শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব ১৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা

মাকে একটা গ্লাস দেয় বিথীকা। একটা বালিশ ছিঁড়ে তুলা বের করে। ঘরে কলাপাতা ছিল। কলাপাতার উপর তুলা বিছিয়ে ওখানে ভাইকে রেখে সুন্দর করে মুড়িয়ে কোলে রাখে। পাশের ঘরের একজন মহিলা বিথীকাকে সহযোগিতা করে। মহিলা বালিশের পরিষ্কার তুলা ছিঁড়ে গ্লাসে রাখা মায়ের দুধে ভিজিয়ে বিথীকাকে দেয়। বিথীকা ভাইয়ের মুখে তুলোটা দিলেই ও চুষতে শুরু করে। চোখ বন্ধ ছিল। দুধ চোষার সঙ্গে সঙ্গে চোখ খোলে। ওর দিকে তাকিয়ে মায়ারাণী চিৎকার করে বলতে থাকে, আমার স্বাধীনতা, আমার স্বাধীনতা। মাগো তোকে আমি আশীর্বাদ করি। তুই ছেলেটাকে বাঁচিয়ে এনেছিস। আহারে, তুই হ্রদের জলে ঝাঁপিয়ে পড়ে ওকে তুলে এনেছিস। তুই বিশ্বাস করিসনি যে মরে গেছে। হায় ভগবান!

– মা, কাঁদতে হবে না। চুপ করে শুয়ে থাক। তুমি তাড়াতাড়ি সুস্থ হও। একটানা পাঁচদিন এভাবে দুধ খাইয়ে বিথীকা ভাইকে আদর-যত্নে ভরিয়ে রাখে। শরণার্থী ক্যাম্পের সবার মুখে বিথীকার নাম। মৃত ভেবে যারা বাচ্চাটিকে হ্রদের জলে ভাসিয়ে দিয়েছিল তারা ক্যাম্প থেকে বের হয়না। নিশ্চুপ বসে থাকে। কিভাবে তারা এমন একটি সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছিল ভেবে অবাক হয়। মাঝে মাঝে অন্য তিনভাই ওকে ঘিরে ধরে বসে থাকে। বিথীকা ওদের ছাড়া আর কাউকে ওর পাশে আসতে দেয়না। কেউ ঢোকার সাহস পায়না। সবাই মিলে ভাবে কত বড় একটা ঘটনা ঘটে গেল এই শরণার্থী ক্যাম্পে। সব ঘটনা স্মৃতি হয়ে বুক ভরে থাকে বিথীকার। ওর প্রশংসায় উজ্জ্বল হয়ে থাকে শরণার্থী ক্যাম্পের মানুষরা। এই দুঃসাহসী মেয়েটির দিকে তাকিয়ে সবাই বলে, এমন মেয়ে আমরা কখনো দেখিনি। বিথীকা প্রশংসায় আপ্লুত হয়না। ভাবে, ছোট্ট ভাইটিকে বাঁচিয়ে তুলেছি এটা আমার দায়িত্ব। এখন থেকে আমি চার ভাইয়ের বড় বোন। আমার জীবন ধন্য। শরণার্থী ক্যাম্পে জীবনযাপন অন্যরকম হয়ে যায়। মা ঠিকমতো সুস্থ হলে ও মুক্তিযুদ্ধের কাজ করবে। মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করবে। একটি শিশুকে বাঁচানোর জন্য ও হ্রদে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। নিজেই ডুবে যাবে কিনা সেটাও ওর মাথায় আসেনি। মুক্তিযুদ্ধে এভাবেই কাজ করতে হবে। অসুস্থ যোদ্ধাদের সুস্থ করে ফেরত পাঠাতে হবে যুদ্ধক্ষেত্রে। তবেই শরণার্থী জীবন হয়ে উঠবে যুদ্ধের জীবন। নিজের সঙ্গে কথা বলে উৎফুল্ল হয় বিথীকা। মায়ের কাছে এসে বসে। তিনভাই মায়ের পাশে বসে আছে। ছোট্ট ভাই মায়ের কোলে। ওকে ঢুকতে দেখে তিন ভাই নড়েচড়ে বসে ওকে জায়গা দেয়। ওর মা বলে, এই ছেলেটার একটা নাম ঠিক করতে হবে রে। এখন থেকে ওই নাম ধরে ওকে ডাকব আমরা।

– আমি ওর জন্য একটা নাম মনে মনে ঠিক করে রেখেছি।

– বল, আমাকে বল।

– ওর নাম হবে অসীম।

– সুন্দর, সুন্দর। সবাই মিলে হাততালি দেয়।

অমল বলে, আমার সঙ্গে ওর নামের মিল আছে। অমল আর অসীম আমরা দুই ভাই।

নিরঞ্জন হাততালি দিয়ে বলে, আমরা চার ভাই। চার ভাই।

কৃষ্ণপদ হাসতে হাসতে বলে, আমরা চার ভাই এক বোন। অসীম আমাদের মায়ের স্বাধীনতা। দেশ স্বাধীন হলে আমরা ওকে নিয়ে দেশে যাব। ও আমাদের জয় বাংলা।

সবাই মিলে হাসে। হাসতে হাসতে মুখর হয় শরণার্থী শিবিরের একটি ঘর। বাইরে থেকে হাসির শব্দ শুনতে পায় হরেন্দ্রনাথ। ছেলেমেয়ের উচ্ছ্বাস তাকে আপ্লুত করে। দ্রুত ঘরের দরজায় এসে দাঁড়ায়। দরজা ঠেলে ঢুকলে হাসির রেশ বেড়ে যায়।

কৃষ্ণপদ একলাফে উঠে দরজার কাছে এসে বলে, বাবা, এসো এসো। আমাদের জয় বাংলা তোমার জন্য হাত-পা নাড়ছে।

– তোরা কি ওকে জয় বাংরা ডাকবি নাকি?

বিথীকা বলে, জয় বাংলার সময়ের ছেলে বলে ওর পরিচয় হবে। ওর নাম রেখেছি অসীম।

– বাহ্, সুন্দর নাম। ওকে আমার কোলে দে। বাইরে থেকে ঘুরিয়ে আনি।

– নাগো, কয়দিনের ছেলে মাত্র। ওকে বাইরে নিওনা।

– ভয় পেয়োনা তুমি। ও হ্রদের জলে ঘরে আসা সাহসী ছেলে।

আবার হাসির শব্দ ওঠে। সবাই মিলে একসঙ্গে হাসতে থাকে। শরণার্থী শিবির এমন আনন্দের জায়গা হবে বড়রা কেউ ভাবতে পারেনি। ছেলেমেয়েদের দিকে তাকিয়ে বুক ভরে যায় হরেন্দ্রনাথের। এই শরণার্থী শিবিরে থেকে জীবনের বিপুল অনুভব তাকে আন্দোলিত করে। সামনে আসছে স্বাধীনতা। মুক্তিযুদ্ধের নানা খবরে উদ্বুদ্ধ হয়ে যায় দিনের রশি। ভারতের সহযোগিতা বিচিত্র সম্ভারে পূর্ণ করে রাখছে মুক্তিযুদ্ধকে।

প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বেশ অনেকটি শরণার্থী শিবির দেখে গেছেন। সবাইকে স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখিয়েছেন। সামনের বিশাল ছবি হরেন্দ্রনাথকে নানা দিগন্তে উদ্ভাসিত করে রাখে। হরেন্দ্রনাথ মনে মনে প্রণাম করে ইন্দিরা গান্ধীকে। হাসিতে নিজেকে উচ্ছ্বল করে তোলে। চারদিকে কেউ নাই। তাই জোরে জোরে বলে, মাগো, তোমাকে আমি মায়ের মতো শ্রদ্ধা করব পুরো জীবন ধরে। তুমি আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধকে বিশ্বের মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছ। মাগো, মাগো, তুমি আমার মা হয়ে থাকলে আজ থেকে–ইন্দিরা মা। একটু পরেই দেখতে পায় রাস্তার ধারে বসে এলাকার একজন ট্রানজিস্টারে খবর শুনছে।

হরেন্দ্রনাথকে হাঁটতে দেখে ডেকে বলে, ও শরণার্থী দাদা, এদিকে আসেন। বিবিসিতে আপনার জন্য খবর আছে। বসেন খবর শোনেন। তখন ভেসে আসে কন্ঠস্বর–পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর এবং সামরিক আইন প্রশাসক লেটেন্যান্ট জেনারেল টিক্কা খান যেসব শরণার্থী ভারতে পালিয়ে গেছেন, তাঁদের ঘরে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, দেশের আর সব নাগরিকের মতো তাঁরাও একইভাবে বসবাস করতে পারবেন। গভর্নরকে উদ্ধৃত করে রেডিও পাকিস্তাান জানিয়েছে, রাজনৈতিক নেতাসহ ছাত্র, ব্যবসায়ী, সরকারি কর্মচারী, সশস্ত্র বাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা রাক্ষাকারী সংস্থার সদস্যদের স্বদেশে স্বাগত জানানো হবে।

জেনারেল টিক্কা খান বলেছেন, সীমান্তে শরণার্থী অভ্যর্থনা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে, সেখানে খাবার, আশ্রয়, চিকিৎসা ও যানবাহনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, পূর্ব পাকিস্তানে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে এসেছে। মিথ্যা ও বিদ্বেষমূলক প্রচারণার প্রভাবিত হয়ে শরণার্থীরা দেশ ত্যাগ করেছেন এবং এখন অকারণে অপুষ্টি ও রোগে-শোকে ভুগছেন। বিবিসির কমনওয়েলথ সংবাদদাতা বলেছেন, জেনালেন টিক্কা খানের এই বিবৃতির যথার্থতা নিয়ে বিদেশি পর্যবেক্ষকরা সন্দিহান। আমাদের প্রতিনিধি বলেন, পূর্ব পাকিস্তান ছেড়ে বিপুলসংখ্যক লোকের চলে আসায় পাকিস্তানে যে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। পর্যবেক্ষকদের মতে, তারই প্রতিক্রিয়ায় জেনারেল এই বক্তব্য দিয়েছেন।

(চলবে)

এসএ/

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১১

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১০

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৯

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত