শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-২২

স্নানের শব্দ

‘শো কজ নোটিশ পেলাম ম্যাডাম। শেষ মেশ চাকরিটা খেয়েই দিলেন! উপকারের প্রতিদান ভালোই পেলাম। সত্যি সেধে পড়ে কারও জন্য কিছু করতে হয় না! সারা জীবন মনে রাখার মতো একটা শিক্ষা হলো, যাই বলেন, ফোনের অপর প্রান্ত থেকে কন্ঠে তীব্র বিষ মিশিয়ে হিস হিস করে বললো মনিরুজ্জামান। এইচ আর অবশ্য আগেই এই খবরটা জানিয়েছিল শবনমকে, ফলে তথ্যটা তার কাছে নতুন নয়।

‘মনিরুজ্জামান শোনো, আমার আসলে এখানে কিছু করার ছিল না, আমি অনেক চেষ্টা করেছি, আমার দিক থেকে যতখানি সম্ভব...’
‘থাক, থাক, মিথ্যা কথা বলে আর ভাল মানুষ সাজার চেষ্টা না করলেও চলবে ম্যাডাম। আপনি কী করেছেন সেটা খুব বোঝা হয়ে গেছে আমার, আপনার মতো বিড়াল তপস্বী আগে কখনো দেখিনি.. ’
ভয়ংকর শ্লেষ আর বিদ্রুপ ঝরে পড়ে মনিরুজ্জামানের গলায়।
‘বিশ্বাস করো...আমি চাইনি এরকম কিছু হোক...কিন্তু আমার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছিল বিষয়টা...’
শবনম যেন আর্তনাদ করে।
‘চুপ থাক হারামজাদি, খানকি মাগি...’
চাপা কন্ঠে বাজে গালি দুটো ছুড়ে দিয়েই খট করে ফোন কেটে দেয় মনিরুজ্জামান। শবনমের কানে যেন উত্তপ্ত গলিত লোহার মতো আছড়ে পড়ে গালিগুলো। বিস্ময়ে বিমূঢ় ও হতবাক হয়ে যায় সে। নিজের কানকেও যেন বিশ্বাস হয় না তার, এও সম্ভব? সজ্ঞানে স্বেচ্ছায় এমন করে ঊর্ধ্বতন পদধারী একজন বয়স্ক সম্মানিত নারীকে গালি দিতে পারল মনিরুজ্জামান? তার রুচিতে একটুও বাঁধল না? কোনো ভদ্র ঘরের শিক্ষিত ছেলে পারবে এমন করে অনায়াসে নোংরা শব্দগুলো উচ্চারণ করতে? সে ছাড়া যদিও কেউ শোনেনি তবু মরমে মরে যেতে ইচ্ছা করল শবনমের। অসদাচরণের অভিযোগে এক্ষুনি সাসপেন্ড করা যায় মনিরুজ্জামানকে। এই ক্ষমতা তার আছে। কিন্তু এই ঘটনা জানাজানি হলে শবনমের মর্যাদা কী বাড়বে? বরং মানুষজন একটা মুখরোচক বিষয় খুঁজে পাবে সিইও ম্যাডামকে নিয়ে দাঁত বের করে হাসাহাসি করার। এই বয়সে, এরকম অবস্থানে এসে মানুষের কাছে হাসির পাত্র হওয়ার কোনো ইচ্ছা নাই শবনমের। তবে মনিরুজ্জামানের প্রতি মনের কোণায় তার যে সফট কর্নারটা তৈরি হয়েছিল এই ঘটনায় সেটা পুরোপুরিই দূর হয়ে গেল। সেখানে জন্ম নিলো অপরিসীম রাগ, ক্রোধ, ঘৃণা সবশেষে হতাশা। আর এইসব নেতিবাচক অনুভূতি এক সঙ্গে মিলে একটা অসহ্য দমবন্ধ অস্থিরতা তৈরি করল তার মধ্যে। নাক কান দিয়ে যেন আগুন বেরুচ্ছে। কেমন একটা চাপ অনুভূত হচ্ছে বুকের মধ্যে। শবনমের ইচ্ছা করল অফিস টফিস সব কিছু ফেলে ছুটে বেরিয়ে যেতে।

শরীর খারাপ লাগার অজুহাত দেখিয়ে একটা মিটিং ক্যান্সেল করল শবনম। বেশ কয়েকটা ফোন কলও ধরল না সে। বাথরুমে গিয়ে আয়নায় নিজের আহত অপমানিত চেহারার দিকে তাকিয়ে থাকল অনেকক্ষণ। যেন নিজের দুঃখিত, ক্ষতবিক্ষত আত্মাকে দেখল কিছুক্ষণ। তারপর পিঠ চাপড়ে দেওয়ার ভঙ্গীতে বলল, ‘অনেক চড়াই উৎরাই বাধা বিপত্তি পেরিয়ে আসা মানুষ তুমি, ভেঙে পড়ো না, এবারও পারবে সামাল দিতে। এটাকেও এক ধরনের শিক্ষা হিসেবে নাও। পাত্তা দিও না। ইটস ওকে!’ চোখে মুখে ঘাড়ে ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিয়ে এসে একটু সুস্থির হয়ে নিজের চেয়ারে গা এলিয়ে বসল শবনম। লম্বা করে কয়েকটা শ্বাস নিল। তারপর নিজের পিঠে হাত বুলিয়ে নিজেকেই বোঝাল সে, ‘না হে, এক অর্বাচীনের সামান্য দুটো গালি শুনে এত বিচলিত বোধ করলে চলবে না, এত অস্থির হওয়ার কিছু নেই। এত ভেঙে পড়ারও কিছু নেই।’

এই পর্যন্ত আসতে আসতে পথে পথে কম তো আর দেখেনি বা শোনেনি সে। কত তাচ্ছিল্য, কত ঈর্ষা, কত উপেক্ষার কঠিন পথ ধৈর্য্য ধরে পারি দিয়ে এসেছে। চোখে, মুখে, আচার আচরণে নারী বসকে মানতে না পারার বিরক্তি আর নাক সিটকানো অভিব্যক্তি দেখে দেখে সয়ে সয়ে তবেই না আজকের অবস্থানে এসে দাঁড়িয়েছে শবনম। সমুদ্রে শয্যা পেতে এখন শিশিরের ভয়ে মূর্ছা গেলে চলবে? এত কাতর হওয়ারই বা কী আছে? বোঝাই যাচ্ছে অকস্মাৎ চাকরি হারানোর চিন্তায় মনিরুজ্জামানের মাথা ঠিক নেই। আসন্ন বিপদের কথা ভেবে হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে ছেলেটা। নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। মাথা গরম করে কি বলতে, কি বলে ফেলেছে। হয়তো মাথা ঠান্ডা হলে অনুতপ্ত হবে, কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চাইবে।

ধুলায় গড়াতে থাকা মুরগী যেমন গড়ানো শেষে গা ঝাড়া দেয় সেভাবেই মন থেকে সমস্ত অপ্রসন্নতা ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করে শবনম। সচেতনভাবে সামলে নেয় নিজেকে। ব্যাগ থেকে ছোট আয়না আর লিপষ্টিক বের করে, শুকনো ঠোট দুটোতে হাল্কা রঙ বুলিয়ে অবিন্যস্ত চুলগুলো পরিপাটি করে একাউন্ট সেকশনের নির্ধারিত মিটিং-এ ঢুকে পড়ে সে।

মিটিং শেষে একাউন্টিং সেকশনের সবাই বেরিয়ে যাওয়ার পরও চীফ একাউন্টেন্ট আতিয়ার রহমান সাহেব বসেই থাকেন। শবনম বুঝলো, আলাদা করে কিছু বলতে চান তিনি। ফলে অপেক্ষা করছিল সে।
‘একটা কথা ছিল ম্যাডাম’ বলে শুরু করল আতিয়ার সাহেব। তারপর কাঁচুমাঁচু মুখে হাত কচলে ইনিয়ে বিনিয়ে অনেকক্ষণ ধরে যা বললেন তার সারমর্ম হচ্ছে, শো কজ নোটিশ পাওয়া চারজন অপরাধির মধ্যে একজন তার ভাগিনা শাজাহান আকন্দ। কম্পিউটর সেকশনে কাজ করে। ছেলেটা সহজ সরল, বোকা সোকা। বউ আছে, ছোট ছোট দুটো বাচ্চাও আছে তার। এই চাকরিটা ছাড়া অন্য কোনো আয়ের উৎসও নেই। না বুঝে অন্যদের পাল্লায় পড়ে একটা অন্যায় করে ফেলেছে সে। এখন নিজের দোষ অকপটে স্বীকার করতে চায় শাজাহান এবং কর্তৃপক্ষের কাছে ভবিষ্যতে আর এরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে না সেই প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা ভিক্ষা করতে চায়। এখন শবনম যদি চেয়ারম্যান সাহেবকে বলে একটু সুপারিশ করে ওর চাকরিটা বাঁচায়, তাহলে চিরকৃতজ্ঞ থাকবেন তিনি। নইলে বউ বাচ্চা নিয়ে ছেলেটা রাস্তায় বসবে। এই আক্রার দিনে রাতারাতি আরেকটা চাকরিও তো পাবে না।

শবনম চুপ করে শুনলো কিন্তু বেশি আশা দিলো না আবার নিরাশও করলো না। নিরাসক্ত গলায় বললো,
‘আচ্ছা, দরখাস্ত দিতে বলেন, দেখি কি করা যায়!’
‘ঠিকাছে ম্যাডাম। একটু দেখবেন ম্যাডাম।’ বলে বেরিয়ে যায় আতিয়ার সাহেব। হঠাৎ করে রাজ্যের ক্লান্তি আর অবসাদ জড়িয়ে ধরে শবনমকে। সে পিএসকে ফোন করে দ্রুত গাড়ি রেডি করতে বলে। বাড়ি গিয়ে বিশ্রাম নিতে হবে। তখনি মোবাইল ফোনটা বাজে। আশ্চর্য, ওসমান গনি ফোন করেছে! কেনো, হঠাৎ! প্রাক্তন সহকর্মী, প্রাক্তন প্রতিপক্ষও বটে, আরও বড় কথা পরাজিত প্রতিপক্ষ! শবনম ফোনটা ধরবে কী ধরবে না ভাবতে ভাবতেই দ্বিধা নিয়ে ফোনটা ধরলো। ওপাশে ওসমান গণির উল্লসিত কন্ঠ শোনা গেল, ‘হ্যালো ম্যাডাম, আপনার প্রিয় মনিরুজ্জামান এখন নতুন তথ্য দিচ্ছে, হা হা হা, আপনি তাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে আমার বিরুদ্ধে ডকুমেন্টস বের করতে উদ্বুদ্ধ করেছেন, হা হা হা, আপনি দেখিয়ে দিলেন ম্যাডাম, এই বয়সে এসেও নিজের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য প্রেমের খেলা...হে হে হে খ্যা খ্যা খ্যা ..’
আরেক দফা গরম গলিত সীসা যেন কেউ ঢেলে দিল শবনমের কানে। ফোন বেয়ে যে হাসি ভেসে আসছে তা কি মানুষের নাকি শয়তানের? মানুষের হাসি এত কুৎসিত হতে পারে!

‘এসব কী বলছেন ওসমান গণি ! ছি ছি ! অসভ্যতার সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছেন আপনি!’
কোনো রকমে বলতে পারল শবনম।
‘সীমা তো ছাড়িয়েছেন আপনি ম্যাডাম, এমন পড়ন্ত বয়সেও অল্পবয়সী ছেলেদের মাথা ঘুরিয়ে দিয়েছেন, নিজেকে টোপ হিসেবে ব্যবহার করে এই পর্যায়ে উঠে এসেছেন!
‘মুখ সামলে কথা বলেন ওসমান গণি !’
ততক্ষণে রাগে ক্ষোভে শবনমের সারা শরীর কাঁপতে শুরু করেছে।
‘সব ফাঁস করে দেব, সবার সামনে ভালমানুষির মুখোশ খুলে দেব, কেমন করে সিইও থাকেন দেখব...
ওইপাশ থেকে ওসমান গণির হুমকি শোনা গেল। এবার আর সহ্য করতে পারল না শবনম, বোতাম টিপে ফোনটা কেটে দিল সে। উত্তেজনায় কখন যেন দাঁড়িয়ে পড়েছিল, এখন ফোন কেটে ধপ করে নিজের রিভলভিং চেয়ারে বসে পড়ল সে। তার মাথাটা ফাঁকা আর শূন্য শূন্য লাগছে। হাতে পায়ে শরীরের কোথাও যেন এক ফোটা শক্তি অবশিষ্ট নেই। শবনমের মন আর্তনাদ করে ওঠে! হায়, এ কোনো কাঁটার সিংহাসনে বসলাম আমি! যেন নোংরা কাদায় আপাদমস্তক ডুবে যাচ্ছি ! যেন কেউ ঝুড়ি ভর্তি দুর্গন্ধ আবর্জনা ছুড়ে মারছে আমার দিকে! এ্ইসব কদর্য অপপ্রচার থেকে কেমন করে নিজেকে বাঁচানো যাবে জানি না! উফ! এই জঘন্য ষড়যন্ত্রের শেষ কোথায়?

চলবে...

আরও পড়ুন>>>

স্নানের শব্দ: পর্ব-২১

স্নানের শব্দ: পর্ব-২০

স্নানের শব্দ: পর্ব-১৯

স্নানের শব্দ: পর্ব-১৮

 

Header Ad
Header Ad

পদ্মাপাড়ে মুখে স্কচটেপ প্যাঁচানো ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার  

ব্যবসায়ী আবুল বাসার ওরফে মিন্টু। ছবিঃ সংগৃহীত

রাজশাহী নগরীর পদ্মাপাড়ে মুখে স্কচটেপ প্যাঁচানো একটি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার বিকালে নগরীর লালন শাহ মুক্তমঞ্চ সংলগ্ন এলাকার কাশবন থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণা, হত্যা করে কাশবনে ফেলে দেওয়া হয়েছে লাশটি।

নিহত ব্যক্তির নাম আবুল বাসার ওরফে মিন্টু (৩৫)। পেশায় ব্যবসায়ী মিন্টু নগরীর মির্জাপুর পূর্বপাড়া মহল্লার বাসিন্দা। বিনোদপুর বাজারে তার ইলেকট্রিক ব্যবসার দোকান আছে।

নগরীর রাজপাড়া থানার ওসি আশরাফুল ইসলাম জানান, কাশবনে ঘুরতে আসা কয়েকজন লাশটি দেখে পুলিশে খবর দেয়। ঘুরতে আসা অনেকে লাশের ছবিটি সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মগুলোতে শেয়ার করে। জানাজানির পর নিহতের পরিবার ঘটনাস্থলে এসে লাশটি শনাক্ত করে।

আশরাফুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে মিন্টুর খোঁজ পাচ্ছিল না পরিবার। কাশবনে তার মুখ পলিথিন দিয়ে ঢাকা ছিল। পলিথিনের ওপর স্কচটেপ প্যাঁচানো ছিল।

ওসি আরও বলেন, ‘আলামত দেখে মনে হয়েছে এটি হত্যাকাণ্ড। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে হত্যা মামলা হবে।’

Header Ad
Header Ad

সার্ক পুনরুজ্জীবনের প্রশ্নে বাংলাদেশকে যে বার্তা দিলো ভারত

ওমানের মাসকটে অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের বৈঠক। ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি ওমানের রাজধানী মাস্কাটে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার ( ২১ ফেব্রুয়ারি) নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ভারত- বাংলাদেশের মধ্যকার উক্ত বৈঠকের আলোচ্য বিষয়ে কিছু তথ্য তুলে ধরেছেন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল।

তিনি বলেন, মাস্কাটে ওই বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সার্ক পুনরুজ্জীবনের প্রসঙ্গটি তুলেছিলেন। দক্ষিণ এশিয়ার সবাই জানে কোন দেশ ও তার কী ধরনের কর্মকাণ্ড সার্ককে কোণঠাসা করে রেখেছে। তৌহিদ হোসেনকে জয়শঙ্কর এ কথাও বলেছেন, সন্ত্রাসবাদের স্বাভাবিকীকরণ করাটা বাংলাদেশের উচিত নয়।

ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের কোনো কোনো উপদেষ্টার কিছু কিছু মন্তব্য নিয়েও প্রশ্ন করা হয়। জবাবে রণধীর জয়সোয়াল বলেন, ভারত এসব মন্তব্য নজরে রেখেছে। ওই ধরনের মন্তব্য ও বাংলাদেশের সঙ্গে কাজকর্মে তার প্রভাব–প্রতিক্রিয়ার বিষয়ও ভারতের গোচরে রয়েছে।

তিনি বলেন, এ ধরনের মন্তব্য অবশ্যই সহায়ক নয়। এর প্রতিক্রিয়া কী, তা তাদেরই ভেবে দেখা দরকার।

নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফের মহাপরিচালকদের বৈঠক সদ্য শেষ হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক এক প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, বাংলাদেশে ৫ আগস্টের পালাবদলের পর সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগগুলো অতিরঞ্জিত, মিডিয়ার সৃষ্টি।

এ প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে জয়সোয়াল বলেন, গত কয়েক মাসে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর কী হয়েছে, সে বিষয়ে সবাই অবগত। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে ভারতের উদ্বেগ বারবার প্রকাশ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সম্প্রতি ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকেও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ওই প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। যুক্তরাষ্ট্রকেও এ বিষয়ে ভারতের উদ্বেগের কথা জানানো হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

জামায়াতের আমিরকে যানজট মুক্ত করতে গিয়ে প্রাণ দিলেন কর্মী

ছবিঃ সংগৃহীত

যানজটে আটকে থাকা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের গাড়ি বহরকে সাইড করে দিতে গিয়ে বাস চাপায় নিহত হয়েছেন জসিম উদ্দিন (৫৩) নামে জামায়াতের একজন কর্মী।

নিহত জসিম উদ্দিন উপজেলার বাগমারা উত্তর ইউনিয়নের সৈয়দপুর পশ্চিম পাড়ার মৃত আলী আশ্রাফ মোল্লার ছেলে। তার স্ত্রী ও শিশুসহ তিন ছেলে সন্তান রয়েছে।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের লালমাই উপজেলার সৈয়দপুর এলাকার ওয়ালটন শো-রুমের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী সৈয়দপুর গ্রামের বাসিন্দা মারুপ সিরাজী বলেন, লক্ষীপুর যাওয়ার পথে জামায়াত আমিরের বহরের ৪টি গাড়ি বাগমারা উত্তরবাজারে যানজটে আটকা পড়লে জামায়াতের নেতাকর্মীরা ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছিলেন। হঠাৎ তিশা পরিবহনের ঢাকামুখী একটি দ্রুতগতির বাস ধাক্কা দিলে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালনকারী জামায়াতের কর্মী জসিম উদ্দীনের মাথা থেতলে যায়। রক্তক্ষরণ হয়ে ঘটনাস্থলেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

বাগমারা বাজারের ব্যবসায়ী মফিজুল ইসলাম মুন্না বলেন, কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত হলেও বাগমারা বাজার অংশে অধিগ্রহণ জটিলতার কারণে দুই লেন করা হয়েছে।সে কারণে ২৪ ঘণ্টাই সড়কের এই অংশে যানজট লেগে থাকে। যানজট নিরসনে পুলিশ দায়িত্ব পালন করলে আজ হয়তো এমন মৃত্যু হতো না।

লালমাই উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা ইমাম হোসেন বলেন, আমিরে জামায়াত লক্ষীপুর যাওয়ার পথে বাগমারা উত্তর বাজার বালুর মাঠে পথসভা করেন। পথসভাস্থলে পৌঁছার কিছুক্ষণ আগে তাঁর গাড়ি বহর যানজটে আটকা পড়ে।

তখন আমিসহ সংগঠনের ১৫/২০ জন কর্মী ট্রাফিকের দায়িত্ব শুরু করি। আমরা আমিরে জামায়াতকে নিয়ে পথসভায় চলে যাওয়ার পর জামায়াতের কর্মী জসিম উদ্দিন বাস চাপায় মারা যান।

লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম বলেন, বাগমারা উত্তরবাজারে বাস চাপায় জসিম উদ্দিন নামের একজন মারা গেছেন। মরদেহ নিহতের বাড়িতে রয়েছে। খবর পেয়েই নিহতের বাড়িতে গিয়েছি।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পদ্মাপাড়ে মুখে স্কচটেপ প্যাঁচানো ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার  
সার্ক পুনরুজ্জীবনের প্রশ্নে বাংলাদেশকে যে বার্তা দিলো ভারত
জামায়াতের আমিরকে যানজট মুক্ত করতে গিয়ে প্রাণ দিলেন কর্মী
সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা  
একুশে টিভির জিডি, কর্মচারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে জামায়াত  
আফ্রিকার রানের চাপে বড় ব্যবধানে হারলো আফগানিস্তান
আগামীকাল দুই বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে
অপারেশন ডেভিল হান্ট: ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার ৪৬১
খিলগাঁওয়ে স-মিলে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১০ ইউনিট
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
পশ্চিম তীরে নতুন করে হামলার নির্দেশ দিলেন নেতানিয়াহু
মেসির অটোগ্রাফ চেয়ে শাস্তি পেলেন রেফারি
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বেনাপোলে হয়নি দুই বাংলার মিলন মেলা
মাতৃভাষার গুরুত্ব ও ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে যা বললেন ড. ইউনূস
চলন্ত বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি: তিন দিন পর মামলা, আতঙ্কে যাত্রীরা
বিপ্লবের আত্মত্যাগ উন্নত বাংলাদেশের পথে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে : পররাষ্ট্রসচিব
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে ২০২৪ সালে আওয়ামী সরকারের পতনের কারণ উদঘাটন
চ্যাম্পিয়নশিপের দল শেফিল্ডে মাসে ৪০ কোটি টাকা বেতন পাবেন হামজা চৌধুরী
পবিপ্রবিতে আবাসিক হলগুলোর নাম পরিবর্তন, মুছে ফেলা হলো শেখ পরিবারের নাম
ইসরায়েলের তেল আবিবে তিনটি বাসে বিস্ফোরণ