বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

গল্প: পর্ব-১

মুজিবের হলদে পাখি

জেলখানার যে ওয়ার্ডে আছি, সেটার নাম সিভিল ওয়ার্ড। এই ওয়ার্ডের সামনের মাঠটি আমার খুব পছন্দের। মাঠে কয়েকটি আম গাছ আছে। সেখানে আমি ফুল গাছ লাগিয়ে বাগান করেছি। সব মিলিয়ে এই মাঠ আমার টুঙ্গিপাড়ার স্মৃতির দুয়ার। একদৌড়ে ঢুকে গেলে বুকভরে শ্বাস টানা যায়। বুঝতে পারি আমি যেখানে যাই টুঙ্গিপাড়া আমার সঙ্গে থাকে। টুঙ্গিপাড়া আমার মানস-ভুমি। আনন্দ-বেদনার সঙ্গী।

আমার সেল থেকে চল্লিশ হাত দূরের পুরানো চল্লিশ সেলটি পাগলা গারদ। যেখানে দিনের বেলায় সত্তরজন, রাতের বেলায় সাঁইত্রিশ জন পাগল থাকে। কয়েকদিন ধরে ওরা রাতে খুব উৎপাত শুরু করেছে। এমন চিৎকার করে যে রাতে আমি ঠিকমতো ঘুমুতে পারিনা। ওদের চিৎকারে মাথা ঝনঝন করলে ঘুম আসেনা। উঠে বসে থাকি। ঘরে পায়চারি করি। আমিতো দিনের বেলা ঘুমাইনা। সেজন্য রাতের ঘুম আমার জন্য খুব জরুরি। ওদের চিৎকারে অতিষ্ঠ হয়ে যাই। কিন্তু কিছু করার থাকে না। ওদের থামানোর কোনো দায় জেল কর্তৃপক্ষের নাই। নিজেকেই এই দায় নিয়ে সময় কাটাতে হয়। উপায়হীন দিন কাটে। আমি আমার দিন কাটানো সুষ্ঠ-সুন্দর করার জন্য উপায় খুঁজি। প্রকৃতি আমার এই উপায়ের একটি বড় দিক। রাতে ঘুমুতে না পারলে আমি সকালে উঠে ফুলবাগানে হাঁটি। ফুলের দিকে তাকালে ফুলের নানা রঙ আমার চোখ জুড়িয়ে দেয়। আর ভেসে আসা সৌরভ শ্বাস টেনে বুক ভরে নেই। মাঝে মাঝে মনে হয় এখানে থাকব না। কিন্তু এমন প্রাকৃতিক সুষমা আমার কষ্ট ভুলিয়ে দেয়। ভোরের দুঃখ মুছে নিয়ে উড়ে যায়। ভাবি, মানুষের ভালোবাসার উর্দ্ধে এ এক অন্যরকম ভালোবাসা পাওয়া। টুঙ্গিপাড়ায় আমার শৈশব থেকে আমি প্রকৃতির কাছ থেকে এই ভালোবাসা পেয়েছি। আমি চেয়ার এনে আমগাছের নিচে বসে খবরের কাগজ কিংবা বই পড়ি। গাছতলায় বসে থাকার এই সময় দারুণ কাটে।

সাতদিন ধরে দেখছি আম গাছটায় দুটো হলদে পাখি রোজ এসে বসে। আমি মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকি। পাখিদুটোকে খুব ভালোবাসি। দুজনে এক হয়ে খেলে। এ-ডালে ও-ডালে লাফায়। পাখা ঝাপটায়। ঠোঁটে ঠোঁট মেলায় আবার পাখা গুটিয়ে চুপ করে বসে থাকে। আমি তাকিয়ে থাকি এমন দৃশ্যের দিকে। পুরোটা আমার সামনে ছবি হয়ে যায়। মনে হয় এ ছবি আমার চোখের সামনে থেকে কোনো দিন বিলীন হবে না।

এখন ১৯৬৬ সালে আমার সময় পার হচ্ছে। ১৯৫৮ সালে যখন জেলে ছিলাম তখনও দুটো হলদে পাখি আসত। সে সময় আমি পাখিদুটোর নাম দিয়েছিলাম খোকা আর রেণু। আমার সামনে ওরা দশ বছরের খোকা আর তিন বছরের রেণু। জোড় বেঁধেছে। আমগাছের ডাল ওদের টুঙ্গিপাড়া। ওরা কিচকিচ শব্দে ডাকলে আমি বলি, তোমাকে আমি খুব ভালোবাসি রেণু। তুমি আমার বুকের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়। তিন বছরের মানুষটি তুমি আমার পরাণ পাখি।

রেণু হেসে নিজেকে উজাড় করত। জেলে আমার সঙ্গে দেখা হলে বলতাম, তুমি আমার হলদে পাখি। আমি তোমার কে?

-তুমিও আমার হলদে পাখি।

১৯৫৮ থেকে ১৯৫৯-এর ডিসেম্বর পর্যন্ত পাখি দুটো প্রতিদিন আসত। যেন বলত, আমাদের দেখ। জেলখানায় একা থাকার কষ্ট ভুলে যাও।

-মাঝে মাঝে আমার যে খুব নিঃসঙ্গ লাগে রেণু।

-নিঃসঙ্গতা মেনে নাও। তুমি পুরো জাতির সামনে দাঁড়িয়ে আছ গো।

আমি রেণুর দিকে তাকিয়ে থাকি। কত সহজভাবে এমন একটি গভীর কথা রেণু আমাকে বলল। ও আমার সামনে পুরো দেশ হয়ে লক্ষ মানুষ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। কোথাও রেণুর কোনো দ্বিধা নাই। ওহ আল্লাহ, ও আমার জীবন ভরিয়ে রেখেছে।

এবার জেলে এসে হলদে পাখি দুটোকে খুঁজতে থাকি। একদিন আম গাছের ডালে দুটো হলদে পাখি দেখি। দেখেই বুঝতে পারি এদুটো আমার আগের দেখা পাখি না। এ দুটো অন্য পাখি। আগের পাখি দুটোর চেয়ে ছোট মনে হয়। আমি দুচোখ মেলে তাকিয়ে থাকি। একলা ঘরে নিঃসঙ্গ থাকার যন্ত্রণা কমে যায়। একদিন মনে হয় হলদে পাখি দুটো আগের পাখির বংশধর। ভাবনার পাশাপাশি জোরে জোরে হাসি। পাখির বংশধর ভেবে আমি পাখি ভালোবাসার নিজের মনোজগতে স্বস্তি খুঁজি। এমন ভাবনায় তাড়িত হয়ে আমগাছের নিচে এসে দাঁড়াই। ঘাড় ঘুরিয়ে উপরে তাকাই। ডালপাতার বিস্তারের সবুজ ¯স্নিগ্ধতায় আপ্লুত হই। আমার চোখ জুড়িয়ে যায়। দেখি পাখিদুটো পাশাপাশি নিশ্চুপ বসে আছে। আমি বিড়বিড়িয়ে বলি, নিশ্চুপ থাকবি কেন তোরা, গান কর। তোদের গান শুনলে আমার বুকের ভেতর স্বপ্ন ঘনায়। তোরা আমার দুঃখী মানুষ না। তোদের গানে পুরো দেশ আমার সামনে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। মনে হয় হলুদ দেশ আমার। হলদে রঙ সবুজের মাঝে শস্যের স্বপ্ন।

-রেণু পাখিদুটো যে আমার কত বড় বন্ধু যারা জেলখানায় একাকী ঘরে বন্দী থাকে নাই তারা বুঝতে পারবে না।

-আমি বুঝতে পারি গো। হলদে পাখি তোমার মনের আনন্দ। তাই না?

-ঠিক বলেছ। হলদে পাখি ছাড়াও চড়ুই পাখি আর কাকও আমার বন্ধু। আমি এই নির্জন ঘরে ওদের নিয়ে আসি ভাবনার তুমুল আনন্দে। আমার ঘরের সামনের বারান্দায় কয়েকটা কবুতর থাকে। এখানে বাচ্চা ফোটায়। তখন বত্রিশ নম্বর বাড়ির ছবি আমার সামনে ফুটে ওঠে। আমার ভালোবাসার কবুতর হয়ে ওরা আমার আদর পায়। আমি কাউকে ওদেরকে ধরতে দেইনা। সিপাহি, জমাদার সাহেবরাও কবুতরগুলোকে কিছু বলে না। বাচ্চাগুলোও নিয়ে যায় না। ওগুলো বড় হয়ে উড়ে যায়। তবে এটা ঠিক আমি কাকের কাছে পরাজিত হয়েছি। রেণু দেখা করতে এলে ওকে যখন একথা বলি, তখন ও হাসতে থাকে। অল্পসময়ে ওর হাসি থামে না। হাসতে হাসতে বলে, পাখির কাছে পরাজিত হওয়া আনন্দের।

-নাগো। কোনো কোনো সময় আনন্দের হয় না।

-কি করে কাকেরা?

-পায়খানা করে আমার ফুল বাগান নষ্ট করে। আর এত চিৎকার করে যে সহ্য করা কঠিন।

-এখন তাহলে তুমি কি করবে?

-আমি ঠিক করেছি যে কাকদের এখানে বাসা বানাতে দেব না। আর আগের বানানো বাসাগুলো ভেঙে ফেলতে বলব কাদেরকে। ওদের চিৎকারে আমার শান্তি নষ্ট হয়। আমি স্বস্তি হারাই।

-ঠিক আছে ওদের বাসা ভেঙে ফেললে ওরা অন্য গাছে গিয়ে বাসা বানাবে। অসুবিধা কি?

-হ্যাঁ, বাসাতো ওদের বানাতেই হবে।

-তা ঠিক। ডিম পাড়বে, বাচ্চা ফোটাবে। বাসা না থাকলে ওদের অধিকার নষ্ট হবে।

-ঠিক বলেছ রেণু।

-তোমার কাছ থেকেইতো মানুষের অধিকারের বিষয় শিখেছি। তুমি আমার টিচার।

-না, না আমি তোমার টিচার না। আমি ঘরে-বাইরে তোমার ভালোবাসার মানুষ।

রেণু মুখ টিপে হাসে। যাওয়ার সময় বলে, তোমার প্রিয় কৈ মাছ এনেছি। পেট ভরে ভাত খেয়ে ঘুমুবে।

-আচ্ছা তাই করব। ঘুমের স্বপ্নে তুমি থাকবে। দেখব টুঙ্গিপাড়ার মধুমতী নদীর ধারে দাঁড়িয়ে আছ। আমাকে নৌকায় আসতে দেখে হাত নাড়ছ। তোমার মাথার উপর দিয়ে উঠে যাচ্ছে অনেক পাখি।

-পাখি, পাখি। তোমার সামনে এখন অনেক পাখি। তুমি আমার হলদে পাখি।

আমাকে হাসতে দেখে রেণু মুখ আড়াল করে। জেলখানার গেটের ঘরে বসে এসব আলোচনায় অন্যরকম আমেজ পাই। রেণুও খুশি হয়। পরে একসময় বিদায় নিতে হয়।

 

চলবে…

 

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত