সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ড. সাজ্জাদ বকুল

হাসান আজিজুল হক: প্রান্তজনের সখা

সাহিত্যচর্চা করতে গেলে কি কেন্দ্রেই আস্তানা গাড়তে হবে? কেন? যে-সাহিত্য রচনা করতে হলে প্রান্তেই বিচরণ করতে হবে, প্রান্তজনের মানুষের মাঝে মিশে যেতে হবে, সেভাবে রচিত মহৎ সাহিত্যের বহুল প্রচার, প্রসার বা মূল্যায়নের জন্য কেন্দ্রের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে কেন? এ প্রশ্নের উত্তর হয়তো হাসান আজিজুল হককেও কখনো কখনো ভাবিত করে থাকবে। তবে তাঁর সঙ্গে ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় এই আক্ষেপ তাঁকে কখনোই করতে দেখিনি আমি। কেন্দ্র ছেড়ে রাজশাহীর মতো প্রান্তে বসে সাহিত্যচর্চা করে তিনি যে খুব ভুল করেছেন তাঁর তেমন উপলব্ধির কথাও জানতে পারিনি। বরং তিনি রাজশাহীতে থেকেই সাহিত্যচর্চা করতে ভলোবেসেছেন। তিনি যে মাপের সাহিত্যিক ছিলেন, কেন্দ্র তথা রাজধানী যে তাঁর যথাযথ মূল্যায়ন করছে না, তা নিয়ে তাঁকে কখনো আক্ষেপ করতে শুনিনি।

এখানে মূল্যায়ন বলতে যদি শুধু পুরস্কার-সম্মাননার কথা ধরি, তবে সে মূল্যায়ন কিন্তু হাসান আজিজুল হক প্রান্তে বসেই আদায় করে নিতে পেরেছেন নিজ গুণে। রাজধানীর বাইরে বসেই ১৯৭০ সালে তিনি মাত্র একত্রিশ বছর বয়সে অর্জন করেছেন বাংলাদেশের সাহিত্যে সম্মানজনক স্বীকৃতি ‘বাংলা একাডেমি পুরস্কার’। এরপর থেকে শক্তিশালী কথাশিল্পীর স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ সব পুরস্কার-সম্মাননা অর্জন করেছেন। দেশের বেসামরিক পুরস্কারের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ‘একুশে পদক’ পেয়েছেন ১৯৯৯ সালে। ২০১৯ সালে পেয়েছেন সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’।

প্রান্তে বসে সাহিত্যচর্চা করেও এমন স্বীকৃতি তিনি ঠিকই আদায় করে নিয়েছিলেন। মাত্র শ’খানেক ছোটগল্প আর দুটি উপন্যাস, কিছু প্রবন্ধ আর কিছু শিশুসাহিত্য রচনা করে বাংলা সাহিত্যে কালজয়ী লেখক হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছেন তিনি, যুগের পর যুগ হয়ে আসবেন। শুধু কি দেশের ভেতর? দেশের গণ্ডি পেরিয়ে ভারতের কলকাতা থেকেও সেখানকার সাহিত্যের খুব গুরুত্বপূর্ণ স্বীকৃতি ‘আনন্দ পুরস্কার’ অর্জন করেছেন ২০০৮ সালে; ‘আগুনপাখি’ উপন্যাসের জন্য। পশ্চিমবঙ্গেও তাঁর সাহিত্যের সমঝদার পাঠক রয়েছেন বহু। ১৫ নভেম্বর তিনি পৃথিবী থেকে শারীরিকভাবে চিরবিদায় নিলে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী টুইটারে এক পোস্টে এই যশস্বী কথাসাহিত্যিকের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন। বাংলাদেশে তাঁর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ বহু গণ্যমান্য ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান।

এতো এতো স্বীকৃতির পরেও তবে কেন্দ্র-প্রান্ত প্রসঙ্গ আসছে কেন? আসছে মূলত গণমাধ্যমে হাসান আজিজুল হকের মৃত্যুকে কীভাবে উপস্থাপন করা হলো তার নিরিখে। গণমাধ্যমে জীবিত হাসান আজিজুল হক যেমন সেভাবে ঠাঁই পাননি, মৃত্যুতেও তার ধারাবাহিকতা রক্ষিত হয়েছে। হাতে গোনা কয়েকটি সংবাদপত্র, টিভি চ্যানেল বাদ দিলে বেশিরভাগ গণমাধ্যমে হাসান আজিজুল হকের মৃত্যু ঘিরে সংবাদ বা অন্যান্য কনটেন্টে তাঁকে যেভাবে যে মাত্রায় হাজির করার কথা ছিল তা হয়েছে কি? সমকালীন বাংলা সাহিত্যে তাঁর মতো শক্তিশালী কথাকার ও রাজনীতি-সমাজসচেতন মানুষ কয়জন ছিলেন বা আছেন? তাহলে তাঁকে গণমাধ্যমে উপস্থাপনে এতো কার্পণ্য কেন?

এ কি তবে হাসান আজিজুল হক প্রান্তের লেখক বলে? তিনি যদি রাজশাহী না থেকে রাজধানীতে থাকতেন তাহলে তাঁর মৃত্যুকে ঘিরে আরো বেশি আয়োজন, মিডিয়ায় আরো বেশি তোলপাড় হতো না? আমি কারো সঙ্গে তুলনায় যেতে চাই না। শুধু তিনি যেভাবে পাদপ্রদীপের আলোয় থাকার মতো গুণের অধিকারী ছিলেন সেটুকু তাঁর ক্ষেত্রে করা হলো কিনা—সেই প্রশ্ন আমি তুলতে চাই। তাঁর মৃত্যুর পরের দু দিনের মিডিয়া কাভারেজ দেখে এটা মনে হতেই পারে, গণমাধ্যমের একটা বড় অংশ হাসান আজিজুল হককে প্রান্তের লেখক হিসেবেই বিবেচনা করেছে।

আমি দীর্ঘ প্রায় ১২ বছর ধরে হাসান আজিজুল হকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে মিশে দেখেছি, তিনি এসব নিয়ে কখনোই মাথা ঘামাতেন না। তিনি শুধু নিজের কাজটা করে যেতেন। ২০১৯ সালে তাঁর আশিতম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আমি রাজশাহীতে একটা বড় আয়োজনের উদ্যোগ নেই। সেই আয়োজনে রাজশাহীর গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ সর্বস্তরের মানুষ ছুটে এসেছিলেন। রাজশাহীর বাইরে পাবনা, নাটোরসহ দূর দূরান্ত থেকে মানুষ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন।

কিন্তু আমি খুব অবাক হয়ে লক্ষ করেছিলাম, এ রকম একজন কিংবদন্তি কথাসাহিত্যিকের ৮০তম জন্মবার্ষিকী পালনের কোনো উদ্যোগ কেন্দ্র থেকে কেউ গ্রহণ করেননি। অন্তত আমাদের আয়োজন নিয়ে বা হাসান আজিজুল হকের ৮০তম জন্মবার্ষিকী ঘিরে গণমাধ্যমগুলো যদি যথাযোগ্য কাভারেজ দিত তাতেও সান্ত্বনা পাওয়া যেত। কিন্তু কেন্দ্রের প্রায় সকল গণমাধ্যম আমাদের হতাশ করেছে। সেদিন বেশিরভাগ গণমাধ্যমেই আমাদের বাংলা সাহিত্যের অন্যতম এই দিকপালের জীবনের এই স্মরণীয় দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখার মতো কোনো আয়োজন আমার চোখে পড়েনি। একই ঘটনা ঘটল তাঁর মৃত্যুর পরেও। সংবাদপত্রগুলোর কিছু কিছু এই দুই দিনে সম্পাদকীয় পাতায় কিছু উপ-সম্পাদকীয় ছাপা ছাড়া ‘বিশেষ সংখ্যা’ বা এ ধরনের কোনো আয়োজন করেনি। আরো কয়েক দিন গেলে বোঝা যাবে তাদের তেমন কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা। কিন্তু আগের অভিজ্ঞতা বলে তেমন হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম।

সারাজীবন প্রান্তিক মানুষের জীবনের দুঃখ, কষ্ট, লাঞ্ছনা, সংগ্রামের কথা কতো দরদ দিয়ে লিখে গেলেন ‘ছোটগল্পের বরপুত্র’ হাসান আজিজুল হক। প্রান্তে বসে প্রান্তজনের মধ্যে বিচরণ করে বাংলা সাহিত্যের জগতে কিছু মহৎ সাহিত্য তিনি যোগ করে গেলেন। কিন্তু কেন্দ্র ছেড়ে প্রান্তে থাকার কারণেই হয়তো তিনি কেন্দ্রের মনোজগতে সেভাবে আঁচড় কাটতে পারলেন না। উদার মানসিকতার এই মানুষটা নিজে তার চেষ্টা কখনো করেননি। কিন্তু কেন্দ্রের তো সেটা করা উচিত ছিল, নাকি? আগে হয় নি। ভবিষ্যতে হলেও ক্ষতি কী?

Header Ad
Header Ad

পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

দেশের পাঁচটি জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার ও সোমবার (২৭ ও ২৮ এপ্রিল) দেশের বিভিন্ন স্থানে এসব মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। কুমিল্লার মুরাদনগর ও বরুড়া উপজেলায় চারজন, কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও মিঠামইনে তিনজন, নেত্রকোনার কলমাকান্দা ও মদনে দুজন, সুনামগঞ্জের শাল্লায় একজন এবং চাঁদপুরের কচুয়ায় একজন প্রাণ হারিয়েছেন।

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার পূর্বধইর পূর্ব ইউনিয়নের কোরবানপুর পূর্বপাড়া এলাকায় ধান কাটতে গিয়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বজ্রপাতে দুজন কৃষক নিহত হন। নিহতরা হলেন নিখিল দেবনাথ (৫৮) ও জুয়েল ভূঁইয়া (৩০)।

একই জেলার বরুড়া উপজেলার খোসবাস উত্তর ইউনিয়নের পয়েলগচ্ছ গ্রামে দুপুর ১২টার দিকে ঘুড়ি ওড়ানোর সময় বজ্রপাতে মারা যায় দুই কিশোর—মোহাম্মদ জিহাদ (১৪) ও মো. ফাহাদ (১৩)। এ সময় আবু সুফিয়ান (সাড়ে ৭) নামের একটি শিশু আহত হয় এবং তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে খয়েরপুর আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের হাওরে ধান কাটার সময় সকালে বজ্রপাতে প্রাণ হারান দুই কৃষক—ইন্দ্রজিৎ দাস (৩০) ও স্বাধীন মিয়া (১৫)। একই সময়ে মিঠামইন উপজেলার শান্তিগঞ্জ হাওরে ধানের খড় শুকাতে গিয়ে বজ্রপাতে নিহত হন ফুলেছা বেগম (৬৫) নামের এক নারী।

নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের ধনুন্দ গ্রামে রবিবার রাত ১০টার দিকে বজ্রপাতে আহত হয়ে পরে হাসপাতালে মারা যান দিদারুল ইসলাম (২৮)। তিনি একটি ইফতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন।
আজ সকাল ৭টার দিকে মদন উপজেলার তিয়োশ্রী গ্রামে মাদ্রাসাগামী শিশু মো. আরাফাত (১০) বজ্রপাতে মারা যায়।

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার আটগাঁও গ্রামের বুড়িগাঙ্গাল হাওরে গরু চরাতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান রিমন তালুকদার। তিনি শাল্লা ডিগ্রি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার নাহারা গ্রামে সকালে বজ্রপাতের বিকট শব্দে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান বিশাখা রানী (৩৫)। তিনি কৃষক হরিপদ সরকারের স্ত্রী। চিকিৎসক জানান, বজ্রপাতের সরাসরি আঘাতের কোনো চিহ্ন ছিল না, শব্দের প্রভাবে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

 

Header Ad
Header Ad

জামিন পেলেন মডেল মেঘনা আলম

মডেল মেঘনা আলম। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় জামিন পেয়েছেন মডেল মেঘনা আলম।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহ শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুরের আদেশ দেন। আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলার অভিযোগপত্র পর্যালোচনা এবং মেঘনা আলমের আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।

এর আগে গত ১০ এপ্রিল মডেল মেঘনা আলমকে ডিটেনশন আইনে ৩০ দিনের জন্য কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেদিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাকে আটক করে আদালতে হাজির করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এরপর আদালতে তাকে আটক রাখার আবেদন করলে সেটি মঞ্জুর হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, মেঘনা আলম ও দেওয়ান সমিরসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২-৩ জন মিলে একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। এই চক্রটি বিভিন্ন সুন্দরী মেয়েদের ব্যবহার করে বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি কূটনীতিক ও দেশীয় ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপনে উৎসাহিত করত। এরপর এসব সম্পর্কের দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে ভিকটিমদের সম্মানহানির ভয় দেখিয়ে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হতো।

 

মডেল মেঘনা আলম। ছবি: সংগৃহীত

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, আসামি দেওয়ান সমির 'কাওয়ালি গ্রুপ' নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সিইও এবং 'সানজানা ইন্টারন্যাশনাল' নামে একটি ম্যানপাওয়ার প্রতিষ্ঠানের মালিক। এর আগে তার 'মিরআই ইন্টারন্যাশনাল ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড' নামের একটি প্রতিষ্ঠান ছিল।

চক্রটি 'ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর' নিয়োগের নামে সুন্দরী ও আকর্ষণীয় মেয়েদের ব্যবহার করে সহজে বিদেশি কূটনীতিক ও ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের কাছে যাতায়াতের সুযোগ তৈরি করত। উদ্দেশ্য ছিল ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে বড় অঙ্কের চাঁদা আদায় এবং দেওয়ান সমিরের ব্যক্তিগত ব্যবসাকে লাভজনক করা।

Header Ad
Header Ad

জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করলো সরকার

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ইতিহাস সংরক্ষণ, আন্দোলনে নিহতদের পরিবার ও আহতদের পুনর্বাসন এবং এই গণ-অভ্যুত্থানের আদর্শকে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে 'জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর' গঠন করেছে বাংলাদেশ সরকার।

সোমবার (২৮ এপ্রিল ২০২৫) সরকারের পক্ষ থেকে গেজেট আকারে এ সংক্রান্ত ঘোষণা প্রকাশ করা হয়েছে। এর আগে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এই অধিদপ্তর গঠনের জন্য একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, গত বছরের ১২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নতুন অধিদপ্তর গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনেই এই নতুন অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

এর পাশাপাশি, অধিদপ্তর গঠনের প্রক্রিয়ায় গত ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজমের সভাপতিত্বে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠনের নীতিগত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পরে উপদেষ্টা পরিষদে বিষয়টি উপস্থাপিত হলে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।

সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এই অধিদপ্তর শুধু ইতিহাস সংরক্ষণের কাজই করবে না, বরং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের চেতনা ও আদর্শকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন গবেষণা, প্রকাশনা এবং সচেতনতামূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে। একইসঙ্গে, নিহত এবং আহতদের পরিবারদের যথাযথ পুনর্বাসন ও সহায়তার ব্যবস্থাও করা হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু
জামিন পেলেন মডেল মেঘনা আলম
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করলো সরকার
নিরীহ কাউকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না: আইজিপি
পাকিস্তানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস
ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকির অভিযোগ দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা