সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ভালোবাসার কথা বলা হলো না

নীরস শীতকালটা কিছুতেই যাচ্ছে না, অথচ বসন্ত প্রহর গুনছে চারপাশটা রাঙিয়ে দিবে বলে। পাখিদের কোলাহলমুক্ত নিস্তব্ধতায় গাছের পাতাগুলোও যেন অলসতা ভেঙ্গে দোল খেতে প্রস্তুত নয়। সূর্যের আলো তেজহীন। ক্লান্ত এই বিকেলে মোটা হুডির দুই পকেটে হাত বুজে অ্যাডওয়ার্ড পার্কের মূল ফটকের সম্মুখ বেঞ্জে পায়ের ওপর পা রেখে বসে আছে আবির। মাঝে মাঝে সাদা হুডির পকেট থেকে বাম হাতটি বের করে সে তার ঘড়ির কাঁটায় নজর দিচ্ছে। মেঘাচ্ছন্ন আকাশে চারপাশটা অন্ধকার হলেও সানগ্লাসে ঢাকা পড়ে আছে চোখ দুটো। বেঞ্চের এক কোনে নব যৌবনা পাপড়ি পুলকিত গোলাপ-রজনীগন্ধার স্তবক অপেক্ষা করে আছে নারী হাতের স্পর্শ পাওয়ার জন্য। ৩টা বাজতে এখনো ১ ঘণ্টা বাকি। নিজের মনের মধ্যে শব্দের পর শব্দ রঙ তুলির মতো সাজিয়ে রেখেছে আবির। মাঝে মাঝে বাতাসের তালে সেগুলো ঠোঁটের শীর্ষে এনে বিরবির করে চর্চাও করছে। আজ বসন্তকে যে ভাবেই হোক ভালোবাসার কথা বলতে হবে। বদ্ধ দরজায় দীর্ঘদিনের লালিত অনুভূতিকে অবমুক্ত করতে হবে। এ কথা ভাবতেই আবিরের শরীরে বিদ্যুৎ তরঙ্গ খেলে যাচ্ছে। ঠান্ডা শৈত্যের ভিতরেও তা গুমোট করে তুলছে দেহ। হৃদস্পন্দন বেড়ে হাত-পা গুলো তার কাঁপছে।


আবির এবং বসন্ত দুজন একই বিশ্ববিদ্যালয় পড়ে, রোজ দেখাও হয় দুজনার। কিন্তু আজকে যে অনুভূতি আবিরের সমস্ত শরীরকে আন্দোলিত করে তুলেছে, সে অনুভব তার আগে কখনো হয়নি। বন্ধুত্বের জায়গাটিকেই আবির সবসময় গুরুত্ব দিয়েছে। এখন তা ভালোবাসার আম্রকাননে রূপ নিয়েছে। মনের ভিতর ভালোবাসার কথা চেপে রাখার সর্বাপেক্ষা কঠিন কাজটিই পাথর মনে বেয়ে বেড়াচ্ছে আবির। অপেক্ষা এই ভালোবাসাকে অনন্ত গভীর করে তুলছে। বসন্ত এখন তার কাছে কোন সাধারণ মেয়ে নয়, সেতো আবিরের মন সওগাতের রাণী।

দুই

দূর রাস্তায় রিকসায় সাদা শাড়ি পড়ে একটা মেয়েকে দেখা যাচ্ছে। ফর্সা গোলগাল মুখখানা মেঘযুক্ত আকাশের নির্বিশ আলোতেও চক্কর দিচ্ছে। রিকসায় যত কাছে আসছে সেই চেহারাও যেন চাঁদের ন্যায় পূর্ণতা পেয়ে পূর্নিমার রূপ ধারণ করছে। অন্ধকার মেঘাচ্ছন্ন দিনে তার দ্যুতি চারিদিকে শোভা ছড়িয়ে আলোকিত করছে আবিরের মনকে।

রিকসা থেমে বসন্ত নামতেই আবির টাকা দিয়ে রিকসাওয়ালাকে বিদায় দিলো। বসন্ত তার নরম ঢেউ আঁকা ঠোঁট দু'টিতে মুচকি হেসে দুুুষ্টুমির সুরে বলে উঠলো, আজ সকাল থেকে বুঝতে পাচ্ছি না সূর্য কোন দিকে উঠেছে!

ডাগর আঁখি দুইটির মাঝখানে ছোট্ট টিপটি যেন বসন্তের মুচকি হাসিকে কাশবনের নির্মল শুভ্রতাকেও হার মানায়, তাতে নিবিষ্ট আবিরের চোখ দুটি কিছুতেই ফেরানো দায়। সুন্দর এই নারী অবয়বে এক দৃষ্টে বেলা পার নিরর্থক নয়। আবিরের মুখে কোন ভাষা নেই। বুলি না ফোটা নবজাতক শিশুর মতোই প্রতিদিনের চঞ্চল ছেলেটির চোখে আজ যেন মায়া ঝরে পড়ছে। তার ঠোঁটগুলো এক পবিত্র বাক্য বলার জন্য নিরব প্রহর গুনছে।

আবিরের মায়া মলিন চেহেরা দেখে বিস্মিত সুরে বসন্ত বলে উঠলো, আবির, কিছু হয়েছে তোর?
—কই নাতো
—তাহলে এভাবে ডিগডিগ করে তাকিয়ে আছিস যে!

আবির ইতস্তত হয়ে উত্তর দিল, দেখছিলাম।
—কি?
—তোকে
—রোজই তো দেখিস। আচ্ছা, তুই কি কোন বিষয়ে চিন্তিত?
প্রশ্ন করতেই বসন্তের দৃষ্টি বেঞ্জের এক কোনায় গিয়ে পড়লো। সেখানে তাজা সতেজ ফুলগুলোর ওপর তার দৃষ্টি নিবিষ্ট হলো।
'এইগুলো তোর?'
'না'
'তাহলে এখানে কেন?'
'কেউ হয়তো ফেলে গেছে'
বসন্ত ফুলগুলো হাতে নিল। গোলাপগুলো মুখের কাছে এনে দীর্ঘ নিশ্বাস তুলে ঘ্রাণযুক্ত স্বরে বললো, আহারে বেচারা, ভালোবাসার দিনে ফুলগুলো এভাবে অযত্নে ফেলে যায় কেউ?
—হয়তো গার্লফ্রেন্ডের সাথে কেউ ঝগড়া করে ফেলে গেছে
—কিন্তু ঝগড়া করলে তো ফুলগুলো এমন অক্ষত থাকতো না। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী একটা অবস্থা বোঝা যেত।
বলেই বসন্ত হেসে উঠলো।
'সে যাই হোক বসন্তর এতো ভাবার সময় নেই, বসন্ত যখন এসে গেছেই, তখন সে ফুলের শোভায় শোভিত হবেই'
বসন্তের কথাগুলো শুনে আবিরের পা গুলো যথারীতি কাঁপতে শুরু করেছে। সমুদ্রের জলচ্ছ্বাসের মতো বড় বড় তরঙ্গ এসে আছড়ে পড়ছে তার মনে। এতো প্লাবনেও সে নিজেকে অনড় রাখলো। মৃদু স্বরে বলে উঠলো, বসন্ত, সামনে যাবি? চল না এগোয়?
বসন্ত মৃদু বাতাসে ছড়িয়ে যাওয়া শাড়ির আঁচল এক হাতে বুজে নিল, অন্যহাতে ফুলগুলো শক্ত করে ধরে পা বাড়িয়েই বললো, চল।

তিন

শীতের রুক্ষতা কাটিয়ে বসন্ত প্রকৃতিকে নবরূপে সাজাতে এসেছে। আবিরের পাশে সমকদমে হেঁটে চলা মেয়েটিও মৃদু শীতল হাওয়ায় তার রূপটাকে উজার করে দিয়েছে। হিমেল হাওয়ায় তার সামনের বাধাহীন দু চারটি চুল মুখ বেয়ে ঠোঁটের ওপর, আশেপাশে এলোমেলো উড়ছে, বসন্ত আঙুল দিয়ে ব্যস্ত হাতে তা বারবার মাথায় গুজে দিচ্ছে। আবিরকে দেখে তার খুব চিন্তা হচ্ছে একইসঙ্গে সন্দেহও। হাঁটার ফাঁকে ফাঁকে বসন্ত আবিরের দিকে তাকিয়ে এক নতুন মানুষকে আবিষ্কার করছে। এই আবির বসন্তের চেনা কেউ না। কোনো অপরাধ করে অনুশোচনাকারী অনুতপ্ত এক ছেলে। যে কিনা প্রতিটা কদমে নির্দোষ হবার অংক কষছে।
—কিরে কিছু বলছিস না যে!
—বলছি তো
—কই, তুই তো চুপ করে আছিস
আবির রাস্তা থেকে দৃষ্টি উঠিয়ে বসন্তের দিকে তাকালো। মুচকি হেসে আবার সামনের দিকে দৃষ্টি ফেরালো।
—তোর হাঁটতে সমস্যা হচ্ছে?
—আমি যে হাঁটতে পটু সেইটা তুই ভালোভাবেই জানিস।
—না, আজ শাড়ি পড়েছিস তাই বললাম। শাড়ি পড়ে হাঁটতে তো মেয়েদের সমস্যা হয়।
—বাহ, মেয়েদের সমস্যার বিষয়ে দেখছি ভালোই খোঁজ রাখিস।
আবির কিছুটা লজ্জায় পড়ে গেল। এসব কথায় তার কখনোই সংকোচ হতো না। কিন্তু আজ সবকিছুতেই সে যেন এক অন্য মানুষ। চলতে চলতে তাদের অনেক পরিচিতদের সঙ্গে দেখা হয়। কেউ তাদের নিয়ে সন্দেহ করেনি। কারণ সবাই জানে আবির প্রেম করার মতো ছেলে না। বসন্তও আবিরকে কেবল বন্ধুর চোখেই দেখে।

চার

সন্ধ্যা নেমে আধার হলো। বসন্তের বাতাস যেন আরও সুঘ্রাণ নিয়ে আবিরের নাসিকা রন্ধ্রে প্রবেশ করছে। মনের মধ্যে জমিয়ে রাখা কথাগুলো তার এখনো বলা হয়নি। মাগরিবের আজানের ধ্বনিতে মখোরিত হলো দিকবিদিক। কানে বেজে ওঠার সাথে সাথে বসন্ত তার শাড়ির আঁচল বাঙালি মুসলমান নারীর মতো মাথায় তুলে নিল।
'আবির আমাকে একটু গাড়িতে উঠিয়ে দিতে পারবি, বাসায় ফিরতে হবে।'

আরেকটু সময় থাকার কথা আবির বলতে পারে না। কারণ আবিরের মন না পাওয়ার ভয়ে ভীত। বসন্তকে সে সর্বাঙ্গে চায়। বসন্ত যদি তার ভালোবাসা প্রত্যাখ্যান করে, তাহলে তার জীবন নির্জীবতায় ফিকে হয়ে যাবে। সে কখনোই তা চায় না। প্রকৃতির মতো আবিরও তার জীবনে বসন্তের ছোঁয়া চায়। বসন্তের সাথে কথা না বলে, বসন্তকে না দেখে আবিরের দিনে রাতের আধার নামবে না। তার চেয়ে বরং বসন্ত থাকুক, নিজের হয়েই না হয় থাকুক, আবিরের বন্ধু হয়ে থাকুক। বসন্তের রঙে রঙিন হওয়ার অপেক্ষা আরেকটু বাড়ুক। পাথর চাপা দিয়ে প্রত্যহ না পাওয়ার মাঝেই একটু করে পাওয়ার দু:খ তাকে বেয়ে বেড়াতে হবে এটা সে জানে।
বসন্তকে গাড়িতে তুলে দিয়ে এক দীর্ঘ নিশ্বাস ছেড়ে সে হুডির পকেটে দুই হাত বুজে। পাওয়া না পাওয়ার হিসেব মেলতেই চোখের কোণে জমে একবিন্দু অভিমান। দুচোখ মুছে নিজেই নিজেকে আড়াল করে বাসার পথে রওনা হয় আবির।

বাড়িতে পৌঁছে বসন্ত নিজেকে যেন কিছুতেই সামলাতে পারছে না। প্রকৃতিকে রাঙানোর বদলে বসন্ত আজ ঘরবন্দী। বর্ষার আকাশ নিপাতিত জল কণার মতোই বসন্তের চোখে মেঘ জন্মেছে। বসন্ত জানে যে ফুল সে হাতে করে এনেছে তা আবির তার জন্যই এনেছিল। কিন্তু ফুলগুলো যেভাবে তার পাওয়ার প্রত্যাশা ছিল, সেভাবে সে পায়নি। বসন্ত আজ আবিরের রঙে রঙিন হতে চেয়েছিল। কিন্তু সে একজন মেয়ে, একজন নারী। তার মনের কথা সে মুখ খুলে বলতে পারে না, বলতে পারেনি। অশ্রুসিক্ত চোখে ডাইরিটা খুলে তাই বসন্ত লিখে রাখলো, আজ তোমার পছন্দের রঙের সাদা শাড়িটা পড়েছিলাম। আমি তোমার হতেই গিয়েছিলাম, বসন্ত এসেছিল, তোমার ভালবাসার দিনে, কিন্তু আজও তুমি আমার হলে না।

 

Header Ad
Header Ad

পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে ৭টি অস্ত্রবাহী বিমান পাঠালো তুরস্ক

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের সঙ্গে সম্ভাব্য যুদ্ধের আশঙ্কায় পাকিস্তানকে সরাসরি সামরিক সহায়তা দিচ্ছে তুরস্ক। ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ইতোমধ্যে তুরস্ক থেকে সাতটি অস্ত্রবাহী সামরিক বিমান পাকিস্তানে পৌঁছেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৭ এপ্রিল তুরস্কের বিমান বাহিনীর একটি হারকিউলিস সি-১৩০ কার্গো বিমান করাচিতে অবতরণ করে, যাতে নানা ধরনের সামরিক সরঞ্জাম ছিল। এ ঘটনাকে তুরস্কের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের জন্য বৃহত্তর প্রতিরক্ষা সহায়তার অংশ হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে।

শুধু একটি বিমানই নয়, ইসলামাবাদের সামরিক ঘাঁটিতেও তুরস্কের আরও ছয়টি কার্গো বিমান অবতরণ করেছে, যেগুলোতেও সামরিক সরঞ্জাম ছিল বলে নিশ্চিত করেছে তুর্কি ও পাকিস্তানি সূত্র।

টাইমস অফ ইন্ডিয়া বিশ্লেষণ করে বলছে, ভারত-অধিকৃত কাশ্মীরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক হামলার ঘটনার পর দিল্লি ও ইসলামাবাদের মধ্যে বেড়ে চলা উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে তুরস্কের এই পদক্ষেপ এসেছে।

তুরস্কের পাশাপাশি পাকিস্তান চীনের সঙ্গেও সামরিক সম্পর্ক জোরদার করছে। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে চীন প্রায় ৪০টি দেশে অস্ত্র রপ্তানি করেছে, যার মধ্যে ৮২ শতাংশেরও বেশি অস্ত্র গেছে পাকিস্তানে।

এদিকে, ভারতের সাথে যুদ্ধ শুরু হলে পাকিস্তানের পক্ষে লড়াই করার ঘোষণা দিয়েছে খালিস্তানপন্থী শিখরা। খালিস্তানি নেতা গুরপাতওয়ান্ত সিং পান্নু হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, যুদ্ধ বাধলে দুই কোটি শিখ পাকিস্তানের পক্ষে অপ্রতিরোধ্য দেয়াল হয়ে দাঁড়াবে এবং ভারতীয় সেনাদের পাঞ্জাব পার হতে দেওয়া হবে না। পান্নু আরও দাবি করেন, ভারতের বিজেপি সরকার রাজনৈতিক স্বার্থে কাশ্মীরে হামলার নাটক সাজিয়েছে এবং হিন্দুদের হত্যা করে নির্বাচনী ফায়দা তুলতে চাইছে।

তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে সতর্ক করে বলেন, ইন্দিরা গান্ধীর পরিণতি তাদেরও হতে পারে।

Header Ad
Header Ad

বিএনপির ৩ সংগঠনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠন—জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল—আগামী ৯ মে থেকে ২৮ মে পর্যন্ত দেশজুড়ে বিভাগীয় পর্যায়ে সেমিনার ও সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সোমবার (২৮ এপ্রিল) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কর্মসূচি ঘোষণা করেন যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না।

তিনি জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় তিন সংগঠন সম্মিলিতভাবে ১০টি সাংগঠনিক বিভাগকে ৪টি বৃহত্তর অঞ্চলে ভাগ করে এ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। উদ্দেশ্য হলো—তরুণদের ক্ষমতায়ন, রাষ্ট্রীয় নীতিনির্ধারণে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা এবং একটি আধুনিক, মানবিক বাংলাদেশ নির্মাণে তরুণ প্রজন্মের মতামত ও চিন্তা সংগ্রহ করা।

প্রথম দিন: "তারুণ্যের ভবিষ্যৎ ভাবনা, ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ" শীর্ষক সেমিনার।
দ্বিতীয় দিন: "তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ"।

সেমিনারে তরুণ প্রতিনিধি, শিক্ষার্থী, চিন্তাবিদ ও উদ্যোক্তারা কর্মসংস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, প্রযুক্তি, পরিবেশ ও রাজনৈতিক অধিকারসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করবেন। এ কর্মসূচি বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফা রূপরেখা ও তারেক রহমানের রাজনৈতিক দর্শনের আলোকে পরিচালিত হবে।

চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা বিভাগ:
▪ ৯ মে — কর্মসংস্থান ও শিল্পায়ন নিয়ে সেমিনার
▪ ১০ মে — তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ

খুলনা ও বরিশাল বিভাগ:
▪ ১৬ মে — শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও মৌলিক অধিকার নিয়ে সেমিনার
▪ ১৭ মে — তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ

রাজশাহী ও রংপুর বিভাগ:
▪ ২৩ মে — কৃষি উন্নয়ন, পরিবেশ রক্ষা ও নাগরিক সমস্যা নিয়ে সেমিনার
▪ ২৪ মে — তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ

ঢাকা, ফরিদপুর, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগ:
▪ ২৭ মে — তরুণদের অর্থনৈতিক মুক্তি ও রাজনৈতিক ভাবনা নিয়ে সেমিনার
▪ ২৮ মে — তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ

মোনায়েম মুন্না বলেন, এই কর্মসূচিগুলোর মাধ্যমে তরুণদের প্রত্যাশা, মতামত ও ভাবনাকে রাজনৈতিক নীতিতে যুক্ত করে একটি জনমুখী, অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্র গঠনের পথ তৈরি করবে বিএনপি।

Header Ad
Header Ad

পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

দেশের পাঁচটি জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার ও সোমবার (২৭ ও ২৮ এপ্রিল) দেশের বিভিন্ন স্থানে এসব মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। কুমিল্লার মুরাদনগর ও বরুড়া উপজেলায় চারজন, কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও মিঠামইনে তিনজন, নেত্রকোনার কলমাকান্দা ও মদনে দুজন, সুনামগঞ্জের শাল্লায় একজন এবং চাঁদপুরের কচুয়ায় একজন প্রাণ হারিয়েছেন।

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার পূর্বধইর পূর্ব ইউনিয়নের কোরবানপুর পূর্বপাড়া এলাকায় ধান কাটতে গিয়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বজ্রপাতে দুজন কৃষক নিহত হন। নিহতরা হলেন নিখিল দেবনাথ (৫৮) ও জুয়েল ভূঁইয়া (৩০)।

একই জেলার বরুড়া উপজেলার খোসবাস উত্তর ইউনিয়নের পয়েলগচ্ছ গ্রামে দুপুর ১২টার দিকে ঘুড়ি ওড়ানোর সময় বজ্রপাতে মারা যায় দুই কিশোর—মোহাম্মদ জিহাদ (১৪) ও মো. ফাহাদ (১৩)। এ সময় আবু সুফিয়ান (সাড়ে ৭) নামের একটি শিশু আহত হয় এবং তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে খয়েরপুর আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের হাওরে ধান কাটার সময় সকালে বজ্রপাতে প্রাণ হারান দুই কৃষক—ইন্দ্রজিৎ দাস (৩০) ও স্বাধীন মিয়া (১৫)। একই সময়ে মিঠামইন উপজেলার শান্তিগঞ্জ হাওরে ধানের খড় শুকাতে গিয়ে বজ্রপাতে নিহত হন ফুলেছা বেগম (৬৫) নামের এক নারী।

নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের ধনুন্দ গ্রামে রবিবার রাত ১০টার দিকে বজ্রপাতে আহত হয়ে পরে হাসপাতালে মারা যান দিদারুল ইসলাম (২৮)। তিনি একটি ইফতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন।
আজ সকাল ৭টার দিকে মদন উপজেলার তিয়োশ্রী গ্রামে মাদ্রাসাগামী শিশু মো. আরাফাত (১০) বজ্রপাতে মারা যায়।

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার আটগাঁও গ্রামের বুড়িগাঙ্গাল হাওরে গরু চরাতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান রিমন তালুকদার। তিনি শাল্লা ডিগ্রি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার নাহারা গ্রামে সকালে বজ্রপাতের বিকট শব্দে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান বিশাখা রানী (৩৫)। তিনি কৃষক হরিপদ সরকারের স্ত্রী। চিকিৎসক জানান, বজ্রপাতের সরাসরি আঘাতের কোনো চিহ্ন ছিল না, শব্দের প্রভাবে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে ৭টি অস্ত্রবাহী বিমান পাঠালো তুরস্ক
বিএনপির ৩ সংগঠনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু
জামিন পেলেন মডেল মেঘনা আলম
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করলো সরকার
নিরীহ কাউকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না: আইজিপি
পাকিস্তানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস
ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকির অভিযোগ দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি