সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

এক মহামানবের অভ্যুদয়

কে জানত, যে পাকিস্তানি অত্যাচারী গোষ্ঠীর মরণের দূত জন্মাবে বাংলাদেশেরই গোপালগঞ্জ জেলায়? আহা! কি সুন্দর! কি সুন্দর তার বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর, প্রতিবাদী মনোভাব, বদান্যতাপূর্ণ দেহপিঞ্জর। যেন জাদুর কাঠির ছোঁয়ায় বাঙালি জাতিকে রূপান্তরিত করল বীরের জাতিতে।

ইরা বিস্ময় ভরা চোখে আপাদমস্তক ঘুরে ঘুরে দেখছে গাছটা। অজস্র ডালপালা নিয়ে ৪৫ ডিগ্রি কোণে বাঘিয়ার খালের উপর ঝুঁকে আছে নিবিড় মমতায়।

“দাদু এটাই কি সেই গাছটা?” দাদুর দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করল ইরা।

“হ্যাঁ, এটাই সেই হিজলগাছ। এর শাখায় উঠে বঙ্গবন্ধু ঝাঁপিয়ে পড়তেন বাঘিয়ার খালের পানিতে। এর গায়ে লেগে আছে সেই মহামানবের স্পর্শ।”

ইরা গাছটা ছুঁয়ে চোখ বন্ধ করল, মুহূর্তে সে চলে গেল কয়েক যুগ অতীতে। দাদুর মুখে শোনা খোকার (বঙ্গবন্ধুর) জীবনের প্রতিটা মুহূর্ত তার স্বচ্ছ মানসপটে ছবির মতো সজীব হয়ে উঠতে লাগল।

খোকা গিমাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র। বেলা পড়ে আসছে। মা রোজকার মতো খাকার প্রিয় বালিকা আমগাছের নিচে দাঁড়িয়ে আছেন। তার প্রতীক্ষায়। খোকা কখন ফিরবে। বাড়ি থেকে পায়ে হাঁটা দুই মাইল দূরত্বের স্কুল। কিছুক্ষণ পরই মার চোখে পড়ল খোকা দীর পায়ে বাড়ির দিকে হেঁটে আসছে।

খোকা কাছে আসতেই মা কিছুটা হচকেগেলেন। তাঁর পাঞ্জাবি-পাজামা নেই। শুধুমাত্র চাদরটা শরীরে জড়িয়ে আছে।

খোকা বলল, “পথে একটা ছেলেকে দেখলাম তার জামা ছিঁড়ে গেছে। তাই আমার কাপড় তাকে দিয়ে এসেছে।”

এটাই প্রথম নয়, ইতিপূর্বে সে কাউকে নিজের ছাতাটা দিয়েও ভিজে ভিজে বাড়ি ফিরেছে।

মা খোকাকে পরম স্নেহে বুকে জড়িয়ে ধরলেন। এত ছোট বয়স প্রশস্ত হৃদয়ের খোকাকে তিনি মানুষের কল্যাণে উৎসর্গ করলেন।

১৯৩৫ সালের গোড়ার দিকে খোকা বেরিবেরিতে আক্রান্ত হলো এবং এর থেকে পরবর্তীতে চোখে ‘গ্লোফুমা’ নামক এক জটিল রোগ ধরা পড়ে। বাবা লুৎফর রহমান ছেলেকে কলিকাতার চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. টি আহমেদ-এর মাধ্যমে সার্জারি করালেন। খোকা সুস্থ হলো। কিন্তু মাঝখানে মরা গাছের শুকনো পাতার মতো ঝড়ে গেল শিক্ষাজীবনের মূল্যবান ৪টি বছর। ততদিনে তাঁর সহপাঠীরা অনেকটা এগিয়ে গেছে। তাই তাকে ভর্তি করানো হলো গোপালগঞ্জ মথুরানাথ মিশন স্কুলের সপ্তম শ্রেণিতে। এ সময় তার জন্য একজন গৃহশিক্ষক রাখা হয়। তার নাম জাকি আবদুল হামিদ। তিনি ছলেন একজন দক্ষ সংগঠক। তিনি ‘মুসলিম সেবা সমিতি নামে একটি সংগঠন পরিচালনা করতেন।

তার কাছেই শুরু হয় মুজিবের প্রথম রাজনীতি পাঠ। সে সময় তার মধ্যে (বঙ্গবন্ধুর) নেতৃত্বের বিকাশ ঘটতে থাকে।

সময়টা ১৯৩৮ সাল। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী তার স্কুল পরিদর্শনে আসছেন শুনে কিশোর মুজিব কয়েকজনের সমন্বয়ে একটি সংগঠিত দল নিয়ে তার পথ রোধ করে এবং হোস্টেলের ছাদ সংস্কারের জন্য ১২০০ টাকার অনুদান নিশ্চিত করে। এরপর থেকেই ক্রমে মুজিব সোহরাওয়ার্দীর রাজনৈতিক প্রিয়পাত্রে পরিণত হতে শুরু করে। শুরু হয় মুজিবের গভীরভাবে রাজনীতিতে পথ চলা।

এর মধ্যে ১৮ বছর বয়সে তিনি পরিণয় সূত্রে বিয়ে করলেন ফজিলাতুন্নেসা মুজিবকে। বেগম ফজিলাতুন্নেসার সংস্পর্শে তিনি রাজনৈতিক পরশ পাথরে পরিণত হন। ১৯৪৩ সালে তিনি বঙ্গীয় মুসলিম লীগের কাউন্সিলর নির্বাচিত হলেন। কলকাতায় তিনি ইসলামিয়া কলেজ হতে বিএ ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৪৯ সালে মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার পর তিনি কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট জয়লাভ করলে তিনি ‘কৃষি ও বন’ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। ১৯৬৬ সালে তিনি লাহোরে ৬ দফা দাবি পেশ করেন। এর অল্প কিছুদিনের মধ্যে তিনি পাকিস্তানি সেনা সদস্য কর্তৃক গ্রেপ্তার হন এবং প্রায় ২ বছর পর তিনিসহ মোট ৩৫ জনের বিরুদ্ধে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের করা হয়। ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানে এই মামলা প্রত্যাহার করা হয়। একই বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি তাকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাাধি দেওয়া হয়।

এরপর ৭০ এর নির্বাচনে তার দল আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ জয়লাভ করে। কিন্তু কচক্রী পাস্তিান সরকার ক্ষমতা হস্তান্তরে গরিমসি করতে থাকে। বঙ্গবন্ধুর বোঝা হয়ে গেছে যে পাকিস্তানি হায়েনারা বাঙালিদের স্বাধীনভাবে বাঁচতে দেবে না। ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ তিনি এক ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। যে ভাষণে বঙ্গবন্ধুর বলা প্রতিটি কথা বাঙালিদের মনে গেঁথে যায়। এই ভাষণে বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশের ইশারা দেন। পরবর্তীতে ইতিহাসে যুক্ত হয় ২৫ মার্চ কালরাত্রির অধ্যায় এবং বঙ্গবন্ধু ২৬শে মার্চ প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার ডাক দেন। এরপর ৯ মাসব্যাপী তুমুল লড়াইয়ের পর জন্ম নেয় বঙ্গবন্ধুর, কোটি বাঙালির স্বপ্নের বাংলাদেশ। এই পুরো সময় তিনি পাকিস্তানের বারাগারে অন্তরীন থাকেন। অতপর ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি যুক্ত হয়ে তিনি ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরে স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সালে, মাত্র ৪ বছরের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ যখন বিশ্বের মানচিত্রে একটি রূপরেখা তৈরি করতে যাচ্ছে তখন ইতিহাসেযোগ হয় একটি কলঙ্ক গাঁথা অধ্যায়।

১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট কিছু পথভ্রষ্ট সেনা সদস্যের হাতে বাংলাদেশের রূপকার বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে শাহাদাতবরণ করেন। একই সাথে মৃত্যু হয় একরাশ স্বপ্ন ও একটি উন্নত চেতনার।

ইরা হিজল গাছ ছুঁয়ে থরথর করে কাঁপছে। তার দুচোখ বেয়ে টপটপ করে ঝড়ে পড়ছে স্বচ্ছ সাদা জল। দাদু পিছন থেকে তার কাধে হাত রাখলেন। আলতো স্বরে ডাকলেন, ‘ইরা... ইরা...।’

ইরা টলটলে জলভরা চোখে পিছন ফিরে তাকালো। তার স্ফটিকের মতো মসৃণ চোখে চিকচিক করছে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীন বাংলাদেশের আগামী স্বপ্ন।

 

ঠিকানা: পূর্ব মনিপুর, যভহভ নসমযা- ৯২২/১
মিরপুর-২, ঢাকা।

Header Ad
Header Ad

পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে ৭টি অস্ত্রবাহী বিমান পাঠালো তুরস্ক

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের সঙ্গে সম্ভাব্য যুদ্ধের আশঙ্কায় পাকিস্তানকে সরাসরি সামরিক সহায়তা দিচ্ছে তুরস্ক। ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ইতোমধ্যে তুরস্ক থেকে সাতটি অস্ত্রবাহী সামরিক বিমান পাকিস্তানে পৌঁছেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৭ এপ্রিল তুরস্কের বিমান বাহিনীর একটি হারকিউলিস সি-১৩০ কার্গো বিমান করাচিতে অবতরণ করে, যাতে নানা ধরনের সামরিক সরঞ্জাম ছিল। এ ঘটনাকে তুরস্কের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের জন্য বৃহত্তর প্রতিরক্ষা সহায়তার অংশ হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে।

শুধু একটি বিমানই নয়, ইসলামাবাদের সামরিক ঘাঁটিতেও তুরস্কের আরও ছয়টি কার্গো বিমান অবতরণ করেছে, যেগুলোতেও সামরিক সরঞ্জাম ছিল বলে নিশ্চিত করেছে তুর্কি ও পাকিস্তানি সূত্র।

টাইমস অফ ইন্ডিয়া বিশ্লেষণ করে বলছে, ভারত-অধিকৃত কাশ্মীরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক হামলার ঘটনার পর দিল্লি ও ইসলামাবাদের মধ্যে বেড়ে চলা উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে তুরস্কের এই পদক্ষেপ এসেছে।

তুরস্কের পাশাপাশি পাকিস্তান চীনের সঙ্গেও সামরিক সম্পর্ক জোরদার করছে। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে চীন প্রায় ৪০টি দেশে অস্ত্র রপ্তানি করেছে, যার মধ্যে ৮২ শতাংশেরও বেশি অস্ত্র গেছে পাকিস্তানে।

এদিকে, ভারতের সাথে যুদ্ধ শুরু হলে পাকিস্তানের পক্ষে লড়াই করার ঘোষণা দিয়েছে খালিস্তানপন্থী শিখরা। খালিস্তানি নেতা গুরপাতওয়ান্ত সিং পান্নু হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, যুদ্ধ বাধলে দুই কোটি শিখ পাকিস্তানের পক্ষে অপ্রতিরোধ্য দেয়াল হয়ে দাঁড়াবে এবং ভারতীয় সেনাদের পাঞ্জাব পার হতে দেওয়া হবে না। পান্নু আরও দাবি করেন, ভারতের বিজেপি সরকার রাজনৈতিক স্বার্থে কাশ্মীরে হামলার নাটক সাজিয়েছে এবং হিন্দুদের হত্যা করে নির্বাচনী ফায়দা তুলতে চাইছে।

তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে সতর্ক করে বলেন, ইন্দিরা গান্ধীর পরিণতি তাদেরও হতে পারে।

Header Ad
Header Ad

বিএনপির ৩ সংগঠনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠন—জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল—আগামী ৯ মে থেকে ২৮ মে পর্যন্ত দেশজুড়ে বিভাগীয় পর্যায়ে সেমিনার ও সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সোমবার (২৮ এপ্রিল) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কর্মসূচি ঘোষণা করেন যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না।

তিনি জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় তিন সংগঠন সম্মিলিতভাবে ১০টি সাংগঠনিক বিভাগকে ৪টি বৃহত্তর অঞ্চলে ভাগ করে এ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। উদ্দেশ্য হলো—তরুণদের ক্ষমতায়ন, রাষ্ট্রীয় নীতিনির্ধারণে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা এবং একটি আধুনিক, মানবিক বাংলাদেশ নির্মাণে তরুণ প্রজন্মের মতামত ও চিন্তা সংগ্রহ করা।

প্রথম দিন: "তারুণ্যের ভবিষ্যৎ ভাবনা, ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ" শীর্ষক সেমিনার।
দ্বিতীয় দিন: "তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ"।

সেমিনারে তরুণ প্রতিনিধি, শিক্ষার্থী, চিন্তাবিদ ও উদ্যোক্তারা কর্মসংস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, প্রযুক্তি, পরিবেশ ও রাজনৈতিক অধিকারসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করবেন। এ কর্মসূচি বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফা রূপরেখা ও তারেক রহমানের রাজনৈতিক দর্শনের আলোকে পরিচালিত হবে।

চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা বিভাগ:
▪ ৯ মে — কর্মসংস্থান ও শিল্পায়ন নিয়ে সেমিনার
▪ ১০ মে — তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ

খুলনা ও বরিশাল বিভাগ:
▪ ১৬ মে — শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও মৌলিক অধিকার নিয়ে সেমিনার
▪ ১৭ মে — তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ

রাজশাহী ও রংপুর বিভাগ:
▪ ২৩ মে — কৃষি উন্নয়ন, পরিবেশ রক্ষা ও নাগরিক সমস্যা নিয়ে সেমিনার
▪ ২৪ মে — তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ

ঢাকা, ফরিদপুর, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগ:
▪ ২৭ মে — তরুণদের অর্থনৈতিক মুক্তি ও রাজনৈতিক ভাবনা নিয়ে সেমিনার
▪ ২৮ মে — তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ

মোনায়েম মুন্না বলেন, এই কর্মসূচিগুলোর মাধ্যমে তরুণদের প্রত্যাশা, মতামত ও ভাবনাকে রাজনৈতিক নীতিতে যুক্ত করে একটি জনমুখী, অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্র গঠনের পথ তৈরি করবে বিএনপি।

Header Ad
Header Ad

পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

দেশের পাঁচটি জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার ও সোমবার (২৭ ও ২৮ এপ্রিল) দেশের বিভিন্ন স্থানে এসব মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। কুমিল্লার মুরাদনগর ও বরুড়া উপজেলায় চারজন, কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও মিঠামইনে তিনজন, নেত্রকোনার কলমাকান্দা ও মদনে দুজন, সুনামগঞ্জের শাল্লায় একজন এবং চাঁদপুরের কচুয়ায় একজন প্রাণ হারিয়েছেন।

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার পূর্বধইর পূর্ব ইউনিয়নের কোরবানপুর পূর্বপাড়া এলাকায় ধান কাটতে গিয়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বজ্রপাতে দুজন কৃষক নিহত হন। নিহতরা হলেন নিখিল দেবনাথ (৫৮) ও জুয়েল ভূঁইয়া (৩০)।

একই জেলার বরুড়া উপজেলার খোসবাস উত্তর ইউনিয়নের পয়েলগচ্ছ গ্রামে দুপুর ১২টার দিকে ঘুড়ি ওড়ানোর সময় বজ্রপাতে মারা যায় দুই কিশোর—মোহাম্মদ জিহাদ (১৪) ও মো. ফাহাদ (১৩)। এ সময় আবু সুফিয়ান (সাড়ে ৭) নামের একটি শিশু আহত হয় এবং তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে খয়েরপুর আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের হাওরে ধান কাটার সময় সকালে বজ্রপাতে প্রাণ হারান দুই কৃষক—ইন্দ্রজিৎ দাস (৩০) ও স্বাধীন মিয়া (১৫)। একই সময়ে মিঠামইন উপজেলার শান্তিগঞ্জ হাওরে ধানের খড় শুকাতে গিয়ে বজ্রপাতে নিহত হন ফুলেছা বেগম (৬৫) নামের এক নারী।

নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের ধনুন্দ গ্রামে রবিবার রাত ১০টার দিকে বজ্রপাতে আহত হয়ে পরে হাসপাতালে মারা যান দিদারুল ইসলাম (২৮)। তিনি একটি ইফতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন।
আজ সকাল ৭টার দিকে মদন উপজেলার তিয়োশ্রী গ্রামে মাদ্রাসাগামী শিশু মো. আরাফাত (১০) বজ্রপাতে মারা যায়।

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার আটগাঁও গ্রামের বুড়িগাঙ্গাল হাওরে গরু চরাতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান রিমন তালুকদার। তিনি শাল্লা ডিগ্রি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার নাহারা গ্রামে সকালে বজ্রপাতের বিকট শব্দে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান বিশাখা রানী (৩৫)। তিনি কৃষক হরিপদ সরকারের স্ত্রী। চিকিৎসক জানান, বজ্রপাতের সরাসরি আঘাতের কোনো চিহ্ন ছিল না, শব্দের প্রভাবে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে ৭টি অস্ত্রবাহী বিমান পাঠালো তুরস্ক
বিএনপির ৩ সংগঠনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু
জামিন পেলেন মডেল মেঘনা আলম
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করলো সরকার
নিরীহ কাউকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না: আইজিপি
পাকিস্তানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস
ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকির অভিযোগ দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি