বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

এক মহামানবের অভ্যুদয়

কে জানত, যে পাকিস্তানি অত্যাচারী গোষ্ঠীর মরণের দূত জন্মাবে বাংলাদেশেরই গোপালগঞ্জ জেলায়? আহা! কি সুন্দর! কি সুন্দর তার বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর, প্রতিবাদী মনোভাব, বদান্যতাপূর্ণ দেহপিঞ্জর। যেন জাদুর কাঠির ছোঁয়ায় বাঙালি জাতিকে রূপান্তরিত করল বীরের জাতিতে।

ইরা বিস্ময় ভরা চোখে আপাদমস্তক ঘুরে ঘুরে দেখছে গাছটা। অজস্র ডালপালা নিয়ে ৪৫ ডিগ্রি কোণে বাঘিয়ার খালের উপর ঝুঁকে আছে নিবিড় মমতায়।

“দাদু এটাই কি সেই গাছটা?” দাদুর দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করল ইরা।

“হ্যাঁ, এটাই সেই হিজলগাছ। এর শাখায় উঠে বঙ্গবন্ধু ঝাঁপিয়ে পড়তেন বাঘিয়ার খালের পানিতে। এর গায়ে লেগে আছে সেই মহামানবের স্পর্শ।”

ইরা গাছটা ছুঁয়ে চোখ বন্ধ করল, মুহূর্তে সে চলে গেল কয়েক যুগ অতীতে। দাদুর মুখে শোনা খোকার (বঙ্গবন্ধুর) জীবনের প্রতিটা মুহূর্ত তার স্বচ্ছ মানসপটে ছবির মতো সজীব হয়ে উঠতে লাগল।

খোকা গিমাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র। বেলা পড়ে আসছে। মা রোজকার মতো খাকার প্রিয় বালিকা আমগাছের নিচে দাঁড়িয়ে আছেন। তার প্রতীক্ষায়। খোকা কখন ফিরবে। বাড়ি থেকে পায়ে হাঁটা দুই মাইল দূরত্বের স্কুল। কিছুক্ষণ পরই মার চোখে পড়ল খোকা দীর পায়ে বাড়ির দিকে হেঁটে আসছে।

খোকা কাছে আসতেই মা কিছুটা হচকেগেলেন। তাঁর পাঞ্জাবি-পাজামা নেই। শুধুমাত্র চাদরটা শরীরে জড়িয়ে আছে।

খোকা বলল, “পথে একটা ছেলেকে দেখলাম তার জামা ছিঁড়ে গেছে। তাই আমার কাপড় তাকে দিয়ে এসেছে।”

এটাই প্রথম নয়, ইতিপূর্বে সে কাউকে নিজের ছাতাটা দিয়েও ভিজে ভিজে বাড়ি ফিরেছে।

মা খোকাকে পরম স্নেহে বুকে জড়িয়ে ধরলেন। এত ছোট বয়স প্রশস্ত হৃদয়ের খোকাকে তিনি মানুষের কল্যাণে উৎসর্গ করলেন।

১৯৩৫ সালের গোড়ার দিকে খোকা বেরিবেরিতে আক্রান্ত হলো এবং এর থেকে পরবর্তীতে চোখে ‘গ্লোফুমা’ নামক এক জটিল রোগ ধরা পড়ে। বাবা লুৎফর রহমান ছেলেকে কলিকাতার চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. টি আহমেদ-এর মাধ্যমে সার্জারি করালেন। খোকা সুস্থ হলো। কিন্তু মাঝখানে মরা গাছের শুকনো পাতার মতো ঝড়ে গেল শিক্ষাজীবনের মূল্যবান ৪টি বছর। ততদিনে তাঁর সহপাঠীরা অনেকটা এগিয়ে গেছে। তাই তাকে ভর্তি করানো হলো গোপালগঞ্জ মথুরানাথ মিশন স্কুলের সপ্তম শ্রেণিতে। এ সময় তার জন্য একজন গৃহশিক্ষক রাখা হয়। তার নাম জাকি আবদুল হামিদ। তিনি ছলেন একজন দক্ষ সংগঠক। তিনি ‘মুসলিম সেবা সমিতি নামে একটি সংগঠন পরিচালনা করতেন।

তার কাছেই শুরু হয় মুজিবের প্রথম রাজনীতি পাঠ। সে সময় তার মধ্যে (বঙ্গবন্ধুর) নেতৃত্বের বিকাশ ঘটতে থাকে।

সময়টা ১৯৩৮ সাল। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী তার স্কুল পরিদর্শনে আসছেন শুনে কিশোর মুজিব কয়েকজনের সমন্বয়ে একটি সংগঠিত দল নিয়ে তার পথ রোধ করে এবং হোস্টেলের ছাদ সংস্কারের জন্য ১২০০ টাকার অনুদান নিশ্চিত করে। এরপর থেকেই ক্রমে মুজিব সোহরাওয়ার্দীর রাজনৈতিক প্রিয়পাত্রে পরিণত হতে শুরু করে। শুরু হয় মুজিবের গভীরভাবে রাজনীতিতে পথ চলা।

এর মধ্যে ১৮ বছর বয়সে তিনি পরিণয় সূত্রে বিয়ে করলেন ফজিলাতুন্নেসা মুজিবকে। বেগম ফজিলাতুন্নেসার সংস্পর্শে তিনি রাজনৈতিক পরশ পাথরে পরিণত হন। ১৯৪৩ সালে তিনি বঙ্গীয় মুসলিম লীগের কাউন্সিলর নির্বাচিত হলেন। কলকাতায় তিনি ইসলামিয়া কলেজ হতে বিএ ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৪৯ সালে মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার পর তিনি কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট জয়লাভ করলে তিনি ‘কৃষি ও বন’ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। ১৯৬৬ সালে তিনি লাহোরে ৬ দফা দাবি পেশ করেন। এর অল্প কিছুদিনের মধ্যে তিনি পাকিস্তানি সেনা সদস্য কর্তৃক গ্রেপ্তার হন এবং প্রায় ২ বছর পর তিনিসহ মোট ৩৫ জনের বিরুদ্ধে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের করা হয়। ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানে এই মামলা প্রত্যাহার করা হয়। একই বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি তাকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাাধি দেওয়া হয়।

এরপর ৭০ এর নির্বাচনে তার দল আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ জয়লাভ করে। কিন্তু কচক্রী পাস্তিান সরকার ক্ষমতা হস্তান্তরে গরিমসি করতে থাকে। বঙ্গবন্ধুর বোঝা হয়ে গেছে যে পাকিস্তানি হায়েনারা বাঙালিদের স্বাধীনভাবে বাঁচতে দেবে না। ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ তিনি এক ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। যে ভাষণে বঙ্গবন্ধুর বলা প্রতিটি কথা বাঙালিদের মনে গেঁথে যায়। এই ভাষণে বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশের ইশারা দেন। পরবর্তীতে ইতিহাসে যুক্ত হয় ২৫ মার্চ কালরাত্রির অধ্যায় এবং বঙ্গবন্ধু ২৬শে মার্চ প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার ডাক দেন। এরপর ৯ মাসব্যাপী তুমুল লড়াইয়ের পর জন্ম নেয় বঙ্গবন্ধুর, কোটি বাঙালির স্বপ্নের বাংলাদেশ। এই পুরো সময় তিনি পাকিস্তানের বারাগারে অন্তরীন থাকেন। অতপর ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি যুক্ত হয়ে তিনি ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরে স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সালে, মাত্র ৪ বছরের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ যখন বিশ্বের মানচিত্রে একটি রূপরেখা তৈরি করতে যাচ্ছে তখন ইতিহাসেযোগ হয় একটি কলঙ্ক গাঁথা অধ্যায়।

১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট কিছু পথভ্রষ্ট সেনা সদস্যের হাতে বাংলাদেশের রূপকার বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে শাহাদাতবরণ করেন। একই সাথে মৃত্যু হয় একরাশ স্বপ্ন ও একটি উন্নত চেতনার।

ইরা হিজল গাছ ছুঁয়ে থরথর করে কাঁপছে। তার দুচোখ বেয়ে টপটপ করে ঝড়ে পড়ছে স্বচ্ছ সাদা জল। দাদু পিছন থেকে তার কাধে হাত রাখলেন। আলতো স্বরে ডাকলেন, ‘ইরা... ইরা...।’

ইরা টলটলে জলভরা চোখে পিছন ফিরে তাকালো। তার স্ফটিকের মতো মসৃণ চোখে চিকচিক করছে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীন বাংলাদেশের আগামী স্বপ্ন।

 

ঠিকানা: পূর্ব মনিপুর, যভহভ নসমযা- ৯২২/১
মিরপুর-২, ঢাকা।

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত