শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-৩

নেই দেশের নাগরিক

নদীর হলহলে বাতাসে গায়ের সঙ্গে এঁটে পরা তার পরনের শাড়িটা কাশফুলের মতো ফিনফিন করে নড়ছে। পায়ের কাছে গোল হয়ে থাকা পাড়টার তলা দিয়ে নদীর বেহুদ্দে বাতাস ঠেলা দিচ্ছে। অন্ধকার এখনো মাঝরাতে গড়া দেয়নি। চরাচর জুড়ে ঝেঁপে বসে থাকা অন্ধকার এই লোনাজলের নাফ নদীকে যেন দাঁত খুঁচিয়ে খাচ্ছে। নদীও যেন অন্ধকার ফুঁড়ে তার বুকের থলথলে জল আকাশকে দেখাতে পারছে না। অন্ধকারে ঢেকে আছে তার মুখ। যেন জলের নদী নয়, অন্ধকারের নদী। আর সেই অন্ধকারের কালো বুকে শরীর থেকে যাতে রুহু না চলে যেতে পারে, তার জন্যে ছ-জন মানুষ নিজেই আজরাইল হয়ে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছেন। আসলে যখন বাঁচার আর কিছুই বাকি থাকে না তখন এভাবেই খড়কুটোকে আঁকড়ে বেঁচে থাকতে হয়। তখন শরীরের মুরোদ না থাকলেও, শরীরকে এভাবেই তলোয়ার হতে হয়। মৃত্যুর সামনে ঝাঁপিয়ে পড়ে মরণকে রুখে দিতে হয়।

আরিফা সেই ভয়ংকর রাতেও এভাবে হাঁসুয়া হাতে ঝাঁপিয়ে পড়তে চেয়েছিল, বলেছিল, ‘আমাকে যেতে দাও, আমি একটা খবিষ সেনাকেও তো কোপাতে পারব।’ ঘর থেকে বের হতে দেয়নি মতি। বাইরে থেকে শেকল তুলে দিয়েছিল। কিন্তু আরিফাকে আজ রোখার কেউ নেই। সে মনে জিদ ধরেছে, মাথায় ঘোমটা দিয়ে আর বসে থাকব না। বিপদের মুখে স্বামীকে একা ফেলে, ঘরে ঘোমটা টেনে বসে থাকা মেয়ে সে আজ নয়।

‘একটুও নড়ছে না কেন?’ জলে চোখের ছিপ ফেলে ফিসফিস করল মতি।
‘ব্যাটা চালাক মাল। ঘাপটি মেরে আছে।’ ঠোঁট মিহি করে নড়ে উঠল নুহুর।
‘তাই বলে, শ্বাস নেওয়ার জন্যে পেটও নড়বে না!’
‘পানির কুমির হল পানির বাঘ, ব্যাটা চালাক ঘাগু, দোম মেরে থাকতে পারে।’
‘মরা কুমির না তো?’
‘তুমি কি যে বল না মতিভাই, কুমির শিকার দেখলে অমন ভোল করে।’ কুমির বিশেষজ্ঞের মতো বলল নুহু।
বলতে বলতে ‘ঘক’ করে নৌকোর কাণায় এসে একটা জোর গুঁতো খেল কালো জিনিসটা। ‘কচ’ করে বল্লমটা ভেঙে দিল মতি। ‘ভুষ’ করে ঢুকে গেল সূচালো আগাটা। যেন গোবড়ের সারের গাদায় বল্লম মারল মতি। এত নরম! পচা কিছু নাকি! মাথা ঠক করল মতির।
‘লাশ গো!’ হাফ ছেড়ে উঠল নুহু। ভাবল, এ ফাড়া বাঁচা গেল। তাজা কুমির তো নয়। মড়া কিছু একটা।
‘একটা না এক গাদা!’ চোখ কপালে উঠল মতির। ‘এক গাদা!’ ভ্রূ টান হয়ে গেল নুহুরও। আরিফা চোখে মুখে আতঙ্ক নিয়ে বলল, ‘ফুলে একেবারে ঢোল হয়ে গেছ গো!’ ততক্ষণে সে তার খড়গ হাতটা কোমরের কাছে নামিয়ে এনেছে। রণংদেহী ভাবটা আবারও হাতা-কুন্তির গৃহিণী হয়ে এসেছে।

‘দেখো, দেখো, লাশও কীভাবে একে অপরকে আঁকড়ে ধরে আছে!’ নুহুর চোখে তখন দুনিয়ার বিস্ময়। তারপর মতিকে গলা লম্বা করে মুখ বাড়িয়ে লাশগুলোকে দেখতে দেখে, নুহু জিজ্ঞেস করল, ‘কাউকে চিনতে পারছ?’
‘না, অন্ধকারে কিচ্ছু বোঝা যাচ্ছে না। তবে গোটা চারেক লাশ আছে বলে মনে হচ্ছে।’ অন্ধকারে টিপ্পির মতো মতির চোখের মণিদুটো জ্বলজ্বল করে উঠল।
‘লতিফারা কেউ আছে আবা?’ ছইএর ভেতর থেকে কথাটা পটবাড়ি খেয়ে ভেসে এল। শুধু কথা নয়, মনের আকুতি হালেমার। একটা খোঁজ। একটা হদিশ। একটা আপনজনের বেঁচে থাকা না বেঁচে থাকার খবর। নুহুরা কেউই মা’র কথা কান করল না। মতি বল্লমের গুঁতো দিয়ে লাশগুলোকে একবার ওলটানোর চেষ্টা করল। লাশগুলো যেই উল্টে গেল, অমনি ‘ভক’ করে একটা বিটকেল গন্ধ নাকে এসে লাগল। ‘ওয়াক’ করে উঠল আরিফা। তারপর আচানক সে স্বামীর ওপর খচে উঠল, ‘অ কী করছ? লাশকে আঘাত করলে গুনাহ হবে। জানো না?’
‘আমি কি জানি, এগুলো লাশ? আমি কুমির বলেই বল্লম ছুড়েছি।’ চোখ গরম করল মতি। চারটে মৃত দেহ জড়িয়ে পেঁচিয়ে লাশের একটা গাঁট বাঁধা। মনে হয়, একই পরিবারের লোক। মেরে লাশগুলোকে দড়ি দিয়ে বেঁধে এই নাফ নদীতে ফেলে দিয়েছে শত্রুরা। নাফ নদী যেন লাশের নদী। রক্ত মাখা ফোরাত নদী। এত সুন্দর নীল রঙের নদীটা রক্তে লাল হয়ে উঠেছে! নদী কি এ যন্ত্রণা সহ্য করতে পারছে? নদী তো জীবন গড়ে। জীবন বানায়। অথচ আজ নাফ নদী যেন রাক্ষুসে মানুষ খেকো নদী। মানুষের মরা দেহ বয়ে নিয়ে বেড়ানো নদী। এই নদীতেই ডালা ডালা লাশ ভেসে বেড়াতে দেখে মানুষে গাল পাড়ে, ‘খাইকুন্নি নদীর কি এত মানুষ খেয়ে পেট ভরে না?’ নদীর কি বা দোষ। নদীকে ভিলেন বানায় মানুষ। মানুষ খেকো বানায় মানুষ। এই নাফ নদী আছে বলেই তো এতদিন জাফররা পুরুষানুক্রমে আবাদ করে এসেছেন? নদীর উপকূলের পলিজমিতে ফলিয়ে এসেছেন ফসল। লকলক করে উঠেছে ধান। পাট। আবাদি জমি জুড়ে ফসলের ঘ্রাণ। মাটির সোঁদা গন্ধ। রূপালি বাতাস। নদীর জলে কোছা ভরে ধরেছেন মাছ। নদী শুধু নদী থাকেনি, সংসারের হেঁসেলের রগ রক্ত হয়ে উঠেছে। বুকে দিয়েছে বেঁচে থাকার শ্বাস। সেই নদীই যেন আজ তাদের গিলে খাওয়ার জন্যে ছো মেরে আছে! সাপের মতো এঁকেবেঁকে গেছে নদীটা। তাদের ফেলে আসা আরাকান পাহাড় থেকে উৎপন্ন হয়ে বাংলাদেশের কক্সবাজারের কাছে বঙ্গোপসাগরে মিশেছে। ঊনচল্লিশ মাইল দীর্ঘ এই নাফ নদীটা আজ জাফর-হালেমাদের মতো হাজার হাজার রোহিঙ্গাদের ‘উঠ বললে চট বগলে’র দেশ। তাদের বসতভিটে। হেঁসেলবাড়ি। ইহকালের ঠিকানা। যদিও এ দেশ যেকোনো সময় মৃত্যু উপত্যকা হয়ে উঠতে পারে! সবদিকেই ওত পেতে আছে বিপদ। অথচ এ নদী সৌন্দর্যে টইটম্বুর। হালেমার যুবতী বয়সের নিটোল শরীরের মতো তার গড়ন। নদী যেখান থেকে উৎপন্ন হয়েছে, সেই আরাকান পাহাড়ের বুকে রয়েছে কুলকুল ঝর্ণা। সে ঝর্ণার ডাক বড়ই মায়াবী। যেন বেহেশতের ‘কাফুর’ ঝর্ণা। এর জলও সুঘ্রাণ আর সুশীতল। অরণ্যের নিস্তব্ধতায় এই কুলকুল শব্দ যেন কোনো অরণ্য-পরির হৃদয়ের ডাক। তার সামনে মন খুলে দাঁড়ালে এক অনাবিল আহ্লাদে হৃদয় ভরে যায়। বাদামী রঙের ক্ষয়াটে পাহাড়টাকে ছেয়ে আছে অসংখ্য গাছ গাছালি। পাইন, দেবদারু। ইউক্যালিপটাসের জঙ্গল। এখান থেকেই, পাহাড়ের ঝুঁটি থেকে ঝিরঝির করে উৎপন্ন হয়ে বয়ে এসেছে নাফ নদী। নদীর মাথায় মায়ানমার আর পায়ে বাংলাদেশ। জাফর বলতেন, ‘নদী আমাদের মাথায় করে রেখেছ গো।‘

দাঁড় টেনে নৌকোটাকে আলতো করে ডানে কাত করে পাশ কাটিয়ে নিল নুহু। পচা লাশের গাদাটা জলের ঠেলা খেতে খেতে ছিপ ছিপ করে বঙ্গোপসাগরের দিকে চলে গেল। নুহু চোখ ফেড়ে দেখল, লাশগুলো বুঁদবুঁদ তুলতে তুলতে ভেসে যাচ্ছে। আচানক তার ভেতরটা ধড়াক করে উঠল! লতিফা আর রফিকও কি এভাবেই জলে ভেসে ভেসে চলে গেছে! তাদের মরা গায়ে কি এভাবেই পোকা বাসা বেঁধেছিল! মা বেটার শরীরে কি এভাবেই জলের বুঁদবুঁদ ফেনা পাকিয়ে উঠেছিল! বউ ছেলের কথা মনে হতেই হাউমাউ করে উঠল নুহু। অন্ধকার নদীর বুকে এক তাগড়া পুরুষের বুক ফাটা আর্তনাদ অন্ধকার ফুঁড়ে যেন আসমানের আরশে নিশ্চিন্তে বসে থাকা মহান আল্লাহপাককে নাড়িয়ে দিচ্ছে। কান্নার আর্তচিৎকার যেন বলছে, হে আল্লাহ, আর সহ্য করতে পারছি নে। এবার আমাকেও তুলে নাও। তোমার দেওয়া এই রক্ত-মাংস, হাড়-কলিজা তুমি ফিরিয়ে নাও। তোমার আজরাইলকে বলো, যেন এখনি এসে এই হাড়-মাংসের খোল থেকে রুহুটা কবুজ করে নিয়ে যায়। তোমার জান-মাল তুমি ফিরিয়ে নাও খোদা। যেদিন লতিফা আর রফিককে ওরা দংখালীর হাট থেকে তুলে নিয়ে গেল, সেদিন থেকেই নুহু আধখানা মরে গেছে। সে কেমন যেন মনমরা আর খটখটে মেজাজের হয়ে থাকে। কাদামাটির মনটা এখন পোড়া পিতল। আতিপাতি কোনো কিছু একটা সহ্য না হলেই হুট করে তেতে ওঠে। অল্পেই মাথা বিগড়ে যায়। আপনজন ছেড়ে চলে গেলে, মানুষের হৃদয় যে এভাবেই কাঁচের মতো ভেঙে তছনছ হয়ে যায়। সে হৃদয়ে শুধু দলা পাকিয়ে থাকে কষ্ট আর যন্ত্রণা। আপনজন মরার ঘা কখনই শুকোই না। এট্টুআট্টু কষ্টের ছোঁয়া পেলেই মুহূর্তে দ্গদ্গে হয়ে ওঠে। নুহুর এখন এক ঠেঙে জীবন। তার ক্ষতবিক্ষত জীবনটা আধমরে একটা ‘ঘাটবাড়ি কৌশা’ নৌকার ওপর টিমটিম করছে। কান্নার স্বর আচমকা আকাশ ফাটিয়ে নুহু ভেসে যাওয়া লাশের গাদাটার দিকে হাত নেড়ে গেংড়িয়ে উঠল, ‘রফিক, ওই রফিক, তোর বাপটাকে একা ফেলে কোথায় যাচ্ছিস? ফিরে আয় খোকা, ফিরে আয় আমার কোলে, তোদেরকে ছাড়া আমি আর একদণ্ডও থাকতে পারছি না। রফিক রফিক………!’

খড়বড় করে নৌকোর পাটার ওপর দৌড়তে লাগল নুহু। আরিফা খপ করে তার হাত খামচে ধরল। তা নাহলে, পা হড়কে নুহু নদীতে পড়ে যেত। নুহু ভুশভুশে মাটির মূর্তির মতো হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ল। তার শরীরের সব কলকব্জা যেন আলগা হয়ে গেল। সে মাঝ নৌকোয় ভাবি আরিফার কোলে বাচ্চাশিশুর মতো হাউমাউ করে কেঁদে উঠল, ‘ও ভাবি গ, আমার রফিক………!’ নুহুর গোঙানি শুনে জাফর আধোস্বরে বলে উঠলেন, ‘ম আ ট ই’। অমনি খ্যাঁক উঠলেন হালেমা, ‘হু, মাটিই তো? সব মাটি হয়ে গেল! জানজীবন, ঘরদোর, হেঁসেল-গোহাল সব মাটিই তো হয়ে গেল! এখন শুধু এই অনাহারের শরীরটার হাড় মাংস কটা মাটি হলেই বাঁচি।’ জাফর কি তার বিহেতি বউর কথা শুনতে পেলেন? শুনতে পেলে নিশ্চয় বলতেন, ‘মাটি আর পেলাম কই, সবই তো পানি। পানি আর পানি। মরে সব পানি হয়ে যাবে।‘ জাফর আবারও ‘ম আ ট ই’ করে উঠলেন। হালেমা এবার তিড়বিড় করে উঠলেন, ‘চুপ করো তো। মাটি! তোমার স্বাদ তো বড় কম নয়, মাটিতে শুবা? মাটি মাঙনা বুঝি? মাটিতে মাথা রেখে শোয়ার খোয়াইস আর পূরণ হবে না। জান থেকে মাটির ভরসা ছেড়ে দাও। পানি নাও। পানি। জান ভরে পানি নাও। এজন্মে আমাদের কপালে আল্লা আর মাটি লিখে থয়নি। পানিতেই আমাদের পচে পচে মরতে হবে। পানিই হবে আমাদের কবর।’

চলবে…

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-১

আরএ/

Header Ad

সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী

ছবি: সংগৃহীত

সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন চিত্রনায়িকা পরীমনির প্রথম স্বামী ইসমাইল হোসেন জমাদ্দার (৪২) ।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ভোর রাতে ঢাকা-ভাঙ্গা মহাসড়কের শিবচরের পাচ্চর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ইসমাইল জমাদ্দার মঠবাড়িয়া উপজেলার মিরুখালী ইউনিয়নের ছোট শৌলা গ্রামের ব্যাংক কর্মকর্তা জাকির হোসেন জমাদ্দারের ছেলে।

নিহত ইসমাইল হোসেনের চাচা কবির হোসেন জমাদ্দার বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল চালিয়ে ঢাকা যাচ্ছিলেন ইসমাইল ও তার বন্ধু মনির। শুক্রবার ভোর রাতে ঢাকা-ভাঙ্গা হাইওয়ের শিবচরের পাচ্চর এলাকায় একটি ট্রাক তাদের মোটরসাইকেলটিকে পিছন থেকে ধাক্কা দেয়। আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইসমাইলকে মৃত ঘোষণা করেন।

ইসমাইলের বন্ধু মনিরকে ঢাকা মেডিকেল থেকে আগারগাঁও পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানে মনিরের একটি পা কেটে ফেলা হয়েছে। মনির এখনো ওই হাসপাতালেই আছেন, বলে জানান তিনি।

শুক্রবার রাতে ইসমাইলের লাশ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। রাতেই জানাজা শেষে ছোট শৌলা গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়েছে বলেও জানান তার চাচা।

এ বিষয়ে শিবচর হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাকিল আহমেদ বলেন, শুক্রবার ভোর রাতের কোন এক সময়ে ঢাকা-ভাঙ্গা মহাসড়কের মাদারীপুরের শিবচরের পাচ্চর এলাকায় একটি দুর্ঘটনায় ইসমাইল হোসেন জমাদার নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে কীভাবে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মরদেহ শনাক্তের পর পরিবারের কাছে তা হস্তান্তর করা হয়েছে।

Header Ad

বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সম্মুখ সারিতে থেকে নেতৃত্বদানকারীদের মধ্যে অন্যতম নাহিদ ইসলাম। বর্তমানে তিনি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছেন। সম্প্রতি তিনি একটি গণমাধ্যমে দেশের বর্তমান অবস্থা নিয়ে কথা বলেছেন। গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হবে কিনা কথা বলেছেন সেই প্রসঙ্গেও।

আওয়ামী লীগ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে নাহিদ ইসলাম বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নির্বিচারে মানুষ মেরে, আওয়ামী লীগ রাজনীতি করার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে। তাদের কেবল বিচারের কাঠগড়াতেই উঠতে হবে না, ক্ষমা চাইতে হবে জনগণের কাছে। বিচার প্রক্রিয়ার আগে তাদের মাঠে থাকার অধিকার নেই, সুযোগও নেই।

তথ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, সরকার কোনো দলের কাছে নয়, জনগণের আকাঙ্ক্ষার কাছে দায়বদ্ধ। তাই বিএনপি দ্রুত নির্বাচনের জন্য যতোই চাপ দিক, সংস্কার কমিশনের কাজের ওপর ভিত্তি করেই নির্বাচনের দিকে এগোবে সরকার।গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে তিনি বলেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে অন্তরায় যে আইনগুলো রয়েছে সেগুলো পর্যালোচনা করা হবে। অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক নিরাপত্তা আরও আনুষঙ্গিক বিষয়গুলো আলোচনা পর্যালোচনা করে একটি রূপরেখা করার চেষ্টা করবো আমরা। যাতে নির্বিঘ্নে স্বাধীনভাবে এদেশে মানুষ গণমাধ্যম চর্চা করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, গণমাধ্যম সংস্কারে গঠিত কমিশন এমন আইন করবে যাতে ভবিষ্যতে কেউ গণমাধ্যমে খবরদারি চালাতে না পারে।

গণঅভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকার একের পর এক দাবি আদায়ের আন্দোলন সামলাতে হচ্ছে। এ বিষয়ে নাহিদ বলেন, কিছু দাবি ন্যায্য হলেও সবগুলো নয়। এসব দাবির আড়ালে ষড়যন্ত্রও থাকতে পারে।

Header Ad

মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে

ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারে মাকে হত্যা করে থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেছেন হোসাইন মোহাম্মদ আবিদ নামের এক যুবক।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে শহরের পশ্চিম বড়ুয়া পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামে মেয়ের বাসায় ছিলেন আবিদের বাবা নিয়াজ আহমেদ। ফলে বাড়িতে ছিলেন আবিদ ও তার মা। মাদকের টাকা জোগাড় করতে প্রায় সময় মা আনোয়ারা বেগমকে অত্যাচার করতেন আবিদ। শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে নিজ বাড়িতে মাকে নৃশংসভাবে হত্যা করে থানায় এসে নিজেই আত্মসমর্পণ করেন তিনি। নিহত আনোয়ারা বেগমের মুখ, মাথা ও হাতে কোপের চিহ্ন রয়েছে।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস জানান, হোসাইন মোহাম্মদ আবিদকে আটক করা হয়েছে। হত্যার কারণ জানতে তদন্ত করা হচ্ছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান
বেনাপোলে সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধার
পুলিশ-অটোরিকশা চালক সংঘর্ষ, ঢাকা-পদ্মা সেতু ট্রেন চলাচল বন্ধ
ভারতীয় সাবমেরিনের সঙ্গে মাছ ধরা নৌকার সংঘর্ষ, নিখোঁজ ২
সংসার ভাঙার দুদিন পরই সুখবর দিলেন এ আর রহমান
ঢাকায় পৌঁছেছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি
আ.লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৮২ বাংলাদেশি
পাকিস্তানে যাত্রীবাহী গাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা, নিহত ৪৫
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন
তামিমকে অধিনায়ক করে বাংলাদেশের দল ঘোষণা