বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

নয়নের জল নয়নে শুকায়

সরকারি চাকরি থেকে অবসর নেবার আর কয়েক মাস বাকী। নির্ঝঞ্ঝাটের মধ্যে অবশিষ্ট দিনগুলি কাটিয়ে দিতে চাইছেন অ্যাডভোকেট আফসার খান। এমন সময়ে ইংল্যান্ডের একটি আন্তর্জাতিক ‘ল’ সোসাইটি’ তাকে সাদর আমন্ত্রণ জানিয়েছে তাদের বার্ষিক সম্মেলনে অংশ নেওয়ার জন্য। ইংল্যান্ড দেশটি মিস্টার খানের কাছে নুতন কোনো দেশ না। জীবনের সোনালী দিনগুলি সেখানেই তিনি কাটিয়ে দিয়েছেন। সরকারি কাজেও তাকে সেখানে কয়েকবার যাওয়া-আসা করতে হয়েছে। তাই আমন্ত্রণ পত্রখানা পাওয়ার পর হৃদয় কম্পিত হওয়ার মতো কিছুই হয়ে উঠেনি। তা ছাড়া, এই বুড়ো বয়সে আগের মতো কোথাও যাওয়া আসার ব্যাপারে সে রকম রোমাঞ্চ অনুভব করেন না।

ছেলেগুলি মানুষ হয়েছে, সবাই নিজেদের জীবনের বাছাই করা পেশায় প্রতিষ্ঠিত। আশ্চর্যের বিষয়, ছেলেদের মাঝে কাউকেই আইনজীবির পেশায় রাজী করাতে পারেননি। তাদের সবার সেই একই কথা, ‘আইনজীবিরা ধোকাবাজ ,আইনের কলাকৌশলে দোষী আসামীকে নির্দোষ প্রমান করাই তাদের কাজ। সুতরাং আমরা এই পেশার ধারে কাছে যেতে চাই না’। কিন্তু মিস্টার খান ছেলেদেরকে কিছুতেই বোঝাতে পারলেন না যে, নির্দোষ আসামীকে কাঠগড়া থেকে বাঁচিয়ে আনাটা একজন আইনজীবির কাছে কতবড় তৃপ্তিদায়ক তা একমাত্র ওই মামলায় সংযুক্ত আইনজীবি ছাড়া অন্য কেউ উপভোগ করতে পারবে না। মিস্টার খান কখনো কখনো ভাবেন ,যদি তার পাঁচ ছেলের মধ্যে একটি মেয়ে থাকতো তাহলে হয়তোবা উনার কথামতো সে আইনজীবি পেশায় লিপ্ত হতে পারত।

আজ ও মনে পরে এইতো সেদিন, তিন তিনটে ছেলে হবার পর মিস্টার খান ভাবলেন, ‘আর নয় ,এখানেই শেষ। মেয়ে মেয়ে করে বাংলাদেশে আর জনসংখ্যা বাড়াতে চাই না।’ বন্ধুরা বলাবলি করত,’ তোরা তো আধুনিক শিক্ষিত দম্পতি, তোদের তো দুটির বেশী সন্তান হবার কথা নয়। তোরাই যদি জন্ম নিয়ন্ত্রণ না করিস, তাহলে সাধারণ মানুষদের দোষ দিয়ে লাভ কী ?’, তাইতো, মিস্টার খান ভাবেন ,অনেক পরিবারে একটি ছেলের জন্য রাতের ঘুম নষ্ট হয়ে যায়, এদিকে একটি মেয়ের জন্য তাদের নিয়মিত ঘুমের ব্যাঘাত হতে চলল। অবশেষে শেষ চেষ্টা করা হলো। তখনকার দিনে Pregnency scan করার মতো তেমন সুযোগ ছিল না অর্থাৎ ছেলে কি মেয়ে হবে সেটা জানাটা এখনকার মতো এত সহজ ছিল না। তাইতো মাদ্রাজের এক নামকরা মেটার্নিটি ক্লিনিকে বসে তিনি ভাবছিলেন, এবার যেন তাদের একটা মেয়ে হয়। কিন্তু বিধির বিধান, কে খণ্ডাবে? কিছুক্ষন পর ওয়েটিং রুমে এসে যখন তামিল নার্স তাকে জানালেন, ‘Congratulation Mr Khan I have got a good news for you , you have a twin and both Mother and babies are doing well, পরক্ষনেই খান সাহেব ,ব্যগ্রচিত্তে নার্সকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘যমজ বাচ্চারা ছেলে না মেয়ে?’ নার্স সুন্দর একটা হাসি দিয়ে জানালো, ‘I am glad to say, both are boys’। খান সাহেব কথাটি শুনে তো অবাক, নার্স বলে কি , দুটোই ছেলে! কথাটা শুনে হতাশায় মিস্টার খানের মনটা ভেঙে গেল। হায় খোদা, ‘মানুষ যা চায় তা পায় না, সে জন্যই বুঝি নিয়তির কাছে মানুষ যুগ যুগ ধরে পরাজয় স্বীকার করে আসছে’।

জুনিয়র উকিলের ডাকে মিস্টার খানের ধ্যান ভাঙল। ‘স্যার, কী ভাবছিলেন ? কিছুক্ষণ নীরব থাকার পর তিনি উত্তর দিলেন, ‘ভাবছিলাম কি, তোমাদের মাঝখান থেকে আমার হয়ে কেউ ওই সম্মেলন থেকে ঘুরে এসো । এই বুড়ো বয়সে আর কোথাও যেতে ইচ্ছে করছে না। তোমাদের মতো প্রতিভাবান ছেলেদের অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের জন্য এ ধরনের সম্মেলনে যোগদান করা দরকার’। সমবেত কণ্ঠে রুম থেকে সে এক কথা, ‘স্যার, আপনাকেই যেতে হবে ,যদিও আপনি খুব শিগগিরই অবসর নিচ্ছেন, তবু ও আপনার মতো বিচক্ষণ কৌসলীর আমাদের বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করা একান্ত দরকার’। কলিগ আজম সাহেব কিছুটা জোর দিয়ে বলল’ স্যার,পৃথিবীর বিখ্যাত আইনবিদগণ ওখানে আসবেন, পান্ডিত্য দেখাবেন, সেক্ষেত্রে আমরা আপনাকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে ভাবতেই পারি না’। মিস্টার খান একান্ত অনিচ্ছা সত্ত্বে সম্মলনে যোগদান করতে রাজী হলেন।

ইংল্যান্ডের ছোট্ট শহর চেমসফোর্ড। এই শহরই একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে সম্মেলনটির আয়োজন করা হয়েছে। শহরটি লন্ডন নগরী থেকে ২৫/৩০ মাইল দূরে। প্রাকৃতিক শোভায় সম্মৃদ্ধ। সুন্দর পরিছন্ন শহর। বিরাট আয়োজন। সম্মেলন তিন দিন ধরে চলবে। পৃথিবীর দূর-দূরান্ত থেকে ঝানু আইনবিদদের উপস্তিতি। ফটকে করা প্রহরী। সকালের কফি শেষে সম্মেলন শুরু হবার কথা। ক্যাফেটেরিয়ার একটি টেবিলে বসে মিস্টার খান গরম কফি পেয়ালায় চুমুক দিয়ে যাচ্ছিলেন। ঠিক সেই সময় ৯/১০ হাত দূরে অবস্থিত অন্য একটা টেবিলে বসে ২৯ /৩০ বছরের এক যুবতী মেয়ে উনার নেমপ্লেটের দিকে বার বার লক্ষ্য করছিলো। নেমপ্লেটে ইংরাজীতে লেখা ,"মিস্টার আফসার খান , পাবলিক প্রসিকিউটর , বাংলাদেশ "। এত লোক থাকতে এই ভিন দেশের
সুন্দরী যুবতী মিস্টার খানের মত একটা বুড়ো লোককে এভাবে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছে ,ব্যপারটা উনার কাছে অস্বাভাবিক মনে হচ্ছিলো। কৌতূহলবশত মিস্টার খান যুবতীর নেম প্লেটের দিকে লক্ষ্য করলো ,তাতে লেখা ,Ulrika Khan , Bar -at -Law ,Sweden।

সুইডেনের মেয়ে ব্যারিস্টার, আর পদবী’ খান, তাজ্জব ব্যাপার তো ! শেষের নাম খানা আবার ভালো করে দেখলেন, Kahn (ইহুদি নাম) নয়, KHAN ই (ইসলামিক নাম) লেখা রয়েছে। বানানের কোনো ভুল নেই। রহস্য আরও ঘনীভূত হয়ে উঠল। পরিচিত হতে আগ্রহী হয়ে উঠলেন। কিন্তু বেশী বেগ পেতে হলো না। যুবতীটি নিজেই চলে আসলো মিস্টার খানের টেবিলের কাছে শূন্য চেয়ারটাতে। সে মিস্টার খানের পাশের চেয়ারটাতে বসতে বসতে নির্ভুল ইংরেজিতে বলল, ‘Mr Khan , I can see you are from Bangladesh and what a coincidence , your surname and my surname is same.’ মিস্টার খান ইংরেজিতে উত্তর দিলেন, ‘হ্যাঁ, তাইতো দেখছি’। মিস উলরিক খান বলল, ‘আমি বাংলাদেশ সম্পর্কে জানতে অনেক আগ্রহী’।

মিস্টার খান একটু অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘তোমাদের মত উন্নত ধনবান দেশের শিক্ষিতা মহিলা আমাদের মতো দরিদ্র দেশ সম্পর্কে জানার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছ জেনে নিজেকে অনেক ধন্য মনে করলাম। কিন্তু তবুও আমার কেমন যেন বিশ্বাস হচ্ছে না, সত্যিই তুমি বাংলাদেশ সমন্ধে জানতে আগ্রহ কি না। উলরিকা বোধদয় মিস্টার খানের কথায় কিছুটা হোঁচট খেল। তারপর নিজেকে সামলে নিয়ে বলল, ‘মিস্টার খান বাংলাদেশ সম্পর্কে গভীরভাবে জানার আমার একটা বিশেষ কারণ আছে’। মিস্টার খান পরক্ষনেই জিজ্ঞাসা করলেন ‘সে কারণটা কি হতে পারে তা কি আমি জানতে পারি ?’ কথাটি বলার সঙ্গে সঙ্গে মিস্টার খান দেখতে পেলেন উলরিকার সুন্দর দু চোখে জল ছল ছল করছে। ম্লান হেসে উলরিকা বললো, ‘ওই সামনের বারে (bar) আজ সন্ধ্যায় আমি আপনার সঙ্গে দেখা করতে চাই’। মিস্টার খান মৃদু হেসে জানালেন, ‘আমি তো অ্যালকোহোল জাতীয় পানীয় পান করি না’। উলরিকা সঙ্গে সঙ্গে বলে উঠল। সে আমি জানি ,কারণ বাংলাদেশের বেশির ভাগ লোকই মাদক দ্রব্য পান করে না, তা ছাড়া আমি নিজেও মাদক দ্রব্য পান করি না’।

উলরিকা মিস্টার খানকে ভরসা দিয়ে বলল, ‘আমরা দুজনেই অরেঞ্জ জুস খাব আর বাংলাদেশ সমন্ধে গল্প করব’। পরস্পরে বিদায় নেবার আগে উলরিকা হঠাৎকরে বলে উঠল, ‘বাংলাদেশের
সঙ্গে আমার নাড়ীর সম্পর্ক রয়েছে, তাই আপনার সঙ্গে আমার আলাপ করা একান্ত দরকার। আশাকরি আজ সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় ওই বারে (bar) আপনার সাক্ষাৎ পাব’। তারপর তখনকার মতো দুজনে দুজনার কাছ থেকে বিদায় নিল।

বিদেশিদের সত্যিই সময় জ্ঞানের প্রশংসা করতে হয়। ঠিক সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় উলরিকা নির্ধারিত জায়গায় এসে উপস্থিত। মিস্টার খানেরই বরং ১০/১২ মিনিট দেরী হয়ে গেল। শরৎকাল আসি আসি করছিল। পড়ন্ত বিকেলে পরিষ্কার আকাশটা নীল আভায় ভরপুর ছিল। এক কথায় আবহাওয়া এবং পরিবেশ মিলে সময়টা অত্যন্ত মনোরম ছিল। বয়োজ্যেষ্ঠ হিসেবে মিস্টার খান প্রথমে দু গ্লাস অরেঞ্জ জুসের অর্ডার দিয়ে একটা খালি টেবিলে দুজনে মুখোমুখি বসে পড়ে। তারপর কোনো ভূমিকা ছাড়াই উলরিকা শুরু করলো ওর জীবনের না বলা কাহিনী।’ বাংলাদেশ থেকে আমি কি চাই আর কি পাইনি তা আজ আমি বলতে চাইছি না। শুধু এক পিতাহারা এক মেয়ের করুন কাহিনী আজ আপনাকে বলতে এসেছি। আমার মা জুডিথ জেনসেন (খান ) সুইডেনের হেলসিংবেরির মেয়ে। পেশায় ইংরেজির শিক্ষীকা। উনার বরাবরই ইংলান্ডের প্রতি আকর্ষণ ছিল। তাই প্রথম যৌবনেই ইংরেজি ভাষাকে আরও চৌকশ এবং ইংরেজদের ঐতিহাসিক দর্শনীয়গুলো নিজের চোখে দেখার জন্য লন্ডনে চলে আসেন। সে সময় বিদেশি ছাত্র-ছাত্রীদের মিলনক্ষেত্র ছিল লন্ডনের পোর্টল্যান্ডে অবস্থিত ব্রিটিশ কাউন্সিলে। ভবিষৎ স্বামীর সঙ্গে ওখানেই পরিচয় হয় আমার মার । উনার নাম ও আফসার খান। বাঙালি ছেলে, তবে পাকিস্তান থেকে এসেছিলেন, কারণ তখন ও বাংলাদেশের জন্ম হয়নি। আপনার নাম এবং বাংলাদেশ থেকে এসেছেন দেখে মরিয়া হয়ে আপনার সঙ্গে আলাপ করার আগ্রহ চেপে বসে আমাকে, তারই সুযোগ খুঁজছিলাম। ভাগ্য ভালোই বলতে হবে, আপনার সঙ্গে পরিচয় হয়ে গেল। বলতে পারেন মনোস কামনা পূর্ণ হলো। উলরিকা তার কথায় কিছুক্ষন বিরতি নিল। কয়েক ঢোক অরেঞ্জ জুস পান করে তার কথা আবার শুরু করল, ‘মিস্টার খান,আমি জানি খান পদবী বাংলাদেশে-ইংল্যান্ডের স্মিথ পদবীর মতো পথে-ঘাটে ছড়িয়ে আছে।

তবুও ভাবলাম, বাংলাদেশ থেকে যখন এসেছেন তখন আপনার কাছে আমার আরজিখানা পেশ করতে পারব। আমার একান্ত অনুরোধ, ঘটনাক্রমে যদি বাংলাদেশে কখনো কোনো ‘বার’ অ্যাসোসিয়েশনে আমার বাবার সঙ্গে দেখা হয়ে যায়, তাহলে তাকে জানাবেন, তার মেয়ে উলরিক খান সেই সুদূর সুইডেনে বসে প্রতি রাতে ঘুমোবার আগে তার জন্য অশ্রু ঝরায়। তার যে একান্ত ইচ্ছে ছিল ব্যারিস্টার হবার, যা সে হতে পারেনি। তার মেয়ে ব্যারিস্টার হয়েছে। শুধু এই কষ্টটুকু আমার জন্য করবেন। তার প্রতি আমার কোনো ক্ষোভ নেই’।

তারপর উলরিকা তার হাত ব্যাগ থেকে কয়েক দশকের এক পুরোনো ছবি বের করে মিস্টার খানের সামনে ধরল এবং সঙ্গে সঙ্গে জানাল, ‘এটা আমার বাবার ছবি এবং ছবিখানা আমি সব সময়ই আমার কাছে রাখি, আর আমি ভাবি আমার বাবা আমার সঙ্গেই আছেন। ছবিখানা দেখেই মিস্টার খানের মাথা চরকগাছ !! উনার মাথাটা যেন দুলতে শুরু করল, মনে হলো এখনই বুঝি মাটিতে পড়ে যাবেন। কিন্তু তা হলো না, শুধু দুচোখ বেয়ে অশ্র্রু গড়িয়ে পড়ল। মিস্টার খান নিশ্চিত হলেন, তা হলে উলরিকা তারই মেয়ে। জীবনে তিনি যা হতে পারেননি, উলরিকা তার সেই ব্যারিস্টার হওয়ার সাধ পূরণ করেছে। তিনি কি এখন বলতে পারেন, ‘আমি তোমার সে হারিয়ে যাওয়া বাবা ,আর তুমিই আমার মেয়ে’। নিজেকে অপরাধী ভেবে সে কথাটি বলার আর সাহস হলো না। আজ বয়সের ভার আর দাড়ির আড়ালে উলরিকা উনাকে চিনতে পারছে না। উলরিকা যে ছবিখানা মিস্টার খানকে দেখালো সেটা তোলা হয়েছিল লন্ডন ইউনিভার্সিটি থেকে ‘ল’ পাশ করার পর কনভোকেশনের দিনে। সঙ্গে ছিল উলরিকার মা। তারপর কত স্বপ্ন দেখেছেন জুডিথ জেনসেনকে অথাৎ উলরিকার মাকে নিয়ে। যথা সময়ে মিস জেনসেনকে বিয়ে করে ব্যারিস্টারি পড়ার জন্য ভর্তিও হয়েছিলেন। এমন সময় দেশ থেকে আর্জেন্ট চিঠি এলো, মা গুরুতর অসুস্থ। কোনো উপায় না দেখে জুডিথকে লন্ডনে রেখেই দেশের উদ্দেশে পাড়ি দিলেন। দেশে পৌঁছে যা দেখলেন ,তা অন্যরূপ। মায়ের শরীর খারাপ, ওটা একটা উছিলা ছিল। আসলে উনাকে বিয়ে দেওয়ার জন্য এভাবে ডাকা হয়েছে। তা না হলে উনি হয়তো দেশে এভাবে ফিরতেন না। পরিবেশের চাপে পড়ে মিস্টার খানের বিয়ে হয়ে গেল, আর এভাবেই উনার জীবন থেকে জুডিথ ও হারিয়ে গেল। বিলেতে আর ফেরা হলো না।

উলরিকার ডাকে মিস্টার খানের অন্যমনস্কতা ভেঙে গেল, সে একটু উদ্বিগ্ন চিত্তে বলল, ‘মিস্টার খান, আপনার চোখে জল যে’। কথা চাপা দেবার জন্য তিনি বললেন, ‘বুড়ো বয়সে চোখের দৃষ্টি কমে যাচ্ছে ,তাই মাঝে মাঝে চোখে জল এসে যায়, উলরিকা আবার বলল, ‘আপনি আমার বাবার বয়সী, আপনার চোখের জল আমি কি মুছে দেব?’ ‘ধন্যবাদ’ , মিস্টার খান বিনয়ের সঙ্গে জানালেন , ‘মুছে দিয়ে আর কী লাভ ! আবার তো চলে আসবে, নয়নের জল নয়নেই শুকাতে দাও’।
‘আচ্ছা, তাই হোক’ উলরিকা সম্মতি জানালো।

ইতিমধ্যেই উভয়ই পরস্পরের কাছে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছে। উলারিকা আবার শুরু করল তার জমানো কথা, ‘জানেন মিস্টার খান ,যদিও আমার বাবা একজন বিদেশিনীকে বিয়ে করেছিলেন তবুও উনি ছিলেন মনে প্রাণে একজন খাঁটি বাঙালি। আমার মা বলতেন, হঠাৎকরে আমার বাবা রাত দুপুরে জেগে উঠে রবীন্দ্র সংগীত/নজরুল গীতি শুনতে বসে যেত। দেশের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলে সর্বশেষ সংবাদের জন্য উদগ্রীব হয়ে থাকত’। উলরিকার হৃদয়স্পর্শী কথার মাঝখানে বাধা দিয়ে মিস্টার খান জিজ্ঞাসা করল, ‘যে লোকটা তোমাদের কোনো খোঁজ নেয়নি, তোমার মাকে ঠকিয়েছে, তার জন্য তোমার কেন এত আগ্রহ?’

উলারিকা দৃতার সঙ্গে উত্তর দিল, ‘আমার মার কোনো বিশ্বাস নেই আমার বাবার প্রতি, কিন্তু আপনিই বলুন, আমি কি করে বিশ্বাস হারাতে পারি? উনি তো আমার জন্ম দাতা ’কথাটি বলে সে মিস্টার খানের দিকে জিজ্ঞাসু নেত্রে তাকিয়ে রইল।

কি বা বলবে, কারণ মিস্টার খানের কাছে এ মুহূর্তে বলার কিছু ছিল না। মিস্টার খানের কাছ থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে উলারিকা নিজেই বললো, ‘নিশ্চয়ই কোনো সাংঘাতিক কারণ ছিল যার জন্য আমাদের আর কোনো খোঁজ খবর নিতে পারেননি, হয়তোবা এ ভুলের জন্য এখনো তিনি পদে পদে কষ্ট পাচ্ছেন’। ‘হয়তোবা’ মিস্টার খান অস্ফুট স্বরে উত্তর দিলেন। সে সময় মিস্টার খানের কাছে মনে হচ্ছিল ,জীবনের শেষ প্রান্তে এসে আজ আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আছে, যেন বুকটা ভেঙে চুরমার হতে চলছে। ভাবছে এ কী হলো!

রাত গভীর হতে চলছে। দুজনে দুজনকে শুভরাত্রি জানিয়ে ‘আগামীকাল আবার দেখা হবে’ অঙ্গীকার করে হোটেল রুমে ফিরে গেল। তারপর মিস্টার খান সারা রাত ঘুমাতে পারেননি। তিনি ভাবছেন, তাহলে উলরিকা আমারই মেয়ে, ওর মা এখন কোথায়? নিজের পরিচয় টুকু কি জানিয়ে দেবেন? অজস্র চিন্তা-ভাবনায় উনার মনটা ভারাক্রান্ত হয়ে উঠলো। ভোরবেলা কনফারেন্স রুমে ঢুকতেই উলরিকার সঙ্গে দেখা হয়ে গেল। উলরিকা মিস্টার খানকে জিজ্ঞাসা করল, ‘মিস্টার খান আপনাকে খুবই ক্লান্ত দেখাচ্ছে, রাতে কি ঘুমের কোনো অসুবিধা হয়েছিল’। ‘তুমি ঠিক ধরেছ , বয়সের জন্য ঘুমের একটু ব্যাঘাত হয়েছে ’, মিস্টার খান জবাব দিলেন।

বিকাল বেলায় কনফারেন্স শেষ হলো। আগামীকাল সবাই হোটেল ছেড়ে যে যার দেশে চলে যাবে। মিস্টার খানের মন কিছুতেই স্বস্তি পাচ্ছে না। কি করা যায় ভাবছেন। উলরিকাকে ওর রুমে ফোন করলেন,’ কাল তো আমরা সবাই চলে যাচ্ছি, এ মুহূর্তে আমরা দুজনে, কী করতে পারি?’ অপর প্রান্ত থেকে উত্তর এলো, ‘চলুন, সাগর পাড়ে আজকের সন্ধ্যাটি কাটিয়ে দেই। আমার মা বলতেন, আমার বাবা জল, নদী, সাগর খুবই ভালোবাসতেন’। মিস্টার খান জানালেন, ‘বাংলাদেশের সব ছেলে মেয়ে জল নদী, সাগর, ভালোবাসে। কারণ, এতেই তাদের জন্ম, আর বেড়ে উঠা, তাদের জীবনের গতিধারা এই নদী, সাগরের মতো উত্তাল, উচ্ছল।

তারপর ঘণ্টা খানকের মধ্যে উলরিকা মিস্টার খানের রুমের ‘door bell’ বাজাল। মিস্টার খান তাকে দেখে একেবারে হতভম্ব, তিনি এ কি দেখছেন! উলরিকা শাড়ী পরে উনার দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। মিস্টার খান জিজ্ঞাসা করল, এ শাড়ি তুমি পেলে কোথায়’? উলরিকা মিস্টার খানকে আরও হতবাক করে বললো, ‘এটা আমার মার শাড়ি। আমার বাবা প্রথম এই শাড়িখানা আমার মাকে উপহার দিয়েছিলেন। এই শাড়িটি প্রায় তিরিশ বছরের পুরোনো।’ কথাগুলি শুনে মিস্টার খানের হৃদয় যেন চৌচির হয়ে যেতে লাগল। জীবন যে এত কষ্টকর, তা তিনি কখনো ভাবেননি। সাগর পারের পরিষ্কার বালির উপর দিয়ে মেয়ে আর বাবা হেঁটে চলছে, আর সেই সঙ্গে মিস্টার খান মনে মনে কামনা করছে, এ চলার পথ যেন শেষ না হয়। আগামীকাল যেন না আসে। অতীত হারিয়ে গেছে, বর্তমান যেন চিরন্তন হয়ে থাকে।

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত