মঙ্গলবার, ১ এপ্রিল ২০২৫ | ১৮ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-৩

নেই দেশের নাগরিক

নদীর হলহলে বাতাসে গায়ের সঙ্গে এঁটে পরা তার পরনের শাড়িটা কাশফুলের মতো ফিনফিন করে নড়ছে। পায়ের কাছে গোল হয়ে থাকা পাড়টার তলা দিয়ে নদীর বেহুদ্দে বাতাস ঠেলা দিচ্ছে। অন্ধকার এখনো মাঝরাতে গড়া দেয়নি। চরাচর জুড়ে ঝেঁপে বসে থাকা অন্ধকার এই লোনাজলের নাফ নদীকে যেন দাঁত খুঁচিয়ে খাচ্ছে। নদীও যেন অন্ধকার ফুঁড়ে তার বুকের থলথলে জল আকাশকে দেখাতে পারছে না। অন্ধকারে ঢেকে আছে তার মুখ। যেন জলের নদী নয়, অন্ধকারের নদী। আর সেই অন্ধকারের কালো বুকে শরীর থেকে যাতে রুহু না চলে যেতে পারে, তার জন্যে ছ-জন মানুষ নিজেই আজরাইল হয়ে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছেন। আসলে যখন বাঁচার আর কিছুই বাকি থাকে না তখন এভাবেই খড়কুটোকে আঁকড়ে বেঁচে থাকতে হয়। তখন শরীরের মুরোদ না থাকলেও, শরীরকে এভাবেই তলোয়ার হতে হয়। মৃত্যুর সামনে ঝাঁপিয়ে পড়ে মরণকে রুখে দিতে হয়।

আরিফা সেই ভয়ংকর রাতেও এভাবে হাঁসুয়া হাতে ঝাঁপিয়ে পড়তে চেয়েছিল, বলেছিল, ‘আমাকে যেতে দাও, আমি একটা খবিষ সেনাকেও তো কোপাতে পারব।’ ঘর থেকে বের হতে দেয়নি মতি। বাইরে থেকে শেকল তুলে দিয়েছিল। কিন্তু আরিফাকে আজ রোখার কেউ নেই। সে মনে জিদ ধরেছে, মাথায় ঘোমটা দিয়ে আর বসে থাকব না। বিপদের মুখে স্বামীকে একা ফেলে, ঘরে ঘোমটা টেনে বসে থাকা মেয়ে সে আজ নয়।

‘একটুও নড়ছে না কেন?’ জলে চোখের ছিপ ফেলে ফিসফিস করল মতি।
‘ব্যাটা চালাক মাল। ঘাপটি মেরে আছে।’ ঠোঁট মিহি করে নড়ে উঠল নুহুর।
‘তাই বলে, শ্বাস নেওয়ার জন্যে পেটও নড়বে না!’
‘পানির কুমির হল পানির বাঘ, ব্যাটা চালাক ঘাগু, দোম মেরে থাকতে পারে।’
‘মরা কুমির না তো?’
‘তুমি কি যে বল না মতিভাই, কুমির শিকার দেখলে অমন ভোল করে।’ কুমির বিশেষজ্ঞের মতো বলল নুহু।
বলতে বলতে ‘ঘক’ করে নৌকোর কাণায় এসে একটা জোর গুঁতো খেল কালো জিনিসটা। ‘কচ’ করে বল্লমটা ভেঙে দিল মতি। ‘ভুষ’ করে ঢুকে গেল সূচালো আগাটা। যেন গোবড়ের সারের গাদায় বল্লম মারল মতি। এত নরম! পচা কিছু নাকি! মাথা ঠক করল মতির।
‘লাশ গো!’ হাফ ছেড়ে উঠল নুহু। ভাবল, এ ফাড়া বাঁচা গেল। তাজা কুমির তো নয়। মড়া কিছু একটা।
‘একটা না এক গাদা!’ চোখ কপালে উঠল মতির। ‘এক গাদা!’ ভ্রূ টান হয়ে গেল নুহুরও। আরিফা চোখে মুখে আতঙ্ক নিয়ে বলল, ‘ফুলে একেবারে ঢোল হয়ে গেছ গো!’ ততক্ষণে সে তার খড়গ হাতটা কোমরের কাছে নামিয়ে এনেছে। রণংদেহী ভাবটা আবারও হাতা-কুন্তির গৃহিণী হয়ে এসেছে।

‘দেখো, দেখো, লাশও কীভাবে একে অপরকে আঁকড়ে ধরে আছে!’ নুহুর চোখে তখন দুনিয়ার বিস্ময়। তারপর মতিকে গলা লম্বা করে মুখ বাড়িয়ে লাশগুলোকে দেখতে দেখে, নুহু জিজ্ঞেস করল, ‘কাউকে চিনতে পারছ?’
‘না, অন্ধকারে কিচ্ছু বোঝা যাচ্ছে না। তবে গোটা চারেক লাশ আছে বলে মনে হচ্ছে।’ অন্ধকারে টিপ্পির মতো মতির চোখের মণিদুটো জ্বলজ্বল করে উঠল।
‘লতিফারা কেউ আছে আবা?’ ছইএর ভেতর থেকে কথাটা পটবাড়ি খেয়ে ভেসে এল। শুধু কথা নয়, মনের আকুতি হালেমার। একটা খোঁজ। একটা হদিশ। একটা আপনজনের বেঁচে থাকা না বেঁচে থাকার খবর। নুহুরা কেউই মা’র কথা কান করল না। মতি বল্লমের গুঁতো দিয়ে লাশগুলোকে একবার ওলটানোর চেষ্টা করল। লাশগুলো যেই উল্টে গেল, অমনি ‘ভক’ করে একটা বিটকেল গন্ধ নাকে এসে লাগল। ‘ওয়াক’ করে উঠল আরিফা। তারপর আচানক সে স্বামীর ওপর খচে উঠল, ‘অ কী করছ? লাশকে আঘাত করলে গুনাহ হবে। জানো না?’
‘আমি কি জানি, এগুলো লাশ? আমি কুমির বলেই বল্লম ছুড়েছি।’ চোখ গরম করল মতি। চারটে মৃত দেহ জড়িয়ে পেঁচিয়ে লাশের একটা গাঁট বাঁধা। মনে হয়, একই পরিবারের লোক। মেরে লাশগুলোকে দড়ি দিয়ে বেঁধে এই নাফ নদীতে ফেলে দিয়েছে শত্রুরা। নাফ নদী যেন লাশের নদী। রক্ত মাখা ফোরাত নদী। এত সুন্দর নীল রঙের নদীটা রক্তে লাল হয়ে উঠেছে! নদী কি এ যন্ত্রণা সহ্য করতে পারছে? নদী তো জীবন গড়ে। জীবন বানায়। অথচ আজ নাফ নদী যেন রাক্ষুসে মানুষ খেকো নদী। মানুষের মরা দেহ বয়ে নিয়ে বেড়ানো নদী। এই নদীতেই ডালা ডালা লাশ ভেসে বেড়াতে দেখে মানুষে গাল পাড়ে, ‘খাইকুন্নি নদীর কি এত মানুষ খেয়ে পেট ভরে না?’ নদীর কি বা দোষ। নদীকে ভিলেন বানায় মানুষ। মানুষ খেকো বানায় মানুষ। এই নাফ নদী আছে বলেই তো এতদিন জাফররা পুরুষানুক্রমে আবাদ করে এসেছেন? নদীর উপকূলের পলিজমিতে ফলিয়ে এসেছেন ফসল। লকলক করে উঠেছে ধান। পাট। আবাদি জমি জুড়ে ফসলের ঘ্রাণ। মাটির সোঁদা গন্ধ। রূপালি বাতাস। নদীর জলে কোছা ভরে ধরেছেন মাছ। নদী শুধু নদী থাকেনি, সংসারের হেঁসেলের রগ রক্ত হয়ে উঠেছে। বুকে দিয়েছে বেঁচে থাকার শ্বাস। সেই নদীই যেন আজ তাদের গিলে খাওয়ার জন্যে ছো মেরে আছে! সাপের মতো এঁকেবেঁকে গেছে নদীটা। তাদের ফেলে আসা আরাকান পাহাড় থেকে উৎপন্ন হয়ে বাংলাদেশের কক্সবাজারের কাছে বঙ্গোপসাগরে মিশেছে। ঊনচল্লিশ মাইল দীর্ঘ এই নাফ নদীটা আজ জাফর-হালেমাদের মতো হাজার হাজার রোহিঙ্গাদের ‘উঠ বললে চট বগলে’র দেশ। তাদের বসতভিটে। হেঁসেলবাড়ি। ইহকালের ঠিকানা। যদিও এ দেশ যেকোনো সময় মৃত্যু উপত্যকা হয়ে উঠতে পারে! সবদিকেই ওত পেতে আছে বিপদ। অথচ এ নদী সৌন্দর্যে টইটম্বুর। হালেমার যুবতী বয়সের নিটোল শরীরের মতো তার গড়ন। নদী যেখান থেকে উৎপন্ন হয়েছে, সেই আরাকান পাহাড়ের বুকে রয়েছে কুলকুল ঝর্ণা। সে ঝর্ণার ডাক বড়ই মায়াবী। যেন বেহেশতের ‘কাফুর’ ঝর্ণা। এর জলও সুঘ্রাণ আর সুশীতল। অরণ্যের নিস্তব্ধতায় এই কুলকুল শব্দ যেন কোনো অরণ্য-পরির হৃদয়ের ডাক। তার সামনে মন খুলে দাঁড়ালে এক অনাবিল আহ্লাদে হৃদয় ভরে যায়। বাদামী রঙের ক্ষয়াটে পাহাড়টাকে ছেয়ে আছে অসংখ্য গাছ গাছালি। পাইন, দেবদারু। ইউক্যালিপটাসের জঙ্গল। এখান থেকেই, পাহাড়ের ঝুঁটি থেকে ঝিরঝির করে উৎপন্ন হয়ে বয়ে এসেছে নাফ নদী। নদীর মাথায় মায়ানমার আর পায়ে বাংলাদেশ। জাফর বলতেন, ‘নদী আমাদের মাথায় করে রেখেছ গো।‘

দাঁড় টেনে নৌকোটাকে আলতো করে ডানে কাত করে পাশ কাটিয়ে নিল নুহু। পচা লাশের গাদাটা জলের ঠেলা খেতে খেতে ছিপ ছিপ করে বঙ্গোপসাগরের দিকে চলে গেল। নুহু চোখ ফেড়ে দেখল, লাশগুলো বুঁদবুঁদ তুলতে তুলতে ভেসে যাচ্ছে। আচানক তার ভেতরটা ধড়াক করে উঠল! লতিফা আর রফিকও কি এভাবেই জলে ভেসে ভেসে চলে গেছে! তাদের মরা গায়ে কি এভাবেই পোকা বাসা বেঁধেছিল! মা বেটার শরীরে কি এভাবেই জলের বুঁদবুঁদ ফেনা পাকিয়ে উঠেছিল! বউ ছেলের কথা মনে হতেই হাউমাউ করে উঠল নুহু। অন্ধকার নদীর বুকে এক তাগড়া পুরুষের বুক ফাটা আর্তনাদ অন্ধকার ফুঁড়ে যেন আসমানের আরশে নিশ্চিন্তে বসে থাকা মহান আল্লাহপাককে নাড়িয়ে দিচ্ছে। কান্নার আর্তচিৎকার যেন বলছে, হে আল্লাহ, আর সহ্য করতে পারছি নে। এবার আমাকেও তুলে নাও। তোমার দেওয়া এই রক্ত-মাংস, হাড়-কলিজা তুমি ফিরিয়ে নাও। তোমার আজরাইলকে বলো, যেন এখনি এসে এই হাড়-মাংসের খোল থেকে রুহুটা কবুজ করে নিয়ে যায়। তোমার জান-মাল তুমি ফিরিয়ে নাও খোদা। যেদিন লতিফা আর রফিককে ওরা দংখালীর হাট থেকে তুলে নিয়ে গেল, সেদিন থেকেই নুহু আধখানা মরে গেছে। সে কেমন যেন মনমরা আর খটখটে মেজাজের হয়ে থাকে। কাদামাটির মনটা এখন পোড়া পিতল। আতিপাতি কোনো কিছু একটা সহ্য না হলেই হুট করে তেতে ওঠে। অল্পেই মাথা বিগড়ে যায়। আপনজন ছেড়ে চলে গেলে, মানুষের হৃদয় যে এভাবেই কাঁচের মতো ভেঙে তছনছ হয়ে যায়। সে হৃদয়ে শুধু দলা পাকিয়ে থাকে কষ্ট আর যন্ত্রণা। আপনজন মরার ঘা কখনই শুকোই না। এট্টুআট্টু কষ্টের ছোঁয়া পেলেই মুহূর্তে দ্গদ্গে হয়ে ওঠে। নুহুর এখন এক ঠেঙে জীবন। তার ক্ষতবিক্ষত জীবনটা আধমরে একটা ‘ঘাটবাড়ি কৌশা’ নৌকার ওপর টিমটিম করছে। কান্নার স্বর আচমকা আকাশ ফাটিয়ে নুহু ভেসে যাওয়া লাশের গাদাটার দিকে হাত নেড়ে গেংড়িয়ে উঠল, ‘রফিক, ওই রফিক, তোর বাপটাকে একা ফেলে কোথায় যাচ্ছিস? ফিরে আয় খোকা, ফিরে আয় আমার কোলে, তোদেরকে ছাড়া আমি আর একদণ্ডও থাকতে পারছি না। রফিক রফিক………!’

খড়বড় করে নৌকোর পাটার ওপর দৌড়তে লাগল নুহু। আরিফা খপ করে তার হাত খামচে ধরল। তা নাহলে, পা হড়কে নুহু নদীতে পড়ে যেত। নুহু ভুশভুশে মাটির মূর্তির মতো হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ল। তার শরীরের সব কলকব্জা যেন আলগা হয়ে গেল। সে মাঝ নৌকোয় ভাবি আরিফার কোলে বাচ্চাশিশুর মতো হাউমাউ করে কেঁদে উঠল, ‘ও ভাবি গ, আমার রফিক………!’ নুহুর গোঙানি শুনে জাফর আধোস্বরে বলে উঠলেন, ‘ম আ ট ই’। অমনি খ্যাঁক উঠলেন হালেমা, ‘হু, মাটিই তো? সব মাটি হয়ে গেল! জানজীবন, ঘরদোর, হেঁসেল-গোহাল সব মাটিই তো হয়ে গেল! এখন শুধু এই অনাহারের শরীরটার হাড় মাংস কটা মাটি হলেই বাঁচি।’ জাফর কি তার বিহেতি বউর কথা শুনতে পেলেন? শুনতে পেলে নিশ্চয় বলতেন, ‘মাটি আর পেলাম কই, সবই তো পানি। পানি আর পানি। মরে সব পানি হয়ে যাবে।‘ জাফর আবারও ‘ম আ ট ই’ করে উঠলেন। হালেমা এবার তিড়বিড় করে উঠলেন, ‘চুপ করো তো। মাটি! তোমার স্বাদ তো বড় কম নয়, মাটিতে শুবা? মাটি মাঙনা বুঝি? মাটিতে মাথা রেখে শোয়ার খোয়াইস আর পূরণ হবে না। জান থেকে মাটির ভরসা ছেড়ে দাও। পানি নাও। পানি। জান ভরে পানি নাও। এজন্মে আমাদের কপালে আল্লা আর মাটি লিখে থয়নি। পানিতেই আমাদের পচে পচে মরতে হবে। পানিই হবে আমাদের কবর।’

চলবে…

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-১

আরএ/

Header Ad
Header Ad

টঙ্গিবাড়ীতে ঈদের দিনে ১০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি, উপকৃত ৪২০ পরিবার

ছবি: সংগৃহীত

ঈদের আনন্দ সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিক্রমপুর মানবসেবা ফাউন্ডেশন মাত্র ১০ টাকায় ৪২০টি পরিবারের মাঝে গরুর মাংস বিতরণ করেছে।

সোমবার (৩১ মার্চ) সকালে কামারখাড়া হাই স্কুল মাঠে এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগের মাধ্যমে অসহায় ও দুস্থ পরিবারগুলোকে ১০ টাকায় ১ কেজি গরুর মাংস দেওয়া হয়।

বিক্রমপুর মানবসেবা ফাউন্ডেশন শুধু ঈদের দিনেই নয়,প্রতিবছর রমজানে বিনামূল্যে ইফতার বিতরণ, মেধাবৃত্তি পরীক্ষা আয়োজন এবং অসহায়দের জন্য নানা সহযোগিতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।

১০ টাকায় গরুর মাংস কিনতে আসা খালেদা বেগম বলেন, "১০ টাকা আজকাল বাচ্চারাও নিতে চায় না, অথচ আমরা এখানে ১০ টাকায় ১ কেজি গরুর মাংস পাচ্ছি। যারা এই আয়োজন করেছেন, আল্লাহ তাদের ভালো রাখুক।"

একইভাবে বৃদ্ধ মো. ফজল বলেন, "বাজারে গরুর মাংসের যে দাম, ভাবছিলাম ঈদের দিন মাংস খেতে পারব না। কিন্তু বিক্রমপুর মানবসেবা ফাউন্ডেশনের জন্য ঈদের দিনেও মাংস খেতে পারছি, এ জন্য আমি খুব খুশি।"

বিক্রমপুর মানবসেবা ফাউন্ডেশনের সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক (হিরা) বলেন, "এটি আমাদের চতুর্থবারের মতো আয়োজন। আমরা চাই, সমাজের নিম্নবিত্ত মানুষও যেন ঈদের দিনে মনে করে তারা নিজের টাকায় গরুর মাংস কিনে খেতে পারছে। এই চিন্তা থেকেই আমাদের এই উদ্যোগ।"

এই মানবিক উদ্যোগ স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে।

Header Ad
Header Ad

ঈদের দিনেও তাপপ্রবাহ অব্যাহত, এক বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা

ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী, পাবনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, ঢাকা, ফরিদপুর, পটুয়াখালী ও রাঙামাটি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

সোমবার (৩১ মার্চ) প্রকাশিত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, সিলেট বিভাগের দু-একটি স্থানে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

আগামীকাল মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।

এছাড়া, দেশের বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্নভাবে তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, চলমান তাপপ্রবাহের কারণে গরমজনিত অসুস্থতা বাড়তে পারে। বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থদের পর্যাপ্ত পানি পান এবং সরাসরি রোদ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

যশোরের শার্শা সীমান্তে যুবকের লাশ উদ্ধার, আটক ১

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

যশোরের শার্শা উপজেলার সীমান্ত এলাকা থেকে জামাল হোসেন (২৫) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত যুবক সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া থানার কাদপুর গ্রামের আইয়ুব হোসেনের ছেলে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ একজনকে আটক করেছে।

রোববার (৩০ মার্চ) রাতে উপজেলার গোগা ইউনিয়নের ইছাপুর গ্রামের শফি ইটভাটা সংলগ্ন সেতাই-বালুন্ডা সড়কের পাশে লাশটি পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পরে শার্শা থানার ওসি কে এম রবিউল ইসলাম নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে।

ওসি কেএম রবিউল ইসলাম জানান, "লাশের পাশে একটি অ্যাপাচি ৪ভি কালো রঙের মোটরসাইকেল এবং হত্যার কাজে ব্যবহৃত কিছু মেহগনি গাছের চলাকাঠ পাওয়া গেছে। নিহতের মুখ ও মাথায় একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।"

প্রাথমিকভাবে নিহতের মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়।

স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, নিহত জামাল হোসেন মাদক চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া সীমান্ত এলাকা থেকে ফেনসিডিল বহন করে শার্শা ও বেনাপোল পোর্ট থানার বিভিন্ন মাদক কারবারিদের কাছে সরবরাহ করতেন।

পুলিশের সন্দেহভাজন তালিকায় থাকা কাদপুর গ্রামের আলী হোসেন খাঁর ছেলে জাহিদ হাসানকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

এদিকে, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের কারণ ও এর সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করতে তদন্ত চলছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

টঙ্গিবাড়ীতে ঈদের দিনে ১০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি, উপকৃত ৪২০ পরিবার
ঈদের দিনেও তাপপ্রবাহ অব্যাহত, এক বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা
যশোরের শার্শা সীমান্তে যুবকের লাশ উদ্ধার, আটক ১
চীনে বিশাল তেলক্ষেত্র আবিষ্কার, মজুদ ১০ কোটি টনের বেশি
রাজধানীতে সুলতানি আমলের আদলে ঈদ আনন্দ মিছিল
গাজীপুরে বাসচাপায় শিশুসহ দুই যাত্রী নিহত, আহত ৪
টাঙ্গাইলে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে পবিত্র ঈদুল জামাত অনুষ্ঠিত
ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি: পরমাণু চুক্তি না হলে ইরানে বোমা হামলা ও নিষেধাজ্ঞা
লোহাগাড়ায় দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত
বাধা সত্ত্বেও নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যাশা প্রধান উপদেষ্টার
ঈদের সকালেও নাড়ির টানে ছুটছে মানুষ
ঈদের দিন ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৬৪ ফিলিস্তিনি
দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস
টাঙ্গাইলে ঈদের মাঠে সংঘর্ষের শঙ্কায় ১৪৪ ধারা জারি
বছর ঘুরে এলো খুশির ঈদ, আজ দেশজুড়ে উদযাপন
যুক্তরাষ্ট্রে ৩ হাজারের বেশি ঈদ জামাত, প্রবাসীদের মাঝে উৎসবের আমেজ
মায়ের সঙ্গে ঈদ উদযাপনের ছবি শেয়ার করে যা বললেন তারেক রহমান
ময়মনসিংহে বাসের ধাক্কায় অটোরিকশার নারী-শিশুসহ নিহত ৪
ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান
ঈদের আগের দিন গাজীপুরে বন বিভাগের উচ্ছেদ অভিযান