শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

গল্প

ধোঁয়া উঠার কাল

হাবীব ঘুমানোর চেষ্টা করছিল, তখন রাত দুইটা। এর মাঝে মেসেঞ্জারে মেসেজ আসে। মেসেজ পাঠিয়েছে তার বান্ধবী দিবা। দিবা আর তার পরিচয় কলেজ জীবন থেকে। হাবীব মেসেজ নিয়ে ভাবে। এত রাতে কে মেসেজ দিল?

দিবার মেসেজ, না রে আর পারছি না। কেন এমন হয়? কেন এত সাফার করতে হবে? কল দিব, না মেসেজেই রিপ্লাই দিব। সে তো গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিল, অথচ লোকেশন শো করছে ঢাকা। বাড়ি হলো অসুখের নিরাময়কেন্দ্র। আপনজনদের স্পর্শ আর যত্নে রোগ পালাতে বাধ্য। কিসের সাফারিংস? যেহেতু লোকেশন ঢাকা দেখাচ্ছে সেহেতু কাল সরাসরিই দেখা করি। শোনা যাবে সবই। ছোট্ট একটা মেসেজ দেওয়া যেতে পারে, চাপ নেইস না। সব ঠিক হয়ে যাবে।

দোস্ত, কি হইছে বলতো? কাল অমন মেসেজ দিলি?
হাবীব, তুই তো জানিস আমি গ্রামে ছিলাম কয়দিন।
জানি।
গিয়ে দেখি এলাকার মানুষের যায় যায় অবস্থা। ক্ষেতের পর ক্ষেত আলু আবাদ করছে। আলুর ফলন কী তার! সমস্যা একটাই, আলুর দাম নাই।’
তারপর!

আমাদের গ্রামে মাহতাব নামের একজন আছেন। বিএ পাশ। জমিজমা ভালোই। সিজন অনুযায়ী সব আবাদই করে। এই সিজেনে আবাদ করছে আলু। দাম না থাকায় তার মনের অবস্থা ভালো না। সে সকালে হাঁটতে বাইর হয় কয়দিন আগে পাকা হওয়া রাস্তায়। হাঁটলে মানুষ চিন্তা থেকে মুক্তি পায়। এই আশাতেই সে সকালের নামাজ শেষ করেই বেরিয়েছে। এক পা ফেলে আর মনে করে চিন্তার জাল ছিঁড়ে যাচ্ছে। একটু পরেই মুক্তি মিলবে। মুক্তির বদলে ওই জাল আরও শক্ত হয়। পায়ে আটকে যায়। নিজের ভেতর থাকা চিন্তার সাথে অন্যদের চিন্তাও যোগ হয়। তার প্রতিবেশি ইলিয়াস ঢুলতে ঢুলতে এসে বলে, চাচা, তোমরা না দোয়া পড়ি পড়ি অসুখ ভাল করেন। বিলাই কামড় দিলে লবণ পড়া দেন। সকাল সকাল বাসি টিরি তিন পাক ঘুইরবার কন। মুই ছয় পাক ঘুরইবার আজি আছং; তাও কন কেমন করি ধারদেনা থাকি মুক্তি পাইম।

ইলিয়াস একশো বিঘার উপর জমিতে আবাদ করেছিল। নিজের জমি না থাকায় আরেকজনের জমি বন্ধক নিয়ে আবাদ করেছে। নিজের জমানো টাকা থেকে সে এই আবাদ করে নাই। করবে কেমন করে তার তো পুঁজি নাই। ব্যাংক আর এনজিও থেকে লোন নিয়ে আবাদে নেমেছে। আলু বিক্রি করে ঋণের টাকা শোধ করবে এই ভরসাতেই চার লাখ টাকা ঋণ নেয়। তার এ পরিকল্পনা বাস্তবে কাজে দেয় না। আলুর দাম না-থাকায় সে ঋণ শোধ করতে পারে না। ঋণের টাকা নিতে আসবে জেনে সে আগে ঘর ছাড়ে। বউকে বলেছে, তুই ঘরত থাকেক, আইতত কোটে যাবু, মিইচচ্যাকনা আকাশ ফর্সা হইলে বাইর হবু। বউ সে কথাতেই রাজি থেকে ঘুমাতে যায়। চিন্তাদেশ ঘুরতে ঘুরতে ক্লান্ত হলে আকাশ ফর্সা হওয়ার ঘণ্টা খানেক আগে ঘুমিয়ে পড়ে। ঘুম ভাঙে এনজিওকর্মীর ডাকে। বলার কিছু নাই, দরজা খুলে হা করে গিলতে থাকে ওই কর্মীর কথা, শুয়োরের বাচ্চারা ঋণ নিয়া আবাদ করছে, এ্যালা টাকা দিবার নয়। তোমরা আবাদ কইরবার জন্যে ঋণ চাইছেন হামরা দিছি। এ্যালা কিস্তি দেবার সময়, কিন্তু দেবার নাম নাই। খানকির বাচ্চারা টাকা নেবার সময় হুশ আছিল না। এ্যালা মাগি মাইনষের মতো পালে বেড়ান। কর্মীরও করার কিছু নেই। সে প্রত্যেক সপ্তাহে আসে—টাকা না পেয়ে খালি হাতে ফিরতে হয়। অফিসে টাকার হিসাব দিতে পারে না। চাকরি টিকিয়ে রাখার সম্ভাবনা দেখতে না পেয়ে টাকা আদায়ে শক্ত হয়।

ইলিয়াসের বউ শুনতে শুনতে ক্লান্ত হয়ে আবার ঘুমিয়ে পড়ে এনজিওকর্মী চলে গেলে। ঘুমাতে ঘুমাতে স্বপ্ন আসে। দেখতে পায় স্বপ্নে রাতের আসমান। যেখানে কোনো তারা নাই। চাঁদ ডুবে গেছে কত বছর আগে সেকথা ভুলেই গেছে। বিয়ের আগে ইলিয়াসের সাথে জ্যোৎস্না রাতে প্রেম জমিয়েছে। কই গেল সেই জ্যোৎস্না? কই গেল সেই পূর্ণিমা? কই গেল সেই তারা? যে তারার আলোয় লুকোচুরি খেলেছে। না, সে এসব পায় না। লুকোচুরির ধরন বদলে গেছে। এখনের লুকোচুরি হলো জীবন থেকে পালিয়ে বাঁচার। পালিয়ে কেউ বাঁচতে পারে? এমন প্রশ্ন সে অনেকবার নিজেকে করেছে। উত্তর জানা নাই বলে সিদ্ধান্তে আসতে পারে না। কেবল পালিয়ে থাকতে হবে এটুকু জানে। বিয়ের আগে প্রেম জমেছে, জমেছে অনেক গল্পে। ইলিয়াস বলেছিল ক্ষেতের আইল দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে পাকা ধানের শরীরে হাত বুলাতে বুলাতে চলে যাবে আরেকরাজ্যে। বিকালে ঘুরতে যাব তিস্তা নদী। হাঁটবে বালুতে। চলে যাব দুজনে চিকলির বিলে। দেখবে ঘাগর নদী। ভিন্নজগৎ-রাম সাগর-স্বপ্নপুরী দেখতে যাব। সে এসবের কিছুই এখনো দেখতে পায় নাই। যাওয়া হয় নাই কোথাও। জীবন খুঁড়ে খুঁড়ে দেখে, সেখানে কোনো রং নাই। তাকে ঘুরতে হবে, বসত ভিটা ছেড়ে ঠিকানা না থাকা জীবনে। ধান গাছের শরীরে হাত রাখবে কি, সেই ক্ষেতই তাদের থাকবে না।

ইলিয়াসের নিখোঁজ হওয়ার সংবাদে বাজার বেশ গরম। সবাই মেতে আছে এ টপিকেই। মাহতাব এই পথ দিয়েই যাচ্ছিল। তাকে দেখে একজন এগিয়ে আসে। বলে, চাচা, ইলিয়াস তো বাড়ি ছাড়ি পালাইছে।
ক্যা পালাইল?
মাঠত আলু। কিন্তু অয় হিসাব করি দেখছে যে ট্যাকা উইঠপার নয়। যে আলু হইছে তাতে লছ। এই কয় বছর ধরি লছ যাইতে যাইতে শ্যাষ হয়া গেইছে। বাড়ি ছাড়ি পালাইল।
দামখান একনা বাড়ালেও তো হয়।
দাম? হামরা পামো আবাদের দাম, চাচা, সেই কপাল কী হামার আছে। হামরা টিক্যার ঘাম মাটিত ফেলি আবাদ করি। আর যেইনা তুইলবার ধরি তখনে দাম নাই। একদোন মাটিত আবাদ করতে আঠারো হাজার ট্যাকা নাগছে। দাম যদি এ্যাকনা ভালো হইল হয় তারপরেও ক্যাশটা আসিল হয়। সেই ক্যাশেও এ্যালা ঘাটতি। হামরা আবাদ করছি, ফলন ফলাইছি। দুইটা ট্যাকা আয় করমো সেই আশায় তো হামরা এত শ্রম দিনো। বউ-বাচ্চাক নিয়া খাওয়ামো। এ্যাকনা সুখত থাকমো ওই জন্যে তো এত কননো। তা হইল কোটে? হামার ওষুধের দাম যাক। পরিশ্রমের দাম যাক। কিন্তু ক্যাশটা আসুক। হামার উপরের মানুষেরা কী ওইগল্যা বুঝে? এমনিতে দাম নাই ওমরা আবার হরতাল-অবরোধ নাগায়।

শোক শোক মনে কেউ কিছু ভাবতে পারে না, ভাবতে পারে না মাহতাবও। সে খেয়াল করলে বুঝতে পারে হাঁটতে হাঁটতে তার পায়ে ব্যথা ধরে গেছে। কিন্তু চিন্তা মুক্তির যে মিশনে সে নেমেছে তা ব্যর্থ হতে চলছে। আবাদে লস হওয়ায় আলুর বদলে ধান আবাদ করতে চায়। কিন্তু ধানের বেলাও সেই একই হিসাব। দাম থাকে না। যে খরচ করে ধানের পেছনে তা ওঠে না। লস, লসই থাকে। মেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ে। গতকাল ফোন করেছে, টাকা লাগবে। টাকার হিসাব কষতে গিয়ে দেখে মেয়ের চাওয়া মেটাতে গেলে একশো বস্তা আলু বিক্রি করতে হবে। আলু পেয়েছে মাত্র সত্তর বস্তা। টাকা না দিলে মেয়ের পড়ালেখা বন্ধ থাকবে। বাবা হয়ে কী করে এ সহ্য করবে? জমি বন্ধক রেখে টাকা পাঠায়। এও হিসাব করতে থাকে যে, এভাবে কতদিনই বা চলবে? চালানো যাবে? যে দাম তার প্রত্যাশায় ছিল তা পেলে জমি বন্ধক রাখতে হত না। প্রত্যেক বছর আবাদ করবে, ফলন পাবে, দাম থাকবে না। আর জমি বন্ধক রেখে মেয়ের পড়ার খরচ যোগাবে, সংসার চালাবে। যেদিন সব জমি বন্ধক হয়ে যাবে সেদিন কি করবে? মাহতাব গণিতে বরাবরই দুর্বল ছিল বলে বিজ্ঞান ছেড়ে এইচএসসিতে আর্টস পড়েছে। কিন্তু জীবনের বিজ্ঞানে ঠিকই পাকতে হচ্ছে। ক্যালকুলেটর ছাড়াই মেলাতে পারছে হিসাব।

সে নানা চাপ আর যন্ত্রণা নিয়ে বাজার থেকে বাড়িতে ফেরার পথে শুনেছে আবাদের দাম বাড়া নিয়ে মিটিং হয়েছে। রমিজ নামের একজন তারই ডিটেইল শোনায় মাহতাবকে।
চাচা, আবাদির ঘর আস্তাত আলু ফেলি বসি আছে। সবায় দাম চাবার নাগছে। এইদোন দেখি নেতারঘর মিটিং বসাছিল। মুইও গেছনু মিটিংঅত। যায়া দেখং ওমরা হাত তুলি, গলা উঁচি উঁচি বড়ো বড়ো বক্তৃতা দেইল। সবাক একসাথে হয়া আন্দোলন কইরবার কইল। কইল আলুর ন্যায্য দাম দেবার কথা। মাঝখান থাকি যে ফড়িয়া দালাল গজায় এইগল্যার দাপট বন্ধ কইরবার কথা কইল। ভরতুকি বাড়াবার কইল। কৃষকক লোন দেবার দাবি জানাইল। সরকারি কোল্ডস্টোরেজ নির্মাণ কইরবার কইল। বাইরের দেশত অপ্তানি কইরবার কইল। আর একন্যা ছন্দ মিলি কইল—

যে কৃষকের রক্তের আবরণ
সেই কৃষকের গোলায় নাই ধান
যে শ্রমিক ঘোড়ায় গাড়ির চাকা
মাসের পনের দিন যাইতে না যাইতেই সেই শ্রমিকের
পকেট হয়ে যায় ফাঁকা।

এইদোন কথা শুননো। ভালোই কইছে। কিন্তু এইগল্যা কামত আসলে তো হইল হয়। হামার কায়ো কায়ো আলু তুলছে। কিন্তু ওমরা দাম পায় নাই বলি আর কায়ো আলু তুইলবার সাহস পায় না। ওদি গাছের বয়স নব্বই-পঁচানব্বই দিন পার হয়া গেইছে। গাছ মরি গেইছে তারপরেও আলু তুলে না। তুলি কী করবে? মুইও কিছু আলু তুলং নাই। আলু তুলি ব্যাচমো কার কাছত? নিবে কায়?
কী আর কবু? হামার পরিশ্রমে চইলবার নাগছে দেশখান। আর হামরায় পাই না জিনিস-পাতির দাম। কৃষকক মারছে বিটিশেরঘর, মারছে পাকিস্তানিরঘর, এ্যালা মাইরবার নাগছে নিজ দেশের সরকার। হামরা কার কাছত যায়া কমো দুঃখের কথা?
হয় চাচা, অবস্থা তো এইদোনে।

আমাদের গ্রামের অধিকাংশ মানুষ আবাদের উপর নির্ভর করে। ভালো খাওয়া-দাওয়া, নতুন জামা-কাপড়ের হিসাব ধান-পাট-আলু তোলাকে কেন্দ্র করে। রমিজ নামের যে মাহতাবকে মিছিল-মিটিংয়ের গল্প শুনিয়েছে সেও পুরাদমে কৃষক। আবাদের দাম না-থাকায় তার পরিবার বেকায়দায় থেকে সময় পার করছে। তার বউ আছিয়া কয়দিন থেকে ঘরের বাইরে আসতে পারে না কাপড় না-থাকায়। যে কাপড়টুকু আছে তাতে পুরো শরীর ঢাকা যায় না। মাথা ঢাকতে গেলে হাতের পেশি বেরিয়ে থাকে। পেশি ঢাকতে গেলে নাভি বেরিয়ে পড়ে। রমিজেরা অসহায়। বউকে নতুন কাপড় কিনে দেবে সেই আশাতে প্রত্যেক বছর আবাদ করে। আর আবাদ তোলার সময় হলে সেই আশা টিকিয়ে রাখতে পারে না। দাম না পেয়ে বাদ পরে যায় ঘরের মানুষের নতুন কাপড় কেনার বিবেচনা। তখন আছিয়াদের অর্ধেক কাপড় পুরা শরীর ঢাকার জন্য বরাদ্দ পায়।

মাহতাব ক্লান্ত হয়ে যায়। ব্রিজে বসে জিরাতে চায়। চুপচাপ থাকা চারপাশ তার নিশ্বাসের শব্দে জেগে ওঠে। জেগে ওঠে সেও। জাগে তার ভেতরটা। আলু আবাদে কোনো লাভ আছে? চব্বিশ শতক জমিনে আলু হয় অতিরিক্ত হলে ত্রিশ মণ। দামে সত্তর টাকা বস্তা। কোনো পুঁজিই থাকে না। স্টোরে আলু রাখতে গেলে কেমন করে রাখবে? মালিক সত্তর টাকা বস্তা আলু কিনে নিজে বিক্রি করে পঞ্চাশ-ষাইট টাকায়। ঘাটতি পোষাতে স্টোরের মালিককে লোন না দিলে আলু রাখবে কে? বাংলাদেশে অমুক দল, তমুক দল আন্দোলন করে। আন্দোলন করে চেয়ারের জন্যে। কৃষকের জন্যে না। ক্ষমতায় গেলে জনগণের কোনো খোঁজ থাকে না। মন্ত্রি ভাষণ দেয়, আমাদের আমলে একটা কামলা চল্লিশ কেজি ধান কিনতে পারে একদিন কাজ করে। সে কি জানে একদোন জমিনে কয়টা কামলা লাগে? ধানের চারা লাগানো থেকে মাচায় তোলা পর্যন্ত কয়টা কামলা যায়, তার হিসাবে নাই। পনেরো থেকে বিশটা কামলা লাগে। তাদের টাকা দিতে হলে তো গেরস্থের ফসলের দাম দিতে হবে। গেরস্থ টাকা না পেলে কামলার টাকা দেবে কোথা থেকে? বলে, দেশে শতকরা আশি ভাগ কৃষক। সেই হিসাবে বাংলাদেশে কৃষকের গুরুত্ব আছে? যে কৃষকের আবাদে চলে পুরা দেশ। সেখানে সরকারের উচিত বড়ো বাজেট রাখা। দাদার কাছে গল্প শুনেছিলাম জমিদার আর জোতদার ক্ষেত থেকে ধান কেটে নিয়ে যেত। আবাদিরা লাঠি-সোঠা নিয়ে বাইর হত। মারামারি করত। ধান নিতে দিত না। এখন, আমার আমলে আবাদিরা ধান কাটতেই চায় না দাম নাই, এইজন্যে।
তাদের চলতে হচ্ছে রহিম আর সেলিমের হিসাবে তাল মিলিয়ে; যা সে সন্ধ্যায় শুনেছিল।
দোস, এক কাপ চায়ের দাম কবার পাইস কত?
ক্যান, জানিস না মনে হয়? দাম হইল পাঁচ ট্যাকা।
আর এক কেজি আলুর দাম?
চাইর ট্যাকা।
তাইলে?
তাইলে সোয়া কেজি আলু নিয়া আসপু আর এক কাপ চা খাবু।
মিটি গেইল।

মাহতাবের মনে জমে থাকা চিন্তার শেষ নাই। চিন্তারা ভাবিয়ে তোলে, জীবন চলবে কেমন করে? আমরা না-হয় কোনো রকমে দিন পার করে কবরে গেলে বাঁচি, কিন্তু আমাদের ছেলেমেয়েরা করবেটা কী? তাদের তো এমন করে চলবে না? সবই ডিজিটাল হবে আর আমাদের মতো সন্তানেরাও কী পড়ে থাকবে অভাবে? সে এই যন্ত্রণার হিসাব থেকে মুক্তি খোঁজে। রাজকুমারীর মতো এক হাজার একটা গল্প বলে হলেও বাঁচতে চায়।

ইলিয়াস গ্রাম ছেড়েছিল ঋণের চাপ সহ্য করতে না পেরে। অনেকদিন যাওয়ার পর মনে করে গ্রামে ফেরা উচিত। ভাবনা বাস্তবে রূপ দিয়ে গ্রামে আসে। এলে শুনতে পায় তাকে নিয়ে গল্প চালু হয়েছে; গল্পটা তার বিয়ের। শহরে গিয়ে অচেনা মেয়ের সাথে রং নাম্বারে কথা বলতে বলতে প্রেম জমে। সেখান থেকে বিয়ে। বিয়ে করে সে ভুলে যায় ঋণের কথা। ভুলে যায় প্রথম বউয়ের কথা। কে কী গল্প বলে গেছে, সেই গল্প শাখা-প্রশাখা ছড়াতে ছড়াতে এতই বিস্তৃত হয় যে, মূল হারিয়ে যায়। গল্পটা ছিল, ইলিয়াস আলুর দাম না পেয়ে লসের হিসাবে ডুবতে ডুবতে আশ্রয় নেয় শহরের বস্তিতে। সারাদিন রিকশা চালিয়ে ভালোই ইনকাম করতে শিখে। চলতে থাকে। টাকা জমাতে থাকে। জমাতে জমাতে দেখে তার ‘কুঁচ’ ফুলে যাচ্ছে। যার কাছ থেকে রিকশা নিয়ে শহরে ভাড়া মারে সে তার ‘কুঁচ’ উঁচা হওয়া টের পায়। সে ইলিয়াসের পেছনে লাগিয়ে দেয় তার পা লেংড়িয়ে লেংড়িয়ে হাঁটা মেয়েটাকে। সে লাগে, লাগে তার জং ধরা রূপ ঘষে ঘষে চকচকা করে। বলে, আপনে সারাদিন ম্যালা কাম করেন। ইস! আপনার পিঠটা-ঘাড়টা কালা অইয়া গেছে। শইল্লের একটু যত্ন নিয়েন। বলতে বলতে মেয়েটার হাত ইলিয়াসের মুখ-ঠোঁট ছুঁয়ে ছুঁয়ে বুকে ঠেকে। অনেকদিন থেকেই ইলিয়াসের শুকিয়ে থাকা শরীল ঠাণ্ডা-শীতল স্পর্শ পেয়ে গলতে থাকে। গলতে গলতে দুই শরীল রূপ পায় এক শরীলে। সেখান থেকে বছর ঘুরতে না ঘুরতে জন্মে আরেকটা শরীল। মালিক এবার জেঁকে বসে। সুযোগ আসে কথা বলার। সুযোগ আসে মাতবরি ফলানোর। ইলিয়াসকে দুই-চারটা চড়-থাপ্পড় মেরে মেয়ের সাথে তার বিয়ের ব্যবস্থা করে। মুক্ত হবার বদলে ইলিয়াস আরেকটা জটে পড়ে। জট আরো বাড়তে থাকে। তার কাছে যে টাকা ছিল তা খরচ হয়ে যায় বিয়ে পার করতে। এখন যে টাকা আসে সব টাকাই চলে যায় বউয়ের হাতে। সে পাই পাই করে হিসাব নেয়। কোথায় কত টাকা যায় সবই গুণতিতে আসে। গ্রাম ছেড়েছিল ফিরে এসে ঋণ শোধ করবে, সেজন্য। সাত বছর পর গ্রামে ফিরে ইলিয়াস এই গল্প না শুনে, শুনছে আরেক গল্প।

দিবা কৃষকের হাহাকার নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেয়। যেখানে থাকে নিজের কথাও।


রুমমেট, দেখতো তোর বন্ধু দিবা ফেসবুকে কীসের গল্প-টল্প নিয়ে লিখছে।
আচ্ছা। দেখতেছি। তুই টেনশন নেইস না।
হাবীব, তোকে মাহতাব নামের একজনের গল্প শুনিয়েছি কিন্তু তিনি কে? তার সম্পর্কে যে এত জানি, তার সাথে আমার সম্পর্ক কী? এ নিয়ে তোকে কিছুই বলি নাই। তুইও জানতে চাস নাই। সব মিলিয়ে বলা হয়ে উঠে নাই। তিনি হলেন আমরা বাবা। এটা হাইড রেখেছিলাম। অনেক চিন্তা করে দেখলাম এত হাইড-টাইড রেখে কী হবে? এটা তো পাবলিক গল্প। দেশের সব চাষিই এ জীবন যাপন করছে। আমার বাবাও তাই। জানুক সবাই। আমাদের দেশপ্রধান হয়তো এদিকে কখনো নজরই দেবে না। অথচ চাষিরা যদি একবার বলে এই উত্তরাঞ্চল থেকে কোনো ধান-গম-আলু দেশের অন্য কোথাও পাঠানো হবে না, তাহলে না খেয়ে মরতে হবে ক্ষমতায় থাকা মানুষদের। কিন্তু এই ঘোষণা তারা দিতে পারে না, দেয় না। রোদ-বৃষ্টিতে পুড়ে পুড়ে তাদের মন হয়েছে অকৃত্রিম। যার দ্বারা তৈরি করেছে নিজেদের ফসলের মতো সবুজ করে।


‘তাদের খুব আবেগ/ তারা ভালোবাসে মাটি/ তারা ভালোবাসে মা/ তারা ভালোবাসে সন্তান/ তারা ভালোবাসে মানুষ/ তারা ভালোবাসে স্বদেশ।’

 

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত