সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

বঙ্গবন্ধু

বাইগার নদীর কোলঘেঁষে সবুজ শ্যামল গাঁ টুঙ্গিপাড়া

কোকিল দোয়েল ঘুঘু ডাহুকের ধ্বনিতে মুখরিত;

প্রকৃতিতে সাজসাজ রব; দক্ষিণা সমীরণে আগমনী বারতা

মহানায়কের আবির্ভাব ঘটবে বলে চারদিকে পড়ল সাড়া।

উনিশশো বিশ খ্রিষ্টাব্দের সতেরই মার্চের রাতে;

ঝলমলে আলো ছড়িয়ে মা সায়েরা খাতুনের কোলজুড়ে

এলো এক দেবশিশু পৃথিবীর বুকে।

আকাশে বাতাসে হর্ষধ্বনি, নদীর স্রোতের মতো

বহে আনন্দের ফলগুধারা।

খুশিতে আটখানা নানা শেখ আবদুল মজিদ

বললেন, শোন শেখ লুৎফর রহমান-

তোমার ছেলের নাম হবে শেখ মুজিবুর রহমান।

দাদা বোরহানউদ্দিন বললেন, ঠিক আছে, ঠিক আছে!

আমি ডাকব কিন্তু খোকা বলে।

বিস্ময়কর বালক সেই খোকা হাঁটি হাঁটি-

পা পা করে এগিয়ে চলল পৃথিবীর পথে।

প্রাথমিক শিক্ষার পাঠ নিতে ছুটতে হলো

এক স্কুল থেকে আরেক স্কুলে। গিমাডাঙ্গা স্কুল;

গোপালগঞ্জ পাবলিক স্কুল, মাদারিপুরে ইসলামিয়া

স্কুলের গন্ডি পেরুতে না পেরুতেই ‘বেরিবেরি’ রোগ

তার পথচলাকে থমকে দিল। কিন্তু তাকে রোখার সাধ্য কার?

বুকে আছে কঠিন মনোবল যার!

আরোগ্যলাভের পর এবার ভর্তি করা হলো গোপালগঞ্জ

মিশনারি স্কুলে। এখানেই রাজনীতির হাতে খড়ি;

ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় এক কর্মী।

বিয়াল্লিশে ম্যাট্রিকুলেশন, চুয়াল্লিশে কলকাতা

ইসলামিয়া কলেজ থেকে আইএ;

সোহরাওয়ার্দীর হাত ধরে রাজনীতির অঙ্গনে পদচারণা,

দেশভাগের আন্দোলন আর হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা-বিরোধী

সভা-সমাবেশ মিছিলে সক্রিয় অংশগ্রহণ-

নির্ধারণ করে তার রাজনীতির আসন।

 

সাতচল্লিশে ইতিহাস ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রী

নিতে নিতেই বেজে ওঠে দেশভাগের ঘণ্টা!

মুজিব মনে মনে বললেন, আর নয় কলকাতা;

এবার ফিরতে হবে ঢাকা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হয়েই-

ছাত্রলীগ গঠনে মনোযোগ দিলেন;

সৈয়দ নজরুল, তাজউদ্দীনরা সঙ্গী হলেন।

হঠাৎ একদিন খবর এলো, দেশে ফিরেছেন

মওলানা ভাসানী, আছেন সন্তোষে।

ছুটে গেলেন মুজিব মহাউচ্ছ্বাসে।

বললেন মনের কথা, মুসলিম লীগ সেকেলে, চাই প্রগতিশীলধারা;

তরুণ নেতার কথা শুনে স্থির মওলানা। কী করা যায়!

ভাবতে ভাবতেই বললেন, উত্তম প্রস্তাব; আছি আমি

থাকবে অনেকেই- মুসলিম লীগে ধর্মনিরপেক্ষ চিন্তার যারা।

 উদ্বেলিত মুজিব এবার ছুটলেন জেলায় জেলায়

নতুন দল গঠনের উদ্দেশ্য বোঝালেন।

মওলানা ভাসানী, শামসুল হকের নেতৃত্বে

আওয়ামী মুসলিম লীগ গড়ে তুললেন।

এবার পাকিস্তানি শাসকদের রাষ্ট্রভাষাকে উর্দু

করার চক্রান্ত রুখে দিতে মাঠে নামলেন;

বললেন, বাংলাকে করতে হবে রাষ্ট্রভাষা!

সেই ধ্বনি প্রতিধ্বনিত হয়ে ছড়িয়ে পড়ল

দেশের আনাচে কানাচে। দাবি উঠল সর্বত্র।

রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই, মানতে হবে-মেনে নাও।

পুলিশের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে-

রাজপথে মিছিল বের করা হলো।

মিছিলের পুরোভাগে শামসুল হক ও মুজিব

অতঃপর গ্রেপ্তার হয়ে জেলে।

আর তাতেই বাঙালি গেলো ক্ষেপে!

গভর্নর জেনারেল জিন্নাহ ছুটে এলেন ঢাকায়-

সভা ডেকে বললেন, উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা।

উত্তেজিত জনতা তীব্র কণ্ঠে বলল, নো নো নো!

বাহান্নতে তুমুল আন্দোলনের এক পর্যায়ে রক্ত ঝরলো রাজপথে,

সালাম বরকত রফিক শফিক জব্বারের রক্তের আখরে

লেখা হলো ‘‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা’ নাম।

উর্দুপ্রেমী পাকিস্তানী শাসকদের আঁতে ঘা লাগল তাতে;

বাঙালির ওপর শোষণ নিপিড়নের মাত্রা

দিনকে দিন বাড়তেই থাকল।

কারণে অকারণে শেখ মুজিব ও তার দলের

নেতাদের করলো জেলে আবদ্ধ;

রাজনীতি রাখলো সীমাবদ্ধ।

এরমধ্যে ঘটলো আরেক অস্বাভাবিক ঘটনা!

মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর আকস্মিক মৃত্যুর পর-

মসনদে বসলেন লিয়াকত আলী খান।

দৃশ্যপটে এলেন জেনারেল আইয়ুব খান।

বিধির কী লীলা!

এবার শুরু হলো পাক-সেনাদের খেলা।

পূর্ববাংলা বলল, মানি না; মানবো না-

তোমাদের ওই সেনাশাসন!

আমরা হলাম বীরের জাতি; উপড়ে ফেলব দুঃশাসন।

আইয়ুব বললেন, দাঁড়াও; তোমাদের দেখাচ্ছি মজা!

ডান্ডা মেরে করবো ঠান্ডা।

শুধু কী তাই! শিল্প কিংবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দেবো না কিছুই-

পূর্ববাংলায়; পাট বেঁচার টাকায় ইসলামবাদ গড়বো,

পশ্চিম পাকিস্তানিদের চাকরি দেবো।

ভেতো বাঙালি ভাতে মরবে; বুঝতে তখন কে আমি?

আমি হলাম ফিল্ড মার্শাল মানুষটা বড় দামি!

পাশে আছেন অনেক গুণীজন, আছেন মওলানা ভাসানী;

আমি কি আর কাউকে মানি?

জেলে বসে মুজিব আঁকলেন ছয় দফার পরিকল্পনা-

ছিষট্টিতে মানুষ পেল স্বাধীকারের ঘোষণা।

সমর্থনে বাঙালিরা গর্জে উঠল রাজপথে-

জ্বালো জ্বালো! আগুন জ্বলো!

আইয়ুব খানের মসনদে।

বেসামাল ওই শাসকেরা এবার; মামলা দিল ষড়যন্ত্রের-

বলল, মুজিব আগরতলায় বসে প্ল্যান করেছে সরকার উৎখাতের।

হয়েছে সে রাষ্ট্রদ্রোহী! মৃত্যুদণ্ড ঠেকায় কে?

মুজিব বললেন, বাঙালি আছে আমার সঙ্গে-

রাখে আল্লাহ মারে কে?

উনসত্তুরে পতন হলো আইয়ুব খানের, মসনদে এবার ইয়াহিয়া-

একই পথের পথিক তিনি; দিলেন সামরিক ঘোষণা!

রাজনীতি হলো স্থগিত, নেতারা হলেন বন্দী-

এটাই নাকি ইয়াহিয়ার নতুন কোনো ফন্দি।

শিগগিরই তিনি নির্বাচন দেবেন, ফিরবেন গণতন্ত্রে

মানুষ তাকে সেল্যুট দেবে মজবে তারই মন্ত্রে।

সত্যিই একদিন নয়া প্রেসিডেন্ট জাতির সামনে

হাজির হলেন; ঘোষণা দিলেন নির্বাচনের-

বাজলো দামামা পূর্ববাংলায়, ভুট্টো মিয়ার দুশ্চিন্তা!

বললেন হেঁকে; হারলে আমি জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে-

এই কথাতেই ক্ষেপছে মানুষ! বলল, ভোট দেবে মুজিবররে।

তাই হলো ভাই তাই হলো!

সত্তুরের নির্বাচনে-

আওয়ামী লীগের জয় হলো!

খবর পেয়ে বসলেন মদের বোতল নিয়ে ইয়াহিয়া-

বললেন গোয়েন্দাদের ডেকে, এ কী হলো মিয়া!

আমও গেলো ছালাও গেলো! এখন কী যে করি আমি!

বাহানা ছাড়া উপায় নাই!

ভুট্টো বললেন, একদম তাই।

মুজিব দিলেন হুঙ্কার! সাতই মার্চের ঘোষণা-

প্রধানমন্ত্রীত্ব চাই না, চাই দেশের স্বাধীনতা।

ইয়াহিয়া বললেন, কয় কী ব্যাটা!

সাহস তো তার কম না!

প্রহসনের আলোচনায় ঢাকায় এলেন ইয়াহিয়া-ভুট্টো-

শেখ সাহেব জানতেন, এটা সময়ক্ষেপনের সূতো।

পঁচিশ মার্চের কাল-রাতে হানাদারবাহিনীর বর্বরোচিত

হামলা চালাল নিরস্ত্র ঘুমন্ত মানুষের ওপর;

বিধ্বস্ত হলো ঢাকা শহর; রক্তে ভাসল রাজপথ;

গ্রেপ্তার হলেন শেখ মুজিব; বাঙালি নিল যুদ্ধের শপথ।

একাত্তরে টানা নয় মাসের যুদ্ধের পর-

বাঙালি পেল স্বাধীন ভূখণ্ড; আর

বিশ্ব মানচিত্রে স্থান হল বাংলাদেশের।

বন্দিদশা থেকে মুক্ত হয়ে দেশে ফিরলেন বঙ্গবন্ধু

বললেন, এবার দেশকে সোনার বাংলায়

পরিণত করবো ভাই;

সবার আমি সহযোগিতা চাই।

হায়েনাদের আড়ালে বসে মুচকি হাসে-

দেশীয় ও আন্তর্জাতিক কুচক্রীমহল একসঙ্গে বসে-

বঙ্গবন্ধু সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করে-

তারা কৌশলে সরকারের অন্দরমহলে ঢুকে পড়ে।

জাসদের গণবাহিনী ও পূর্ববাংলা সর্বহারা পার্টি

দেশের সাধারণ মানুষের ঘুম হারাম করে।

তারপর সেই ষড়যন্ত্রের জাল ধীরে ধীরে-

ধানমন্ডি বত্রিশ নম্বরের বাড়িটিকে ঘিরে ফেলে।

পনের আগস্টের কালরাতে হায়েনাদের নির্মমতার

শিকার হন বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবার।

জাতির জনকের রক্তের ধারা সিঁড়ি বেয়ে-

নেমে আসে রাজপথে;

রক্তে রঞ্জিত হয় ঢাকা-

যেন আরেক কারবালা!

শোকে স্তব্ধ হয় নগরীর গাছপালা তরুলতা-

হতবিহ্বল মানুষের মাতম ওঠে চারদিকে;

সেই মাতম ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে

দেশের সীমানা পেরিয়ে বিশ্বের দরবারে।

পিতাকে হত্যার দায়ে কলঙ্কিত হলো বাঙালি-

বিশ্ববাসী বলল, তোমার বিশ্বাসঘাতক জাতি!

ক্ষমা করো পিতা; ক্ষমা করো!

বাঙালি তোমায় ভুলবে না কোনোদিন;

একদিন শোধ দেবো তোমার রক্তের ঋণ।

এই দেশ যতদিন থাকবে,

ততদিনই তোমার রক্ত বহমান থাকবে-

প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে।

 

 

 

রচনাকাল : ১৩ আগস্ট ২০২১।

Header Ad
Header Ad

পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে ৭টি অস্ত্রবাহী বিমান পাঠালো তুরস্ক

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের সঙ্গে সম্ভাব্য যুদ্ধের আশঙ্কায় পাকিস্তানকে সরাসরি সামরিক সহায়তা দিচ্ছে তুরস্ক। ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ইতোমধ্যে তুরস্ক থেকে সাতটি অস্ত্রবাহী সামরিক বিমান পাকিস্তানে পৌঁছেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৭ এপ্রিল তুরস্কের বিমান বাহিনীর একটি হারকিউলিস সি-১৩০ কার্গো বিমান করাচিতে অবতরণ করে, যাতে নানা ধরনের সামরিক সরঞ্জাম ছিল। এ ঘটনাকে তুরস্কের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের জন্য বৃহত্তর প্রতিরক্ষা সহায়তার অংশ হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে।

শুধু একটি বিমানই নয়, ইসলামাবাদের সামরিক ঘাঁটিতেও তুরস্কের আরও ছয়টি কার্গো বিমান অবতরণ করেছে, যেগুলোতেও সামরিক সরঞ্জাম ছিল বলে নিশ্চিত করেছে তুর্কি ও পাকিস্তানি সূত্র।

টাইমস অফ ইন্ডিয়া বিশ্লেষণ করে বলছে, ভারত-অধিকৃত কাশ্মীরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক হামলার ঘটনার পর দিল্লি ও ইসলামাবাদের মধ্যে বেড়ে চলা উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে তুরস্কের এই পদক্ষেপ এসেছে।

তুরস্কের পাশাপাশি পাকিস্তান চীনের সঙ্গেও সামরিক সম্পর্ক জোরদার করছে। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে চীন প্রায় ৪০টি দেশে অস্ত্র রপ্তানি করেছে, যার মধ্যে ৮২ শতাংশেরও বেশি অস্ত্র গেছে পাকিস্তানে।

এদিকে, ভারতের সাথে যুদ্ধ শুরু হলে পাকিস্তানের পক্ষে লড়াই করার ঘোষণা দিয়েছে খালিস্তানপন্থী শিখরা। খালিস্তানি নেতা গুরপাতওয়ান্ত সিং পান্নু হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, যুদ্ধ বাধলে দুই কোটি শিখ পাকিস্তানের পক্ষে অপ্রতিরোধ্য দেয়াল হয়ে দাঁড়াবে এবং ভারতীয় সেনাদের পাঞ্জাব পার হতে দেওয়া হবে না। পান্নু আরও দাবি করেন, ভারতের বিজেপি সরকার রাজনৈতিক স্বার্থে কাশ্মীরে হামলার নাটক সাজিয়েছে এবং হিন্দুদের হত্যা করে নির্বাচনী ফায়দা তুলতে চাইছে।

তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে সতর্ক করে বলেন, ইন্দিরা গান্ধীর পরিণতি তাদেরও হতে পারে।

Header Ad
Header Ad

বিএনপির ৩ সংগঠনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠন—জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল—আগামী ৯ মে থেকে ২৮ মে পর্যন্ত দেশজুড়ে বিভাগীয় পর্যায়ে সেমিনার ও সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সোমবার (২৮ এপ্রিল) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কর্মসূচি ঘোষণা করেন যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না।

তিনি জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় তিন সংগঠন সম্মিলিতভাবে ১০টি সাংগঠনিক বিভাগকে ৪টি বৃহত্তর অঞ্চলে ভাগ করে এ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। উদ্দেশ্য হলো—তরুণদের ক্ষমতায়ন, রাষ্ট্রীয় নীতিনির্ধারণে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা এবং একটি আধুনিক, মানবিক বাংলাদেশ নির্মাণে তরুণ প্রজন্মের মতামত ও চিন্তা সংগ্রহ করা।

প্রথম দিন: "তারুণ্যের ভবিষ্যৎ ভাবনা, ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ" শীর্ষক সেমিনার।
দ্বিতীয় দিন: "তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ"।

সেমিনারে তরুণ প্রতিনিধি, শিক্ষার্থী, চিন্তাবিদ ও উদ্যোক্তারা কর্মসংস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, প্রযুক্তি, পরিবেশ ও রাজনৈতিক অধিকারসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করবেন। এ কর্মসূচি বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফা রূপরেখা ও তারেক রহমানের রাজনৈতিক দর্শনের আলোকে পরিচালিত হবে।

চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা বিভাগ:
▪ ৯ মে — কর্মসংস্থান ও শিল্পায়ন নিয়ে সেমিনার
▪ ১০ মে — তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ

খুলনা ও বরিশাল বিভাগ:
▪ ১৬ মে — শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও মৌলিক অধিকার নিয়ে সেমিনার
▪ ১৭ মে — তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ

রাজশাহী ও রংপুর বিভাগ:
▪ ২৩ মে — কৃষি উন্নয়ন, পরিবেশ রক্ষা ও নাগরিক সমস্যা নিয়ে সেমিনার
▪ ২৪ মে — তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ

ঢাকা, ফরিদপুর, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগ:
▪ ২৭ মে — তরুণদের অর্থনৈতিক মুক্তি ও রাজনৈতিক ভাবনা নিয়ে সেমিনার
▪ ২৮ মে — তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ

মোনায়েম মুন্না বলেন, এই কর্মসূচিগুলোর মাধ্যমে তরুণদের প্রত্যাশা, মতামত ও ভাবনাকে রাজনৈতিক নীতিতে যুক্ত করে একটি জনমুখী, অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্র গঠনের পথ তৈরি করবে বিএনপি।

Header Ad
Header Ad

পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

দেশের পাঁচটি জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার ও সোমবার (২৭ ও ২৮ এপ্রিল) দেশের বিভিন্ন স্থানে এসব মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। কুমিল্লার মুরাদনগর ও বরুড়া উপজেলায় চারজন, কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও মিঠামইনে তিনজন, নেত্রকোনার কলমাকান্দা ও মদনে দুজন, সুনামগঞ্জের শাল্লায় একজন এবং চাঁদপুরের কচুয়ায় একজন প্রাণ হারিয়েছেন।

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার পূর্বধইর পূর্ব ইউনিয়নের কোরবানপুর পূর্বপাড়া এলাকায় ধান কাটতে গিয়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বজ্রপাতে দুজন কৃষক নিহত হন। নিহতরা হলেন নিখিল দেবনাথ (৫৮) ও জুয়েল ভূঁইয়া (৩০)।

একই জেলার বরুড়া উপজেলার খোসবাস উত্তর ইউনিয়নের পয়েলগচ্ছ গ্রামে দুপুর ১২টার দিকে ঘুড়ি ওড়ানোর সময় বজ্রপাতে মারা যায় দুই কিশোর—মোহাম্মদ জিহাদ (১৪) ও মো. ফাহাদ (১৩)। এ সময় আবু সুফিয়ান (সাড়ে ৭) নামের একটি শিশু আহত হয় এবং তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে খয়েরপুর আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের হাওরে ধান কাটার সময় সকালে বজ্রপাতে প্রাণ হারান দুই কৃষক—ইন্দ্রজিৎ দাস (৩০) ও স্বাধীন মিয়া (১৫)। একই সময়ে মিঠামইন উপজেলার শান্তিগঞ্জ হাওরে ধানের খড় শুকাতে গিয়ে বজ্রপাতে নিহত হন ফুলেছা বেগম (৬৫) নামের এক নারী।

নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের ধনুন্দ গ্রামে রবিবার রাত ১০টার দিকে বজ্রপাতে আহত হয়ে পরে হাসপাতালে মারা যান দিদারুল ইসলাম (২৮)। তিনি একটি ইফতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন।
আজ সকাল ৭টার দিকে মদন উপজেলার তিয়োশ্রী গ্রামে মাদ্রাসাগামী শিশু মো. আরাফাত (১০) বজ্রপাতে মারা যায়।

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার আটগাঁও গ্রামের বুড়িগাঙ্গাল হাওরে গরু চরাতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান রিমন তালুকদার। তিনি শাল্লা ডিগ্রি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার নাহারা গ্রামে সকালে বজ্রপাতের বিকট শব্দে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান বিশাখা রানী (৩৫)। তিনি কৃষক হরিপদ সরকারের স্ত্রী। চিকিৎসক জানান, বজ্রপাতের সরাসরি আঘাতের কোনো চিহ্ন ছিল না, শব্দের প্রভাবে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে ৭টি অস্ত্রবাহী বিমান পাঠালো তুরস্ক
বিএনপির ৩ সংগঠনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু
জামিন পেলেন মডেল মেঘনা আলম
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করলো সরকার
নিরীহ কাউকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না: আইজিপি
পাকিস্তানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস
ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকির অভিযোগ দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি