক নিয়ে এসেছে বিড়ালের প্রিয় খেলনা, লাল বল। কিন্তু লীলাবতী ওদের খুব একটা পাত্তা দিচ্ছে না। সে শ্রাবণের বাহুমুক্ত হয়ে ধীরপায়ে হেঁটে একটা ছোট্ট লাফ দিয়ে সোফায় উঠে আয়েশ করে রাজকীয় ভঙ্গীতে এক কোণায় গ্যাট হয়ে শুয়ে রইল।

চলবে…
আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>
স্নানের শব্দ: পর্ব-১৮

Header Ad
Header Ad

খিলগাঁওয়ের আগুনে পুড়ে ছাই ২০টি দোকান ও দুটি স’মিল

ছবিঃ সংগৃহীত

রাজধানীর খিলগাঁওয়ের তালতলা মার্কেটের পাশের একটি স’মিলে শুক্রবার রাত ৭টা ৩০ মিনিটে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট ৯টা ৩৫ মিনিটে এই আগুন নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়। আগুনে প্রায় ২০টি দোকান ও দুটি স’মিল পুড়ে গেছে।

আগুন নিয়ন্ত্রণের পর ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশনস) লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, কেমিক্যাল ড্রাম বিস্ফোরণে স’মিলে লাগা আগুন চারদিক ছড়িয়ে পড়ে।

তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘খিলগাঁওয়ের আগুনে আনুমানিক ২০টি দোকান এবং দুটি স মিল পুড়েছে। আগুনে হয়তো কেমিক্যাল ড্রাম বিস্ফোরিত হয়েছে; যার ফলে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। আমাদের নয়টি ইউনিট কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থলে আরো চারটি ইউনিট ছিল, তবে সেগুলোকে কাজ করতে হয়নি।

লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘আগুনে কেউ নিখোঁজ রয়েছে এমন কোনো সংবাদ আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত আসেনি। এ ছাড়া আমরা এখন পর্যন্ত আহত ও নিহতের কোনো সংবাদ পাইনি।’

আগুনের উৎসটি কি ছিল প্রাথমিকভাবে জানা গেছে কিনা প্রশ্ন করা হলে ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘এই মুহূর্তে এ বিষয়ে বলা যাবে না তদন্ত ছাড়া। সিগারেটের মাধ্যমে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে নাকি স্যাবোটেজ হয়েছে— এই প্রত্যেকটা বিষয়ে আমাদের তদন্ত করে দেখতে হবে।

অনেকগুলো সোর্স থেকে আগুনের সৃষ্টি হতে পারে। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকেও আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। তাই তদন্ত ছাড়া এ বিষয়ে কিছু বলা যাবে না।’
এদিকে, দুই ঘণ্টা ধরে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাশেদ বিন খালিদ জানান, ‘শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সেখানে আগুন লাগার খবর পাই।

প্রথমে আমাদের দুটি ইউনিট কাজ শুরু করে। পরে আরো সাতটি ইউনিট যোগ দেয়। এরপর রাত ৯টা ৩৫ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন লাগার পরে ফায়ার সার্ভিসকে সহযোগিতা করতে ছুটে আসেন সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র‍্যাবের সদস্যরা।’

তবে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স মিল থেকে আগুন গাড়ির গ্যারেজে ছড়িয়ে পড়ে। পরে গ্যারেজে থাকা বিভিন্ন গাড়িতে আগুন লেগে সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়। এ সময় আশপাশের মানুষ ছোটাছুটি করতে থাকে। উৎসুক জনতার ভিড়ে ফায়ার সার্ভিসকে আগুন নিয়ন্ত্রণে বেশ বেগ পেতে হয়।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানান, ওই এলাকায় একটি গাড়ির গ্যারেজ ও রাবারের কাঁচামালের গোডাউন রয়েছে। কিছু গাড়ি বের করা সম্ভব হলেও অনেক গাড়ি পুড়ে গেছে।

খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দাউদ হোসেন বলেন, ‘ওই স মিল খিলগাঁও থানার কাছেই। পাশের একটি গাড়ির গ্যারেজেও আগুন ছড়িয়েছে। ক্রাউডের কারণে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের কাজ করতে সমস্যা হচ্ছিল।

 

Header Ad
Header Ad

পদ্মাপাড়ে মুখে স্কচটেপ প্যাঁচানো ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার  

ব্যবসায়ী আবুল বাসার ওরফে মিন্টু। ছবিঃ সংগৃহীত

রাজশাহী নগরীর পদ্মাপাড়ে মুখে স্কচটেপ প্যাঁচানো একটি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার বিকালে নগরীর লালন শাহ মুক্তমঞ্চ সংলগ্ন এলাকার কাশবন থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণা, হত্যা করে কাশবনে ফেলে দেওয়া হয়েছে লাশটি।

নিহত ব্যক্তির নাম আবুল বাসার ওরফে মিন্টু (৩৫)। পেশায় ব্যবসায়ী মিন্টু নগরীর মির্জাপুর পূর্বপাড়া মহল্লার বাসিন্দা। বিনোদপুর বাজারে তার ইলেকট্রিক ব্যবসার দোকান আছে।

নগরীর রাজপাড়া থানার ওসি আশরাফুল ইসলাম জানান, কাশবনে ঘুরতে আসা কয়েকজন লাশটি দেখে পুলিশে খবর দেয়। ঘুরতে আসা অনেকে লাশের ছবিটি সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মগুলোতে শেয়ার করে। জানাজানির পর নিহতের পরিবার ঘটনাস্থলে এসে লাশটি শনাক্ত করে।

আশরাফুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে মিন্টুর খোঁজ পাচ্ছিল না পরিবার। কাশবনে তার মুখ পলিথিন দিয়ে ঢাকা ছিল। পলিথিনের ওপর স্কচটেপ প্যাঁচানো ছিল।

ওসি আরও বলেন, ‘আলামত দেখে মনে হয়েছে এটি হত্যাকাণ্ড। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে হত্যা মামলা হবে।’

Header Ad
Header Ad

সার্ক পুনরুজ্জীবনের প্রশ্নে বাংলাদেশকে যে বার্তা দিলো ভারত

ওমানের মাসকটে অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের বৈঠক। ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি ওমানের রাজধানী মাস্কাটে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার ( ২১ ফেব্রুয়ারি) নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ভারত- বাংলাদেশের মধ্যকার উক্ত বৈঠকের আলোচ্য বিষয়ে কিছু তথ্য তুলে ধরেছেন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল।

তিনি বলেন, মাস্কাটে ওই বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সার্ক পুনরুজ্জীবনের প্রসঙ্গটি তুলেছিলেন। দক্ষিণ এশিয়ার সবাই জানে কোন দেশ ও তার কী ধরনের কর্মকাণ্ড সার্ককে কোণঠাসা করে রেখেছে। তৌহিদ হোসেনকে জয়শঙ্কর এ কথাও বলেছেন, সন্ত্রাসবাদের স্বাভাবিকীকরণ করাটা বাংলাদেশের উচিত নয়।

ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের কোনো কোনো উপদেষ্টার কিছু কিছু মন্তব্য নিয়েও প্রশ্ন করা হয়। জবাবে রণধীর জয়সোয়াল বলেন, ভারত এসব মন্তব্য নজরে রেখেছে। ওই ধরনের মন্তব্য ও বাংলাদেশের সঙ্গে কাজকর্মে তার প্রভাব–প্রতিক্রিয়ার বিষয়ও ভারতের গোচরে রয়েছে।

তিনি বলেন, এ ধরনের মন্তব্য অবশ্যই সহায়ক নয়। এর প্রতিক্রিয়া কী, তা তাদেরই ভেবে দেখা দরকার।

নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফের মহাপরিচালকদের বৈঠক সদ্য শেষ হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক এক প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, বাংলাদেশে ৫ আগস্টের পালাবদলের পর সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগগুলো অতিরঞ্জিত, মিডিয়ার সৃষ্টি।

এ প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে জয়সোয়াল বলেন, গত কয়েক মাসে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর কী হয়েছে, সে বিষয়ে সবাই অবগত। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে ভারতের উদ্বেগ বারবার প্রকাশ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সম্প্রতি ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকেও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ওই প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। যুক্তরাষ্ট্রকেও এ বিষয়ে ভারতের উদ্বেগের কথা জানানো হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খিলগাঁওয়ের আগুনে পুড়ে ছাই ২০টি দোকান ও দুটি স’মিল
পদ্মাপাড়ে মুখে স্কচটেপ প্যাঁচানো ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার  
সার্ক পুনরুজ্জীবনের প্রশ্নে বাংলাদেশকে যে বার্তা দিলো ভারত
জামায়াতের আমিরকে যানজট মুক্ত করতে গিয়ে প্রাণ দিলেন কর্মী
সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা  
একুশে টিভির জিডি, কর্মচারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে জামায়াত  
আফ্রিকার রানের চাপে বড় ব্যবধানে হারলো আফগানিস্তান
আগামীকাল দুই বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে
অপারেশন ডেভিল হান্ট: ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার ৪৬১
খিলগাঁওয়ে স-মিলে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১০ ইউনিট
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
পশ্চিম তীরে নতুন করে হামলার নির্দেশ দিলেন নেতানিয়াহু
মেসির অটোগ্রাফ চেয়ে শাস্তি পেলেন রেফারি
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বেনাপোলে হয়নি দুই বাংলার মিলন মেলা
মাতৃভাষার গুরুত্ব ও ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে যা বললেন ড. ইউনূস
চলন্ত বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি: তিন দিন পর মামলা, আতঙ্কে যাত্রীরা
বিপ্লবের আত্মত্যাগ উন্নত বাংলাদেশের পথে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে : পররাষ্ট্রসচিব
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে ২০২৪ সালে আওয়ামী সরকারের পতনের কারণ উদঘাটন
চ্যাম্পিয়নশিপের দল শেফিল্ডে মাসে ৪০ কোটি টাকা বেতন পাবেন হামজা চৌধুরী
পবিপ্রবিতে আবাসিক হলগুলোর নাম পরিবর্তন, মুছে ফেলা হলো শেখ পরিবারের নাম