বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৬ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

পর্ব-৩

যে তুমি টলেমির বোন, বধূ

রাত গাঢ় থেকে গাঢ়তর হচ্ছে। ফিলোপেতরের চোখে ঘুম নেই।
‘রাজ্ঞী ফিলোপেতর? আসতে পারি?‘ নপুংসক দিমিত্রিউস এসেছে। প্রথম যখন এক যুদ্ধবন্দী কিশোর হিসেবে এই দেশে তার আসা, তখনি তার অঙ্গচ্ছেদ করা হয়েছিল। আজ সে নিশ্চিত মেনে নিয়েছে মেয়েলী সাজ, প্রসাধন, আবরণ ও আভরণের জীবন। তবে গোটা প্রাসাদে দিমিত্রিউসের মত বিশ্বস্ত একজনও নেই।
‘চারপাশে কি অবস্থা দিমিত্রিউস?‘
‘অবস্থা খুবই গুরুতর, আশঙ্কাজনক।’
‘যেমন?‘

‘দেখুন- থিওস টলেমি ত্রয়োদশবর্ষীয় নাবালক মাত্র। আপনার বৈমাত্রেয় ভগ্নি আর্সিনোয়ে কিন্তা ওই ঘাঘু রাজনীতিক পোথেইনসের সঙ্গে মিলে আপনাকে ক্ষমতাচ্যূত করার ষড়যন্ত্র করছে। প্রজাদের তারা এই বলে ক্ষেপানোর চেষ্টা করছে যে আপনার অদক্ষতা বা দেশপ্রেমের অভাবেই দূর রোম থেকে সিজার তার সৈন্যবাহিনী নিয়ে আমাদের জলসীমায় ঢুকে পড়ে আলেক্সান্দ্রিয়ার উপকণ্ঠে অবস্থান নিয়েছেন। আপনি...আপনি বুঝতে পারছেন না যে আপনি কিন্তা ইতোমধ্যে অংশতঃ বন্দী হয়ে পড়ছেন!’
‘কি?‘
‘হ্যাঁ- আপনার প্রাসাদ ইতোমধ্যেই এই রাতের অন্ধকারে চারপাশ থেকে ঘেরাও করা হয়েছে। কাল সকাল নাগাদ আপনার স্বজনেরাই আপনাকে বন্দী করবে।’
‘কি বলছো এসব?‘
‘যা বলছি ঠিকই বলছি।’
‘তাহলে? বাঁচার উপায়?‘
‘এক কাজ করুন। আপনি সোজা সিজারের কাছে চলে গিয়ে তার আশ্রয় প্রার্থনা করুন ও তার সাহায্যকারীনী হবার প্রতিশ্রুতি দিন।’
‘এত রাতে কীভাবে যাব?‘
‘আমি একটা উপায় স্থির করেছি। এদিকে তাকিয়ে দেখুন-।’
‘কি? এটা?‘
‘এই গালিচাটি এনেছি। এই পুরনো গালিচার ভেতর আপনাকে আমরা মুড়ে যেন বা লেপ-তোশক-গালিচা সারাইয়ের লোক রাজপ্রাসাদ থেকে বের হচ্ছে, এভাবে কাঁধে বহন করে আজ মাঝ রাত না হতেই সিজারের সামনে নিয়ে গিয়ে হাজির করব। বাকিটা ভাগ্য।’
‘এই গালিচার ভেতরে?’
‘আপনি ছোটখাটো মানুষ-দিব্যি এঁটে যাবেন! নয়তো সকাল হতেই আপনার ভাই-বোনরাই আপনাকে বন্দী করে খুনও করে ফেলতে পারে।’
এক মুহূর্ত শুধু ভাবলেন ফিলোপেতর। তারপর হ্রস্ব দেহটি মুড়িয়ে দিতে দিলেন একটি জীর্ণ গালিচার ভেতরে যা সেই রাতেই কাঁধে বহন হয়ে বাতাসের বেগে ছুটে গেল আলেক্সান্দ্রিয়ার উপকণ্ঠে রোমক সম্রিাট গাইয়াস জুলিয়াস সিজারের পদতলে।

ভেতরে ভেতরে নিজের প্রতি ঘৃণা ও অপমানবোধে পুড়ে যাচ্ছিলেন ফিলিপেতর। নিজে তিনি গ্রিক বংশোদ্ভুত রাজকন্যা! জানেন নয়টি ভাষা। শুধু আজ দরিদ্র মিশরের রানী বলে, পুরুষজন্ম নয় বলে বালক ভ্রাতার পত্নী হয়ে, রণকুশল বলে গালিচার ভেতর প্রায় অর্দ্ধ-নগ্ন অবস্থায় কতিপয় বাহকের কাঁধে সওয়ার হয়ে ছুটছেন জুলিয়াস সীজারের পদতলে পথের গণিকার মত নিজেকে মেলে দেবেন বলে। কিন্তা এ ছাড়া উপায়ই বা কি? ঘাঘু বুড়ো পোথেইনস, তেরো বছরের নাবালক থিওস আর অর্দ্ধ-ভগ্নী আর্সিনোয়ে...মিশরকে রোমক বাহিনীর হাত থেকে দীর্ঘস্থায়ীভাবে বাঁচানোর বুদ্ধি এদের একজনেরও কি আছে? পোথেইনস চায় থিওসকে সামনে রেখে আড়ালে গোটা দেশ চালানোর ক্ষমতা, থিওস পারলে এখনো ঘুড়ি ওড়ায় কি মার্বেল খেলে আর আর্সিনোয়ে চায় বেরেনিস হত্যার শোধ! এইই তো? কাজেই বরঞ্চ এই জীর্ণ গালিচার ভেতরে বসেই দু‘চোখের অশ্রু মুছে ফেলা যাক, মুখে ফুটিয়ে তোলা যাক মোহিনী হাসি যখন কি না সিজারের পদপ্রান্তে গালিচাটি উন্মোচিত করে খোদ ফিলোপেতরকেই উন্মোচিত করা হচ্ছে...রোমক বহিরাগতদের কাছে নীল নদের এই দেশ যেন নিজেকেই নিজে মেলে দিচ্ছে ভোগ্যা হবার জন্য!

‘বারাঙ্গণা ফিলোপেতরের বিরুদ্ধে এই দেশপ্রেমিক যুদ্ধে সবাই সামিল হোন!‘ তেরো বছরের নাবালাক ভাই, স্বামী ও টলেমি থিওস সেনাবাহিনীর সবার সামনে।

‘ওই পতিতা ফিলোপেতর আমাকে আমার প্রাপ্য দেয়নি-সে আজ বহিরগাত সিজারের অঙ্কশায়িনী! তাকে থু তু! আসুন-সবাই সিজারের ঘাঁটি ঘেরাও করি- চলুন!‘ পোথেইনসের শেখানো বুলি তোতা পাখির মত মুখস্থ করা বালক থিওস জনতার দিকে হাত নাড়ে।
‘বারাঙ্গণা-বারাঙ্গণা-বারাঙ্গণা ফিলোপেতর!’

আলেকান্দ্রিয়ার উপকণ্ঠে খোদ সীজারের ঘাঁটি ঘেরাও করেছে অসংখ্য ক্ষুব্ধ মিশরীয়। কিন্তÍ ততক্ষণে কুশাগ্র বুদ্ধি সিজার ছুটে গেছেন নীল নদে। সূচনা হলো নীল নদের যুদ্ধ। ফিলোপেতর নিজেও আছেন জাহাজে সিজারের কামরায়। দুজনে মিলে দেখছেন নৌপথ যুদ্ধেও আয়োজন।
‘পতিতা-বেশ্যা ফিলোপেতর!‘
তেরো ছাড়িয়ে চোদ্দতে পা রাখতে যাচ্ছে থিওস। শৈশবে ফিলোপেতরের কোলে বসে কত গল্প শুনেছে সে! মুখোমুখি রণতরীতে দাঁড়িয়ে আছে সে বিশাল কামানটার পাশে।
‘হয় আজ মরবো নয় মারব!‘
‘কী করব আমরা?‘ সীজার প্রেমময় চোখে তাকান ফিলোপেতরের দিকে।
একটি দীর্ঘশ্বাস ভেতরে পাক খেলেও ঠোঁট কামড়ান ফিলোপেতর, স্মিত হেসে মাথা হেলান যার অর্থ হলো ওপক্ষ থেকে আসা তীরন্দাজির উত্তর এপক্ষ থেকেও দেওয়া হোক।

...দেখতে দেখতে মিশরীয় জাহাজের দিকে রোমক জাহাজ থেকে অসংখ্য তীর ছুটতে শুরু করল। বিপুল রোমক সাম্রাজ্যের এক প্রান্তিক, করদ রাষ্ট্র মিশরের বেশিক্ষণ সময় যুদ্ধ করার ক্ষমতা স্বাভাবিকভাবেই থাকল না। নাবালক থিওস অবশ্য অনেকটা সময় যুদ্ধ করেছিল। শেষ তীরটা তার বুকে বেঁধার আগ পর্যন্ত ফিলোপেতর ও তার রোমক প্রেমিক সীজারের মুখোমুখি রণতরীতে মিশরের পতাকার নিচে দাঁড়িয়েই সে যুদ্ধ করে গেছে।
‘বেশ্যা-আমি মিশরের জন্য লড়ে গেলাম!‘
সিজার-হ্যাঁ, সিজারের হাত থেকেই শেষ তীরটা ছুটে যাবার পর রণতরী থেকে উল্টে নীল নদে পড়ে যেতে যেতে চেঁচিয়ে উঠল থিওস।
‘কেন তুমি আমাকে তোমার সব দিলে না, ফিলোপেতর? কেন তুমি ঐ বিদেশির হলে...আমাকে ঠকালে কেন তুমি? শেষ যেদিন তোমার কক্ষে কথা হয়েছিল, কত অনুরোধ করলাম আমার সামনে পোশাক খুলতে...তুমি বললে তুমি বোন...আবার সবাই বলে তুমি আমার বধূও বটে...তুমি...তুমি...তুমি আমার হলে না কেন?‘
রোমক ও মিশরীয় সৈন্যদের রক্তে নীল নদ ভরে ওঠে।

১১.‘আমরা-আমরা জয়ী হয়েছি, প্রিয়তমা! তোমাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও ভালবাসা-এভাবে পাশে থেকে যুদ্ধে প্রেরণা দেবার জন্য- রোমক সাম্রাজ্যকে আরও শক্তিশালী করার জন্য!’
আবেগ ভরে সীজার ফিলোপেতরের কাঁধে-বাহুতে-কুঞ্চিত কেশে চুমু খেতে থাকেন। ফিলোপেতর মুখে তার মোহিনী হাসিটি ধরে রাখলেও অন্তরে যেন জানেন যে এক জীবনে কোনোদিনই তাঁর আর সুখী হওয়া হবে না। মিশরীয় রণতরী থেকে নীলনদে উল্টে পড়ে যাওয়া থিওসের রক্তাক্ত দেহ সারাজীবনই তার চোখে ভাসবে। ছোট্ট থিওস যে স্বামী হয়ে উঠতে চেয়েছিল। তবু সীজারের চুমুর প্রত্যুত্তরে তিনিও চুমু দেন সিজারকে-যেমনটা নীল নদের দেশ মিশরকে বছর শেষে নিয়মিত খাজনা দিতেই হয় প্রবল প্রতাপশালী রোমক সাম্রাজ্যকে।
‘এবার আমাকে কী করতে হবে, মহামান্য সম্রাট?’

‘আমরা নীল নদে একটি নৌযাত্রা করব। তুমি আমার পাশে থাকবে। মিশরের জনতা বুঝে যাবে তুমিই আমার তথা রোমক সাম্রাজ্যের নির্বাচিত রাণী-মিশরের জন্য। থিওস ও তোমার অর্দ্ধ-ভগ্নি ইতোমধ্যে নিহত। তোমার ক্ষমতা সুসংহত।’
‘আর?‘
‘হুম-দ্যাখো-দেশে আমার রোমক রাণী ক্যালপূর্ণিয়া আছেন। তাকে আমি কোথায় ফেলে দেব? তাকে কি আমি প্রাসাদ থেকে সরিয়ে পথে নামাতে পারি? আমি এখানে কিছু সময় থাকব। চাইলে তুমিও আমার সঙ্গে রোমে ভ্রমণে যেতে পার। তোমাকে পৃথক প্রাসাদে রাখা হবে। আর-এখানে-
‘এখানে?’
‘তোমার ছোট ভাই তো এখনো জীবিত, তাই না?’
‘হ্যাঁ-’
‘তাকেই আমি টলেমি ত্রয়োদশ হিসেবে নির্বাচিত করে দেব, তোমার সঙ্গে বিয়ে হবে তার।’
‘আর আমি-’
‘আমি?’
‘আমি যে প্রথমবারের মতো মা হতে যাচ্ছি? তোমার সন্তানের মা!’
‘আমি কৃতজ্ঞ। কি নাম রাখবে তার?’
‘সিজারিওন।’

‘অনেক ধন্যবাদ-কিন্তা যেহেতু ক্যালপূর্ণিয়া আজো মা হতে পারেনি, অন্য কোনো নারীর সঙ্গে পিতা হবার সংবাদ আমি রোমে কাউকেই জানাতে পারব না। তবে আমি রোমে ফেরার আগে তোমার দ্বিতীয় শিশু ভাই তথা ত্রয়োদশ টলেমির সঙ্গে তোমার বিবাহ অনুষ্ঠান সম্পন্ন করে যাব যাতে করে মিশরের পুরোহিত শ্রেণি, রাজপরিবারের যত অভিজাত ও মিশরের জনগণ আশ্বস্ত হয় যে টলেমিয় রাজবংশের সব রীতি-নীতি এখনো সুষ্ঠুভাবে পালিত হচ্ছে।’

আগের পর্ব পড়ুন...

যে তুমি টলেমির বোন, বধূ: পর্ব-১

যে তুমি টলেমির বোন, বধূ: পর্ব-২

 

 

 

Header Ad
Header Ad

ভারতে ১ম বর্ষের ছাত্রকে বিয়ে করলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা!

ভারতে ১ম বর্ষের ছাত্রকে বিয়ে করলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষেই কনের সাজে সেজে দাঁড়িয়ে ছিলেন অধ্যাপিকা। তিনি আবার বিভাগীয় প্রধান। আর তার সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দিলেন প্রথম বর্ষের এক ছাত্র। এ ঘটনা নিয়ে ক্লাসে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে শোরগোল পড়েছে।

পরে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। ঘটনাটি ঘটে বুধবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মৌলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের।

তবে প্রশ্ন উঠেছে, এটা কি সত্যি বিয়ে ছিল না কি অভিনয়? যদিও ‘বিয়ের’ ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর ওই অধ্যাপিকা তথা অ্যাপ্লায়েড সাইকোলজি বিভাগের প্রধানকে ছুটিতে পাঠিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দিলেন প্রথম বর্ষের এক ছাত্র। ছবি: সংগৃহীত

জানা যায়, গত মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে ছাত্র-শিক্ষিকার আলোড়ন তোলা ‘বিয়ের’ ঘটনা ঘটে, যার সাক্ষী ছিলেন ক্লাসের ছাত্র-ছাত্রীরা।

এদিকে ‘বিয়ের’ ভিডিও দেখে বিভাগীয় প্রধানকে তড়িঘড়ি ছুটিতে পাঠিয়ে দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রেরও খোঁজ মিলছে না। এ নিয়ে সহপাঠীরাও মুখ খুলছেন না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য তাপস চক্রবর্তী বলেন, ‘বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। শ্রেণিকক্ষে তাঁর এমন আচরণের ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। মৌখিকভাবে তিনি তার জবাবও দিয়েছেন। শিক্ষিকা দাবি করেছেন, একটি প্রজেক্টের জন্য শ্রেণিকক্ষে এমন “অভিনয়” করা হয়েছিল।’

কিন্তু মালাবদল, সিঁদুরদান প্রজেক্টের অংশ হলে এবং পুরো বিষয়টিই ‘অভিনয়’ হলে বিভাগীয় প্রধানকে কেন ছুটিতে পাঠানো হল সেই ব্যাখ্যা অবশ্য দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বাবশ

 

Header Ad
Header Ad

বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে আবারও সড়ক অবরোধ তিতুমীরের শিক্ষার্থীদের

সাত দফা দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজকে একটি স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিসহ সাত দফা দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছেন কলেজটির শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে কলেজের সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন তারা।

এর আগে গতকাল বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেল ৫টার পর থেকে কলেজটির মূল ফটকে সামনে ‘তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে আমরণ অনশন’ ব্যানারে অনশন শুরু করেন কলেজটির একদল শিক্ষার্থী। এ সময় তারা সাত দফা দাবি জানান।

আন্দোলনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম তিতুমীর ঐক্যের সাত দফা দাবিগুলো হলো-

১. তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ।

২. তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠন করে ২৪-২৫ সেশনের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করা।

৩. শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ নতুবা অনতিবিলম্বে শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসিক খরচ বহন।

৪. ২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ন্যূনতম দুটি বিষয় ল’ এবং জার্নালিজম সাবজেক্ট সংযোজন।

৫. এছাড়া একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যোগ্যতাসম্পন্ন পিএইচডিধারী শিক্ষক নিয়োগ।

৬. শিক্ষার গুণগতমান শতভাগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে আসন সংখ্যা সীমিতকরণ।

৭. আন্তর্জাতিক মানের গবেষণাগার বিনির্মাণের লক্ষ্যে জমি ও আর্থিক বরাদ্দ নিশ্চিতকরণ।

Header Ad
Header Ad

আ.লীগের ঘোষিত কর্মসূচির বিরুদ্ধে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল

আ.লীগের ঘোষিত কর্মসূচির বিরুদ্ধে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) আগামী পহেলা ফেব্রুয়ারি থেকে আওয়ামী লীগের ঘোষিত কর্মসূচির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করে শিক্ষার্থীরা। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাত সাড়ে দশটার এর দিকে মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে শুরু হয়ে বিজয়-২৪ হলের গেটে গিয়ে শেষ হয়।

এসময় শিক্ষার্থীরা 'আওয়ামী লীগের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না', 'ফ্যাসিবাদের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না', 'দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা', 'গোলামী না আজাদী, আজাদী আজাদী', 'একটা একটা লীগ ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর', 'দিয়েছি তো রক্ত, আরও দিব রক্ত', 'রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়' বলে স্লোগান দেয়।

এসময় ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মোজাম্মেল হোসাইন আবীর বলেন, 'প্রিয় সংগ্রামী ভাইয়েরা আপনারা দেখেছেন স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ আগামী ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে তারা কর্মসূচি দিয়েছে। তারা জানে না ৫ আগস্ট আমরা তাদের যেভাবে বিতাড়িত করেছি একইভাবে এবারও আমরা তাদের বিতাড়িত করব। সংগ্রামী ভাইয়েরা আপনাদের উদ্দেশ্য করে বলতে চাই যেখানে ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসর, দালালদের পাবেন সাথে সাথে তাদেরকে পুলিশ প্রশাসনের কাছে ধরিয়ে দিবেন। আমাদের নিরবতাকে তারা মনে করেছে আমাদের দুর্বলতা। তোমরা যদি রাজপথে নেমে আসো তাহলে তোমাদের আর ছাড় দেওয়া হবে না। আমরা বলতে চাই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম আন্দোলনের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ জ্বালিত হয়েছিল। ফেব্রুয়ারিতে তোমরা যদি মাঠে নামো তাহলে কুবিয়ানরাও মাঠে নেমে আসবে।'

উল্লেখ্য, গত ২৮ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ তাদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে ১ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অন্তবর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ভারতে ১ম বর্ষের ছাত্রকে বিয়ে করলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা!
বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে আবারও সড়ক অবরোধ তিতুমীরের শিক্ষার্থীদের
আ.লীগের ঘোষিত কর্মসূচির বিরুদ্ধে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল
পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন নাহিদ-আসিফ  
আহমদ আল শারাকে সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট ঘোষণা  
ফেসবুকে হাসনাত-রাব্বানীর তর্কযুদ্ধ : ‘দেশে এসে বিচার করেন, হেডম থাকলে আসেন’  
তৃতীয় দফায় মুক্তি পেতে যাচ্ছেন আরও ১১০ ফিলিস্তিনি  
মুক্তিযুদ্ধকে কটাক্ষ করে রাজনীতিতে কখনোই সফল হবে না : ছাত্রশিবিরকে রিজভী  
যুক্তরাষ্ট্রে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারের সঙ্গে সংঘর্ষে যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত  
জি কে শামীমের দুর্নীতি মামলার রায় আজ  
আজ জহির রায়হানের ৫৩তম অন্তর্ধান দিবস  
আজ সারাদেশে তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে  
বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার : ৩ জনের নাম বাদ দিয়ে নতুন তালিকা প্রকাশ  
ছাত্রশিবির এর দলীয় প্রকাশনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ ছাত্রদলের
মসজিদ থেকে জুতা চুরি, পিস্তল দেখিয়ে ভয় দেখানোর চেষ্টা, শেষমেশ ধরা যুবক
চুয়াডাঙ্গায় বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য ধ্বংস করেছে বিজিবি
ব্যক্তি স্বার্থে দলের স্বার্থ নষ্ট করলে ছাড় নয়: তারেক রহমান
তৃতীয় বিয়ে করছেন রাখি সাওয়ান্ত, পাত্র পাকিস্তানি পুলিশ কর্মকর্তা!
চার মাসেও সমাধান মেলেনি, ভবনে তালা দিল বাকৃবি শিক্ষার্থীরা
টাঙ্গাইলে ১৫ কোটি টাকা হাতিয়ে এনজিও উধাও, ভুক্তভোগীদের সংবাদ সম্মেলন