সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

পর্ব-৩

যে তুমি টলেমির বোন, বধূ

রাত গাঢ় থেকে গাঢ়তর হচ্ছে। ফিলোপেতরের চোখে ঘুম নেই।
‘রাজ্ঞী ফিলোপেতর? আসতে পারি?‘ নপুংসক দিমিত্রিউস এসেছে। প্রথম যখন এক যুদ্ধবন্দী কিশোর হিসেবে এই দেশে তার আসা, তখনি তার অঙ্গচ্ছেদ করা হয়েছিল। আজ সে নিশ্চিত মেনে নিয়েছে মেয়েলী সাজ, প্রসাধন, আবরণ ও আভরণের জীবন। তবে গোটা প্রাসাদে দিমিত্রিউসের মত বিশ্বস্ত একজনও নেই।
‘চারপাশে কি অবস্থা দিমিত্রিউস?‘
‘অবস্থা খুবই গুরুতর, আশঙ্কাজনক।’
‘যেমন?‘

‘দেখুন- থিওস টলেমি ত্রয়োদশবর্ষীয় নাবালক মাত্র। আপনার বৈমাত্রেয় ভগ্নি আর্সিনোয়ে কিন্তা ওই ঘাঘু রাজনীতিক পোথেইনসের সঙ্গে মিলে আপনাকে ক্ষমতাচ্যূত করার ষড়যন্ত্র করছে। প্রজাদের তারা এই বলে ক্ষেপানোর চেষ্টা করছে যে আপনার অদক্ষতা বা দেশপ্রেমের অভাবেই দূর রোম থেকে সিজার তার সৈন্যবাহিনী নিয়ে আমাদের জলসীমায় ঢুকে পড়ে আলেক্সান্দ্রিয়ার উপকণ্ঠে অবস্থান নিয়েছেন। আপনি...আপনি বুঝতে পারছেন না যে আপনি কিন্তা ইতোমধ্যে অংশতঃ বন্দী হয়ে পড়ছেন!’
‘কি?‘
‘হ্যাঁ- আপনার প্রাসাদ ইতোমধ্যেই এই রাতের অন্ধকারে চারপাশ থেকে ঘেরাও করা হয়েছে। কাল সকাল নাগাদ আপনার স্বজনেরাই আপনাকে বন্দী করবে।’
‘কি বলছো এসব?‘
‘যা বলছি ঠিকই বলছি।’
‘তাহলে? বাঁচার উপায়?‘
‘এক কাজ করুন। আপনি সোজা সিজারের কাছে চলে গিয়ে তার আশ্রয় প্রার্থনা করুন ও তার সাহায্যকারীনী হবার প্রতিশ্রুতি দিন।’
‘এত রাতে কীভাবে যাব?‘
‘আমি একটা উপায় স্থির করেছি। এদিকে তাকিয়ে দেখুন-।’
‘কি? এটা?‘
‘এই গালিচাটি এনেছি। এই পুরনো গালিচার ভেতর আপনাকে আমরা মুড়ে যেন বা লেপ-তোশক-গালিচা সারাইয়ের লোক রাজপ্রাসাদ থেকে বের হচ্ছে, এভাবে কাঁধে বহন করে আজ মাঝ রাত না হতেই সিজারের সামনে নিয়ে গিয়ে হাজির করব। বাকিটা ভাগ্য।’
‘এই গালিচার ভেতরে?’
‘আপনি ছোটখাটো মানুষ-দিব্যি এঁটে যাবেন! নয়তো সকাল হতেই আপনার ভাই-বোনরাই আপনাকে বন্দী করে খুনও করে ফেলতে পারে।’
এক মুহূর্ত শুধু ভাবলেন ফিলোপেতর। তারপর হ্রস্ব দেহটি মুড়িয়ে দিতে দিলেন একটি জীর্ণ গালিচার ভেতরে যা সেই রাতেই কাঁধে বহন হয়ে বাতাসের বেগে ছুটে গেল আলেক্সান্দ্রিয়ার উপকণ্ঠে রোমক সম্রিাট গাইয়াস জুলিয়াস সিজারের পদতলে।

ভেতরে ভেতরে নিজের প্রতি ঘৃণা ও অপমানবোধে পুড়ে যাচ্ছিলেন ফিলিপেতর। নিজে তিনি গ্রিক বংশোদ্ভুত রাজকন্যা! জানেন নয়টি ভাষা। শুধু আজ দরিদ্র মিশরের রানী বলে, পুরুষজন্ম নয় বলে বালক ভ্রাতার পত্নী হয়ে, রণকুশল বলে গালিচার ভেতর প্রায় অর্দ্ধ-নগ্ন অবস্থায় কতিপয় বাহকের কাঁধে সওয়ার হয়ে ছুটছেন জুলিয়াস সীজারের পদতলে পথের গণিকার মত নিজেকে মেলে দেবেন বলে। কিন্তা এ ছাড়া উপায়ই বা কি? ঘাঘু বুড়ো পোথেইনস, তেরো বছরের নাবালক থিওস আর অর্দ্ধ-ভগ্নী আর্সিনোয়ে...মিশরকে রোমক বাহিনীর হাত থেকে দীর্ঘস্থায়ীভাবে বাঁচানোর বুদ্ধি এদের একজনেরও কি আছে? পোথেইনস চায় থিওসকে সামনে রেখে আড়ালে গোটা দেশ চালানোর ক্ষমতা, থিওস পারলে এখনো ঘুড়ি ওড়ায় কি মার্বেল খেলে আর আর্সিনোয়ে চায় বেরেনিস হত্যার শোধ! এইই তো? কাজেই বরঞ্চ এই জীর্ণ গালিচার ভেতরে বসেই দু‘চোখের অশ্রু মুছে ফেলা যাক, মুখে ফুটিয়ে তোলা যাক মোহিনী হাসি যখন কি না সিজারের পদপ্রান্তে গালিচাটি উন্মোচিত করে খোদ ফিলোপেতরকেই উন্মোচিত করা হচ্ছে...রোমক বহিরাগতদের কাছে নীল নদের এই দেশ যেন নিজেকেই নিজে মেলে দিচ্ছে ভোগ্যা হবার জন্য!

‘বারাঙ্গণা ফিলোপেতরের বিরুদ্ধে এই দেশপ্রেমিক যুদ্ধে সবাই সামিল হোন!‘ তেরো বছরের নাবালাক ভাই, স্বামী ও টলেমি থিওস সেনাবাহিনীর সবার সামনে।

‘ওই পতিতা ফিলোপেতর আমাকে আমার প্রাপ্য দেয়নি-সে আজ বহিরগাত সিজারের অঙ্কশায়িনী! তাকে থু তু! আসুন-সবাই সিজারের ঘাঁটি ঘেরাও করি- চলুন!‘ পোথেইনসের শেখানো বুলি তোতা পাখির মত মুখস্থ করা বালক থিওস জনতার দিকে হাত নাড়ে।
‘বারাঙ্গণা-বারাঙ্গণা-বারাঙ্গণা ফিলোপেতর!’

আলেকান্দ্রিয়ার উপকণ্ঠে খোদ সীজারের ঘাঁটি ঘেরাও করেছে অসংখ্য ক্ষুব্ধ মিশরীয়। কিন্তÍ ততক্ষণে কুশাগ্র বুদ্ধি সিজার ছুটে গেছেন নীল নদে। সূচনা হলো নীল নদের যুদ্ধ। ফিলোপেতর নিজেও আছেন জাহাজে সিজারের কামরায়। দুজনে মিলে দেখছেন নৌপথ যুদ্ধেও আয়োজন।
‘পতিতা-বেশ্যা ফিলোপেতর!‘
তেরো ছাড়িয়ে চোদ্দতে পা রাখতে যাচ্ছে থিওস। শৈশবে ফিলোপেতরের কোলে বসে কত গল্প শুনেছে সে! মুখোমুখি রণতরীতে দাঁড়িয়ে আছে সে বিশাল কামানটার পাশে।
‘হয় আজ মরবো নয় মারব!‘
‘কী করব আমরা?‘ সীজার প্রেমময় চোখে তাকান ফিলোপেতরের দিকে।
একটি দীর্ঘশ্বাস ভেতরে পাক খেলেও ঠোঁট কামড়ান ফিলোপেতর, স্মিত হেসে মাথা হেলান যার অর্থ হলো ওপক্ষ থেকে আসা তীরন্দাজির উত্তর এপক্ষ থেকেও দেওয়া হোক।

...দেখতে দেখতে মিশরীয় জাহাজের দিকে রোমক জাহাজ থেকে অসংখ্য তীর ছুটতে শুরু করল। বিপুল রোমক সাম্রাজ্যের এক প্রান্তিক, করদ রাষ্ট্র মিশরের বেশিক্ষণ সময় যুদ্ধ করার ক্ষমতা স্বাভাবিকভাবেই থাকল না। নাবালক থিওস অবশ্য অনেকটা সময় যুদ্ধ করেছিল। শেষ তীরটা তার বুকে বেঁধার আগ পর্যন্ত ফিলোপেতর ও তার রোমক প্রেমিক সীজারের মুখোমুখি রণতরীতে মিশরের পতাকার নিচে দাঁড়িয়েই সে যুদ্ধ করে গেছে।
‘বেশ্যা-আমি মিশরের জন্য লড়ে গেলাম!‘
সিজার-হ্যাঁ, সিজারের হাত থেকেই শেষ তীরটা ছুটে যাবার পর রণতরী থেকে উল্টে নীল নদে পড়ে যেতে যেতে চেঁচিয়ে উঠল থিওস।
‘কেন তুমি আমাকে তোমার সব দিলে না, ফিলোপেতর? কেন তুমি ঐ বিদেশির হলে...আমাকে ঠকালে কেন তুমি? শেষ যেদিন তোমার কক্ষে কথা হয়েছিল, কত অনুরোধ করলাম আমার সামনে পোশাক খুলতে...তুমি বললে তুমি বোন...আবার সবাই বলে তুমি আমার বধূও বটে...তুমি...তুমি...তুমি আমার হলে না কেন?‘
রোমক ও মিশরীয় সৈন্যদের রক্তে নীল নদ ভরে ওঠে।

১১.‘আমরা-আমরা জয়ী হয়েছি, প্রিয়তমা! তোমাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও ভালবাসা-এভাবে পাশে থেকে যুদ্ধে প্রেরণা দেবার জন্য- রোমক সাম্রাজ্যকে আরও শক্তিশালী করার জন্য!’
আবেগ ভরে সীজার ফিলোপেতরের কাঁধে-বাহুতে-কুঞ্চিত কেশে চুমু খেতে থাকেন। ফিলোপেতর মুখে তার মোহিনী হাসিটি ধরে রাখলেও অন্তরে যেন জানেন যে এক জীবনে কোনোদিনই তাঁর আর সুখী হওয়া হবে না। মিশরীয় রণতরী থেকে নীলনদে উল্টে পড়ে যাওয়া থিওসের রক্তাক্ত দেহ সারাজীবনই তার চোখে ভাসবে। ছোট্ট থিওস যে স্বামী হয়ে উঠতে চেয়েছিল। তবু সীজারের চুমুর প্রত্যুত্তরে তিনিও চুমু দেন সিজারকে-যেমনটা নীল নদের দেশ মিশরকে বছর শেষে নিয়মিত খাজনা দিতেই হয় প্রবল প্রতাপশালী রোমক সাম্রাজ্যকে।
‘এবার আমাকে কী করতে হবে, মহামান্য সম্রাট?’

‘আমরা নীল নদে একটি নৌযাত্রা করব। তুমি আমার পাশে থাকবে। মিশরের জনতা বুঝে যাবে তুমিই আমার তথা রোমক সাম্রাজ্যের নির্বাচিত রাণী-মিশরের জন্য। থিওস ও তোমার অর্দ্ধ-ভগ্নি ইতোমধ্যে নিহত। তোমার ক্ষমতা সুসংহত।’
‘আর?‘
‘হুম-দ্যাখো-দেশে আমার রোমক রাণী ক্যালপূর্ণিয়া আছেন। তাকে আমি কোথায় ফেলে দেব? তাকে কি আমি প্রাসাদ থেকে সরিয়ে পথে নামাতে পারি? আমি এখানে কিছু সময় থাকব। চাইলে তুমিও আমার সঙ্গে রোমে ভ্রমণে যেতে পার। তোমাকে পৃথক প্রাসাদে রাখা হবে। আর-এখানে-
‘এখানে?’
‘তোমার ছোট ভাই তো এখনো জীবিত, তাই না?’
‘হ্যাঁ-’
‘তাকেই আমি টলেমি ত্রয়োদশ হিসেবে নির্বাচিত করে দেব, তোমার সঙ্গে বিয়ে হবে তার।’
‘আর আমি-’
‘আমি?’
‘আমি যে প্রথমবারের মতো মা হতে যাচ্ছি? তোমার সন্তানের মা!’
‘আমি কৃতজ্ঞ। কি নাম রাখবে তার?’
‘সিজারিওন।’

‘অনেক ধন্যবাদ-কিন্তা যেহেতু ক্যালপূর্ণিয়া আজো মা হতে পারেনি, অন্য কোনো নারীর সঙ্গে পিতা হবার সংবাদ আমি রোমে কাউকেই জানাতে পারব না। তবে আমি রোমে ফেরার আগে তোমার দ্বিতীয় শিশু ভাই তথা ত্রয়োদশ টলেমির সঙ্গে তোমার বিবাহ অনুষ্ঠান সম্পন্ন করে যাব যাতে করে মিশরের পুরোহিত শ্রেণি, রাজপরিবারের যত অভিজাত ও মিশরের জনগণ আশ্বস্ত হয় যে টলেমিয় রাজবংশের সব রীতি-নীতি এখনো সুষ্ঠুভাবে পালিত হচ্ছে।’

আগের পর্ব পড়ুন...

যে তুমি টলেমির বোন, বধূ: পর্ব-১

যে তুমি টলেমির বোন, বধূ: পর্ব-২

 

 

 

Header Ad
Header Ad

রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার

ছবি: সংগৃহীত

চূড়ান্ত বাঁশি বাজার ঠিক আগে এক উত্তপ্ত ঘটনার জন্ম দেন রিয়াল মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার। এরিক গার্সিয়ার বিরুদ্ধে কিলিয়ান এমবাপের করা একটি ফাউলের প্রতিবাদে বেঞ্চে থাকা রুদিগার ক্ষিপ্ত হয়ে রেফারির দিকে আইস ব্যাগ ছুঁড়ে মারেন, যার ফলে তিনি সরাসরি লাল কার্ড দেখেন।

ঘটনা সেখানেই শেষ হয়নি। লাল কার্ড দেখার পর রুদিগার আরও উত্তেজিত হয়ে রেফারির দিকে তেড়ে যান, তবে ক্লাবের টেকনিক্যাল কমিটির এক সদস্য তাকে আটকান। পরে মাথা ঠাণ্ডা হলে রুদিগার নিজের আচরণের জন্য অনুতপ্ত হন এবং রোববার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রেফারি দে বুরগোস বেঙ্গোইচিয়ার কাছে ক্ষমা চান।

নিজের ভুল স্বীকার করে রুদিগার লেখেন, "গতরাতের আচরণের কোনো যুক্তি নেই। আমি সত্যিই দুঃখিত, এবং রেফারির কাছেও ক্ষমা চাইছি।" একইসঙ্গে তিনি নিজের পারফরম্যান্সের দুর্বলতার কথা স্বীকার করেন এবং দলের দুর্দান্ত দ্বিতীয়ার্ধের পারফরম্যান্সের প্রশংসা করেন।

রেফারির ম্যাচ রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, রুদিগার টেকনিক্যাল এরিয়া থেকে একটি বস্তু ছুঁড়েছিলেন, যদিও তা রেফারির শরীরে লাগেনি। এছাড়া লাল কার্ড প্রদর্শনের পর তাকে শান্ত করতে টেকনিক্যাল স্টাফদের এগিয়ে আসতে হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

 

Header Ad
Header Ad

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা

ছবি: সংগৃহীত

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহারের মাধ্যমে বরণ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রদল। ঢাবি ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন শাওনের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীদের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

রোববার (২৭ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য সাক্ষাৎকার দিতে আসা শিক্ষার্থীদের মাঝে নোটবুক, কলম, পানি, বিস্কুট, সেলাইন এবং প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা ও মেডিসিন সরবরাহ করা হয়। পাশাপাশি অভিভাবকদের বিশ্রামের জন্য চেয়ারের ব্যবস্থা এবং প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করা হয়।

এ সময় নাছির উদ্দিন শাওনের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন ঢাবি ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমাম আল নাসের মিশুক ও আকিব জাবেদ রাফি, সহ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ সেকান্দার, গণসংযোগ বিষয়ক সম্পাদক মানিউল আলম পাঠান শান্ত, সদস্য ইমদাদুল হক ও হাসিবুর রহমান সাকিব, মহসিন হল শাখার দপ্তর সম্পাদক মোঃ আবুজার গিফারী ইফাত, সহ ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক রায়হানা পারভীন, সহ-আইন সম্পাদক সাফওয়ান হাসান তামিম, কর্মী কাজী আবির, আব্দুল্লাহ অনন্ত, লুৎফুর কবির রানা, ক্রীড়া সম্পাদক (জসীমউদ্দিন হল শাখা) আব্দুল ওহেদ, কর্মী মাসুম বিন বশির এবং নাঈম চৌধুরী।

ছাত্রদল নেতারা নবীন শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের সফলতা কামনা করেন এবং তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।

Header Ad
Header Ad

দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও নূরজাহান বেগম। ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতির অভিযোগ তুলে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও নূরজাহান বেগমের পদত্যাগ দাবি করেছে বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরাম। একইসঙ্গে তাদের দুই সহকারীকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি।

রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়। এতে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে বদলি, পদোন্নতি, পদায়ন ও টেন্ডার সংক্রান্ত তদবির বাণিজ্যে লিপ্ত ছিলেন এই দুই উপদেষ্টার সহকারীরা। অভিযোগ রয়েছে, মোয়াজ্জেম হোসেন প্রায় ৪ শত কোটি টাকা আয় করেছেন। একই ধরনের অভিযোগ রয়েছে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পিও তুহিন ফারাবী ও ডা. মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধেও।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অভিযুক্তদের পেছনে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় ছিল বলেই তারা এতদূর যেতে পেরেছে। ফলে প্রশ্ন উঠেছে—তাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টারা কি দায় এড়াতে পারেন?

সংগঠনটি বলেছে, নৈতিক দায়বদ্ধতা ও জনমনে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতেই উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও নূরজাহান বেগমের পদত্যাগ করা উচিত। পাশাপাশি দুর্নীতিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

এদিকে, দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক ইতোমধ্যে মোয়াজ্জেম হোসেন ও তুহিন ফারাবীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। গত বৃহস্পতিবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক ও মুখপাত্র মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার এপিএস মোয়াজ্জেম হোসেন এবং স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পিও তুহিন ফারাবীকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ
হাকিমপুরে গরীবের চাল ছাত্রলীগ নেতার গুদামে
চুরির অভিযোগে কুবির দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার
ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগবাড়িয়ে কিছু করার পক্ষে নয় ঢাকা
সাব-ইন্সপেক্টর পদে প্রাথমিক সুপারিশ পেল ৫৯৯ জন
দুই উপদেষ্টার এপিএস-পিও’র দুর্নীতির খোঁজে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু
নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা চায় জামায়াত
কক্সবাজার-১ আসনের সাবেক এমপি জাফর আলম গ্রেপ্তার
ভারতের দিকে তাক করা পাকিস্তানের ১৩০ পারমাণবিক বোমা
চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় তাওহিদ হৃদয়, বাড়ছে নাটকের রঙ
উত্তেজনার মধ্যেই যুদ্ধজাহাজ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাল ভারত
ছেলে খুঁজে পাচ্ছি না, একজন জীবনসঙ্গী দরকার: মিলা
টাঙ্গাইলে শ্রমিকদলের নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধে ভারতের ১.১৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির শঙ্কা
দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা