শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব ১২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা

পরদিন চরের কয়েকজন মিলে ওদেরকে বশিরহাট শরণার্থী ক্যাম্পে পৌঁছে দেয়। স্থানীয় মানুষের সহায়তায় ত্রাণ হিসেবে কিছু খাদ্যদ্রব্য পায় ওরা। এসব খেয়ে তিন-চার দিন কেটে যায়। কোনো অসুবিধা হয়না। তবে দিনগুলো বেশ কষ্টে কাটে। তখন তাদের কষ্ট দেখে মানা ক্যাম্পে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় স্থানীয় লোকেরা। একটা বাসে করে তাদেরকে ট্রেন স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয়। বীথিকা তার মা ও ভাইদের ভিড়ের মধ্যে ঠেলাঠেলি করে ট্রেনে ওঠায়। কিন্তু ওর বাবা উঠতে পারেনা। দিশেহারা হয়ে যাই সবাই। বীথিকা নিজে চোখের পানি মোছে। ভাইয়েরা কাঁদতে শুরু করে। বিথীকা বলে, আমরা পরের স্টেশনে নেমে যাব।

– ঠিক বলেছিস।

পরের স্টেশনে ট্রেন থামলে বিথীকা সবাইকে নিয়ে নেমে পড়ে। ট্রেন স্টেশন ছেড়ে চলে গেলে বিথীকা মা-ভাইদের নিয়ে স্টেশন মাস্টারের রুমে যায়। স্টেশন মাস্টার ওদের দিকে তাকিয়ে বিব্রত হয়ে জিজ্ঞেস করে, কি ব্যাপার কি হয়েছে আপনাদের?

– আমরা ভীষণ বিপদে পড়েছি।

– কি হয়েছে?

– আমারা মুক্তিযুদ্ধের শরণার্থী। আমাদেরকে ক্যাম্প থেকে ট্রেনে উঠিয়ে অন্য ক্যাম্পে নিয়ে যাচ্ছিল। ভিড়ের ঠেলাঠেলিতে আমার বাবা ট্রেনে উঠতে পারেনি।

– ঠিক আছে আপনারা বাইরে গিয়ে বসুন। আমি আগের স্টেশন মাস্টারকে ফোন করে দিচ্ছি। পরের ট্রেনে তুলে দেবে তাকে।

সবাই মিলে বাইরে এসে স্টেশনের বেঞ্চে বসে। একজন কাছে এসে বলে, শুনলাম আপনারা শরণার্থী। এখানে বিস্কুট আর কলা আছে। নিন, খেতে থাকুন।

বিথীকা হাত বাড়িয়ে ঠোঙাটা নেয়। বয়সী মানুষটিকে প্রণাম করে। তারপর সবাই মিলে কলা বিস্কটু খায়। বাকিটা বাবার জন্য রেখে দেয়। বেশ কিছুক্ষণ পরে দেখতে পায় ষ্টেশনে ট্রেন ঢুকছে। সবাই মিলে ওখানে দাঁড়িয়ে খেয়াল করে যাত্রীদের। দেখতে পায় নেমে আসছে হরেন্দ্রনাথ। বিথীকা তিন ভাইকে বলে, তোরা দৌড় দিয়ে বাবার কাছে যা। আমাদের কাছে নিয়ে আয়।

– না, না বাবাকে আনব কেন? আমরাতো বাবার সঙ্গে যাব। বাবা এখানে কি করবে?
– মায়ারাণী বলে, হ্যাঁ তাই। চল আমরা এগিয়ে যাই। ট্রেনে উঠব।

সবাই মিলে এগিয়ে গেলে হরেন্দ্রনাথ সবাইকে নিয়ে ট্রেনে উঠে যায়। যারা ওদের নিয়ে যাচ্ছিল তারা ওদেরকে মানা ক্যাম্পের কাছে নামায়। চারদিকে তাকিয়ে মুগ্ধ হয়ে যায় বিথীকা। পাহাড় ও হ্রদ পরিবেষ্টিত মানা ক্যাম্প। ওদিকে তাকালে দৃষ্টি ফেরানো যায়না। হরেন্দ্রনাথ ও মায়ারাণীও মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকে। ওখানেই ঠাঁই হয় তাদের। বাসস্থানটিও চমৎকার। চারদিকে বাঁশের চাঁচের বেড়া এবং উপরে টিনের চাল। বাকি যারা ছিল, তাদের অনেকের ঠাঁই হয় তাঁবুর নিচে। এই ক্যাম্পে শিশুখাদ্য সরবরাহে কোনো ত্রুটি রাখেনি ভারত সরকার। শিশুদের জন্য গুড়া দুধের ব্যবস্থা ছিল। প্রত্যেককে বিশেষ কার্ড দেয়া হয়েছিল খাদ্যসহ বিভিন্ন ত্রাণ সামগ্রী পাওয়ার জন্য।

সবাই খুব হাসিখুশিভাবে দিন কাটাত। শরণার্থী হওয়ার দুঃখ নিয়ে কষ্ট ছিল না। এমন সুন্দর প্রকৃতির মাঝে সুন্দর সময়ের মহিমায় দারুণ সময় কেটে যায় বিথীকার পরিবারের। ছোট তিন ভাই সারা দিন এদিক-ওদিকে দৌড়াদৌড়ি করে। কেউ ওদের বাধা দেয়না। বিথীকা মাকে বলে, এমন জায়গা কি ওরা আর জীবনে পাবে গো মা। বাধা না দেয়াই ভালো! খেলুক ওরা।

– যদি হারিয়ে যায়?

– না গো মা হারাবেনা। ওদের আমি সবসময় পথ চেনাই।

– আচ্ছা যা, তুই ওদের সঙ্গে থাকিস।

– আমি ওদের দিকে সবসময় খেয়াল রাখি।

– আচ্ছা, ভালো করিস।

মানা ক্যাম্পে চারমাস কেটে যায়। একদিন মায়ারাণীর প্রসব ব্যথা ওঠে। অল্প সময়ের মধ্যে সন্তান জন্মগ্রহণ করে। বাচ্চাটিকে দেখাশোনা করে পাশের ঘরের এক নারী। বাচ্চাটি জন্ম নেয়ার পর থেকে কাঁদেনি। চোখও ঠিকমতো খুলছে না। খুব ক্ষীণভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস পড়ছে। অনেকেই মনে করে বাচ্চাটি বাঁচবে না।

বিথীকা ঘরে নেই। ও শরণার্থী কার্ড দেখিয়ে ত্রাণসামগ্রী আনার জন্য বাজারে গেছে। হরেন্দ্রনাথ বাইরে চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে। ঘরের ভেতরে দু’তিনজন মহিলার নানা কথায় মন খারাপ হয়ে যায়। দরজায় দাঁড়িয়ে মাথা ঢুকিয়ে জিজ্ঞেস করে, কেমন আছে আমার ছেলে?
একজন নারী বলে, মনে হয় বাচ্চাটি মরে গেছে। কান্নাকাটি নেই, চোখও খোলেনা।

হরেন্দ্রনাথ চোখের জল মুছে বলে, এখন কি করব আমরা।

একজন নারী বলে, বাচ্চার মায়ের সঙ্গে কথা বলেছি। ঘরের নতুন মাটির হাঁড়িতে করে ওকে হ্রদে ভাসিয়ে দেব। আমি এখন নিয়ে যাব। সাদা কাপড় দিয়ে মুড়িয়ে নেব হাঁড়ি।

হরেন্দ্রনাথ মাথা সোজা করে দাঁড়িয়ে যায়। আর কোনো কথা বলেনা।

যে নারী হাঁড়িতে ভরেছে বাচ্চাকে, সে হাঁড়ি নিয়ে বেরিয়ে যায়। হরেন্দ্রনাথ হাত বাড়িয়ে বলে, আমি ওকে একবার বুকে নিতে চাই।

সেই নারী হাঁড়ি এগিয়ে দেয়। হরেন্দ্রনাথ কিছুক্ষণ বুকে জড়িয়ে ধরে রাখে হাঁড়ি। দুচোখ বেয়ে জল গড়ায় অবিরত ধারায়। একসময় দাঁড়িয়ে থাকা নারী হাঁড়িটা টেনে নেয়। দ্রুত পায়ে হেঁটে হ্রদের কাছে গিয়ে হাঁড়িটা ভাসিয়ে দেয় জলে। তখন পর্যন্ত বাচ্চাটির কোনো সাড়াশব্দ নেই। কিছুক্ষণ পরে বিথীকা ফিরে এলে জানতে পারে ওর ভাইকে হ্রদে ভাসিয়ে দেয়া হয়েছে। কারো সঙ্গে কোনো কথা না বলে হ্রদের দিকে ছুটে যায় বিথীকা। সাদা কাপড়ে মোড়ানো হাঁটিটা বেশ খানিকটা ভেসে গেছে। বিথীকার মাথা ঝিমঝিমিয়ে ওঠে। কোনো কিছু চিন্তা না করে ও হ্রদের পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে। সাঁতার দিয়ে এগোতে থাকে। ছোটবেলাতেই সাঁতার কাটা শিখেছিল। এই চমৎকার হ্রদে সাঁতার কাটতে দারুণ লাগছে। বেশ কিছুক্ষণ সাঁতার কেটে হাঁড়িটা নিয়ে ফিরে আসে পাড়ে।

হাঁড়ির ভেতর থেকে ভাইকে বের করে বুকে জড়িয়ে ধরে। মাঝে মাঝে নিজের ভেজা কাপড় থেকে ওকে হাতে ধরে রাখে, যেন ভেজা কাপড় থেকে ওর ঠান্ডা না লাগে। ওর বুকে কান লাগিয়ে শুনেছে হার্টের মৃদু শব্দ। নিঃশ্বাসও ভেসে আসছে মৃদু স্বরে, কিন্তু চোখ বন্ধ। বিথীকা উত্তেজনা বোধ করে। দুহাতে ধরে রেখে ছোট ভাইকে নিয়ে দ্রুত হেঁটে আসে। ভেজা কাপড়ে ছপছপ করে শরীর, কিন্তু ভাইয়ের গায়ে পানি লাগতে দেয়না। ক্যাম্পে চলে আসে দ্রুতগতিতে। চারপাশে মানুষ জমে যায়। মৃত ছেলেটিকে ও ফিরেয়ে এনেছে দেখে মানুষজন ভিড় করে ওদের ঘরের সামনে।

কেউ কেউ বলে, ওকে আমার কাছে দাও।

– খবরদার না। ওকে আমি কারো কাছে দেবনা।

– তোমার কাপড় তো ভেজা।

– আমি ওকে কীভাবে ধরেছি দেখেন না? ভেজা কাপড় ওর গায়ে লাগাই না। আমিতো ওকে অনেক দূর থেকে তুলে এনেছি। ওর শ্বাস পড়ছে। বুক ধুকধুক করছে। ও চোখ খুলছে না বটে। কেউ যদি ওকে আমার কাছ থেকে জোর করে নিয়ে যেতে চায় তাহলে আমি দায়ের কোপে তার মাথা দুভাগ করে ফেলব।

– হয়েছে যা, আর ভ্যাকভ্যাক করতে হবে না। ঘরে চলে যা।

বিথীকা কারো দিকে না তাকিয়ে ঘরে চলে আসে। মায়ারাণী চিৎকার করে কাঁদতে কাঁদতে বলে, স্বাধীনতা, স্বাধীনতা– আমার স্বাধীনতাকে তুই ঘরে এনেছিস মা।

– মাগো ওকে দুধ খাওয়াতে হবে। জন্মের পর থেকে ওর মুখে কিছুই যায়নি।

– আমি ওকে দুধ খাওয়াবো দে, আমার বুকে দে।

– নাগো মা, ও দুধ টেনে খেতে পারবেনা এখন। তুমি এই গ্লাসে দুধ চেপে নাও, আমি ওকে আস্তে আস্তে খাওয়াব।

– কীভাবে খাওয়াবি?

– দুধে তুলা ভিজিয়ে ওকে দেব। ও আস্তে আস্তে চুষে খাবে

(চলবে)

এসএ/

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১১

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১০

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৯

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১

 

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত