শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

প্রবন্ধ / তুমিই চিনাবে সবে

আমরা পবিত্র রমজান মাসের শেষ পর্যায়ে আছি। আর দু'দিন বাদেই দেশের মানুষ ঈদ উৎসবে অংশগ্রহণ করবে। মুক্ত স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭২ সালে অক্টোবরে প্রথমবার পবিত্র রমজান মাসের প্রাক্কালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রদত্ত এক বাণীতে আত্মত্যাগ ও আত্মসংযমের মাধ্যমে দেশবাসীকে এ মাসের পবিত্রতা রক্ষার আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু তাঁর বাণীতে বলেন, ‘এই প্রথমবারের মত আমরা স্বাধীন বাংলাদেশে পবিত্র রমজান পালন করতে যাচ্ছি। জাতির প্রতি আমার আবেদন- ত্যাগ ও আত্মসংযমের মধ্য দিয়ে আমরা যেন এ মাসের পবিত্রতা এবং মর্যাদা রক্ষা করি। এই কৃচ্ছ্রসাধনার মাস যেন আমাদের জীবনে শান্তি, সমৃদ্ধি, সহিষ্ণুতা ও সহানুভূতি নিয়ে আসে’। (অধুনালুপ্ত দৈনিক বাংলা, ১০ অক্টোবর, ১৯৭২)

স্বাধীন বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনের পনের দিন পর দেশের প্রথম ঈদ উৎসব (ঈদুল আজহা) উদযাপন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু দেশবাসীকে ত্যাগের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
জাতির পিতা প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে যে বাণী দিয়েছিলেন তার পূর্ণ বিবরণ নিম্নরূপ:

‘বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এবারই জাতি প্রথমবারের মত ঈদুল আজহা উদযাপন করিতেছে। প্রিয় মাতৃভূমির মুক্তির জন্য যাঁরা জীবন বিসর্জন দিয়াছেন তাঁদের বিয়োগান্তের স্মৃতি আমাদের বুক ভরিয়া আছে। নয় মাসাধিককালব্যাপী দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বরতা ধরার ধুলায় সন্ত্রাসের বিভীষিকা সৃষ্টি করিয়াছে। পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে জনগণের প্রতি আমার আহ্বান- ত্যাগের আদর্শ লইয়া এই পবিত্র উৎসব উদযাপন করুন। বাংলাদেশের বীর জনগণ পবিত্র মাতৃভূমির মুক্তির জন্য চরম দুঃখ-কষ্ট বরণ ও রক্তদান করিয়াছে। মুক্তিযুদ্ধে যারা আত্মীয়-স্বজন হারাইয়াছেন, এদিনে তাঁদের প্রতি আমার সমবেদনার অন্ত নাই। আল্লাহর দরবারে আমার প্রার্থনা, হজরত ইব্রাহিমের মহান ত্যাগের নিদর্শন আমাদিগকে সোনার বাংলা পুনর্গঠনে উদ্বুদ্ধ করিবে’। (দৈনিক ইত্তেফাক, ২৬ জানুয়ারি, ১৯৭২)

বঙ্গবন্ধুর জন্মের সাথে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ইতিহাসের চিরন্তন সত্যে ভাস্মর। বঙ্গবন্ধুকে দিয়েই বিশ্বব্যাপী বাঙালির পরিচয়, বাংলাদেশের পরিচয়। বঙ্গবন্ধু, বাঙালি জাতি, বাংলা ভাষা ও বাংলাদশ একটি অভূতপূর্ব কিন্তু কঠিন সমীকরণ যার পেছনে আছে ত্রিশ লক্ষ মানুষের প্রাণদান।

১৩১৩ বঙ্গাব্দে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘তুমিই চেনাবে সবে’ পঙক্তিটি এই প্রবল সত্যের অভাবনীয় প্রতিফলন বলেই প্রবন্ধের শিরোনামে উদ্ধৃত হয়েছে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি হিসেবে।

ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ, ১৯৭১ তারিখে বঙ্গবন্ধু প্রদত্ত ঐন্দ্রজালিক যে ভাষণে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের কার্যত: স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম” উচ্চারণ করে (de facto declaration of our independence) সেই ভাষণই ৪৬ বৎসর পর ২০১৭ সালে ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্বস্মারক ঐতিহ্য তালিকায় সংযোজতি। মানবসভ্যতা এগিয়ে যাওয়ায় ক্ষেত্রে একটি উজ্জ্বল মাইলফলক হিসেবে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে বাঙালিকে দিকনির্দেশনা দিয়েছে যে ভাষণ, এখন সারা পৃথিবীর মানুষের নিকট নিরন্তর অনুপ্রেরণার উৎস সে ভাষণ।

নিজ জন্ম নিয়ে ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থে বঙ্গবন্ধু লিখেছেন, “আমার জন্ম হয় ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে। আমার ইউনিয়ন হল ফরিদপুর জেলার দক্ষিণ অঞ্চলের সর্বশেষ ইউনিয়ন। এই ইউনিয়নের পার্শেই মধুমতী নদী। মধুমতী খুলনা ও ফরিদপুর জেলাকে ভাগ করে রেখেছে।”

একাত্তরের সেই অগ্নিঝরা মার্চে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে বহু দেশি-বিদেশি সাংবাদিক সমবেত হয়েছিলেন ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে। ইতিপূর্বেই বৃটিশ গণমাধ্যম বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডিস্থ ৩২ নম্বর সড়কের বাসভবনটিকে লন্ডনের ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের সাথে তুলনা করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যে সারা পূর্ব পাকিস্তান এখন পরিচালিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর এই বাড়ি থেকে।

ঐদিন অর্থাৎ ১৭ই মার্চ ১৯৭১ তারিখে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের সেনাশাসক জেনারেল ইয়াহিয়া খানের সাথে দ্বিতীয় দফায় এক বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠক থেকে বের হলে বঙ্গবন্ধুকে কিছুটা গম্ভীর দেখাচ্ছিল। সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় বঙ্গবন্ধুর মুখে মৃদু হাসির ছটা দেখে একজন বিদেশি সাংবাদিক বলেন, “ইয়াহিয়া খানের সাথে আলোচনার গতিধারা সম্পর্কে এই হাসিটুকু তাৎপর্যবহ কি-না?” বঙ্গবন্ধু মৃদু হেসেই জবাব দিলেন, “আমি সর্ব অবস্থাতেই হাসেত পারি। এমনকি ‘জাহান্মামের আগুনে বসিয়া হাসি পুষ্পের হাসি।” তারপর সাংবাদিককে বঙ্গবন্ধু বললেন, “আপনিও তো হাসছেন।” কঠিন পরিস্থিতিতেও বঙ্গবন্ধু ধীরস্থির থেকে নিজ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সর্বদাই সাহস নিয়ে এগিয়ে গেছেন। রবীন্দ্র পঙক্তি ‘শান্ত তোমার ছন্দ’ বঙ্গবন্ধুর দিগন্তপ্রসারী দৃষ্টিভঙ্গীরই যথাযথ প্রতিচ্ছবি।

জনৈক বিদেশি সাংবাদিক একাত্তরে বঙ্গবন্ধুর ৫২তম জন্মদিনে প্রশ্ন করেছিলেন, “জন্মদিনের উৎসবের কোন অনুষ্ঠান আজ আপনার হয় নি? মোমবাতি জ্বালিয়ে জন্মদিনের কেক সাজানো হয় নি? আপনি একেক করে সেই মোমবাতি ফুঁ দিয়ে নিভিয়ে ফেলার পর শুভেচ্ছা জানিয়ে কেউ গান গেয়ে ওঠে নি?”

বঙ্গবন্ধু জবাবে বলেছিলেন, “জন্মদিনের উৎসব! আমি জন্মদিনে উৎসব পালন করিনা। এই দুখিনি বাংলায় আমার জন্মদিনই-বা কি আর মৃত্যুদিনই-বা কি? আপনারা বাংলাদেশের অবস্থা জানেন। এ দেশের জনগণের কাছে জন্মের আজ নেই কোন মহিমা। যখনই কারও ইচ্ছা হলো, আমাদের প্রাণ দিতে হয়। আমার আবার জন্মদিন কি? আমার জীবন নিবেদিত আমার জনগণের জন্য। আমি যে তাদেরই লোক।” (অধুনালুপ্ত দৈনিক পাকিস্তান, ১৮ মার্চ, ১৯৭১) জনগণের মঙ্গল ও মানুষের প্রতি সহমর্মিতায় জীবনভর-তৎপর ছিলেন বঙ্গবন্ধু। মানুষের প্রতি ভালবাসাই ছিল বঙ্গবন্ধুর জীবন দর্শনের মূল উপজীব্য।
বৃটিশ সাংবাদিক ডেভিড ফ্রস্টের প্রশ্নের উত্তরে বঙ্গবন্ধু বলেন যে তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় যোগ্যতা হচ্ছে তিনি মানুষকে ভালবাসেন আর সবচেয়ে দুর্বল দিক হচ্ছে তিনি মানুষকে বেশী ভালোবাসেন।

বঙ্গবন্ধু জীবনের স্বমূল্যায়ন করতে গিয়ে ভালবাসার বাইরে যেতে পারেননি। এই ছিলেন আমাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু।
"আমি জনগণের এবং জনগণ আমার। আমি বাংলার মাটিকে ভালবাসি। আমায় ভালবাসে বাংলার মাটি। বাংলা আমার। আমি বাংলার।" - এই আত্মপোলব্ধিই বঙ্গবন্ধুকে মাটির মানুষের কোমল হৃদয়ের এত কাছাকাছি এনে দিয়েছে। সাড়ে সাত কোটি মানুষ তাই প্রাণের নিবিড়তম স্পর্শে এই মুক্ত মহাপ্রাণকে অনুভব করে আপনজন হিসেবে। জাতি আজ অনাড়ম্বর পরিবেশে হৃদয়ের উষ্ণ উত্তাপে জাতির জনকের পঞ্চান্নতম জন্মদিন উদযাপন করবে। (অধুনালুপ্ত দৈনিক বাংলা, ১৭ মার্চ ১৯৭৪)

বঙ্গবন্ধুর জীবনে শেষ জন্মদিন ছিল ১৭ই মার্চ, ১৯৭৫। অধুনালুপ্ত দৈনিক বাংলা সেদিন এক নিবন্ধে লিখেছিল ১৯৫৪ সালের ঘটনা। বাংলাদেশ তখন জাগতে শুরু করেছিল গ্রামে, গঞ্জে, শহরে। সে সময় পল্টনে বঙ্গবন্ধুর বক্তৃতা শুনতে আসা একজন সাধারণ শ্রোতার উক্তি, "আমরা শেখ মুজিবের কথা বুঝি। কারণ, তিনি আমাদের ভাষায় কথা বলেন। আমরা তাঁর কথা শুনতে আসি। কারণ, এমন সহজে এত জোর দিয়ে আমাদের দুঃখের কথা আর কেউ বলতে পারেন না। আমরা তাঁকে ভালবাসি। তিনিও ভালবাসেন আমাদের। সুখে-দুঃখে আমরা তাঁর সাথে আছি। এবং থাকবো। কারণ তিনি আমাদের আপন মানুষ।"

মানবতাবোধ ও মানবিকতার শীর্ষ ধাপ হচ্ছে মানুষের প্রতি অন্তহীন ভালোবাসা। বঙ্গবন্ধু রচিত ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’, ‘কারাগারের রোজনামাচা’ ও ‘আমার দেখা নয়া চীন’ গ্রন্থত্রয়ের পাতায় পাতায় বঙ্গবন্ধুর মানবতাবোধের দৃষ্টান্ত দীপ্যমান হয়ে আছে।
মার্কিন চলচ্চিত্র নির্মাতা লিয়ার লেভিন-এর ভাষায়, “বঙ্গবন্ধুর নাম, ক্যারিশমা ও নেতৃত্ব ছিল প্রচণ্ড বিশ্বাসযোগ্য এক শক্তি। সেই শক্তিই একটি জাতিকে জাগিয়ে তুলেছিল। নিয়ে গিয়েছিল বহু কাঙ্খিত স্বাধীনতার পথে। সম্ভব হয়েছিল নতুন একটি দেশের মহাজন্ম উদযাপন করার।” (বঙ্গবন্ধু থেকে বিশ্ববন্ধু, এনআরবিসি ব্যাংক প্লানেট প্রকাশনী, পৃ: ৬৯৫)।
একাত্তরের পঁচিশে মার্চ ভয়াবহ রাতে যখন পাকিস্তানের বর্বর বাহিনী ঘুমন্ত ও নিরস্ত্র বাঙালির উপর গণহত্যা শুরু করে তখন ছাব্বিশে মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু নির্ভয়ে ও নিঃশঙ্ক চিত্তে বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক ও আইনগত স্বাধীনতা (de jure declaration of independence) ঘোষণা দেন। অসাধারণ দূরদৃষ্টি ও গভীর প্রজ্ঞার কারণে বঙ্গবন্ধু জীবনে সর্বদাই সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং নিয়মতান্ত্রিকভাবে এগিয়ে গেছেন।

পঁচাত্তরের পনেরই আগস্টেও ঘাতকদের গুলির সামনে বঙ্গবন্ধু মাথা উঁচু করে এসে দাঁড়ান ও আভিজাত্যের সাথে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেন। বাঙালির মুক্তিদাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব যে মরণজয়ী তা ঘাতকদের জানার কথা নয়। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দর্শন জাতিকে সর্বদাই পথনির্দেশনা দিবে। মুজিব মৃত্যুঞ্জয়ী ও চিরঞ্জীবী।

বঙ্গবন্ধুর জাদুকরী ও সম্মোহনী নেতৃত্বের ফলেই যে আমরা আজ স্বাধীন দেশের গর্বিত নাগরিক তার ইতিহাস পাকিস্তানের ঔপনিবেশিক আমলের চব্বিশ বৎসরের নির্যাতন ও বঞ্চনার ইতিহাস। পর্যায়ক্রমে বাঙালি জাতিকে কিভাবে স্বাধীনতার মূলমন্ত্রে দিক্ষীত করলেন বঙ্গবন্ধু তা আজ সারা পৃথিবীর কাছে এক বিশাল বিস্ময়। কিন্তু আমরা জানি এর পেছনে বঙ্গবন্ধুর জীবনের প্রতিটি সেকেণ্ডে কিভাবে কাজে লাগিয়েছেন। বলতে গেলে পাকিস্তানের চব্বিশ বছরই বঙ্গবন্ধু কারাগারেই ছিলেন। কারণ যখন কারাগারের বাইরে ছিলেন তখনও পাকিস্তানি গোয়েন্দাদের তীক্ষ্ম নজরদারিতে থাকতেন প্রতিটি মুহূর্ত। বঙ্গবন্ধু একবার নজিইে বলছেলিনে যে, "কারাগার আমার দ্বিতীয় বাসস্থান।” কি নিদারুণ সংকটের মাঝে বঙ্গবন্ধু নেতৃত্ব দিয়ে বাঙালি জাতিকে পাহাড়ের ন্যায় অটল ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন তা মানবমুক্তির আন্দোলনের দীপ্তিময় দৃষ্টান্ত।

শ্রীলংকার দু’বারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লক্ষণ কাদির গামার (১৯৩২-২০০৫) মতে, “দক্ষিণ এশিয়া গত কয়েক শতকে বিশ্বকে অনেক শিক্ষক, দার্শনিক, রাষ্ট্রনায়ক, রাজনৈতিক নেতা ও যোদ্ধা উপহার দিয়েছে। কিন্তু শেখ মুজিবুর রহমান সবকিছুকে ছাপিয়ে যান। তাঁর স্থান নির্ধারিত হয়ে আছে সর্বকালের সর্বোচ্চ আসনে। শেখ মুজিবুর রহমান রাজবংশের সন্তান নন, তিনি পাশ্চাত্যের বিলাসী উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেননি। তিনি ছিলেন এক নিভৃত পল্লীর মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম নেওয়া সাধারণ মানুষ।” (বঙ্গবন্ধুর জীবনই বাঙালি জাতির রাষ্ট্রবিজ্ঞান, আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, পৃ:২৪৪)
১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর দীর্ঘ প্রতিক্ষীত পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে অভূতপূর্ব বিজয়ের পর ১০ ডিসেম্বর ১৯৭০ লন্ডনের দ্য টাইমস পত্রিকা আওয়ামী লীগ প্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পূর্ব পাকিস্তানের ‘মুকুটহীন সম্রাট’ হিসেবে আখ্যায়িত করে। গার্ডিয়ান পত্রিকা এক সম্পাদীয় নিবন্ধে শেখ মুজিবকে নিরঙ্কুশ বিজয়ী ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আখ্যা দেয়।

বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা ১৯৭৪ সালের ৯ই জানুয়ারি লন্ডনের নিউ স্টেটসম্যান সাময়িকী উদ্ধৃত করে নিম্নোক্ত সংবাদ পরিবেশন করে যা পরদিন অর্থাৎ ১০ জানুয়ারি ১৯৭৪ তারিখের অধুনালুপ্ত দৈনিক বাংলা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। খবরে বলা হয় যে “সম্প্রতি লন্ডনের নিউ স্টেটসম্যান-এর এক নিবন্ধে বঙ্গবন্ধুকে বাংলাদেশের ‘শ্রেষ্ঠ সম্পদ’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে। নিবন্ধে বলা হয় যে, অতীতের চেয়ে-আজকের বাংলাদেশে মুজিবের নেতৃত্বের প্রয়োজন অনেক বেশি।” বঙ্গবন্ধুর প্রথম পাঁচসালা পরিকল্পনার ইতিবাচক দিক তুলে ধরে বাংলাদেশের দীর্ঘ ময়োদি সমৃদ্ধির আশা প্রকাশ করা হয় উক্ত নিবন্ধে।
গত ১৪ মার্চ, ২০২২ তারিখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমআইটি প্রেস থেকে ‘ইনোভেসন’ সাময়িকীতে প্রকাশিত তাঁর প্রবন্ধের সূত্র ধরে বলেন যে, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল যে এ দেশের মানুষ উন্নত সমৃদ্ধ জীবন পাবে, সুখে শান্তিতে বাস করবে। কিন্তু আরাধ্য কাজ শেষ করার আগেই তিনি ঘাতকদের হাতে সপরিবারে নিহত হন। তাঁর সেই অসমাপ্ত কাজ শেষ করাই আমার লক্ষ্য।” সাময়িকীতে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা রচিত ÔStriving to Realise the Ideals of My Father’ শীর্ষক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।

১৪১১ বঙ্গাব্দের প্রথম দিন অর্থাৎ ১লা বৈশাখ (২০০৪ সালের ১৪ এপ্রিল) ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং করপোরেশন বা বিবিসির বাংলা সার্ভিস সকালের অধিবেশনে বিশ্বের প্রায় ত্রিশ কোটি বাঙালির মাঝে পরিচালিত শ্রোতা জরিপের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ কর। জরিপ অনুযায়ী ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি’ হিসেবে বঙ্গবন্ধুর নাম ঘোষণা করে। শীর্ষ কুড়িজন বাঙালির তালিকা প্রণয়নে বিবিসি এ জরিপ পরিচালনা করে।
জরিপের ফলাফল ঘোষণার এ অধিবেশনে প্রয়াত সাংবাদিক আতাউস সামাদ বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে বলেন, “উনি নির্বাচনি যে প্রচারগুলো করেছেন তার অনেকগুলো জায়গায় আমি তাঁর সংগে গিয়েছি। উনি সবখানেই ছয়-দফার কথা বলতেন এবং ছয় দফা না হলে একটি আঙুল তুলে বলতেন আমার দাবি ‘এই’ অর্থাৎ দেশ স্বাধীন করতে হবে।” জনাব সামাদ আরও বলেন, “১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রমনার রেসকোর্সে তিনি এমন একটি বক্তৃতা দিলেন যা সবার মন ছুঁয়ে-গেল, সবাই ওনার নির্দেশ মানতে লাগল এবং ওনার নামেই স্বাধীনতা যুদ্ধ চলেছে। নয় মাসের যুদ্ধের পর-পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরেছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান।”

স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর প্রথম জন্মদিনে ভারতের তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী রাষ্ট্রীয় সফরে বাংলাদেশে আসেন ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধুর সাথে একই মঞ্চ থেকে বিশাল জনসভায় ভাষণ দেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের প্রথম আজীবন সদস্য করা হয় বঙ্গবন্ধুকে ১৭ই মার্চ ১৯৭২ তারিখে। ঐ দিন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সফর উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর কর্ম ব্যস্ততার কারণে আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয় ১৯৭২ সালের ৬ই মে তারিখে। সেদিন বঙ্গবন্ধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ভাষণ দেন ও ডাকসুর আজীবন সদস্যপদ গ্রহণ করেন।

বঙ্গবন্ধু ১৭ই মার্চ ১৯৭২ তারিখে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সফর উপলক্ষে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেন। তবে বঙ্গবন্ধু এক বিবৃতিতে বলেন, ভবিষ্যতে ১৭ই মার্চ তাঁর জন্মদিন হিসেবে সরকারি ছুটি থাকবে না এবং দিনটি হবে ত্যাগ ও উৎসর্গের দিন।

এ দেশের সাড়ে সাত কোটি দুখী মানুষের কল্যানে বঙ্গবন্ধুর জীবন উৎসর্গীকৃত। এ উৎসর্গই হচ্ছে তাঁর সকল শক্তির উৎস। আর এ জন্যই এ দেশের সাধারণ মানুষের জীবন ও ভাগ্যের উপর তাঁর অপরিসীম প্রভাব। (দৈনিক ইত্তেফাক, ১৭ মার্চ ১৯৭৩) ঈদসহ বাঙালি জাতির সকল উৎসব আয়োজন ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আমরা সকলে জাতির পিতার দিকনির্দেশনা, আত্মত্যাগের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে অংশগ্রহণ করব এটিই হোক আমাদের ঈদের দিনের প্রত্যয় ও প্রত্যাশা।

 

লেখক: সাবেক ভিসি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

 

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত