শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-১৩

স্নানের শব্দ

‘তোমার প্রতিপক্ষ যদি প্রবল ও শক্তিশালী হয়, তাহলে তুমি শক্তি প্রয়োগে প্ররোচিত হয়ো না। তোমাকে কৌশলী হয়ে তোমার লক্ষ্য অর্জন করতে হবে। কথাটা কে বলেছিলেন? আব্বা? আব্বা বিভিন্ন সময় এরকম ছোট ছোট অনেক উপদেশ দিতেন। তিনি নিজে চাকরি জীবনে চরম ব্যর্থ একজন মানুষ। সরকারি অফিসে বছরের পর বছর একই পদে স্বল্প বেতনে মুখ গুঁজে নীরবে চাকরি করে গেছেন। শবনমের স্কুল শিক্ষিকা মা দুজনের উপার্জন এক করে দৃঢ় হাতে সংসারের চাকা চলমান রেখেছেন। শবনমের মাঝে মাঝে মনে হয়, আব্বা যেসব কথা বলতেন, তা হয়তো তিনি আসলে নিজেকে শোনাবার জন্যই বলতেন। অনেকটা আত্মসান্ত্বনার মতো। আব্বার কিছু কিছু কথা তো শবনমের মনেও গেঁথে আছে। যেমন, ‘অন্যের স্বীকৃতি দিয়ে সাফল্য বিচার করো না, মা, নিজের সাফল্য নির্ধারণ করতে হয় নিজেকেই।’ কথাটা যে কতটা সত্য তা এখন উপলব্ধি করতে পারে শবনম। বাবা আরও বলতেন, ‘শোনো মা, কখনো হাল ছাড়বা না। যে হাল ছাড়ে সে পরাজিত হয়, আর যে প্রত্যাশা না করে কর্ম করে যায় দিন শেষে সেই বিজয়ী হয়।’

আব্বার এইসব বাণীধর্মী কথাবার্তায় মা খুব বিরক্ত হতেন। রেগে গিয়ে মুখ ঝামটা দিতেন। ‘পারো তো কেবল বড় বড় ফাঁকা বুলি আউড়াতে, কাজের কাজ তো কিছুই দেখি না। বড়কর্তাদের একটু ধরাধরি করো, কতদিন আর কেরানি হয়ে কলম পিষবে?’

আব্বা এসব ঝাঁজালো সংলাপের কোনো জবাব দিতেন না। পত্রিকা বা কোনো বইয়ের পাতায় মুখ ডুবিয়ে নিঃশব্দে নিজের পছন্দের অন্য কোনো জগতে চলে যেতেন। সংসারের এইসব সামান্য লাভ ক্ষতিতে নিজেকে জড়াতে চাইতেন না।

অফিসে নিজের টেবিলে একা বসে হঠাৎ আব্বার কথা খুব মনে পড়ল শবনমের। বৈষয়িকভাবে হয়তো আব্বা অসফল ছিলেন, কিন্তু তার মানবিক গুণ, সততা আর নিষ্ঠা ছিল অসাধারণ। এইসব দিকে তারেকের সঙ্গে আব্বার চরিত্রের কিছু মিল খুঁজে পায় শবনম। মেয়েরা কি স্বামীর মধ্যে বাবার ছায়া খোঁজে? কি জানি, সচেতনভাবে হয়তো নয় কিন্তু অবচেতনে তার জীবনে আসা পুরুষদের সঙ্গে বাপের মিল অমিল যে খানিকটা হলেও খুঁজে বেড়ায়নি, তা কি সে একেবারে অস্বীকার করতে পারবে? মনের ভেতরে লুকিয়ে থাকা আরেক মন গোপনে গোপনে কত কিছু করে! কখনো তার হদিস পাওয়া যায় কখনো যায় না।

অফিসের হালচাল বুঝতে শবনম এবার এডমিন হেড শওকত সাহেবের রুমে উঁকি দেয়। শওকত সাহেব এমনিতে ভালো মানুষ কিন্তু সবসময়ই নিজস্ব বিশ্বাসে বন্দী থাকা টাইপের লোক, তার ধারণা তিনি যা জানেন সেটাই সঠিক, বাকি সব ভুল।

‘আসেন ম্যাডাম, আসেন ...’ শওকত বিনীত ভঙ্গীত নিজের চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ায়। দুয়েকটা কেজো কথা হয়। নতুন সিইও নিয়োগের কিছু হলো কি না, জানতে চায় শবনম। শওকতের ধারণা এবারও বাইরে থেকেই নতুন কাউকে এনে সিইওর দায়িত্ব দেবে ম্যানেজমেন্ট। তারপর দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলে, ‘বুঝলেন ম্যাডাম, নির্ঝর চৌধুরীর উপরে আসলে মানুষের অভিশাপ লাগছে।’

আপনার মনে আছে নিশ্চয়ই, নতুন জয়েন করেই ম্যানেজমেন্টকে খুশি করতে উনি লোক ছাটাইয়ের প্যাকেজ তৈরি করছিলেন।’

হ্যাঁ, শবনমের মনে আছে বৈকি, যারা অনেক দিন ধরে এই কোম্পানিতে চাকরি করছে, যাদের চাকরি শেষের প্রাপ্য বেনিফিট জমে গেছে অনেক বেশি, তাদেরকে বলা হয়েছিল, হয় ঢাকার বাইরে প্রত্যন্ত এলাকায় কাজ করতে যেতে হবে, নয়তো গোল্ডেন হ্যান্ডশেক। সেই সময় চাকরি হারাতে চায়নি অনেকে, কিন্তু তবু তারা বাধ্য হয়েছিল চাকরি ছাড়তে। কর্তৃপক্ষ খুশি হয়েছিল। তাদের অনেক টাকা বেঁচে গিয়েছিল।

‘এখন দেখেন, কীভাবে একটা বাজে অভিযোগ মাথায় নিয়ে যেতে হলো তাকে! অপমান অসম্মানের চূড়ান্ত হলো! আসলে অন্যের জন্য গর্ত খুঁড়লে সেই গর্তে নিজেকেই পড়তে হয়।’

মানুষ হয়তো অকারণেই সবকিছুর কার্য-কারণ খোঁজে। সব ঘটনার পেছনে নিজের মত একটা ব্যাখ্যা দাঁড় করাতে পারলে খুশি হয় তারা। বিশেষ করে দৈব ব্যাখ্যা। একটা ঘটনার সঙ্গে অন্য ঘটনার যোগসূত্র স্থাপন করে হয়তো এক ধরনের তৃপ্তি বোধ করে তারা। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, অনেক ক্ষেত্রেই তাদের সেই ধারণা হয় অযৌক্তিক ও বাস্তবতাবিবর্জিত।

লাঞ্চের পর নিজের ডিপার্টমেন্টের কর্মীদের নিয়ে সংক্ষিপ্ত একটা মিটিং সারে শবনম। অযথা অপ্রয়োজনীয় কথা বলে টেনে টেনে মিটিং লম্বা করার ঘোর বিরোধী সে। প্রতি মিটিংয়েই সুনির্দিষ্ট এজেন্ডাভিত্তিক কথা বার্তার বাইরে বেশি কথা বলা এলাউ করে না শবনম। তার অধঃস্তনরা এভাবেই অভ্যস্ত। তবে ঊর্ধ্বতনদের ডাকা অনেক মিটিংয়ে গিয়ে দেখেছে সে, সময়ের কি ব্যাপক অপচয়! এজেন্ডা ফেজেন্ডার বালাই নেই, ঊর্ধ্বতন শুরু করলেন তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার দীর্ঘ বয়ান, নাইনটিন সিক্সটি ফোরে আমি যখন লাহোরে ছিলাম, তখন কি হয়েছিল, শোনেন..

এরপর চা নাস্তা, রিফ্রেরেশমেন্ট, বেহুদা আলাপ, একই কথার পুনরাবৃত্তি, কে কার চেয়ে বেশি জ্ঞানী তা প্রমাণের প্রতিযোগিতা, অহেতুক তর্কবিতর্ক অতঃপর দুইটি জরুরি সিদ্ধান্ত গ্রহণ বা বর্জন করে মিটিং শেষ। বোরিং বোরিং বোরিং...তবে দুর্ভাগ্যবশত এটাই বেশির ভাগ অফিসে মিটিংয়ের প্যাটার্ন হয়ে গেছে। অথচ সর্বোচ্চ আধা ঘণ্টায় এসব মিটিং শেষ করে ফেলা সম্ভব।

হাতের আরও দুয়েকটা কাজ গুছানোর মধ্যেই কাঁচের দরজার অন্যপাশে মনিরুজ্জামানের হাসি হাসি মুখ দেখা গেল, ওর সঙ্গে আরেকটা ছেলে, যাকে ঠিক চিনতে পারল না শবনম। ‘খুব জরুরি একটা বিষয় ম্যাডাম, অনেক বড় খবর, আপনাকে বলা দরকার, তাই না এসে পারলাম না, মানে আপনাকে সবার আগে জানাতে চাই...’

শবনমের জিজ্ঞাসু দৃষ্টির সামনে কাঁচুমাচু মুখে বলে মনিরুজ্জামান। ‘কী খবর, বলো, আর তোমার সঙ্গে উনি কে...’
‘ও হচ্ছে কিবরিয়া, আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু, আমাদের ইন্টারনাল অডিটে কাজ করে ম্যাডাম, ব্যাপারটা ওই জানিয়েছে আমাকে, তাই মনে হলো আপনাকে জানাই। আপনার কাজে লাগবে।’

মনিরুজ্জামানকে মনে হচ্ছে বেশ উত্তেজিত। যেন পরমানু অস্ত্র তৈরির মতো খুব গোপন কোনো ফর্মুলা আবিষ্কার করে ফেলেছে। পাশের ছেলেটা কিবরিয়া সেই তুলনায় শান্ত। শবনম চোখের ইশারায় ওদের বসতে বলল। ‘ঠাণ্ডা হয়ে বসো, তারপর বলো কি হয়েছে?’
মনিরুজ্জামান কিবরিয়ার দিকে তাকালে কিবরিয়া বলে, ‘ইন্টারনাল অডিটে ওসমান গণি সাহেবের একটা ফল্ট ধরা পড়েছে ম্যাডাম, যখন উনি পারচেজ কমিটির প্রধান ছিলেন, তখন অফিসের স্টাফ বাস কেনার টেন্ডারে খুব বড় একটা আর্থিক অনিয়ম করা হয়েছে, কাগজপত্রে সেটার প্রাইমারি প্রমাণ পেয়েছি আমরা, নিশ্চিত হতে আরও কিছু ডকুমেন্টস লাগবে, তবে সেসব পাওয়া যাবে...’

খুব শান্ত নির্লিপ্ত ভঙ্গীতে কথাগুলা শুনলো শবনম। পেপার ওয়েটটা হাতে নিয়ে ঘুরালো কিছুক্ষণ।

‘ম্যাডাম, এই তথ্যটা ম্যানেজমেন্টের কাছে পৌঁছালে আপনার আর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বি থাকবে না। সিইও পদে আপনি এমনিতেই তখন প্রমোশন পেয়ে যাবেন। আপনার তো ক্লিন ইমেজ আছেই। এখন ম্যাডাম পুরো রিপোর্ট রেডি করে তথ্য প্রমাণসহ ম্যানেজমেন্টের কাছে পৌঁছাতে তো আরও কিছুদিন সময় লাগবে। সে কারণে আগেই যদি বিষয়টা বোর্ড অফ ডাইরেক্টরসের কাউকে জানিয়ে দেওয়া যায় তাহলে...’

মনিরুজ্জামানের কন্ঠে চাপা চাঞ্চল্য, সরল চেহারাটা আনন্দে চকচক করছে। ‘আমি সিইও হলে আমার উন্নতি হবে, তোমার কী লাভ, বলো?’ শবনম মৃদু হেসে সরাসরি জানতে চাইলে মনিরুজ্জামান একটু থতমত খায়, যেন এই প্রশ্নটার জন্য সে একদম তৈরি ছিল না।
‘না মানে ম্যাডাম, লাভ আর কী, আপনাকে পছন্দ করি, গণি সাহেব মানে উনি তো ভাল লোক না, মানে লাভ এটুকুই যে আপনার হাতে কোম্পানির উন্নতি হবেছ। মানে আমাদেরও ভাল হবে।’

শবনম এবার শান্ত অবিচলিত কন্ঠে বলল, ‘দেখো, একজন সিনিয়র কর্মকর্তা হিসেবে আমার প্রতিপক্ষের ব্যাপারে এই ধরনের তথ্য লিক করা, মানে যেটা তোমরা বলছ, দুর্নীতির অভিযোগ করা সেটা আমার পক্ষে সম্ভব না। এটা কোনোভাবেই শোভনও হবে না।’
মনিরুজ্জামানের দপ করে নিভে যাওয়া মুখের দিকে তাকিয়ে ছোট্ট একটা বিরতি দিয়ে একটু নিচু স্বরে শবনম যোগ করল, ‘তবে তোমরা জুনিয়র অফিসার, তোমরা যদি কিছু করতে চাও, কারো মাধ্যমে বোর্ড ডিরেক্টরদের বিষয়টা জানাতে চাও, তবে আমার তো বলার কিছু নেই। তাই না?’

চলবে...

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>

স্নানের শব্দ: পর্ব-১২

স্নানের শব্দ: পর্ব-১১

স্নানের শব্দ: পর্ব-১০

স্নানের শব্দ: পর্ব-৯

স্নানের শব্দ: পর্ব-৮

Header Ad

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার

ছবি: সংগৃহীত

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭১ জন নিহত হয়েছেন। এতে চলমান যুদ্ধে গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা ৪৪ হাজার ছাড়িয়ে গেল।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে আনাদোলু এজেন্সি জানায়, দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর হামলার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় ৪৪ হাজার ৫৬ জন নিহত এবং ১ লাখ ৪ হাজার ২৬৮ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বোমা ও গুলিতে ৭১ জন নিহত এবং ১৭৬ জন আহত হয়েছেন।

তবে প্রকৃত নিহতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে, কারণ অনেক মৃতদেহ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে এবং সেগুলো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়।

এদিকে, ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্ম সংস্থার কমিশনার জেনারেল ফিলিপ লাজারিনি এক্স পোস্টে বলেছেন, গাজা উপত্যকার ৮০ শতাংশই এখন উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। ওইসব এলাকার মানুষেরা নিরাপত্তা ও অস্তিত্বহীনতার মধ্যে বসবাস করছেন।

অনিরাপদ রুটের কারণে গাজাজুড়ে সামান্য ত্রাণ সরবরাহ করা ক্রমশ কঠিন হয়ে পড়ছে জানিয়ে ফিলিপ লাজারিনি বলেন, গাজার উত্তরাঞ্চলে মানুষ কঠোর অবরোধের মধ্যে রয়েছে। যুদ্ধের দুষ্টচক্রে পড়ে তারা জীবন বাঁচাতে ছুটাছুটির মধ্যে রয়েছেন। ৪০ দিনেরও বেশি সময় ধরে ওই অঞ্চলটি মানবিক সহায়তা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। উপত্যকায় নাগরিক শৃঙ্খলা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।

অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসসাম ব্রিগেডের দীর্ঘদিনের নেতা মোহাম্মদ দেইফের বিরুদ্ধেও পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।

আইসিসির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আদালত দুই ব্যক্তি বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও ইয়োভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং ৮ অক্টোবর, ২০২৩ থেকে ২০ মে, ২০২৪ পর্যন্ত সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের জন্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করছে।

বিবৃতি অনুযায়ী, নেতানিয়াহু ও গ্যালান্ত ‘ইচ্ছাকৃতভাবে ও জ্ঞাতসারে গাজার বেসামরিক জনগণকে খাদ্য, পানি, ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহের পাশাপাশি জ্বালানি ও বিদ্যুৎসহ তাদের বেঁচে থাকার জন্য অপরিহার্য বস্তু থেকে বঞ্চিত করেছেন বলে বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে’।

পৃথক এক বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত জানায়, দেইফ, পুরো নাম মোহাম্মদ দিয়াব ইব্রাহিম আল-মাসরিও গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আসামি। বিবৃতি মতে, আদালত ‘সর্বসম্মতভাবে’ তার বিরুদ্ধে ৭ অক্টোবর, ২০২৩ থেকে ইসরাইল ও ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে পরোয়ানা জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

দেইফের বিরুদ্ধে অভিযোগের মধ্যে আরও রয়েছে- ইসরাইলি ভূখণ্ডে রকেট নিক্ষেপ এবং ৭ অক্টোবর হামলা চালানো হামলায় সহস্রাধিক ইসরাইলি নিহত হয়। তবে৭ অক্টোবর হামলার কয়েক মাস পর চলতি বছরের জুলাইয়ে হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসসাম ব্রিগেডের দীর্ঘদিনের নেতা দেইফকে এক বিমান হামলায় হত্যার দাবি করেছে ইসরাইল। বিমান হামলাটি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের তাঁবুতে এবং একটা পানি শোধনাগারে আঘাত হানে। এতে কমপক্ষে ৯০ জন নিহত ও ৩০০ জন আহত হয়।

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার
খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ