সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-১০

নেই দেশের নাগরিক

বাংলাদেশের ঘুমডাম সীমান্ত দিয়ে ঢুকে এখানে এল ষোলজনের একটা টিম। নবীর সঙ্গে আতিফও রয়েছে। জায়গাটা খাড়াই উতড়াই এবং লোকালয়ের আড়ালে হলেও বড়ই মনোরম। পাহাড়ে ঘেরা এক ছোট্ট রঙিন ছবি। কুলকুল করে বইছে পাহাড়ি ঝর্ণা। অসংখ্য ঘনসবুজ গাছ সারি সারি দাঁড়িয়ে রয়েছে। নানান রঙের পাহাড়ে পাখি কিচিরমিচির করছে। আর এখানেই গুড়ুম গুড়ুম করে অনবরত ছুটছে গুলি। প্রশিক্ষণের গোলাবারুদ। একজন বীর যোদ্ধা বানাতে গেলে যেসব উপকরণ দরকার তার অনেককিছুই রয়েছে এই গোপন জেহাদি প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে।

কায়দাকৌশল শেখানোর জন্যে রয়েছেন, দক্ষ ট্রেনাররা। যাদের অনেকেই একসময় সৈন্যবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। রাতে থাকার জন্যে কাঠ দিয়ে বানানো হয়েছে ছোট ছোট বাড়ি। বাড়িগুলো দেখে মনে হচ্ছে, যেন পাহাড়ের ঢালে ভেসে রয়েছে খেলনা ঘর! একটা পাথুরে টিলার ওপরে দাঁড়াল আতিফ। একেবারে নতুন শাড়ির পাড়ের মতো বিছানো নদীটা। পাহাড়ের ঝুঁটি থেকে খাড়া নেমে গেছে নিচের বসতির দিকে। কাচের মতো স্বচ্ছ নদীর জল। নিজের স্পষ্ট প্রতিচ্ছবি জলের ওপরে ভেসে উঠছে। আতিফ দেখল, তার মুখ শুকিয়ে অনেকটাই চামটা হয়ে গেছে। চোখের নিচে পড়েছে কালশিটে দাগ। চুলে শেকড়ের জট। হাঁটু ভাঁজ করে বসল আতিফ। দুই হাতের তালু দিয়ে এক খামচা জল তুলে শুকনো মুখটায় ছিটিয়ে দিল, আহঃ, কী শান্তি! কী মধুর বহতা হিম! একটা হিমেল হাওয়া নীল চোখ ভরে গা স্পর্শ করছে! বরফ ঠান্ডা জল তার মুখকে স্বর্গসুখ দিল। চোখের পাতা প্রজাপতির ডানার মতো ফিনফিন করে উঠল। ঘাড় ঘোরালো আতিফ, পাশের পাহাড় থেকে কিছু ঝোপালো পাহাড়ি গাছ মাথা ঝুঁকে নদীর জলে ডালপালা ঠেকিয়ে আছে। বহতা জলের ওপর পড়িমরি করে সেসব ডালপালা ঝুঁকে মুখ দেখার চেষ্টা করছে। গাছপাতার সঙ্গে নদীর কুলকুল স্রোত এমনভাবে ছুঁয়ে যাচ্ছে, যেন মনে হচ্ছে, নদী গাছপাতাকে চুম্বন করে নেমে যাচ্ছে নিচে। পাথরের ফাঁক দিয়ে বের হওয়া গাছের শেকড়গুলোও ধুয়ে যাচ্ছে স্বচ্ছতোয়া জলে। যেন নদী গাছের চরণ ছুঁয়ে নেমে যাচ্ছে মোহনার ঠিকানায়, সমুদ্রের সঙ্গে মধুময় মিলনের আকাঙ্ক্ষায়। নদীর গড়গড় করে বয়ে যাওয়া দেখে মনে হচ্ছে, তার ফিতের মতো শরীর কামনার তাড়নায় এক উচ্ছল তন্বী নারী। গাছের সাথে নদীর সম্পর্ক যে অনন্তকালের। গাছকে আঁকড়েই তো নদী বেঁচে থাকে? গাছের নোয়ানো ডালে বসে পাহাড়ি পাখিরা ডানা ঝাপ্টাচ্ছে। কিচিরমিচির করে গান শোনাচ্ছে। আতিফের মুখ ফুটে বেরিয়ে এল, ‘আহাঃ, মানুষ না হয়ে যদি নদী হতেম!’
“ভালোই হতো, রক্ত বইতে হতো। তখন বুঝতিস কত ঠ্যালা।“ পেছন থেকে ঠেস মারল নবী।
“কেন রে? রক্ত বইব কেন? নদী তো জীবনধারা, নদী জীবন গড়ে।“
“তো, আমাদের নাফ নদীটা এখন কী বইছে? গোলাপের পাঁপড়ি না মানুষের লাশ?”
“আরে ওসব এখন রাখ তো? এত সুন্দর জায়গায় এসে ওসব রক্ত, লাশ বলতে ইচ্ছে করছে? তুই না, সারাজীবন ওই রসকষহীন ইট-কাঠের মানুষ হয়েই থেকে গেলি! দুনিয়ার এত সুন্দর সৃষ্টির স্বাদ আহ্লাদ কিছু বুঝলি না!”
“এ জীবন আর কটা দিনের? একটা চোখের পলক থেকে আরেকটা চোখের পলক না পড়তেই ইন্তেকাল হয়ে যেতে পারে! এই কয়েক খামচার জীবন লতাপাতা দেখে ফুরিয়ে কী লাভ? বরং আল্লাহর পথে নিজেকে কুরবানি দিই, জান্নাতের দরজা আপনাআপনিই খুলে যাবে। পরকালই তো অনন্তজীবন?“
“ওহঃ! আবার সেই পরকাল, জান্নাত-বেহেশত! তুই একটু থামবি, নবী? তুই হয়ত জানিস ন্যা, আল্লাহর আসমান দিয়ে ঘেরা এই জমিনেও একটা সৌন্দর্যের জান্নাত আছে। পাহাড়, নদী, ঝর্ণা, পাখি, ফুল ফল, চাঁদ, তারা ইত্যাদি ইত্যাদি দিয়ে সে জান্নাত গড়া। সেসব মনপ্রাণ দিয়ে অনুধাবন করলে, সেখানেও বেহেশতের স্বাদ পাওয়া যায়। মনে রাখিস, আল্লাহ যেমন তার কোরআন ও নবীকে পাঠিয়েছেন আমাদের জন্যে, ঠিক তেমনি এই ফুলেফলে ভরা সুন্দর পৃথিবীটাকেও বানিয়েছেন মানুষের জন্যে। অবশ্য তোকে এসব বলে আর কী হবে? তোকে বলাও যা, দেওয়ালকে বলাও তাই।“
“তুই কি এখন যাবি? মাগরিবের আজান পড়ল বলে।“ নামাজের দোহায় দিল নবী।
“আর একটুখানি থাক না। সূর্যাস্তটা দেখে যাই। পাহাড়ের ঢাল বেয়ে সূর্যাস্ত দেখার মজাই আলাদা।“
“তুই থাক। পেট ভরে দেখ। আমি চললাম। এক্ষণি ডাক পড়বে।“ দাঁত খটমট করতে করতে হনহন করে ক্যাম্পের দিকে চলে গেল নবী। নবী যতই রাগ দেখিয়ে চলে যাক, ওসবে গা করল না আতিফ। সে পাথরের টিলাটার ওপরে খাড়া হয়ে দাঁড়াল। গোটা পশ্চিম আকাশ জুড়ে রঙ বিচ্ছুরণের তোড়জোড় শুরু হয়েছে। একটু একটু করে হলুদাভ-লাল রঙ মেখে নিচ্ছে পাহাড়ের ঢালে ঝুঁকে থাকা আকাশ। রঙের পিচকিরি দিয়ে রঙ ছিটাচ্ছে দিগন্ত। আর সেসব ক্যানভাসের মতো কাত হয়ে পড়ছে নদীর জলে। রঙিন আকাশ যেন নদীর স্বচ্ছ জলে আলিঙ্গনে মাতাল হয়ে উঠছে। আর এই দিগন্তরাঙা রঙে স্নান সেরে নিচ্ছে কুলোর মতো কোমর ফোলা মেটে রঙের পাহাড়। পাহাড়ের পশ্চিম ঢালে লাল-হলুদের থালা পাকিয়ে ধীরে ধীরে নিচে নেমে যাচ্ছে অস্তগামী সূর্য। যেন রঙিন ক্যানভাসে ভেসে থাকা ডিমের নিরেট কুসুম। সূর্যটাকে দেখে, নাফ নদীর বুকে অস্ত যাওয়া সূর্যটার কথা মনে পড়ে গেল আতিফের। বাড়িতে থাকলেই, একবার না একবার সে নদীর পাড়ে সূর্যাস্ত যাওয়া দেখতে যাবেই যাবে। নাফ নদীর পশ্চিম আকাশের সে সূর্যটাও তো এরকমই লাল-হলুদ ডিমের কুসুমের মতো। ওপারে বাংলাদেশের কক্সবাজারে যখন সূর্যটা ডুবে যেত, তখন মন খারাপ হয়ে যেত তার। মনের আকাশে নেমে আসত বিরহ। লাল রঙ ধীরে ধীরে কালো রঙে ঢেকে যেত। দূরে আবছা হয়ে আসা গাছগুলো সন্ধ্যার আলো মেখে ধীরে ধীরে ডুবে যেত অন্ধকারে।

আতিফ ঝর্ণাটার দিকে চোখ বড় করে তাকাল, “মাসআল্লাহ!” লাল-হলুদ রঙ পড়ে ঝর্ণার জল যেন রঙের ফোয়ারা হয়ে উঠছে! দিগন্তরাঙা রঙ পেয়ে ঝর্ণা যেন খিলখিল করে হাসছে। আতিফের হৃদয়টাও খিলখিল করে হেসে উঠল। তার মনে এখন বইতে শুরু করেছে এরকমই একটা ঝর্ণা। তুলি টানতে শুরু করেছে এরকমই একটা দিগন্ত। চোখের নীলে ফুটে উঠছে সেসবের আঁচড়। আঁকিবুঁকি। আহ্লাদি স্রোত। জায়গাটা ভালো লেগে গেল আতিফের। সে মনপ্রাণ দিয়ে ট্রেনিং নিতে লাগল। কঠিন কঠিন শারীরিক কসরৎ, দৌড়ঝাঁপ, স্কিপিং, দড়িতে ঝুল্লু খাওয়া, পিঠে ভারী বোঝা নিয়ে পাহাড়ে ওঠা, নিশানা তাক করে গুলি মারা, অনেকক্ষণ শ্বাস বন্ধ করে জলে ডুবে থাকা, নানান ভঙ্গির সাঁতার কাটা, বালির উপর বুক রেখে সরীসৃপের মতো ছেঁচড়ে ছেঁচড়ে হাঁটা, দৌড়ে গাছে ওঠা, ধকলের পর ধকল। তাকে রক্ত-মাংসের মানুষ থেকে মৃত্যভয়হীন ইস্পাত কঠিন জেহাদি হয়ে উঠতে হবে যে। সেখানে জিরোনোর সময় কোথায়? প্রতিদিন ভোরবেলায় ফজরের নামাজ আর তারপরেই কোরআন তেলাওয়াত দিয়ে দিন শুরু হয় আতিফদের। তারপরেই বিভিন্ন শারীরিক কসরতে ঝাঁপিয়ে পড়া। শত্রুদের নিশ্চিহ্ন করার জন্যে নিজেদের তৈরি করা। আতিফরা হাড়খাটুনি আর ধকলের পর ধকল সহ্য করে নিজেকে এমনভাবে তৈরি করছে যেন শরীরে গুলি লাগলেও ঢুকবে না। রোদে তাপে পুড়ে পুড়ে তার হলুদ ফর্সা চামড়াটা এমন কালশিটে হয়ে গেছে যেন মনে হচ্ছে ইস্পাতের পাতি, বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট! সারাদিনের ট্রেনিং শেষে রাতের বেলায় যখন বিছানা নিত আতিফ, বাড়ির কথা তার বড্ড মনে পড়ত। মুষড়ে পড়ত সে। চোখের জলে ভিজে যেত বালিশ। তখন মনে হতো, সে এখনও রক্ত-মাংসেরই মানুষ। এত লোহালক্কড়, গোলাবারুদ, নুড়িপাথর, জল-পাহাড়, অস্ত্র-কামানেও, তার ভেতর থেকে দংখালী গ্রামের জাফর আলির সাদামাটা নামলা ছেলেটা মরে যায়নি। আসলে যার মন আছে, মনে আবেগ আছে, আবেগে প্রেম আছে, সে কখনও পাথর হয়ে যেতে পারে না। যার চোখে একটু হলেও অশ্রু পড়ে, সে কখনও পাষাণ হতে পারে না।

শেষ ফোন এসেছিল দিন দশেক আগে, মা হালেমা জড়ানো গলায় কাঁদতে কাঁদতে আফসোস করেছিলেন, “তোদের পেটে করে জন্ম দিলাম কিন্তু দেশ দিতে পারলাম না রে! যেখানে থাকিস ভালো থাকিস। আমরা কবে আছি কবে নেই বলতে পারব না। আল্লাহর দেওয়া জান, আল্লাহকে সঁপে দিয়েছি।“ তারপর চোখের পাতা ঝাপটিয়ে বলেছিলেন, “শুনছি, তোরা নাকি দেশ স্বাধীন করবি! মতি বলছিল। কর, কর, যুদ্ধ কর, নিজেদের দেশ বানা, আমার দোয়া তোদের মাথায় থাকল, মানুষের দেশ না হলে হয় রে, মাটি না হলে হয় রে, মানুষ কী আর জিন-পরী, যে হাওয়াতে হাওয়াতে আসমানে আসমানে উড়ে উড়ে বেড়াবে?”
হাড়কে ইস্পাত বানানো ছ’মাসের ট্রেনিং শেষ হলো। পারফরমেন্সের মাপকাঠিতে আতিফ এক লাফে একটা ব্যাটেলিয়েনের কমান্ডার হয়ে গেল। তাকে প্রথম দায়িত্ব দেওয়া হলো, আকিয়াবের পুলিশ চৌকিতে বিস্ফোরণ ঘটানোর। আতিফ তখন রাগে টগবগ করে ফুটছে, যেন সে কোনো দুপেয়ে মানুষ নয়, একটা ছটফট করতে থাকা জ্বলন্ত গোলা, ছুটে পড়তে পারলেই শান্তি। ঘাড়ে তার প্রথম দায়িত্ব। প্রথম জেহাদ। আর প্রথম অ্যাটাকে সে বাজিমাত করতে চাইল। সে জেহাদি ব্রিগেডিয়ারদের বুঝিয়ে দিতে চাইল, তার জন্মই হয়েছে বার্মা সেনাদের কোতল করতে।
চার
“দেখো, আমাদের জীবন কিন্তু আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতো নয়। আমরা ইহজাগতিক সুখ ত্যাগ করেছি। ভালো ভালো খাবার আর সুন্দর সুন্দর পোশাক আমাদের জন্যে নয়। আমরা পরকালের অনন্ত সুখের জন্যে নিজেকে আল্লাহর পথে সঁপে দিয়েছি। আমরা মুজাহিদ। ‘জিহাদ’ আমাদের ধর্ম। অর্থাৎ সংগ্রাম। মনে রেখো, কুরআনে একচল্লিশবার জিহাদের কথা উল্লেখ আছে। কুরআনে জিহাদকে মুসলমানদের জন্যে একটি ‘কর্তব্য’ বলে উল্লেখ আছে। সেখানে ‘হারব’ বা ‘যুদ্ধ’ শব্দ ব্যবহার না করে ‘জিহাদ’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। মনে রেখো, মুখের ভাষা ও লেখনির সাহায্যে মানুষের মানসিকতা, চিন্তাধারা ও দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন সাধন করা এবং তাদের মধ্যে ‘অন্তর্বিপ্লব’ সৃষ্টি করা জিহাদের যেমন একটা দিক, ঠিক তেমনি, তরবারি ব্যবহার করে অনৈসলামিক সমাজ ব্যবস্থা নির্মূল করে নতুন সুবিচারমূলক ইসলামিক সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করাও জিহাদের একটা দিক। সুতরাং একজন মুজাহিদ হওয়া আল্লাহর কাছে কত সম্মানের বুঝতে পারছ?”
“জি হুজুর”। মাথা নড়াল নবী।
“হুজুর, আরও একটু যদি বিস্তারিত ব্যাখা করেন।“ তপসির চাইল আতিফ।
“জিহাদের ব্যাপারে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের আকিদাহ হলো, ইসলামি পরিভাষায় আল্লাহর দ্বীনকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে এবং একমাত্র আল্লাহকে খুশি করার জন্য কুফরি তথা ইসলামবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে মুমিনের সকল প্রচেষ্টা অর্থাৎ দৈহিক, মানসিক, আর্থিক, জ্ঞানবুদ্ধি নিয়োজিত করাকে ‘জিহাদ’ বলে। অন্য অর্থে স্বীয় নফসের বিরুদ্ধে, শয়তানের বিরুদ্ধে, ফাসেকদের বিরুদ্ধে এবং মুশরিক-মুনাফেক-কাফেরদের বিরুদ্ধে জান-মাল ও জবান দিয়ে লড়াই করাকে ‘জিহাদ’ বলে। মহান আল্লাহ বলেন, “আর (তোমরা) তাদের সাথে যুদ্ধ করতে থাক যতক্ষণ না ফিতনা (কুফর-শিরক) শেষ হয়ে যায় এবং আল্লাহর দ্বীন সম্পূর্ণরূপে আল্লাহর জন্যেই হয়ে যায়। (সূরা আনফাল, আয়াত ৩৯)। মনে রেখো, মুসলমানদের ইমামের নেতৃত্বে কিয়ামত পর্যন্ত জিহাদের বিধান বলবৎ থাকবে।“ প্রায় এক নিশ্বাসে কথাটা বললেন গাফফার খাঁ। একমুখ সুন্নত দাড়ি। খুঁট করে চাঁছা গোঁফ। মাথায় ফেজ টুপি। পরনে ইয়া বড় ধবধবে সাদা আলখাল্লা। পায়ের গোড়ালির ওপর পর্যন্ত ঝুলছে। সারা গা থেকে আতরের গন্ধ ম ম করে ছুটছে। ধবধবে ফর্সা মুখ। টানা চোখ। মেহদি করা বাদামি বাবরি চুল। ঢেঁড়স ফালির মতো নাক। হাজি গাফফার আই এস আই এস এর দক্ষিণ-পূর্ব এরিয়ার অন্যতম সংগঠক। তার হাতে আই এস-এর অনেক কাজ অর্পিত।
“হুজুর, মুজাহিদরা শহীদ হলে মৃত্যুর পর কী সম্মান পাবেন?” মনের খুঁতখুঁতানিটা প্রকাশ করল আতিফ।

চলবে...

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৯

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৮

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৭

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৬

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৫

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৪

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-১

এসএন 

Header Ad
Header Ad

বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!

ছবি: সংগৃহীত

বলিউডের অ্যাকশনধর্মী সিনেমায় ভারতীয় সেনারা সবসময়ই বিজয়ী। কখনো পাকিস্তানি ঘাঁটি ধ্বংস, কখনো আফগানিস্তানে অভিযান—সবখানেই তারা অবিশ্বাস্য দক্ষতায় জয়ী। তবে বাস্তবতা যে এতটা সহজ নয়, তা কাশ্মীরে সাম্প্রতিক হামলায় আবারও স্পষ্ট হলো।

এই হামলায় প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ২৬ জন। অথচ হামলা ঠেকাতে বা প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি ভারতীয় সেনারা। হামলার জন্য কোনো পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ছাড়াই পাকিস্তানকে দায়ী করে নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করার চেষ্টা করছে তারা। ঘটনাটির রেশে সীমান্তে দুদেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে, ভারী অস্ত্রসহ মোতায়েন করা হয়েছে সেনা, মাঝেমধ্যেই হচ্ছে গোলাগুলি।

নেটিজেনরা বলিউড সিনেমার বাহাদুর সেনাদের সঙ্গে বাস্তবের ব্যর্থ ভারতীয় সেনাদের তুলনা করে রীতিমতো ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করছে। সিনেমার মতো বাস্তবে অজয় দেবগান বা অক্ষয় কুমারের মতো নায়কোচিত সেনা যে নেই, তা এখন স্পষ্ট।

কেবল স্থলবাহিনী নয়, বিমানবাহিনীর ব্যর্থতাও হাস্যরসের জন্ম দিয়েছে। কাশ্মীর হামলার পর পাকিস্তানে হামলা চালাতে গিয়ে ভারতীয় বিমানবাহিনী ভুল করে নিজের দেশের একটি বাড়ির ওপর হামলা চালায়। এই ঘটনার ভিডিও ও প্রতিবেদন সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যেখানে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে ভারতীয় বাহিনী।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, হামলার পূর্বাভাস থাকা সত্ত্বেও ভারতীয় সেনারা যথাসময়ে পদক্ষেপ নেয়নি। হামলার ২০ মিনিট পর তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়, তখন হামলাকারীরা নিরাপদে পালিয়ে যায়।

২০১৯ সালের ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার সময় মিগ-২১ নিয়ে পাকিস্তানে ঢুকে পড়া ভারতীয় পাইলট অভিনন্দন বর্তমানের ঘটনাও আবার আলোচনায় এসেছে। সেবার তার বিমান ভূপাতিত হয় এবং তাকে আটক করে পাকিস্তান পরে ফিরিয়ে দিয়েছিল।

নেটিজেনরা বলছেন, বলিউডের সিনেমার কল্প-কাহিনীর সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। যুদ্ধ লাগলে তা হবে সমান শক্তির লড়াই, সিনেমার মতো একপাক্ষিক নয়। অধিকাংশই আবার যুদ্ধের বিপক্ষে মত দিয়েছেন, মানবিক বিপর্যয়ের ভয় দেখিয়ে শান্তির পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

বলিউডের রঙিন পর্দায় ভারতীয় সেনারা 'অপরাজেয়' হলেও বাস্তবে কাশ্মীর হামলার ব্যর্থতা প্রমাণ করেছে, বাস্তব যুদ্ধ সিনেমার গল্পের চেয়ে অনেক বেশি কঠিন এবং অপ্রত্যাশিত।

Header Ad
Header Ad

কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪

ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লায় বজ্রপাতে দুই স্কুলছাত্রসহ ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন। তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে বরুড়া ও মুরাদনগরে পৃথক দুইটি ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়।

জানাযায়, কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার খোশবাস ইউনিয়নের পয়ালগাছা গ্রামে সোমবার দুপুরে বজ্রপাতে দুই স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। মৃত দুইজন বড়হরিপুর উচ্চবিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল। মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন পয়ালগছা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুজ্জামান বিপ্লব।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে হালকা মেঘের মধ্যে শিশুরা মাঠে ঘুড়ি উড়াতে ব্যস্ত ছিল। হঠাৎ বজ্রপাত হলে দুই ছাত্র মারাত্মকভাবে আহত হয়। স্থানীয়রা দ্রুত তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত্যু ঘোষণা করেন। নিহত কিশোর দুজন হলেন পয়ালগাছা গ্রামের মৃত খোকন মিয়ার ছেলে ফাহাদ হোসেন(১৩) এবং আব্দুল বারেক মিয়ার নাতি সায়মন হোসেন (১৩)।

বরুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হাসান বলেন, বরুড়া উপজেলার খোশবাস ইউনিয়নের পয়ালগাছা গ্রামে দু স্কুল ছাত্র নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে একজন। হাসপাতাল থেকে নিহত দুজনের লাশ স্বজনরা বাড়িয়ে নিয়ে যান।

অপরদিকে কুমিল্লার মুরাদনগরে জমির ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার সকালে উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন পূর্বধইর পূর্ব ইউনিয়নের কোরবানপুর পূর্বপাড়া কবরস্থানের পাশের মাঠে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, পূর্বধইর পূর্ব ইউনিয়নের কোরবানপুর গ্রামের মৃত বীরচরন দেবনাথের ছেলে নিখিল দেবনাথ (৬৪) ও আন্দিকুট ইউনিয়নের দেওড়া গ্রামের জসীম উদ্দীন ভুইয়ার ছেলে জুয়েল ভুঁইয়া (৩০)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত নিখিল দেবনাথ ও জুয়েল ভূঁইয়া কোরবানপুর পূর্বপাড়া কবরস্থানের পাশের মাঠে পাশাপাশি জমিতে ধান কাটার সময় বজ্রপাতের শিকার হয়। পরে তাদেরকে আশেপাশের লোকজন এসে উদ্ধার করে দেখে তারা ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। বর্তমানে দুজনের মরদেহ নিজ নিজ বাড়িতে আছে।

বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান দুজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থল থেকে মুঠোফোনে তারা ঘটনাটি জানতে পারেন। এ ব্যাপারে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।

Header Ad
Header Ad

মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্ট গণঅভুত্থানে গণহত্যার মামলায় আগামী মাসের শুরুতেই সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে-আল জাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

কাতারভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম আলজাজিরার বৈশ্বিক নেতাদের সাক্ষাৎকারমূলক অনুষ্ঠান ‘টক টু আল–জাজিরা’য় এ কথা বলেন তিনি।
আগামী ডিসেম্বর থেকে আগামী বছর জুনের মধ্যেই নির্বাচন হবে বলে ফের জানিয়েছেন তিনি

এ সময় তিনি আরও বলেন, শুধু মানবিক সহায়তা নয়, নিরাপদ প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধান।

বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং উদাহরণ সৃষ্টিকারী নির্বাচন উপহার দেয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, নির্বাচনের আগে সংস্কারের তালিকা ছোট হলে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন এবং তালিকা বড় হলে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জনপ্রত্যাশা এখনও তুঙ্গে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণ মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার এখনও তাদের জন্য ভালো সমাধান।

আলজাজিরার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে জুলাই বিপ্লব, সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে পালিয়ে যাওয়া, সাবেক সরকারের দুর্নীতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন তিনি।

আলজাজিরার উপস্থাপক ড. ইউনূসকে প্রশ্ন করেন, এটা কি বলা ঠিক যে, শেখ হাসিনার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের ‘মধুচন্দ্রিমা’ এখন সম্ভবত শেষ হয়েছে? কিছু বেশ বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যেগুলোর সুনির্দিষ্ট জবাব আপনাকে দিতে হবে। কারণ, পুরোনো ক্ষমতাধরদের প্রভাব রয়েছে, অনেকে রাজনৈতিক শূন্যতাকে কাজে লাগাতে চাইতে পারে।

জবাবে ড. ইউনূস বলেন, মধুচন্দ্রিমা শেষ হোক বা না হোক, বাংলাদেশের মানুষ মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার এখনও তাদের জন্য ভালো সমাধান। তারা অন্তর্বর্তী সরকারকে সরাসরি চলে যেতে এখনও বলছে না। বরং একটা ভালো নির্বাচন উপহার দিতে সরকারই নির্বাচন আয়োজনের দিকে যাচ্ছে। জনগণ তাড়াতাড়ি ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা এখনও বলছে না।

লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সমাধান কি বাংলাদেশ একা করতে পারবে?

জবাবে ড. ইউনূস বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক সংস্থা ও জাতিসংঘের সঙ্গে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে কাজ করছি। তারা যাতে নিরাপদে বাড়ি ফিরে যেতে পারে, তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে কিছু বোঝাপড়া যাতে তৈরি হয়।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে অংশগ্রহণের অনুমতি দেয়া হবে কিনা– এমন প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন,
এ প্রশ্নের জবাবের একটি অংশ আওয়ামী লীগকেই নির্ধারণ করতে হবে। দলটি আগে নিজেই সিদ্ধান্ত নেবে–তারা নির্বাচনে যোগ দেবে কিনা। তারা এখনও কিছু ঘোষণা করেনি। তা ছাড়া নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশন কী প্রতিক্রিয়া দেয়, সেটাসহ নানা বিষয় সামনে আসতে পারে।

তাহলে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের ওপর ছেড়ে দিচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি তা নয়। অন্যান্য রাজনৈতিক দল আছে, যারা বলতে পারে যে, এ আইনের অধীনে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।

সাক্ষাৎকারে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে ড. ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের প্রসঙ্গ ওঠে। ড. ইউনূস জানান,
তিনি বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে মোদির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সেখানে শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে বলেছিলেন তিনি। জবাবে মোদি বলেছিলেন, এটা তার জন্য সম্ভব নয়। শেখ হাসিনা সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে কিছু বললে, সেটি তিনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।

যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ড. ইউনূস বলেন, একসঙ্গে কাজ করার নীতি নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। আমরা একসঙ্গেই পারস্পরিক সহযোগিতামূলক পদক্ষেপ নিতে চাই।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ
হাকিমপুরে গরীবের চাল ছাত্রলীগ নেতার গুদামে
চুরির অভিযোগে কুবির দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার
ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগবাড়িয়ে কিছু করার পক্ষে নয় ঢাকা