‘সমরেশ বসু সাহিত্য পুরস্কার’ পেলেন ৩০ বিশিষ্ট ব্যক্তি
‘সমরেশ বসু সাহিত্য পুরস্কার-২০২২’ পেলেন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যক ও ঢাকাপ্রকাশ-এর প্রধান সম্পাদক মোস্তফা কামালসহ ৩০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি। মোস্তফা কামাল তার ইতিহাসভিত্তিক উপন্যাস ‘১৯৭৫’ এর জন্য এই পুরষ্কারে ভূষিত হন।
শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে পুরস্কারপ্রাপ্তদের উত্তরীয় ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। বিশাল বাংলা প্রকাশনীর উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
লেখক, সাংবাদিক, চলচ্চিত্র পরিচালক ও জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত গীতিকার শহীদুল হক খানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাবেক তথ্যসচিব ও বিটিআরসি চেয়ারম্যান সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ। মিডিয়া পার্টনার ছিল স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন বাংলা ও এশিয়ান টিভি এবং মাল্টিমিডিয়া নিউজ পোর্টাল ঢাকাপ্রকাশ।
পুরস্কার গ্রহণ করার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মোস্তফা কামাল বলেন, আমি সত্যি কৃতজ্ঞ। বিশেষ করে শহীদুল হক খানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই যিনি আমার বড় ভাই তূল্য অত্যন্ত শ্রদ্ধাভাজন ও প্রিয়ভাজন মানুষ। এই পুরস্কার আমাকে লেখালেখিতে প্রেরণা যোগাবে।
বিশিষ্ট এই কথাসাহিত্যক ও সাংবাদিক বলেন, আমি আসলে পুরস্কারের জন্য লিখি না। কোথাও এখন পর্যন্ত আমার কোনও বই পুরস্কারের জন্য জমা দেইনি। আমি মনে করি পুরস্কারের জন্য, পুরস্কারের আশায় লেখালেখি করা উচিত না। আমি নিজের তাগিদে, মনের তাগিদে লিখি। এবং লেখা কতটা ভাল, কতটা মান সম্পন্ন সেটা সময়ই বিচার করবে।
আরও যারা পুরস্কার পেলেন তারা হলেন, প্রখ্যাত কন্ঠশিল্পী সৈয়দ আবদুল হাদী (জীবনের গান-আত্মজীবনী) ও ফকির আলমগীর (মরণোত্তর), নাট্যজন ম. হামিদ (সেই অন্ধকার), মঞ্জুর-উল আলম চৌধুরী (বিশিষ্ট গীতিকার), শাহজাহান চৌধুরী (আমি, আশনা ও মং প্রু), লায়লা নাজনীন হারুন (যুদ্ধ ও পূর্ণবাসন), আব্দুস সামাদ ফারুক (জল জোছনায় নাজমুল), জামিউর রহমান লেমন (কাশবনের ভূত), হাসনাত লোকমান (রাসেলের জন্য ভালোবাসা-সম্পাদনা), ড. শাহাদাত হোসেন নিপু (নিপু শাহাদাত-সব্বার বন্ধু বঙ্গবন্ধু), মাহবুব আজীজ (কালের খেয়া সম্পাদনা, সমকাল), এ. কে. বাকী বিল্লাহ (সাংবাদিক), গোলাম কিবরিয়া (সচিত্র বাংলাদেশ সম্পাদনা), আলী নিয়ামত (সাংবাদিক), মুহাম্মদ মহিউদ্দিন (গল্পকার-সম্পাদনা), তাশিক আহমেদ (উপদেষ্টা, অনুষ্ঠান, এটিএন বাংলা), ড. মো. আলমগীর আলম (অণুকবিতা), সুরাইয়া আলমগীর (স্বপ্নের দেশে, দেশে), রাজেন্দ্রচন্দ্র দেব মন্টু (সাংবাদিক ও সংগঠক), রতনচন্দ্র বালো (অনুসন্ধানী প্রতিবেদন), নাজমুল খান (অভিনেতা ও সংগঠক), ফারহানা আহম্মেদ পলি (কবি), মুজতবা সউদ (লেখক), রেজানুর রহমান (বঙ্গবন্ধুর বাড়ি, সাংবাদিক), গাজী ফারুক (অভিনেতা ও নির্দেশক), ড. খলিলুর রহমান সরকার (ক্যান্সার চিকিৎসা), দিলীপ কুমার আগারওয়াল (কলামিস্ট, ডায়মন্ড ওয়াল্ডের কর্ণধার), শহীদুল ইসলাম বিজু (পাঠক সমাবেশ, প্রকাশক) ও সোহানূর রহমান সোহান (চলচ্চিত্র পরিচালনা)।
অনুষ্ঠানে পুরস্কারপ্রাপ্তদের সবাইকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) পরিচালনাা পর্ষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এবং সভাপতি সাবেক তথ্যসচিব ও বিটিআরসি চেয়ারম্যান সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ। এসময় পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে ক্রেসও তুলে দেন তারা।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তৃতা করেন বিশিষ্ট কণ্ঠশিল্পী সৈয়দ আব্দুল হাদী; জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন; সাবেক সিনিয়র সচিব, লেখক ও গবেষক আবদুস সামাদ ফারুক; এটিএন বাংলার উপদেষ্টা তাশিক আহম্মেদ; বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান; গীতিকার প্রকৌশলী মনজুর উল আলম চৌধুরী এবং গীতিকার, সুরকার, কণ্ঠশিল্পী ও নির্দেশক জামিউর রহমান লেমন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, মানুষকে সবাই সম্মান জানাতে পারে না। কিন্তু করোনার মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে শহীদুল হক খান সেই কঠিন কাজটিই করেছেন। এজন্য তাকে ধন্যবাদ। এখানে এত বিপুল সংখ্যক গুণী মানুষ দেখে আমি সত্যিই অভিভুত।
আরইউ/