বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১১ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

পর্ব-১

যে তুমি টলেমির বোন, বধূ

মাত্র একুশটি বছরই তিনি রাজ্য শাসন করেছেন। তার পূর্বপুরুষ ও পূর্ব নারীরা গ্রিস থেকে আগত। প্রায় তিনশো বছর আগে নীল নদের এই দেশে এসে রাজ্য প্রতিষ্ঠার পর গ্রিক জন্মের গৌরববোধ থেকে যতই এদেশীয় নারীদের সঙ্গে মেলামেশা রোধে কঠোর আইন জারি করা হোক বা এমনকি রাজমুকুট ধরে রাখতে রাজ পরিবারে ভাই ও বোনের বিয়ের প্রথা চালু হোক, যেমনটা ইতিহাস জুড়েই দেখা দেয় যে বহিরাগতরা ভিন্ন ভূ-খণ্ডে এসে অনেক প্রজন্ম ধরে বাস করতে থাকলে একটা সময় রক্তের অবিমিশ্রতা আর ধরে রাখা যায় না।

মহারাজ টলেমি প্রথম সোতেরের বংশধর টলেমি দ্বাদশ ওলেতেসের কথাই ধরা যাক। তার কন্যা ফিলোপেতর কিন্তু আর দশটি গ্রিক মেয়ের মত দীর্ঘকায় নয়। বলতে গেলে খর্বকায়। বর্ণে ততটা শুভ্রাও নয়। চুল খানিকটা কোঁকড়া ও কালো, বর্ণ অনেকটাই তামাটে বা আরও সঠিকভাবে বললে প্রায় মসী বর্ণ ঘেঁষে। কিন্তু টলেমি রাজবংশে এই ফিলোপেতরই প্রথম রাজকন্যা যে মিশরীয় ভাষা শিখছে।

‘তুমি কেন এত কষ্ট করে এতগুলো ভাষা শিখছ, ফিলোপেতর?’ মহারাজা ওলেতেস কৌতূহলী হয়ে মেয়েকে জিজ্ঞাসা করেন।
‘আমার মনে হয় আজ এত এত প্রজন্ম ধরে আমরা এই দেশে বাস করছি। কিন্ত একটি দেশের মানুষের ভাষা না শিখলে বা জানলে বহিরাগতই থেকে যাওয়া হয়। আমরা কি শুধু শাসকই রয়ে যাব? এদেশের হব না কখনো? এদের ভাষাকে ভালবাসব না? জানব না? এ ছাড়া যত বেশি ভাষা জানা যায়, ততই নানা ভূ-খণ্ডের মানুষের হৃদয়ের উত্তাপ ও চিন্তার গতি-প্রকৃতি বোঝা যায়, যা একজন শাসকের জন্য খুবই কাজে লাগে।‘

মুগ্ধ বিষ্ময়ে ফিলোপেতরের দিকে তাকিয়ে থাকেন ওলেতেস। শৈশব থেকেই ফিলোপেতরের সবচেয়ে বেশি আগ্রহ নিত্য নতুন ভাষা শিক্ষায়। গণিত, জ্যোতির্বিদ্যা বা ভূগোল যে সে পছন্দ করে না, তা‘ নয়। তবে একদম কোলে-পিঠে চড়ার সময় থেকে ফিলোপেতর প্রাসাদের ইথিওপীয় দাসীর কাছ থেকে চট করে শিখে নিচ্ছে অসংখ্য ইথিওপীয় শব্দ, পার্সী মালীর কাছ থেকে জেনে নিচ্ছে পার্সী ভাষায় নানা ফুলের নানা নাম, গন্ধদ্রব্য বেচতে আসা আরবীয় বণিককে জিজ্ঞাসা করছে আরবি ভাষায় বিভিন্ন গন্ধদ্রব্যের প্রতিশব্দ; গ্রিক ও লাতিন ত‘ রাজকন্যা হিসেবে তাকে পড়তেই হয়, সিরীয় ঘোড়সহিসকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে জিজ্ঞাসা করছে ঘোড়াকে সিরীয় ভাষায় কি বলে, মিশরীয় পুরোহিতদের কাছ থেকে মিশরীয় আর আরামিক কবিতা সেই বালিকা বয়সেই সে শুনে শুনে পাখি পড়া করছে। আর একটু বড় হতেই ফিলোপেতরের বাবার কাছে একই দাবি বা জেদ তাকে বিভিন্ন ভাষা শেখানো হোক। ফিলোপেতরের বড় বোন কিন্তু দেখতে-শুনতে বিশুদ্ধ গ্রিক। যেমন দীর্ঘকায় তেমনি শুভ্রা। তবে সে সমরবিদ্যায় বেশি আগ্রহী। ঘোড়া ছোটাবে বা তলোয়ার চালাবে। ফিলোপেতর অশ্ব বা তরবারির চেয়ে পড়াশোনায় বেশি আগ্রহী। তা‘ দেখতে দেখতে নয়টা ভাষা অনর্গল পড়তে-লিখতে-বলতে শিখে গেল ফিলোপেতর। কেন জানি না বাদামী, কোঁকড়াচুলো ছোট মেয়ের প্রতিই মহারাজা ওলেতেসের সূক্ষ টানটি রাজপ্রাসাদের সবাই বুঝতে পারে। ওলেতেসের প্রায়ই মনে হয় তার আপাত: মিশরীয় দর্শনা এই মেয়েটি অসম্ভব প্রতিভার অধিকারী। নাহলে একটি পনেরো বছরের মেয়ে নয়টি ভাষায় অনর্গল কথা বলে স্বদেশ সহ আশপাশের নানা রাজ্যের মানুষের হৃদয় জয় করছে? ওলেতেস আরও লক্ষ্য করেছেন যে তার বিশুদ্ধ গ্রিক দর্শনা, সমরবিদ ও ঢ্যাঙ্গা লম্বা, ফ্যাকফেকে সাদা বড় কন্যার পাশে দাঁড়িয়েই শ্যামবর্ণা, হ্রস্বকায় ও কালো চুলের ফিলোপেতর যখন নয়টি ভাষায় কথা বলা শুরু করে, রাজসভায় আসা সেনাপতি-অমাত্য-মন্ত্রী ও নানা দেশ থেকে আগত পুরুষদের চেহারার অবস্থা তখন দেখার মত হয়! যেন কোনো যাদুকরী সামনে দাঁড়িয়ে তার যাদুদণ্ড দিয়ে ছড়িয়ে দিচ্ছে এক অনিঃশেষ মন্ত্রজাল! আর ছোট মেয়েও বাবার তেমন ন্যাওটা। বাবা রোমে যাবেন মিশরের বার্ষিক কর একটু কমানোর আবেদন করতে। ছোট মেয়ে হাজির হয়ে গেল,
‘আমি আপনার সঙ্গে চলি?’
‘বহু দূরের পথ, মা!’
‘কিছু হবে না। আমাকে আপনার সঙ্গী হতে অনুমতি ত‘ দিন?’
‘চলো তবে!’

মহারাজাও জানেন যে শুধু গ্রিক-লাতিনের আভিজাত্য নয়, দীর্ঘ অশ্ব-শিবিকা-উষ্ট্র-খচ্চরের পিঠে চলা ও আরও ক্লান্তিকর নৌপথে ফিলোপেতর শুধু নানা ভাষা বলে বলে খেটে খাওয়া মানুষ থেকে শুরু করে নানা দেশের ও নানা সমাজের মানুষের হৃদয় জয় করে ও তাদের নানা সাহায্য নিয়ে এই দুরূহ যাত্রা অনেকটাই সুগম করে আনবে। কিন্তু রোমে যেতে যেতে ও রোমক সিনেটরদের সঙ্গে বার্ষিক করের বোঝা কমানোর দেন-দরবার করতে করতেই যে বিশুদ্ধ গ্রিক দর্শনা, জ্যেষ্ঠ ও সমরবিদ কন্যা বেরেনিস যে নিজেই পিতার সিংহাসন নিজ অধিকারে পেতে একটি বিদ্রোহ আয়োজন করে ফেলবে, এটা ওলেতেস কল্পনাও করেননি।
‘তোমার বড় বোন বিদ্রোহ করেছে, শুনেছো?‘
‘শুনেছি।‘
‘এখন তাহলে আমরা কি করব?‘
‘রোমক সিনেটররা আপনার অনুরোধ শুনেছে। মিশরের বার্ষিক কর অনেকটাই কমাতে রাজি হয়েছে। খুব অল্প সময়ের সফরে আমরা তাদের কাছ থেকে অনেকটা হৃদ্যতা ও অন্তরঙ্গতা অর্জনে সমর্থ হয়েছি। তাদের অনুরোধ করলে কি তারা এ বিদ্রোহ দমনে আমাদের কিছু সেনা সাহায্য করবে না?’
‘তুমি বলছো কি ফিলোপেতর? এত অল্প সময়ের সফরে এত বড় অনুরোধ কি করা যায়?
‘আপনি দেখুনই না বলে!’
‘তাহলে তোমাকেই সেটা বলতে হবে। সত্যি বলতে...আমি যেন এখনি বৃদ্ধ হয়ে গেছি। এ ক‘দিন আমি শুধু তোমার সঙ্গে থেকেছি। সিনেটরদের সঙ্গে তোমার নয়টি ভাষার বাগ্মীতা দিয়ে, অসম্ভব কূটনৈতিক দক্ষতায় দেশের জন্য যা কিছু করার তুমিই ত‘ করলে। তবে কাল সকালে এই প্রস্তাবও তোমাকেই দিতে হবে।‘
‘আপনি নিশ্চিত থাকুন।‘

ওলেতেস পরিতৃপ্তির নিশ্বাস ছাড়েন। তার দুই পুত্র নিতান্তই ছোট আজো। বড় দুই মেয়েকেই তাই পুত্রের মত বড় করতে হয়েছে। বড়টি সমরবিদ্যার দিকে ঝুঁকলো ছোটটি ঝুঁকলো পাঠ ও কূটনীতিতে। তবে নৃপতি হিসেবে ওলেতেস জানেন রাজশাসনে সমরবিদ্যার চেয়েও পান্ডিত্য আর রাজনীতির জ্ঞানই বেশি কাজে দেয়। তলোয়ার চালাতে বেতনভোগী সৈনিক বা সেনাপতিরা তো থাকেই। দরকার পরিচালনার বুদ্ধি। সেটা তার ক্ষিপ্র অশ্বারোহিনী ও অসিচালিকা বড় মেয়ের চেয়ে নয়টি ভাষা জানা ছোট মেয়েরই যে ঢের ঢের বেশি তা বলাই বাহুল্য। কিন্তু বড় মেয়ে বিদ্রোহ ঘোষণা করলো কেন? অল্প বয়সেই ওদের মায়ের মৃত্যুর পর থেকে তামাটে বর্ণা আর হ্রস্বকায় বলে টলেমি রাজবংশের সবাই গ্রিক দর্শনা বড় মেয়েটিকে বেশি ভালবাসতো বলেই ছোট মেয়ের দিকে তিনি ঝুঁকে গেছিলেন? নাকি ফিলোপেতরের প্রবল মেধাও তার দৃষ্টি টেনেছিল বেশি? সেই সুপ্ত ক্রোধ থেকেই কি এত বড় কাণ্ড ঘটালো বড় মেয়ে?

‘মহামান্য রোমক সিনেট- আমি, মিশরের নৃপতি টলেমি দ্বাদশ ওলেতেসের কন্যা ক্লিওপেট্রা সপ্তম ফিলোপেতর, মিশরের বার্ষিক কর হ্রাস করার আবেদনের প্রস্তাব গ্রহণ করায় মিশরের নৃপতি ও জনগণের পক্ষ থেকে আপনাদের কাছে আমাদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও অভিবাদন জ্ঞাপন করছি। তবে, কর হ্রাসের আনন্দে উদ্ভাসিত হয়ে ওঠার মুহূর্তেই এক ঘোর দু:সংবাদ আমার পিতা নৃপতি টলেমি দ্বাদশ ওলেতেস ও আমার হৃদয়কে শঙ্কাকুল করে তুলেছে এবং এ বিষয়ে আমি আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি!’
পঞ্চদশী ফিলোপেতর, এক মাথা সাপের ফনার মত কোঁকড়া চুল আর বাদামী বর্ণা ও হ্রস্বকায় মেয়েটি, রোমক সিনেটের অসংখ্য বর্ষীয়ান পুরুষের সামনে মাথা নিচু করে অভিবাদনের ভঙ্গিতে দু‘হাত ছাড়িয়ে মেলে দেয় তার ন‘টি ভাষার সম্ভার। রিনরিনে সুরেলা কণ্ঠস্বরে লাতিন থেকে গ্রিক, গ্রিক থেকে হিব্রু বা আরামিক, কখনো সিরীয় বা আরবি নানা রূপক-প্রবচন-উপমা-অলঙ্কারে সমৃদ্ধ তার নাতিদীর্ঘ অথচ হৃদয় জয় করা বক্তব্যে তাক লেগে যায় পক্ককেশ রোমক সিনেটরদের।
‘ওলেতেস তো দেখতে বিশুদ্ধ গ্রিক। তবে শুনেছি মিশরীয় রক্ত আছে এমন নারী বিয়ে করেছে ওদের বংশের কেউ কেউ। গত কয়েক প্রজন্ম ধরেই। সন্তান-সন্ততিরা তাই কেউ শুভ্র ও দীর্ঘকায়, কেউ কেউ স্থানীয় চেহারা পেয়েছে। কিন্ত এই মেয়েটি...বাদামী হোক আর হ্রস্ব হোক...এর জ্ঞান ও পান্ডিত্যের পাশে গ্রিক-রোমক নারী কেন, অনেক পুরুষও দাঁড়াতে পারবে না!’

‘তেমনটাই মনে হচ্ছে। এখনো দেহ পূর্ণ নারীর মত পরিপুষ্ট হয়নি- বলতে গেলে এখনো প্রায় নাবালিকা। তাতেই এই? এই মেয়ে বড় হলে কি হবে ভাবতেই ত্রাহি ত্রাহি লাগছে!’

মুগ্ধ রোমক সিনেটররা এ ওর সঙ্গে ফিসফাস করতে থাকেন।
‘হুম- ওর বাবা তো কিছুই করল না। কর হ্রাস করার আবেদন, যুক্তি পেশ, অনুরোধ-অনুনয় তো সব এই কিশোরীই করল। আহা, পিতৃপ্রাণ মেয়ে! ওর বড় বোন বিদ্রোহ করেছে? আপন পিতার বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলেছে? খুব খারাপ কথা!’
‘ভাইয়েরা এখনো ছোট ছোট। শিশু।’
‘তাহলে তো সেনা সাহায্য করাই উচিত। ফিলোপেতরের মোহিনী বক্তৃতা যে স্বর্গের দেবতারাও উপেক্ষা করতে পারবেন না!’
‘হা-হা- ঠিক বলেছো। প্রথম দর্শনে মনে হবে আদৌ সুন্দরী না। কেমন কালো রং, কালো চুল আর ছোটখাটো! কিন্তু যেই না কথা বলতে শুরু করে, অমনি ঘোর ধরে যায়!’
‘এ মেয়ে বড় হলে কি হবে?’
‘চলো-সেটা ভাবতে ভাবতেই রোম ওদের সেনা সাহায্য করুক।’

নীল নদের দুই তীরের মানুষই জানে যে নৃপতি ওলেতেস নন, তার পঞ্চদশ বর্ষীয়া দ্বিতীয়া কন্যা ফিলোপেতরই শুধু রোম থেকে মিশরের বার্ষিক কর কমিয়েই আনেনি, জ্যেষ্ঠ ভগ্নীর বিদ্রোহ দমন করতে পিতার পক্ষে বিশাল রোমক সেনাবাহিনীও নয়টি ভাষার বাগ্মীতা ও ক্ষুরধার যুক্তি ও কূটনৈতিক চাতুরি দিয়ে অর্জন করে এনেছে। সেটা সেই ৫৫ অব্দের কথা। বেরেনিস নিহত হলো বিদ্রোহ দমনের যুদ্ধে। বোঝা গেল যে দৈহিক শক্তির চেয়েও রাজনীতি আর চাতুরিই সবসময় জয়ী হয়। যেমনটা জিতে গেল- ওলেতেস অথবা ফিলোপেতর? কিন্তু বড় মেয়েকে হত্যার পর নৃপতি ওলেতেসও কেমন অবসাদে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লেন আর দ্রুতই বুড়িয়ে যেতে লাগলেন। মাত্র চার বছরের মাথায় যম তার শিয়রে এসে বসলেন।
‘ফিলোপেতর’
‘বলুন মহারাজ!’
‘আমি সম্ভবত: বেশি দিন আর বাঁচব না। বেরেনিস নিহত। তোমাকেই রাজ্য শাসন করতে হবে। কিন্তু তুমি জানো যে রাজ পুরোহিতেরা একশো ভাগ নারী শাসক পছন্দ করেন না। সেজন্যই হোক বা আমাদের এই টলেমি রাজবংশ রক্তের বিশুদ্ধতার জন্যই হোক, ভাই ও বোনের বিয়ের যে রীতি প্রচলন করে গেছেন...তোমার মা-ও আমার বোন ছিলেন! এই বংশে প্রত্যেক ভাই বা রাজাই হচ্ছে টলেমি আর প্রত্যেক বোন বা রানীই হচ্ছে ক্লিওপেট্রা। এটাই আমাদের বংশীয় উপাধি।‘
‘সে তো জানিই, পিতা! তবু এত কড়াকড়ি করেও একশো ভাগ গ্রিক বিশুদ্ধতা কি রক্ষা করা গেছে? আমি নিজেই কি দেখতে অনেকটা এদেশীয়দের মত নই?’
‘তিনশো বছর ভিন্ন এক ভূ-খণ্ডে বাস করলে রক্তের বিশুদ্ধতা রক্ষা করা যায় না। এই টলেমি রাজ বংশে বারোটি ভাই-বোন বিয়ের পরেও মিশরীয় রক্ত ঢুকে গেছে। আসলে একদম সূচনালগ্নে আমাদের পূর্বপুরুষেরা এসে স্থানীয় নারীদের সঙ্গে সম্পর্ক হলে সন্তান-সন্ততি যে আর গ্রিকদের মত হবে না, সেটা বুঝতে পারেননি। দেখতে দেখতে যখন বোঝা গেল যে রক্তের বিশুদ্ধতা আর রক্ষা করা যাচ্ছে না, তখন নিয়ম-কানুন কঠোর করা হলো ঠিকই, ভাই-বোন বিয়েও চালু হলো...তবে ততদিনেই মিশ্রণ অনেকটাই যা হবার হয়ে গেছে। যে কথা বলছিলাম...!’
‘বলুন?’
‘তোমার মা আমার বোন হলেও মাত্র এক বছরের ছোট ছিলেন। আমার পিতামহ বিয়ে করেছিলেন তার দু‘বছরের বড় বোন বা ক্লিওপেট্রাকে। মোট কথা, সব পাশাপাশি বয়সের বলে দাম্পত্যে বাধা হয়নি কিন্তু...আমি জানি...রাজশাসন ধরে রাখার জন্য তোমাকে বিয়ে করতে হবে তোমার পরের ভাই থিওস ফিলোপেতর দ্বিতীয়কে, যার বয়স মাত্র দশ। তার পরের ভাইটি আরো ছোট। আমি জানি যে উনিশ বছরের তরুণীর সঙ্গে দশ বছরের বালকের দাম্পত্য খুব সুখকর নয়। কিন্তু রাজ্যের স্বার্থে, সিংহাসনের স্বার্থে আর প্রজাশাসনের স্বার্থে...’
‘আমি আপনার নির্দেশ বুঝতে পারছি পিতা...কোন সমস্যা হবে না...যত দিন বেঁচে আছেন, আপনি তো রাজা আছেনই আমাদের সবার মাথার উপর! তারপর রাজ পুরোহিতদের নির্দেশে আমার যা যা করণীয়, সবই আমি পালন করব। অক্ষরে অক্ষরে।‘

‘রাজকুমারী ফিলোপেতর!’ মেমফিসের মন্দিরের প্রধান পুরোহিত স্বয়ং এসে রাজসভায় এসে ফিলোপেতরের সামনে দাঁড়ান।
‘আজ্ঞা করুন, প্রধান পুরোহিত!’
‘নৃপতি ওলেতেসের মৃত্যুর পর তার যাবতীয় শেষকৃত্য সুষ্ঠুভাবে পালিত হয়েছে। এই রাজ্যের নতুন শাসক হিসেবে, দেশবাসী বা প্রজামণ্ডলী আপনার ভ্রাতা টলেমি থিওস ফিলোপেতর দ্বিতীয় ও আপনার শুভ বিবাহ অনুষ্ঠানের জন্য উন্মুখ হয়ে আছে।‘
‘আমার অমত নেই। রাজ্য ও প্রজামন্ডলীর মঙ্গলার্থে আমার করণীয় সবকিছুই আমি মেনে চলবো।‘
‘মিশর ও তার মানুষের জন্য আপনার প্রগাঢ় প্রেমের কথা কারো অবিদিত নয়, রাজকুমারী! আমি তবে পাঁজি-পুথি দেখে শুভ দিন-ক্ষণ স্থির করি?’
‘করুন।‘
‘জয় যুবরাজ ও যুবরাণী টলেমি থিওস ফিলোপেতর দ্বিতীয়, ক্লিওপেট্রা সপ্তম ফিলোপেতরের জয়!’
প্রধান পুরোহিত গলা তুলতেই সভায় উপস্থিত অন্য পুরোহিত, মন্ত্রী-সেনাপতি-অমাত্যবর্গ সবাই গলা তুললেও ফিলোপেতরের জন্য মৃদু অস্বস্তিও শুরু হয় অনেকের।
‘টলেমি-ক্লিওপেট্রা বা ভাই-বোন বিয়ে এই রাজবংশে নতুন কিছু নয়। দুই/তিন বছরের ছোট বোন বা এক/দুই বছরের ছোট ভাই হলে সমস্যা না। দু‘জনেই যৌবনে পৌঁছালে ওই সামান্য ব্যবধানে দাম্পত্য বা সন্তান জন্মদানে কোন সমস্যা হয় না। কিন্তু এই দশ বছরের বালক এই উনিশের যুবতীর চাওয়া-পাওয়া কি করে মেটাবে? এমন সব মুহূর্তেই রাজপ্রাসাদে দেখা দেয় সমস্যা, গুপ্ত প্রণয় ও ব্যভিচার চরমে ওঠে। এমনকি রাজনারীদের সঙ্গে কোন সুদর্শন, সুঠাম ক্রীতদাসের প্রণয়ও তখন আর অসম্ভব থাকে না।‘
‘যাক- রাজকুমারী ফিলোপেতর বরাবরই বুদ্ধিমতী, বিবেচক। দেশের স্বার্থই তার বরাবরের প্রাধান্য। আর সারাদিন তার যা ব্যস্ততা। ওই বালক স্বামী তো আর দেশ চালাবে না! দেশ চালাবেন ফিলোপেতরই। শুধু কিনা নারী একা কোন রাজ্যশাসন করতে পারে না- তেমনটা ধর্মে বা আইনে বিধান নেই। তাই বালক পতি ও ভ্রাতাকে সামনে রেখে তাঁকেই যা করার করতে হবে।‘
‘আহা-বিয়ের দিনে কেমন সাজবেন ফিলোপেতর? হোন শ্যামবর্ণা বা হ্রস্বকায়া, তিনি কথা বলতে শুরু করলে পুরুষেরা যে তার পায়ে সব গড়াগড়ি খেতে শুরু করে!’
‘শুনছি- তার বিয়ের সাজের প্রস্তুতি এখনি শুরু হয়ে গেছে!’

চলবে….

আরএ

Header Ad
Header Ad

ইয়েমেনের বিমানবন্দর-বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ইসরায়েলি বিমান হামলা  

ইয়েমেনের রাজধানী সানার বিমানবন্দর, সেনাবাহিনীর ঘাঁটি ও অন্য একটি শহরের বিদ্যুৎ কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। সানা ছাড়াও দেশটির বন্দরনগরী হুদাইদাহতেও বিমান হামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুথিদের ও ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবরে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি পরিচালিত আল-মাসিরাহ টেলিভিশন চ্যানেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সানা বিমানবন্দর ও এর পার্শ্ববর্তী আল-দাইলামি সেনা ঘাঁটি এবং হুদাইদাহর একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে লক্ষ্যবস্তু করেছে ইহুদিবাদী ইসরায়েল। ইসরায়েলি এই হামলার জবাব দেওয়ার হুমকি দিয়েছে হুথি বিদ্রোহীরা।

ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি বলেছে, রাজধানী সানা ও হুদাইদাহ শহরে হামলার ঘটনাকে ‘‘ইসরায়েলি আগ্রাসন’’ বলে অভিহিত করেছে আল-মাসিরাহ টেলিভিশন। এই হামলার বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি ইসরায়েল।

প্রত্যক্ষদর্শী ও হুথি বিদ্রোহীরা বলেছেন, রাজধানী সানার একটি বিমানবন্দর ও সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। এছাড়া পশ্চিমাঞ্চলীয় বন্দরনগরী হুদাইদাহর একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রেও হামলা করা হয়েছে।

তবে ইসরায়েলি হামলায় ইয়েমেনে কোনও হতাহত কিংবা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কি না, তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি। কয়েকদিন আগে ইসরায়েলি ভূখণ্ডের বিভিন্ন স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। এরপর থেকেই ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযানের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে।

গত বছরের অক্টোবরে শুরু হওয়া গাজা যুদ্ধের প্রথম মাস থেকেই ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে আসছে ইরান-সমর্থিত ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। গত সপ্তাহে হুথিদের চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলে এক ডজনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। প্রতিশোধ হিসেবে ইসরায়েলও হুথিদের বিরুদ্ধে দফায় দফায় হামলা করছে।

চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেছিলেন, হুথিদের বিরুদ্ধে ‘‘কঠোর আঘাত’’ হানার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এই গোষ্ঠীর শীর্ষ নেতৃত্বকে নির্মুল করা হবে বলে হুমকি দিয়েছেন তিনি।

Header Ad
Header Ad

সুপ্রিম কোর্টসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ

ছবি: সংগৃহীত

 

সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ, প্রধান বিচারপতির বাসভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, বিচারপতি ভবন, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের বাসভবন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন ভবন ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তা এবং অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ড. আজিজ আহমেদের সই করা একটি সার্কুলারে এ তথ্য জানানো হয়।

সার্কুলারে বলা হয়, উপর্যুক্ত বিষয়ে নির্দেশিত হয়ে জানানো যাচ্ছে যে, প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র বাংলাদেশ সচিবালয়ে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট দেশের বিচার অঙ্গনের সর্বোচ্চ স্থান। বাংলাদেশের মাননীয় প্রধান বিচারপতি মহোদয় এবং সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের মাননীয় বিচারপতি মহোদয়গণ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে বিচারকার্য পরিচালনা করে থাকেন। এ ছাড়া দেশের বহুল আলোচিত ও গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন মামলার নথিসহ কয়েক লাখ মামলার নথি অত্র কোর্টে রক্ষিত আছে।

আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে বিচারপ্রার্থী জনগণকে বিচারিকসেবা প্রদান করা এবং বিভিন্ন মামলার নথি সংরক্ষণের নিশ্চয়তা প্রদানের নিমিত্ত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট কম্পাউন্ড, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির বাসভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, বিচারপতি ভবন, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের মাননীয় বিচারপতি মহোদয়গণের বাসভবন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, অ্যাটর্নি জেনারেরের কার্যালয়, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন ভবন ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তা জোরদার করা অতীব জরুরি।

এ অবস্থায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট কম্পাউন্ড, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির বাসভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, বিচারপতি ভবন, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের মাননীয় বিচারপতি মহোদয়গণের বাসভবন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়, সু্প্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশন ভবন ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তা জোরদারকরণের নিমিত্ত জরুরি ভিত্তিতে পর্যাপ্তসংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েনপূর্বক সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ এ বিষয়ে আনুষঙ্গিক কার্য সম্পন্ন করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

Header Ad
Header Ad

তিব্বতে ‘বিশ্বের বৃহত্তম’ জলবিদ্যুৎ বাঁধ তৈরি করবে চীন  

ছবি: সংগৃহীত

তিব্বতে বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ বাঁধ নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে চীন। তিব্বত মালভূমির পূর্ব পাশে এই প্রকল্প শুরু হতে যাচ্ছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে নিম্নপ্রবাহে ভারত ও বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ইয়ারলুং জাংপো নদীর নিম্নপ্রবাহে এই বাঁধ তৈরি হবে বলে। চীনের পাওয়ার কনস্ট্রাকশন কর্পোরেশনের ২০২০ সালের হিসাব অনুযায়ী, এ প্রকল্প থেকে বার্ষিক ৩০ হাজার কোটি কিলোওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে।

বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ প্রকল্প চীনের মধ্যাঞ্চলীয় থ্রি গর্জেস বাঁধ। এই প্রকল্পের উৎপাদন ক্ষমতা বার্ষিক ৮ হাজার ৮২০ কিলোওয়াট-ঘণ্টা।

চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, এই প্রকল্পটি চীনের শূন্য কার্বন লক্ষ্য পূরণে বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে। আর প্রকৌশল সংশ্লিষ্ট শিল্পগুলোকে উজ্জীবিত করবে এবং তিব্বতে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র প্রসারিত হবে।

প্রকৌশলগত খরচসহ এই বাঁধ নির্মাণের সার্বিক ব্যয় থ্রি গর্জেস বাঁধ প্রকল্পকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। থ্রি গর্জেস বাঁধ প্রকল্পে ব্যয় হয়েছিল ৩ হাজার ৪৮৩ কোটি ডলার। এই প্রকল্পের কারণে বাস্তুচ্যুত ১৪ লাখ মানুষকে পুনর্বাসন করা হয়েছিল। ফলে এই প্রকল্পের মোট ব্যয় বাজেটের চারগুণের বেশি ছিল।

তিব্বতের প্রকল্পের কারণে কত মানুষ বাস্তুচ্যুত হবে আর এটি স্থানীয় আবাসনকে কতটা ক্ষতিগ্রস্ত করবে কর্তৃপক্ষ তার কোনো ইঙ্গিত দেয়নি। তবে চীনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তিব্বতে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো পরিবেশের ওপর বা নিম্নপ্রবাহে পানি সরবরাহের ক্ষেত্রে বড় ধরনের কোনো প্রভাব ফেলবে না।

চীন এমন দাবি করলেও ভারত ও বাংলাদেশ এ বাঁধ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এই প্রকল্পের সম্ভাব্য প্রভাবে স্থানীয় আবাসনের পাশাপাশি নিম্নপ্রবাহের নদীগুলোর পানি প্রবাহ ও গতিপথকেও প্রভাবিত করবে। এতে দুই দেশের লাখ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ইয়েমেনের বিমানবন্দর-বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ইসরায়েলি বিমান হামলা  
সুপ্রিম কোর্টসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
তিব্বতে ‘বিশ্বের বৃহত্তম’ জলবিদ্যুৎ বাঁধ তৈরি করবে চীন  
ফায়ার ফাইটার নয়ন এর বাড়ীতে শোকের মাতম চলছে
চট্টগ্রামের এক ইঞ্চি মাটিতে হাত দিলে কারও চোখ থাকবে না: ব্যারিস্টার ফুয়াদ  
সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার পথে নষ্ট জাহাজ, মাঝপথে আটকা ৭১ যাত্রী
তিতাসের ১৬ হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন
দর্শনা চেকপোস্টে ভারতীয় মদসহ এক ভুয়া পুলিশ আটক
আগুনে পুড়ল ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, যেখানে অফিস করবেন আসিফ মাহমুদ
অবৈধ বালু ঘাটে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান, পালিয়ে গেল বালুখেকোরা  
নসরুল হামিদের ৯৮ ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেন: দুদকের মামলা
ত্রিপুরা পল্লীতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চারজন গ্রেপ্তার
সচিবালয় কিভাবে আওয়ামী মুক্ত করতে হয় সেটা ছাত্র জনতা জানে: হাসনাত আব্দুল্লাহ
অবৈধ বসবাসকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ৩১ জানুয়ারির পর
সচিবালয়ের অগ্নিকাণ্ড তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের নতুন কমিটি
টাঙ্গাইলে ২৭ মামলার আসামিসহ ডাকাতচক্রের ৪ সদস্য গ্রেফতার  
তাবলিগ জামাতের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে সাদ অনুসারীদের অনুরোধ
দেশের অবস্থা ভালো না, শেখ হাসিনা আবারও আসবে: সোলায়মান সেলিম
রেলের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক হলেন মোঃ সুবক্তগীন
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের দাবি মির্জা ফখরুলের