শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৮ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-১২

স্নানের শব্দ

এমনিতে শ্রাবণ বেশ সাদাসিধেভাবেই থাকতে পছন্দ করে। সাজগোজ যে একেবারে করে না তা নয়, তবে সেটা কখনো মাত্রা ছাড়ায় না। রুচিসম্মত পরিমিত সাজেই তাকে অপূর্ব দেখায়। কিন্তু আজ সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে শ্রাবণের নবরূপ দেখে প্রাথমিকভাবে বিশাল একটা ধাক্কা সামলায় শবনম। ওর এক মাথা ভর্তি মেঘবরণ কুচকুচে কালো চুলের জায়গায় ফর্সা গোলগাল মুখটা ঘিরে রঙধনুর সাত সাতটা রঙ সমস্ত উজ্জ্বলতা নিয়ে ঝলমল করছে। ওকে দেখাচ্ছে রঙচঙে জিপসিদের মতো। শবনমের মনটা বেদনায় ক্ষোভে হাহাকার করে উঠল, হায়, হায়, করছে কী মেয়েটা? এত সুন্দর চুলগুলো মানুষ এভাবে নষ্ট করে? এটা কোনো ষ্টাইল হলো? কী বেখাপ্পা লাগছে! শ্রাবণ তার চুল খুলে মায়ের সামনে টেলিভিশনে শ্যাম্পুর বিজ্ঞাপন করা আহ্লাদি মেয়েদের মতো হাসি মুখে মাথাটা হেলিয়ে রঙিন চুলগুলো ডানে বামে ঝাঁকায়,

‘কেমন লাগছে, আম্মু ? .. সুন্দর না, বলো ? .. বকা দিও না প্লিজ .. এটা কিন্তু এখনকার ট্রেন্ড .. ’
শবনম যেন এই মুহূর্তে কিছু বলার ভাষাও হারিয়ে ফেলেছে। এই আজব মেয়ের গজব কাণ্ড দেখে কী বলবে সে? এমন একটা দুঃসাহসী অদ্ভুত সিদ্ধান্ত শ্রাবণ একা একা কীভাবে নিতে পারল? নাহ বেশি স্বাধীনতা পেয়ে মেয়েটা একদম বখে গেছে। এত বড় একটা কাজ করার আগে মাকে একবার জিজ্ঞেস করার প্রয়োজন মনে করল না পর্যন্ত। অথচ ছাত্রী জীবনে এমনকি সামান্য চুলের আগা দুই ইঞ্চি বেশি কাটলেও মায়ের অনুমতি নিতে হয়েছে শবনমকে।
‘তোর একটুও মায়া লাগল না? এত সুন্দর চুলগুলোকে এইভাবে রং লাগিয়ে নষ্ট করলি?’
‘ওহ মা, নষ্ট করলাম কই? এটা নিউ লুক, চেহারায় কত চেঞ্জ আসছে দেখো, তোমার ভাল লাগছে না?’
সাজ পোষাকে শবনমের বরাবরই বাঙালিয়ানার দিকে ঝোঁক। পয়লা ফালগুনে লাল সবুজ পাড়ের হলুদ শাড়ি, খোপায় গাঁদা ফুল, বর্ষার প্রথম দিন নীল বা মেঘরঙের শাড়ি, পয়লা বৈশাখের লাল সাদা নির্দিষ্ট দিনগুলোতে এখনো মনে করে আলমারি খুঁজে বের করে পরে সে। ছোটবেলা থেকেই ওয়েষ্টার্ণ পোষাকের দিকে শ্রাবণের ঝোঁক বেশি থাকলেও শাড়ি, সালোয়ার কামিজ যে একেবারে পরে না, তা নয়। ওর চুলের স্বাস্থ্য সবসময়ই খুব ভাল, ঘন কালো আর ধরন ধারণ সিল্কি মসৃণ বলে বরাবরই কাঁধ ছাড়ানো লম্বা চুল রেখেই অভ্যস্থ সে। অথচ এই মুহূর্তে শ্রাবণের এই লম্বা রংচঙে চুলকে শবনমের মনে হচ্ছে রঙিন উল সুতায় তৈরি স্রেফ একটা পরচুলা। হাস্যকর, উদ্ভট আর খাপছাড়া।
‘বাবা কিন্তু দেখে ভালই বলছে, বলছে আমাকে নাকি চেনাই যাচ্ছে না। ’

শ্রাবণ তার রঙিন চুলে হাত বুলিয়ে বলে। শবনমের মনে হলো, এই মেয়েকে তো সে নিজেও চিনতে পারছে না। যেন শ্রাবণ তার পেট থেকে জন্ম নেয়নি, যেন বহু দূরের কেউ। এই তো মাত্র কদিন আগে কাউকে কিছু না বলে হুট করে বাঁ হাতের বাহুতে একটা উড়ন্ত প্রজাপতির ট্যাটু আঁকিয়ে নিয়ে এলো শ্রাবণ। সুই দিয়ে খুচিয়ে খুচিয়ে যেভাবে ট্যাটু আঁকা হয়, সেটা শুনেই তো আঁতকে উঠেছিল শবনম।

‘প্রথমে একটু ব্যথা লাগছিল, চামড়া কাটলে যেমন লাগে তেমন হাল্কা তারপর আর ব্যথা লাগে নাই, আসলে চামড়ার দ্বিতীয় স্তর পর্যন্ত ওরা কালিটা লাগায়...অনেক দিনের একটা শখ ছিল, তাই করে ফেললাম। আমার বন্ধুরাও করেছে। বুশরা ওর ঘাড়ে একটা টিকটিকি আঁকিয়েছে, জানো?’

মেয়ের সামনে নিজের প্রচণ্ড বিরক্তি আর রাগ ক্ষোভ চেপে রেখে শবনম একটা কাষ্ঠং শুষ্কং অপ্রসন্ন হাসি ঠোটে ঝুলিয়ে বলে, ‘আামার মা হলে বেত দিয়ে পিটিয়ে আমাকে ঘর থেকে বের করে দিত যদি তোমার মতো এসব কাণ্ড কারখানা করতাম।’

হে, হে, হে করে দাঁত বের করে শিশুদের মতো হাসে শ্রাবণ। বলে, ‘ভাগ্যিস, তুমি নানুর মতো এতটা রক্ষণশীল চরমপন্থী না, ভেতরের রাগটা মনের মধ্যে চেপে রেখে দিব্যি আমার সঙ্গে সাথে স্বাভাবিকভাবে কথা বলছ, যদিও তোমার চোখে মুখে ব্যাপক অসন্তুষ্টির ছাপ আমি ধরে ফেলেছি ..’
শবনম এবার একটু গম্ভীর হয়।

‘আসলে তোর সমস্যাটা কী, বলত, কেন এ রকম করছিস? মানে তুই তো এমন আলট্রামডার্ন ছিলি না কখনো, হঠাৎ এমন ট্যাটু, চুলে এমন বাহারি রং, আমি না বুঝতে পারছি না, সমস্যাটা কোথায়...!

‘কোনো সমস্যা না, মা। আসলে তোমাদের ভদ্র সমাজের তথাকথিত নিয়ম ভাঙলাম। এমন ছিলাম না বলে এমন কিছু করতে পারব না, তা কি কেউ বলেছে? আমি খুব সচেতনভাবে, ভেবে-চিন্তে এই কালার করেছি, যাতে তোমাদের চোখ বৈচিত্র্য দেখতে অভ্যস্ত হয়। ডাইভারসিটি একসেপ্ট করে, সব কিছু এক ছাঁচে ফেলে দেখার পুরনো অভ্যাসটা বদলায়...’

এই মেয়ের সঙ্গে বৃথা তর্ক করে লাভ নেই, বুঝল শবনম। কাঁচের চুড়ি ভাঙার মতো নিয়ম ভাঙার ভূত চেপেছে ওর মাথায়। শবনম দেখেছে, তরুণ বয়সে তার অনেক সহপাঠি মেয়ে বন্ধু ছেলেদের মতো শার্ট প্যান্ট পরে বা ধুমপান করে সমাজের প্রচলিত প্রথাগুলোকে চ্যালেঞ্জ করতে চাইত। ধাক্কা দিতে চাইত বদ্ধ সমাজকে। বিদ্রোহী, প্রথাবিরোধী হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করতে চাইত। তবে শবনমের ধারণা, প্যান্ট শার্ট পরে হাতে জ¦লন্ত সিগারেট নিয়েও যে অনেক সময় সমাজ বদলানো যায় না আবার প্রচলিত পোষাক পরে ধূমপান না করেও নিঃশব্দে সমাজের অনেক কিছু পরিবর্তন করা সম্ভব সেই সত্যটা হয়তো আরও অনেক পরে তারা উপলব্ধি করেছিল। থ্যাংকস গড, শ্রাবণ এখনো ধূমপানের বদঅভ্যাসটা ধরেনি। (অবশ্য ধরতে কতক্ষণ? আর মা হিসেবে তখন কি করবে সে? ভাবতেই ভয় লাগে) পেছন ফিরে নিজের তরুণ বয়সটা দেখার চেষ্টা করে শবনম। বাবা মায়ের কঠোর শাসন অনুশাসনের মধ্যে বেড়ে ওঠা হাত পা বাঁধা জীবন তার। সেই বয়সে সন্ধ্যার পর ঘরে ফেরা কিংবা ক্লাস ফাঁকি দিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে সিনেমা দেখাই ছিল নিয়ম ভাঙার নামান্তর। নিজের মায়ের মতো অত কঠোর মা হতে পারেনি শবনম। সময় পায়নি, আবার খবরদারি করার ইচ্ছাও জাগেনি। কারণ, নিজেকে দিয়েই জানে সে, শাসনের বেড়াজাল মানুষকে ছোট করে রাখে। পূর্ণ মানুষ হতে দেয় না। তাকে ভঙ্গুর আর হীনমন্য করে তোলে। পরে যখন শাসন থেকে মুক্তি পায় তখন সব কিছুতেই বাড়াবাড়ি করে ফেলে। এসব কিছু ভেবেই বলতে গেলে কোনো নজরদারি ছাড়াই মুক্ত পরিবেশে বেড়ে উঠেছে শ্রাবণ। তারপরও তার এই বিদ্রোহী মনোভঙ্গী কেন ভেবে পায় না শবনম। এ কি শুধুই তারুণ্যের নিরীক্ষাপ্রবণতা, কে জানে!

ইউনিভার্সিটির ফার্স্ট ইয়ারে উঠেই শ্রাবণ বায়না ধরল বন্ধুদের সঙ্গে বান্দরবানের পাহাড়ে ট্র্যাকিং করতে যাবে। থাকবে পাঁচ রাত। অল্পবয়সী ছেলে মেয়েরা একা একা এত দুর্গম জায়গায় গেলে, উদ্বেগ হয় না? তা ছাড়া, ওসব এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্কও থাকে না। পথঘাটের কী পরিস্থিতি, অজানা অচেনা জায়গায় কোনো বিপদে পড়ে কি না, দুর্ঘটনার আশংকা আছে কি না, কত শত প্রশ্ন মাথায় আসে। দুঃশ্চিন্তায় মন আচ্ছন্ন হয়ে যায়। শবনম তো বাপ মায়ের বাধায় থার্ড ইয়ারে উঠেও ডিপার্টমেন্টের স্টাডি ট্যুরে ইন্ডিয়া যেতে পারেনি, মানে যাওয়ার অনুমতি পায়নি। কিন্তু শ্রাবণ অদম্য, অপ্রতিরোধ্য। বলেছে যখন তখন যাবেই, যাবে। শেষ পর্যন্ত গিয়েওছিল, বন্ধুদের সঙ্গে হেসে খেলে মজা করে নিরাপদে ফেরৎ ও এসেছে। কিন্তু তবু চিরায়ত মায়েদের মত আশঙ্কা উৎকন্ঠায় সারাটাক্ষণ বুক কেঁপেছে শবনমের। তারেক তাকে বোঝায়, ‘আহা তুমি এত সিরিয়াস হইলা কেন? এইসব তো এক্সপেরিমেন্ট, অল্পবয়সে সবাই এমন একটু আধটু করে। বয়স বাড়ুক, দেখবা সব ঠিক হয়ে যাবে।’

‘ওকে কেমন অদ্ভুত দেখাচ্ছে বলো.. কি দরকার ছিল ..’
‘দেখো, আমাদের সঙ্গে ওদের রুচির ব্যবধান তো থাকবেই। ওর সব কাজ কারবার আমাদের পছন্দ না হওয়াটাই স্বাভাবিক, কিন্তু মেনে নিতে হবে। করতে দাও যা করতে চায়। তারুণ্যের ধর্মই তো এমন ..’
‘ও আমাকে কি বলছে জানো? বিয়ে করবে না, জরায়ু কেটে ফেলে দেবে আর একটা বাচ্চা দত্তক নিয়ে পালবে। এইসব ট্রাডিশনাল ফ্যামিলি প্রথায় ওর নাকি বিশ্বাস নাই।’
তারেক দাড়ি নাড়িয়ে হো হো করে হাসে। বলে, ‘আমিও তো ভাবছিলাম, জীবনেও বিয়ে শাদি করব না। সংসার থেকে শত হাত দূরে থাকব। সন্ন্যাসী হয়ে পথে পথে ঘুরব। সেই আমিও তো তোমাকে দেখে মত পাল্টাইলাম। সুড় সুড় করে লাইনে আসলাম।’

শবনম বুঝল তারেককে কিছু বলে লাভ নাই। বরাবরের মতোই মেয়েকে সে প্রশ্রয় দিয়েই যাবে। হয়তো সেজন্যই শ্রাবণ অনেক ব্যাপারেই মায়ের চেয়ে বাবার সঙ্গে শেয়ার করতে পছন্দ করে। একটাই কারণ, বাবা মাথা ঝাঁকিয়ে চুপচাপ মেয়ের কথা শুনে যায়, কোনো পরামর্শ বা মতামত দেয় না।

কলেজে পড়ার সময় একবার বিড়াল পোষার বায়না ধরলো শ্রাবণ। ফ্লাটবাড়িতে বিড়াল পোষা কি সহজ ব্যাপার? তা ছাড়া, বিড়ালকে খাওয়ানো দাওয়ানো, পটি করানো, সময়ে অসময়ে পশু ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া-ঝক্কি কি কম? শবনম মেয়েকে নানা ভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ওই যে মাথায় ঝোঁক চেপেছে, কোনো কিছুতেই সে বুঝ মানে না। বরং উল্টো মাকে বোঝায়, ‘বিড়াল খুব কিউট একটা প্রাণী মা, আমার তো ভাইবোন নাই। ও আমার ছোট ভাইবোনের মত থাকবে। তোমার কিছু করতে হবে না, সব কাজ আমি করব। বাবা বলেছে আমাকে হেল্প করবে।’

বাবার সমর্থন পাওয়ার পর শবনমের আপত্তি আর ধোপে টিকলো না। বাপ বেটি মিলে বেশ দাম দিয়ে একটা জিনজার কালারের গোমড়ামুখি পারশিয়ান বিড়াল কিনে নিয়ে এলো। ‘লীলাবতী‘ নামের সেই আহ্লাদি বিড়াল এখন পরিবারের সদস্য হিসেবে গত কয়েকবছর ধরে আরাম আয়েশ করে বহাল তবিয়তে টিকে আছে। শ্রাবণ ঠিকই বলেছিল, এখন সে পরিবারের আরেকটি সন্তান।
চলবে...

Header Ad
Header Ad

চ্যাম্পিয়নশিপের দল শেফিল্ডে মাসে ৪০ কোটি টাকা বেতন পাবেন হামজা চৌধুরী

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলার হামজা চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

ইংলিশ ক্লাব লেস্টার সিটি থেকে ধারে চ্যাম্পিয়নশিপের দল শেফিল্ড ইউনাইটেডে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলার হামজা চৌধুরী। তবে নতুন দলে এসেই তিনি হয়েছেন সর্বোচ্চ বেতনের খেলোয়াড়।

মার্চে বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা হামজা চৌধুরী শেফিল্ড থেকে বছরে ২৬ লাখ পাউন্ড বেতন পাবেন, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা। মাসিক হিসাবে তার বেতন প্রায় ৩.৩ কোটি টাকা। তবে আপাতত জুন পর্যন্ত ধারে থাকার কারণে তিনি চলতি মৌসুমের বাকি সময় পর্যন্ত এই বেতনই পাবেন।

শেফিল্ড ইউনাইটেড বর্তমানে ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে, যা তাদের আগামী মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে খেলার সম্ভাবনা উজ্জ্বল করেছে। ক্লাবটি চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপাও জিততে পারে। হামজার ধারের মেয়াদ শেষ হলে শেফিল্ড ইউনাইটেড তার সঙ্গে স্থায়ী চুক্তি করার পরিকল্পনাও করছে।

শেফিল্ডে হামজার পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেতন পাওয়া খেলোয়াড় হলেন ডিফেন্ডার রব হোল্ডিং, যিনি বছরে ২৩ লাখ ৪০ হাজার পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৫ কোটি ৮১ লাখ টাকা) বেতন পান। তৃতীয় সর্বোচ্চ বেতন পাওয়া খেলোয়াড়রা হলেন আনেল আহমেদহোডজিক, গুস্তাভো হার্মার, টম ডেভিস ও ভিনিসিয়াস সৌজা, যারা প্রত্যেকে বছরে ১৫ লাখ ৬০ হাজার পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকা) বেতন পান।

শেফিল্ড ইউনাইটেডে যোগ দিয়ে হামজা চৌধুরী শুধু মাঠের খেলায় নয়, বেতনের ক্ষেত্রেও শীর্ষস্থানে উঠে এসেছেন। এখন দেখার বিষয়, তিনি নতুন দলে কতটা প্রভাব বিস্তার করতে পারেন।

Header Ad
Header Ad

পবিপ্রবিতে আবাসিক হলগুলোর নাম পরিবর্তন, মুছে ফেলা হলো শেখ পরিবারের নাম

ছবি: সংগৃহীত

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি) থেকে শেখ পরিবারের নামে থাকা সব আবাসিক হলের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আটটি আবাসিক হলের নতুন নামকরণের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলামের অনুমোদনক্রমে এবং রেজিস্ট্রার (অ.দা.) অধ্যাপক ড. ইকতিয়ার উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানায়, শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ও নাম পরিবর্তন কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে উপাচার্যের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হলগুলোর নতুন নাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন নামকরণের ফলে শের-ই-বাংলা হল-১ এখন শহীদ জিয়াউর রহমান হল-১, শের-ই-বাংলা হল-২ হয়েছে শহীদ জিয়াউর রহমান হল-২, কবি বেগম সুফিয়া কামাল হল হয়েছে চাঁদ সুলতানা হল, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল হয়েছে কবি বেগম সুফিয়া কামাল হল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল হয়েছে বিজয় ২৪ হল এবং বরিশাল ক্যাম্পাসের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল হয়েছে জুলাই ৩৬ হল। এছাড়া, নির্মাণাধীন নতুন ছাত্র হলের নাম রাখা হয়েছে শের-ই-বাংলা হল, আর নির্মাণাধীন নতুন ছাত্রী হলের নাম হবে তাপসী রাবেয়া হল। তবে এম. কেরামত আলী হলের নাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আরও জানিয়েছে, পরবর্তী রিজেন্ট বোর্ড সভায় আনুষ্ঠানিক অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত নতুন নামগুলো বহাল থাকবে।

Header Ad
Header Ad

ইসরায়েলের তেল আবিবে তিনটি বাসে বিস্ফোরণ

ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলের তেল আবিব শহরতলির ব্যাট ইয়াম ও হোলোন এলাকায় পার্কিং লটে থাকা তিনটি বাসে পরপর বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। দেশটির পুলিশ একে সম্ভাব্য সন্ত্রাসী হামলা বলে মনে করছে।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, আরও দুটি বাসে বিস্ফোরক রাখা হলেও তা বিস্ফোরিত হয়নি। বিস্ফোরণের পরপরই বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে এবং সন্দেহভাজনদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

পুলিশ ধারণা করছে, বিস্ফোরণ ঘটানোর সময় নির্ধারণে ভুল হওয়ার কারণে বড় ধরনের প্রাণহানির ঘটনা এড়ানো গেছে। এ ঘটনার পর ইসরায়েলজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কঠোর করা হয়েছে এবং জনগণকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানানো হয়েছে।

ইসরায়েলের পরিবহনমন্ত্রী মিরি রেগেভ সব বাস, ট্রেন ও লাইট রেল পরিষেবা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। দেশটির গণমাধ্যম জানিয়েছে, বিস্ফোরক খুঁজে বের করার জন্যই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি বাস পার্কিং লটে আগুনে পুড়ছে এবং কালো ধোঁয়া আকাশে ছড়িয়ে পড়ছে। তবে এ পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

পুলিশের মুখপাত্র আরিয়ে দোরন চ্যানেল ১২-কে জানিয়েছেন, "আমরা তেল আবিবের বিভিন্ন স্থানে আরও বিস্ফোরক আছে কিনা, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যে কোনো সন্দেহজনক ব্যাগ বা বস্তু দেখলেই আমাদের জানান।’"

স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, একটি অবিস্ফোরিত ডিভাইসের সঙ্গে সংযুক্ত একটি বার্তায় লেখা ছিল, ‘তুলকারেম থেকে প্রতিশোধ’। ধারণা করা হচ্ছে, ইসরায়েলের সাম্প্রতিক সামরিক অভিযানের জবাবে ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরের তুলকারেম শহর থেকে এই হামলার পরিকল্পনা করা হয়ে থাকতে পারে।

বিস্ফোরণের ঘটনার পর ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ পশ্চিম তীরের শরণার্থী শিবিরে সামরিক অভিযান আরও জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি, প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে পরিস্থিতির সর্বশেষ তথ্য নিয়মিত জানানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

চ্যাম্পিয়নশিপের দল শেফিল্ডে মাসে ৪০ কোটি টাকা বেতন পাবেন হামজা চৌধুরী
পবিপ্রবিতে আবাসিক হলগুলোর নাম পরিবর্তন, মুছে ফেলা হলো শেখ পরিবারের নাম
ইসরায়েলের তেল আবিবে তিনটি বাসে বিস্ফোরণ
বিয়ের ছবি ভাইরাল, বললেন শুভকামনা জানানোর জন্য ধন্যবাদ
বাংলা ভাষায় মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা জানালেন সৌদি রাষ্ট্রদূত
বিমানবন্দর থেকে ৪৫ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠালো মালয়েশিয়া
স্বামীর বন্ধু পরিচয়ে পদ্মার চরে নিয়ে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেফতার ৩
১ মার্চ রোজা শুরু হলে ৩৩ বছর পর ঘটতে পারে এক বিরল ঘটনা
ফ্যাসিবাদ যতোই ফিরে আসার চেষ্টা করুক, প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে না: জামায়াত আমির
এফবিআই প্রধান হলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কাশ প্যাটেল
ভেঙে গেল চাহাল-ধনশ্রীর সংসার
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত উন্মুক্ত কনসার্ট স্থগিত
জনগণের পক্ষের কোনো রাজনীতিবিদ কখনও পালায় না: রিজভী
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ লাগবে না, কারণ আমি এসে গেছি: ট্রাম্প
ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে আগামীর বাংলাদেশ গড়বে: সারজিস আলম
শহীদ মিনারে রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা জানানোর সময় ‘গো ব্যাক চুপ্পু’ স্লোগান
ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানুষের ঢল
শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শ্রদ্ধা
গাজায় ধ্বংসস্তূপে মিলল আরও ২২ লাশ, মৃতের সংখ্যা ৪৮ হাজার ৩০০ ছাড়াল
একুশের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা