শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-১১

স্নানের শব্দ

অফিসে একটা চাপা উত্তেজনা। কারণ নির্ঝর চৌধুরী অবশেষে ইমেইলে তার পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে চাকরিতে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। তার বিদায়টা অবশ্য যথাযথ হলো না। যেন একরকম পালিয়ে বাঁচলেন তিনি। যথাসময়ে নিজের প্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারার মাশুল দিলেন হয়ত। হয়ত ভেবেছিলেন ঘটনার কোনো প্রত্যক্ষদর্শী নেই, ফলে জানবে না কেউ। কিন্তু এতদিন মুখ বন্ধ করে রাখা ভুক্তভোগী নিজেই যে জলজ্যান্ত সাক্ষী হয়ে সব কিছু ফাঁস করে দেবে তা কে জানতো? শেষ অবধি তার কর্মের দায় প্রতিষ্ঠান নেয়নি। ফলে নিজ কর্মফল নিজের ঘাড়ে নিয়ে নিঃশব্দে চলে যেতে হয়েছে তাকে।

সবাই জানে ম্যানেজমেন্ট এখন কোম্পানির জন্য নতুন সিইও খুঁজছে। সেটা তারা প্রতিষ্ঠানের ভেতর থেকেও নিতে পারেন আবার বাইরে থেকেও আনতে পারেন। তাদের মর্জি।
‘ম্যাডাম, ইনহাউজে তো আপনি আর ওসমান গণি সাহেব.. এই দুজনই সিইও হবার যোগ্য।’

মনিরুজ্জামান তার ফাইলে সই নিয়ে চলে যাবার আগে অধোমুখে বলে। শবনম সরাসরি ‘হ্যাঁ বা না’ কিছু বলে না। ‘তবে আমরা মনে করি, সব বিবেচনায় আপনার দিকেই পাল্লা ভারি..’ মনিরুজ্জামান আবার বলে।

’কীভাবে?’ শবনম ভ্রু উঁচিয়ে গম্ভীর মুখে জানতে চায়। কথা বলতে পারার আনন্দে উজ্জ্বল হয়ে উঠে মনিরুজ্জামানের চেহারা, ‘আপনার এতদিনের অভিজ্ঞতা, বিদেশি ডিগ্রি, সিনসিয়ারিটি, স্টাফদের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা সব মিলিয়ে ..’
কথার মাঝখানেই ওকে থামিয়ে দেয় শবনম।
‘শোনো, এইসব যাদের বিষয় তাদের ভাবতে দাও, চেয়ারম্যান সাহেব আছেন, বোর্ড অব ডিরেক্টরস আছেন তারাই ভাববেন, তুমি নিজের কাজে মন দাও।’
‘জ্বি ম্যাডাম, জ্বি।’

মনিরুজ্জামান চলে যাওয়ার পর তিনতলার বোর্ডরুমের দিকে এগোয় শবনম। কোম্পানির জুনিয়ার এক্সিকিউটিভ নিয়োগের ভাইবা আছে আজ। লিখিত পরীক্ষায় যারা ভালভাবে পাশ করেছে মৌখিক পরীক্ষায় তাদেরই ডাকা হয়েছে, দেখে শুনে আরেক দফা যাচাই বাছাই করে নেওয়ার জন্য। সিইও সাহেব উপস্থিত থাকলে এ সব কাজে সাধারণত শবনমের ডাক পড়ে না। তার অনুপস্থিতিতে বোর্ডে বসে তরুণ ভীরু, আত্মবিশ্বাসী আশা নিরাশায় দোদুল্যমান নানা ধরনের মুখগুলি দেখছিল শবনম। প্রশ্ন করছিল টুকটাক। তীক্ষ্ণ চোখে পর্যবেক্ষণ করছিল অন্য বোর্ড সদস্যদের করা প্রশ্নোত্তর পর্ব আর ফাঁকে ফাঁকে চোখ বুলাচ্ছিলেন টেবিলের উপরে রাখা চাকুরিপ্রার্থীদের সিভিগুলোতে। একটা মেয়ের সিভিতে এসে রেফারেন্সের ঘরে চোখ আটকে গেল ওর। ক্যাপিটাল লেটারে প্রফেসর ইমতিয়াজ মতিন এবং তার ডিপার্টমেন্ট আর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম লেখা। সঙ্গে তার কন্টাক্ট নম্বরও দেওয়া আছে। হঠাৎ কি মনে হলো টুক করে সবার অগোচরে নিজের ফোনে ইমতিয়াজের নম্বরটা টুকে নিল শবনম।

বোর্ডের সামনে বসে থাকা ইমতিয়াজের ছাত্রী মেয়েটা দেখা গেল বেশ চটপটে, ঝটপট সবার প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে। না পারলে দ্রুত বলে দিচ্ছে উত্তরটা তার জানা নেই।

‘ইমতিয়াজ স্যার আপনাদের কি পড়াতেন?’
‘স্যার বিজনেস কমিউনিকেশনস পড়াতেন, ম্যাম’
মেয়েটি চোখের দিকে তাকিয়ে স্পষ্ট উচ্চারণে বলল। ‘এখন তো উনি ডিন। প্রো-ভিসি হয়ে যাবেন কদিন পরে ...

ব্যবসায়িক যোগাযোগের সাধারণ কয়েকটা বিষয় নিয়ে মেয়েটিকে প্রশ্ন করল শবনম। ভালই উত্তর দিল মেয়েটি। ইন্টারভিউ শেষ করতে করতে লাঞ্চ টাইম পার হয়ে গেল। তারপর বোর্ডের অন্যদের সঙ্গে নম্বর মিলিয়ে প্রার্থী সিলেক্ট করে শেষ বিকেলে নিজের রুমে বসে ইমতিয়াজের ফোন নম্বরটা বের করে এক দৃষ্টিতে সেদিকে তাকিয়ে থাকল শবনম। কত কথা যে শরতের মেঘের মতো ভেসে ভেসে মনের মধ্যে এল আর গেল। কিছু মেঘ বৃষ্টি ঝরাল, কিছু মেঘ কালো হাতির মত শুড় তুলে দল বেঁধে অজানায় হারিয়ে গেল আর কিছু মেঘ উড়ে এসে মনের উপর চেপে বসল, ফলে অবচেতনে চাপা পড়ে থাকা স্মৃতিবৃক্ষ থেকে টুপটাপ শুকনো পাতারা ঝরতে থাকল।

শবনমের মনে পড়ে অনেক আগে বন্ধুদের আড্ডায় ইমতিয়াজ একবার কথায় কথায় বলেছিল, ‘ঘরের মধ্যে প্রতিযোগিতা করা তার একেবারেই পছন্দ নয়,’
তবে কি শবনমের মধ্যে প্রতিযোগী মনোভাব খুঁজে পেয়েছিল সে? সেকি ভয় পেয়েছিল, ভেবেছিল ভবিষ্যতে শবনম তাকে ছাড়িয়ে যেতে পারে? সে কি কোনো ধরনের হীনমন্যতায় ভুগছিল? নাকি ডুবেছিল আত্মমগ্নতায়? তার অনভ্যস্ত মন হয়ত প্রচলিত চাওয়া পাওয়া আর গণ্ডিবদ্ধ জীবনের বাইরে গিয়ে শবনমের পরিবর্তিত অবস্থান মেনে নিতে রাজি ছিল না। মুখচোরা স্বভাবের কারণেই হয়ত কোনোদিন স্পষ্ট করে কিছু বলেওনি সে। অথচ শবনম সবসময় তার হাত ধরে, লেফট রাইট করে তালে তালে পা মিলিয়ে পাশাপাশি চলার কথা ভেবেছে, প্রতিযোগিতা নয়, সহযোগিতা করতে চেয়েছে, সংকটে সাফল্যে, সুখে দুঃখে পাশে থাকতে চেয়েছে। ইমতিয়াজ তাকে পূজা করে মাথায় তুলে রাখুক, আদর করে শোকেসে সাজিয়ে রাখুক এমনটা হয়ত কখনোই চায়নি সে, তবে অবহেলা বা উপেক্ষা? না, সেটা সহ্য করা সম্ভব নয়। একটা নিয়ন্ত্রিত, সমর্পিত, অধস্তন জীবনও তার কাছে যাপনযোগ্য মনে হয়নি কোনোদিন।

কেমন হতো আজ সেও যদি ইমতিয়াজের মতো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর হত, দুজন একসঙ্গে গবেষণা করত, সেমিনারে বক্তৃতা করত, দেশ-বিদেশ ঘুরে বেড়াতো.. কে জানে জীবনটা তখন আরও বিরক্তিকর আরও একঘেয়ে বা ক্লান্তিকর হয়ে পরতো কি না।

এখন তো বোঝাই যায় শবনম যেমনটা চেয়েছিল ইমতিয়াজ তেমনটা চায়নি। সেই কারণেই হয়ত ওদের কয়েক ব্যাচ জুনিয়র বাংলা সাহিত্যের সাদাসিধে ছাত্রী উম্মে কুলসুম আঁখিকে বিয়ে করে সুখি হয়েছে সে। সুরাইয়াই বোধহয় জানিয়েছিল একবার, প্রবাসে থাকতেই দুই পুত্রের বাবা হয়েছে ইমতিয়াজ। পিএইচডি শেষে কয়েক বছর বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করে দেশে ফিরে মোটা বেতনে একটা নামি-দামি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দিয়েছে সে। অন্যদিকে আঁখি চাকরি বাকরির পথে যায়নি বরং নিপুণ হাতে ঘর সংসার সন্তান সামলেছে।
একবার বছর দুয়েক আগে ফাইনানসিয়াল ইন্টিগ্রিটি নিয়ে মেট্রোপলিটন চেম্বারের একটা রাউন্ড টেবিলে প্রায় আঠারো বছর পরে ইমতিয়াজের সঙ্গে মুখোমুখি দেখা হয়েছিল শবনমের। ছাত্রজীবনের হালকা পাতলা টিংটিঙে শরীরে স্বভাবতই বয়সের মেদমাংশ লাগা, চুল পড়ে বড় হয়ে যাওয়া কপাল, মুখে মানানসই সাদা কালো ফ্রেঞ্চকাট দাড়ি, স্যুটেড বুটেড ইমতিয়াজকে তার ঘন ভ্রু, চশমার কাঁচের নিচে ঢাকা কালো ছোট চোখ দুটোতে প্রখর আত্মবিশ্বাসী দৃষ্টি আর ঠোঁটের কোণে ঝুলে থাকা বাঁকা হাসির জন্যই হয়ত চিনতে এতটুকু কষ্ট হয়নি শবনমের।

‘কি অবস্থা? কেমন আছো?’
প্রথম ইমতিয়াজই জিজ্ঞেস করেছিল ভদ্রতা করে। তারপর পাশের ভদ্রলোককে ক্যাজুয়াল ভঙ্গীতে হাসিমুখে বলেছিল,
‘আমরা কিন্তু ইউনিভার্সিটিতে ক্লাসমেট ছিলাম।’
শবনম মাথা নেড়ে সায় দিয়েছিল। হ্যাঁ, ক্লাসমেটই তো, একই শ্রেণিকক্ষে দীর্ঘদিন পাশাপাশি বসেছি, আড্ডা দিয়েছি। তারপর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় পাশ দেওয়া হলে, যার যার অর্জিত জ্ঞান নিয়ে আমরা চলে গিয়েছি নিজস্ব গন্তব্যে। পুরনো প্রেমের গল্পগুলো তখন টুপ করে ডুবে গিয়েছিল সমুদ্রের গভীর অতলে। নিজেদের আত্মকেন্দ্রের চারপাশে আত্মপ্রতিষ্ঠার নেশায় বুঁদ হয়ে ঘুরছিলাম আমরা, সেই ঘূর্ণন দুইজনকে দুই মেরুতে নিয়ে ফেলেছে। এখন বাকি সব পরিচয় ঢেকে গিয়ে সহপাঠী পরিচয়টিই প্রধান ও একমাত্র পরিচয় হয়ে উঠেছে।

শবনম তার ফোন থেকে ইমতিয়াজের নম্বরটা আস্তে করে বোতাম টিপে ডিলিট করে দেয়। একবার যা হারায় তা একেবারেই হারায় আর ফিরে আসে না, তবে খামোখা কেন যোগাযোগের ক্ষীণ সূত্রটা জিইয়ে রাখা? তারচে নিজেকে একেবারে প্রত্যাহার করে নেওয়াই ভাল। এ সব আসলে সুন্দর ফাঁদ, তোমাকে আটকে ফেলবে আবেগের জালে, কষ্ট দেবে, মিছিমিছি দুঃখ বাড়াবে। নিজেকে বোঝায় সে। কোনো দুর্বলতাকে প্রশ্রয় দেওয়া চলবে না। তারচে নিজের স্বাধীন, স্বাবলম্বী, অর্থপূর্ণ জীবনকে উদযাপন করো। নিজেই নিজের পিঠ চাপড়ে দাও, উচ্চকণ্ঠে বলো, থ্রি চিয়ার্স ফর শবনম। নিজের পেশাগত জীবনের সম্মান, অনিশ্চয়তা, টেনশনের পাশাপাশি এত দূর পর্যন্ত দম ধরে রেখে যে দৌড়ে যাচ্ছো, তার গৌরব ও আনন্দকে গুরুত্ব দাও। উল্লাস কর। উদযাপন কর।

হ্যাঁ, তোমার এ অর্জন এমনি এমনি আসেনি। সেজন্য মূল্য দিতে হয়েছে, সকাল সন্ধ্যা গাধার খাটুনি খাটতে হয়েছে, হাড়ভাঙা পরিশ্রমও করতে হয়েছে। কারো আদরের বিড়াল হয়ে কোলে উঠে মিউ মিউ করার স্বভাব বাদ দিয়ে বাঘিনীর মতো নিঃসঙ্গ সতর্ক গর্জনশীল জীবন বেছে নিতে হয়েছে। তবে দিনশেষে প্রাপ্তিটাও তো কম নয়। নিজের ব্যক্তিত্ব বজায় রেখে কাউকে তোয়াক্কা না করে, স্বাধীনভাবে মাথা উঁচু করে চলতে চাইলে আরাম আয়েশের কিছু ঘাটতি তো হতেই পারে, তাই না?

চলবে…

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>

স্নানের শব্দ: পর্ব-১০

স্নানের শব্দ: পর্ব-৯

স্নানের শব্দ: পর্ব-৮

Header Ad

গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের শ্রীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের উদয়খালী গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

মৃত তিন শিক্ষার্থী হলেন- মোজাম্মেল হোসেন নাঈম (২৪), মোস্তাকিম রহমান মাহিন (২২) ও জোবায়ের আলম সাকিব (২২)।

জানা গেছে, শনিবার সকালে গাজীপুর মহানগরের বোর্ড বাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের প্রায় ৪৬০ জন শিক্ষার্থী বিআরটিসির ৬টি ডাবল ডেকার বাস ও ৩টি মাইক্রোবাসে করে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের উত্তর পেলাইদ গ্রামের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামীণ আঞ্চলিক সড়ক ধরে রিসোর্টের উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় উত্তর পেলাইদ গ্রামের উদয়খালী বাজারে পৌঁছালে বিআরটিসির ডাবল ডেকার একটি বাস পল্লী বিদ্যুতের তারের স্পর্শে আসে। এ সময় বাসটি বিদ্যুতায়িত হলে কয়েকজন শিক্ষার্থী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। তাদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক জাকিউল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, তিনজনকেই মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। আহত সংখ্যা এখনও নিশ্চিত হতে পারিনি। আমরা জরুরি বিভাগে যাচ্ছি।

Header Ad

কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া

ছবি: সংগৃহীত

মিল্ক বিউটিখ্যাত দক্ষিনি অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া নতুন বছরে তার জীবনের একটি বিশেষ অধ্যায়ে পা রাখতে যাচ্ছেন। খলচরিত্র করে আলোড়ন তোলা অভিনেতা বিজয় ভার্মার সঙ্গে তার প্রেমের গুঞ্জন চলছিল অনেক দিন ধরেই। তবে এ নিয়ে কেউই মুখ খোলেননি। এবার তাদের সম্পর্ক নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন তামান্না। এমনকি ২০২৫ সালে সাতপাকে বাঁধা পড়ার সম্ভাবনা আছে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন।

সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমের এক প্রোমোশনাল ইন্টারভিউতে তামান্না তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে জানান, প্রেমের সম্পর্কের জন্য জীবনে দুবার হৃদয় ভেঙেছে তার। সেই সময়টা তামান্নার জন্য খুবই ভয়াবহ ছিল।

তিনি আরও জানান, তিনি খুব কম বয়সে একজন ছেলের সঙ্গে প্রথম ভালোবাসায় জড়িয়েছিলেন এবং তার দ্বিতীয় সম্পর্কটি ছিল তার অভিনয় ক্যারিয়ারের শিখরে থাকা অবস্থায়। তবে সে সময় তিনি অনুভব করেন যে, সেই ছেলে তার সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের জন্য সঠিক ব্যক্তি নয়।

তবে এত কিছুর পরও বাহুবলিখ্যাত তামান্না প্রেমিকের নাম প্রকাশ করেননি। এর আগে গুঞ্জন ছিল যে, তিনি ভারতীয় অভিনেতা বিজয় ভার্মার সঙ্গে ডেট করছেন। পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায় বহুবার ফ্রেমবন্দি হয়েছেন তারা। যদিও নিজেদের এ সম্পর্ক আড়ালে রাখতে বদ্ধপরিকর দুজনই। এখন দেখার অপেক্ষা তামান্না জীবনসঙ্গী হিসেবে কাকে বেছে নেন।

সবশেষ তামান্না ভাটিয়াকে আইটেম গার্ল হিসেবে দেখা যায় অমর কৌশিক পরিচালিত ‘স্ত্রী ২’ সিনেমায়। এ সিনেমায় আরও অভিনয় করেন রাজকুমার রাও, শ্রদ্ধা কাপুর, পঙ্ক ত্রিপাঠিসহ আরও অনেকে।

Header Ad

পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...

ছবি: সংগৃহীত

পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকার বিনিময়ে নয় মাসের শিশু সন্তানকে দত্তক দেন শরীফা খাতুন নামে মানসিক ভারস্যমহীন এক মা। বিষয়টি জানতে পেরে গতকাল শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ওই নবজাতককে উদ্ধার করে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়েছেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশের সহায়তায় ওই শিশুটিকে তার মায়ের কোলে ফেরত দেন।
মানসিক ভারসাম্যহীন নারী শরীফা খাতুন বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নের জেমজুট মুসলিমবাগ এলাকায় তিন সন্তানকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকেন। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে সংসার চালান।

প্রতিবেশী ও পরিবারের সদস্যরা জানান, গত এক বছর আগে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় শরীফা খাতুনের। এর পর সন্তানদের নিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করে চলত তার পরিবার।

গত মঙ্গলবার নিজের ৯ মাসের কন্যা সন্তানকে পঞ্চগড় পৌরসভার দক্ষিণ তেলিপাড়া এলাকায় একটি হলুদ খেতে রেখে ভিক্ষা করতে যান শরীফা খাতুন। এ সময় শিশুটিকে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে স্থানীয় রুনা আক্তার নামে এক নারী; একইসঙ্গে শরীফাকেও নিজ বাড়িতে নেন তিনি। রুনা নামে ওই নারীর নিজ সন্তান না থাকায় শিশুটিকে দত্তক নিতে চাইলে, ৫০০ টাকার বিনিময়ে রেখে চলে যান শরীফা।

এরপর চার দিন পর অবশেষে পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় নিজ পরিবারের কাছে ফিরেছে শিশুটি। বর্তমানে শিশুটিকে দেখভাল করছেন মানসিক ভারসামহীন শরীফার ১৬ বছরের বড় ছেলে নয়ন।

এ বিষয়ে শরীফার ছেলে নয়ন ইসলাম বলেন, গত চার দিন আগে মা বোনকে নিয়ে হঠাৎ পঞ্চগড়ে যান। পরে একসময় বাড়িতে একাই এসে ঘরে তালা লাগিয়ে বন্দি অবস্থায় থাকতে শুরু করেন। বোন কোথায় তা জানতে চাইলে কোনো কিছুই জানাচ্ছিলেন না।

পরে অনেক কৈশলে বোনের অবস্থান জানতে পারি। এরপর সেই বাড়িতে গিয়ে বোনকে ফেরত চাইলে তারা দিতে অস্বীকার করেন। আরও জানতে পারি মা বোনকে নেবেন না বললে তারা ৫০০ টাকা মাকে খেতে দিয়ে একটা কাগজে স্বাক্ষর করে নেন। শুক্রবার সাংবাদিক ও পুলিশ এসে তদন্ত করে আমার বোনকে আনতে নির্দেশ দিলে মাকে সঙ্গে নিয়ে বোনকে বাড়িতে নিয়ে আসি।

স্থানীয় মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অনেক আগে থেকে ওই নারীকে দেখছি। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে পরিবার চালান। তবে কয়েকদিন আগে নিজের সন্তানকে মানুষের কাছে দিয়ে প্রায় পাগল হয়ে বেড়াচ্ছিলেন।

কাজলা নামে স্থানীয় এক নারী বলেন, সকালে শরিফা আমার কাছে এসে আমার পা জড়িয়ে ধরেছেন আর বলেছেন আপু যেভাবেই পারো আমার মেয়েকে এনে দাও।

প্রতিবেশীরা বলেন, স্বামী না থাকায় পরিবারটা চালাতে শরীফা খাতুন ভিক্ষা করতেন। এর মাঝে এমন কাণ্ড ঘটে তিনি পাগল হয়ে গেছেন। তার তিনটা সন্তান। একটা ছেলে ও দুটি মেয়ে। এদের কি হবে আমরা জানি না। তবে সরকারি সহায়তা পেলে তাদের গতি হতো।

এ বিষয়ে পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, আগের বিষয়টি আমাদের কেউ জানায়নি। খবর পাওয়ার পর পঞ্চগড় সদর থানার ওসিকে জানানো হয়। বিষয়টি পুলিশের হস্তক্ষেপে সুষ্ঠু সমাধান করে ভারসাম্যহীন নারীর কাছে তার বাচ্চা ফেরত দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, যেহেতু ওই নারীর বাড়ি বোদা উপজেলায়, সেখানকার ইউএনওকে জানিয়ে সরকারি সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান
বেনাপোলে সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধার
পুলিশ-অটোরিকশা চালক সংঘর্ষ, ঢাকা-পদ্মা সেতু ট্রেন চলাচল বন্ধ
ভারতীয় সাবমেরিনের সঙ্গে মাছ ধরা নৌকার সংঘর্ষ, নিখোঁজ ২
সংসার ভাঙার দুদিন পরই সুখবর দিলেন এ আর রহমান
ঢাকায় পৌঁছেছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি
আ.লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ