শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | ৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

গল্প

ধোঁয়া উঠার কাল

হাবীব ঘুমানোর চেষ্টা করছিল, তখন রাত দুইটা। এর মাঝে মেসেঞ্জারে মেসেজ আসে। মেসেজ পাঠিয়েছে তার বান্ধবী দিবা। দিবা আর তার পরিচয় কলেজ জীবন থেকে। হাবীব মেসেজ নিয়ে ভাবে। এত রাতে কে মেসেজ দিল?

দিবার মেসেজ, না রে আর পারছি না। কেন এমন হয়? কেন এত সাফার করতে হবে? কল দিব, না মেসেজেই রিপ্লাই দিব। সে তো গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিল, অথচ লোকেশন শো করছে ঢাকা। বাড়ি হলো অসুখের নিরাময়কেন্দ্র। আপনজনদের স্পর্শ আর যত্নে রোগ পালাতে বাধ্য। কিসের সাফারিংস? যেহেতু লোকেশন ঢাকা দেখাচ্ছে সেহেতু কাল সরাসরিই দেখা করি। শোনা যাবে সবই। ছোট্ট একটা মেসেজ দেওয়া যেতে পারে, চাপ নেইস না। সব ঠিক হয়ে যাবে।

দোস্ত, কি হইছে বলতো? কাল অমন মেসেজ দিলি?
হাবীব, তুই তো জানিস আমি গ্রামে ছিলাম কয়দিন।
জানি।
গিয়ে দেখি এলাকার মানুষের যায় যায় অবস্থা। ক্ষেতের পর ক্ষেত আলু আবাদ করছে। আলুর ফলন কী তার! সমস্যা একটাই, আলুর দাম নাই।’
তারপর!

আমাদের গ্রামে মাহতাব নামের একজন আছেন। বিএ পাশ। জমিজমা ভালোই। সিজন অনুযায়ী সব আবাদই করে। এই সিজেনে আবাদ করছে আলু। দাম না থাকায় তার মনের অবস্থা ভালো না। সে সকালে হাঁটতে বাইর হয় কয়দিন আগে পাকা হওয়া রাস্তায়। হাঁটলে মানুষ চিন্তা থেকে মুক্তি পায়। এই আশাতেই সে সকালের নামাজ শেষ করেই বেরিয়েছে। এক পা ফেলে আর মনে করে চিন্তার জাল ছিঁড়ে যাচ্ছে। একটু পরেই মুক্তি মিলবে। মুক্তির বদলে ওই জাল আরও শক্ত হয়। পায়ে আটকে যায়। নিজের ভেতর থাকা চিন্তার সাথে অন্যদের চিন্তাও যোগ হয়। তার প্রতিবেশি ইলিয়াস ঢুলতে ঢুলতে এসে বলে, চাচা, তোমরা না দোয়া পড়ি পড়ি অসুখ ভাল করেন। বিলাই কামড় দিলে লবণ পড়া দেন। সকাল সকাল বাসি টিরি তিন পাক ঘুইরবার কন। মুই ছয় পাক ঘুরইবার আজি আছং; তাও কন কেমন করি ধারদেনা থাকি মুক্তি পাইম।

ইলিয়াস একশো বিঘার উপর জমিতে আবাদ করেছিল। নিজের জমি না থাকায় আরেকজনের জমি বন্ধক নিয়ে আবাদ করেছে। নিজের জমানো টাকা থেকে সে এই আবাদ করে নাই। করবে কেমন করে তার তো পুঁজি নাই। ব্যাংক আর এনজিও থেকে লোন নিয়ে আবাদে নেমেছে। আলু বিক্রি করে ঋণের টাকা শোধ করবে এই ভরসাতেই চার লাখ টাকা ঋণ নেয়। তার এ পরিকল্পনা বাস্তবে কাজে দেয় না। আলুর দাম না-থাকায় সে ঋণ শোধ করতে পারে না। ঋণের টাকা নিতে আসবে জেনে সে আগে ঘর ছাড়ে। বউকে বলেছে, তুই ঘরত থাকেক, আইতত কোটে যাবু, মিইচচ্যাকনা আকাশ ফর্সা হইলে বাইর হবু। বউ সে কথাতেই রাজি থেকে ঘুমাতে যায়। চিন্তাদেশ ঘুরতে ঘুরতে ক্লান্ত হলে আকাশ ফর্সা হওয়ার ঘণ্টা খানেক আগে ঘুমিয়ে পড়ে। ঘুম ভাঙে এনজিওকর্মীর ডাকে। বলার কিছু নাই, দরজা খুলে হা করে গিলতে থাকে ওই কর্মীর কথা, শুয়োরের বাচ্চারা ঋণ নিয়া আবাদ করছে, এ্যালা টাকা দিবার নয়। তোমরা আবাদ কইরবার জন্যে ঋণ চাইছেন হামরা দিছি। এ্যালা কিস্তি দেবার সময়, কিন্তু দেবার নাম নাই। খানকির বাচ্চারা টাকা নেবার সময় হুশ আছিল না। এ্যালা মাগি মাইনষের মতো পালে বেড়ান। কর্মীরও করার কিছু নেই। সে প্রত্যেক সপ্তাহে আসে—টাকা না পেয়ে খালি হাতে ফিরতে হয়। অফিসে টাকার হিসাব দিতে পারে না। চাকরি টিকিয়ে রাখার সম্ভাবনা দেখতে না পেয়ে টাকা আদায়ে শক্ত হয়।

ইলিয়াসের বউ শুনতে শুনতে ক্লান্ত হয়ে আবার ঘুমিয়ে পড়ে এনজিওকর্মী চলে গেলে। ঘুমাতে ঘুমাতে স্বপ্ন আসে। দেখতে পায় স্বপ্নে রাতের আসমান। যেখানে কোনো তারা নাই। চাঁদ ডুবে গেছে কত বছর আগে সেকথা ভুলেই গেছে। বিয়ের আগে ইলিয়াসের সাথে জ্যোৎস্না রাতে প্রেম জমিয়েছে। কই গেল সেই জ্যোৎস্না? কই গেল সেই পূর্ণিমা? কই গেল সেই তারা? যে তারার আলোয় লুকোচুরি খেলেছে। না, সে এসব পায় না। লুকোচুরির ধরন বদলে গেছে। এখনের লুকোচুরি হলো জীবন থেকে পালিয়ে বাঁচার। পালিয়ে কেউ বাঁচতে পারে? এমন প্রশ্ন সে অনেকবার নিজেকে করেছে। উত্তর জানা নাই বলে সিদ্ধান্তে আসতে পারে না। কেবল পালিয়ে থাকতে হবে এটুকু জানে। বিয়ের আগে প্রেম জমেছে, জমেছে অনেক গল্পে। ইলিয়াস বলেছিল ক্ষেতের আইল দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে পাকা ধানের শরীরে হাত বুলাতে বুলাতে চলে যাবে আরেকরাজ্যে। বিকালে ঘুরতে যাব তিস্তা নদী। হাঁটবে বালুতে। চলে যাব দুজনে চিকলির বিলে। দেখবে ঘাগর নদী। ভিন্নজগৎ-রাম সাগর-স্বপ্নপুরী দেখতে যাব। সে এসবের কিছুই এখনো দেখতে পায় নাই। যাওয়া হয় নাই কোথাও। জীবন খুঁড়ে খুঁড়ে দেখে, সেখানে কোনো রং নাই। তাকে ঘুরতে হবে, বসত ভিটা ছেড়ে ঠিকানা না থাকা জীবনে। ধান গাছের শরীরে হাত রাখবে কি, সেই ক্ষেতই তাদের থাকবে না।

ইলিয়াসের নিখোঁজ হওয়ার সংবাদে বাজার বেশ গরম। সবাই মেতে আছে এ টপিকেই। মাহতাব এই পথ দিয়েই যাচ্ছিল। তাকে দেখে একজন এগিয়ে আসে। বলে, চাচা, ইলিয়াস তো বাড়ি ছাড়ি পালাইছে।
ক্যা পালাইল?
মাঠত আলু। কিন্তু অয় হিসাব করি দেখছে যে ট্যাকা উইঠপার নয়। যে আলু হইছে তাতে লছ। এই কয় বছর ধরি লছ যাইতে যাইতে শ্যাষ হয়া গেইছে। বাড়ি ছাড়ি পালাইল।
দামখান একনা বাড়ালেও তো হয়।
দাম? হামরা পামো আবাদের দাম, চাচা, সেই কপাল কী হামার আছে। হামরা টিক্যার ঘাম মাটিত ফেলি আবাদ করি। আর যেইনা তুইলবার ধরি তখনে দাম নাই। একদোন মাটিত আবাদ করতে আঠারো হাজার ট্যাকা নাগছে। দাম যদি এ্যাকনা ভালো হইল হয় তারপরেও ক্যাশটা আসিল হয়। সেই ক্যাশেও এ্যালা ঘাটতি। হামরা আবাদ করছি, ফলন ফলাইছি। দুইটা ট্যাকা আয় করমো সেই আশায় তো হামরা এত শ্রম দিনো। বউ-বাচ্চাক নিয়া খাওয়ামো। এ্যাকনা সুখত থাকমো ওই জন্যে তো এত কননো। তা হইল কোটে? হামার ওষুধের দাম যাক। পরিশ্রমের দাম যাক। কিন্তু ক্যাশটা আসুক। হামার উপরের মানুষেরা কী ওইগল্যা বুঝে? এমনিতে দাম নাই ওমরা আবার হরতাল-অবরোধ নাগায়।

শোক শোক মনে কেউ কিছু ভাবতে পারে না, ভাবতে পারে না মাহতাবও। সে খেয়াল করলে বুঝতে পারে হাঁটতে হাঁটতে তার পায়ে ব্যথা ধরে গেছে। কিন্তু চিন্তা মুক্তির যে মিশনে সে নেমেছে তা ব্যর্থ হতে চলছে। আবাদে লস হওয়ায় আলুর বদলে ধান আবাদ করতে চায়। কিন্তু ধানের বেলাও সেই একই হিসাব। দাম থাকে না। যে খরচ করে ধানের পেছনে তা ওঠে না। লস, লসই থাকে। মেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ে। গতকাল ফোন করেছে, টাকা লাগবে। টাকার হিসাব কষতে গিয়ে দেখে মেয়ের চাওয়া মেটাতে গেলে একশো বস্তা আলু বিক্রি করতে হবে। আলু পেয়েছে মাত্র সত্তর বস্তা। টাকা না দিলে মেয়ের পড়ালেখা বন্ধ থাকবে। বাবা হয়ে কী করে এ সহ্য করবে? জমি বন্ধক রেখে টাকা পাঠায়। এও হিসাব করতে থাকে যে, এভাবে কতদিনই বা চলবে? চালানো যাবে? যে দাম তার প্রত্যাশায় ছিল তা পেলে জমি বন্ধক রাখতে হত না। প্রত্যেক বছর আবাদ করবে, ফলন পাবে, দাম থাকবে না। আর জমি বন্ধক রেখে মেয়ের পড়ার খরচ যোগাবে, সংসার চালাবে। যেদিন সব জমি বন্ধক হয়ে যাবে সেদিন কি করবে? মাহতাব গণিতে বরাবরই দুর্বল ছিল বলে বিজ্ঞান ছেড়ে এইচএসসিতে আর্টস পড়েছে। কিন্তু জীবনের বিজ্ঞানে ঠিকই পাকতে হচ্ছে। ক্যালকুলেটর ছাড়াই মেলাতে পারছে হিসাব।

সে নানা চাপ আর যন্ত্রণা নিয়ে বাজার থেকে বাড়িতে ফেরার পথে শুনেছে আবাদের দাম বাড়া নিয়ে মিটিং হয়েছে। রমিজ নামের একজন তারই ডিটেইল শোনায় মাহতাবকে।
চাচা, আবাদির ঘর আস্তাত আলু ফেলি বসি আছে। সবায় দাম চাবার নাগছে। এইদোন দেখি নেতারঘর মিটিং বসাছিল। মুইও গেছনু মিটিংঅত। যায়া দেখং ওমরা হাত তুলি, গলা উঁচি উঁচি বড়ো বড়ো বক্তৃতা দেইল। সবাক একসাথে হয়া আন্দোলন কইরবার কইল। কইল আলুর ন্যায্য দাম দেবার কথা। মাঝখান থাকি যে ফড়িয়া দালাল গজায় এইগল্যার দাপট বন্ধ কইরবার কথা কইল। ভরতুকি বাড়াবার কইল। কৃষকক লোন দেবার দাবি জানাইল। সরকারি কোল্ডস্টোরেজ নির্মাণ কইরবার কইল। বাইরের দেশত অপ্তানি কইরবার কইল। আর একন্যা ছন্দ মিলি কইল—

যে কৃষকের রক্তের আবরণ
সেই কৃষকের গোলায় নাই ধান
যে শ্রমিক ঘোড়ায় গাড়ির চাকা
মাসের পনের দিন যাইতে না যাইতেই সেই শ্রমিকের
পকেট হয়ে যায় ফাঁকা।

এইদোন কথা শুননো। ভালোই কইছে। কিন্তু এইগল্যা কামত আসলে তো হইল হয়। হামার কায়ো কায়ো আলু তুলছে। কিন্তু ওমরা দাম পায় নাই বলি আর কায়ো আলু তুইলবার সাহস পায় না। ওদি গাছের বয়স নব্বই-পঁচানব্বই দিন পার হয়া গেইছে। গাছ মরি গেইছে তারপরেও আলু তুলে না। তুলি কী করবে? মুইও কিছু আলু তুলং নাই। আলু তুলি ব্যাচমো কার কাছত? নিবে কায়?
কী আর কবু? হামার পরিশ্রমে চইলবার নাগছে দেশখান। আর হামরায় পাই না জিনিস-পাতির দাম। কৃষকক মারছে বিটিশেরঘর, মারছে পাকিস্তানিরঘর, এ্যালা মাইরবার নাগছে নিজ দেশের সরকার। হামরা কার কাছত যায়া কমো দুঃখের কথা?
হয় চাচা, অবস্থা তো এইদোনে।

আমাদের গ্রামের অধিকাংশ মানুষ আবাদের উপর নির্ভর করে। ভালো খাওয়া-দাওয়া, নতুন জামা-কাপড়ের হিসাব ধান-পাট-আলু তোলাকে কেন্দ্র করে। রমিজ নামের যে মাহতাবকে মিছিল-মিটিংয়ের গল্প শুনিয়েছে সেও পুরাদমে কৃষক। আবাদের দাম না-থাকায় তার পরিবার বেকায়দায় থেকে সময় পার করছে। তার বউ আছিয়া কয়দিন থেকে ঘরের বাইরে আসতে পারে না কাপড় না-থাকায়। যে কাপড়টুকু আছে তাতে পুরো শরীর ঢাকা যায় না। মাথা ঢাকতে গেলে হাতের পেশি বেরিয়ে থাকে। পেশি ঢাকতে গেলে নাভি বেরিয়ে পড়ে। রমিজেরা অসহায়। বউকে নতুন কাপড় কিনে দেবে সেই আশাতে প্রত্যেক বছর আবাদ করে। আর আবাদ তোলার সময় হলে সেই আশা টিকিয়ে রাখতে পারে না। দাম না পেয়ে বাদ পরে যায় ঘরের মানুষের নতুন কাপড় কেনার বিবেচনা। তখন আছিয়াদের অর্ধেক কাপড় পুরা শরীর ঢাকার জন্য বরাদ্দ পায়।

মাহতাব ক্লান্ত হয়ে যায়। ব্রিজে বসে জিরাতে চায়। চুপচাপ থাকা চারপাশ তার নিশ্বাসের শব্দে জেগে ওঠে। জেগে ওঠে সেও। জাগে তার ভেতরটা। আলু আবাদে কোনো লাভ আছে? চব্বিশ শতক জমিনে আলু হয় অতিরিক্ত হলে ত্রিশ মণ। দামে সত্তর টাকা বস্তা। কোনো পুঁজিই থাকে না। স্টোরে আলু রাখতে গেলে কেমন করে রাখবে? মালিক সত্তর টাকা বস্তা আলু কিনে নিজে বিক্রি করে পঞ্চাশ-ষাইট টাকায়। ঘাটতি পোষাতে স্টোরের মালিককে লোন না দিলে আলু রাখবে কে? বাংলাদেশে অমুক দল, তমুক দল আন্দোলন করে। আন্দোলন করে চেয়ারের জন্যে। কৃষকের জন্যে না। ক্ষমতায় গেলে জনগণের কোনো খোঁজ থাকে না। মন্ত্রি ভাষণ দেয়, আমাদের আমলে একটা কামলা চল্লিশ কেজি ধান কিনতে পারে একদিন কাজ করে। সে কি জানে একদোন জমিনে কয়টা কামলা লাগে? ধানের চারা লাগানো থেকে মাচায় তোলা পর্যন্ত কয়টা কামলা যায়, তার হিসাবে নাই। পনেরো থেকে বিশটা কামলা লাগে। তাদের টাকা দিতে হলে তো গেরস্থের ফসলের দাম দিতে হবে। গেরস্থ টাকা না পেলে কামলার টাকা দেবে কোথা থেকে? বলে, দেশে শতকরা আশি ভাগ কৃষক। সেই হিসাবে বাংলাদেশে কৃষকের গুরুত্ব আছে? যে কৃষকের আবাদে চলে পুরা দেশ। সেখানে সরকারের উচিত বড়ো বাজেট রাখা। দাদার কাছে গল্প শুনেছিলাম জমিদার আর জোতদার ক্ষেত থেকে ধান কেটে নিয়ে যেত। আবাদিরা লাঠি-সোঠা নিয়ে বাইর হত। মারামারি করত। ধান নিতে দিত না। এখন, আমার আমলে আবাদিরা ধান কাটতেই চায় না দাম নাই, এইজন্যে।
তাদের চলতে হচ্ছে রহিম আর সেলিমের হিসাবে তাল মিলিয়ে; যা সে সন্ধ্যায় শুনেছিল।
দোস, এক কাপ চায়ের দাম কবার পাইস কত?
ক্যান, জানিস না মনে হয়? দাম হইল পাঁচ ট্যাকা।
আর এক কেজি আলুর দাম?
চাইর ট্যাকা।
তাইলে?
তাইলে সোয়া কেজি আলু নিয়া আসপু আর এক কাপ চা খাবু।
মিটি গেইল।

মাহতাবের মনে জমে থাকা চিন্তার শেষ নাই। চিন্তারা ভাবিয়ে তোলে, জীবন চলবে কেমন করে? আমরা না-হয় কোনো রকমে দিন পার করে কবরে গেলে বাঁচি, কিন্তু আমাদের ছেলেমেয়েরা করবেটা কী? তাদের তো এমন করে চলবে না? সবই ডিজিটাল হবে আর আমাদের মতো সন্তানেরাও কী পড়ে থাকবে অভাবে? সে এই যন্ত্রণার হিসাব থেকে মুক্তি খোঁজে। রাজকুমারীর মতো এক হাজার একটা গল্প বলে হলেও বাঁচতে চায়।

ইলিয়াস গ্রাম ছেড়েছিল ঋণের চাপ সহ্য করতে না পেরে। অনেকদিন যাওয়ার পর মনে করে গ্রামে ফেরা উচিত। ভাবনা বাস্তবে রূপ দিয়ে গ্রামে আসে। এলে শুনতে পায় তাকে নিয়ে গল্প চালু হয়েছে; গল্পটা তার বিয়ের। শহরে গিয়ে অচেনা মেয়ের সাথে রং নাম্বারে কথা বলতে বলতে প্রেম জমে। সেখান থেকে বিয়ে। বিয়ে করে সে ভুলে যায় ঋণের কথা। ভুলে যায় প্রথম বউয়ের কথা। কে কী গল্প বলে গেছে, সেই গল্প শাখা-প্রশাখা ছড়াতে ছড়াতে এতই বিস্তৃত হয় যে, মূল হারিয়ে যায়। গল্পটা ছিল, ইলিয়াস আলুর দাম না পেয়ে লসের হিসাবে ডুবতে ডুবতে আশ্রয় নেয় শহরের বস্তিতে। সারাদিন রিকশা চালিয়ে ভালোই ইনকাম করতে শিখে। চলতে থাকে। টাকা জমাতে থাকে। জমাতে জমাতে দেখে তার ‘কুঁচ’ ফুলে যাচ্ছে। যার কাছ থেকে রিকশা নিয়ে শহরে ভাড়া মারে সে তার ‘কুঁচ’ উঁচা হওয়া টের পায়। সে ইলিয়াসের পেছনে লাগিয়ে দেয় তার পা লেংড়িয়ে লেংড়িয়ে হাঁটা মেয়েটাকে। সে লাগে, লাগে তার জং ধরা রূপ ঘষে ঘষে চকচকা করে। বলে, আপনে সারাদিন ম্যালা কাম করেন। ইস! আপনার পিঠটা-ঘাড়টা কালা অইয়া গেছে। শইল্লের একটু যত্ন নিয়েন। বলতে বলতে মেয়েটার হাত ইলিয়াসের মুখ-ঠোঁট ছুঁয়ে ছুঁয়ে বুকে ঠেকে। অনেকদিন থেকেই ইলিয়াসের শুকিয়ে থাকা শরীল ঠাণ্ডা-শীতল স্পর্শ পেয়ে গলতে থাকে। গলতে গলতে দুই শরীল রূপ পায় এক শরীলে। সেখান থেকে বছর ঘুরতে না ঘুরতে জন্মে আরেকটা শরীল। মালিক এবার জেঁকে বসে। সুযোগ আসে কথা বলার। সুযোগ আসে মাতবরি ফলানোর। ইলিয়াসকে দুই-চারটা চড়-থাপ্পড় মেরে মেয়ের সাথে তার বিয়ের ব্যবস্থা করে। মুক্ত হবার বদলে ইলিয়াস আরেকটা জটে পড়ে। জট আরো বাড়তে থাকে। তার কাছে যে টাকা ছিল তা খরচ হয়ে যায় বিয়ে পার করতে। এখন যে টাকা আসে সব টাকাই চলে যায় বউয়ের হাতে। সে পাই পাই করে হিসাব নেয়। কোথায় কত টাকা যায় সবই গুণতিতে আসে। গ্রাম ছেড়েছিল ফিরে এসে ঋণ শোধ করবে, সেজন্য। সাত বছর পর গ্রামে ফিরে ইলিয়াস এই গল্প না শুনে, শুনছে আরেক গল্প।

দিবা কৃষকের হাহাকার নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেয়। যেখানে থাকে নিজের কথাও।


রুমমেট, দেখতো তোর বন্ধু দিবা ফেসবুকে কীসের গল্প-টল্প নিয়ে লিখছে।
আচ্ছা। দেখতেছি। তুই টেনশন নেইস না।
হাবীব, তোকে মাহতাব নামের একজনের গল্প শুনিয়েছি কিন্তু তিনি কে? তার সম্পর্কে যে এত জানি, তার সাথে আমার সম্পর্ক কী? এ নিয়ে তোকে কিছুই বলি নাই। তুইও জানতে চাস নাই। সব মিলিয়ে বলা হয়ে উঠে নাই। তিনি হলেন আমরা বাবা। এটা হাইড রেখেছিলাম। অনেক চিন্তা করে দেখলাম এত হাইড-টাইড রেখে কী হবে? এটা তো পাবলিক গল্প। দেশের সব চাষিই এ জীবন যাপন করছে। আমার বাবাও তাই। জানুক সবাই। আমাদের দেশপ্রধান হয়তো এদিকে কখনো নজরই দেবে না। অথচ চাষিরা যদি একবার বলে এই উত্তরাঞ্চল থেকে কোনো ধান-গম-আলু দেশের অন্য কোথাও পাঠানো হবে না, তাহলে না খেয়ে মরতে হবে ক্ষমতায় থাকা মানুষদের। কিন্তু এই ঘোষণা তারা দিতে পারে না, দেয় না। রোদ-বৃষ্টিতে পুড়ে পুড়ে তাদের মন হয়েছে অকৃত্রিম। যার দ্বারা তৈরি করেছে নিজেদের ফসলের মতো সবুজ করে।


‘তাদের খুব আবেগ/ তারা ভালোবাসে মাটি/ তারা ভালোবাসে মা/ তারা ভালোবাসে সন্তান/ তারা ভালোবাসে মানুষ/ তারা ভালোবাসে স্বদেশ।’

 

Header Ad
Header Ad

দাদা ও চাচার বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে বিষ প্রয়োগে হত্যার অভিযোগ

সংবাদ সম্মেলন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁর আত্রাইয়ে বিষ প্রয়োগ করে দাদা ও চাচার বিরুদ্ধে সানজিদা (১৬) নামে এক কিশোরীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সকালে নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন নিহত কিশোরীর স্বজনেরা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহত কিশোরীর মামা ফজলুর রহমান। এ সময় অন্যদের মধ্যে ওই কিশোরীর মা খুশি বেগম, নানা মোসলেম প্রামাণিক, চাচা সাইফুল ইসলাম মন্ডল, মামা হামিদুল প্রামাণিক উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্য ফজলুর রহমান বলেন, নিহত কিশোরী সানজিদা আত্রাই উপজেলার আন্দার কোটা গ্রামের বাসিন্দা সৌদি প্রবাসী শামসুল মন্ডলের মেয়ে। সানজিদা উপজেলার ঘোষগ্রাম উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল। তার বাবা কাজের সূত্রে দীর্ঘদিন ধরে সৗদি আরবে ও আরব আমিরাতে (দুবাই) অবস্থান করছেন। শামসুল মন্ডলের স্ত্রী খুশি বেগম মেয়ে সানজিদাকে নিয়ে স্বামীর বাড়িতে বাস করে আসছিলেন। শামসুল বসতবাড়ির বসতভিটার উত্তর পাশে বাবা মোসলেম মন্ডলের কাছ থেকে জমি কিনে নিয়ে ৪ বছর আগে মাটির বাড়ি তৈরি করেন। সেই বাড়িতেই সানজিদা ও তার মা বসবাস করতো। পরে ওই জায়গায় পাকা বাড়ি করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করলে শামসুলের বাবা মোসলেম ও ভাই সাজিম মন্ডল বাঁধ সাজে। সানজিদার দাদা শামসুলকে বসতভিটার উত্তর পাশে পাকা বাড়ি না করে দক্ষিণ পাশে নীচু জায়গায় বাড়ি করার জন্য বলে আসছিল। এ নিয়ে বিরোধ শুরু হয়। সানজিদার বাবা ও ভাই বিদেশে থাকায় বাড়ি করা নিয়ে বিরোধের জেরে সানজিদা ও তার মায়ের সঙ্গে তাঁর দাদা মোসলেম ও চাচা সাজিমের প্রায় পারিবারিক কলহ লেগে থাকতো। এই কলহের জেরে দাদা মোসলেম মন্ডল ও সাজিম মন্ডল হত্যার উদ্দেশ্যে গত ৯ এপ্রিল হত্যার উদ্দেশ্যে সানজিদার শরীরে বিষ প্রয়োগ করে। পরবর্তীতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১২ এপ্রিল রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর আগে সানজিদা বলে গেছে তার দাদা ও চাচা তাঁর শরীরে ইনজেকশনের মাধ্যমে বিষ প্রয়োগ করেছে। তাঁর এই বক্তব্যের ভিডিও ধারণ করা আছে। এ ঘটনায় রাজশাহী রাজপাড়া থানায় একটি অপমৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে মোসলেম মন্ডল ও সাজিম মন্ডল পলাতক রয়েছেন।

লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, গত ৯ এপ্রিল সকালে সানজিদা প্রাইভেট পড়ার জন্য ঘোষগ্রাম উচ্চবিদ্যালয়ে যায়। প্রাইভেট পড়ে সে বেলা ১১টার দিকে বাড়িতে আসে। এ সময় সাংসারিক কাজে সানজিদার মা খুশি বেগম বাড়ির বাইরে ছিলেন। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে সানজিদার দাদা মোসলেম ও চাচা সাজিম সানজিদার ঘরের ভেতরে যায়। দাদা মোসলেম সানজিদার পাশে বসে একপর্যায়ে তাকে জাপটে ধরে এবং চাচা সাজিম পকেট থেকে বিষের ইনজেকশন বের করে তার বাম হাতের শিরায় জোর ইনজেকশন প্রয়োগ করে। তারা সানজিদাকে হুমকি দিয়ে বলে এ কথা কাউকে বললে তার মতো বাবা ও ভাইকেও হত্যা করবে। সানজিদার মা খুশি বেগম বাড়িতে এসে মেয়েকে অসুস্থ অবস্থায় দেখতে পেয়ে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় মেয়েকে নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে ওই দিনই তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১২ এপ্রিল রাতে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় রাজশাহীর রাজপাড়া থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু (ইউডি) মামলা হয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে সানজিদার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত মোসলেম ও সাজিমের ফাঁসি দাবি করা হয়।

সাজিম মন্ডলের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিয়ে তা বন্ধ পাওয়ায় অভিযোগের বিষয়ে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আত্রাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাবুদ্দীন বলেন, ‘যে মেয়েটি মারা গেছে তার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় যোগাযোগ করা হয়েছিল। এ ঘটনায় রাজশাহী রাজপাড়া থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে। সেখানেই নিহত কিশোরীর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পরিপ্রেক্ষিতে এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

Header Ad
Header Ad

গত ৯ মাসে এক আকাশ ভালোবাসা অর্জন করেছি : প্রেসসচিব

ছবি: সংগৃহীত

গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে দেশে গঠিত হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এই সরকারের প্রেস সচিব হিসেবে দায়িত্ব পান শফিকুল আলম।

সরকারের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে প্রায় ৯ মাসে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছ থেকে কী অর্জন করেছেন, তা তুলে ধরেছেন তিনি।

আজ শুক্রবার দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এক পোষ্টে শফিকুল আলম লিখেছেন, ‘গত নয় মাসে আমি কী অর্জন করেছি: এক চিমটি ঘৃণা, একমুঠো অবিশ্বাস ও এক আকাশ ভালোবাসা।

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজে আগ্রহ দেখায়নি বেসরকারি চ্যানেল, দেখাবে বিটিভি

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ সম্প্রচারে আগ্রহ দেখায়নি দেশের কোনো বেসরকারি টিভি চ্যানেল। যার কারণে রাষ্ট্রয়াত্ত বিটিভির শরণাপন্ন হয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বিটিভির পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পুরো সিরিজটি সম্প্রচারের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

সবশেষ কয়েক বছরে মিলেনিয়াম মিডিয়া কনসোর্টিয়ামের মাধ্যমে ঘরের মাঠের ম্যাচগুলো সম্প্রচার করেছে বাংলাদেশের দুটি বেসরকারি চ্যানেল টি-স্পোর্টস ও জিটিভি। তবে সবশেষ সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজ দিয়ে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে তাদের সঙ্গে।

তাই জিম্বাবুয়ে সিরিজের আগে গত ১৯ মার্চ আর্থিক প্রস্তাবনা ও এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্টসহ (ইওআই) উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করেছিল বিসিবি। তবে ৭ এপ্রিল দরপত্রের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও আগ্রহ দেখায়নি কেউ। যার কারণে জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য মিডিয়া রাইটস বিক্রি করতে পারেনি বিসিবি।

এমন অবস্থায় দুই টেস্টের সিরিজ সরাসরি সম্প্রচার করতে বাংলাদেশ টেলিভিশনের দ্বারস্থ হয়েছে বিসিবি। পুরো সিরিজই সম্প্রচার করবে বিটিভি।

সিলেটে আগামী ২০ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজের প্রথম টেস্ট। এরপর ২৮ মে চট্টগ্রামে দ্বিতীয় টেস্টে মুখোমুখি হবে দুদল। ইতোমধ্যে সিলেট টেস্টের টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করেছে বিসিবি। আজ (১৮ এপ্রিল) থেকে যা সংগ্রহ করা যাবে মধুমতি ব্যাংকের আম্বরখানা শাখায়। সকাল ১০টা থেকে এখানে টিকিট বিক্রি শুরু হবে। পরদিন থেকে স্টেডিয়াম কাউন্টারেও টিকিট কাটা যাবে।

বিসিবি সিলেট স্টেডিয়ামের গ্রান্ড স্ট্যান্ডের দাম নির্ধারণ করেছে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা। এর অর্ধেক দামে মিলবে ক্লাব হাউজের টিকিট। ২ নম্বর গেটের পূর্বদিকের গ্যালারির টিকিটের দাম ১৫০ টাকা। শহিদ আবু সাঈদ স্ট্যান্ডের টিকিটের দাম ১০০। গ্রিন হিল, শহিদ তুরাব স্ট্যান্ড (পশ্চিম দিক) ও ৩ নম্বর গেটের পূর্বদিকের গ্যালারির টিকিটের জন্য পরিশোধ করতে হবে ৫০ টাকা করে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দাদা ও চাচার বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে বিষ প্রয়োগে হত্যার অভিযোগ
গত ৯ মাসে এক আকাশ ভালোবাসা অর্জন করেছি : প্রেসসচিব
বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজে আগ্রহ দেখায়নি বেসরকারি চ্যানেল, দেখাবে বিটিভি
সন্ত্রাসী তালিকা থেকে তালেবানকে বাদ দিলো রাশিয়া
ভিনগ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব আছে, জানালেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক
ব্রাজিলের ভক্তদের ‘বানরের’ সঙ্গে তুলনা, নিষেধাজ্ঞার মুখে আর্জেন্টিনা
নারীরা কেন বয়সে ছোট পুরুষের সঙ্গে প্রেমে জড়াচ্ছেন?
জুলাই-মার্চ মাসে ৩০.২৫ বিলিয়ন ডলার পোশাক রফতানি করেছে বাংলাদেশ
সংঘর্ষে উড়ে গেছে বাসের ছাদ, তবুও ১০ কিলোমিটার চালিয়ে ৬০ যাত্রীকে বাঁচালেন চালক
কোলের সন্তান বিক্রি করে অলংকার, মোবাইল কিনলেন মা
চুয়াডাঙ্গায় বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে দু’জন নিহত
ইয়েমেনের তেল বন্দরে মার্কিন বিমান হামলায় নিহত ৩৮
হবিগঞ্জে ট্রাক-পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৪
সৌদি আরব-মরক্কো থেকে ৪৬৬ কোটি টাকার সার কিনবে সরকার
গাইবান্ধায় মাদক মামলায় ৩ যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান জানালেন প্রধান উপদেষ্টা
তোপের মুখে ওয়াক্‌ফ আইন স্থগিত করল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট
নিজেকে বরিশাল সিটির মেয়র ঘোষণার দাবিতে মামলা করলেন ফয়জুল করীম
ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিমদের ‘পূর্ণ নিরাপত্তা’ নিশ্চিতের আহ্বান বাংলাদেশের
টাঙ্গাইলে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে কেন্দ্র সচিব ও পরীক্ষার্থীসহ আটক ৬