সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

অঘ্রানের অন্ধকারে

ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব: ১১

বেলা তেতে উঠছে। রোদের দিকে তাকানো যাচ্ছে না। বাড়ির দোতলার বারান্দায় শাবিন দাঁড়িয়ে আছে। তার ভেতর ছটফটে ভাব। সে কোনো এক জায়গায় স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে পারছে না।

বাসার সামনে রিকশা এসে থেমেছে। শাবিন অবাক হয়ে দেখল তুরি নামছে রিকশা থেকে। শাবিন মনে করার চেষ্টা করল কতদিন পর তুরির সঙ্গে তার দেখা হচ্ছে। মনে করতে পারল না। তার দিন, মাসের হিসেব সব উলটোপালটা হয়ে গেছে। শুধু মনে করতে পারল অনেক-অনেক দিন পর তুরির সঙ্গে তার দেখা হচ্ছে।

তুরি এসে বসেছে শাবিনের ঘরে। মায়ের সঙ্গে পরিচয় হয়েছে। মা তার কাছে জানতে চেয়েছেন বাড়ি কোথায়, কয় ভাইবোন, কে কী করে, বাবা কোথায় থাকেন, কী করেন? মা মারা গেছেন শুনে দুঃখ করলেন। তারপর অতি পরিচিত প্রশ্ন করেছেন, তোমার এখনো বিয়ে হয়নি কেন?
তুরি বলল, বিয়ে করিনি তাই।
বিয়ে করোনি কেন?
ইচ্ছে করেনি।
এখনো ইচ্ছে করে না?
করে।
বয়স বাড়ছে। বিয়ে করো।

মা উঠে চলে গেলেন। শাবিনের ঘর হয়ে আছে লন্ডভন্ড। সবকিছু চারদিকে ছড়ানো ছিটানো। ময়লা জামা, গেঞ্জি, আন্ডারওয়ার, মোজা ঘরের এখানে ওখানে পড়ে আছে। ঘরে ভাপসা চাপা গন্ধ। মনে হচ্ছে অনেকদিন ঘরের দরজা-জানালা খোলা হয়নি। অথচ ঘরের দরজা-জানালা খোলা।
তুরি বলল, আপনি চাকরি ছেড়েছেন কেন?
চাকরি করতে ইচ্ছে করে না।
এখন কী করছেন?
বাড়িতে থাকি। বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিই। সময় কেটে যায়।
আপনার কী হয়েছে?
কিছু হয়নি তো।
শেভ করেননি কতদিন! মুখ ভরতি খোঁচা খোঁচা দাড়ি। চোখ লাল হয়ে আছে।
রাতে ঘুম হয় না।
অসুখ করেছে। ডাক্তার দেখিয়েছেন?
আমরা সকলেই অসুস্থ। আমি, তুমি সবাই। এই যে বাবা বাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন। তিনি সুস্থ হলে বাড়ি ছেড়ে চলে যেতেন না।

তুরি বুঝতে পারে শাবিনের অভিমান হয়েছে। হয়তো তার অভিমানের জন্য সে দায়ী। কোনো খবর না দিয়ে নিজেকে আড়াল করে নিতে চেয়েছিল। তাই বলে একজন মানুষ এভাবে নিজেকে ভেঙেচুরে এলোমেলো করে ফেলবে!
তুরি বলল, আপনি অসম্ভব ব্রিলিয়েন্ট একজন মানুষ। আপনাকে আমি শ্রদ্ধা করি। কোথাও হয়তো কোনো ভুল হয়েছে। আমি অতি সাধারণ একজন মানুষ।

তুরিকে চমকে দিয়ে শাবিন বলল, তুমি আমাকে ভালোবাসো?
বুকের অতল থেকে বাতাস টেনে এনে তুরি বলল, ভালো না বাসলে আপনার সাথে কি বিছানায় যেতাম! স্বীকার করছি সেদিন মদ খেয়ে আমি খানিকটা বেসামাল ছিলাম। প্রচুর কথা বলেছি। একান্ত ব্যক্তিগত গোপন করে রাখা কথা আপনাকে বলেছি। তবে অতটা বেসামাল নিশ্চয় ছিলাম না যে নিজেকে আটকাতে পারতাম না।
তাহলে তুমি বারবার হারাও কেন?
তুরি চোখ নামিয়ে নিজের পায়ের দিকে তাকিয়ে আছে। মাথা তুলে বলল, আপনি অত্যন্ত ভালো মানুষ। আপনার আকর্ষণ থেকে বেরুতে পারি না। আবার মনে হয় আপনাকে ঠকাচ্ছি। আপনাকে ঠকাতে চাই না।
আমি কী চাই তা আমি ভালো জানি।

আপনি কী চান?
তোমাকে।
সব জেনেশুনে!
অবশ্যই।
মানুষ এমনকিছু না যে সে পচে যায়।

তুরি আবার গভীরভাবে বুকের ভেতর নিঃশ্বাস টেনে নিল। নিজের পায়ের দিকে তাকিয়ে প্রায় ফিসফিস করে বলল, সেদিন আপনার সঙ্গে বিছানায় যাওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। এমন কোনো ভাবনা আমার ভেতর আগে আসেনি। হয়তো আপনাকেই সবকিছু দিতে চেয়েছি।
শাবিন চুপ করে আছে। জানালার পর্দা সরানো। ঘরের ভেতর জানালা দিয়ে রোদ ঢুকেছে। তুরি চুলের ক্লিপ খুলে হাতের ব্যাগে রাখল। চুলগুলো গুছিয়ে নিয়ে খোঁপা করল।
চোখ তুলে বলল, আমার অ্যাক্সিডেন্টের পর ভেবেছিলাম আর কারও সঙ্গে জড়াব না। ঘটনা কাউকে বলিনি। লুকিয়ে রেখেছিলাম। কী যেন হলো। আপনাকে বলতে ইচ্ছে করল।
তুরিকে দেখে শাবিনের মন ভিজে উঠল। তাকে দেখাচ্ছে অত্যন্ত দুর্ভাগা একজন মানুষ। তুরিকে বুকের ভেতর জড়িয়ে ধরে আদর করতে ইচ্ছে করছে।

শাবিন বলল, তুমি কি এ কথাগুলো বলতে এসেছ! কেন বলছ আজ এসব!
তুরি বলল, সেদিন ভীষণ অস্থির ছিলাম। আপনাকে ঘরে একা পেয়ে ভেতরে ভেতরে উত্তেজিত হয়েছি। প্রকাশ করিনি। প্রবলভাবে চাইছিলাম আপনি আমাকে শক্তভাবে জড়িয়ে ধরুন। আমার শরীরের জামাকাপড় টেনে ছিঁড়ে ফেলুন। আমাকে প্রচন্ডভাবে আদর করুন। আদর করতে করতে দম বন্ধ করে আমাকে মেরে ফেলুন। আপনার আদর পেতে পেতে আমার মরে যেতে ইচ্ছে হয়েছিল। খুব করে চাইছিলাম।
তুমি আমার গালে গাল ঘষছিলে। চোখ নাক কপাল স্পর্শ করলে। তোমার সেই স্পর্শ আমাকে জাগিয়ে দিয়েছিল।
আগে কখনো এমন হয়নি আমার। মিটুনের সাথেও না। কখনো কারও প্রতি তীব্র আকর্ষণ বোধ করিনি। কেন করিনি জানি না, যেমন আকর্ষণ অনুভব করেছি আপনাকে দেখে। আপনি যখন আদর করছিলেন আমার চোখ ভরে পানি চলে এসেছিল। নিজেকে মনে হচ্ছিল মাখন, উত্তাপ পেয়ে গলে যাচ্ছি।
তুরি কাঁদছে। তার শরীর থিরথির করে কাঁপছে। চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ছে। শাবিনের ইচ্ছে করছে সেদিনের মতো তুরিকে বুকের ভেতর শক্ত করে জড়িয়ে ধরতে। আদর করতে। সম্ভব হচ্ছে না। বাড়িতে মা আছেন।
শাবিন বলল, চলো যাই। বাইরে থেকে হেঁটে আসি।
চোখ মুছে তুরি বলল, কোথায় যাব?
সেই পুকুরপাড়ে। তারপর দুপুরে রেস্টুরেন্টে খাব।

শাবিন অনেক দিন পর শেভ করল। তুরিকে বসিয়ে রেখে শাওয়ার নিয়েছে। তার ভালো লাগছে। সে পরিষ্কার জামাপ্যান্ট পরে তুরিকে নিয়ে রওনা হলো।
বেরুনোর আগে শাবিনের মা বললেন, রান্না চড়িয়েছি। যেখানে যাচ্ছ যাও। দুপুরে এখানে খাবে।
দুপুরে ফিরে আসতে হলো। অল্প কয়েকপদের খাওয়া। তবে যত্ন নিয়ে রান্না করেছেন শাবিনের মা। কই মাছের ঝোল। মুরগির মাংস। লাল শাক, ছোটোমাছের চচ্চড়ি আর ডাল।
খাওয়াদাওয়ার পর শাবিনের মা বললেন, তুমি কি আমার ছেলেকে বিয়ে করবে?
তিনি প্রস্তাব দেওয়ার মতো করে সম্মতির জন্য বলেছেন। হকচকিয়ে গেছে তুরি। এমন প্রস্তাব পাবে ভাবেনি। নিজেকে সামলে নিয়ে বলল, আপনার ছেলে রাজি কিনা জানতে হবে।
সে রাজি। তোমার কথা অনেক আগে আমাকে বলেছে। তোমাকে খুঁজে পাচ্ছিল না। তুমি নিজে যখন এসেছ, তোমাকে আর যেতে দেব না, মা।
তুরির ভালো লাগছে। শাবিনের মা যথেষ্ট আন্তরিক মানুষ। তিনি ভালোবাসা আর আদর মিশিয়ে কথা বলছেন।
তুরি বলল, বাবাকে জানাতে হবে।
তুমি রাজি থাকলে তোমার বাবার সাথে কথা বলব।
তুরি বলল, আপনি বাবার সাথে কথা বলুন।
এই ঘটনার তিন মাসের মাথায় শাবিনের সাথে তুরির বিয়ে হয়ে গেল।

(চলবে)

 

পর্ব ১০: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৯: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৮ : অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৭ : অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৬: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৫: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৪: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৩: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ২: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১: অঘ্রানের অন্ধকারে

Header Ad
Header Ad

পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে ৭টি অস্ত্রবাহী বিমান পাঠালো তুরস্ক

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের সঙ্গে সম্ভাব্য যুদ্ধের আশঙ্কায় পাকিস্তানকে সরাসরি সামরিক সহায়তা দিচ্ছে তুরস্ক। ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ইতোমধ্যে তুরস্ক থেকে সাতটি অস্ত্রবাহী সামরিক বিমান পাকিস্তানে পৌঁছেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৭ এপ্রিল তুরস্কের বিমান বাহিনীর একটি হারকিউলিস সি-১৩০ কার্গো বিমান করাচিতে অবতরণ করে, যাতে নানা ধরনের সামরিক সরঞ্জাম ছিল। এ ঘটনাকে তুরস্কের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের জন্য বৃহত্তর প্রতিরক্ষা সহায়তার অংশ হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে।

শুধু একটি বিমানই নয়, ইসলামাবাদের সামরিক ঘাঁটিতেও তুরস্কের আরও ছয়টি কার্গো বিমান অবতরণ করেছে, যেগুলোতেও সামরিক সরঞ্জাম ছিল বলে নিশ্চিত করেছে তুর্কি ও পাকিস্তানি সূত্র।

টাইমস অফ ইন্ডিয়া বিশ্লেষণ করে বলছে, ভারত-অধিকৃত কাশ্মীরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক হামলার ঘটনার পর দিল্লি ও ইসলামাবাদের মধ্যে বেড়ে চলা উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে তুরস্কের এই পদক্ষেপ এসেছে।

তুরস্কের পাশাপাশি পাকিস্তান চীনের সঙ্গেও সামরিক সম্পর্ক জোরদার করছে। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে চীন প্রায় ৪০টি দেশে অস্ত্র রপ্তানি করেছে, যার মধ্যে ৮২ শতাংশেরও বেশি অস্ত্র গেছে পাকিস্তানে।

এদিকে, ভারতের সাথে যুদ্ধ শুরু হলে পাকিস্তানের পক্ষে লড়াই করার ঘোষণা দিয়েছে খালিস্তানপন্থী শিখরা। খালিস্তানি নেতা গুরপাতওয়ান্ত সিং পান্নু হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, যুদ্ধ বাধলে দুই কোটি শিখ পাকিস্তানের পক্ষে অপ্রতিরোধ্য দেয়াল হয়ে দাঁড়াবে এবং ভারতীয় সেনাদের পাঞ্জাব পার হতে দেওয়া হবে না। পান্নু আরও দাবি করেন, ভারতের বিজেপি সরকার রাজনৈতিক স্বার্থে কাশ্মীরে হামলার নাটক সাজিয়েছে এবং হিন্দুদের হত্যা করে নির্বাচনী ফায়দা তুলতে চাইছে।

তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে সতর্ক করে বলেন, ইন্দিরা গান্ধীর পরিণতি তাদেরও হতে পারে।

Header Ad
Header Ad

বিএনপির ৩ সংগঠনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠন—জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল—আগামী ৯ মে থেকে ২৮ মে পর্যন্ত দেশজুড়ে বিভাগীয় পর্যায়ে সেমিনার ও সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সোমবার (২৮ এপ্রিল) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কর্মসূচি ঘোষণা করেন যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না।

তিনি জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় তিন সংগঠন সম্মিলিতভাবে ১০টি সাংগঠনিক বিভাগকে ৪টি বৃহত্তর অঞ্চলে ভাগ করে এ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। উদ্দেশ্য হলো—তরুণদের ক্ষমতায়ন, রাষ্ট্রীয় নীতিনির্ধারণে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা এবং একটি আধুনিক, মানবিক বাংলাদেশ নির্মাণে তরুণ প্রজন্মের মতামত ও চিন্তা সংগ্রহ করা।

প্রথম দিন: "তারুণ্যের ভবিষ্যৎ ভাবনা, ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ" শীর্ষক সেমিনার।
দ্বিতীয় দিন: "তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ"।

সেমিনারে তরুণ প্রতিনিধি, শিক্ষার্থী, চিন্তাবিদ ও উদ্যোক্তারা কর্মসংস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, প্রযুক্তি, পরিবেশ ও রাজনৈতিক অধিকারসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করবেন। এ কর্মসূচি বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফা রূপরেখা ও তারেক রহমানের রাজনৈতিক দর্শনের আলোকে পরিচালিত হবে।

চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা বিভাগ:
▪ ৯ মে — কর্মসংস্থান ও শিল্পায়ন নিয়ে সেমিনার
▪ ১০ মে — তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ

খুলনা ও বরিশাল বিভাগ:
▪ ১৬ মে — শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও মৌলিক অধিকার নিয়ে সেমিনার
▪ ১৭ মে — তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ

রাজশাহী ও রংপুর বিভাগ:
▪ ২৩ মে — কৃষি উন্নয়ন, পরিবেশ রক্ষা ও নাগরিক সমস্যা নিয়ে সেমিনার
▪ ২৪ মে — তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ

ঢাকা, ফরিদপুর, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগ:
▪ ২৭ মে — তরুণদের অর্থনৈতিক মুক্তি ও রাজনৈতিক ভাবনা নিয়ে সেমিনার
▪ ২৮ মে — তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ

মোনায়েম মুন্না বলেন, এই কর্মসূচিগুলোর মাধ্যমে তরুণদের প্রত্যাশা, মতামত ও ভাবনাকে রাজনৈতিক নীতিতে যুক্ত করে একটি জনমুখী, অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্র গঠনের পথ তৈরি করবে বিএনপি।

Header Ad
Header Ad

পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

দেশের পাঁচটি জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার ও সোমবার (২৭ ও ২৮ এপ্রিল) দেশের বিভিন্ন স্থানে এসব মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। কুমিল্লার মুরাদনগর ও বরুড়া উপজেলায় চারজন, কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও মিঠামইনে তিনজন, নেত্রকোনার কলমাকান্দা ও মদনে দুজন, সুনামগঞ্জের শাল্লায় একজন এবং চাঁদপুরের কচুয়ায় একজন প্রাণ হারিয়েছেন।

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার পূর্বধইর পূর্ব ইউনিয়নের কোরবানপুর পূর্বপাড়া এলাকায় ধান কাটতে গিয়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বজ্রপাতে দুজন কৃষক নিহত হন। নিহতরা হলেন নিখিল দেবনাথ (৫৮) ও জুয়েল ভূঁইয়া (৩০)।

একই জেলার বরুড়া উপজেলার খোসবাস উত্তর ইউনিয়নের পয়েলগচ্ছ গ্রামে দুপুর ১২টার দিকে ঘুড়ি ওড়ানোর সময় বজ্রপাতে মারা যায় দুই কিশোর—মোহাম্মদ জিহাদ (১৪) ও মো. ফাহাদ (১৩)। এ সময় আবু সুফিয়ান (সাড়ে ৭) নামের একটি শিশু আহত হয় এবং তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে খয়েরপুর আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের হাওরে ধান কাটার সময় সকালে বজ্রপাতে প্রাণ হারান দুই কৃষক—ইন্দ্রজিৎ দাস (৩০) ও স্বাধীন মিয়া (১৫)। একই সময়ে মিঠামইন উপজেলার শান্তিগঞ্জ হাওরে ধানের খড় শুকাতে গিয়ে বজ্রপাতে নিহত হন ফুলেছা বেগম (৬৫) নামের এক নারী।

নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের ধনুন্দ গ্রামে রবিবার রাত ১০টার দিকে বজ্রপাতে আহত হয়ে পরে হাসপাতালে মারা যান দিদারুল ইসলাম (২৮)। তিনি একটি ইফতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন।
আজ সকাল ৭টার দিকে মদন উপজেলার তিয়োশ্রী গ্রামে মাদ্রাসাগামী শিশু মো. আরাফাত (১০) বজ্রপাতে মারা যায়।

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার আটগাঁও গ্রামের বুড়িগাঙ্গাল হাওরে গরু চরাতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান রিমন তালুকদার। তিনি শাল্লা ডিগ্রি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার নাহারা গ্রামে সকালে বজ্রপাতের বিকট শব্দে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান বিশাখা রানী (৩৫)। তিনি কৃষক হরিপদ সরকারের স্ত্রী। চিকিৎসক জানান, বজ্রপাতের সরাসরি আঘাতের কোনো চিহ্ন ছিল না, শব্দের প্রভাবে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে ৭টি অস্ত্রবাহী বিমান পাঠালো তুরস্ক
বিএনপির ৩ সংগঠনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু
জামিন পেলেন মডেল মেঘনা আলম
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করলো সরকার
নিরীহ কাউকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না: আইজিপি
পাকিস্তানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস
ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকির অভিযোগ দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি