সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

একটি ছোট গল্প

একটি ছেলে যার ছিল অনেক স্বপ্ন। অনেকের সঙ্গে বন্ধুত্ব করবে সে। ছেলেটি খুব ভালো। নম্র-ভদ্র স্বভাবের, কারো সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে না, লেখাপড়ায়ও ভালো। অন্যদিকে ক্যারিয়ার সচেতন, মা-বাবার খেয়াল রাখে, সমাজে সকলেই তাদের ভালো ছেলে হিসেবে জানে।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই ভালো ছেলেগুলোর প্রেমিকা হয় না। বা প্রেমিকা হলেও সম্পর্ক স্থায়ী হয় না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মন ভাঙার যন্ত্রণা ছেলেটি একা বহন করে বেড়ায়। কেন হয় এমন? তা সে জানে না।

একাকীত্ব থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য তার ফেসবুকে আইডি খোলা। তার নাম ছিল ধ্রুব। সে স্কুলে খুব চুপচাপ থাকতো। স্কুলে ছিল তার অনেক বন্ধু। কিন্তু সবাই ছিল ছেলে। কোনো মেয়ের সঙ্গে তার বন্ধুত্ব হয়নি। ফেসবুক আইডি খুলেছে সে ২০১৬ সালে। তখন সে প্রতিদিন সাইবার ক্যাফেতে গিয়ে ফেসবুক ব্যবহার করতো। সে কখনো ভাবেনি যে তার আজ এই পরিস্থিতির সম্মুখিন হতে হবে। তখন তার ফেসবুক আইডিতেও কোনো মেয়ে বন্ধু ছিল না। ঈদের ছুটিতে নানা বাড়ি যায় সে। জানতে পারে যে তার মামাতো ভাইয়ের ফেসবুক আইডি আছে। ভাইকে তার ফ্রেন্ডলিস্টে অ্যাড করল সে। তার ভাই তাকে পরিচয় করিয়ে দিলো তার অনেক বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে। সঙ্গে তার জিএফ এর সঙ্গে ও। ধ্রুব তার মামাতো ভাই এর জিএফ-কে ভাবি বলে ডাকতো ফেসবুকে। সামনাসামনি তাদের এখনো দেখা হয়নি। ধ্রুব অনেক দুস্টামি করতো তার ভাবির সঙ্গে। হঠাৎ একদিন তার ভাবি তাকে বলল তোমার জি এফ নাই। সে সরাসরি উত্তর দি লো না। ওর ভাবি একজন এর প্রফাইল লিঙ্ক দিয়ে বলল তোমার মতো আমার এই বান্ধবীটিও একা। ধ্রুব তাকে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠায়। মেয়েটি এক্সেপ্ট করে। তার নাম তানি। তাদের মধ্যে অনেক দিন কথা হয়। তানি কে তার খুব ভালো লেগে যায়।

কিন্তু সাহস হয়নি কখনো বলার। এমন করে অনেক দিন কেটে গেল। ধ্রুবর এইচএসসি পরীক্ষা এসে পড়ে। পরীক্ষার আগে একদিন সাহস করে তানি কেতার ভাললাগার কথা বলে। তানি ৩ দিন এর সময় নেয়। সময় নিয়ে সে আর আসে না। ৩ দিনের জায়গায় ১৫ দিন পার হয়ে যায়; কিন্তু তানি এখনও অনলাইনে আসেনি। আমি আমার বিশ্বাস হারিয়ে ফেলি। তানিকে পাব না বলে ধরে নিলাম। তখন এত কষ্ট লাগেনি। ৩ সপ্তাহ পর একদিন দেখি তানি অনলাইনে। আমি তাকে কিছু বললাম না। সে আমাকে বলল, আমি তোমার প্রোপজাল আমি এক্সেপ্ট করলাম। আমি তখনও এত খুশি হয়নি। আমি তানিকে জিজ্ঞাসা করলাম, এতদিন কোথায় ছিলে?

তানি–হ্যাঁ, বলব না কি না বলব, তা চিন্তা করতে করতে আমার জ্বর এসে গিয়েছিল। তাই আস্তে পারিনি। এরপর থেকে অনেক কথা হতো আমাদের। এইচএসসি পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর একটি মোবাইল কিনলাম। (আগের মোবাইলটা আম্মুর ছিল) তানি আর আমি এবার মোবাইলে কথা বলেই দিন কাটিয়ে দিতাম। এভাবে ৪/৫টা মাস পার হয়ে গেল।

তানির বাসা বরিশাল, আমার বাসা তখন ভোলায়। আমাদের দেখা করার সুযোগ ছিল না। হঠাৎ একটিন দেখা করার সুযোগ হয়ে গেল। তানি তারিখ ফিক্সড করে জানায়। আমদের সুন্দরভাবে দে খা ও হয়। আমার জীবনের এইদি নটি অতি গুরুত্বপূর্ণ। আমি অন্য দিনের কথা ভুললেও এইদিনের কথা ভুলবো না। জীবনে এই প্রথমবার সরাসরি কোন সমবয়সী মেয়ের সঙ্গে কথা বলছি তারপর আবার আমি তাকে ভালবাসি। তখন জানি না আমি কোন দেশে হারিয়ে গিয়ে ছিলাম। একে অন্যের হাত ধরে অনে ক্ষন বসেছিলাম। অনেক একে অন্যের চোখের দিকে তাকিয়ে আছি। তারপর দিন সে বাসায় চলে গে ল। আমার খুব দুঃখ হচ্ছিল যখন তানি চলে যাচ্ছিল।

মোবাইলে কথা বলতাম। তারপরও কেমন জানি লাগতো আমার। শুধু দেখা করতে ইচ্ছা করত। হঠাৎ একদিন তানির কোনো খোঁজখবর নেই। কল ধরে না। কলও করে না। আমি তো খুব চিন্তিত। ৮ দিন পর কল এলো তার নাম্বার থেকে। কিন্তু কন্ঠটা তার না। কান্না কান্না কন্ঠে সে মেয়েটি বলল, ভাইয়া, আপু আর নেই। আমি প্রথমে বঝুলাম না, কি বলতে চাইছে। জিজ্ঞাসা করলাম, সে কে? উত্তর আসলো সে তানির ছোট বোন। তানি কোথায় জিজ্ঞাসা করতেই উত্তর দিল আপু আর পৃথিবীতে নেই। এ কথা বলেই কেঁদে দিলো। আমার মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়লো। আমি আবার বরিশাল যাওয়ার অনেক চেষ্টা করলাম কিন্তু পারলাম না।

আবার অই নাম্বারে কল দিলাম। জিজ্ঞাসা করলাম কীভাবে মারা গেল। বলল ৯ দিন আগে এক্সিডেন্ট হয়েছিল। গতকাল কথাও বলেছে। কিন্তু আজ সকাল ৭টা থেকে আবার আগের অবস্থায় ফিরে গেল। অবস্থা খারাপের পথে যেতে থাকে এবং ১১টার দিকে মারা যায়। আমার জীবনে এত দুঃখ কখনো পাইনি। অনেক কষ্টে দিন কাটাচ্ছিলাম। হঠাৎ একদিন তানির নাম্বার থেকে ১টা মেসেজ আসলো, যা পাঠিয়েছে তার ছোট বোন। লেখা ছিল, ভাইয়া, ওই দিন আমি আপনাকে সব কথা বলতে পারিনি। আপু আমার কাছে আপনার জন্য একটা মেসেজ দিয়ে গিয়েছিল। মেসেজটা হলো, ‘আমার মনে হয় চলে যেতে হবে। তুমি আমার জন্য
কাঁদবে না। আমার মতো অথবা আমার থেকে আর ভালো কাউকে পেলে জীবন সাথী করে নিও। আমার কথা মনে করে কখনও কাঁদবে না, মন খারাপ করবে না। যদি বেঁচে থাকি, তাহলে দেখা হবে ইনশাল্লাহ।’

এই মেসেজের পর আমার আরও কান্না পেল। কষ্ট নিয়ে কাটিয়ে দিলাম এতটা দিন। তবে দুঃখটা আরও বেড়ে গেল গত মাসের ২৮ তারিখ। আমি আমার বন্ধু জিতু, নাইম, পাবেলের সঙ্গে অনেক্ষণ আড্ডা করে বাসায় ফিরলাম; কিন্তু ঘরে ঢুকতেই কারেন্টটা চলে গেল। আমি আবার আড্ডা দেওয়ার স্থানে গিয়ে বসলাম। ঠিক তখনি আমি দেখতে পেলাম

আমার সামনে একটি গাড়িতে বসে আছে তানি। আমি আমাকে বিশ্বাস করতে পারলাম না। তখনি আমি আমার মোবাইল থেকে তানির নাম্বার এ মিস কল দিলাম। দেখলাম ওই মেয়ে টা তার মোবাইলটি হাত এ নিলো। আমি আবার মিস কল দিলাম। আবার সেই মেয়েটি মোবাইল হাতে নিলো। আমি পুরো নিরুত্তর হয়ে গেলাম, এটা তানি। আমি অনেক্ষণ তার দিকে তাকিয়েছিলাম আর কাঁদছিলাম। হঠাৎ বঝুলাম তানি ও আমাকে দেখেছে। সে গাড়ি থেকে বের হয়ে এলো। আমি মনে করেছিলাম ও আমার দিকে আসবে; কিন্তু না সে তার গাড়ি তে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে রইলো আর আমার দিকে তাকিয়ে রইলো। তানিকে দেখে তখন আমার খুব ঘেন্না হচ্ছিল। আমার সঙ্গে অনেক খারাপ কাজ করেছে সে। আমি ওই স্থান থেকে সঙ্গে সঙ্গে চলে এলাম। চলে আসার সময় আমি পেছন ফিরে তাকালাম। দেখলাম সে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।

এসএ/

Header Ad
Header Ad

পাকিস্তানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস

ছবি: সংগৃহীত

কাশ্মিরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ভারত এখন পাকিস্তানে সামরিক পদক্ষেপের প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইতিমধ্যে বিশ্বের এক ডজনেরও বেশি দেশের নেতাদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন এবং দিল্লিতে কূটনৈতিকদের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছেন। তবে এসব আলোচনা মূলত অভিযানের যৌক্তিকতা তুলে ধরতেই হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।

কাশ্মির সীমান্তে দুই দেশের মধ্যে গুলিবিনিময় অব্যাহত রয়েছে। কাশ্মিরে ব্যাপক ধরপাকড় চলছে এবং শত শত মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অতীতের সন্ত্রাসবাদে জড়িত থাকার ইতিহাস তুলে ধরলেও এবারকার হামলায় সরাসরি জড়িত থাকার প্রমাণ এখনো প্রকাশ করেনি। পাকিস্তান সরকার সব ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন, যেহেতু ভারত ও পাকিস্তান উভয়েই পরমাণু শক্তিধর দেশ, তাই সামরিক সংঘাত বড় ধরনের বিপর্যয়ে রূপ নিতে পারে।

ইরান ও সৌদি আরব মধ্যস্থতার চেষ্টা করছে। যুক্তরাষ্ট্র প্রকাশ্যে ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ের প্রতি সমর্থন জানালেও, দক্ষিণ এশিয়ার প্রতি তাদের মনোযোগ সীমিত বলেই মনে করা হচ্ছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০১৯ সালের ঘটনার তুলনায় এবার প্রমাণের স্বচ্ছতা কম, আর “রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট” নামে একটি অজ্ঞাত গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করলেও ভারত এটিকে পাকিস্তানভিত্তিক সংগঠনের ছায়া গোষ্ঠী বলে মনে করছে।

ভারতীয় সরকারের ওপর অভ্যন্তরীণ চাপ রয়েছে এবং মোদি সরকার “বড় ধরনের কিছু” করার পরিকল্পনায় এগোচ্ছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ জানিয়েছেন, রাজধানীর প্রধান সড়কগুলো থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা সরাতে শিগগিরই অভিযান চালানো হবে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) মিরপুর পল্লবীতে রাস্তা, ফুটপাত ও নর্দমা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

এজাজ জানান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ইতোমধ্যে অবৈধ অটোরিকশা তৈরির ওয়ার্কশপ ও চার্জিং স্টেশনের তালিকা প্রস্তুত করেছে। তালিকাভুক্ত স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে শিগগিরই যৌথ অভিযান চালানো হবে।

এছাড়া, ডিএনসিসি প্রশাসক আবাসিক এলাকাগুলোতে অবৈধ অটোরিকশা ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধে বাড়ির মালিক সমিতিগুলোকেও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে তিনি জলাধার রক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে নাগরিকদের জমি কেনার আগে মৌজা ম্যাপ যাচাই করার অনুরোধ জানান।

পল্লবীর ইস্টার্ন হাউজিং এলাকার উন্নয়নের বিষয়ে তিনি বলেন, সাতটি প্যাকেজে রাস্তা, নর্দমা ও ফুটপাত নির্মাণ শেষ হলে এলাকাটির জলাবদ্ধতা কমবে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে। পাশাপাশি বর্ষায় বড় গাছ লাগিয়ে এলাকা সবুজায়নের উদ্যোগ নেয়ারও আহ্বান জানান তিনি।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকির অভিযোগ দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে (ভিডিও)

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর কমান্ড্যান্টের কাছে চাঁদা দাবী করার অভিযোগ উঠেছে দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে। চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকিও দেয়া হয়েছে।সম্প্রতি তাদের কথোপকথনের একটি কল রেকর্ড ফাঁস হয়েছে।

অভিযুক্তরা হলেন রেলপথ মন্ত্রনালয়ের ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসান এবং রেজাউল করীম। 

ভাইরাল হওয়া ওই কল রেকর্ড থেকে জানা যায়, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর চট্টগ্রাম বিভাগের কমান্ড্যান্ট মো. শহীদ উল্লাহর কাছে ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয় ওই ২ সমন্বয়ক। তবে এটি করবে না যদি বর্তমানে ঢাকায় কর্মরত রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর কমান্ড্যান্ট মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম তাদের দাবীকৃত টাকা তাদের বুঝিয়ে দেয়।

এ বিষয়ে কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলামের সাথে এর আগেও বেশ কয়েকবার আলোচনা হয়েছিল ওই দুই সমন্বয়কের।

রেকর্ডে শোনা যায়- কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলাম ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসানকে বলছেন, ‘‘আমি তো ওইদিন আপনার সামনেই বললাম কোর্টের মধ্যে থেকে যে টাকাটা জমা হয় ওইটা তোলার জন্য। ওইটা না হলে দুই লাখ টাকা দিতে পারবো না, আমার কোন ইনকাম সোর্সও নাই। কমান্ড্যান্ট মো. শহীদ উল্লাহর যেহেতু বলছে তার কাছ থেকে দশ লাখ টাকা নিয়া নেন। সে মাত্র গেছে।’’

ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী বলছে, না। ‘‘সমস্যা নেই আপনার সাথে যে কথা হয়েছে নির্জন (রেজাউল ইসলামের ডাক নাম) ভাইয়ের, ওইটা দিলেই হবে। তাহলে ওইটা হচ্ছে কবে? কালকে?’’

শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘কোর্ট থেকে টাকাটা উঠানোর সাথে সাথে আমি দিয়ে দিবো। যদিও আমার কষ্ট হইতেছে। কারণ এর বাইরে তো আমার কাছে টাকা নেই।’’

এরপর মেহেদী ফোন ধরিয়ে দেয় আরেক ছাত্র সমন্বয়ক রেজাউলকে, ফোন দিয়ে বলে শফিক ভাই কথা বলবে। এরপর মেহেদী তার মুঠোফোনটি রেজাউলকে দিয়ে দেয়।

এ সময় শফিকুল ইসলাম রেজাউল করীমকে বলেন, ‘‘ভাই কালকে তো আপনার রেস্ট হাউজে গেলাম। গিয়ে বললাম না, আমি কি কালকে আসবো? কোর্টের বেঞ্চ সহকারী বললো আমি লিখে একাউন্টে পাঠাইছি। আমি জানাবো, জানালে আপনি আসবেন, আজকে এখনো জানায়নি কোর্টে যাওয়ার জন্য। জানাইলে আমি আসবো।’’

ছাত্র সমন্বয়ক রেজাউল বলছে- ‘‘এখন ভাই আপনি দেখেন , ওইটা আমার কাছে কিছু বইলেন না। কোন বিষয় কি করবেন। সেইটা আপনার বিষয়। আপনি যেমন বলেছেন সেইটাই করা হয়েছে। এখন কিভাবে কি করবেন সেটা আপনার বিষয় ?’’

এদিকে ফাঁস হওয়া কল রেকর্ড সম্পর্কে জানতে চাইলে কমান্ড্যান্ট মো. শফিকুল ইসলাম বলেন- হ্যাঁ, ওই কল রেকর্ডটি আমাদের। আমাকে কমলাপুর রেস্ট হাউজে ডেকে নিয়ে ৫ লক্ষ টাকা চেয়েছিলো ছাত্র প্রতিনিধি রেজাউল।

তিনি আরো বলেন, রেজাউল আমাকে বলেছিলো উপদেষ্টাকে আমরা যা বলি, উপদেষ্টা তাই শোনে। চট্রগ্রামে উপদেষ্টা যখন গিয়েছিলো তখন কমান্ড্যান্ট শহীদুল্লাহ শহীদ ঢাকায় আসার জন্য আমাদের কাছে ১০ লক্ষ টাকা অফার করেছে। আপনি ৫ লক্ষ টাকা দিলে আপনাকে ঢাকাতে রাখবো। না হয় শহীদুল্লাহকে নিয়ে আসবো।

তিনি আরো বলেন, ‘আমি এই ঘটনার স্বাক্ষী প্রমান রাখার জন্য প্রথমে রাজি হয়ে যাই, এক লক্ষ টাকা বলি এবং পরে দুই লক্ষ টাকা বলি। যোগাযোগ দীর্ঘায়িত করি তথ্য প্রমানের জন্য। আর এই রেকর্ডটি আমিই করি এবং অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে দেই। আজ (মঙ্গলবার) ডিজি মহোদয়ের সাথে সাক্ষাত করে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।’

এই ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী ও রেজাউলের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাদের সাথে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।

চাঁদা দাবির বিষয়ে ছাত্র প্রতিনিধি আশিকুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা সকলেই একটি টিমে কাজ করি। আমি চাঁদা চেয়েছি এমন প্রমাণ কেউ দিতে পারবে না। আমি মেহেদী ও রেজাউলের সাথে জড়িত নই।

তবে কমান্ড্যান্ট মো. শফিকুল ইসলাম জানান- ‘আশিকুর রহমান, মেহেদী ও রেজাউলের যোগসাজসে এই চাঁদা দাবি করা হয়েছে।’

সংবাদ সূত্র: রেল নিউজ ২৪

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পাকিস্তানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস
ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকির অভিযোগ দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ