শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | ৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

স্বকৃত নোমান  

লেখকের দায়বদ্ধতা  

একজন লেখক একজন স্রষ্টা। একইসঙ্গে একজন ব্যক্তিও। ব্যক্তিমানুষ ও স্রষ্টামানুষ কি আলাদা? ব্যক্তি মানুষটি যদি চোর, ডাকাত, গুন্ডা, বদমাশ, লম্পট, ধর্ষক হয়, তাতে কি তার সৃষ্টিকে প্রশ্নবিদ্ধ করা যায়? আমি বলি, হ্যাঁ, করা যায়। কিন্তু আপনি বলবেন, না করা যায় না। কারণ ব্যক্তিমানুষ ও স্রষ্টামানুষ সম্পূর্ণ আলাদা। মহাকবি হোমার অন্ধ ছিলেন, সুরগুরু বিঠোফেন বধির ছিলেন, শেক্সপীয়র মদ্যপ ও উচ্ছৃঙ্খল ছিলেন, বাল্মীকি দস্যু ছিলেন, আর কালিদাস ছিলেন মহামূর্খ। তাই বলে তাঁদের সৃষ্টি তো প্রশ্নবিদ্ধ নয়। তাঁদের সৃষ্টিকে তো আমরা খারিজ করে দিতে পারি না। রবীন্দ্রনাথ যেমন বলেছেন, ‘কবিরে পাবে না তাহার জীবনচরিতে।’ কার্ল গুস্তাভ ইয়ুং বলেছেন, ‘শিল্পী-স্বভাবকে পুরোপুরি প্রকাশ পেতে গেলে শিল্পীর নিজের ব্যক্তিস্বভাবকে আগে নির্বাসিত করতে হবে।’ ওদিকে টি.এস.এলিয়টও স্রষ্টার মধ্যে দুজনের অস্তিত্বের কথা বলেছেন, একজন the man who suffers এবং অপরজন the mind which creates. সুতরাং ব্যক্তি মানুষ ও স্রষ্টামানুষ যে সম্পূর্ণ আলাদা―এর পক্ষে মহান মনীষীদের ভারী ভারী সব উক্তি পাওয়া যাচ্ছে। অতএব, আপনার পাল্লা ভারী।

কিন্তু জনাব, বাটখারার পাল্লা একটি হয় না। বাটখারার জন্য দুটি পাল্লা লাগে। আপনার পাল্লাটি ভারী হলেও বিপরীত পাল্লাটি কি শূন্য? মোটেই তা নয়। আপনি নিশ্চয়ই সাহিত্যত্তাকে স্বীকার করেন? করতেই হবে। একটা জায়গায় স্বীকার না করে কিন্তু উপায় নেই। যেমন ধরুন, সাহিত্যতত্ত্ব কবিতাকে কবিতা বলেছে, গল্পকে গল্প বলেছে, উপন্যাসকে উপন্যাস বলেছে। এখন আপনি যদি বলেন, না, কবিতাকে আমি গল্প বলবো, গল্পকে নাটক বলবো, উপন্যাসকে কবিতা বলবো, আর নাটককে অংক বলবো―তাহলে আপনার সঙ্গে তর্ক বৃথা। আপনি শিল্পী নন, নৈরাজ্যবাদী। শিল্পরাজ্যে আপনার প্রবেশ নিষেধ। আপনি নিশ্চয়ই তা নন। সাহিত্যতত্ত্বকে আপনি স্বীকার করেন। আপনি জানেন যে, সাহিত্যের বহু তত্ত্বের মধ্যে মার্কসীয় সাহিত্যত্ত্ব অনেক প্রভাবশালী, অনেক বেশি বিখ্যাত। পৃথিবীর বহু প্রভাবশালী সাহিত্যিক এই তত্ত্বকে মেনেছেন, মানেন।

মার্কসীয় সাহিত্যতত্ত্বে আপনার ব্যক্তিমানুষ ও স্রষ্টামানুষের বিভাজনকে ‘অবস্তুতান্ত্রিক’ বা ‘ভাববাদী’ বলেছে। প্রাচীনকালের রচনাগুলো দেখুন না। যেমন ধর্মগ্রন্থ। ওগুলোকে তো মানব-রচিত বলেই স্বীকার করা হয় না। ওগুলোর উপর দৈবত্ব আরোপ করা হয়। অর্থাৎ এগুলো মানব-রচিত নয়। সেসব রচনায় দুটো সত্তার অস্তিত্বকে স্বীকার করা হচ্ছে। হতেই পারে। প্রাচীনকালে এমন দৈব ঘটনা হামেশাই ঘটতো। কারণ মানুষ তখনো তার চিন্তাকে শৃঙ্খলিত করতে পারেনি, তার ক্ষমতাকে সুসংহত করতে পারেনি, পৃথিবীতে তার অস্তিত্বের জয় ঘোষণা করতে পারেনি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কার্ল গুস্তাভ ইয়ুং বা টি.এস.এলিয়টও কার্ল মার্কস-কথিত সেই অবস্তুতান্ত্রিক বা ভাববাদী বা সেই দৈবযুগের মতবাদের সমর্থক। হতেই পারেন। দোষের কিছু নেই।

কিন্তু পৃথিবীটা এখন বদলে গেছে। এখন অন্ধকবি হোমারের যুগ নয়, এখন বধির বিঠোফেনের যুগ নয়, এখন মদ্যপ ও উচ্ছৃঙ্খল শেক্সপীয়রের যুগ নয়, এখন দস্যু বাল্মীকির যুগ নয়, এখন ‘মহামূর্খ’ কালিদাসের যুগ নয়। তাদের মৃত্যুপরবর্তীকালে পৃথিবীর সমস্ত নদ-নদীর অনেক জল গড়িয়েছে। অনেক নদী শুকিয়ে গেছে। এন্টার্টিকা-হিমালয়ের অনেক বরফ গলে গেছে। অনেক অরণ্য মরুভূমিতে রূপান্তরিত হয়েছে। ঘটে গেছে ফরাসি বিপ্লব, অক্টোবর বিপ্লব, ঘটে গেছে হাইতি, কিউবা, চাইনিজ বিপ্লব। দু-দুটি বিশ্বযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে। হিরোশিমা-নাগাসাকি ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। মানুষ এখন কল্পিত স্বর্গকে পৃথিবীতে নামিয়ে এনেছে, একটি বাটনের মধ্য দিয়ে মানুষ এখন পৃথিবীকে শাসন করছে। একটি বাটনের চাপে গোটা স্থলভাগকে উড়িয়ে দিতে পারে মানুষ। মানুষের বুদ্ধির উৎকর্ষ এখন শিখরকে স্পর্শ করেছে।

পৃথিবীটা এখন পণ্যায়নের পৃথিবী। আপনি যে গল্পটি লিখছেন সেটা একটি পণ্য। আপনি যে কবিতাটি লিখছেন সেটি একটি পণ্য। আপনি যে উপন্যাসটি লিখছেন সেটি একটি পণ্য। আপনার কবিতার, গল্পের, উপন্যাসের বইটি একজন পাঠকও না কিনলে, আপনার বইটি কোনো প্রকাশক প্রকাশ না করলে, আপনি স্বীকার করুন বা না-ই করুন, আমি নিশ্চিত, আপনি লেখালেখি ছেড়ে দেবেন। ছেড়ে দেবেন, কারণ, আপনার মধ্যে হতাশা তৈরি হবে, নিরর্থকতা তৈরি হবে। আপনি কোনো অনুপ্রেরণা পাবেন না। লেখাবাহুল্য, শিল্পসৃষ্টির জন্য অনুপ্রেরণা জরুরি। সেই অনুপ্রেরণা আকাশ থেকে আসে না। রবীন্দ্রনাথের ‘অলৌকিক আনন্দের ভার বিধাতা যাহারে দেন’ এই উক্তিকে অচল ঘোষণা করেছে পণ্যসভ্যতা। অর্থাৎ আপনি একটি পণ্যসভ্যতায় বসবাস করছেন। গায়ের জোরে আপনি এই সভ্যতাকে অস্বীকার করতে পারবেন না।

এই পণ্যায়নের যুগে হোমার, বাল্মীকি আর কালিদাসরা জন্মগ্রহণ করেন না। কারণ এই পণ্যায়নের যুগের চাহিদা আলাদা। সামাজিক সম্পর্ক, শ্রমবিভাগ এবং সাংস্কৃতিক জীবনও আর সেই কালে দাঁড়িয়ে নেই। সমাজের এখন মূল লক্ষণ প্রগতি, অর্থাৎ সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া। অতএব শেষ হয়ে যাওয়া, বিগত হয়ে যাওয়া সামাজিক অবস্থাকে ফিরিয়ে আনা এখন আর সম্ভব নয়। পুরনো সেই মহাকাব্য রচনার যুগ বা এলিজাবেথ-বিক্রমাদিত্যের যুগ বা জীবন আর ফিরে আসবে না। ফিরে আসবে না সেই সময়কার সাহিত্যকর্মও। এখনকার যুগটা সম্পূর্ণই আলাদা। এই আলাদা যুগে প্রত্যেক মানুষই এক বিশেষ সমাজে বাস করে। সেই সমাজ থেকে সে বন্ধনমুক্ত হতে পারে না। কবি, সাহিত্যিক, শিল্পীও বন্ধনমুক্ত হতে পারে না। পেটে একবেলা ভাত না থাকলে এখন আর কলম চলে না। তাই মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় বা নজরুলরা এখন আর জন্মগ্রহণ করেন না।

আপনি যদি এই বাস্তবতাকে অস্বীকার করতে চান, তবে আপনার উদ্দেশে ভি.আই লেনিন বলছেন, ‘হে বুর্জোয়া লেখকগণ! আপনারা যে অবাধ স্বাধীনতার কথা বলেন, তা নিছক ভণ্ডামি মাত্র। যে সমাজে অর্থই শক্তি, যে সমাজে অসংখ্য শ্রমজীবী মানুষ দুঃসহ দারিদ্র্যে কষ্ট সহ্য করেন, আর মুষ্টিমেয় ধনী পরগাছার মতো জীবন-যাপন করে, সে সমাজে সত্য এবং সক্রিয় স্বাধীনতা বলতে কিছু থাকে না।’ সুতরাং এই পণ্যায়নের যুগে আপনি যে ব্যক্তিমানুষ ও স্রষ্টামানুষকে আলাদা করে আপনার পাল্লাটি ভারী করতে চাইলেন, বিপরীত পাল্লার ওজনের কাছে আপনার পাল্লাটি হালকা হয়ে গেল, আপনার পাল্লাটি উপরের দিকে উঠে গেল। অর্থাৎ আপনার পাল্লাটি হালকা, বিপরীত পাল্লাটি ভারী।

আপনি বলতে পারেন, এটি তো মার্কসীয় সাহিত্যতত্ত্ব। আমি এই তত্ত্ব মানি না। তাহলে আপনার তত্ত্বটি কী? ওই অবস্তুতান্ত্রিকতা? ওই ভাববাদীতা? ওই দৈবত্ব? ওই প্রাচীনতা? জনাব, সবিনয়ে আপনাকে বলছি, আপনি গায়ের জোরে বাস্তবকে অস্বীকার করছেন। আপনার চারদিকে যে জাজ্বল্যমান বাস্তব, তা আপনি দেখেও না দেখার ভান করছেন। আপনি কপটতা করছেন। কপটতা দিয়ে শিল্প-সাহিত্য হয় না। শিল্প-সাহিত্যের জন্য সততা আবশ্যক। তবু যদি আপনি গায়ের জোরে অস্বীকার করতে চান, করুন। আপনার সঙ্গে বিতর্কে না যাই। বিতর্কে যাই সেই লোকটির সঙ্গে, যিনি এই পণ্যায়নকে স্বীকার করছেন, নিজেকে মার্কসবাদী বলে দাবি করছেন, আবার একই সঙ্গে ব্যক্তিমানুষ ও স্রষ্টামানুষকে আলাদা করছেন। এই লেখা পড়ার পর, সেই মানুষটি, আশা করছি, হয়ত আর আলাদা করবেন না।

আসলেই কি তাই? আলাদা কি করা যায় না? যায়। কল্যাণরাষ্ট্রে করা যায়। যে রাষ্ট্রে মানুষে মানুষে সমতা এসেছে, জাতি গঠন হয়েছে, সেই কল্যাণ রাষ্ট্রে ব্যক্তিমানুষের দিকে আমাদের নজর না দিলেও চলে। যেমন ধরুন সুইডেন, নেদারল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, লুক্সেমবুর্গ, লিশটেনস্টাইন। এসব রাষ্ট্রকে কল্যাণ রাষ্ট্র বলা যায়। অপরাধীদের অভাবে এসব দেশের কারাগারগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, এটি কল্যাণ রাষ্ট্রের প্রধান লক্ষণ। এসব দেশের একজন কবি-সাহিত্যিক ব্যক্তিজীবনে যদি চোর, ডাকাত, গুন্ডা, বদমাশ, লম্পট, ধর্ষক হন―তার ব্যক্তিজীবনের দিকে আমাদের না তাকলেও চলে। কারণ তার রাষ্ট্রের কোনো সংকট নেই, জাতির কোনো সংকট নেই। তার জাতি ‘কল্যাণ’-এর যে মহাসমুদ্র রচনা করেছে, সেই সমুদ্রে তার সমস্ত অপরাধ সিন্ধুর মাঝে বিন্দুর মতো বিলীন হয়ে যাবে।

কিন্তু বাংলাদেশের মতো রাষ্ট্রে ব্যক্তিমানুষের কি এই অবাধ স্বাধীনতার সুযোগ আছে? অর্থাৎ একজন কবি বা ঔপন্যাসিক বা নাট্যকারের কি সেই সুযোগ আছে? তাকে কি দুই সত্তায় বিভাজন করা যায়? এই রাষ্ট্র তিরিশ লক্ষ শহিদের হাড়-কঙ্কালের উপর দাঁড়িয়ে আছে। এই রাষ্ট্রের নাগরিকরা এখনো তার পরিচয় নিয়ে সংশয়ী। সে বাঙালি না মুসলামান, এখনো এই সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি। অর্থাৎ এখনো জাতিটাকে গঠন করতে পারেনি। এই রাষ্ট্রের অসংখ্য নাগরিক এখনো শত্রæরাষ্ট্র পাকিস্তানকে বন্ধু মনে করে, মুক্তিযুদ্ধকে বলে ‘গণ্ডগোল’। এই রাষ্ট্রের অসংখ্য তরুণ স্বাধীনতা-বিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে। এই রাষ্ট্রের মুসলমানরা হিন্দুদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়, ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ করে। এই রাষ্ট্রের সংখ্যাগুরু নাগরিকরা ক্ষুদ্রনৃগোষ্ঠী নাগরিকদের মানুষ বলে স্বীকার করতে নারাজ। এই রাষ্ট্রের পরতে পরতে দুর্নীতির মহোৎসব। এই রাষ্ট্রের অসংখ্য প্রাচীনপন্থী নাগরিক শিল্প-সাহিত্যকে ‘অধর্মের কাজ’ বা ‘অকাজ’ বলে গণ্য করে। এমন একটি রাষ্ট্রের একজন কবি বা ঔপন্যাসিকে দুই সত্তায় বিভাজন করা যায় কিনা? এমন একটি রাষ্ট্রে একজন কবি-লেখক ব্যক্তিজীবনে চোর, ডাকাত, গুন্ডা, বদমাশ, লম্পট, ধর্ষক হতে পারেন কিনা? যুদ্ধাপরাধীদের কোনো রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করতে পারেন কিনা? প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীর কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিতে পারেন কিনা?

আপনি বলতে পারেন, কবি-লেখকের কোনো রাষ্ট্র নেই, কোনো দেশ নেই; কবি-লেখক বিশ্বনাগরিক। সুতরাং এই রাষ্ট্রের প্রতি তার দায় না থাকলেও চলে। আপনার উদ্দেশ্যে হোর্হে লুইস বোর্হেস বলছেন, ‘আমি সব ধরনের জাতীয়তাবাদকে ঘৃণা করি, আমি বিশ্বনাগরিক হতে চাই। সমগ্র বিশ্বের নাগরিক এবং আমি আর্হেন্তিনারও একজন ভালো নাগরিক। আর্হেন্তিনীয় প্রজাতন্ত্র পৃথিবীরই একটি অংশ।’

সুতরাং, আপনার সেই কবি-লেখকটিও বিশ্বনাগরিক হতে পারেন, কোনো সমস্যা নেই। শুধু এটুকু মনে রাখলে চলবে, এই গণপ্রজাতন্ত্রের বাংলাদেশ এই বিশ্বেরই অন্তর্ভুক্ত একটি দেশ।

 

লেখক : কথাসাহিত্যিক

 

Header Ad
Header Ad

সন্ত্রাসী তালিকা থেকে তালেবানকে বাদ দিলো রাশিয়া

ছবি: সংগৃহীত

সন্ত্রাসী তালিকা থেকে আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী তালেবানের নাম বাদ দিলো রাশিয়া। দুই যুগেরও বেশি সময় পর বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্ত জানান দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞায় রীতিমতো একঘরে হয়ে থাকা তালেবানের জন্য এটি বড় অর্জন হিসেবে দেখা হচ্ছে।

গত বছর রাশিয়ার নতুন আইনে, কোনো সংগঠনকে সন্ত্রাসী তালিকা থেকে বাদ দেয়ার এখতিয়ার আদালতকে দেয়া হয়। সম্প্রতি তালেবানের সাথে সম্পর্ক গভীর করেছে মস্কো। সংগঠনটির প্রতিনিধিরা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে অংশ নিতে একাধিকবার রাশিয়া সফর করেছে।

২০০৩ সালে তালেবানকে নিষিদ্ধ সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছিল রাশিয়া। ফলে রাশিয়ার সঙ্গে কোনও ধরনের যোগাযোগ ছিলো না সংগঠনটির। এবং তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা ছিল ফৌজদারি অপরাধ।

তবে ২০২১ সালে দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতা গ্রহণ করে তালেবান। এ ক্ষমতা শুধুমাত্র সরকার গঠন করাই নয়। বরং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘটে সম্পর্কের ইতি।

Header Ad
Header Ad

ভিনগ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব আছে, জানালেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক

ছবি: সংগৃহীত

ভিনগ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজে পেতে বহু বছর ধরে গবেষণা চালিয়ে আসছেন বিজ্ঞানীরা। বিভিন্ন সময় সাফল্য কিছু পেলেও নিশ্চিতভাবে প্রাণের অস্তিত্ব আছে এমন অকাট্য প্রমাণ এখনও কোথাও পাওয়া যায়নি।

তবে এবারে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা দূরবর্তী এক গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব থাকার ‘এযাবতকালের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রমাণ’ পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

কে২-১৮বি (কেটু-এইটিনবি) নামক দূরবর্তী এই গ্রহটিতে প্রাণের অস্তিত্ব থাকতে পারে বলে দাবী করেছেন বিজ্ঞানীরা। এই গ্রহটি পৃথিবীর মতো সূর্যের চারপাশে নয়, বরং অন্য অন্য একটি স্টার বা নক্ষত্রের চারপাশে প্রদক্ষিণ করে। অর্থাৎ এটি সৌরজগতের অংশ নয়। তাই কে২-১৮বি গ্রহটিকে বহির্গ্রহ (এক্সোপ্ল্যানেট) বলা যেতে পারে।

কেমব্রিজের গবেষকরা কে২-১৮বি নামক গ্রহটির বায়ুমণ্ডল নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা চালিয়ে এমন অণুর সন্ধান পেয়েছেন যা পৃথিবীতে কেবলমাত্র জীবন্ত প্রাণীরাই তৈরি করে থাকে। অর্থাৎ, বায়ুমণ্ডলে এই অণুর উপস্থিতির অর্থ হচ্ছে দূরবর্তী গ্রহটিতেও প্রাণের অস্তিত্ব থাকতে পারে। এমনটাই বিশ্বাস গবেষকদের।

নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের সাহায্যে কে২-১৮বি গ্রহটির বায়ুমণ্ডলে জীবনের অস্তিত্ব সম্পর্কিত রাসায়নিক পদার্থের সন্ধান পাওয়ার এটি দ্বিতীয় ও সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ প্রমাণ। তবে গবেষণায় প্রাপ্ত ফলাফল সম্পর্কে নিশ্চিত হতে আরও তথ্যের প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন গবেষক দলটি এবং কয়েকজন জ্যোতির্বিজ্ঞানী।

 

Header Ad
Header Ad

ব্রাজিলের ভক্তদের ‘বানরের’ সঙ্গে তুলনা, নিষেধাজ্ঞার মুখে আর্জেন্টিনা

ছবি: সংগৃহীত

মনুমেন্টাল স্টেডিয়ামে সেদিন নাকানিচুবানি খেয়েছিল ব্রাজিল। বল দখল, গোলে শট কিংবা আক্রমণ—আর্জেন্টিনার বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচটিতে পেরে ওঠেনি সেলেসাওরা। ৪-১ ব্যবধানের বড় হারও এসেছিল। ওইদিনে ব্রাজিলের ভক্তদের সঙ্গে বিদ্বেষী ও বর্ণবাদমূলক আচরণ করেছিল আর্জেন্টাইনরা। সেই ঘটনার জল হয়ত গড়াতে যাচ্ছে বহুদূর!

মার্চের ২৫ তারিখের ওই ঘটনার জেরে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে পারে আর্জেন্টিনার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ)। ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ) ফিফার মাধ্যমে এএফএকে শাস্তি দেওয়ার চেষ্টা করতে পারে। সিবিএফ ইতোমধ্যে প্রমাণসমূহ প্রস্তুত করেছে বলে জানিয়েছে আর্জেন্টাইন সংবাদ মাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টস।

গণমাধ্যমটি সিবিএফ এর বরাতে জানিয়েছে, সেলেসাওদের একজন ভক্তকে একজন আর্জেন্টাইন দর্শক ‘বানরের’ সঙ্গে তুলনা করেছে। সেই ঘটনাটি ওই দর্শক রেকর্ড করেন। লিওনেল মেসিদের অ্যাসোসিয়েশনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এটি হতে পারে বড় প্রমাণ। টিওয়াইসি জানিয়েছে, এমন ঘটনার মাঝ দিয়ে গেছে আরও বেশ কিছু ব্রাজিলিয়ান দর্শক।

জুনের প্রথম সপ্তাহে চিলি ও কলম্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে নামার আগেই ফিফার পক্ষ থেকে শাস্তি শুনতে পারে আর্জেন্টিনা। বারবার এমন বর্ণবাদী আচরণ হওয়ায় হয়ত ওই দুই ম্যাচে আর্জেন্টিনার দর্শকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে। টিওয়াইসি জানিয়েছে, কলম্বিয়ার বিপক্ষে ঘরের মাঠের ম্যাচে দর্শকশূন্য রেখেই খেলতে হতে পারে মেসি-লাউতারোদের। যদিও এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।

কদিন আগে ফিফার এমন শাস্তির মুখে পড়েছিল চিলি। ম্যাচ দেরিতে শুরু করার কারণে তাদের স্টেডিয়ামে দর্শকদের ৫০ শতাংশ ফাঁকা রাখতে নির্দেশ দিয়েছিল। দর্শকদের উগ্র আচরণের কারণে একই সমস্যায় পড়েছিল ব্রাজিল ও উরুগুয়ে।

তবে, ফিফা আপিল কমিটি শাস্তির মাত্রা ২৫ শতাংশে কমিয়ে এনেছে। একই সঙ্গে তারা জানিয়েছে, এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে মাঠে দর্শকদের উপস্থিতির পরিমাণ আরও কমিয়ে আনা হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সন্ত্রাসী তালিকা থেকে তালেবানকে বাদ দিলো রাশিয়া
ভিনগ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব আছে, জানালেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক
ব্রাজিলের ভক্তদের ‘বানরের’ সঙ্গে তুলনা, নিষেধাজ্ঞার মুখে আর্জেন্টিনা
নারীরা কেন বয়সে ছোট পুরুষের সঙ্গে প্রেমে জড়াচ্ছেন?
জুলাই-মার্চ মাসে ৩০.২৫ বিলিয়ন ডলার পোশাক রফতানি করেছে বাংলাদেশ
সংঘর্ষে উড়ে গেছে বাসের ছাদ, তবুও ১০ কিলোমিটার চালিয়ে ৬০ যাত্রীকে বাঁচালেন চালক
কোলের সন্তান বিক্রি করে অলংকার, মোবাইল কিনলেন মা
চুয়াডাঙ্গায় বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে দু’জন নিহত
ইয়েমেনের তেল বন্দরে মার্কিন বিমান হামলায় নিহত ৩৮
হবিগঞ্জে ট্রাক-পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৪
সৌদি আরব-মরক্কো থেকে ৪৬৬ কোটি টাকার সার কিনবে সরকার
গাইবান্ধায় মাদক মামলায় ৩ যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান জানালেন প্রধান উপদেষ্টা
তোপের মুখে ওয়াক্‌ফ আইন স্থগিত করল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট
নিজেকে বরিশাল সিটির মেয়র ঘোষণার দাবিতে মামলা করলেন ফয়জুল করীম
ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিমদের ‘পূর্ণ নিরাপত্তা’ নিশ্চিতের আহ্বান বাংলাদেশের
টাঙ্গাইলে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে কেন্দ্র সচিব ও পরীক্ষার্থীসহ আটক ৬
৭১ এর গণহত‍্যার জন‍্য ক্ষমা ও সম্পদ ফেরত দেয়া নিয়ে আলোচনায় সম্মত পাকিস্তান
এবার স্ত্রী রিয়া মনিকে তালাকের ঘোষণা দিলেন হিরো আলম
সাবেক এমপি বাহারের জমি-বাড়ি জব্দ, ২৯টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ