সীতাকুণ্ড: দোজখ, দোজখ!!
সীতাকুণ্ড, রুদ্র আকাশ থেকে কেন জল ঝরাবার আদেশ দিলে না?
কথা ছিল লাল ও হরিৎ রঙ নিয়ে কাজ সেরে পিতা ফিরবেন
এশার নামাজ শুরু হওয়ার আগেই,
শিশুকন্যা আসন্ন আষাঢ়ের মেঘ আঁকবে,
দীঘিতে সাঁতার দেবে ডাহুক, এ-ও ইচ্ছে তার।
লাজুকতার মতো বউ বলেছিল,
জায়ফল না-ই হোক, না-ই হোক চিনিরগুড়া আতপের চাল,
লবঙ্গ-এলাচ এনো, সামান্য খয়েরিরঙা ঘি-ও,
মোরগ-পোলাও হবে।
কাল রাতে তৃতীয়ার চাঁদে রাঙা বাতায়ন থেকে
শাওয়াল মাসের সুরভিতে ঝুমকোলতা পেড়ে এনে পরিয়েছো আমার দু-কানে
মধুমাখা প্রতিদান তার।
কানী মনসার কানে কে দিয়েছে এই বার্তা, সে কোন্ পাষাণ!
সভ্যতার পায়ে ক্ষণে ক্ষণে দিতে হয়
আগ্নেয় খাজানা।গুরুদক্ষিণা, আর
গুরুতর আরো বহুকিছু
চন্দ্রনাথ বনবাতাসের সোদা গন্ধ নাকে লেগে
এ-পৃথিবী অনন্ত স্বপ্নাতুর মনে হয়েছিল
ফায়ারব্রিগেডকর্মী তুর্কী তরুণের!
মনে হয়েছিল কতো বর্ণিল,নাজুক, যেন ময়ূরপালক!
দোহানোর শেষে শান্ত গোদুগ্ধ মাটির নিরীহ পাত্রে:
সেই দেহ দগ্ধ হলো! মিথ্যা মিথ্যা, ঘোর মিথ্যা জানি।
আগুন, তুমি-ই মিথ্যা, পরার্থে যে দেয় সবখানি
সে-ই সত্য, সত্য সে-ই, অমৃতের পাত্র নিয়ে তাহাদের দিলাম সম্মানী!
জ্যৈষ্ঠের দহন আছে, নেই ছলাকলা ও চাতুরি।
দিনান্তের পর আছে ভোর ও সূর্যের হাতছানি।
আছে ফের সন্ধ্যামণির মৃদু উদয়ন।
সভ্যতানামীয় প্রতারক তবু অপলক,
কালপেচা।তাই এই অগ্নিদাহ মূর্তিমান নেমকহারামি।
কডে সীতাকুণ্ড, আর কডে জাহান্নাম!