শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

পর্ব-৩

যে তুমি টলেমির বোন, বধূ

রাত গাঢ় থেকে গাঢ়তর হচ্ছে। ফিলোপেতরের চোখে ঘুম নেই।
‘রাজ্ঞী ফিলোপেতর? আসতে পারি?‘ নপুংসক দিমিত্রিউস এসেছে। প্রথম যখন এক যুদ্ধবন্দী কিশোর হিসেবে এই দেশে তার আসা, তখনি তার অঙ্গচ্ছেদ করা হয়েছিল। আজ সে নিশ্চিত মেনে নিয়েছে মেয়েলী সাজ, প্রসাধন, আবরণ ও আভরণের জীবন। তবে গোটা প্রাসাদে দিমিত্রিউসের মত বিশ্বস্ত একজনও নেই।
‘চারপাশে কি অবস্থা দিমিত্রিউস?‘
‘অবস্থা খুবই গুরুতর, আশঙ্কাজনক।’
‘যেমন?‘

‘দেখুন- থিওস টলেমি ত্রয়োদশবর্ষীয় নাবালক মাত্র। আপনার বৈমাত্রেয় ভগ্নি আর্সিনোয়ে কিন্তা ওই ঘাঘু রাজনীতিক পোথেইনসের সঙ্গে মিলে আপনাকে ক্ষমতাচ্যূত করার ষড়যন্ত্র করছে। প্রজাদের তারা এই বলে ক্ষেপানোর চেষ্টা করছে যে আপনার অদক্ষতা বা দেশপ্রেমের অভাবেই দূর রোম থেকে সিজার তার সৈন্যবাহিনী নিয়ে আমাদের জলসীমায় ঢুকে পড়ে আলেক্সান্দ্রিয়ার উপকণ্ঠে অবস্থান নিয়েছেন। আপনি...আপনি বুঝতে পারছেন না যে আপনি কিন্তা ইতোমধ্যে অংশতঃ বন্দী হয়ে পড়ছেন!’
‘কি?‘
‘হ্যাঁ- আপনার প্রাসাদ ইতোমধ্যেই এই রাতের অন্ধকারে চারপাশ থেকে ঘেরাও করা হয়েছে। কাল সকাল নাগাদ আপনার স্বজনেরাই আপনাকে বন্দী করবে।’
‘কি বলছো এসব?‘
‘যা বলছি ঠিকই বলছি।’
‘তাহলে? বাঁচার উপায়?‘
‘এক কাজ করুন। আপনি সোজা সিজারের কাছে চলে গিয়ে তার আশ্রয় প্রার্থনা করুন ও তার সাহায্যকারীনী হবার প্রতিশ্রুতি দিন।’
‘এত রাতে কীভাবে যাব?‘
‘আমি একটা উপায় স্থির করেছি। এদিকে তাকিয়ে দেখুন-।’
‘কি? এটা?‘
‘এই গালিচাটি এনেছি। এই পুরনো গালিচার ভেতর আপনাকে আমরা মুড়ে যেন বা লেপ-তোশক-গালিচা সারাইয়ের লোক রাজপ্রাসাদ থেকে বের হচ্ছে, এভাবে কাঁধে বহন করে আজ মাঝ রাত না হতেই সিজারের সামনে নিয়ে গিয়ে হাজির করব। বাকিটা ভাগ্য।’
‘এই গালিচার ভেতরে?’
‘আপনি ছোটখাটো মানুষ-দিব্যি এঁটে যাবেন! নয়তো সকাল হতেই আপনার ভাই-বোনরাই আপনাকে বন্দী করে খুনও করে ফেলতে পারে।’
এক মুহূর্ত শুধু ভাবলেন ফিলোপেতর। তারপর হ্রস্ব দেহটি মুড়িয়ে দিতে দিলেন একটি জীর্ণ গালিচার ভেতরে যা সেই রাতেই কাঁধে বহন হয়ে বাতাসের বেগে ছুটে গেল আলেক্সান্দ্রিয়ার উপকণ্ঠে রোমক সম্রিাট গাইয়াস জুলিয়াস সিজারের পদতলে।

ভেতরে ভেতরে নিজের প্রতি ঘৃণা ও অপমানবোধে পুড়ে যাচ্ছিলেন ফিলিপেতর। নিজে তিনি গ্রিক বংশোদ্ভুত রাজকন্যা! জানেন নয়টি ভাষা। শুধু আজ দরিদ্র মিশরের রানী বলে, পুরুষজন্ম নয় বলে বালক ভ্রাতার পত্নী হয়ে, রণকুশল বলে গালিচার ভেতর প্রায় অর্দ্ধ-নগ্ন অবস্থায় কতিপয় বাহকের কাঁধে সওয়ার হয়ে ছুটছেন জুলিয়াস সীজারের পদতলে পথের গণিকার মত নিজেকে মেলে দেবেন বলে। কিন্তা এ ছাড়া উপায়ই বা কি? ঘাঘু বুড়ো পোথেইনস, তেরো বছরের নাবালক থিওস আর অর্দ্ধ-ভগ্নী আর্সিনোয়ে...মিশরকে রোমক বাহিনীর হাত থেকে দীর্ঘস্থায়ীভাবে বাঁচানোর বুদ্ধি এদের একজনেরও কি আছে? পোথেইনস চায় থিওসকে সামনে রেখে আড়ালে গোটা দেশ চালানোর ক্ষমতা, থিওস পারলে এখনো ঘুড়ি ওড়ায় কি মার্বেল খেলে আর আর্সিনোয়ে চায় বেরেনিস হত্যার শোধ! এইই তো? কাজেই বরঞ্চ এই জীর্ণ গালিচার ভেতরে বসেই দু‘চোখের অশ্রু মুছে ফেলা যাক, মুখে ফুটিয়ে তোলা যাক মোহিনী হাসি যখন কি না সিজারের পদপ্রান্তে গালিচাটি উন্মোচিত করে খোদ ফিলোপেতরকেই উন্মোচিত করা হচ্ছে...রোমক বহিরাগতদের কাছে নীল নদের এই দেশ যেন নিজেকেই নিজে মেলে দিচ্ছে ভোগ্যা হবার জন্য!

‘বারাঙ্গণা ফিলোপেতরের বিরুদ্ধে এই দেশপ্রেমিক যুদ্ধে সবাই সামিল হোন!‘ তেরো বছরের নাবালাক ভাই, স্বামী ও টলেমি থিওস সেনাবাহিনীর সবার সামনে।

‘ওই পতিতা ফিলোপেতর আমাকে আমার প্রাপ্য দেয়নি-সে আজ বহিরগাত সিজারের অঙ্কশায়িনী! তাকে থু তু! আসুন-সবাই সিজারের ঘাঁটি ঘেরাও করি- চলুন!‘ পোথেইনসের শেখানো বুলি তোতা পাখির মত মুখস্থ করা বালক থিওস জনতার দিকে হাত নাড়ে।
‘বারাঙ্গণা-বারাঙ্গণা-বারাঙ্গণা ফিলোপেতর!’

আলেকান্দ্রিয়ার উপকণ্ঠে খোদ সীজারের ঘাঁটি ঘেরাও করেছে অসংখ্য ক্ষুব্ধ মিশরীয়। কিন্তÍ ততক্ষণে কুশাগ্র বুদ্ধি সিজার ছুটে গেছেন নীল নদে। সূচনা হলো নীল নদের যুদ্ধ। ফিলোপেতর নিজেও আছেন জাহাজে সিজারের কামরায়। দুজনে মিলে দেখছেন নৌপথ যুদ্ধেও আয়োজন।
‘পতিতা-বেশ্যা ফিলোপেতর!‘
তেরো ছাড়িয়ে চোদ্দতে পা রাখতে যাচ্ছে থিওস। শৈশবে ফিলোপেতরের কোলে বসে কত গল্প শুনেছে সে! মুখোমুখি রণতরীতে দাঁড়িয়ে আছে সে বিশাল কামানটার পাশে।
‘হয় আজ মরবো নয় মারব!‘
‘কী করব আমরা?‘ সীজার প্রেমময় চোখে তাকান ফিলোপেতরের দিকে।
একটি দীর্ঘশ্বাস ভেতরে পাক খেলেও ঠোঁট কামড়ান ফিলোপেতর, স্মিত হেসে মাথা হেলান যার অর্থ হলো ওপক্ষ থেকে আসা তীরন্দাজির উত্তর এপক্ষ থেকেও দেওয়া হোক।

...দেখতে দেখতে মিশরীয় জাহাজের দিকে রোমক জাহাজ থেকে অসংখ্য তীর ছুটতে শুরু করল। বিপুল রোমক সাম্রাজ্যের এক প্রান্তিক, করদ রাষ্ট্র মিশরের বেশিক্ষণ সময় যুদ্ধ করার ক্ষমতা স্বাভাবিকভাবেই থাকল না। নাবালক থিওস অবশ্য অনেকটা সময় যুদ্ধ করেছিল। শেষ তীরটা তার বুকে বেঁধার আগ পর্যন্ত ফিলোপেতর ও তার রোমক প্রেমিক সীজারের মুখোমুখি রণতরীতে মিশরের পতাকার নিচে দাঁড়িয়েই সে যুদ্ধ করে গেছে।
‘বেশ্যা-আমি মিশরের জন্য লড়ে গেলাম!‘
সিজার-হ্যাঁ, সিজারের হাত থেকেই শেষ তীরটা ছুটে যাবার পর রণতরী থেকে উল্টে নীল নদে পড়ে যেতে যেতে চেঁচিয়ে উঠল থিওস।
‘কেন তুমি আমাকে তোমার সব দিলে না, ফিলোপেতর? কেন তুমি ঐ বিদেশির হলে...আমাকে ঠকালে কেন তুমি? শেষ যেদিন তোমার কক্ষে কথা হয়েছিল, কত অনুরোধ করলাম আমার সামনে পোশাক খুলতে...তুমি বললে তুমি বোন...আবার সবাই বলে তুমি আমার বধূও বটে...তুমি...তুমি...তুমি আমার হলে না কেন?‘
রোমক ও মিশরীয় সৈন্যদের রক্তে নীল নদ ভরে ওঠে।

১১.‘আমরা-আমরা জয়ী হয়েছি, প্রিয়তমা! তোমাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও ভালবাসা-এভাবে পাশে থেকে যুদ্ধে প্রেরণা দেবার জন্য- রোমক সাম্রাজ্যকে আরও শক্তিশালী করার জন্য!’
আবেগ ভরে সীজার ফিলোপেতরের কাঁধে-বাহুতে-কুঞ্চিত কেশে চুমু খেতে থাকেন। ফিলোপেতর মুখে তার মোহিনী হাসিটি ধরে রাখলেও অন্তরে যেন জানেন যে এক জীবনে কোনোদিনই তাঁর আর সুখী হওয়া হবে না। মিশরীয় রণতরী থেকে নীলনদে উল্টে পড়ে যাওয়া থিওসের রক্তাক্ত দেহ সারাজীবনই তার চোখে ভাসবে। ছোট্ট থিওস যে স্বামী হয়ে উঠতে চেয়েছিল। তবু সীজারের চুমুর প্রত্যুত্তরে তিনিও চুমু দেন সিজারকে-যেমনটা নীল নদের দেশ মিশরকে বছর শেষে নিয়মিত খাজনা দিতেই হয় প্রবল প্রতাপশালী রোমক সাম্রাজ্যকে।
‘এবার আমাকে কী করতে হবে, মহামান্য সম্রাট?’

‘আমরা নীল নদে একটি নৌযাত্রা করব। তুমি আমার পাশে থাকবে। মিশরের জনতা বুঝে যাবে তুমিই আমার তথা রোমক সাম্রাজ্যের নির্বাচিত রাণী-মিশরের জন্য। থিওস ও তোমার অর্দ্ধ-ভগ্নি ইতোমধ্যে নিহত। তোমার ক্ষমতা সুসংহত।’
‘আর?‘
‘হুম-দ্যাখো-দেশে আমার রোমক রাণী ক্যালপূর্ণিয়া আছেন। তাকে আমি কোথায় ফেলে দেব? তাকে কি আমি প্রাসাদ থেকে সরিয়ে পথে নামাতে পারি? আমি এখানে কিছু সময় থাকব। চাইলে তুমিও আমার সঙ্গে রোমে ভ্রমণে যেতে পার। তোমাকে পৃথক প্রাসাদে রাখা হবে। আর-এখানে-
‘এখানে?’
‘তোমার ছোট ভাই তো এখনো জীবিত, তাই না?’
‘হ্যাঁ-’
‘তাকেই আমি টলেমি ত্রয়োদশ হিসেবে নির্বাচিত করে দেব, তোমার সঙ্গে বিয়ে হবে তার।’
‘আর আমি-’
‘আমি?’
‘আমি যে প্রথমবারের মতো মা হতে যাচ্ছি? তোমার সন্তানের মা!’
‘আমি কৃতজ্ঞ। কি নাম রাখবে তার?’
‘সিজারিওন।’

‘অনেক ধন্যবাদ-কিন্তা যেহেতু ক্যালপূর্ণিয়া আজো মা হতে পারেনি, অন্য কোনো নারীর সঙ্গে পিতা হবার সংবাদ আমি রোমে কাউকেই জানাতে পারব না। তবে আমি রোমে ফেরার আগে তোমার দ্বিতীয় শিশু ভাই তথা ত্রয়োদশ টলেমির সঙ্গে তোমার বিবাহ অনুষ্ঠান সম্পন্ন করে যাব যাতে করে মিশরের পুরোহিত শ্রেণি, রাজপরিবারের যত অভিজাত ও মিশরের জনগণ আশ্বস্ত হয় যে টলেমিয় রাজবংশের সব রীতি-নীতি এখনো সুষ্ঠুভাবে পালিত হচ্ছে।’

আগের পর্ব পড়ুন...

যে তুমি টলেমির বোন, বধূ: পর্ব-১

যে তুমি টলেমির বোন, বধূ: পর্ব-২

 

 

 

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত