ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-১০
নেই দেশের নাগরিক
বাংলাদেশের ঘুমডাম সীমান্ত দিয়ে ঢুকে এখানে এল ষোলজনের একটা টিম। নবীর সঙ্গে আতিফও রয়েছে। জায়গাটা খাড়াই উতড়াই এবং লোকালয়ের আড়ালে হলেও বড়ই মনোরম। পাহাড়ে ঘেরা এক ছোট্ট রঙিন ছবি। কুলকুল করে বইছে পাহাড়ি ঝর্ণা। অসংখ্য ঘনসবুজ গাছ সারি সারি দাঁড়িয়ে রয়েছে। নানান রঙের পাহাড়ে পাখি কিচিরমিচির করছে। আর এখানেই গুড়ুম গুড়ুম করে অনবরত ছুটছে গুলি। প্রশিক্ষণের গোলাবারুদ। একজন বীর যোদ্ধা বানাতে গেলে যেসব উপকরণ দরকার তার অনেককিছুই রয়েছে এই গোপন জেহাদি প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে।
কায়দাকৌশল শেখানোর জন্যে রয়েছেন, দক্ষ ট্রেনাররা। যাদের অনেকেই একসময় সৈন্যবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। রাতে থাকার জন্যে কাঠ দিয়ে বানানো হয়েছে ছোট ছোট বাড়ি। বাড়িগুলো দেখে মনে হচ্ছে, যেন পাহাড়ের ঢালে ভেসে রয়েছে খেলনা ঘর! একটা পাথুরে টিলার ওপরে দাঁড়াল আতিফ। একেবারে নতুন শাড়ির পাড়ের মতো বিছানো নদীটা। পাহাড়ের ঝুঁটি থেকে খাড়া নেমে গেছে নিচের বসতির দিকে। কাচের মতো স্বচ্ছ নদীর জল। নিজের স্পষ্ট প্রতিচ্ছবি জলের ওপরে ভেসে উঠছে। আতিফ দেখল, তার মুখ শুকিয়ে অনেকটাই চামটা হয়ে গেছে। চোখের নিচে পড়েছে কালশিটে দাগ। চুলে শেকড়ের জট। হাঁটু ভাঁজ করে বসল আতিফ। দুই হাতের তালু দিয়ে এক খামচা জল তুলে শুকনো মুখটায় ছিটিয়ে দিল, আহঃ, কী শান্তি! কী মধুর বহতা হিম! একটা হিমেল হাওয়া নীল চোখ ভরে গা স্পর্শ করছে! বরফ ঠান্ডা জল তার মুখকে স্বর্গসুখ দিল। চোখের পাতা প্রজাপতির ডানার মতো ফিনফিন করে উঠল। ঘাড় ঘোরালো আতিফ, পাশের পাহাড় থেকে কিছু ঝোপালো পাহাড়ি গাছ মাথা ঝুঁকে নদীর জলে ডালপালা ঠেকিয়ে আছে। বহতা জলের ওপর পড়িমরি করে সেসব ডালপালা ঝুঁকে মুখ দেখার চেষ্টা করছে। গাছপাতার সঙ্গে নদীর কুলকুল স্রোত এমনভাবে ছুঁয়ে যাচ্ছে, যেন মনে হচ্ছে, নদী গাছপাতাকে চুম্বন করে নেমে যাচ্ছে নিচে। পাথরের ফাঁক দিয়ে বের হওয়া গাছের শেকড়গুলোও ধুয়ে যাচ্ছে স্বচ্ছতোয়া জলে। যেন নদী গাছের চরণ ছুঁয়ে নেমে যাচ্ছে মোহনার ঠিকানায়, সমুদ্রের সঙ্গে মধুময় মিলনের আকাঙ্ক্ষায়। নদীর গড়গড় করে বয়ে যাওয়া দেখে মনে হচ্ছে, তার ফিতের মতো শরীর কামনার তাড়নায় এক উচ্ছল তন্বী নারী। গাছের সাথে নদীর সম্পর্ক যে অনন্তকালের। গাছকে আঁকড়েই তো নদী বেঁচে থাকে? গাছের নোয়ানো ডালে বসে পাহাড়ি পাখিরা ডানা ঝাপ্টাচ্ছে। কিচিরমিচির করে গান শোনাচ্ছে। আতিফের মুখ ফুটে বেরিয়ে এল, ‘আহাঃ, মানুষ না হয়ে যদি নদী হতেম!’
“ভালোই হতো, রক্ত বইতে হতো। তখন বুঝতিস কত ঠ্যালা।“ পেছন থেকে ঠেস মারল নবী।
“কেন রে? রক্ত বইব কেন? নদী তো জীবনধারা, নদী জীবন গড়ে।“
“তো, আমাদের নাফ নদীটা এখন কী বইছে? গোলাপের পাঁপড়ি না মানুষের লাশ?”
“আরে ওসব এখন রাখ তো? এত সুন্দর জায়গায় এসে ওসব রক্ত, লাশ বলতে ইচ্ছে করছে? তুই না, সারাজীবন ওই রসকষহীন ইট-কাঠের মানুষ হয়েই থেকে গেলি! দুনিয়ার এত সুন্দর সৃষ্টির স্বাদ আহ্লাদ কিছু বুঝলি না!”
“এ জীবন আর কটা দিনের? একটা চোখের পলক থেকে আরেকটা চোখের পলক না পড়তেই ইন্তেকাল হয়ে যেতে পারে! এই কয়েক খামচার জীবন লতাপাতা দেখে ফুরিয়ে কী লাভ? বরং আল্লাহর পথে নিজেকে কুরবানি দিই, জান্নাতের দরজা আপনাআপনিই খুলে যাবে। পরকালই তো অনন্তজীবন?“
“ওহঃ! আবার সেই পরকাল, জান্নাত-বেহেশত! তুই একটু থামবি, নবী? তুই হয়ত জানিস ন্যা, আল্লাহর আসমান দিয়ে ঘেরা এই জমিনেও একটা সৌন্দর্যের জান্নাত আছে। পাহাড়, নদী, ঝর্ণা, পাখি, ফুল ফল, চাঁদ, তারা ইত্যাদি ইত্যাদি দিয়ে সে জান্নাত গড়া। সেসব মনপ্রাণ দিয়ে অনুধাবন করলে, সেখানেও বেহেশতের স্বাদ পাওয়া যায়। মনে রাখিস, আল্লাহ যেমন তার কোরআন ও নবীকে পাঠিয়েছেন আমাদের জন্যে, ঠিক তেমনি এই ফুলেফলে ভরা সুন্দর পৃথিবীটাকেও বানিয়েছেন মানুষের জন্যে। অবশ্য তোকে এসব বলে আর কী হবে? তোকে বলাও যা, দেওয়ালকে বলাও তাই।“
“তুই কি এখন যাবি? মাগরিবের আজান পড়ল বলে।“ নামাজের দোহায় দিল নবী।
“আর একটুখানি থাক না। সূর্যাস্তটা দেখে যাই। পাহাড়ের ঢাল বেয়ে সূর্যাস্ত দেখার মজাই আলাদা।“
“তুই থাক। পেট ভরে দেখ। আমি চললাম। এক্ষণি ডাক পড়বে।“ দাঁত খটমট করতে করতে হনহন করে ক্যাম্পের দিকে চলে গেল নবী। নবী যতই রাগ দেখিয়ে চলে যাক, ওসবে গা করল না আতিফ। সে পাথরের টিলাটার ওপরে খাড়া হয়ে দাঁড়াল। গোটা পশ্চিম আকাশ জুড়ে রঙ বিচ্ছুরণের তোড়জোড় শুরু হয়েছে। একটু একটু করে হলুদাভ-লাল রঙ মেখে নিচ্ছে পাহাড়ের ঢালে ঝুঁকে থাকা আকাশ। রঙের পিচকিরি দিয়ে রঙ ছিটাচ্ছে দিগন্ত। আর সেসব ক্যানভাসের মতো কাত হয়ে পড়ছে নদীর জলে। রঙিন আকাশ যেন নদীর স্বচ্ছ জলে আলিঙ্গনে মাতাল হয়ে উঠছে। আর এই দিগন্তরাঙা রঙে স্নান সেরে নিচ্ছে কুলোর মতো কোমর ফোলা মেটে রঙের পাহাড়। পাহাড়ের পশ্চিম ঢালে লাল-হলুদের থালা পাকিয়ে ধীরে ধীরে নিচে নেমে যাচ্ছে অস্তগামী সূর্য। যেন রঙিন ক্যানভাসে ভেসে থাকা ডিমের নিরেট কুসুম। সূর্যটাকে দেখে, নাফ নদীর বুকে অস্ত যাওয়া সূর্যটার কথা মনে পড়ে গেল আতিফের। বাড়িতে থাকলেই, একবার না একবার সে নদীর পাড়ে সূর্যাস্ত যাওয়া দেখতে যাবেই যাবে। নাফ নদীর পশ্চিম আকাশের সে সূর্যটাও তো এরকমই লাল-হলুদ ডিমের কুসুমের মতো। ওপারে বাংলাদেশের কক্সবাজারে যখন সূর্যটা ডুবে যেত, তখন মন খারাপ হয়ে যেত তার। মনের আকাশে নেমে আসত বিরহ। লাল রঙ ধীরে ধীরে কালো রঙে ঢেকে যেত। দূরে আবছা হয়ে আসা গাছগুলো সন্ধ্যার আলো মেখে ধীরে ধীরে ডুবে যেত অন্ধকারে।
আতিফ ঝর্ণাটার দিকে চোখ বড় করে তাকাল, “মাসআল্লাহ!” লাল-হলুদ রঙ পড়ে ঝর্ণার জল যেন রঙের ফোয়ারা হয়ে উঠছে! দিগন্তরাঙা রঙ পেয়ে ঝর্ণা যেন খিলখিল করে হাসছে। আতিফের হৃদয়টাও খিলখিল করে হেসে উঠল। তার মনে এখন বইতে শুরু করেছে এরকমই একটা ঝর্ণা। তুলি টানতে শুরু করেছে এরকমই একটা দিগন্ত। চোখের নীলে ফুটে উঠছে সেসবের আঁচড়। আঁকিবুঁকি। আহ্লাদি স্রোত। জায়গাটা ভালো লেগে গেল আতিফের। সে মনপ্রাণ দিয়ে ট্রেনিং নিতে লাগল। কঠিন কঠিন শারীরিক কসরৎ, দৌড়ঝাঁপ, স্কিপিং, দড়িতে ঝুল্লু খাওয়া, পিঠে ভারী বোঝা নিয়ে পাহাড়ে ওঠা, নিশানা তাক করে গুলি মারা, অনেকক্ষণ শ্বাস বন্ধ করে জলে ডুবে থাকা, নানান ভঙ্গির সাঁতার কাটা, বালির উপর বুক রেখে সরীসৃপের মতো ছেঁচড়ে ছেঁচড়ে হাঁটা, দৌড়ে গাছে ওঠা, ধকলের পর ধকল। তাকে রক্ত-মাংসের মানুষ থেকে মৃত্যভয়হীন ইস্পাত কঠিন জেহাদি হয়ে উঠতে হবে যে। সেখানে জিরোনোর সময় কোথায়? প্রতিদিন ভোরবেলায় ফজরের নামাজ আর তারপরেই কোরআন তেলাওয়াত দিয়ে দিন শুরু হয় আতিফদের। তারপরেই বিভিন্ন শারীরিক কসরতে ঝাঁপিয়ে পড়া। শত্রুদের নিশ্চিহ্ন করার জন্যে নিজেদের তৈরি করা। আতিফরা হাড়খাটুনি আর ধকলের পর ধকল সহ্য করে নিজেকে এমনভাবে তৈরি করছে যেন শরীরে গুলি লাগলেও ঢুকবে না। রোদে তাপে পুড়ে পুড়ে তার হলুদ ফর্সা চামড়াটা এমন কালশিটে হয়ে গেছে যেন মনে হচ্ছে ইস্পাতের পাতি, বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট! সারাদিনের ট্রেনিং শেষে রাতের বেলায় যখন বিছানা নিত আতিফ, বাড়ির কথা তার বড্ড মনে পড়ত। মুষড়ে পড়ত সে। চোখের জলে ভিজে যেত বালিশ। তখন মনে হতো, সে এখনও রক্ত-মাংসেরই মানুষ। এত লোহালক্কড়, গোলাবারুদ, নুড়িপাথর, জল-পাহাড়, অস্ত্র-কামানেও, তার ভেতর থেকে দংখালী গ্রামের জাফর আলির সাদামাটা নামলা ছেলেটা মরে যায়নি। আসলে যার মন আছে, মনে আবেগ আছে, আবেগে প্রেম আছে, সে কখনও পাথর হয়ে যেতে পারে না। যার চোখে একটু হলেও অশ্রু পড়ে, সে কখনও পাষাণ হতে পারে না।
শেষ ফোন এসেছিল দিন দশেক আগে, মা হালেমা জড়ানো গলায় কাঁদতে কাঁদতে আফসোস করেছিলেন, “তোদের পেটে করে জন্ম দিলাম কিন্তু দেশ দিতে পারলাম না রে! যেখানে থাকিস ভালো থাকিস। আমরা কবে আছি কবে নেই বলতে পারব না। আল্লাহর দেওয়া জান, আল্লাহকে সঁপে দিয়েছি।“ তারপর চোখের পাতা ঝাপটিয়ে বলেছিলেন, “শুনছি, তোরা নাকি দেশ স্বাধীন করবি! মতি বলছিল। কর, কর, যুদ্ধ কর, নিজেদের দেশ বানা, আমার দোয়া তোদের মাথায় থাকল, মানুষের দেশ না হলে হয় রে, মাটি না হলে হয় রে, মানুষ কী আর জিন-পরী, যে হাওয়াতে হাওয়াতে আসমানে আসমানে উড়ে উড়ে বেড়াবে?”
হাড়কে ইস্পাত বানানো ছ’মাসের ট্রেনিং শেষ হলো। পারফরমেন্সের মাপকাঠিতে আতিফ এক লাফে একটা ব্যাটেলিয়েনের কমান্ডার হয়ে গেল। তাকে প্রথম দায়িত্ব দেওয়া হলো, আকিয়াবের পুলিশ চৌকিতে বিস্ফোরণ ঘটানোর। আতিফ তখন রাগে টগবগ করে ফুটছে, যেন সে কোনো দুপেয়ে মানুষ নয়, একটা ছটফট করতে থাকা জ্বলন্ত গোলা, ছুটে পড়তে পারলেই শান্তি। ঘাড়ে তার প্রথম দায়িত্ব। প্রথম জেহাদ। আর প্রথম অ্যাটাকে সে বাজিমাত করতে চাইল। সে জেহাদি ব্রিগেডিয়ারদের বুঝিয়ে দিতে চাইল, তার জন্মই হয়েছে বার্মা সেনাদের কোতল করতে।
চার
“দেখো, আমাদের জীবন কিন্তু আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতো নয়। আমরা ইহজাগতিক সুখ ত্যাগ করেছি। ভালো ভালো খাবার আর সুন্দর সুন্দর পোশাক আমাদের জন্যে নয়। আমরা পরকালের অনন্ত সুখের জন্যে নিজেকে আল্লাহর পথে সঁপে দিয়েছি। আমরা মুজাহিদ। ‘জিহাদ’ আমাদের ধর্ম। অর্থাৎ সংগ্রাম। মনে রেখো, কুরআনে একচল্লিশবার জিহাদের কথা উল্লেখ আছে। কুরআনে জিহাদকে মুসলমানদের জন্যে একটি ‘কর্তব্য’ বলে উল্লেখ আছে। সেখানে ‘হারব’ বা ‘যুদ্ধ’ শব্দ ব্যবহার না করে ‘জিহাদ’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। মনে রেখো, মুখের ভাষা ও লেখনির সাহায্যে মানুষের মানসিকতা, চিন্তাধারা ও দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন সাধন করা এবং তাদের মধ্যে ‘অন্তর্বিপ্লব’ সৃষ্টি করা জিহাদের যেমন একটা দিক, ঠিক তেমনি, তরবারি ব্যবহার করে অনৈসলামিক সমাজ ব্যবস্থা নির্মূল করে নতুন সুবিচারমূলক ইসলামিক সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করাও জিহাদের একটা দিক। সুতরাং একজন মুজাহিদ হওয়া আল্লাহর কাছে কত সম্মানের বুঝতে পারছ?”
“জি হুজুর”। মাথা নড়াল নবী।
“হুজুর, আরও একটু যদি বিস্তারিত ব্যাখা করেন।“ তপসির চাইল আতিফ।
“জিহাদের ব্যাপারে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের আকিদাহ হলো, ইসলামি পরিভাষায় আল্লাহর দ্বীনকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে এবং একমাত্র আল্লাহকে খুশি করার জন্য কুফরি তথা ইসলামবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে মুমিনের সকল প্রচেষ্টা অর্থাৎ দৈহিক, মানসিক, আর্থিক, জ্ঞানবুদ্ধি নিয়োজিত করাকে ‘জিহাদ’ বলে। অন্য অর্থে স্বীয় নফসের বিরুদ্ধে, শয়তানের বিরুদ্ধে, ফাসেকদের বিরুদ্ধে এবং মুশরিক-মুনাফেক-কাফেরদের বিরুদ্ধে জান-মাল ও জবান দিয়ে লড়াই করাকে ‘জিহাদ’ বলে। মহান আল্লাহ বলেন, “আর (তোমরা) তাদের সাথে যুদ্ধ করতে থাক যতক্ষণ না ফিতনা (কুফর-শিরক) শেষ হয়ে যায় এবং আল্লাহর দ্বীন সম্পূর্ণরূপে আল্লাহর জন্যেই হয়ে যায়। (সূরা আনফাল, আয়াত ৩৯)। মনে রেখো, মুসলমানদের ইমামের নেতৃত্বে কিয়ামত পর্যন্ত জিহাদের বিধান বলবৎ থাকবে।“ প্রায় এক নিশ্বাসে কথাটা বললেন গাফফার খাঁ। একমুখ সুন্নত দাড়ি। খুঁট করে চাঁছা গোঁফ। মাথায় ফেজ টুপি। পরনে ইয়া বড় ধবধবে সাদা আলখাল্লা। পায়ের গোড়ালির ওপর পর্যন্ত ঝুলছে। সারা গা থেকে আতরের গন্ধ ম ম করে ছুটছে। ধবধবে ফর্সা মুখ। টানা চোখ। মেহদি করা বাদামি বাবরি চুল। ঢেঁড়স ফালির মতো নাক। হাজি গাফফার আই এস আই এস এর দক্ষিণ-পূর্ব এরিয়ার অন্যতম সংগঠক। তার হাতে আই এস-এর অনেক কাজ অর্পিত।
“হুজুর, মুজাহিদরা শহীদ হলে মৃত্যুর পর কী সম্মান পাবেন?” মনের খুঁতখুঁতানিটা প্রকাশ করল আতিফ।
চলবে...
এসএন