রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

মারুফুল ইসলাম

একগুচ্ছ কবিতা

অগ্নিশপথ

আজ আমার মন ভালো নেই
আজ আমি কারো মুখ দেখব না
আজ আমি কাউকে মুখ দেখাব না
অন্ধকার ঘরে বসে থাকব একা

আজ আমাকে কেউ ডাকতে এসো না
আমি অস্তিত্বে আগুন জ্বেলেছি
আজ আমাকে কেউ প্রবোধ দিও না
আমি অগ্নিমুখ তৃতীয় নয়ন মেলেছি

আমার যে মেয়েটা ছোটবেলায় গরম চা খেতে দিয়ে
ঠোঁটে আর জিভে ছ্যাঁকা খেয়েছিল বলে
আমার সারাটা বুক সাহারা মরুভূমি হয়ে গিয়েছিল
সেই মেয়েটাকে আজ ওরা জীবন্ত পুড়িয়ে মেরেছে
অসহ্য অনলে দগ্ধ হয়ে গেছে সূর্য

এ সমাজ আজ জ্বলন্ত অগ্নিকুণ্ড
এ সময় লেলিহান নরক

হা জীবন
হা পৃথিবী
হা মহাশূন্য
ও তো ঠিকমতো জানতেই পারল না
বৈশাখি ঝড়ে কৈশোর কতটা উচ্ছ্বল
মুহুরী নদীর জোয়ারে যৌবন কতটা চঞ্চল
থেমে থাকা রাতে থমকে থাকা চাঁদের আলোয়
বেঁচে থাকা কত যে মধুর

না, কোনো অভিযোগ নেই
অভিশাপ নয়
প্রতিটি পোড়ানো প্রাণ বাতাসে মিশিয়ে দিচ্ছে অগ্নিগর্ভ দীর্ঘশ্বাস
ওরা প্রতিশোধ চায়
ওরা প্রতিরোধ চায়
মহাজীবনের অগ্নিশপথ চায়

বিষয়টি রাজনৈতিক

বিষয়টি রাজনৈতিক, বন্ধুগণ
সঙ্গত কারণেই সমাজতাত্ত্বিক
মনস্তাত্ত্বিক
এবং অর্থনৈতিক
বিষয়টি আমাদের আবহমান অন্ধকার দিক
চলুন, এবার এক ঝলক আলো ফেলে দেখা যাক

সোনার বাংলার সুবর্ণচরের
চৌদ্দ বছরের মেয়েটি রাতের আকাশ বাতাস চিরে
চিৎকার করে কাঁদছিল
হ্যাঁ, জানি, ওর মুখ বাঁধা ছিল
চোখ বাঁধা ছিল
হাত বাঁধা ছিল
পা বাঁধা ছিল
শরীর বাঁধা ছিল
প্রাণ জিম্মি ছিল
জীবন বন্দি ছিল
তবু, বন্ধুগণ, আমি নিশ্চিত
ও সর্বোচ্চ আর্ত চিৎকারে কাঁদছিল
কেননা, ওর মন ছিল মুক্ত

ওর মাকে তখন উঠোনে ঠুকরে চলছিল
নয়টা শকুন
ওর মাকে তখন উঠোনে খুবলে যাচ্ছিল
নয়টা জানোয়ার
ওর মাকে তখন উঠোনে দুমড়ে মুচড়ে ফেলছিল নয়টা পিশাচ

নারীটি ধানের শীষ নয়
অমানুষগুলো নৌকা নয়

কিন্তু বিষয়টি রাজনৈতিক
সঙ্গত কারণেই সমাজতাত্ত্বিক
মনস্তাত্ত্বিক
অর্থনৈতিক
এবং বিষয়টি আমাদের আবহমান এক অন্ধকার দিক
আসুন, বন্ধুগণ, অন্তত একটিবার
আমরা নিজেদের ভেতর আলো ফেলে
অনুসন্ধান করি আমাদের আত্মপরিচয়

আমাদের সোনার বাংলায়
আর যেন কখনোই
আর যেন কিছুতেই
সুবর্ণচরের সেই কালরাত নেমে না আসে

নতুন করে পাব বলে : গণহত্যা ১৯৭১

সেই রাত ভেসে যায়নি তবু বুড়িগঙ্গার জলে
নরকের নাভি থেকে অতর্কিত ঘাতক বাতাস এসে
কালান্তক ফুৎকারে নিভিয়ে দিয়েছিল
অগণন অপ্রস্তুত মানব-প্রদীপ
ইতিহাস সাক্ষী
এমন গণহত্যা কোথাও কখনো দেখেনি
জীবনগন্ধী এই গন্ধম-গ্রহ

সংখ্যাতীত চাঁদনি রাতে প্লাবিত প্রাণস্পন্দিত প্রিয় প্রাচীন পৃথিবী
সে-রাতে অসহ্য অবিশ্বাস্যতায় প্রত্যক্ষ করেছিল
পাকিস্তানী হানাদারের হা-মুখ হাবিয়া

ধ্বংসযজ্ঞ আর হত্যাকাণ্ডের তাণ্ডবে বিস্ফোরিত হয়েছিল
প্রেম আর পার্বণের এ-শহর
স্বপ্ন আর সঙ্গীতের এই বিস্তীর্ণ জনপদ-গ্রাম-লোকালয়
প্রজ্ঞা ও মনীষার পীঠস্থান বিশ্ববিদ্যালয়
জ্ঞান আর সংস্কৃতির লীলাকেন্দ্র জগন্নাথ-ইকবাল-এস এম হল
সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী পিলখানা
আইনের ঝাণ্ডাধারী পুলিশলাইন

ছাত্রাবাস-ছাউনি-ব্যারাক-রাজপথ-নিমগ্ন নিবাস
হয়ে উঠেছিল
প্রাগৈতিহাসিক অগ্নিগিরির বিদীর্ণ বক্ষ

জ্বালামুখে কত জ্বলন
লাভাস্রোতে কত যন্ত্রণাদগ্ধ মৃত্যুর দহন
কালের প্রগাঢ় চশমার ভেতর থেকে শূন্যপাপ শিশুচোখে
তাকিয়ে আছেন আজো সেইসব শহীদ সন্ত
ওঁদের গুলিবিদ্ধ হৃদপিণ্ডে কত রক্ত
ওঁদের অপাপবিদ্ধ হৃদয়ে কত প্রেম

আগুন আর রক্তের রঙ কত লাল হতে পারে
মৃত্যু আর কষ্টের রঙ কত নীল হতে পারে
বিভীষিকার রঙ কত কালো হতে পারে
না না করে ওঠে ব্রহ্মাণ্ডের সমস্ত রঙের খনি

হন্তারক পিশাচ-শোষক
বুলেটে ও বেয়োনেটে ঠেকাতে চেয়েছিল
আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম
বুটের তলায় আর ট্যাংকের চাকায়
নিশ্চিহ্নে পিষে ফেলতে চেয়েছিল
বাঙালি জাতিসত্তা
আর মানবতা
কিন্তু মাথার ওপরে অন্তরীক্ষে অদম্য তর্জনি উদ্যত করে
ধরিত্রীর বিপুল বিস্তারে পর্বতপ্রমাণ দাঁড়িয়েছিলেন
সময়ের অবিসংবাদিত সেই সূর্যসন্তান
আর সাড়ে সাত কোটি অসাম্প্রদায়িক বুকের পাঁজরে আমরা রচনা করেছি
ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল জোড়া এই বিজয়-দুর্গ

সেই রাতে পরাজয় মানেনি এই দুর্দম দুর্জয়
বাংলার মাটি, বাংলার জল

নতুন করে পাব বলে : এসো, হে বৈশাখ

সোনার পালঙ্কে শুয়ে আছে ঠাকুরমার ঝুলির কন্যা
বাঁধভাঙা চুলে তার কী বাহার
ঢেউ তোলে রূপকাহিনির উপচানো বন্যা
মেঘের ঘোড়ায় চড়ে আসবে কি ডালিম কুমার
কালবোশেখের উড়ন্ত কেশরে
তীরহারা স্বপ্নের দুরন্ত পারাপার
বেদেনির দীঘল কড়ির জাদুমন্ত্রবলে
গাঙের বাতাস হারিয়েছে পথ
বল পান্থ, কোন দিগন্তে ঠিকানা লিখেছে তােমার
অবিশ্রান্ত দিব্যরথ

এই মৃত্তিকার রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রেম তার
বুনেছে জীবন-বীজ
বাহুবন্ধে অলঙ্কার বিশ্বাসের প্রাচীন তাবিজ
তাকে আমি পাঠ দিই প্রথম ভালোবাসার
ধনধান্যপুষ্পভরা আমাদের সোনার বাংলার

এখানে চাঁদের বুড়ি থুত্থুড়ি চরকায় সুতো কেটে যায়
জ্যোৎস্নার সাগর ফুলে-ফেঁপে ওঠে
উঠোনে উঠোনে মাদুরের বিছানায়
শীতলপাটির কারুকার্যে বর্ণময় নিয়মিত নিদ্রার আবেশ
অজস্র প্রাণের স্পর্শে রঙধনু হয়ে
জেগে থাকে এই বাংলাদেশ

নদীর ভেতরে নদী
তার আকাশে আকাশে পালতোলা পাখি
নৌকার গলুই ঢেউয়ে ঢেউয়ে বেঁধে রাখে রাখি
কাকে বলে প্রেম আর কার নাম প্রীতি
এস হে বিশ্ববাসী, নিয়মনীতি পাশে রেখে
দেখে যাও সোঁদাগন্ধময় রীতি

নিমেষে আর্য-অনার্য ভুলে
বাউল বাদাম তুলে
নিজেকেই ছেড়ে দাও নিজে
একতারার একাকী তারে দেখে নাও
কী করে প্রাচীন পংক্তিমালা বৃষ্টিজলে ভিজে
আমি তার নিরুদ্বিগ্ন আঁচলের প্রান্ত ছুঁয়ে যাই
ইতিহাসের উদ্বিগ্ন আড়ালে হারাই
আহা এই চিরচেনা আকুল আখড়ায়
সকলেই কী আশ্চর্য ঠাকুরের সঙ্গীত শোনায়

কে কবে শুনেছে বল ষড়ঋতু মুছে গেছে
নিসর্গের নির্লিপ্ত নয়নে
কে কবে দেখেছে বল জাফলং হারিয়েছে
শূন্যপ্রাণ পাথরের বনে
জল তার বেহালার আনন্দ ও বেদনার
সুর খোঁজে প্রতিটি পার্বনে
কালের তুলি বর্ণালি জীবনের ছবি আঁকে
অপরূপ রূপের অঙ্গনে

এদেশের নামে প্রেম, রঙে প্রেম, প্রাণে প্রেম, মনে প্রেম
মানচিত্রে প্রেমপূর্ণ ছবি
কাহ্নপা চণ্ডীদাস মধুসূদন লালন হাছন
রবীন্দ্রনাথ নজরুল জীবনানন্দ জসীম করিম
এ-মাটির প্রেমমগ্ন কবি

ঘুম ভেঙে শুনি সেই চিরপ্রেমময় ডাক
এসো, এসো, এসো, হে বৈশাখ

১০

একুশে ফেব্রুয়ারির পুঁথি

 

শোনো শোনো সবাই
শোনো শোনো সবাই মনেপ্রাণে শোনো হৃদয় দিয়ে
বলছি কথা বাংলাদেশ আর বাংলা ভাষা নিয়ে

আজকে একুশ তারিখ
আজকে একুশ তারিখ ফেব্রুয়ারির নিশ্চয় মনে আছে
চেয়ে দেখো কৃষ্ণচূড়া ফুটে আছে গাছে

আছে শিমুল পলাশ
আছে শিমুল পলাশ চারদিকে ওই বাহারে বিস্তারে
সবুজ রঙের মাঝে লালের রঙ যে নজর কাড়ে

তারও আগে বলি
তারও আগে বলি বঙ্গভূমির পথে পথে চলি
সূর্যসন্তানগণের নামে দেই শ্রদ্ধাঞ্জলি

বাংলা মায়ের ছেলে
বাংলা মায়ের ছেলে মায়ের ভাষার অধিকারের তরে
উনিশশো বায়ান্ন সনটা দেখো মনে করে

আহা সালাম জব্বার
আহা সালাম জব্বার রফিক বরকত থোকা থোকা নামে
চেয়ে দেখো ছুঁয়ে দেখো বুকটা কেমন কাঁপে

ওরা চেয়েছিল
ওরা চেয়েছিল মাতৃভাষাই হবে রাষ্ট্রভাষা
ধারাজলে মেটাক চাতক আজন্ম পিপাসা

কিন্তু পাকিস্তানি
কিন্তু পাকিস্তানি দুষ্ট শাসক বাংলা ভাষার বৈরী
তাতে কি ভাই আমরা সবাই জীবন দিতে তৈরি

মায়ের ভাষার জন্য
মায়ের ভাষার জন্য বাঙালিরা জীবন দিয়ে ধন্য
একুশে ফেব্রুয়ারি তাই আজও জনারণ্য

দেখো নয়ন মেলে
দেখো নয়ন মেলে দিকে দিকে বাংলা ভাষার নামে
লালসবুজের চিঠি আসে বাংলাদেশের খামে

আজকে বিশ্বব্যাপী
আজকে বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিনে
আটশো কোটি মানুষ বন্দি ভাষার রক্তঋণে

দেখো আপন মনে
দেখো আপন মনে গৃহকোণে সোনাপাখির কাছে
বাংলা মায়ের বাংলা বোলে কত মধু আছে

আমরা জগতজুড়ে
আমরা জগতজুড়ে বেড়াই ঘুরে বাংলা ভাষা নিয়ে
এই ভাষাটা পেয়েছি এই বুকের রক্ত দিয়ে

তাইতো ভালোবাসি
তাইতো ভালোবাসি প্রাণের চেয়ে বাংলা ভাষা ভাইরে
এমন মধুর মুখের বুলি ভূভারতে নাইরে

মাগো তোমার বুকে
মাগো তোমার বুকে আজ মহান একুশে ফেব্রুয়ারি
মায়ের ভাষায় তাই গেয়ে যাই অন্তরা সঞ্চারী

বাজাই জাদুর বাঁশি
বাজাই জাদুর বাঁশি সবাই মিলে সোনার বাংলাদেশে
এই মাটিতেই জীবন মরণ বাংলা ভালোবেসে

আমার ভাইয়ের রক্তে
আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি
আমি কি ভুলিতে পারি
আমি কি ভুলিতে পারি

 

Header Ad
Header Ad

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা

ছবি: সংগৃহীত

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহারের মাধ্যমে বরণ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রদল। ঢাবি ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন শাওনের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীদের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

রোববার (২৭ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য সাক্ষাৎকার দিতে আসা শিক্ষার্থীদের মাঝে নোটবুক, কলম, পানি, বিস্কুট, সেলাইন এবং প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা ও মেডিসিন সরবরাহ করা হয়। পাশাপাশি অভিভাবকদের বিশ্রামের জন্য চেয়ারের ব্যবস্থা এবং প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করা হয়।

এ সময় নাছির উদ্দিন শাওনের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন ঢাবি ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমাম আল নাসের মিশুক ও আকিব জাবেদ রাফি, সহ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ সেকান্দার, গণসংযোগ বিষয়ক সম্পাদক মানিউল আলম পাঠান শান্ত, সদস্য ইমদাদুল হক ও হাসিবুর রহমান সাকিব, মহসিন হল শাখার দপ্তর সম্পাদক মোঃ আবুজার গিফারী ইফাত, সহ ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক রায়হানা পারভীন, সহ-আইন সম্পাদক সাফওয়ান হাসান তামিম, কর্মী কাজী আবির, আব্দুল্লাহ অনন্ত, লুৎফুর কবির রানা, ক্রীড়া সম্পাদক (জসীমউদ্দিন হল শাখা) আব্দুল ওহেদ, কর্মী মাসুম বিন বশির এবং নাঈম চৌধুরী।

ছাত্রদল নেতারা নবীন শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের সফলতা কামনা করেন এবং তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।

Header Ad
Header Ad

দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও নূরজাহান বেগম। ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতির অভিযোগ তুলে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও নূরজাহান বেগমের পদত্যাগ দাবি করেছে বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরাম। একইসঙ্গে তাদের দুই সহকারীকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি।

রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়। এতে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে বদলি, পদোন্নতি, পদায়ন ও টেন্ডার সংক্রান্ত তদবির বাণিজ্যে লিপ্ত ছিলেন এই দুই উপদেষ্টার সহকারীরা। অভিযোগ রয়েছে, মোয়াজ্জেম হোসেন প্রায় ৪ শত কোটি টাকা আয় করেছেন। একই ধরনের অভিযোগ রয়েছে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পিও তুহিন ফারাবী ও ডা. মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধেও।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অভিযুক্তদের পেছনে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় ছিল বলেই তারা এতদূর যেতে পেরেছে। ফলে প্রশ্ন উঠেছে—তাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টারা কি দায় এড়াতে পারেন?

সংগঠনটি বলেছে, নৈতিক দায়বদ্ধতা ও জনমনে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতেই উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও নূরজাহান বেগমের পদত্যাগ করা উচিত। পাশাপাশি দুর্নীতিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

এদিকে, দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক ইতোমধ্যে মোয়াজ্জেম হোসেন ও তুহিন ফারাবীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। গত বৃহস্পতিবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক ও মুখপাত্র মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার এপিএস মোয়াজ্জেম হোসেন এবং স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পিও তুহিন ফারাবীকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

Header Ad
Header Ad

নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁর মান্দায় সোনালী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি’র সভাপতি ও জাতীয় পার্টি’র নেতা আব্দুল মান্নানকে গণধোলাই এর শিকার হয়েছেন। রবিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে তাকে গণধোলাই দিয়ে সতীহাট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ এলাকায় আটকে রাখেন বিক্ষুব্ধ গ্রাহকরা। মান্নান উপজেলার মৈনম ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং মান্দা উপজেলা জাতীয়পার্টির সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

গ্রাহকদের অভিযোগ, বেশি মুনাফার লোভ দেখিয়ে এফডিআরের নামে আমানত সংগ্রহ করেন আব্দুল মান্নান ও ওই সমবায় সমিতির সম্পাদক শাহিন আক্তার মিঠু। শুরুর দিকে মুনাফার টাকা দিলেও বেশ কিছুদিন টালবাহানা করেন তারা। এ অবস্থায় আমানতের টাকা ফেরতের জন্য চাপ দিলে সমিতির সাইনবোর্ড গুটিয়ে নিয়ে সটকে পড়ার পাঁয়তারা করেন তারা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সোনালী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি ও সম্পাদক লাখপতি অফারে আমানতের নামে শতাধিক গ্রাহকের কাছ থেকে দুই কোটি ৩৭ লাখ টাকা সংগ্রহ করেন। প্রত্যেক মাসে এক লাখ টাকায় দুই হাজার টাকা করে মুনাফা দেওয়ার চুক্তি ছিল। প্রথমদিকে সঠিকভাবে মুনাফার টাকা পরিশোধ করা হলেও গত ছয় মাস ধরে টালবাহানা শুরু করেন তারা।

গ্রাহক ফারমিন আক্তার বলেন, ‘বেশি মুনাফার লোভ দেখিয়ে ওই সংস্থার সভাপতি আব্দুল মান্নান আমার কাছ থেকে ছয় লাখ টাকা নেয়। গত দেড় বছর ধরে মুনাফা দিচ্ছেন না। আমানতের টাকা ফেরত দিতেও টালবাহানা করছে তিনি।’

আরেক গ্রাহক মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘এক লাখ টাকায় মাসিক দুই হাজার টাকা মুনাফা দেওয়ার অঙ্গীকারে আমার কাছ থেকে ছয় লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।
সঠিকভাবে কয়েক মাস মুনাফা পেয়েছি। বর্তমানে সংস্থার লোকজন কার্যক্রম গুটিয়ে আত্মগোপনে আছেন। রবিবার সকালে আব্দুল মান্নানকে পেয়ে গ্রাহকরা আটকিয়ে গণধোলাই দেয়।’

সংস্থার সভাপতি আব্দুল মান্নান বলেন, গ্রাহকের কাছ থেকে নেওয়া টাকা মাঠেই পড়ে আছে। যারা সংস্থার কাছ থেকে ঋণ নিয়েছেন বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে তারা টাকা ফেরত দিচ্ছে না। মাঠ থেকে টাকা উঠানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। টাকাগুলো উঠে এলেই গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত দেওয়া হবে।

স্থানীয় গনেশপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম চৌধুরী বাবুল ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরে গ্রাহকরা আমানতের টাকা ফেরতের জন্য আমার কাছে অভিযোগ দিয়ে আসছিল। পর্যায়ক্রমে টাকা ফেরতের অঙ্গীকারও করেছিলেন সংস্থার সভাপতি ও জাতীয় পার্টির নেতা। এ অবস্থায় আজ তাকে ধরে গণধোলাই দেয় গ্রাহকরা।’

মান্দা উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা আব্দুর রশীদ বলেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরে সোনালী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেডের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায় গ্রাহকের টাকা আটকে রাখা সঠিক হয়নি। আমানতের টাকা ফেরত পাওয়া গ্রাহকের ন্যায্য অধিকার।’

এ প্রসঙ্গে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনসুর রহমান বলেন, বিষয়টি নিয়ে এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেননি। তবে,অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ
হাকিমপুরে গরীবের চাল ছাত্রলীগ নেতার গুদামে
চুরির অভিযোগে কুবির দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার
ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগবাড়িয়ে কিছু করার পক্ষে নয় ঢাকা
সাব-ইন্সপেক্টর পদে প্রাথমিক সুপারিশ পেল ৫৯৯ জন
দুই উপদেষ্টার এপিএস-পিও’র দুর্নীতির খোঁজে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু
নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা চায় জামায়াত
কক্সবাজার-১ আসনের সাবেক এমপি জাফর আলম গ্রেপ্তার
ভারতের দিকে তাক করা পাকিস্তানের ১৩০ পারমাণবিক বোমা
চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় তাওহিদ হৃদয়, বাড়ছে নাটকের রঙ
উত্তেজনার মধ্যেই যুদ্ধজাহাজ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাল ভারত
ছেলে খুঁজে পাচ্ছি না, একজন জীবনসঙ্গী দরকার: মিলা
টাঙ্গাইলে শ্রমিকদলের নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধে ভারতের ১.১৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির শঙ্কা
দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা
রাজনীতির চেয়ারে ঘুণপোকা ধরেছে, এটি সংস্কার করা প্রয়োজন: ব্যারিস্টার ফুয়াদ