বুধবার, ২৯ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৫ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

পর্ব-৩

যে তুমি টলেমির বোন, বধূ

রাত গাঢ় থেকে গাঢ়তর হচ্ছে। ফিলোপেতরের চোখে ঘুম নেই।
‘রাজ্ঞী ফিলোপেতর? আসতে পারি?‘ নপুংসক দিমিত্রিউস এসেছে। প্রথম যখন এক যুদ্ধবন্দী কিশোর হিসেবে এই দেশে তার আসা, তখনি তার অঙ্গচ্ছেদ করা হয়েছিল। আজ সে নিশ্চিত মেনে নিয়েছে মেয়েলী সাজ, প্রসাধন, আবরণ ও আভরণের জীবন। তবে গোটা প্রাসাদে দিমিত্রিউসের মত বিশ্বস্ত একজনও নেই।
‘চারপাশে কি অবস্থা দিমিত্রিউস?‘
‘অবস্থা খুবই গুরুতর, আশঙ্কাজনক।’
‘যেমন?‘

‘দেখুন- থিওস টলেমি ত্রয়োদশবর্ষীয় নাবালক মাত্র। আপনার বৈমাত্রেয় ভগ্নি আর্সিনোয়ে কিন্তা ওই ঘাঘু রাজনীতিক পোথেইনসের সঙ্গে মিলে আপনাকে ক্ষমতাচ্যূত করার ষড়যন্ত্র করছে। প্রজাদের তারা এই বলে ক্ষেপানোর চেষ্টা করছে যে আপনার অদক্ষতা বা দেশপ্রেমের অভাবেই দূর রোম থেকে সিজার তার সৈন্যবাহিনী নিয়ে আমাদের জলসীমায় ঢুকে পড়ে আলেক্সান্দ্রিয়ার উপকণ্ঠে অবস্থান নিয়েছেন। আপনি...আপনি বুঝতে পারছেন না যে আপনি কিন্তা ইতোমধ্যে অংশতঃ বন্দী হয়ে পড়ছেন!’
‘কি?‘
‘হ্যাঁ- আপনার প্রাসাদ ইতোমধ্যেই এই রাতের অন্ধকারে চারপাশ থেকে ঘেরাও করা হয়েছে। কাল সকাল নাগাদ আপনার স্বজনেরাই আপনাকে বন্দী করবে।’
‘কি বলছো এসব?‘
‘যা বলছি ঠিকই বলছি।’
‘তাহলে? বাঁচার উপায়?‘
‘এক কাজ করুন। আপনি সোজা সিজারের কাছে চলে গিয়ে তার আশ্রয় প্রার্থনা করুন ও তার সাহায্যকারীনী হবার প্রতিশ্রুতি দিন।’
‘এত রাতে কীভাবে যাব?‘
‘আমি একটা উপায় স্থির করেছি। এদিকে তাকিয়ে দেখুন-।’
‘কি? এটা?‘
‘এই গালিচাটি এনেছি। এই পুরনো গালিচার ভেতর আপনাকে আমরা মুড়ে যেন বা লেপ-তোশক-গালিচা সারাইয়ের লোক রাজপ্রাসাদ থেকে বের হচ্ছে, এভাবে কাঁধে বহন করে আজ মাঝ রাত না হতেই সিজারের সামনে নিয়ে গিয়ে হাজির করব। বাকিটা ভাগ্য।’
‘এই গালিচার ভেতরে?’
‘আপনি ছোটখাটো মানুষ-দিব্যি এঁটে যাবেন! নয়তো সকাল হতেই আপনার ভাই-বোনরাই আপনাকে বন্দী করে খুনও করে ফেলতে পারে।’
এক মুহূর্ত শুধু ভাবলেন ফিলোপেতর। তারপর হ্রস্ব দেহটি মুড়িয়ে দিতে দিলেন একটি জীর্ণ গালিচার ভেতরে যা সেই রাতেই কাঁধে বহন হয়ে বাতাসের বেগে ছুটে গেল আলেক্সান্দ্রিয়ার উপকণ্ঠে রোমক সম্রিাট গাইয়াস জুলিয়াস সিজারের পদতলে।

ভেতরে ভেতরে নিজের প্রতি ঘৃণা ও অপমানবোধে পুড়ে যাচ্ছিলেন ফিলিপেতর। নিজে তিনি গ্রিক বংশোদ্ভুত রাজকন্যা! জানেন নয়টি ভাষা। শুধু আজ দরিদ্র মিশরের রানী বলে, পুরুষজন্ম নয় বলে বালক ভ্রাতার পত্নী হয়ে, রণকুশল বলে গালিচার ভেতর প্রায় অর্দ্ধ-নগ্ন অবস্থায় কতিপয় বাহকের কাঁধে সওয়ার হয়ে ছুটছেন জুলিয়াস সীজারের পদতলে পথের গণিকার মত নিজেকে মেলে দেবেন বলে। কিন্তা এ ছাড়া উপায়ই বা কি? ঘাঘু বুড়ো পোথেইনস, তেরো বছরের নাবালক থিওস আর অর্দ্ধ-ভগ্নী আর্সিনোয়ে...মিশরকে রোমক বাহিনীর হাত থেকে দীর্ঘস্থায়ীভাবে বাঁচানোর বুদ্ধি এদের একজনেরও কি আছে? পোথেইনস চায় থিওসকে সামনে রেখে আড়ালে গোটা দেশ চালানোর ক্ষমতা, থিওস পারলে এখনো ঘুড়ি ওড়ায় কি মার্বেল খেলে আর আর্সিনোয়ে চায় বেরেনিস হত্যার শোধ! এইই তো? কাজেই বরঞ্চ এই জীর্ণ গালিচার ভেতরে বসেই দু‘চোখের অশ্রু মুছে ফেলা যাক, মুখে ফুটিয়ে তোলা যাক মোহিনী হাসি যখন কি না সিজারের পদপ্রান্তে গালিচাটি উন্মোচিত করে খোদ ফিলোপেতরকেই উন্মোচিত করা হচ্ছে...রোমক বহিরাগতদের কাছে নীল নদের এই দেশ যেন নিজেকেই নিজে মেলে দিচ্ছে ভোগ্যা হবার জন্য!

‘বারাঙ্গণা ফিলোপেতরের বিরুদ্ধে এই দেশপ্রেমিক যুদ্ধে সবাই সামিল হোন!‘ তেরো বছরের নাবালাক ভাই, স্বামী ও টলেমি থিওস সেনাবাহিনীর সবার সামনে।

‘ওই পতিতা ফিলোপেতর আমাকে আমার প্রাপ্য দেয়নি-সে আজ বহিরগাত সিজারের অঙ্কশায়িনী! তাকে থু তু! আসুন-সবাই সিজারের ঘাঁটি ঘেরাও করি- চলুন!‘ পোথেইনসের শেখানো বুলি তোতা পাখির মত মুখস্থ করা বালক থিওস জনতার দিকে হাত নাড়ে।
‘বারাঙ্গণা-বারাঙ্গণা-বারাঙ্গণা ফিলোপেতর!’

আলেকান্দ্রিয়ার উপকণ্ঠে খোদ সীজারের ঘাঁটি ঘেরাও করেছে অসংখ্য ক্ষুব্ধ মিশরীয়। কিন্তÍ ততক্ষণে কুশাগ্র বুদ্ধি সিজার ছুটে গেছেন নীল নদে। সূচনা হলো নীল নদের যুদ্ধ। ফিলোপেতর নিজেও আছেন জাহাজে সিজারের কামরায়। দুজনে মিলে দেখছেন নৌপথ যুদ্ধেও আয়োজন।
‘পতিতা-বেশ্যা ফিলোপেতর!‘
তেরো ছাড়িয়ে চোদ্দতে পা রাখতে যাচ্ছে থিওস। শৈশবে ফিলোপেতরের কোলে বসে কত গল্প শুনেছে সে! মুখোমুখি রণতরীতে দাঁড়িয়ে আছে সে বিশাল কামানটার পাশে।
‘হয় আজ মরবো নয় মারব!‘
‘কী করব আমরা?‘ সীজার প্রেমময় চোখে তাকান ফিলোপেতরের দিকে।
একটি দীর্ঘশ্বাস ভেতরে পাক খেলেও ঠোঁট কামড়ান ফিলোপেতর, স্মিত হেসে মাথা হেলান যার অর্থ হলো ওপক্ষ থেকে আসা তীরন্দাজির উত্তর এপক্ষ থেকেও দেওয়া হোক।

...দেখতে দেখতে মিশরীয় জাহাজের দিকে রোমক জাহাজ থেকে অসংখ্য তীর ছুটতে শুরু করল। বিপুল রোমক সাম্রাজ্যের এক প্রান্তিক, করদ রাষ্ট্র মিশরের বেশিক্ষণ সময় যুদ্ধ করার ক্ষমতা স্বাভাবিকভাবেই থাকল না। নাবালক থিওস অবশ্য অনেকটা সময় যুদ্ধ করেছিল। শেষ তীরটা তার বুকে বেঁধার আগ পর্যন্ত ফিলোপেতর ও তার রোমক প্রেমিক সীজারের মুখোমুখি রণতরীতে মিশরের পতাকার নিচে দাঁড়িয়েই সে যুদ্ধ করে গেছে।
‘বেশ্যা-আমি মিশরের জন্য লড়ে গেলাম!‘
সিজার-হ্যাঁ, সিজারের হাত থেকেই শেষ তীরটা ছুটে যাবার পর রণতরী থেকে উল্টে নীল নদে পড়ে যেতে যেতে চেঁচিয়ে উঠল থিওস।
‘কেন তুমি আমাকে তোমার সব দিলে না, ফিলোপেতর? কেন তুমি ঐ বিদেশির হলে...আমাকে ঠকালে কেন তুমি? শেষ যেদিন তোমার কক্ষে কথা হয়েছিল, কত অনুরোধ করলাম আমার সামনে পোশাক খুলতে...তুমি বললে তুমি বোন...আবার সবাই বলে তুমি আমার বধূও বটে...তুমি...তুমি...তুমি আমার হলে না কেন?‘
রোমক ও মিশরীয় সৈন্যদের রক্তে নীল নদ ভরে ওঠে।

১১.‘আমরা-আমরা জয়ী হয়েছি, প্রিয়তমা! তোমাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও ভালবাসা-এভাবে পাশে থেকে যুদ্ধে প্রেরণা দেবার জন্য- রোমক সাম্রাজ্যকে আরও শক্তিশালী করার জন্য!’
আবেগ ভরে সীজার ফিলোপেতরের কাঁধে-বাহুতে-কুঞ্চিত কেশে চুমু খেতে থাকেন। ফিলোপেতর মুখে তার মোহিনী হাসিটি ধরে রাখলেও অন্তরে যেন জানেন যে এক জীবনে কোনোদিনই তাঁর আর সুখী হওয়া হবে না। মিশরীয় রণতরী থেকে নীলনদে উল্টে পড়ে যাওয়া থিওসের রক্তাক্ত দেহ সারাজীবনই তার চোখে ভাসবে। ছোট্ট থিওস যে স্বামী হয়ে উঠতে চেয়েছিল। তবু সীজারের চুমুর প্রত্যুত্তরে তিনিও চুমু দেন সিজারকে-যেমনটা নীল নদের দেশ মিশরকে বছর শেষে নিয়মিত খাজনা দিতেই হয় প্রবল প্রতাপশালী রোমক সাম্রাজ্যকে।
‘এবার আমাকে কী করতে হবে, মহামান্য সম্রাট?’

‘আমরা নীল নদে একটি নৌযাত্রা করব। তুমি আমার পাশে থাকবে। মিশরের জনতা বুঝে যাবে তুমিই আমার তথা রোমক সাম্রাজ্যের নির্বাচিত রাণী-মিশরের জন্য। থিওস ও তোমার অর্দ্ধ-ভগ্নি ইতোমধ্যে নিহত। তোমার ক্ষমতা সুসংহত।’
‘আর?‘
‘হুম-দ্যাখো-দেশে আমার রোমক রাণী ক্যালপূর্ণিয়া আছেন। তাকে আমি কোথায় ফেলে দেব? তাকে কি আমি প্রাসাদ থেকে সরিয়ে পথে নামাতে পারি? আমি এখানে কিছু সময় থাকব। চাইলে তুমিও আমার সঙ্গে রোমে ভ্রমণে যেতে পার। তোমাকে পৃথক প্রাসাদে রাখা হবে। আর-এখানে-
‘এখানে?’
‘তোমার ছোট ভাই তো এখনো জীবিত, তাই না?’
‘হ্যাঁ-’
‘তাকেই আমি টলেমি ত্রয়োদশ হিসেবে নির্বাচিত করে দেব, তোমার সঙ্গে বিয়ে হবে তার।’
‘আর আমি-’
‘আমি?’
‘আমি যে প্রথমবারের মতো মা হতে যাচ্ছি? তোমার সন্তানের মা!’
‘আমি কৃতজ্ঞ। কি নাম রাখবে তার?’
‘সিজারিওন।’

‘অনেক ধন্যবাদ-কিন্তা যেহেতু ক্যালপূর্ণিয়া আজো মা হতে পারেনি, অন্য কোনো নারীর সঙ্গে পিতা হবার সংবাদ আমি রোমে কাউকেই জানাতে পারব না। তবে আমি রোমে ফেরার আগে তোমার দ্বিতীয় শিশু ভাই তথা ত্রয়োদশ টলেমির সঙ্গে তোমার বিবাহ অনুষ্ঠান সম্পন্ন করে যাব যাতে করে মিশরের পুরোহিত শ্রেণি, রাজপরিবারের যত অভিজাত ও মিশরের জনগণ আশ্বস্ত হয় যে টলেমিয় রাজবংশের সব রীতি-নীতি এখনো সুষ্ঠুভাবে পালিত হচ্ছে।’

আগের পর্ব পড়ুন...

যে তুমি টলেমির বোন, বধূ: পর্ব-১

যে তুমি টলেমির বোন, বধূ: পর্ব-২

 

 

 

Header Ad
Header Ad

আওয়ামী লীগের সম্পৃক্ততা রেলের আন্দোলনে: নেতৃত্বে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাব্বানির শ্বশুর

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফদের বিশেষ সুবিধা পুনর্বহালের দাবিতে সোমবার (২৭ জানুয়ারি) মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া কর্মবিরতির ফলে সারাদেশে রেল চলাচল কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। রানিং স্টাফদের মধ্যে ট্রেনচালক, গার্ড, সহকারী চালক এবং টিটিই অন্তর্ভুক্ত, যারা ট্রেন পরিচালনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত। এই কর্মীদের সংখ্যা প্রায় দুই হাজার। তাদের দাবি, ব্রিটিশ আমল থেকে চলে আসা মাইলেজসহ অন্যান্য অর্থনৈতিক সুবিধাগুলো পুনরায় কার্যকর করতে হবে।

এই আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা এবিএম শফিকুল আলম ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানির শ্বশুর। তিনি বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক। তার রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, কারণ তিনি আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। ২০২১ সালে তিনি তার ফেসবুকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌরসভার মেয়র নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে ভোট চেয়েছিলেন। এছাড়া তার সাম্প্রতিক পোস্টগুলোতেও আওয়ামী লীগ সমর্থনের ইঙ্গিত পাওয়া যায়।

আন্দোলনের পেছনে রানিং স্টাফদের দাবি, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে তাদের অনেক সুবিধা বাতিল করা হলেও কিছু সুবিধা পুনর্বহাল করা হয়েছিল। তবে এখন তারা দাবি করছেন, এসব সুবিধা পুরোপুরি ফিরিয়ে দেওয়া হোক। ২০২২ সালে এমনই এক কর্মবিরতির মাধ্যমে তাদের কিছু দাবি মেনে নেওয়া হয়েছিল। তবে বর্তমানে তারা পূর্বের সুবিধাগুলো সম্পূর্ণভাবে কার্যকরের বিষয়ে অনড় অবস্থানে রয়েছেন।

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অর্থ মন্ত্রণালয় অন্য কোনো সরকারি কর্মচারীদের জন্য এই বিশেষ সুবিধা অনুমোদন করেনি। তাই রানিং স্টাফদের জন্য এটি চালু রাখার বিষয়ে আপত্তি রয়েছে। একই সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে এমন আন্দোলনের যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হচ্ছে।

এদিকে, এই আন্দোলনের ফলে যাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় দেশের পরিবহন খাতেও অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। রেল কর্তৃপক্ষ আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা চালাচ্ছে, তবে মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুর পর্যন্ত কোনো সুরাহা হয়নি। রানিং স্টাফ ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান জানিয়েছেন, তারা গত ১৭ বছর ধরে এই দাবিতে আন্দোলন করছেন এবং বর্তমান আন্দোলন তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত চলবে।

Header Ad
Header Ad

বেরোবিতে দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক ব্যবস্থার ধাঁধা নিয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত

ছবি: সংগৃহীত

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক ব্যবস্থার ধাঁধা নিয়ে একটি সেমিনারের আয়োজন করেছে।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের গ্যালারিরুমে “দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক ব্যবস্থার ধাঁধা: কী চাই এবং কেনো-কর্তৃত্ববাদ, ফ্যাসিবাদ না গণতন্ত্র” শীর্ষক এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

সেমিনারে মূল বক্তা ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও সমাজ-রাজনীতি বিশ্লেষক কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান। সেমিনারের সঞ্চালনা করেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী গোলাম মোস্তফা কামাল।

কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান দক্ষিণ এশিয়ার গণতান্ত্রিক অগ্রগতি তুলে ধরে বলেন, “মালদ্বীপ, পাকিস্তান এবং ভারতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পাচ্ছে। বাংলাদেশের ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা বিফল হয়েছে। মালদ্বীপ রাজতন্ত্র থেকে গণতন্ত্রের পথে এগিয়েছে। তবে ভারতবর্ষের মানুষ শাসনকে ভয় পায়, যা ফ্যাসিবাদের জন্ম দেয়।”

তিনি আরও বলেন, “গত ১৫ বছর ধরে শিক্ষক, ছাত্র, গণমাধ্যমসহ অনেকে সরকারের তোষামোদ করেছেন। এতে শাসকের কার্যক্রমের সমালোচনা কম হয়েছে, যা ফ্যাসিবাদের বিকাশে ভূমিকা রেখেছে। বাংলাদেশে গত তিনটি নির্বাচন জনগণের মূল্যায়ন ছিল না।”

সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী রেজুয়ান হোসেন, সহকারী অধ্যাপক মোছা. রাজিয়া সুলতানা ও মো. সাইফুল ইসলাম, প্রভাষক মুনমুন আক্তার এবং জামিলুর রহমান।

এ সেমিনারটি দক্ষিণ এশিয়ার বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে।

Header Ad
Header Ad

ভারতে গোমূত্রের পর এবার চীনে বিক্রি হচ্ছে বাঘমূত্র!

ছবি: সংগৃহীত

ভারতে গোমূত্র নিয়ে ব্যাপক চর্চার পর এবার চীনে শুরু হয়েছে বাঘমূত্র বিক্রি। বাঘমূত্রকে বাতজনিত রোগের কার্যকরী ওষুধ হিসেবে দাবি করছে চীনের সিচুয়ানের একটি চিড়িয়াখানা।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

চীনের সিচুয়ান প্রদেশের ইয়ান বিফেংশিয়া ওয়াইল্ডলাইফ জু নামে একটি চিড়িয়াখানা বোতলজাত বাঘমূত্র বিক্রি করছে। ২৫০ মিলিলিটারের প্রতিটি বোতলের দাম ধরা হয়েছে ৫০ ইউয়ান (প্রায় ৮৪৭ টাকা)।

ওই চিড়িয়াখানা দাবি করেছে, বাঘমূত্র বাতজনিত রোগ বা রিউম্যাটিজম সারাতে সহায়ক। ব্যবহারের জন্য মূত্রের সঙ্গে সামান্য হোয়াইট ওয়াইন এবং আদাকুচি মিশিয়ে ব্যথার জায়গায় প্রয়োগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, কেউ চাইলে মূত্র পান করেও ব্যথা কমাতে পারেন বলে দাবি করা হচ্ছে। তবে বাঘমূত্র সেবনের পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

চিড়িয়াখানার এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বাঘেরা যে বেসিনে প্রস্রাব করে, সেখান থেকে মূত্র সংগ্রহ করা হয়। তবে এটি খুব সীমিত পরিমাণে বিক্রি হয়। প্রতিদিন মাত্র দুই বোতল বাঘমূত্র বিক্রির অনুমতি দেওয়া হয়।

প্রসঙ্গত, ভারতের মতো চীনের এই ঘটনা নিয়েও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা শুরু হয়েছে। বিশেষত, বাঘমূত্রের ওষুধ হিসেবে কার্যকারিতা নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি এবং কৌতূহল দুটোই লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আওয়ামী লীগের সম্পৃক্ততা রেলের আন্দোলনে: নেতৃত্বে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাব্বানির শ্বশুর
বেরোবিতে দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক ব্যবস্থার ধাঁধা নিয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত
ভারতে গোমূত্রের পর এবার চীনে বিক্রি হচ্ছে বাঘমূত্র!
ব্রাজিল বাংলাদেশে নির্বাচন দেখতে চায়: আমীর খসরু
ছাত্র আন্দোলনের মুখে সার্বিয়ার প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ
আইনি লড়াইয়ে নয়নতারার বিপক্ষে ধানুশের বড় জয়
দেশের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জামায়াতের নিয়ন্ত্রণে চলছে: রিজভী
জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হলে ৫ আগস্টের মতো পরিণতি হবে: তারেক রহমান
ধূমপানে ক্ষতিগ্রস্ত ফুসফুসকে রক্ষা করতে চান? জেনে নিন উপায়
৩৩৭ জনকে নিয়োগ দেবে বন অধিদপ্তর, আবেদন অনলাইনে
নবাবগঞ্জে বিদেশি পিস্তল, গুলি ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার, আটক ১
সব ইবতেদায়ী মাদরাসা জাতীয়করণের সিদ্ধান্ত
টাঙ্গাইলে দুই গ্রামের বিরোধের জেরে হামলা, বাবা-ছেলেসহ আহত ৩
ট্রেন ধর্মঘটে বেনাপোল স্টেশন ফাঁকা
দেশে ফিরেই গ্রেপ্তার সাদ্দাম হোসেন
বিএনপির সাবেক এমপি আব্দুল মোমেন তালুকদার মারা গেছেন
ভারতে লাড্ডু বিতরণের সময় ভেঙে পড়ল ৬৫ ফুট উঁচু মঞ্চ, নিহত ৭
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে দিনে লাখ টাকার সিগারেট বিক্রি!
‘জবাই করা লাশ উদ্ধারসহ দাফন কাফন কাজে সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করেছে আসামিরা’
প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে