বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

পর্ব-২

যে তুমি টলেমির বোন, বধূ

বালক পতি তথা ভ্রাতার সঙ্গে বাসরে যাবার জন্য বিশেষ কি আর সাজার ছিল ফিলোপেতরের? তবু রোজ যা করেন তিনি সেসবই করেছেন। ডেড সি‘র লবণ সারা বছরই প্রস্তুত থাকে তার প্রসাধন কক্ষে। এক মাথা কোঁকড়া চুল সামলাতে তেল ও ডিমের সঙ্গে এই লবণ বেশ কাজে দেয়। মধু ও দুধ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করা আর দুধে স্নান তো নিয়মিতই করেন। চোখে কাজল দেওয়াও তার নিত্য রূপসজ্জা। নখরঞ্জক হিসেবে মেহেদি ব্যবহার তো ভূ-মধ্যসাগরীয় অঞ্চলে মানুষ করেই। সঙ্গে চীণাংশুক আর ভারতীয় মসলিনে মেশানো এক উন্মুক্ত স্কন্ধ ও বক্ষ তবে আজানুলম্বিত ফুলেল পোশাক, মাথায় মুক্তোর টায়রা পরে বালক ভ্রাতার বাসরে তিনি ঢুকলেন। দশ বছরের বালক থিওস ফিলোপেতর টলেমি তার খেলনা কাঠের ঘোড়া, চীনা পোর্সিলিন আর দূর ভারত থেকে আসা কিছু মাটির তবে দারুণ চিত্রিত পুতুল নিয়ে গোলাপ পাঁপড়িতে সাজানো শয্যায় বসে খেলছিল। রাজকুমারীর বাসরকক্ষের দরজা বাইরে থেকে ভেজিয়ে দিতে দিতে এক ইথিওপীয় দাসী আর এক সিরীয় দাসীর দিকে চোখাচোখি করে, ‘মাঝে মাঝে মনে হয় কি জানিস?‘
‘কি?’
‘এই রাজকুমারীরা আমাদের চেয়েও অভাগা। বংশের সুনাম রক্ষায় দশ বছরের ছোট ভাইকেও নামে নামে বিয়ে করতে হয়। এত পোড়া কপাল যে মেয়ের বাসায় দু‘বেলা খাবার জোটে না, তারও তো হয় না।‘
‘ঠিকই বলেছিস।‘

ফিলোপেতর ঘরে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে থিওস দুই চোখ তুলে তাকে দেখলো একবার। এতদিন ফিলোপেতর তার বড় বোন ছিল। তবে সবাই বলছে এখন থেকে ফিলোপেতর তার বউও বটে। বর-বউ মানে ঠিক কি সেটা থিওস বুঝছে না। তবে বর হবার অর্থ নাকি এখন থেকে ফিলোপেতর তাকে বকা-ঝকা করতে পারবে না, উল্টো সে-ই ফিলোপেতরকে বকতে পারবে। বাহ...ফিলোপেতর যদি এখন তাকে বেশি খেলতে দেখলে পড়তে বসার জন্য বকা দেয়, তবে উল্টো সে-ই দেবে ঝাড়ি।
‘ফিলোপেতর- জানো, সবাই কি বলছে?’
‘কি?’
‘এখন থেকে আমি আর শুধু তোমার ছোট ভাই নেই। আমি তোমার বরও বটে। এখন আর আমাকে বেশি খেলতে দেখলে তুমি পড়তে বসার জন্য বকতে পারবে না।‘
বালক ভাই বা স্বামী বা রাজা বা টলেমির কথায় হেসে ফ্যালেন উনিশের তরুণী বোন বা বধূ বা রানী ক্লিওপেট্রা। পরমুহূর্তেই শাসনের সুরে বলেন, ‘তুমি একটু ওদিকে ফেরো তো?’
‘কেন?’
‘যা বলছি শোন- ওদিকে ফিরে চোখ বুঁজে থাকবে! যতক্ষণ আমি না বলি, চোখ খুলবে না- কেমন?’
‘আচ্ছা’- থতমতো খেয়ে টলেমি অন্য দিকে ফেরে চোখ বোঁজে। ফিলোপেতরকে সে খানিকটা ভয়ও পায়। বেরেনিসকে কিন্তু পেত না। বেরেনিস যখন মরে গেল, তখন তার বয়স ছিল মাত্র পাঁচ। ফিলোপেতরের মত গম্ভীর ছিল না বেরেনিস। সে ছিল হাসি-খুশি, ছটফটে আর ঢ্যাঙ্গা ও সাদাটে এক ঘোড়সওয়ার। তবে থিওসকে কোলে তুলে, ঘোড়ায় চাপিয়ে যখন ছুটতো...ভারি মজা লাগতো তার! আর এই ফিলোপেতর শুধু তাকে পড়ার জন্য বকে। এই জ্যোতির্বিজ্ঞানের কম্পাস হাতে বসিয়ে দেবে রাজপুরোহিতদের পাশে নয়তো এত এত প্যাপিরাসের স্ক্রল হাতে ধরিয়ে দেবে হিব্রু-আরামিক-গ্রিক ভাষায় লেখা সব পুঁথি পড়তে...চুপচাপ আর কম কথা বলা ফিলোপেতরকে দেখলেই থিওসের দম বন্ধ লাগে।

থিওসকে চোখ বুঁজতে বলেই অস্থির হয়ে উঠলেন ফিলোপেতর। তার কি এবার রজঃচক্র এক সপ্তাহ এগিয়ে এলো নাকি? উরু ও নিম্ন নাভিস্থলে ব্যথা, স্তনাগ্র সূঁচালো হয়ে উঠছে। লোহিত বর্ণে ভিজে ওঠার আগেই এই বিবাহের পোশাকের শুষ্কতা রক্ষা করতে হবে। বিবাহ...হাহ...না...এসব কেমন কথা? মন কেন অবাধ্য, বিদ্রোহী হয়ে উঠছে? নৃপতি ওলেতেসের কন্যা...এই টলেমিক রাজবংশের গুরু-দায়িত্ব আজ তোমারই ঘাড়ে! আর বিবাহ পোশাকের শুষ্কতা ও শুচিতা? যদি আজ হতো তার কোন যুবক বর? হোক ভ্রাতা-স্বামী, তবু যদি হতো যুবক ভ্রাতা ও পতি? তবে বিবাহ পোশাক কিভাবে থাকতো শুচি ও শুষ্ক?
‘থিওস- হয়ে গ্যাছে! চোখ খোলো।‘
থিওস চোখ খোলে।
‘এই যে আমি ভাল ছেলের মত সব কথা শুনলাম, তুমি আমাকে কি দেবে?’
ফিলোপেতর উত্তরে বালক স্বামী বা ভ্রাতা বা টলেমির সামনে এগিয়ে গিয়ে, ঝুঁকে পড়ে তার কপালে চুমু খান। আলগোছে থিওসের কপালের চুল সরিয়ে বলেন, ‘এখন ঘুমিয়ে পড়ো। কাল সকালে বাজারের সেরা মেঠাই তোমাকে কিনে এনে খাওয়ানো হবে।‘
‘সত্যি?’
‘সত্যি।‘
থিওস হাই তুলে ঘুমিয়ে পড়লে ফিলোপেতর তার শয্যাকক্ষের জানালার কাছে গিয়ে দূরে নীল নদের স্রোতের দিকে খানিকক্ষণ তাকিয়ে থাকলেন। তারপর প্রদীপের আলোয় আগামীকালের রাজসভার জন্য অনেক দলিল-দস্তাবেজ নিয়ে বসলেন। তবু থেকে থেকে তার শরীর যেন চঞ্চল হয়ে উঠছে। পিতার সঙ্গে সেই পঞ্চদশী তিনি যখন রোমে গেছিলেন মিশরের কর কমানোর আবেদন করতে, তখনো শরীর এত ক্ষুধার্ত হয়ে ওঠেনি। সেটা ছিল নিতান্ত বালিকা শরীর। কিন্তু আজকাল এই দেহটি- এই রাজকন্যা বা মিশরের সর্বময়ী শাসিকার দেহটি এত এত অনুগত ভৃত্য-ক্রিতদাস-মন্ত্রী-অমাত্য-সৈন্য-সেনাপতি-দূত-কূটনীতিকের ভেতর থেকে একজন সত্যিকারের প্রেমিক বা পুরুষের স্পর্শ যেন চায়! যার কাছে তাকে শাসিকার লৌহবর্ম সতর্কতা আর কাঠিন্যে গম্ভীর হয়ে থাকতে হবে না।

পিতার মৃত্যুর পরই বিয়ে হয়েছিল সেই ৫১ অব্দে। তারপর আরও তিনটা বছর কেটে গেছে। সেই দশ বছরের থিওস আজ তের বছরের হয়েছে। আজকাল তার সামনে পোশাক বদলাতে বাইশের ফিলোপেতরের কেমন অস্বস্তি হয়! থিওস আজকাল কেমন চোখে তাকায় তার দিকে! রাজসভায় কোনো মন্ত্রী বা সেনাপতির সঙ্গে খানিকটা বেশি সময় কাজের কথা বলতে থাকলেও কেমন ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে থিওস! ও কি পুরুষ হয়ে উঠছে? ভেতরে ভেতরে স্বামীত্বের অধিকার দেখা দিচ্ছে নাকি? তেরোর কিশোর- মাথায় লম্বা হচ্ছে ধাঁই ধাঁই করে অনেকটা বেরেনিসেরই মত। গলায় স্বরভঙ্গ দেখা দিচ্ছে আর মুখে ব্রন। তাই বলে থিওস? না- না- সে ভাবাই যায় না। ওকে কতটুকু দেখেছেন ফিলোপেতর! বয়সে পিঠোপিঠি ভাই-বোন হলে সমস্যা ছিল না। ভাই-বোন বিয়ে এই টলেমি রাজবংশের দীর্ঘ দিনের প্রথা। বোন ছোট থাকলে বয়সে বড় ভাই অপেক্ষা করে। সমস্যা হয় ভাই যখন বয়সে অনেক বেশি ছোট হয়, তখন। শিশু ভাই বড় হবার পর তার সঙ্গেই দাম্পত্য জীবন শুরু করাটা রাজকন্যাদের পক্ষে কঠিন। কিন্তু রাজসভা থেকে হাট-বাজার সর্বত্র এই বালক স্বামী হিসেবে থিওসকে নিয়ে হাসি-ঠাট্টার জন্য কি না কে জানে, থিওস খুব দ্রুত বদলে যাচ্ছে। বিশেষত: গত এক সপ্তাহ ফিলোপেতর যখন হুট করে জ্বরে পড়ে শয্যাশায়ী ছিলেন, তখনি একটি ভয়ানক ঘটনা ঘটে গেছে। ফারসালুসে গ্রিসের সঙ্গে একটি যুদ্ধে রোম হেরে যাবার পর রোমের দূত পম্পেই পালিয়ে এসেছিলেন মিশরে। হিসাবমতে পম্পেই টলেমি দ্বাদশের মিত্র হবেন এবং তাকে যেন যথোপযুক্ত আশ্রয় দেয়া হয় তেমন আদেশ জ্বরে শয্যাশায়ী অবস্থায় থেকেই রাজসভায় পাঠিয়েছিলেন ফিলোপেতর। অথচ, মাত্রই মাথায় লম্বা হতে শুরু করা আর স্বরভঙ্গের দেমাগে নির্বোধ বালক থিওস টলেমি কিনা রাজসভার হিজড়াদের কথায় সেই শরণাগত, প্রাণ ভিক্ষা চাওয়া টলেমিকে খুন করেছে। কি সর্বনাশ! সন্ধ্যার পর এখবর কাণে পৌঁছাতে ফিলোপেতর জ্বর যেন এক ধাক্কায় সেরে গিয়ে উঠে বসলেন। থিওসকে ডাকালেন শয্যাকক্ষে।
‘এটা কি শুনলাম আমি, থিওস?’
‘কি শুনেছো?’
‘সভার কিছু বিদূষক হিজড়ার কথায় তুমি...তুমি রোমক দূত পম্পেইকে হত্যা করিয়েছো! তুমি ভাবতে পারো এর পরিণাম কি হবে? দূতের অপমান মানে খোদ সার্বভৌম শাসকের অপমান। সিজার এখন তার সব সৈন্যবাহিনী নিয়ে মিশরে ছুটে আসবেন আমাদের পদানত করতে। যাও বা খানিকটা স্বায়ত্তশাসন নিয়ে, আমরা প্রজাদের কিছুটা খাইয়ে-পরিয়ে চলছিলাম, বিদেশি সেনাবাহিনী আসা মানেই পরাজয়, পরাধীনতা, দাসত্ব ও দুর্ভিক্ষ। এটা তুমি কি করলে? এক সপ্তাহ আমি জ্বরে পড়ে আছি বলেই বলা নেই কওয়া নেই, আমাকে জিজ্ঞাসা না করে এত বড় কাজ করলে তুমি?’
‘যা করেছি বেশ করেছি। তুমি রাজা না আমি রাজা? তুমি স্বামী না আমি স্বামী?’
‘মানে?’
‘মানে এই যে রাজার কথায় রাণী চলবে আর স্বামীর কথায় স্ত্রী। আর এদেশে উল্টোটা।‘
‘তুমি- তুমি এসব কি বলছো থিওস?’
‘যা বলছি ঠিকই বলছি। রাজসভা থেকে হাটবাজার- সবাই আমাকে নিয়ে হাসে! আমি বুঝি কিছু বুঝি না? পথে বের হলেও কেউ না কেউ দূর থেকে আওয়াজ দেয় যে তোমার নিশ্চয়ই অন্য প্রেমিক আছে। শোন- ফিলোপেতর- এখন আমি বড় হচ্ছি। আমি এখন তোমার থেকেও অনেকটা লম্বা। গলার স্বর পুরুষদের মত হয়ে উঠছে। তবে কেন তুমি আমার সত্যিকারের বউ হবে না? বেশ ক‘দিন হয় তুমি আমার শোবার ঘর আলাদা করেছো। তোমার ঘরে ঢুকতে হলে আমাকে এখন অনুমতি নিয়ে ঢুকতে হয়। বুঝি না তোমার মতলব? লুকিয়ে লুকিয়ে তুমি যুবক সেনাপতি বা মন্ত্রীদের ঘরে ঢোকাবে আর আমাকে দেবে ফাঁকি?’
‘থিওস‘- বিষম রেগে ফিলোপেতর বালকের দুই গালে দু‘টো চপেটাঘাতই করে বসলেন।
‘এসব বাজে কথা তোমাকে কে বলছে? কে শিখিয়েছে তোমাকে এসব মন্দ কথা? এক সঙ্গে আমরা এই রাজ্য শাসন করছি। তুমি টলেমি আর আমি ক্লিওপেট্রা। আমাদের ভেতর এমন অবিশ্বাস হবে কেন, বলো তো?’
‘রাজ্য শাসন আমি আর কই করছি? সব তো তুমিই করছো।‘
এবার মৃদু হাসেন ফিলোপেতর, ‘বেশ তো- আগে তুমি বড় হও। তোমার বয়স মাত্র তেরো। আর আমার বাইশ। তোমার যখন বয়স বাইশ হবে, তখন আমি তোমাকে সব কাজ বুঝিয়ে মুক্ত হয়ে যাব।‘
‘কোনদিন তা‘ হবে না। রাজসভার বৃহন্নলারা আমাকে সবই বলে। আর শুধু বৃহন্নলারাই বা কেন? আমার মুখ্য উপদেষ্টা সবই বোঝায়। বলে সারাজীবন তুমি মিশরের রানী হয়ে থাকবে, ঘরে নেবে সব যুবক প্রেমিক আর আমাকে তোমার দাস বানিয়ে রাখবে।‘
‘ওই বৃহন্নলাদের সঙ্গে তুমি মেশা বন্ধ করো। শোন...থিওস...লক্ষী ভাই আমার...তুমি এখনো বালক। মেমফিসের রাজ পুরোহিতদের কাছে আজও তোমার পড়া-শোনাই শেষ হয়নি। বাবার মৃত্যু, আমাদের বিয়ের পর তোমার পড়া-শুনায় কেমন একটা ছেদ ঘটলো! না, আর আলেক্সান্দ্রিয়া থাকবে না তুমি। তোমাকে আমি কালই মেমফিস পাঠাবো। বড় হয়ে তুমিই রাজত্বের সব ভার নেবে। কিন্তু তার আগে তোমাকে পড়া-শোনা শেষ করতে হবে। নাহলে সব এমন গুলিয়ে ফেলবে তুমি।‘
বলতে বলতে ফিলোপেতর থিওসের দুই কাঁধে হাত রাখেন।
‘কে লক্ষী ভাই? আমি কোন লক্ষী ভাই না! আমি তোমার স্বামী! আমাকে আমার অধিকার তোমায় দিতে হবে।‘
‘থিওস?’
ফিলোপেতর উত্তেজিত হয়ে পুনরায় থিওসের গালে চপেটাঘাত করতে যেতেই তেরোর কিশোর তার দীর্ঘ দুই বাহুতে ভগ্নী বা বধূ বা ক্লিওপেট্রার ডান হাত শক্ত করে ধরে ফেললো,
‘আমি মোটেই বালক নই। আমি এর ভেতরেই এক বৃহন্নলা নারী আর এক সত্যিকারের রাজগণিকার সঙ্গে...’
‘থিওস!’
ফিলোপেতর শেষবারের মত কান্না-আর্তি-বেদনা-ভয়-ধিক্কারে থিওসের দুই গালে আবার দু‘টো চড় মেরে নিজেই লুটিয়ে পড়লেন শয্যায়। জীবনের ভর মাঝেমাঝেই কি অসম্ভব দূর্বহ! থিওস তবু এগিয়ে এলো তার দিকে। তার দু‘কাঁধে হাত দিয়ে নিজের দিকে টানতে চাইলো, ‘আমি বড় হয়েছি তো! তুমি একবার পরখ করে দ্যাখো!’
‘সরে যাও- সরে যাও বলছি!’

যা আশঙ্কা করা হয়েছিল, তাই হয়েছে। দূত পম্পেইয়ের হত্যায় ক্রুদ্ধ রোমক সম্রাট সীজার নিজেই আসছেন তার রণতরী সম্ভার সাজিয়ে। আলেক্সান্দ্রিয়ার উদ্দেশে। একে তো এই মরুর দেশ মিশর। নীল নদের বন্যায় প্রতি বছরই পলল উপচে পড়ে বটে, ফসলও হয়। তবু চারপাশ ঘিরে বিস্তীর্ণ মরুর উপস্থিতিও উপেক্ষনীয় নয়। কতটুকু ফসলই বা হয় এদেশে? তার একটি বড় অংশ দিতে হয় রোমক সম্রাটদের- বার্ষিক খাজনা হিসেবে। অবশিষ্ট ফসলে প্রজাদের তিন-বেলা খাওয়া-পরা মিটিয়ে রাজবংশের বিলাস-ব্যসনও আছে। কিন্তু বহিরাগত আক্রমণ মানেই দাসত্ব, দুর্ভিক্ষ আর অবর্ণনীয় বিপর্যয়! কি করবেন ফিলোপেতর? বালক ভ্রাতা-স্বামীর যুবতী ভগ্নী-স্ত্রী হিসেবে বাজারে তাকে নিয়ে রসালো গল্প চলে। তিনি ব্যভিচারীনী। ক্রিতদাস থেকে সেনাপতি...যখন খুশি তাকে টেনে নিচ্ছেন শয্যায়। একা ফিলোপেতর জানেন যে তার দিন-রাত কাটে সার্বক্ষণিক প্রাসাদ ষঢ়যন্ত্র ঠেকাতে, গৃহযুদ্ধ দমাতে, অর্হনিশ মন্ত্রী-সেনাপতি-অমাত্য-পুরোহিতদের সঙ্গে নানা আলোচনা ও ব্যস্ততায়। নারীর জীবন কই পেলেন তিনি? তার তো একটু বড় হবার পর থেকেই পুরুষেরই জীবন।

‘মিশরের মহামান্য নৃপতি থিওস দ্বিতীয় টলেমি এবং মিশরের মহামান্যা রাজ্ঞী ক্লিওপেট্রা সপ্তম ফিলোপেতর! রোমক সম্রাট গাইয়াস জুলিয়াস সীজার তার পক্ষ থেকে আপনাদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আপনারা অবশ্যই অবগত আছেন যে ইতোমধ্যেই আমাদের মহামান্য সম্রাট তার সুবিশাল রণতরী সহ নীল নদ পার হয়ে আলেক্সান্দ্রিয়ার উপকন্ঠে অবস্থান নিয়েছেন।‘

বালক টলেমি কি করবে বুঝতে না পেরে তার উপদেষ্টা পোথেইনসের দিকে তাকালো। পোথেইনস মুখে কিছু না বলে ভ্রু কুঁচকে রইলেন। কাজেই মুখ খুললেন ফিলোপেতরই।
‘হে সম্মানিত দূত! আপনারা মিশরের টলেমিক রাজবংশ ও এদেশের জনগণের পক্ষ থেকে আমাদের সশ্রদ্ধ অভিবাদন গ্রহণ করুন। সপ্তাহ খানিক পীড়িত থাকার সময়ে আমার নাবালক ভাই, স্বামী ও টলেমি দ্বিতীয় থিওসের সামান্য অনবধানতায় যে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে গেছে, সেই রোমক দূত পম্পেইয়ের হত্যায় আমরা সবাই লজ্জিত ও বিচলিত। মহামান্য রোমক সম্রাট ও রোমক জনগণের কাছে এজন্য আমরা আমাদের পক্ষ থেকে গভীর দু:খ ও ক্ষমা প্রার্থনা করছি। চাইলে আমরা পম্পেইয়ের পরিবারের জন্য মিশরের পক্ষ থেকে আর্থিক ক্ষতিপূরণও প্রদান করতাম। কিন্তু সত্যিই কি শুধুমাত্র এই কারণে মহামান্য গাইয়াস জুলিয়াস সীজারের এতটা পথ রণতরী সাজিয়ে আসার ক্লেশ স্বীকার করার একান্ত দরকার ছিল?’
এই তবে ক্লিওপেট্রা? সমুদ্র পাড়ের নীল নদের দেশে বালক ভ্রাতা তথা স্বামীর সঙ্গে সিংহাসনের অংশীদার তবে দেশটির নেপথ্য শাসিকা এক নারীর গল্প ইদানীং প্রায়ই কাণে আসছিল। সাত বছর আগে এই নারীই নাকি পনেরোর এক কিশোরী হিসেবে বাবার সঙ্গে এসে রোমক সিনেটরদের নয়টি ভাষার কুশলী বাগ্মীতায় মুগ্ধ করে, রোমকে মিশরের প্রদেয় বার্ষিক কর প্রায় অর্ধেক কমাতে রাজি করেছিল। আজ সে বাইশের পূর্ণ তরুণী। তবে...নাহ...প্রথম দর্শনে এই বাদামী ও কুঞ্চিত, কালো কেশী, হ্রস্বকায়া যুবতীকে যেমন খুব একটা আকর্ষণীয় লাগেনি চোখে, যেই না অমিত শিষ্টাচার ও মোহনীয় কণ্ঠস্বরের সঙ্গে কাণে আরাম দেয়া গ্রিক-লাতিনের শুদ্ধ উচ্চারণে তিনি কথা বলতে শুরু করলেন, তার দিকে মোহগ্রহের মত তাকাতেই হলো। একটু আগেও সভাসদদের সবার সামনে আহার্য-পানীয় বাড়িয়ে দিচ্ছিল যে সুন্দরী তরুণীরা, তাদের সবাইকে কেমন ম্লান মনে হলো।

রোমক দূত হাসলেন। নত হলেন পুনরায়, ‘দূত যে অবধ্য, মহামান্যা রাজ্ঞী! দূতের হত্যা বা এমনকি অপমানে যে খোদ একটি দেশের সার্বভৌমত্বই প্রশ্নবিদ্ধ হয়। ক্ষুব্ধ সিজার তাই ছুটে এসেছেন। তাই বলে তিনি পরপীড়ক নন। তিনি শুধু জানতে চাইছেন যে কেন এমনটি হলো। যদি তিনি এতটুকু আশ্বাস পান যে সামনে এমন ঘটনা আর পুনরাবৃত্ত হবে না, তবে তিনি ও তার সেনাবাহিনী মিশরীয় জনগণের এতটুকু ক্ষতি করবে না। এছাড়া সম্রাট সীজার আরও চান যে মিশরের টলেমি ও ক্লিওপেট্রা খুব সুন্দরভাবে আজীবন যেন এই নীলনদধোয়া দেশকে শাসন করতে পারেন।‘
‘ধন্যবাদ। শুনে আশ্বস্ত হলাম। আমার পক্ষ থেকে মহান গাইয়াস জুলিয়াস সীজারকে বলবেন তিনি ও তার সৈন্যবাহিনী যে কোনো প্রয়োজনে যেন শুধু আমাদের অবগত করেন।‘

এবার মুখ খুললেন পোথেইনস। বিশুদ্ধ গ্রিক দর্শন পোথেইনস গোপণে ছিলেন বেরেনিসের অনুরাগী। খর্বকায়া, বাদামী বর্ণা ও কালো চুলো ফিলোপেতর প্রথম রাজরীতি ভঙ্গ করে এই কালো মিশরীয়দের ভাষা শিখছে, প্রজাদের সঙ্গে সে রাজ্ঞী নয়- প্রজাদের একজন হয়েই যেন মিশতে চায়- এসব ভাল লাগে না পোথেইনসের। আর যা খরবুদ্ধি এই ফিলোপেতরের! ভাষা জানে নয়টা। এর কাঁধে বন্দুক রেখে নেপথ্য শাসন কোনোদিন করতে পারবেন দুঁদে, বয়সী রাজনীতিক পোথেইনস?
‘দুঃখিত-হে রোমক দূত! এভাবে মিশরের জলসীমায় সরাসরি রণতরী নিয়ে প্রবেশ করে- যতই আমরা করপ্রদানকারী রাষ্ট্র হই না কেন- সীজার কি ঠিক করলেন? আমাদের রাজ্য কেমন চলবে না চলবে সেটাও নির্ধারণ করব আমরাই। আমাদের রাজধানীর উপকণ্ঠে কাউকে কিছু না জানিয়ে এভাবে এসে তিনি ঘাঁটি গাড়তে পারেন কি?’
ত্রস্ত হয়ে ফিলোপেতর পোথেইনসের দিকে ভ্রু-ভঙ্গি করে থামার মিনতি জানালেও পোথেইনস সেই ভ্রু-ভঙ্গি উপেক্ষা করলেন।
‘আমি সামান্য দূত মাত্র। আপনাদের সব কথাই আমি আমার সম্রাটকে জানাবো। এখন তাহলে আসি?’

চলবে…

আগের পর্ব পড়ুন>>>

যে তুমি টলেমির বোন, বধূ: পর্ব-১

আরএ/

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত