শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | ৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

প্রবন্ধ / তুমিই চিনাবে সবে

আমরা পবিত্র রমজান মাসের শেষ পর্যায়ে আছি। আর দু'দিন বাদেই দেশের মানুষ ঈদ উৎসবে অংশগ্রহণ করবে। মুক্ত স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭২ সালে অক্টোবরে প্রথমবার পবিত্র রমজান মাসের প্রাক্কালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রদত্ত এক বাণীতে আত্মত্যাগ ও আত্মসংযমের মাধ্যমে দেশবাসীকে এ মাসের পবিত্রতা রক্ষার আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু তাঁর বাণীতে বলেন, ‘এই প্রথমবারের মত আমরা স্বাধীন বাংলাদেশে পবিত্র রমজান পালন করতে যাচ্ছি। জাতির প্রতি আমার আবেদন- ত্যাগ ও আত্মসংযমের মধ্য দিয়ে আমরা যেন এ মাসের পবিত্রতা এবং মর্যাদা রক্ষা করি। এই কৃচ্ছ্রসাধনার মাস যেন আমাদের জীবনে শান্তি, সমৃদ্ধি, সহিষ্ণুতা ও সহানুভূতি নিয়ে আসে’। (অধুনালুপ্ত দৈনিক বাংলা, ১০ অক্টোবর, ১৯৭২)

স্বাধীন বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনের পনের দিন পর দেশের প্রথম ঈদ উৎসব (ঈদুল আজহা) উদযাপন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু দেশবাসীকে ত্যাগের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
জাতির পিতা প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে যে বাণী দিয়েছিলেন তার পূর্ণ বিবরণ নিম্নরূপ:

‘বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এবারই জাতি প্রথমবারের মত ঈদুল আজহা উদযাপন করিতেছে। প্রিয় মাতৃভূমির মুক্তির জন্য যাঁরা জীবন বিসর্জন দিয়াছেন তাঁদের বিয়োগান্তের স্মৃতি আমাদের বুক ভরিয়া আছে। নয় মাসাধিককালব্যাপী দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বরতা ধরার ধুলায় সন্ত্রাসের বিভীষিকা সৃষ্টি করিয়াছে। পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে জনগণের প্রতি আমার আহ্বান- ত্যাগের আদর্শ লইয়া এই পবিত্র উৎসব উদযাপন করুন। বাংলাদেশের বীর জনগণ পবিত্র মাতৃভূমির মুক্তির জন্য চরম দুঃখ-কষ্ট বরণ ও রক্তদান করিয়াছে। মুক্তিযুদ্ধে যারা আত্মীয়-স্বজন হারাইয়াছেন, এদিনে তাঁদের প্রতি আমার সমবেদনার অন্ত নাই। আল্লাহর দরবারে আমার প্রার্থনা, হজরত ইব্রাহিমের মহান ত্যাগের নিদর্শন আমাদিগকে সোনার বাংলা পুনর্গঠনে উদ্বুদ্ধ করিবে’। (দৈনিক ইত্তেফাক, ২৬ জানুয়ারি, ১৯৭২)

বঙ্গবন্ধুর জন্মের সাথে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ইতিহাসের চিরন্তন সত্যে ভাস্মর। বঙ্গবন্ধুকে দিয়েই বিশ্বব্যাপী বাঙালির পরিচয়, বাংলাদেশের পরিচয়। বঙ্গবন্ধু, বাঙালি জাতি, বাংলা ভাষা ও বাংলাদশ একটি অভূতপূর্ব কিন্তু কঠিন সমীকরণ যার পেছনে আছে ত্রিশ লক্ষ মানুষের প্রাণদান।

১৩১৩ বঙ্গাব্দে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘তুমিই চেনাবে সবে’ পঙক্তিটি এই প্রবল সত্যের অভাবনীয় প্রতিফলন বলেই প্রবন্ধের শিরোনামে উদ্ধৃত হয়েছে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি হিসেবে।

ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ, ১৯৭১ তারিখে বঙ্গবন্ধু প্রদত্ত ঐন্দ্রজালিক যে ভাষণে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের কার্যত: স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম” উচ্চারণ করে (de facto declaration of our independence) সেই ভাষণই ৪৬ বৎসর পর ২০১৭ সালে ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্বস্মারক ঐতিহ্য তালিকায় সংযোজতি। মানবসভ্যতা এগিয়ে যাওয়ায় ক্ষেত্রে একটি উজ্জ্বল মাইলফলক হিসেবে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে বাঙালিকে দিকনির্দেশনা দিয়েছে যে ভাষণ, এখন সারা পৃথিবীর মানুষের নিকট নিরন্তর অনুপ্রেরণার উৎস সে ভাষণ।

নিজ জন্ম নিয়ে ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থে বঙ্গবন্ধু লিখেছেন, “আমার জন্ম হয় ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে। আমার ইউনিয়ন হল ফরিদপুর জেলার দক্ষিণ অঞ্চলের সর্বশেষ ইউনিয়ন। এই ইউনিয়নের পার্শেই মধুমতী নদী। মধুমতী খুলনা ও ফরিদপুর জেলাকে ভাগ করে রেখেছে।”

একাত্তরের সেই অগ্নিঝরা মার্চে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে বহু দেশি-বিদেশি সাংবাদিক সমবেত হয়েছিলেন ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে। ইতিপূর্বেই বৃটিশ গণমাধ্যম বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডিস্থ ৩২ নম্বর সড়কের বাসভবনটিকে লন্ডনের ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের সাথে তুলনা করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যে সারা পূর্ব পাকিস্তান এখন পরিচালিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর এই বাড়ি থেকে।

ঐদিন অর্থাৎ ১৭ই মার্চ ১৯৭১ তারিখে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের সেনাশাসক জেনারেল ইয়াহিয়া খানের সাথে দ্বিতীয় দফায় এক বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠক থেকে বের হলে বঙ্গবন্ধুকে কিছুটা গম্ভীর দেখাচ্ছিল। সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় বঙ্গবন্ধুর মুখে মৃদু হাসির ছটা দেখে একজন বিদেশি সাংবাদিক বলেন, “ইয়াহিয়া খানের সাথে আলোচনার গতিধারা সম্পর্কে এই হাসিটুকু তাৎপর্যবহ কি-না?” বঙ্গবন্ধু মৃদু হেসেই জবাব দিলেন, “আমি সর্ব অবস্থাতেই হাসেত পারি। এমনকি ‘জাহান্মামের আগুনে বসিয়া হাসি পুষ্পের হাসি।” তারপর সাংবাদিককে বঙ্গবন্ধু বললেন, “আপনিও তো হাসছেন।” কঠিন পরিস্থিতিতেও বঙ্গবন্ধু ধীরস্থির থেকে নিজ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সর্বদাই সাহস নিয়ে এগিয়ে গেছেন। রবীন্দ্র পঙক্তি ‘শান্ত তোমার ছন্দ’ বঙ্গবন্ধুর দিগন্তপ্রসারী দৃষ্টিভঙ্গীরই যথাযথ প্রতিচ্ছবি।

জনৈক বিদেশি সাংবাদিক একাত্তরে বঙ্গবন্ধুর ৫২তম জন্মদিনে প্রশ্ন করেছিলেন, “জন্মদিনের উৎসবের কোন অনুষ্ঠান আজ আপনার হয় নি? মোমবাতি জ্বালিয়ে জন্মদিনের কেক সাজানো হয় নি? আপনি একেক করে সেই মোমবাতি ফুঁ দিয়ে নিভিয়ে ফেলার পর শুভেচ্ছা জানিয়ে কেউ গান গেয়ে ওঠে নি?”

বঙ্গবন্ধু জবাবে বলেছিলেন, “জন্মদিনের উৎসব! আমি জন্মদিনে উৎসব পালন করিনা। এই দুখিনি বাংলায় আমার জন্মদিনই-বা কি আর মৃত্যুদিনই-বা কি? আপনারা বাংলাদেশের অবস্থা জানেন। এ দেশের জনগণের কাছে জন্মের আজ নেই কোন মহিমা। যখনই কারও ইচ্ছা হলো, আমাদের প্রাণ দিতে হয়। আমার আবার জন্মদিন কি? আমার জীবন নিবেদিত আমার জনগণের জন্য। আমি যে তাদেরই লোক।” (অধুনালুপ্ত দৈনিক পাকিস্তান, ১৮ মার্চ, ১৯৭১) জনগণের মঙ্গল ও মানুষের প্রতি সহমর্মিতায় জীবনভর-তৎপর ছিলেন বঙ্গবন্ধু। মানুষের প্রতি ভালবাসাই ছিল বঙ্গবন্ধুর জীবন দর্শনের মূল উপজীব্য।
বৃটিশ সাংবাদিক ডেভিড ফ্রস্টের প্রশ্নের উত্তরে বঙ্গবন্ধু বলেন যে তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় যোগ্যতা হচ্ছে তিনি মানুষকে ভালবাসেন আর সবচেয়ে দুর্বল দিক হচ্ছে তিনি মানুষকে বেশী ভালোবাসেন।

বঙ্গবন্ধু জীবনের স্বমূল্যায়ন করতে গিয়ে ভালবাসার বাইরে যেতে পারেননি। এই ছিলেন আমাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু।
"আমি জনগণের এবং জনগণ আমার। আমি বাংলার মাটিকে ভালবাসি। আমায় ভালবাসে বাংলার মাটি। বাংলা আমার। আমি বাংলার।" - এই আত্মপোলব্ধিই বঙ্গবন্ধুকে মাটির মানুষের কোমল হৃদয়ের এত কাছাকাছি এনে দিয়েছে। সাড়ে সাত কোটি মানুষ তাই প্রাণের নিবিড়তম স্পর্শে এই মুক্ত মহাপ্রাণকে অনুভব করে আপনজন হিসেবে। জাতি আজ অনাড়ম্বর পরিবেশে হৃদয়ের উষ্ণ উত্তাপে জাতির জনকের পঞ্চান্নতম জন্মদিন উদযাপন করবে। (অধুনালুপ্ত দৈনিক বাংলা, ১৭ মার্চ ১৯৭৪)

বঙ্গবন্ধুর জীবনে শেষ জন্মদিন ছিল ১৭ই মার্চ, ১৯৭৫। অধুনালুপ্ত দৈনিক বাংলা সেদিন এক নিবন্ধে লিখেছিল ১৯৫৪ সালের ঘটনা। বাংলাদেশ তখন জাগতে শুরু করেছিল গ্রামে, গঞ্জে, শহরে। সে সময় পল্টনে বঙ্গবন্ধুর বক্তৃতা শুনতে আসা একজন সাধারণ শ্রোতার উক্তি, "আমরা শেখ মুজিবের কথা বুঝি। কারণ, তিনি আমাদের ভাষায় কথা বলেন। আমরা তাঁর কথা শুনতে আসি। কারণ, এমন সহজে এত জোর দিয়ে আমাদের দুঃখের কথা আর কেউ বলতে পারেন না। আমরা তাঁকে ভালবাসি। তিনিও ভালবাসেন আমাদের। সুখে-দুঃখে আমরা তাঁর সাথে আছি। এবং থাকবো। কারণ তিনি আমাদের আপন মানুষ।"

মানবতাবোধ ও মানবিকতার শীর্ষ ধাপ হচ্ছে মানুষের প্রতি অন্তহীন ভালোবাসা। বঙ্গবন্ধু রচিত ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’, ‘কারাগারের রোজনামাচা’ ও ‘আমার দেখা নয়া চীন’ গ্রন্থত্রয়ের পাতায় পাতায় বঙ্গবন্ধুর মানবতাবোধের দৃষ্টান্ত দীপ্যমান হয়ে আছে।
মার্কিন চলচ্চিত্র নির্মাতা লিয়ার লেভিন-এর ভাষায়, “বঙ্গবন্ধুর নাম, ক্যারিশমা ও নেতৃত্ব ছিল প্রচণ্ড বিশ্বাসযোগ্য এক শক্তি। সেই শক্তিই একটি জাতিকে জাগিয়ে তুলেছিল। নিয়ে গিয়েছিল বহু কাঙ্খিত স্বাধীনতার পথে। সম্ভব হয়েছিল নতুন একটি দেশের মহাজন্ম উদযাপন করার।” (বঙ্গবন্ধু থেকে বিশ্ববন্ধু, এনআরবিসি ব্যাংক প্লানেট প্রকাশনী, পৃ: ৬৯৫)।
একাত্তরের পঁচিশে মার্চ ভয়াবহ রাতে যখন পাকিস্তানের বর্বর বাহিনী ঘুমন্ত ও নিরস্ত্র বাঙালির উপর গণহত্যা শুরু করে তখন ছাব্বিশে মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু নির্ভয়ে ও নিঃশঙ্ক চিত্তে বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক ও আইনগত স্বাধীনতা (de jure declaration of independence) ঘোষণা দেন। অসাধারণ দূরদৃষ্টি ও গভীর প্রজ্ঞার কারণে বঙ্গবন্ধু জীবনে সর্বদাই সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং নিয়মতান্ত্রিকভাবে এগিয়ে গেছেন।

পঁচাত্তরের পনেরই আগস্টেও ঘাতকদের গুলির সামনে বঙ্গবন্ধু মাথা উঁচু করে এসে দাঁড়ান ও আভিজাত্যের সাথে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেন। বাঙালির মুক্তিদাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব যে মরণজয়ী তা ঘাতকদের জানার কথা নয়। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দর্শন জাতিকে সর্বদাই পথনির্দেশনা দিবে। মুজিব মৃত্যুঞ্জয়ী ও চিরঞ্জীবী।

বঙ্গবন্ধুর জাদুকরী ও সম্মোহনী নেতৃত্বের ফলেই যে আমরা আজ স্বাধীন দেশের গর্বিত নাগরিক তার ইতিহাস পাকিস্তানের ঔপনিবেশিক আমলের চব্বিশ বৎসরের নির্যাতন ও বঞ্চনার ইতিহাস। পর্যায়ক্রমে বাঙালি জাতিকে কিভাবে স্বাধীনতার মূলমন্ত্রে দিক্ষীত করলেন বঙ্গবন্ধু তা আজ সারা পৃথিবীর কাছে এক বিশাল বিস্ময়। কিন্তু আমরা জানি এর পেছনে বঙ্গবন্ধুর জীবনের প্রতিটি সেকেণ্ডে কিভাবে কাজে লাগিয়েছেন। বলতে গেলে পাকিস্তানের চব্বিশ বছরই বঙ্গবন্ধু কারাগারেই ছিলেন। কারণ যখন কারাগারের বাইরে ছিলেন তখনও পাকিস্তানি গোয়েন্দাদের তীক্ষ্ম নজরদারিতে থাকতেন প্রতিটি মুহূর্ত। বঙ্গবন্ধু একবার নজিইে বলছেলিনে যে, "কারাগার আমার দ্বিতীয় বাসস্থান।” কি নিদারুণ সংকটের মাঝে বঙ্গবন্ধু নেতৃত্ব দিয়ে বাঙালি জাতিকে পাহাড়ের ন্যায় অটল ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন তা মানবমুক্তির আন্দোলনের দীপ্তিময় দৃষ্টান্ত।

শ্রীলংকার দু’বারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লক্ষণ কাদির গামার (১৯৩২-২০০৫) মতে, “দক্ষিণ এশিয়া গত কয়েক শতকে বিশ্বকে অনেক শিক্ষক, দার্শনিক, রাষ্ট্রনায়ক, রাজনৈতিক নেতা ও যোদ্ধা উপহার দিয়েছে। কিন্তু শেখ মুজিবুর রহমান সবকিছুকে ছাপিয়ে যান। তাঁর স্থান নির্ধারিত হয়ে আছে সর্বকালের সর্বোচ্চ আসনে। শেখ মুজিবুর রহমান রাজবংশের সন্তান নন, তিনি পাশ্চাত্যের বিলাসী উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেননি। তিনি ছিলেন এক নিভৃত পল্লীর মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম নেওয়া সাধারণ মানুষ।” (বঙ্গবন্ধুর জীবনই বাঙালি জাতির রাষ্ট্রবিজ্ঞান, আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, পৃ:২৪৪)
১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর দীর্ঘ প্রতিক্ষীত পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে অভূতপূর্ব বিজয়ের পর ১০ ডিসেম্বর ১৯৭০ লন্ডনের দ্য টাইমস পত্রিকা আওয়ামী লীগ প্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পূর্ব পাকিস্তানের ‘মুকুটহীন সম্রাট’ হিসেবে আখ্যায়িত করে। গার্ডিয়ান পত্রিকা এক সম্পাদীয় নিবন্ধে শেখ মুজিবকে নিরঙ্কুশ বিজয়ী ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আখ্যা দেয়।

বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা ১৯৭৪ সালের ৯ই জানুয়ারি লন্ডনের নিউ স্টেটসম্যান সাময়িকী উদ্ধৃত করে নিম্নোক্ত সংবাদ পরিবেশন করে যা পরদিন অর্থাৎ ১০ জানুয়ারি ১৯৭৪ তারিখের অধুনালুপ্ত দৈনিক বাংলা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। খবরে বলা হয় যে “সম্প্রতি লন্ডনের নিউ স্টেটসম্যান-এর এক নিবন্ধে বঙ্গবন্ধুকে বাংলাদেশের ‘শ্রেষ্ঠ সম্পদ’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে। নিবন্ধে বলা হয় যে, অতীতের চেয়ে-আজকের বাংলাদেশে মুজিবের নেতৃত্বের প্রয়োজন অনেক বেশি।” বঙ্গবন্ধুর প্রথম পাঁচসালা পরিকল্পনার ইতিবাচক দিক তুলে ধরে বাংলাদেশের দীর্ঘ ময়োদি সমৃদ্ধির আশা প্রকাশ করা হয় উক্ত নিবন্ধে।
গত ১৪ মার্চ, ২০২২ তারিখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমআইটি প্রেস থেকে ‘ইনোভেসন’ সাময়িকীতে প্রকাশিত তাঁর প্রবন্ধের সূত্র ধরে বলেন যে, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল যে এ দেশের মানুষ উন্নত সমৃদ্ধ জীবন পাবে, সুখে শান্তিতে বাস করবে। কিন্তু আরাধ্য কাজ শেষ করার আগেই তিনি ঘাতকদের হাতে সপরিবারে নিহত হন। তাঁর সেই অসমাপ্ত কাজ শেষ করাই আমার লক্ষ্য।” সাময়িকীতে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা রচিত ÔStriving to Realise the Ideals of My Father’ শীর্ষক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।

১৪১১ বঙ্গাব্দের প্রথম দিন অর্থাৎ ১লা বৈশাখ (২০০৪ সালের ১৪ এপ্রিল) ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং করপোরেশন বা বিবিসির বাংলা সার্ভিস সকালের অধিবেশনে বিশ্বের প্রায় ত্রিশ কোটি বাঙালির মাঝে পরিচালিত শ্রোতা জরিপের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ কর। জরিপ অনুযায়ী ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি’ হিসেবে বঙ্গবন্ধুর নাম ঘোষণা করে। শীর্ষ কুড়িজন বাঙালির তালিকা প্রণয়নে বিবিসি এ জরিপ পরিচালনা করে।
জরিপের ফলাফল ঘোষণার এ অধিবেশনে প্রয়াত সাংবাদিক আতাউস সামাদ বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে বলেন, “উনি নির্বাচনি যে প্রচারগুলো করেছেন তার অনেকগুলো জায়গায় আমি তাঁর সংগে গিয়েছি। উনি সবখানেই ছয়-দফার কথা বলতেন এবং ছয় দফা না হলে একটি আঙুল তুলে বলতেন আমার দাবি ‘এই’ অর্থাৎ দেশ স্বাধীন করতে হবে।” জনাব সামাদ আরও বলেন, “১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রমনার রেসকোর্সে তিনি এমন একটি বক্তৃতা দিলেন যা সবার মন ছুঁয়ে-গেল, সবাই ওনার নির্দেশ মানতে লাগল এবং ওনার নামেই স্বাধীনতা যুদ্ধ চলেছে। নয় মাসের যুদ্ধের পর-পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরেছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান।”

স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর প্রথম জন্মদিনে ভারতের তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী রাষ্ট্রীয় সফরে বাংলাদেশে আসেন ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধুর সাথে একই মঞ্চ থেকে বিশাল জনসভায় ভাষণ দেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের প্রথম আজীবন সদস্য করা হয় বঙ্গবন্ধুকে ১৭ই মার্চ ১৯৭২ তারিখে। ঐ দিন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সফর উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর কর্ম ব্যস্ততার কারণে আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয় ১৯৭২ সালের ৬ই মে তারিখে। সেদিন বঙ্গবন্ধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ভাষণ দেন ও ডাকসুর আজীবন সদস্যপদ গ্রহণ করেন।

বঙ্গবন্ধু ১৭ই মার্চ ১৯৭২ তারিখে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সফর উপলক্ষে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেন। তবে বঙ্গবন্ধু এক বিবৃতিতে বলেন, ভবিষ্যতে ১৭ই মার্চ তাঁর জন্মদিন হিসেবে সরকারি ছুটি থাকবে না এবং দিনটি হবে ত্যাগ ও উৎসর্গের দিন।

এ দেশের সাড়ে সাত কোটি দুখী মানুষের কল্যানে বঙ্গবন্ধুর জীবন উৎসর্গীকৃত। এ উৎসর্গই হচ্ছে তাঁর সকল শক্তির উৎস। আর এ জন্যই এ দেশের সাধারণ মানুষের জীবন ও ভাগ্যের উপর তাঁর অপরিসীম প্রভাব। (দৈনিক ইত্তেফাক, ১৭ মার্চ ১৯৭৩) ঈদসহ বাঙালি জাতির সকল উৎসব আয়োজন ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আমরা সকলে জাতির পিতার দিকনির্দেশনা, আত্মত্যাগের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে অংশগ্রহণ করব এটিই হোক আমাদের ঈদের দিনের প্রত্যয় ও প্রত্যাশা।

 

লেখক: সাবেক ভিসি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

 

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে বিএসএফের হাতে তুলে দিল ভারতীয়রা

আজিনুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে ফের উত্তেজনা। সীমান্ত এলাকায় ভুট্টাক্ষেতে কাজ করার সময় ভারতের কয়েকজন নাগরিক এক বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে গিয়ে সোপর্দ করেছেন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের হাতে। এ ঘটনায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে পাটগ্রাম উপজেলার বাউড়া ইউনিয়নের জমগ্রাম ডাঙ্গার পার এলাকায় আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলার ৮০১-এর ১০/১১ নম্বর সাব-পিলারের কাছে এই ঘটনা ঘটে।

ধৃত যুবকের নাম আজিনুর রহমান (২৬)। তিনি ওই ইউনিয়নের জমগ্রাম ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা নুর হোসেনের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রতিদিনের মতো আজিনুর তার মায়ের সঙ্গে ভুট্টা জমিতে পাতা সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন। তখন ভারতের কোচবিহার জেলার ছোট কুচলীবাড়ি এলাকার অন্তত ১০-১২ জন ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশ করে আজিনুরকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে যায়।

এরপর তাকে বিএসএফের হাতে তুলে দেওয়া হয় বলে দাবি করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

বিজিবির ঠ্যাংঝাড়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার রফিকুল ইসলাম বলেন, "আমাদের প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে, আজিনুরকে ভারতীয় নাগরিকরা ধরে নিয়ে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করেছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি এবং বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠকের চেষ্টা করছি।"

তিনি আরও জানান, ঘটনার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। দ্রুত আজিনুরকে দেশে ফেরত আনার চেষ্টা চলছে।

Header Ad
Header Ad

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক শনিবার

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে শনিবার (১৯ এপ্রিল) বৈঠকে বসছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব মুশফিক উস সালেহীন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মুশফিক উস সালেহীন জানান, শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে এনসিপির প্রতিনিধি দল অংশ নেবে।

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে যা জানাল পাকিস্তান

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব। ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘদিন পর অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মুখ খুলেছে পাকিস্তান। ইসলামাবাদ জানিয়েছে, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সদ্য অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে দুই দেশের সম্পর্ক পুনরুজ্জীবনের বিষয়ে যৌথ অঙ্গীকার প্রতিফলিত হয়েছে।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত এই বৈঠকটি হয়েছে সৌহার্দ্যপূর্ণ ও গঠনমূলক পরিবেশে। আলোচনায় উঠে এসেছে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষাগত এবং কৌশলগত সহযোগিতার নানা দিক।

বৈঠকে দুই দেশ বাণিজ্য, কৃষি, শিক্ষা এবং পারস্পরিক সংযোগ বৃদ্ধিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। দ্রুত চূড়ান্ত করা হবে বেশ কিছু দ্বিপাক্ষিক চুক্তিও।

পাকিস্তান তাদের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। অন্যদিকে, বাংলাদেশ মৎস্য ও সামুদ্রিক খাতে কারিগরি প্রশিক্ষণ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করে।

দুই দেশ চট্টগ্রাম-করাচি রুটে সরাসরি নৌ চলাচল চালুর ব্যাপারে একমত হয়েছে। পাশাপাশি ঢাকা-ইসলামাবাদ সরাসরি ফ্লাইট পুনরায় চালুর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। ভ্রমণ ও ভিসা সহজীকরণের ক্ষেত্রেও অগ্রগতির প্রশংসা করে উভয়পক্ষ।

বৈঠকে শিক্ষাখাতে গভীর সহযোগিতা ও পাকিস্তানি বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃত্তির প্রস্তাবের জন্য বাংলাদেশ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে। গণমাধ্যম, সংস্কৃতি ও ক্রীড়াক্ষেত্রে পারস্পরিক অংশীদারিত্ব বাড়াতে সম্ভাব্য সমঝোতা স্মারক নিয়েও আলোচনা হয়।

সার্ক বিষয়েও উভয়পক্ষ একমত হয় যে, আঞ্চলিক এই জোটকে পুনরুজ্জীবিত করা দরকার এবং তা যেন রাজনৈতিক বিবেচনার বাইরে থাকে।

বৈঠকে গাজায় ইসরায়েলের হামলা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের নিন্দা জানায় দুই দেশ। কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তান জাতিসংঘ প্রস্তাব অনুযায়ী শান্তিপূর্ণ সমাধানের ওপর জোর দেয়।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশে অবস্থানকালে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং পররাষ্ট্রসচিব তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়, দুই দেশের মধ্যে পরবর্তী পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক ২০২৬ সালে ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে বিএসএফের হাতে তুলে দিল ভারতীয়রা
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক শনিবার
বাংলাদেশের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে যা জানাল পাকিস্তান
গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা, শিশুসহ একই পরিবারের ১৩ জন নিহত
ভারতীয় ক্রিকেটাররা আমাকে নগ্ন ছবি পাঠাত, অভিযোগ ট্রান্সজেন্ডার ক্রিকেটারের
১৮৭ জনকে নিয়োগ দেবে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর
গাইবান্ধায় আগুনে পুড়লো ৫ দোকান, ৩০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের পথে বড় সমস্যা আরাকান আর্মি: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
টঙ্গীতে ফ্ল্যাট বাসা থেকে দুই শিশুর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার
মালয়েশিয়ায় ১৬৫ বাংলাদেশিসহ ৫০৬ অবৈধ অভিবাসী আটক
ভেঙে গেল পরীমনি-সাদীর প্রেম? রহস্যময় পোস্টে তোলপাড় নেটদুনিয়া
বগুড়া বিমানবন্দর চালুর প্রস্তুতি চূড়ান্ত, জুলাই থেকেই শুরু হতে পারে ফ্লাইট চলাচল
বেনজীরকে বোট ক্লাব থেকে বহিষ্কার, ৩২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
ঢাকায় আবারও আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, ড. ইউনূসের পদত্যাগ দাবি
২০২৬ বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে আশাবাদী মেসি, সিদ্ধান্ত নেবেন সময়মতো
পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’: ভারত
দর্শনা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবলের আত্মহত্যা
দাদা ও চাচার বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে বিষ প্রয়োগে হত্যার অভিযোগ
গত ৯ মাসে এক আকাশ ভালোবাসা অর্জন করেছি : প্রেসসচিব
বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজে আগ্রহ দেখায়নি বেসরকারি চ্যানেল, দেখাবে বিটিভি