শনিবার, ৫ এপ্রিল ২০২৫ | ২২ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-৪

স্নানের শব্দ

এক বাড়িতে থেকেও শ্রাবণের সঙ্গে শবনমের দেখা হলো চারদিন পর। বাড়ির ভেতরেই লালনের আরশিনগর তৈরি হয়ে গেছে যেন, মেয়ে পড়শির মতোই বলল, ‘হাই, মা, তুমি এখনো বাসায়? অফিসে যাও নাই? আজকে তোমার কোনো জরুরি মিটিং নাই বুঝি?’
শবনম মেয়ের প্রশ্নের অন্তর্নিহিত অর্থ বুঝতে পারলেও গলায় একটু স্নেহ মিশিয়ে হাসিমুখে বলে,
‘মিটিং বিকালে, তাই একটু দেরিতে যাচ্ছি, ফিরতে দেরি হবে, তুই?’
‘আমি একটা ফ্রেন্ডের বাসায় যাব, পল্টনে..’
‘চল, তোকে নামিয়ে দিয়ে যাই।’
‘উহু, দরকার নাই, আমি ঠিকই রিকশা নিয়ে চলে যেতে পারব।’
শ্রাবণ তার এক রাশ লম্বা কালো চুল রাবার ব্যান্ড দিয়ে আটকে নিয়ে বলে।
‘সে তো পারবিই, তোর সঙ্গে একটু গল্প করতে করতে গেলাম না হয়, তুইও যা ব্যস্ত হয়ে গেছিস, আজকাল দেখাই হয় না তোর সঙ্গে..’

অনিচ্ছাতেও নাক কুঁচকে মায়ের সঙ্গে যেতে রাজি হয় শ্রাবণ। ছোটবেলায় পুতুলের মতো তুলতুলে যে মেয়েটা মার গলা জড়িয়ে ধরে জানতে চাইত সব বন্ধুদের মায়েরা স্কুলের সামনে বসে থাকে, ওর মা কেনো থাকে না? যে মিষ্টি নরম মেয়েটা ঠোঁট ফুলিয়ে ছলছল চোখে প্রায় সকালেই মায়ের শাড়ির আঁচল ধরে আবদার করত, ‘আজ অফিসে যেওনা মা’। সেই কোমল চঞ্চল শিশুটিকে আজকের শ্রাবণের মধ্যে খুঁজতে থাকে শবনম। ঠোঁটের কাছের সেই আহ্লাদি ভাবটা, চোখের তারার সেই বাদামী ঝিলিক, ছোট্ট লক্ষীমন্ত কপাল সব একই আছে শুধু সেই শ্রাবণ বেবী আর শিশু নেই, বড় এক তরুণী হয়ে গেছে। আমার সন্তান আর আমার নেই, তার এখন নিজস্ব ভাবনা আছে, তার আছে ভবিষ্যতের দিকে ছুটে যাওয়ার তাড়া, সে স্বাধীনচেতা, নিজস্ব তার মন ও মনন, তার একান্ত স্বপ্নে নেই অন্যের এমনকি তার বাবা মায়েরও প্রবেশের অধিকার।

গাড়িতে চড়েই কানের মধ্যে হেডফোন গুজে দেয় শ্রাবণ, চোখ বন্ধ করে মাথা দুলিয়ে কি যেন শোনে। শবনম মেয়ের কাধে হাত দিয়ে ডাকে, ‘কি শুনিস?’
‘কি আবার? গান। শুনবা? দাঁড়াও ..’ শ্রাবণ হেডফোনের একটা প্রান্ত শবনমের কানে গুজে দেয়। পিংক ফ্লয়েডের ‘সো ইউ থিংক ইউ ক্যান টেল, হেভেন ফরম হেল’ বাজতে থাকে।
শবনমের অনভ্যস্ত কানে কন্যার পছন্দের হাইবিটের ইংরেজি সংগীত পীড়নের মতোই শোনায়। তবু মেয়ের মন রাখতে ঘাড় কাৎ করে কানের মধ্যে হেডফোনের বাটন লাগিয়ে শ্রাবণের পছন্দের কয়েকটা গান চোখ বুজে শোনে সে। শেষমেষ আর না পেরে বলে,
‘পরে আবার শুনব নে রে মা, আমার কানে তোদের এই সব গানের চেয়ে এখনো রবীন্দ্র সংগীত বা হারানো দিনের গান ভাল লাগে।’
‘জেনারেশন গ্যাপ, মা’
শ্রাবণ একটু হেসে বলে। ‘তবে ওদের গানের লিরিকসগুলো খুব সুন্দর, ফিলোসফিক্যাল, একটু মনোযোগ দিয়ে শুনলে বুঝবা..’

শ্রাবণ আবার নিজের কানে হেডফোন গুজে নেয়। শবনম মেয়ের সঙ্গে গল্প করার জন্য বিষয় হাতড়ায়। কোনো প্রসঙ্গে কথা বললে শ্রাবণ ঝর্ণার মতো কলকল করে কথা বলবে ভেবে পায় না সে। কিছুদিন আগেও তাদের প্রসঙ্গের অভাব ছিল না, স্কুলের কোনো টিচার কিভাবে কথা বলে, কোন সাবজেক্ট পড়তে অসহ্য লাগে, কোনটা পানির মতো সোজা, কোন বান্ধবীর বয়ফ্রেন্ড হুমকি দিয়েছে তাকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার, কোন বান্ধবী বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার কথা ভাবছে এমন হাজার বিষয়ে অবিরাম কথা বলতো শ্রাবণ, বরং শবনমই সেসব কথার অর্ধেক শুনতো, অর্ধেক শুনতো না। এখন হয়েছে উল্টোটা, শবনমের মনে হয় তার কোনো কথাই হয়ত ঠিকমতো শোনে না শ্রাবণ। বেশি কিছু বললে বিরক্ত হয় বা চুপ করে থাকে।

কি নিয়ে কথা শুরু করা যায়, ফেমিনিজম? ক্যারিয়ার? ওয়ার্ল্ড পলিটিকস? মার্কসবাদ? কোনটা এই মুহূর্তে ওর পছন্দের বিষয়? আমার মা কি আমার সঙ্গে কথা বলার সময় এই সমস্যায় পড়ত, ভাবতে চেষ্টা করে শবনম। নিজের মায়ের সঙ্গে অনেক বিষয়েই মতের অমিল ছিল তার, মায়ের সরল গ্রামীণ বিচার বুদ্ধি আর অভিজ্ঞতার সঙ্গে শবনমের চিন্তাভাবনার বিরোধ লেগেই থাকত কিন্তু সেই কারণে স্বাভাবিক কথাবার্তা চালাতে কখনো অসুবিধায় পড়তে হয়নি। শ্রাবণ হয়েছে কিছুটা গম্ভীর আর চাপা স্বভাবের, ওর মনের তল খুঁজে পেতে তাই প্রায়ই হাবুডুবু খায় শবনম।
‘আচ্ছা, মা, আজকে সারাদিন তুমি অফিসে কি কাজ করবা?’

শ্রাবণ হঠাৎ কান থেকে হেডফোন খুলে একটু ঘুরে বসে মায়ের মুখোমুখি হয়ে জিজ্ঞেস করে।
‘প্রতিদিন যা করি, মিটিং, ফাইল দেখা, সিদ্ধান্ত দেওয়া, জুনিয়রদের কাজের তদারকি করা এসব। তুই কি করবি?’ পাল্টা জানতে চায় শবনম।
‘এই তো মিরাকে নিয়ে একটু ঘুরতে বের হব, ও খুব আপসেট, জানো, আংকেল আন্টি ওকে বিয়ে দেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে, কিন্তু ও এখন বিয়ে করতে চায় না।’
‘কেনরে, ওর পছন্দের কেউ আছে?’
‘মা, সেই জন্য না। মিরা আসলে এখনই বিয়ে করার জন্য রেডি না। অন্তত পড়াশোনাটা তো কমপ্লিট করবে। থ্যাংকস গড, তোমরা এখনো এতো আমার বিয়ে টিয়ে নিয়ে ভাবো না। শুধু দাদিই মাঝে মাঝে বিয়ের কথা বলে।’
দাদির গলা নকল করে শ্রাবণ বলে, ‘নাতিন জামাই দেখতাম চাই, কয়দিন বাঁচি জানি না। মইরা গেলে আফসুস থাকবো। তুই তাড়াতাড়ি ভাল দেইখ্যা একটা বিয়া বস।’
‘তোর পছন্দের কেউ আছে নাকি? ছেলেবন্ধু?’ শবনম মুচকি হেসে জিজ্ঞেস করেই ফেলে।
‘ছেলে বন্ধু আছে, কিন্তু স্পেশাল কেউ নাই মা। কাউকে পছন্দ হয় না, মনে হয় হবেও না, চিন্তা ভাবনা রুচি বিশ্বাস আদর্শ কিছুতে মেলে না। কেমন সব বলদ বলদ লাগে সব গুলোকে, আর ওরা এমন সব বিষয় নিয়ে তর্ক করে, যা নিয়ে আমার কথা বলতেও ইচ্ছে করে না। উফ, খুব ইমম্যাচিওর মনে হয়! আমি বাপু বিয়ে টিয়ে করব না, ঠিক করে ফেলেছি, নিজের মত স্বাধীন জীবন যাপন করব, দেশ-বিদেশ ঘুরে বেড়াব, বুড়ো হলে একটা ওল্ড হোমে চলে যাব। কেমন হবে বল!’

শ্রাবণ তার স্বভাবসুলভ গাম্ভীর্য ভেঙে এক টানা নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা বলে। শবনম মেয়ের কথায় সায় দিয়ে সামনের রাস্তায় চোখ রেখে বলে, ‘ভালই তো! বেশ রোমান্টিক প্রথা বিরোধী জীবন। মনমানসিকতায় মিল না হলে কোনো সম্পর্কে না জড়ানোই ভাল। বিয়ে করতেই হবে, কে বলেছে..’
শ্রাবণ হেসে বলে, ‘অরুন্ধতি রায়ের মা নাকি তার মেয়েকে বলেছিলেন, আর যাই করো না কেন, কখনো বিয়ে করো না। হা হা হা, তুমিও সেই পথ ধরলা নাকি?’
শবনমও মেয়ের সঙ্গে হাসে, বলে, ‘আমি অতটা শক্ত করে কিছু বলছি না, যে বিয়ে করোই না, আমি বলতে চাচ্ছি মন-পছন্দ মানুষ না পেলে খামোকা বিয়ের দরকার কি? একটা অসুস্থ সম্পর্ক বয়ে বেড়ানোর মানে নেই। তবে পরে যদি এমন কাউকে খুঁজে পাস যাকে খুব ভাল লেগে গেল, তাহলে বিয়ে করতেও তো পারিস। আমি সেটাই বলছি।’
‘ও’।

কিছুক্ষণ দুজনেই চুপচাপ। শ্রাবণ একটু ভেবে বলে, ‘আচ্ছা, মা, বিয়ে না করলে তো বাংলাদেশে আবার বাচ্চা নেওয়া যায় না কিন্তু আমার আবার বাচ্চা খুব ভাল লাগে মা। আচ্ছা, দত্তক নিয়ে বাচ্চা পালা যাবে না? বাংলাদেশে তো অনেক বাচ্চারই বাবা মা থাকে না, সেরকম কাউকে দত্তক নিয়ে নেব..’
সামনের গাড়িটা হঠাৎ ব্রেক কষলে শবনমের গাড়িটাও একটা ঝাঁকুনি খায়, শ্রাবণের কথা শুনে মনে মনে সেরকম একটা ঝাঁকুনি অনুভব করে শবনম। বাংলাদেশের বাস্তবতায় অবিবাহিত একজন নারীর দত্তক সন্তান পালন সমাজ কিভাবে দেখবে, তা ভাবার চেষ্টা করে সে। মেয়ের দিকে তাকিয়ে বলে,
‘তুই সিরিয়াসলি এরকম ভাবছিস নাকি?’
‘হ্যাঁ, ইন্ডিয়ান একট্রেস সুস্মিতা সেনের মতো সিঙ্গেল মাদার হব।’

শ্রাবণ মিষ্টি করে হাসে। ‘বায়োলজিক্যাল মা হওয়া অনেক ঝক্কি। কিভাবে যে তুমি আমাকে জন্ম দিছ কে জানে? আমি তো আমার ইউটেরাসটাই ফেলে দিতে চাই, খামোকা শরীরে একটা বাড়তি অঙ্গ রাখার কি দরকার? মাসে মাসে ঝামেলা, ব্যাথা, অস্বস্তি আর কষ্ট সহ্য করা। আর আমি যখন বাচ্চা জন্ম দেব না বলেই ঠিক করেছি..আর এই বাজে নষ্ট পৃথিবীতে একটা বাচ্চাকে কেন আনব আমি? কি দরকার?’

শবনম বুঝতে পারে না, শ্রাবণ কি ওকে ঘাবড়ে দিতে চাইছে? মাকে অদ্ভুত সব কথা শুনিয়ে দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়ে মজা পাচ্ছে ? ও তো আর এখন বাচ্চা মেয়ে নয়, একুশ বছরের একটা তরুণীর মুখে এসব কি ধরনের কথা? শবনম যেন নিজের একমাত্র সন্তানকে পুরোপুরি চিনতে পারছে না। কেমন একটা অস্বস্তি হয়।
‘মা, ভয় পাচ্ছ নাকি?’ শ্রাবণের মুখে দুষ্ট হাসি। রাস্তায় এখন আর জ্যাম নেই। গাড়ি প্রায় পৌঁছে গেছে পল্টনের কাছাকাছি। শবনম মুখে শুকনো হাসি ধরে রেখে বলে, ‘নাহ, তুই ভয় দেখাতে চাইলেই আমি ভয় পাব নাকি?’
শ্রাবণ বলে, ‘তাইলে সার্জারির পারমিশন দিয়ে দিয়েছ? যে কোনোদিন করিয়ে ফেলব কিন্তু..’
‘কিন্তু‘ শ্রাবণ, আরও পরে, কখনো তো তোর বায়োলজিক্যলি মা হওয়ার ইচ্ছা জাগতে পারে। মনে হতে পারে পৃথিবীর কোটি কোটি নারী যে অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে গেছে সেই অভিজ্ঞতাটা নিজেও নেই। ইউটেরাস ফেলে দিলে তো সেই অপশানটা থাকে না।’
গাড়ি মিরাদের বাড়ির গলির সামনে পৌঁছে গেছে। গাড়ি থেকে নামতে নামতে শ্রাবণ দৃঢ় গলায় বলে,
‘ইচ্ছা হবে না।’
‘যদি তোর বরের ইচ্ছা হয়?’
‘বিয়েই তো করব না..আগেই বলেছি। আর আমার শরীর সিদ্ধান্ত আমার..’ শ্রাবণ চিৎকার করে বলে।

তারপর শবনমের উদ্দেশে ডান হাত নাড়িয়ে গলির ভেতর হনহন করে হাঁটতে থাকে, একবারও পেছনে ফিরে তাকায় না।

চলবে…

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>
স্নানের শব্দ: পর্ব-৩

স্নানের শব্দ: পর্ব-২

স্নানের শব্দ: পর্ব-১ 

আরএ/

Header Ad
Header Ad

রাতেই ঢাকাসহ ৭ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে

ছবি: সংগৃহীত

দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য জারি করা এক সতর্কবার্তায় আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, শনিবার (৫ এপ্রিল) বিকেল ৩টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত ঢাকাসহ সাতটি অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে।

আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, ফরিদপুর, ঢাকা, টাঙ্গাইল এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সেইসঙ্গে এসব অঞ্চলে বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনাও রয়েছে।

এ কারণে সংশ্লিষ্ট নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

অন্যদিকে, দেশের সাতটি জেলায় মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, খুলনা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী এবং রাঙ্গামাটি জেলার ওপর দিয়ে বইছে এই তাপপ্রবাহ এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবিরের দেওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে এবং আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে।

পাশাপাশি সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনার কারণে সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোর নদী পথ ব্যবহারকারীদের সতর্ক থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে। বজ্রপাতের সময় খোলা জায়গা এড়িয়ে চলতে এবং নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

Header Ad
Header Ad

মোদির প্রতিক্রিয়া শেখ হাসিনার ফেরত নিয়ে নেতিবাচক ছিল না: প্রেস সচিব

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এক বৈঠকে শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে মোদির প্রতিক্রিয়া নেতিবাচক ছিল না বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। গত শনিবার (৫ এপ্রিল) শফিকুল আলম তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ বিষয়ে একটি পোস্ট করেন।

শফিকুল আলম জানান, দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেন এবং তার কাজের ব্যাপারে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন। বৈঠকে শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতীয় সম্পর্ক নিয়ে মোদি বলেন, “আমরা তাকে আপনার প্রতি অশ্রদ্ধাপূর্ণ আচরণ করতে দেখেছি। তবে আমরা সবসময়ই আপনাকে শ্রদ্ধা ও সম্মান জানিয়েছি।”

এছাড়া, যখন অধ্যাপক ইউনূস শেখ হাসিনার দেশে ফেরত আসার বিষয়টি উত্থাপন করেন, তখন মোদির প্রতিক্রিয়া ছিল ইতিবাচক। শফিকুল আলম বলেন, “মোদি তার প্রতিক্রিয়ায় নেতিবাচক কিছু বলেননি। আমরা আশাবাদী যে একদিন শেখ হাসিনা ঢাকায় ফিরবেন এবং সেই মুহূর্তটি হবে শতাব্দীর সেরা বিচার।”

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অনুষ্ঠিত বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আধা ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা এই বৈঠকটি ছিল দুই সরকারের প্রধানদের মধ্যে প্রথম বৈঠক, যেটি অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর অনুষ্ঠিত হয়।

প্রেস সচিব আরও বলেন, “ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইউনূসকে নিশ্চিত করেছেন যে, ভারতের বাংলাদেশে সম্পর্ক কোনো দল বা ব্যক্তির সঙ্গে নয়, বরং বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে।” তিনি আরও বলেন, “সাম্প্রতিক সময়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেছেন, আমরা ভারতীয় সম্পর্ক চাই, তবে তা অবশ্যই ন্যায্যতা, সমতা এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে হতে হবে।”

এতে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে, ভারত বাংলাদেশে নতুন একটি সম্পর্কের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এগিয়ে যেতে চায়।

Header Ad
Header Ad

নওগাঁ হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতা ও সমন্বয়ের বিষয়ে অসোন্তোষ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

আকস্মিকভাবে নওগাঁ সদর হাসপাতাল, নওগাঁ মেডিকেল কলেজ ও সিভিল সার্জিন অফিস পরিদশন করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (স্বাস্থ্য সেবা) অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আবু জাফর। শনিবার (৫ এপ্রিল) সকাল ১০ টায় তিনি এই পরিদর্শন করেন।

হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ পরিদর্শন করে প্রতিষ্ঠান দুটির পরিচ্ছন্নতা ও সমন্বয়ের বিষয়ে অসোন্তোষ প্রকাশ করেন। এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন ও সমন্বয়ের মাধ্যমে জনগনকে সেবা প্রদানের নির্দেশ প্রদান করেন। পরে নওগাঁ সদর হাসপাতাল , নওগাঁ মেডিকেল কলেজ ও সিভিল সার্জন অফিসের উপস্থিত চিকিৎসকদের নিয়ে মত বিনিময় করেন।

মতবিনিময় সভায় নওগাঁয় চিকিৎসা সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে বিদ্যমান বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

এসময় বিএমএ এর সভাপতি ডাঃ মোঃ ইসকেন্দার হোসেন নওগাঁ মেডিকেল কলেজ নিয়ে বর্তমান সরকারের নেতিবাচক মনোভাব তুলে ধরেন। তিনি নওগাঁ জেলার জনসংখ্যা, জেলার ক্যাটাগরি এবং মেডিকেল কলেজের ফলাফল সন্তোসজনক উল্লেখ করেন। সেইসাথে সরকারের নেতিবাচক সিদ্ধান্ত বাতিল করে নওগাঁ মেডিকেল কলেজের বরাদ্দ ও দ্যূত স্থায়ী কাম্পাস প্রতিষ্ঠার দাবি জানান।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডাঃ মোঃ হাবিবুর রহমান, বিএমএ এর নওগাঁ সভাপতি ডাঃ মোঃ ইসকেন্দার হোসেন, সদর হাসপাতালের সুপারিনটেনডেন্ট ডাঃ মোঃ জাহিদ নজরুল, নওগাঁ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ মোঃ মুক্তার হোসেন, সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ আমিনুল ইসলাম সহ চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

রাতেই ঢাকাসহ ৭ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে
মোদির প্রতিক্রিয়া শেখ হাসিনার ফেরত নিয়ে নেতিবাচক ছিল না: প্রেস সচিব
নওগাঁ হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতা ও সমন্বয়ের বিষয়ে অসোন্তোষ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের অধীনে চাকরি, পদ ২৫৫
‘বিদেশি কিছু গণমাধ্যম অর্থ উপার্জনের উদ্দেশে বাংলাদেশকে নিয়ে মিথ্যা ও উদ্দেশ্যমূলক সংবাদ প্রচার করছে’
সারা দেশে ৩২৯ উপজেলায় হচ্ছে টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ: মহাপরিচালক
২৭৭ জনকে নিয়োগ দেবে পানি উন্নয়ন বোর্ড, এইচএসসি পাসেও আবেদন
ভূমিকম্পে মিয়ানমারে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৩৫৪
পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ডুবালো নিউজিল্যান্ড
স্বর্ণভর্তি ব্যাগ ফেরত দিয়ে সততার দৃষ্টান্ত গড়লেন অটোরিকশাচালক খায়রুল
ঈদের ছুটি শেষে বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু
ঈদের ছুটিতে ঢাকা ছেড়েছেন ১ কোটি ৭ লাখ সিম ব্যবহারকারী
যারা ফ্যাসিবাদ চাপিয়ে দিয়েছে, তারা রাজনীতি করার অধিকার রাখে না
লৌহজংয়ে কার্টনে পাওয়া মরদেহের টুকরোগুলো সাভারের সবুজ মোল্যার
মার্কিন শুল্ক নিয়ে সন্ধ্যায় জরুরি মিটিং ডেকেছেন প্রধান উপদেষ্টা
গৃহকর্মীকে মারধরের অভিযোগ: পরীমনি বললেন ‘আমার হাতে সব প্রমাণ আছে’
যমুনা সেতু মহাসড়কে র‍্যাবের টহল জোরদার (ভিডিও)
শরীয়তপুরে দু’পক্ষের তুমুল সংঘর্ষ, শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ
গরমে তৃষ্ণা মেটানোর বদলে ডিহাইড্রেটেড করবে যেসব পানীয়
পরকীয়া থেকে ফেরাতে না পেরে স্বামীকে হত্যা করলেন স্ত্রী