শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৮ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-৮

স্নানের শব্দ 

‘আহা কি ফাঁসাই না ফাঁসল এন সি, একেই বলে পচা শামুকে পা কাটা, ফাটা বাঁশের চিপায় আটকে যাওয়া । লোকাল ভাষায় এক্কেবারে মাইনকা চিপা যাকে বলে।’ কিছুক্ষণ আগে দরজায় নক করে ওসমান গণি তার কোট টাই সমেত ঢুকে পড়েছে শবনমের ঘরে। এখন তার সামনের চেয়ারে বসে জিহ্বায় চুক চুক শব্দ তুলে দুঃখ প্রকাশ করে এই মন্তব্য তার।  

‘খুবই দুঃখজনক।’ শবনম সতর্ক ভঙ্গিতে পাল্টা মন্তব্য করে ওসমান গণিকে পর্যবেক্ষণ করে। এদের কাছে মন খুলে কিছু বলাও বিপদ, জানে সে। তবুও এই মুহূর্তে সত্যিকারভাবে তার নিজের অনুভূতিটাই বলে শবনম, ‘উনার ফ্যামিলি.. মানে, এসব শুনে তার স্ত্রী সন্তানের প্রতিক্রিয়া কি হচ্ছে ভেবে খারাপ লাগছে আমার। কিছুই তো আর অজানা থাকে না এই জমানায় ..’‘উনি তো বলেছেন এসবই সম্পূর্ণ মিথ্যা। ষড়যন্ত্র, সাজানো নাটক। কোনো স্বার্থন্বেষী মহল তাকে বিপদে ফেলতে চাইছে। আর একটা কথা বলি ম্যাডাম, ওই নাফিসা আর পল্লবি দুইজনেরই পোষাক আশাক, চাল-চলন, স্বভাব চরিত্রে কিন্তু খেয়াল করছেন কিনা- বেশ সমস্যা ছিল! আমাদের কালচারে এসব যায়, বলেন! ’ওসমান গণি একটু সামনে ঝুঁকে চোখ ছোট করে বলে। 

‘এইসব কি বলছেন গণি? কিছু হইলেই মেয়েদের চলায় বলায় জামা কাপড়ে দোষ খোঁজা বন্ধ করেন তো। সমস্যাটা পোষাকে না, আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে, আমাদের সামাজিক পারিবারিক শিক্ষায়। এই দেশে তিন বছরের মেয়েও রেপ হয়, হিজাব পরা মেয়েও খুন হয়! জানেন না আপনি? অপরাধীর দোষ দেখেন না, শুধু মেয়েদের চলন বলনের দোষ ধরেন! আপনার সঙ্গে আর একজন অশিক্ষিত মানুষের তাহলে কি পার্থক্য রইল! আমার সামনে এই ধরনের কথা একদম বলবেন না। ’ শবনম বেশ রাগত স্বরেই বলে।  

‘না না, ঠিক আছে। আসলে অনেকেই ওদের চলা ফেরা, তারপর, চরিত্র টরিত্র নিয়ে আলোচনা করছিল তাই বললাম আরকি! তবে কিছু মনে কইরেন না, আরেকটা কথা বলি, এনসি এবং ম্যানেজমেন্টের অনেকের ধারণা এসবের পেছনে আপনার হাত আছে।’ ওসমান গণি আচমকা গলা নামিয়ে বলে। এবার একটু চমকে যায় শবনম। ‘মানে? .. এই উদ্ভট ধারণার কারণ কি?’‘ওই তো আপনাদের সিস্টার হুড, উইমেনহুড আরও কি কি উইমেন ফর উইমেন ইত্যাদি কি সব আছে না? তা ছাড়া কারো তাল না পেলে ওইটুকু মেয়ের এত সাহস হয় কীভাবে, একটা প্রতিষ্ঠানের সিইওর বিরুদ্ধে বাজে কথা বলে!’

‘গণি, শোনেন,’ এইবারো রাগত সুরে কিন্তু দৃঢ় গলায় বলে শবনম। ‘আপনি এইসব উল্টা পাল্টা কথা একদম ছড়াবেন না। কোথায় শুনেছেন আপনি এইসব? কে বলেছে? আনেন তাকে আমার সামনে। আমি কোনোভাবেই এসবের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট না। এইসব আজগুবি কথা কারা ছড়ায়, বলেন তো? কি উদ্দেশ্য তাদের?’‘না, মানে রাগ কইরেন না। পল্লবি তো আপনার আন্ডারে অনেকদিন কাজ করেছে। ওর সঙ্গে আপনার সম্পর্কও ভাল ছিল।’ ‘হ্যাঁ, ছিল। কিন্তু ও কখনো আমার কাছে এ সব বলেনি। আমি কিছুই জানতাম না। হয়ত ভেবেছে নালিশ করে লাভ হবে না। তাই বলেনি। তবে আমি মনে করি এই অভিযোগগুলির তদন্ত অবশ্যই হওয়া উচিত এবং দোষীদের শাস্তিও হওয়া দরকার।’ 

‘না না, তাতো অবশ্যই।’ ওসমান গণি সুর পাল্টায়। ‘তবে কিনা ঘটনা তো অনেক দিন আগের। একটা প্রশ্ন উঠতে পারে যে সেই সময় অভিযোগ করে নাই কেনো? এতদিন পরে কি উদ্দেশে এইসব বিষয় সামনে আসল? এর পেছনে কোনো ষড়যন্ত্র আছে কি না?’  ‘উফ! সবকিছুতে ষড়যন্ত্র খোঁজা আপনাদের বদভ্যাস হয়ে গেছে ভাই।’ শবনম বিরক্ত হয়। ‘আমাদের এমন প্রশ্ন তোলাই উচিত না যে আগে কেন বলোনি, এত দিন কেনো চুপ করে ছিল? আরে ভাই, একটা মেয়ে নানা কারণে এধরনের ঘটনাগুলো চেপে রাখে, আসলে চেপে রাখতে বাধ্য হয় সামাজিক বাস্তবতার কারণে। মেয়ে না হলে এ সব আপনি বুঝবেন না। এ দেশে তো সব কিছুতেই মেয়েদের দোষ!’ শবনম তার নিজের ভাষায় যতটা পারে ওসমান গণিকে বুঝিয়ে বলে। সোশাল মিডিয়া যে মেয়েদের মুখ খোলার ব্যাপারে এখন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে, মন খুলে কথা বলার সুযোগ করে দিয়েছে অনেককে- সেটাও বলে সে।

ওসমান গণি অবস্থা বুঝে আর কথা না বাড়িয়ে কেটে পড়ে।  শবনম ভাল করেই জানে, ওর দুয়েকটা কথায় ওসমান গণির চিন্তা-চেতনা, দৃষ্টিভঙ্গি ম্যাজিকের মত নিমিষে পাল্টাবে না। বহু যুগ ধরে মনের বিপুল গভীরে শেকড় গেড়ে বসে থাকা ধারণা কয়েক মিনিটের একটা বক্তৃতায় বদলে যায় না। তবে ওসমান গণি গংদের উদ্দেশ্য ভাল না। তারা এই ঘটনার সঙ্গে শবনমকে জড়িয়ে ফেলে ফায়দা লুটবার চেষ্টা করছে। চোখ কান খোলা রেখে ওদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করার সিদ্ধান্ত নেয় শবনম। টেবিলে রাখা স্বচ্ছ কাঁচের গোল পেপার ওয়েটটা পাঁচ আঙ্গুলের মাথা দিয়ে ধরে ঘুরায় সে। কোনো কিছু নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করতে থাকলে এই কাজটা করে শবনম।

এই মুহূর্তে সব কিছু বাদ দিয়ে মি-টু আন্দোলনে অংশ নেওয়া নিপীড়িত মেয়েগুলোর যন্ত্রণাটা বোঝার চেষ্টা করছে শবনম। দীর্ঘ সময় ধরে সবার অগোচরে নাফিসা তানজিনা নামের ওই অল্পবয়সি মেয়েটি বা ডানপিটে পল্লবি বুকের মধ্যে কিভাবে এই বেদনা বয়ে বেড়াচ্ছিল ভেবে তার মন আর্দ্র ও কাতর হয়ে ওঠে। ওই ঘটনা নিশ্চয়ই ওদের হৃদয়ে একটা দীর্ঘস্থায়ী ক্ষত তৈরি করেছে। সেই দুঃসহ ক্ষত কি সহজে সারবে? কয়েকদিন আগে এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধেও যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছে একজন মডেল। স্পষ্ট করে হয়রানিকারীর নাম বলেছে সে। এই যে সাহস করে নিপীড়কের নাম পরিচয় প্রকাশ করে দেওয়া তার একটা প্রভাব তো সমাজে অবশ্যই পড়বে। এতদিন যারা ভাল মানুষ সেজে সুন্দর মুখে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছিল এই মেয়েরা একটানে তাদের সেই মুখোশ ছিঁড়ে ফেলেছে। যারা ভেবেছিল অন্যায় করে পার পেয়ে গেছি, কেউ কিছু জানবে না, যা ইচ্ছা তাই করে বেড়াতে পারবে, তারা এখন ভয় পাচ্ছে। নারীকে অসম্মান করতে গিয়ে একটু হলেও তারা থমকে যাচ্ছে- এটাই বা কম কিসে? হয়ত তাদের পথ ধরে আরও অনেক নারী এগিয়ে আসবে, এধরনের ঘটনার শিকার হলে হয়ত তারা নির্ভয়ে মুখ খুলবে। যদিও এসব অভিযোগের বিচার হবে কিনা- তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। তারপরও থেমে যাওয়া চলবে না। প্রচলিত আদালতে না হোক সামাজিক বিচার বলেও তো একটা কথা আছে। শবনম ভাবে, এই যে মহা প্রতাপশালী এনসি, নাফিসা আর পল্লবির অভিযোগের প্রেক্ষিতে অফিস থেকে আপাত বিদায় নিতে বাধ্য হলো- সেটার কি কোনো মূল্য নেই? দ্বিতীয়বার এরকম ঘটনা ঘটানোর আগে অভিযুক্তরা কি দু’বার ভাববে না? একটুও শঙ্কিত হবে না? মৌসুমী একবার বলেছিল, আমাদের সমাজে নারী নিপীড়নের বিষয়টি অনেকটা সমুদ্রে ভেসে থাকা বিশাল হিমবাহের মতোই। এর উপরটা দেখা যায় সামান্যই, নিচে গোপনে জমাট বেঁধে থাকে বেশির ভাগ অংশ, যা আমরা দেখতে পাই না। সব ঘটনা প্রকাশ পেলে এর ভয়াবহতা বোঝা যেত। তখন ওই সব কুৎসিত ঘটনার ধাক্কা খেয়ে আমাদের সভ্য ভব্য টাইটানিক সমাজ ডুবন্ত জাহাজের মতো ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে পড়ত। 

শুধু কি শারীরিকভাবেই মেয়েরা হেনস্থার শিকার হয়? শারীরিক মৌখিক মানসিক কত রকম ভাবেই না নিগৃহীত হচ্ছে নারী— বিশেষ করে কর্মজীবী নারী। যদি নিজের দীর্ঘ কর্মজীবন আতশ কাঁচের নিচে ফেলে দেখে তবে শবনমের জীবনেও কি ওরকম দু/চারটি হেনস্তার গল্প খুঁজে পাওয়া যাবে না? ঊর্ধ্বতন বস, পুরুষ সহকর্মী কিভাবে তাকাচ্ছেন, কি আচরণ করছেন, কি ধরনের কথা বলছেন সেসবও লক্ষ্য করার বিষয়। যদিও অনেক নারী বিষয়টি নিয়ে তেমন সচেতন থাকেন না। বোঝেন না কোনটি হয়রানি, আর কোনটি হয়রানি নয়! আবার কেউ কেউ হয়ত এমনই উপায়হীন অবস্থায় পড়েন যে তিনি সব জেনে বুঝেও মুখ বুজে থাকেন, চ্যালেঞ্জ করতে ভয় পান, পাছে তার চাকরিটা চলে যায়! খারাপ মানুষগুলো এই সুযোগটাই নেয়।  

তবে শবনম বেশ আশাবাদী। সামনে হয়ত নারীরা তাদের হয়রানির শিকার হবার ঘটনা ভয়ে লজ্জ্বায় আর চেপে রাখবে না বরং আরও বেশি করে সামনে আনবে। দোষীদের বিচার চাইবে। সময় আসলে একটু একটু করে বদলাচ্ছে। এতদিন স্থির হয়ে থাকা ঘড়ির কাঁটা অচলায়তন ভেঙে ঘুরতে শুরু করেছে। শুধু লক্ষ্য রাখতে হবে সেটা যেন আবার থেমে না যায়। 

চলবে….

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>

স্নানের শব্দ: পর্ব-৭

স্নানের শব্দ: পর্ব-৬

স্নানের শব্দ: পর্ব-৫

স্নানের শব্দ: পর্ব-৪

স্নানের শব্দ: পর্ব-৩

স্নানের শব্দ: পর্ব-২

স্নানের শব্দ: পর্ব-১ 

আরএ/

Header Ad
Header Ad

চ্যাম্পিয়নশিপের দল শেফিল্ডে মাসে ৪০ কোটি টাকা বেতন পাবেন হামজা চৌধুরী

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলার হামজা চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

ইংলিশ ক্লাব লেস্টার সিটি থেকে ধারে চ্যাম্পিয়নশিপের দল শেফিল্ড ইউনাইটেডে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলার হামজা চৌধুরী। তবে নতুন দলে এসেই তিনি হয়েছেন সর্বোচ্চ বেতনের খেলোয়াড়।

মার্চে বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা হামজা চৌধুরী শেফিল্ড থেকে বছরে ২৬ লাখ পাউন্ড বেতন পাবেন, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা। মাসিক হিসাবে তার বেতন প্রায় ৩.৩ কোটি টাকা। তবে আপাতত জুন পর্যন্ত ধারে থাকার কারণে তিনি চলতি মৌসুমের বাকি সময় পর্যন্ত এই বেতনই পাবেন।

শেফিল্ড ইউনাইটেড বর্তমানে ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে, যা তাদের আগামী মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে খেলার সম্ভাবনা উজ্জ্বল করেছে। ক্লাবটি চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপাও জিততে পারে। হামজার ধারের মেয়াদ শেষ হলে শেফিল্ড ইউনাইটেড তার সঙ্গে স্থায়ী চুক্তি করার পরিকল্পনাও করছে।

শেফিল্ডে হামজার পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেতন পাওয়া খেলোয়াড় হলেন ডিফেন্ডার রব হোল্ডিং, যিনি বছরে ২৩ লাখ ৪০ হাজার পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৫ কোটি ৮১ লাখ টাকা) বেতন পান। তৃতীয় সর্বোচ্চ বেতন পাওয়া খেলোয়াড়রা হলেন আনেল আহমেদহোডজিক, গুস্তাভো হার্মার, টম ডেভিস ও ভিনিসিয়াস সৌজা, যারা প্রত্যেকে বছরে ১৫ লাখ ৬০ হাজার পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকা) বেতন পান।

শেফিল্ড ইউনাইটেডে যোগ দিয়ে হামজা চৌধুরী শুধু মাঠের খেলায় নয়, বেতনের ক্ষেত্রেও শীর্ষস্থানে উঠে এসেছেন। এখন দেখার বিষয়, তিনি নতুন দলে কতটা প্রভাব বিস্তার করতে পারেন।

Header Ad
Header Ad

পবিপ্রবিতে আবাসিক হলগুলোর নাম পরিবর্তন, মুছে ফেলা হলো শেখ পরিবারের নাম

ছবি: সংগৃহীত

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি) থেকে শেখ পরিবারের নামে থাকা সব আবাসিক হলের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আটটি আবাসিক হলের নতুন নামকরণের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলামের অনুমোদনক্রমে এবং রেজিস্ট্রার (অ.দা.) অধ্যাপক ড. ইকতিয়ার উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানায়, শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ও নাম পরিবর্তন কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে উপাচার্যের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হলগুলোর নতুন নাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন নামকরণের ফলে শের-ই-বাংলা হল-১ এখন শহীদ জিয়াউর রহমান হল-১, শের-ই-বাংলা হল-২ হয়েছে শহীদ জিয়াউর রহমান হল-২, কবি বেগম সুফিয়া কামাল হল হয়েছে চাঁদ সুলতানা হল, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল হয়েছে কবি বেগম সুফিয়া কামাল হল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল হয়েছে বিজয় ২৪ হল এবং বরিশাল ক্যাম্পাসের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল হয়েছে জুলাই ৩৬ হল। এছাড়া, নির্মাণাধীন নতুন ছাত্র হলের নাম রাখা হয়েছে শের-ই-বাংলা হল, আর নির্মাণাধীন নতুন ছাত্রী হলের নাম হবে তাপসী রাবেয়া হল। তবে এম. কেরামত আলী হলের নাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আরও জানিয়েছে, পরবর্তী রিজেন্ট বোর্ড সভায় আনুষ্ঠানিক অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত নতুন নামগুলো বহাল থাকবে।

Header Ad
Header Ad

ইসরায়েলের তেল আবিবে তিনটি বাসে বিস্ফোরণ

ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলের তেল আবিব শহরতলির ব্যাট ইয়াম ও হোলোন এলাকায় পার্কিং লটে থাকা তিনটি বাসে পরপর বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। দেশটির পুলিশ একে সম্ভাব্য সন্ত্রাসী হামলা বলে মনে করছে।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, আরও দুটি বাসে বিস্ফোরক রাখা হলেও তা বিস্ফোরিত হয়নি। বিস্ফোরণের পরপরই বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে এবং সন্দেহভাজনদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

পুলিশ ধারণা করছে, বিস্ফোরণ ঘটানোর সময় নির্ধারণে ভুল হওয়ার কারণে বড় ধরনের প্রাণহানির ঘটনা এড়ানো গেছে। এ ঘটনার পর ইসরায়েলজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কঠোর করা হয়েছে এবং জনগণকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানানো হয়েছে।

ইসরায়েলের পরিবহনমন্ত্রী মিরি রেগেভ সব বাস, ট্রেন ও লাইট রেল পরিষেবা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। দেশটির গণমাধ্যম জানিয়েছে, বিস্ফোরক খুঁজে বের করার জন্যই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি বাস পার্কিং লটে আগুনে পুড়ছে এবং কালো ধোঁয়া আকাশে ছড়িয়ে পড়ছে। তবে এ পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

পুলিশের মুখপাত্র আরিয়ে দোরন চ্যানেল ১২-কে জানিয়েছেন, "আমরা তেল আবিবের বিভিন্ন স্থানে আরও বিস্ফোরক আছে কিনা, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যে কোনো সন্দেহজনক ব্যাগ বা বস্তু দেখলেই আমাদের জানান।’"

স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, একটি অবিস্ফোরিত ডিভাইসের সঙ্গে সংযুক্ত একটি বার্তায় লেখা ছিল, ‘তুলকারেম থেকে প্রতিশোধ’। ধারণা করা হচ্ছে, ইসরায়েলের সাম্প্রতিক সামরিক অভিযানের জবাবে ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরের তুলকারেম শহর থেকে এই হামলার পরিকল্পনা করা হয়ে থাকতে পারে।

বিস্ফোরণের ঘটনার পর ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ পশ্চিম তীরের শরণার্থী শিবিরে সামরিক অভিযান আরও জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি, প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে পরিস্থিতির সর্বশেষ তথ্য নিয়মিত জানানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

চ্যাম্পিয়নশিপের দল শেফিল্ডে মাসে ৪০ কোটি টাকা বেতন পাবেন হামজা চৌধুরী
পবিপ্রবিতে আবাসিক হলগুলোর নাম পরিবর্তন, মুছে ফেলা হলো শেখ পরিবারের নাম
ইসরায়েলের তেল আবিবে তিনটি বাসে বিস্ফোরণ
বিয়ের ছবি ভাইরাল, বললেন শুভকামনা জানানোর জন্য ধন্যবাদ
বাংলা ভাষায় মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা জানালেন সৌদি রাষ্ট্রদূত
বিমানবন্দর থেকে ৪৫ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠালো মালয়েশিয়া
স্বামীর বন্ধু পরিচয়ে পদ্মার চরে নিয়ে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেফতার ৩
১ মার্চ রোজা শুরু হলে ৩৩ বছর পর ঘটতে পারে এক বিরল ঘটনা
ফ্যাসিবাদ যতোই ফিরে আসার চেষ্টা করুক, প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে না: জামায়াত আমির
এফবিআই প্রধান হলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কাশ প্যাটেল
ভেঙে গেল চাহাল-ধনশ্রীর সংসার
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত উন্মুক্ত কনসার্ট স্থগিত
জনগণের পক্ষের কোনো রাজনীতিবিদ কখনও পালায় না: রিজভী
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ লাগবে না, কারণ আমি এসে গেছি: ট্রাম্প
ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে আগামীর বাংলাদেশ গড়বে: সারজিস আলম
শহীদ মিনারে রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা জানানোর সময় ‘গো ব্যাক চুপ্পু’ স্লোগান
ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানুষের ঢল
শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শ্রদ্ধা
গাজায় ধ্বংসস্তূপে মিলল আরও ২২ লাশ, মৃতের সংখ্যা ৪৮ হাজার ৩০০ ছাড়াল
একুশের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা